এইমাত্র
  • হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান
  • জাতীয় জীবনে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম: জামায়াত আমীর
  • ইজতেমা মাঠ ঘিরে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার
  • মানুষ জুলাই অভ্যুত্থান ভুলে গেছে বলেই খুনিদের নামে স্লোগান হয়: সারজিস
  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
  • পিলখানা হত্যা মামলার ফের তদন্ত চায় ভুক্তভোগীদের পরিবার
  • ‘রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছর তারা কী করেছেন’: রিজওয়ানা
  • পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়ও সূর্যের হাসি
  • রাখাইনের মংডু শহর আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা
  • বুদ্ধিজীবী দিবসে বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক
  • আজ শুক্রবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

    আইন-আদালত

    গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
    গ্রামীণ টেলিকম ভবন দখলের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছেন।আজ বৃহস্পতিবার গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল ইসলাম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম ফারহান ইশতিয়াক শাহ আলী থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।মামলার অপর আসামিরা হলেন গ্রামীণ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক আবদুল কুদ্দুস, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফয়জুল হক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মামুনুর রশীদ ও কৃষ্ণ কান্ত রায়, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. প্রদীপ কুমার সাহা, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হারুন আর রশিদ, মো. তরিকুল ইসলাম, মো. গোলাম জাকারিয়া, প্রিন্সিপাল অফিসার গোবিন্দ সাহা, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের উপদেষ্টা এস আব্দুর রশিদ, মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পরামর্শক ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার, কনসালটেন্ট জীম জোবায়েদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাহাংগীর হাসান, কর্ণেল (অব.) রাশেদ আলী, সার্জেন্ট (অব.) জিয়াউর রহমান ও নুরুজ্জামান মৃধা, এরএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও গণসংযোগ কর্মকর্তা তানন খান।মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংকের মিরপুর-২ হেড অফিস থেকে আগত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ এই ১৯ আসামি মিরপুর-১ চিড়িয়াখানা রোডে গ্রামীণ টেলিকম অফিসে প্রবেশ করে। কোম্পানির মানহানি ও সংরক্ষিত মূল্যবান নথিপত্র ও আসবাবপত্রের ক্ষতিসাধণ করে।এফএস
    জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা মিজানুর
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় দণ্ডিত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি মিজানুরের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেন।  মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।এবি এবি 
    চিন্ময়ের জামিন শুনানি এগিয়ে নিতে ঢাকা থেকে গেলেন আইনজীবী
    বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি এগিয়ে আনতে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করে। তবে এদিন শুনানিতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।এ বিষয়ে চট্টগ্রামের এক আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৩ ডিসেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন চিন্ময়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ধার্য করেন। কিন্তু এর মধ্যে আজ (বুধবার) আসামিপক্ষে ঢাকা থেকে আসা একজন আইনজীবী জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন। তবে আবেদনে আসামিপক্ষের ওকালতনামা নেই এবং ফাইলিং আইনজীবীরও লিখিত অনুমতি নেই। তাই মহানগর দায়রা জজ আদালত আবেদনটি নট মেইন্টেইনেবল বলেছেন। আদালতে আসামি চিন্ময়ের পক্ষে জমা দেওয়া আবেদনে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত চিন্ময় দাস একজন সন্ন্যাসী। তিনি সনাতনীদের পবিত্র তীর্ঘপীঠ শ্রী শ্রী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের একজন প্রধান মুখপাত্র। মামলায় চিন্ময়ের বিরুদ্ধে বাদীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিকর। তাছাড়া চিন্ময় দাস দীর্ঘমেয়াদি পাকস্থলী, কার্ডিওভাসকুলার, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত। তার পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবীকে বিভিন্ন মাধ্যমে এ মামলা পরিচালনা তথা শুনানি না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই শুনানিতে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এটি সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার বহির্ভূত। যেহেতু চিন্ময়ের পক্ষের আইনজীবী নিরাপত্তাজনিত কারণে এ মামলার জামিন শুনানির ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি, সেহেতু ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই ফৌজদারি মামলার ধার্য তারিখ অগ্রবর্তী পূর্বক শুনানি করা একান্ত আবশ্যক। না হয় অভিযুক্ত ব্যক্তি ন্যায়বিচার থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হবেন।জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালান। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে একদল ইসকন অনুসারীর হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ছিলেন। এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ভুক্তভোগীর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। একই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।এবি
    নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হলো আনিসুল, ইনুসহ ৮ জনকে
    আওয়ামী লীগ আমলের ৮ সাবেক মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ, সেনা কর্মকর্তা ও সচিবকে নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রাজধানীর কাফরুল, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, নিউ মার্কেট, বনানী থানার পৃথক মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু, সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, কর্নেল ফারুক খান, শমসের মুবিন চৌধুরী ও সাবেক সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক।এবি 
    ঢাবিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার বিধান কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আশরাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষারসহ আরও কয়েকজন। এর আগে ৫ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে আইনি নোটিশ প্রদান করা হয়।  নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে হবে। তবে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালতের শরণাপন্ন হন রিটকারীরা।  রিটকারীদের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানরা পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়। তাদের জন্য পোষ্য কোটা সংরক্ষণ করা সংবিধানের ২৮ (৪) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।  তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড় কোটার ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, যা স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করে। সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর অধীনে খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করা যুক্তিসঙ্গত নয়।  আদালত বলেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া মেধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। ফলে এই বিধানগুলো বাতিলের যৌক্তিকতা পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।  এই রুলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিতে মেধার ভিত্তিতে পরিবর্তন আনার বিষয়টি সামনে এসেছে। পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।  সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত জবাব প্রদান করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।এসএফ 
    অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা স্থগিত
    সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের সাজাও স্থগিত করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন।আইনজীবীরা জানান, সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৬ সালে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এটি ছিল তারেক রহমানের প্রথম সাজা। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।এবি 
    অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রিট খারিজ
    সারা দেশের অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক ও কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত চেয়ে রিট সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।  আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আমিমুল এহসান জোবায়ের সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল, দুদক চেয়ারম্যান, সচিব ও মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।গত ১৪ অক্টোবর দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন রিটে যুক্ত করা হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার অবিশ্বাস্য সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের অনেকেই অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হাজার কোটি টাকার মালিক। অনেকের আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে দেশে ও বিদেশে। কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনেছেন বেশ কয়েকজন। শত শত বিঘা জামির মালিকানা অর্জন করেছেন কয়েকজন।দুদকের গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে বিচার বিভাগের ৫১ জনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও রয়েছে দুদকের কাছে।এবি 
    জামিন পেলেন শমী কায়সার
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার জামিন পেয়েছেন।আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট বিভাগ তার জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে, রবিবার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় শমী কায়সারের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার আইনজীবী।এর আগে, গত ৯ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গানবাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস ও ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত।৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩নং বাসা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বুধবার তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় কৌশিক হোসেন তাপস ৯ নম্বর ও শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।এইচএ
    ৪০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘোরা সেই হরেনকে ২০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ
    ৪০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘোরা সেই হরেন চন্দ্র অবশেষে মামলায় জয়ী হয়েছেন। প্রমাণিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভুয়া মামলা করেছিল। এ কারণে বৃদ্ধ হরেন চন্দ্র নাথকে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। আদালতে হরেন চন্দ্র নাথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ৪০ বছর আগে ব্যাংকের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। তবে মামলায় খালাস পেলেও সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপিল করে মামলাটি জিইয়ে রাখে। এভাবে চার দশক কেটে গেলেও আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।বিএ পাস করে ১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক পদে সোনালী ব্যাংকে ঢাকার একটি শাখায় যোগদান করেন। তিন বছর পর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র ক্যাশিয়ার-কাম ক্লার্ক হন। এর পর তাকে যাত্রাবাড়ী শাখায় বদলি করা হয়। চাকরিরত অবস্থায় রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ১৬ লাখ ১৬ হাজার ১০০ টাকা যাত্রাবাড়ী শাখা থেকে লোকাল অফিসে স্থানান্তর করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা সিল-স্বাক্ষরসহ লিখিতভাবে সমুদয় অর্থ বুঝে নেন। এর কিছুদিন পর ১৯৮৫ সালে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে ওই টাকা পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তহবিল তছরুপের অভিযোগে ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে হরেন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে তাদের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।এরপর গ্রাহকের টাকা জমা না দেয়ায় অপর একটি মামলায় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে স্থাপিত ওই কর্মকর্তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৯০ সালে হরেন্দ্রনাথ জেল খেটে বের হন।এর আগে ১৯৮৫ সালের ২৯ জুলাই হরেন্দ্রনাথসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার বিশেষ আদালতে ফৌজদারি মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো। বিচারে ১৯৮৬ সালের ১৫ নভেম্বর বেকসুর খালাস পান হরেন্দ্রনাথসহ সবাই।মামলায় পরাজিত হয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গোপনে ১৯৮৮ সালে হরেন্দ্রসহ সবার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে। সেই মামলায় একতরফা রায়ে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে সমুদয় অর্থ ফেরত দেয়ার আদেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে আবেদন (মিস কেস) করেন হরেন্দ্রনাথ। ১৯৯২ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত আপিল গ্রহণ করেন; একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের আদেশ বাতিল করেন।এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করে। ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট এ আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।এবি 
    জামিনের দরখাস্ত দিয়ে লাভ নেই, আদালতে কামরুল ইসলাম
    বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুজ্জামান কিরণকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর শুনানি ছিল আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর)।এদিন সকালে আসামিদের আদালতের হাজির করে রাজধানীর পৃথক থানার করা পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার পৃথক দুই হত্যাচেষ্টার মামলায় কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শুনানিকালে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের আইনজীবী জামিন বিষয়ে শুনানি করতে চান। তখন আদালত বলেন, জামিন শুনানি আমলি আদালতে করবেন। এ সময় কামরুল ইসলাম তার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামিনের দরখাস্ত দিয়ে লাভ নেই।এরপর আবার তার পক্ষের আইনজীবী আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের আরেকটা দরখাস্ত আছে। কামরুল ইসলাম তার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চান। আপনি যদি একটু অনুমতি দেন। তখন আদালতকে উদ্দেশ্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে ডাক্তার। তার সঙ্গে দেখা করা প্রয়োজন।শুনানি শেষে আদালত এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ছেলের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।এবি  
    আবারও ৩ দিনের রিমান্ডে পলক
    রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থী মনির মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালত আনা হলে ৭ দিনের পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর আগে কারাগার থেকে পলককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক শেখ হাদিউজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে। পরে তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড আদেশ দেন মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট মো. শেফাতুল্লাহর আদালত। একই আদালতে পল্টন থানার যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক সচিব শাহ কামালকে ২ দিনের রিমান্ড আদেশ দেয়া হয়।এছাড়া, বিভিন্ন থানার মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন ও ডিবির সাবেক কর্মকর্তা মশিউর রহমান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনকে নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটভূমি পালাবদলের পর  ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা হতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পর দিন তাকে ১০ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এরপর বিভিন্ন মামলার আরও কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ফের তিন তাকে দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।মামলা সূত্রে জানা গেছে,  বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চলাকালে গত ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী মনির মিয়া চানখারপুল এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অংশ নেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন তিনি। এরপর ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই ২ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পলক দুই নম্বর এজাহার নামীয় আসামি। এবি 
    ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান, রায় নিয়ে আপিলে শুনানি হবে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে
    ‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে- হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।  প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। বাংলায় দেওয়া ওই রায়ের আদেশের অংশে আদালত বলেন, আমরা ঘোষণা করছি যে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।পরে ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা।হাইকোর্টের দেওয়া এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২ ডিসেম্বর এ তথ্য জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।র স্লোগান নয়, এটা হচ্ছে আমাদের ন্যাশনাল ইউনিটি। এই স্লোগান দিয়ে একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর আদেশের পরে বশির আহমেদ বলেছিলেন, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক। পৃথিবীর ৬০টি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের চেতনার সেই ‘জয় বাংলা’কে স্বাধীনতার এতদিন পরেও জাতীয় স্লোগান হিসেবে পাই নাই।এইচএ
    জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনি নোটিশ
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি জি এম কাদেরসহ অনুসারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।আজ রবিবার তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের ডিসি ও ওসিকে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যদি ওই সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হয় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আইনি নোটিশে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টি ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশলে বেঁচে যান। কিন্তু বিগত আমলগুলো দেখলে ও হাসিনা সরকারের শাসনামল দেখলে লক্ষ্য করা যায়, ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সাল স্বৈরাচারী সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করার সাহস পেয়েছে। জাতীয় পাটির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। শুধু তথাকথিত গৃহপালিত দল তথা বিরোধী দল থাকার জন্য স্বৈরাচারের সুরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে অবাধ লুটপাট করেছে। তাই সকল অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়েছে যে পথ দিয়ে, জাতীয় পার্টিকে যেতে হবে সে পথ দিয়ে।নোটিশে আরও বলা হয়, জাতীয় পার্টি একটি জাতীয় বেইমান। বারবার তারা প্রমান করেছে। শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য একতরফা নির্বাচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে গেলেও জাতীয় পার্টি অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করতেছে। আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী এমপিরা গ্রেপ্তার হলেও জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-এমপিরা আসামি হওয়া স্বত্বেও তাদের গ্রেপ্তার না করে শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। আইন সকলের জন্য সমান হলেও জাতীয় পার্টির দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের কিসের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। জনমনে এই প্রশ্ন এখন প্রবল হয়ে উঠছে।১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেও জি এম কাদেরসহ তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে না আসায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মর্মাহত। জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি। অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহিদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করার অনুরোধ জানান তিনি।এফএস
    আইনজীবী সাইফুল হত্যা, আরেক হোতা রিপন গ্রেপ্তার
    চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার আরেক হোতা রিপন দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারা উপজেলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ।গ্রেপ্তার রিপন দাস (২৭) নগরীর কোতোয়ালী থানার হরেশ চন্দ্র মুন্সেফ লেইনের মৃদুল দাসের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ও দুটি ছবিতে দেখা যায়, লাল হেলমেট, নীল টি-শার্ট ও জিন্স পরা বটি হাতে রিপন আইনজীবী আলিফকে কোপাচ্ছেন। এর আগে বুধবার রাতে আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত ২৬ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর হলে তাকে কারাগারে নিতে বাঁধা দেয় তার অনুসারীরা। এ সময় পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কোপানো হয়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস। রিপনের ছবি প্রকাশ হলেও তাকে শনাক্ত করতে না পারায় মামলায় আসামি করা হয়নি।এফএস
    শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা
    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একই সঙ্গে পূর্বে দেওয়া বিদ্বেষমূলক বক্তব্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।গণহত্যা মামলার তদন্তে নির্দেশএর আগে ১৮ নভেম্বর, ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি গণহত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রসিকিউশনের দাবি, জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে চলমান আন্দোলনের সময় সংঘটিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে।বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যগুলো নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। প্রসিকিউশন জানায়, তার এসব বক্তব্য সমাজে বিদ্বেষ ও উত্তেজনা ছড়ানোর কারণ হতে পারে। তাই এই বক্তব্যগুলো প্রচার বন্ধ করতেই ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করা হয়েছিল।গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটগণঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দেড়শোরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গুম, হত্যা, এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ। বর্তমানে গ্রেপ্তার আছেন সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ মোট ২৫ জন। এছাড়াও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।এসএফ 

    Loading…