এইমাত্র
  • 'চাপাবাজীর অস্কার অনন্য মামুন পাবেন', বলছেন শাকিব ভক্তরা
  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
  • ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ
  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ মীমাংসিত, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
  • শেখ হাসিনা কীভাবে পদত্যাগ করেছেন, জানালেন আসিফ মাহমুদ
  • শুরু হলো বরবাদ'র শুটিং, শাকিব খান যোগ দেবেন কবে?
  • মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবি, ১১ মরদেহ উদ্ধার
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ
  • কারাগারে ইমরানকে দেওয়া হয় মাটন মুরগি দই জুস আঙ্গুর
  • ঘুষের টাকা নিয়েও কাজ না করে উল্টো হুমকি যত ইচ্ছে নিউজ করেন : ভূমি সহায়ক শাহানুর
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ কার্তিক, ১৪৩১ | ২২ অক্টোবর, ২০২৪

    লাইফস্টাইল

    কম ঘুমে লোপ পায় স্মৃতিশক্তি, আরও যেসব ক্ষতি হয়
    একজন সুস্থ মানুষের দিনে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। রাতের ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে সারাদিন অসুস্থবোধ হয়। তবে জানেন কি, রাতের ঘুম ভালো না হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে? ফিনল্যান্ডের আল্ট্রো ইউনিভার্সিটি এবং ওলু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা সম্প্রতি একটি গবেষণা করা হয়। ঘুমের অভাবে মানুষের শরীরে কী কী রোগ বাসা বাঁধতে পারে তা এই গবেষণায় দেখা হয়। একজন ব্যক্তিকে পাঁচ মাস ধরে ট্র্যাক করা হয়েছিল যিনি দিনের পর দিন কম ঘুমের শিকার হয়েছিল।গবেষণায় দেখা যায়, কম ঘুম বা রাতের পর রাত জেগে থাকার অভ্যাস ওই ব্যক্তির স্মৃতি শক্তির ওপর প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি কোনো বিষয়ে আর মনোযোগ দিতে পারছেন না। তবে ঘুমের ঘাটতি যে কেবল স্মৃতি শক্তি দুর্বল করে আর মনোযোগ কমায় তা নয়। অনিয়মিত ঘুমের আরও অনেকে প্রভাব পড়ে শরীরে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- মেজাজ খিটখিটে হওয়াঘুম নিয়মিত না হলে মুড একেবারেই ভালো থাকে না। সারাদিন একটা খিটখিটে ভাব দেখা যায় আচরণের মধ্যে। অর্থাৎ, ঘুমের অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। বিভ্রান্তিসারাদিন আমাদের মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে তথ্য পৌঁছায়। এর মধ্যে কিছু তথ্য ঘুমের সময় মস্তিষ্ক যত্ন করে রেখে দেয়, বাকিটা ফেলে দেয়। কিন্তু ঘুম যদি সঠিকভাবে না হয় তাহলে এই কাজটি সঠিকভাবে হয় না। ফলে মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ওজন বৃদ্ধি  কম ঘুমের কারণে হজম ক্ষমতা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। এতে ওজন বেড়ে যায় খুব দ্রুত। ডায়াবেটিসদীর্ঘদিন রাতে যদি কেউ না ঘুমায় তাহলে শরীর ইনসুলিন সঠিকভাবে উৎপাদন করতে পারে না। এতে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। উচ্চ রক্তচাপপর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের লিভিং অর্গানিজমগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দেয়।এমআর
    সব ব্লেড একই মাপের, একই নকশার হয় কেন?
    দাড়ি-গোঁফ কাটা থেকে শুরু করে পেনসিল বা নখ কাটা— অনেক কাজেই ব্যবহৃত হয় ব্লেড। ঘরের কাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস এটি। ব্লেডের কথা উঠলে সবার আগে আসে জিলেটের কথা। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় শেভিং কিট কোম্পানি এটিভারত উপমহাদেশে নয়ের দশক থেকে এই আন্তর্জাতিক ব্লেড প্রস্তুতকারক কোম্পানি ব্লেড তৈরি করে আসছে। দেশের বাজারে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে জনপ্রিয় ব্লেডের কোম্পানি শার্প। এই দুই কোম্পানি ছাড়াও বলাকা, সুপার ম্যাক্স ইত্যাদি কোম্পানিও ব্লেন্ড তৈরি করে। কোম্পানি যাই হোক, খেয়াল করে দেখেছেন সব ব্লেডই দেখতে একরকম। এমনকি ব্লেডের মাঝখানের নকশাও সব ব্লেডে একই রকম হয়ে থাকে। কেন এমন হয় তা কি কখনো ভেবেছেন? চলুন বিস্তারিত জানা যাক- ১৯০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পথচলা শুরু করে বিশ্ব বিখ্যাত ব্লেড প্রস্তুতকারক সংস্থা জিলেট। এরপর ১৯০৪ সালে কোম্পানিটি বাজারে আনে ‘কিং ক্যাম্প’ নামের একটি ব্লেড। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধারের নাম কিং ক্যাম্প জিলেট (King Camp Gillette)। তার নামেই এই নামকরণ করা হয়। দ্রুত এই ব্র্যান্ড জনপ্রিয় হয়ে যায়।জিলেটের পর বাজারে বহু প্রতিষ্ঠান এসেছে যারা ব্লেড বানিয়েছে। কিন্তু সব ব্লেডই এক নকশার, এক মাপের। প্রতিটি ব্লেডই দেখতে জিলেটের প্রথম শুরু করা ব্লেডের মতো। শত বছর পেরিয়ে গেলেও এর নকশায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্লেডের মাঝের ফাঁকা অংশের নকশা এবং ব্লেডের মাপও কখনো বদলায়নি। ১১৬-১১৭ বছর আগে রেজারের হাতলের সঙ্গে ব্লেড আটকানোর জন্য স্ক্রু বা নাট-বল্টুর ব্যবহার করা হতো। এজন্যই ব্লেডের মাঝখানে ফাঁকা অংশ রেখেছিল জিলেট। পরবর্তীতে সেই নকশা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শেভিং ব্লেড মানেই ওই আকৃতি ও মাপকেই বুঝত গ্রাহক। তাই জিলেট ছাড়াও অন্য ব্লেড প্রস্তুতকারক সংস্থা বাজারে এলেও জিলেটের সেই ডিজাইন কেউ বদলায়নি। মার্কেট দখলের একটি ট্রিক্স ছিল এটি। বছরের পর বছর যা চলে আসছে। এমআর
    জিহ্বার রং দেখে বুঝে নিন স্বাস্থ্যের অবস্থা
    ভাইরাস জ্বর হোক কিংবা পেট ব্যথা— চিকিৎসকদের কাছে গেলেই তাঁরা সবার আগে রোগীর জিহ্বার দেখতে চান। খাবারের স্বাদ কেমন তা বুঝতে যেমন জিহ্বার উপরেই ভরসা রাখতে হয়, তেমনই শরীর অবস্থা বুঝতেও কাজে আসে এই অঙ্গ।জিহ্বার স্বাভাবিক হালকা গোলাপি রং বদলে গেলে তা বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ে জিহ্বার উপর সাদাটে আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিহ্বার উপর সাদা আস্তরণ পড়ে। ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতি হলেও জিহ্বা সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত ধূমপান করলেও কিন্তু জিহ্বার উপর সাদা স্তর পড়ে। এ ছাড়া কিছু রোগের ক্ষেত্রেও জিহ্বা দেখেই যাচাই করেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন কখন সাবধান হবেন।মুখের ভিতরেই ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’নামের এক প্রকার ছত্রাক থাকে। এই ছত্রাকটি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিহ্বা সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ওরাল থ্রাশ। সাধারণত এটি গুরুতর সমস্যা না হলেও ওরাল থ্রাশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই সমস্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনও গভীর সমস্যাও।লিউকোপ্লাকিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। নামটি কঠিন হলেও সমস্যাটি সাধারণত খুব একটা উদ্বেগের নয়। জিহ্বা বা মুখগহ্বরের উপরের ত্বকের কোষের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই কোষগুলি কেরাটিন নামের একটি প্রোটিনের সঙ্গে মিশে জিহ্বায় একটি সাদা আস্তরণ তৈরি করে। সাধারণত নিজে থেকে সেরে গেলেও কখনও কখনও লিউকোপ্লাকিয়া থেকে মুখের ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। সিফিলিস একটি যৌনরোগ। জিহ্বার সাদা রঙের আস্তরণ এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। সাধারণত অসুরক্ষিত যৌন মিলনের মধ্য দিয়ে এই রোগের ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই জিহ্বার এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে। জিহ্বাররং হঠাৎ নীলচে বা বেগুনি হয়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। এ ছাড়া, শ্বাসযন্ত্র কিংবা কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও সমস্যা থাকলেও জিহ্বার রং নীল হয়ে যেতে পারে। জিহ্বার রং একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে গেলে তা রক্তে আয়রনের অভাবকেই ইঙ্গিত করে। আবার জিহ্বার উপর লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ অটোইমিউন রোগের ইঙ্গিতও বহন করে।
    গাছে গাছে হেমন্তের দূত ছাতিম ফুল
    হেমন্তের আভাস পেয়ে জেগেছে হেমন্ত দূত ছাতিম ফুল। শরতের শেষ প্রান্তে এসে গাছে গাছে ফোটা ছতিম ফুল হেমন্তে বিলোয় তার মনোমুগ্ধকর সৌরভ। প্রকৃতির নিয়মানুযায়ী এবারও শহর থেকে শুরু করে বন্দর, মফস্বল কিংবা পাড়াগাঁয়ের নদ-নদী তীড়, রাস্তা ঘাটের আশেপাশে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনায়, বসতবাড়ি সংলগ্ন অনাবাদি জায়গায়, অফিস আদালত প্রাঙ্গনে তীব্র গন্ধ বিলোচ্ছে ছাতিম ফুল।ছাতিম গাছের নামানুযায়ী এ ফুলের নামকরণ করা হয়েছে ছাতিম ফুল। স্থানীয় ভাবে অনেকে ছাতিম গাছকে ছাতিয়ান গাছ ও বলে থাকেন। ইংরেজিতে ছাতিম গাছকে বলা হয় ডেভিল’স ট্রি। ওষুধী গুনাগুন সমৃদ্ধ ছাতিম গাছের ছাতিম ফুল এর গন্ধ অনেক দূর পর্যন্ত চলে যায়। শাখার শীর্ষের সবুজাভ শুভ্র থোকা থোকা ফুল থেকে বের হওয়া মিষ্টি সৌরভ অন্য যে কোন ফুলের চেয়ে তীব্রতর। তাই প্রকৃতিপ্রেমীরা মুগ্ধ হন ছাতিম ফুলের গন্ধে। মোহিত হয়ে অবাক বিষ্ময়ে ছাতিম ফুলের সৌন্দর্য্য অবলোকন করেন।ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ছাতিম গাছের আদি নিবাস হওয়ায় বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র ছাতিম গাছ দেখা যায়। ধারণা করা হয়, মূল গাছের চারদিকে ডালপালা ছাতার মতো ছড়িয়ে থাকায় এ গাছের নামকরণ করা হয়েছে ছাতিম গাছ। ভাল দাম না থাকায় মানুষ খুব বেশি ছাতিয়ান গাছ লাগান না। সৌন্দর্য্যপ্রিয় মানুষ মনের খোড়াক জোগাতে, ছাতিমের বুনো গন্ধ পেতে ছাতিম গাছ লাগান। এই গাছের মূলাবর্তে সাতটি পাতা এক সঙ্গে থাকে বলে সংস্কৃত ভাষায় একে 'সপ্তপর্ণ' বা 'সপ্তপর্ণা' নামে ডাকা হয়। সুবিন্যস্ত লম্বাটে পাতাগুলোর মাঝ বরাবর ফোটে সফেদ রঙা থোকা ফুল। পাতার আধিক্য থাকায় গাছকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন প্রকৃতি সবুজ রঙের ছাতা মেলে ধরেছে। সম্ভবত একারণেই এই গাছের নাম ছাতিম। আর গাছের নামেই ফুলের নামকরণ। অঞ্চলভেদে এটি ছাতিয়ান, ছাইত্যান, ছাতইন ইত্যাদি নামে পরিচিত। ছাতিমের পাতা দিয়ে গ্রাম্য শিশুরা খেলনা ঝুড়িও বানিয়ে থাকে। ছাতিম গাছ লম্বায় প্রায় ৪০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। একাধিক শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গাছটির ছাল অসমতল ও ধূসর। এর পাতার ওপরের অংশ চকচকে আর তলার দিক ধূসর। পাতাগুলো ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। শরতের শেষ থেকে হেমন্তে সারা গাছ ভরে গুচ্ছবদ্ধ, তীব্রগন্ধযুক্ত, হালকা ঘিয়ে রঙের ছোট ছোট ফুল ফোটে। যান্ত্রিকতায় ভরপুর এই শহরে ছাতিম যে দুর্লভ তা কিন্তু নয়। শহরের অসংখ্য স্থানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি। আর তার বুনো সৌরভে মাতাল করছে শহরবাসীকে। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, গণভবনের রাস্তা, আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন সড়ক, মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, রমনা পার্ক, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জাতীয় তিন নেতার মাজার প্রাঙ্গণ, জাতীয় প্রেসক্লাব সংলগ্ন চামেরি হাউস, আব্দুল গনি রোড, হাতিরঝিল, ইস্কাটন, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন- সর্বত্র রয়েছে ছাতিমের উপস্থিতি। প্রকৃতিতে নিজেই নিজের অবস্থান সৃষ্টি করা একটি গাছ ছাতিম। শখ করে এই গাছ তেমন একটা কেউ লাগান না। তবু সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে ছাতিমগাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কারণ কি জানেন? ছাতিমের বীজের রয়েছে বাতাসে ভেসে বেড়ানোর দারুণ এক ক্ষমতা। ছোট কাঠির মতো বীজের এক প্রান্তে থাকে পশমের মতো অঙ্গ। ফল ফেটে বীজ বাতাসে ছড়িয়ে পড়লে তা বাতাসে ভেসে ভেসে অনেক দূরে চলে যায়। আর সুবিধামতো জায়গায় সেই বীজ পড়লেই গজিয়ে ওঠে নতুন গাছ। ছাতিমের বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলারিস (Alstonia scholaris)। ইংরেজিতে একে Blackboard Tree বলা হয়। স্কলারিস আর ব্ল্যাকবোর্ডের সঙ্গে বিদ্যা অর্থাৎ লেখাপড়ার যোগ আছে। এর কারণও আছে। ছাতিমের নরম কাঠ থেকে ব্ল্যাকবোর্ড ও পেনসিল তৈরি হয়। প্যাকিং বাক্স, দেশলাইয়ের কাঠি এবং খুব সাধারণ মানের আসবাব তৈরিতেও এ গাছের কাঠ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শ্রীলঙ্কায় ছাতিমের কাঠ দিয়ে কফিন বানানো হয়। ছাতিমে ঔষধি গুণ রয়েছে। এর ছাল ও আঠা জ্বর, হৃদরোগ, হাঁপানি, ক্ষত ও কুষ্ঠ রোগ নিরাময়ে সহায়ক। আমাশয়ের চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার রয়েছে। চর্মরোগেও ছাতিম ফলপ্রদ। স্নায়ুর শক্তিসূত্রে অসাড়তা আনে বলে রক্তের চাপ কমাতে ছাতিম উপকারী।উপকারিতা থাকলেও ছাতিম থেকে কিন্তু সাবধানেও থাকা উচিত। ইংরেজিতে গাছটিকে Devil's Tree বা শয়তানের গাছও বলে। কারণ, ছাতিমের ঘ্রাণে মাদকতা থাকলেও এর তীব্র ঘ্রাণ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। এই ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ছাতিম গাছ থেকে নিঃসৃত রজনজাতীয় সাদা রস থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। ছাতিমের তীব্র ঘ্রাণে দেখা দিতে পারে মাথা ব্যথা, গা গোলানো, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যাও। বিশেষত সাইনাসাইটিস, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, চোখের সংক্রমণ বা ক্রনিক সর্দিকাশির সমস্যা থাকলেও ছাতিম ফুলের গন্ধ থেকে সমস্যা হতে পারে। এমআর
    গরু কিংবা খাসির মাংস যেভাবে রান্না করলে নেই স্বাস্থ্যঝুঁকি
    মাংস খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। বিশেষ করে রেড মিটের প্রতি বেশিরভাগ মানুষের বাড়তি আকর্ষণ।  গরু, ছাগল, খাসি অথবা উটের মাংস মূলত রেড মিট। এই মাংসে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে। যার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। তবে রান্নার পদ্ধতির ওপরেও নির্ভর করছে আপনি এ থেকে কতটুকু উপকার পাচ্ছেন সেটি। কিছু গবেষণা বলছে, মাংস রান্নার পদ্ধতি স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু পদ্ধতিতে লাল মাংস রান্না করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রেড মিট রান্না করতে হবে স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে।গরুর মাংস হচ্ছে উচ্চমানের প্রোটিন। প্রোটিন ছাড়াও আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট, কোলেস্টেরল, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬, বি১২, আয়রন, জিংক, ফসফরাস ও গ্লুটাথিওন মেলে গরুর মাংস থেকে। কিন্তু মাংস কীভাবে রান্না করা হচ্ছে তার ভিত্তিতে এটা অস্বাস্থ্যকরও হতে পারে, তৈরি করতে পারে মারাত্মক রোগের ঝুঁকি। তাই ঝুঁকি এড়াতে এখানে মাংস রান্নার স্বাস্থ্যকর উপায় উল্লেখ করা হলো।তাপমাত্রা খেয়াল রাখুন: উচ্চ তাপে মাংস রান্না করলে এতে হিটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস ও পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। এসব কেমিক্যাল কম্পাউন্ড ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। গবেষণায় কিডনি ক্যানসার, কোলোরেক্টাল ক্যানসার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার ও প্রোস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নাকৃত মাংসের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। মাংসের ধরন ও কাটার ধরনের ওপর আদর্শ তাপমাত্রা ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন গরুর মাংসের স্টিক বা রোস্ট রান্নার জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হলো ১৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।চর্বিহীন মাংস গ্রিলিং করুন: গ্রিলিং করে খেতে চাইলে চর্বিহীন মাংস বেছে নিন। গবেষণায় দেখা গেছে, চর্বিবহুল মাংস গ্রিলিং করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। চর্বিবহুল মাংস গ্রিলিং করা হলে পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনস নামক কার্সিনোজেন উৎপন্ন হয়। মাংসের চর্বি গলে গ্রিলের ওপর পড়ে ও আগুনের আঁচ বেড়ে কার্সিনোজেনটি তৈরি হয়, যা ধোঁয়ার মাধ্যমে মাংসের ওপর লেগে থাকে। অন্যদিকে চর্বিহীন মাংস গ্রিলিং করলে এমন কিছুর সুযোগ নেই বললেই চলে।মাংস পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন: পোড়া মাংসের স্বাদ যেমনই হোক, এটা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। মাংস যত পুড়বেন, ক্যানসারের ঝুঁকি তত বাড়বে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোড়া মাংস বেশি খেলে শরীরে কার্সিনোজেন বেড়ে যায়। বিশেষ করে হিটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস। শরীরে যত কার্সিনোজেন প্রবেশ করবে, ক্যানসারের ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পাবে। মসলা বাড়িয়ে দিন: কেবল স্বাদ বাড়াতে নয়, রোগের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যেও মাংসে মসলার ব্যবহার বাড়াতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, মাংসে মসলার পরিমাণ বাড়ালে অথবা মসলা দিয়ে সিজনিং বা মেরিনেড করলে হিটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস কমে যায়। যার মানে হলো, ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে যায়।সবজি দিয়ে মাংস রাঁধুন: মাংস সবজি দিয়ে রান্না করতে পারেন। এতে মাংস কম খাওয়া হয়। পাশাপাশি পুষ্টিগুণও বেড়ে যায় রান্নার। এক্ষেত্রে মাশরুম অথবা আস্ত রসুন দিয়ে মাংস রান্না করতে পারেন। আবার মাংস রান্নায় লাউ, বাঁধাকপি, পেঁপে বা মিষ্টিকুমড়াও রাখতে পারেন।এবি 
    কীভাবে বুঝবেন অফিসের সহকর্মী আপনার প্রেমে পড়েছে?
    প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রেম এখন মুঠোফোনে বন্দি। একে অপরকে বার্তা পাঠানো, ছবি পাঠানো, ইমোজি পাঠানো, দীর্ঘ সময়ে ফোনে কথা বলা এবং কখনও কখনও ভিডিয়ো কল— ফোনই এখন নতুন প্রজন্মের কাছে প্রেম প্রকাশের নয়া মাধ্যম। তবে প্রেমে পড়ার আগে কিন্তু একে অপরকে ভাল করে চিনে নেওয়া জরুরি। সামনাসামনি কোনও মানুষকে না দেখলে, তাঁর সঙ্গে না মিশলে, তাঁকে পরখ করা যায় না। আবার অনেকে এমনও আছেন, যাঁরা দীর্ঘ দিন আলাপ-পরিচয়ের পরেও এটা বুঝে উঠতে পারেন না যে, উল্টো দিকের মানুষটি আদৌ তাঁকে পছন্দ করেন কি না।অফিস হোক বা পাড়া, কলেজ হোক বা টিউশন—আপনাকে কেউ যদি পছন্দ করেন, তা হলে তাঁর হাবেভাবেই খনিকটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তাঁর মধ্যে কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন সে কথা। জেনে নিন সেগুলি কী কী।১) আপনার পছন্দের ব্যক্তি যদি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজ রাখেন, তা হলে বুঝতে হবে তিনিও মনে মনে আপনাকে পছন্দ করছেন। নম্র ভাবে রোজের কথাবার্তায় তিনি আপনার জীবনে ঘটে চলা বিভিন্ন মুহূর্তের খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তবে অবশ্যই জোর করে নয়, আপনারও সেই বিষয় সম্মতি থাকতে হবে।২) আপনার পছন্দের ব্যক্তি যদি মাঝে মধ্যেই আপনার প্রশংসা করেন তা হলে বুঝবেন আপনিও তাঁর মনে জায়গা করে নিয়েছেন। স্বাভাবিক কথোপকথনের মাঝে প্রশংসা শুনতে সকলেই ভালবাসেন। কখনও কথাবার্তার মাঝে এমনটা লক্ষ করেছেন কি?৩) কোনও ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালেও আপনি বুঝতে পারবেন আদৌ তাঁর আপনার প্রতি আগ্রহ আছে কি না। সামনের ব্যক্তি যদি আপনার চোখে চোখে রেখে কথা বলেন, তা হলেও বুঝবেন তাঁর আপনার প্রতি বিশেষ ঝোঁক আছে। এমন অবশ্য অনেকেই আছেন, যাঁরা সবার সঙ্গেই চোখে চোখ রেখে কথা বলতে ভালবাসেন। তবে বিশেষ কোনও বন্ধুর চাহনিতে থাকবে ভালবাসার ছোঁয়া।৪) পছন্দের ব্যক্তি আপনার ছোট ছোট কথাগুলি মনে রাখছেন? আপনার জন্মদিন হোক বা আপনি কোন কফিটা খেতে পছন্দ করেন— ছোট ছোট কথাগুলি তাঁর মনে থেকে গেলে বুঝবেন তাঁরও আপনার প্রতি আগ্রহ আছে।কোনও ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালেও আপনি বুঝতে পারবেন আদৌ তাঁর আপনার প্রতি আগ্রহ আছে কি না।কোনও ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালেও আপনি বুঝতে পারবেন আদৌ তাঁর আপনার প্রতি আগ্রহ আছে কি না। ছবি: শাটারস্টক।৫) আপনি তাঁকে মেসেজ করলে তিনি কখন উত্তর দিচ্ছেন, সেটাও লক্ষ করার বিষয়। তিনি যদি সর্বদা আপনার মেসেজের দ্রুত উত্তর পাঠান তা হলে বুঝবেন তিনিও আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরেও উত্তর না পেলে বুঝবেন আপনি অযথা সময় নষ্ট করছেন। আপনাকে পছন্দ করলে তিনি কিন্তু ব্যস্ততার মাঝেও আপনার জন্য সময় বার করবেন।৬) আপনার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি ঘাবড়ে যাচ্ছেন? সেটা কি লক্ষ করেছেন কখনও? অন্যের সঙ্গে সোজাসাপটা কথা বললেও আপনার সামনে কথা বলতে গেলেই যদি কেউ খেই হারিয়ে ফেলেন তা হলেও বুঝবেন তিনি আপনাকে পছন্দ করেন।৭) অফিসে আপনি কোনও সাফল্য পেলে তিনিও আপনার সাফল্যে আপনার মতোই খুশি হবেন। আপনার সাফল্য দেখে তিনি ঈর্ষা করবেন না। আপনাকে পছন্দ করলে তিনি আপনার সাফল্যেও উৎসাহিত হবেন।
    টয়লেটে মোবাইল নিয়ে ডাকছেন মারাত্মক বিপদ!
    বর্তমানে মোবাইল ফোন ছাড়া যেন একটি মুহূর্তও কাটে না বেশিরভাগ মানুষের। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল স্ক্রলিং। সেই থেকে শুরু। রাতের ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কাজের ফাঁকে চলতে থাকে মোবাইল চালানো। এমনকি অনেকে টয়লেটেও মোবাইল ফোন নিয়ে যান। কথায় বলে, বাথরুম বা টয়লেটেই নাকি মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। শান্তিতে মোবাইল চালাতে আর সময় কাটাতে তাই টয়লেটে ফোন হয় সঙ্গী। জানেন কি, এই অভ্যাস শরীরের জন্য কতটা বিপজ্জনক? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত- ব্যাকটেরিয়া হয় সঙ্গী টয়লেট সিট বা কমোড অত্যন্ত নোংরা জায়গা। যতই পরিষ্কার করুন না কেন এতে কোটি কোটি জীবাণু থাকেই। টয়লেটে যখন ফোন ব্যবহার করেন, তখন সেসব বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া আপনার ফোনেও চলে আসে। এভাবেই ব্যাকটেরিয়া হয় সঙ্গী। যা অনেক রোগের কারণ হয়। এই অভ্যাসের কারণে পেটে গোলমাল দেখা দেয়। কিছু খেলেই হজমের সমস্যা হয়। যন্ত্রণাদায়ক পাইলসপাইলসের যন্ত্রণা যে কতটা কষ্টের তা যাদের হয় তারাই বোঝে। এই সমস্যা থাকলে পায়খানা করার সময় পায়ুদ্বারে তীব্র যন্ত্রণা হয়। অনেক ক্ষেত্রে যার জন্য অপারেশনও করতে হয়। বাথরুমে ফোন নিয়ে যাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি যে রোগটি হয়, তা হলো পাইলস। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকক্ষণ ধরে কমোডে বসে থাকা এবং মোবাইল সার্চ করে যাওয়ার জেরে চাপ পড়ে পায়ুদ্বারে। ধীরে ধীরে সেটি পাইলসের দিকে নিয়ে যায়। একজন সুস্থ মানুষের পায়খানা শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে খুবই কম সময় লাগে। তাই অযথা কমোডে বসে থাকলে পায়ুদ্বারে চাপ পড়ে।কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যাস্বাভাবিক পাচনক্রিয়া সত্ত্বেও অকারণে বেশিক্ষণ ধরে কমোডে বসে থাকার জেরে ধীরে ধীরে কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দেয়। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা থেকেই পাইলস তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞের মতে, কমোডে বসলে এমনিতেই পায়ুদ্বারে চাপ পড়ে। তার ওপর ফোন হাতে অনেকক্ষণ বসে থাকলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। কতক্ষণ টয়লেটে বা কমোডে বসা স্বাস্থ্যকর?বিশেষজ্ঞদের মতে, কমোডে ১০ মিনিটের বেশি বসে থাকা মোটেও উচিত নয়। এর বেশি বসলে রেক্টামে চাপ পড়ে। যা পরবর্তীকালে পাইলসের কারণ হতে পারে। একজন সুস্থ মানুষের পায়খানা করতে সময় লাগে ১০ মিনিট। এর বেশি নয়। বাড়ে মানসিক রোগের ঝুঁকি কেবল শারীরিক সমস্যাই নয়, টয়লেটে মোবাইল নিয়ে বসে থাকার অভ্যাসে মানসিক সমস্যাও তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, সামনে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অসুবিধা হচ্ছে কিংবা নিজের মনের ভাব বোঝাতে পারছেন না। অথচ টয়লেটে গিয়ে ফোন হাতে বসে নিজের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। চ্যাট করছেন। এভাবেই মানসিক রোগের সূত্রপাত হয়। ঘাড় ও পিঠে ব্যথাদীর্ঘক্ষণ হাতে ফোন নিয়ে কমোডে বসে থাকার কারণে আরও যে সমস্যা দেখা দেয় তা হলো ঘাড় ও পিঠে ব্যথা। কারণ কমোডে যেভাবে বসতে হয়, তা বেশিক্ষণের জন্য ভালো নয়। ফলে অচিরেই পিঠে ও ঘাড়ে স্পন্ডিলাইটিস শুরু হয়।এমআর
    ক্যানসারসহ ৭ রোগের ঝুঁকি কমে ভেজানো কিসমিসে
    শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। কিন্তু শুকনো কিসমিস খাওয়ার বদলে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রোজ এই পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।এছাড়া, কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সহজে রোগমুক্তির কারণ। আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।সারারাত কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেটা খান। ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। তাছাড়া এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের কোন ক্ষতিও করে না। হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা বশে রাখে।একইভাবে কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের পক্ষে উপকারী। এবার জেনে নিন ভেজানো কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে-ক্যানসার প্রতিরোধ: কিসমিসে ক্যাটেচিন নামক একধরনের অ্যান্টিওক্সিডান্ট থাকে যা শরীরে ভেসে বেড়ানো ফ্রি র‍্যাডিকলগুলিকে লড়াই করে নিঃশেষ করে। এটা জানা গেছে যে শরীরের এই ফ্রি র‍্যাডিকলগুলিই ক্যানসার সেলের স্বতঃস্ফুর্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মেটাস্টাসিসএও সাহায্য করে। কিসমিস নিজের রোজকারের খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরে ক্যাটেচিন এর মতন শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়,ফলে ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে বা যারা এতে আক্রান্ত, তাদের শরীরে বৃদ্ধির পরিমাণ খানিকটা হলেও কমিয়ে দেয়।ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে কিসমিস পোস্টপ্রান্ডিয়াল ইন্সুলিন রেস্পন্সকে নামিয়ে দেয়, যার মানে দাঁড়ায় যে কিসমিস খেলে লাঞ্চ বা ডিনারের পরে শরীরে যে ইনসুলিনের হঠাত্‍ বৃদ্ধি বা ঘাটতি দেখা দেয়, তা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। লেপটিন আর ঘ্রেলিন নামক দুটি হোরমোনের রিলিজেও কিসমিস সাহায্য করে, যেগুলি শরীরকে সিগনাল দেয় কখন খিদে পেয়েছে বা কখন যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাই কিসমিসে খেলে অত্যাধিক খাওয়া রোধ করা সম্ভব।তবে অধিক পরিমাণে কিসমিস খেলে সমস্যা হতে পারে, তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা। কারণ ফ্রুক্টোজ বা গ্লুকোজ ডায়াবেটিস-এর রোগীর জন্য মারাত্মক হতে পারে।মস্তিষ্কের জন্য: কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। বোরন ধ্যান বাড়াতে সহায়ক। ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে।অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ: কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমাতে সরাসরি সাহায্য করে। এছাড়াও, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অন্তর্গত বেশ কিছু ভিটামিন এতে পাওয়া যায়, যা নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। কিসমিসে কপারও থাকে যা রেড ব্লাড সেল তৈরিতে সাহায্য করে।জ্বর সারাতে: কিসমিসে আছে ফেনল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যার জীবাণুনাশক শক্তি, অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাল ইনফেকশানের জন্য হওয়া জ্বর কমাতে সাহায্য করে।চোখের স্বাস্থ্য: চোখের জন্য আদর্শ খাবার। কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন।দাঁতের যত্নে: অলিওনেলিক অ্যাসিড বলে একটি ফাইটো কেমিকল আছে যেটি দাঁতের ক্ষয়, ক্যাভিটি ও দাঁতের ভঙ্গুরতা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। “স্ট্রেপ্টোকক্কাস মিউটান্স” ও “পরফিরোমনাস জিঙ্গিভালিস”, দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী এই দু’টি ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকাতে এই অ্যাসিডের জুড়ি নেই। তাছাড়াও, কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকার জন্য এটি দাঁত শক্ত করে এবং এনামেল গড়তেও সাহায্য করে, যা সুস্থ দাঁতের জন্য খুব দরকারি।কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে: কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা শরীরের পরিপাকক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর করে।এইচএ
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ১৪ অক্টোবর ২০২৪
    আজ ১৪ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে। প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে। পিতা-মাতার জন্য মনখারাপ। মধুর কথাবার্তা বলায় বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ। শত্রুর ব্যাপারে চাপ বাড়তে পারে। পড়াশোনার জন্য ভাল সুযোগ পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির চেষ্টা করুন। ভ্রাতৃবিবাদ বাড়তে পারে। সন্তানের ব্যবহারের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি। দুপুরের পরে পিতার শরীর নিয়ে চিন্তা বাড়বে। কর্মস্থানে অনেক দিন পর নিজের প্রতিভা দেখাতে পারবেন। ব্যবসায় ঝামেলা হতে পারে। চক্ষুরোগ বাড়তে পারে।বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে। পেটের কষ্ট বাড়তে পারে। ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে। মানসিক অস্থিরতার যোগ। অতিরিক্ত কোনও ব্যবসার ব্যাপারে আলোচনা করা যেতে পারে। আইনি কাজে ঝামেলা বাড়তে পারে। কাজের ভাল সুযোগ পেতে পারেন। বাড়তি খরচের জন্য দাম্পত্য কলহ। মায়ের শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তা। তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ততা থাকবে। পিতার সঙ্গে ছোটখাটো বিবাদ হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে। মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে। মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে। কাজের ব্যাপারে উদ্বেগ বাড়তে পারে। ব্যবসায় শুভ যোগাযোগ আসতে পারে। রাজনীতির লোকেদের জন্য ভাল খবর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দন্ত্যরোগের সম্ভাবনা। লোকের কাছে দয়ার পাত্র হতে হবে। বিলাসিতার জন্য খরচ বৃদ্ধি পাবে। স্ত্রীর আচরণে উদ্বেগ বাড়তে পারে। পিতার সঙ্গে তর্ক হতে পারে। কোনও মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন, তবে বুদ্ধিবলে জয় হবে।  কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে। বাড়তি আয় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। কোনও ভাল জিনিস নষ্ট হতে পারে। বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে। আপনার কোনও আচরণ অন্যের খারাপ লাগতে পারে। শরীরে যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় নতুন কোনও কাজের শুভ সূচনা। চাকরির স্থানে কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। ব্যবসায় নতুন কর্মী নিয়োগ করা ঠিক হবে না। বন্ধু সমাগমে আনন্দ  লাভ। আপনার সহ্যশক্তি আপনাকে রক্ষা করবে। কথা খুব কম বলবেন।সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে। উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন। শরীরে কোনও অসুবিধা থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করান। সহকর্মীদের কাছ থেকে সম্মান পেতে পারেন। জরুরি কাজ থাকলে সকালে মেটান। প্রেমের ব্যাপারে খুব ভাবনাচিন্তা করে এগোতে হবে। ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সংসারে সমস্যা দেখা দেবে। কর্মস্থান নিয়ে মনে একটু অস্থিরতা থাকবে। পড়াশোনার বিষয়ে কাউকে সাহায্য করতে হতে পারে। সকালের দিকটা ভাল চললেও বিকেল তেমন ভাল যাবে না। সন্তানদের বিশেষ নজরে রাখুন। সামান্য বিষয়ে মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে। কোনও কারণে মনে সংশয় বা ভয় কাজ করবে। অর্থভাগ্য ভাল হলেও পরিশ্রম থাকবে প্রচুর। প্রেমে সফল হবেন। কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতির যোগ। আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিজের পর্যাপ্ত উপায়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি আয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। রাগ বা জেদ বৃদ্ধি পাওয়ায় রক্তচাপের হেরফের ঘটতে পারে। বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটতে পারে। মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হতে পারে। মিথ্যে অপবাদে ফাঁসতে পারেন। শরীরে যন্ত্রণা বাড়তে পারে।  তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না। আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেখা দেবে। কোনও বন্ধুর জন্য সংসারে অশান্তি হতে পারে।  পেশাদারদের জন্য অনুকূল সময়। বাড়িতে জীবজন্তু কেনার যোগ রয়েছে। আপনার কোমল স্বভাব আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন। সাংসারিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মানসিক চাপ বাড়বে। বিশ্বস্ত কেউ ঠকাতে পারেন, সতর্ক থাকুন। বিষণ্ণতা বাড়তে পারে। নিজের গোপন কথা কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। শুভ কাজে বাধা পড়তে পারে। চাকরির স্থানে কাজের চাপে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।   বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ। খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে। হস্তশিল্পে দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পেতে পারেন। কর্মস্থানে সুনাম অর্জন করতে পারেন। সন্তানদের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ভাগ্যোন্নতির উপায় খুঁজে পেতে পারেন। ফাটকা ও লটারিতে আয় বাড়তে পারে। ধর্ম নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। পিতার সঙ্গে ব্যবসার ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত কোনও ব্যবসার কথা না ভাবাই শ্রেয়। রাস্তার লোকের সঙ্গে হঠাৎ বিবাদ বাধতে পারে। জ্বরজ্বালায় কষ্টভোগ। ভ্রাতৃবিবাদ বৃদ্ধি পেতে পারে। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)শখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে। কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ। পড়াশোনার ব্যাপারে সুবিধা পেতে পারেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে ঝামেলা বাধতে পারে। কর্মক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে, মিথ্যে অপবাদে ফাঁসতে হতে পারে। সাংসারিক শান্তি বজায় থাকবে। গৃহনির্মাণের পরিকল্পনা করতে পারেন। অন্যের উপকার করে শান্তি পাবেন। সব পরামর্শদাতা আপনার পক্ষে শুভ হবেন না। বাড়ির লোক আপনাকে বুঝবেন না। কাছাকাছি কোথাও ভ্রমণ হতে পারে। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভাল সময়। কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে। কোনও প্রাজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পথেঘাটে সাবধানে চলাফেরা করুন। বন্ধুদের জন্য সংসারে বা নিজের জীবনে কোনও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কর্মসূত্রে দূরে কোথাও যেতে হতে পারে। অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য বিপদে পড়তে পারেন। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। উচ্চপদের চাকরিপ্রাপ্তির যোগ দেখা যাচ্ছে। বাড়িতে মাঙ্গলিক কাজের জন্য অর্থখরচ। সম্পত্তির ব্যাপারে আইনের সাহায্য নিতে হতে পারে।কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে। চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে। মায়ের দিক থেকে কষ্ট পেতে পারেন। কাজের চাপ বাড়তে পারে। স্ত্রীর সঙ্গে একটু বুঝে চলুন। উদ্বেগ বাড়তে পারে। চাকরিতে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে। বাইরের লোকের জন্য খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। অতিরিক্ত অর্থলাভের আশায় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞানচর্চায় অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে। শত্রুর সঙ্গে চুক্তিতে লাভবান হবেন। ছোটখাটো শারীরিক ভোগান্তির যোগ। মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে। কপালে অপমান জুটতে পারে। ব্যবসায় ভাল যোগাযোগ আসতে পারে। বুদ্ধির ভুলের জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে। পেটের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও আপনার নিন্দা হতে পারে। কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মস্থানে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে তর্ক হতে পারে। ভ্রমণের জন্য দিনটি ভাল হবে না। অতিরিক্ত আবেগের জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ আসতে পারে। শরীরে সংক্রামক রোগের উপদ্রব বৃদ্ধি পেতে পারে। বাড়তি খরচ চিন্তা বৃদ্ধি ঘটাবে। দুপুরের পরে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে। 
    হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বাড়ায় যে কাজগুলো
    মস্তিষ্ক হলো শরীরের ইঞ্জিন। শরীরের যাবতীয় কাজ পরিচালনার প্রক্রিয়া চলে ব্রেনে। হাত-পা চলা, ক্ষুধা লাগা, ব্যথায় কাতরানো; এমনকি দুঃখ বা আনন্দ অনুভব করার পেছনেও মস্তিষ্কের হাত রয়েছে। এক কথায় বলা যায়, আমাদের খুশি থাকার কলকাঠি নাড়ছে মস্তিষ্কই। এন্ড্রোফিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিন, সেরোটোনিন - এরকম কিছু হরমোন আছে, যা হ্যাপী হরমোন নামে পরিচিত। এসব হরমোন নিঃসরণের কারণে আমরা আনন্দ অনুভব করি। যখন কোনো কারণে হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় তখন আমরা প্রাণবন্ত থাকি।কিছু শারীরিক ধারাবাহিকতায় এই হরমোনগুলোর নিঃসরণ মাত্রা বাড়ানো  যায়।  নিজেকে হাসি-খুশি এবং প্রাণচ্ছল রাখতে প্রতিদিন কিছু কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।আমাদের মেজাজ এবং ভালো থাকার অনেকাংশ নির্ভর করে শরীরের হরমোনগুলোর উপর।  খুশি থাকা মানে কেবল কোনো আনন্দঘন অনুষ্ঠান উপভোগ করা নয়। মনে আনন্দ থাকলে প্রতিদিনের সাধারণ কাজগুলোও উৎফুল্ল হয়ে করা যায়। তাই প্রতিদিন এমন কাজগুলো করতে হবে যা বেশি করে হ্যাপী হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াবে।কৃতজ্ঞতা: দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করতে পারেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আমাদের যা কিছু, তার কিছুই মূলত আমাদের নয়! স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। তাই আল্লাহর প্রতি কিছুটা সময় নিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রতিদিন প্রকাশ করা উচিত, এতে দিনের শুরু থেকেই ইতিবাচক মেজাজ এবং প্রভাব বজায় রাখা সম্ভব।ব্যায়াম: প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করা শরীর এবং মেজাজ দুটো ভালো রাখার ক্ষেত্রেই কার্যকর। কায়িক পরিশ্রম করলে শরীরে এন্ড্রোফিনের  নিঃসরণ বাড়িয় দেয়।সূর্যের আলো: প্রকৃতির মধ্যে যেমন আছে পবিত্রতা, তেমন শান্তি। তাই প্রকৃতির স্পর্শ মনকে উৎফুল্ল করে। সকালের স্নিগ্ধ রোদের আলো অনেক আরামদায়ক। প্রাকৃতিক এই আলোরশ্মির নানান শারীরিক উপকার ঘটাতে হাত রয়েছে। তাই অন্তত ১৫ মিনিটের জন্য হলেও সকালে হাঁটতে বের হন। এতে কোমল রোদের ছোঁয়াও পাবেন, আবার ফ্রেশ অক্সিজেন সমৃদ্ধ মুক্ত বাতাসও পাবেন।ধ্যান: সারাদিনের একগাদা কাজের হিসাব মাথার মধ্যে জমে থেকে দুশ্চিন্তা বাড়ায়। এতে হ্যাপী হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। তাই নিজেকে ভালো এবং হাসিখুশি রাখতে মনকে শান্ত করা প্রয়োজন। এর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ধ্যান বা মেডিটেশন। মেডিটেশনের মাধ্যমে গভীর শ্বাস গ্রহণ ও নিঃশ্বাস ত্যাগ করার চর্চা করুন। এতে শরীরও সুস্থ থাকে, আবার হ্যাপী হরমোন লেভেলও বাড়ে।  খাদ্যাভ্যাস: খাবারের উপর মূলত আমাদের শরীরের চাল-চলনের অনেকাংশ নির্ভর করে। গ্রহণ করা খাদ্য উপাদানের ভিত্তিতে শরীরের ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত হয়। তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর এবং ফ্রেশ খাবার খাওয়া উচিত। খাদ্যতালিকায় ‍সুষম উপাদান থাকা নিশ্চিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যেতে হয়। এছাড়া হ্যাপী হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে ওমেগা-৩ উপাদান সমৃদ্ধ খাদ্যগুলো। তেলযুক্ত মাছ, শস্যজাত খাবার, আখরোট ইত্যাদি খাবার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় মেজাজ ভালো ও মস্তিষ্কে শান্তি বজায় থাকে। সামাজিক সম্পর্ক: পরিবার-পরিজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। এতে মন ভালো থাকবে। বাড়তি চিন্তা থাকবে নাা আর আনন্দে থাকতে পারবেন। সকলের প্রতি দয়াবান হউন। কারো প্রতি রাগ পুষে রাখবেন না। গান: গান শোনা, মন ভালো করার এবং হ্যাপী হরমোন নিঃসরণের খুব সহজ একটি পদ্ধতি। পছন্দের গান শুনলে তা মেজাজে বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিজের পছন্দের গানগুলো বাছাই করে একটি প্লে-লিস্ট তৈরি করতে পারেন।   এইচএ 
    দুঃখ লুকিয়ে রাখার প্রবণতা নারীর চেয়ে পুরুষের বেশি: গবেষণা
    পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে আবেগ প্রকাশের প্রবণতা বেশি, এ বিষয়টি হয়তো অনেকেই লক্ষ্য করেছেন! আসলে প্রত্যেকেরই আবেগ প্রকাশ করার মাধ্যম ভিন্ন হতে পারে। হতে পারে কিছু পুরুষ বেশি আবেগপ্রবণ, আবার অনেক নারীই শক্ত মানসিকতার। তবে গবেষণা বলছে, পুরুষরা কখনো নারীদের মতো করে আবেগ প্রকাশ করতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।আমেরিকার ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছে। সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেন, মনের দুঃখ শেয়ার করার পরিবর্তে পুরুষরা নিজেদের মধ্যেই লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেন।আমেরিকার ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় এ সম্পর্কিত ১১টি সমীক্ষা করা হয়। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পুরুষদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৭৭ বছর।সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বেশির ভাগ পুরুষদেরই দুঃখ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে দেখা যায়নি। তারা তাদের মনের কষ্ট কারো সঙ্গে শেয়ার করতে চান না, বরং লুকিয়ে রাখতে চান।গবেষণায় গবেষকদের আরও যে বিষয়টি নজরে আসে তা হলো খুব কাছের মানুষের কাছেও তারা তাদের কষ্ট বা দুঃখের বিষয়টি গোপনই রেখে দেয়। মনের কষ্ট ভুলতে পেশাগত জীবনে বেশি ডুবে যেতে পছন্দ করে তারা।পুরুষরা মনে করে কর্মব্যস্ততায় মনের কষ্ট ভুলে থাকা যাবে। তবে এই ধারণাই তাদের ক্ষেত্রবিশেষে মানসিক ধারণার পরিবর্তন ঘটায়। মানসিক নানা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বিভিন্ন জটিল রোগেরও শিকার হন তারা। তাই  মনের কষ্ট চেপে না রেখে পুরুষদের তা শেয়ার করার পরামর্শ  দিচ্ছেন গবেষকরা।
    সহজ ঘরোয়া উপায়েই সারবে দাদ!
    অনেকেই দাদের সমস্যায় ভোগেন। ভীষণ ছোঁয়াচে এই দাদ ছড়িয়ে পড়ে একজন থেকে অনেকের মধ্যে। আজকাল ডাক্তার দেখিয়ে দামি ওষুধ খেয়ে, নিয়মিত মলম লাগিয়েও দাদমুক্ত হওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত?ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেহকোষে এমন জিনঘটিত পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছে এই ছত্রাক যে, চালু ওষুধগুলো তো বটেই, সমগোত্রীয় বেশ কিছু কড়া ওষুধও কাজ করছে না। আর এ জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন পাড়ার দোকান থেকে আমজনতার ওষুধ কেনার বদভ্যাসকেও। কিন্তু জানেন কি দাদ নিরাময়ের কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় রয়েছে? লাইফস্টাইল সম্পর্কিত ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলুন জেনে নেওয়া যায় সে উপায়গুলো:সাবান-পানি: লবণ পানি ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ হিসেবে কাজ করে যা ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে। প্রতিদিন আক্রান্ত স্থান পানি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করুন। তারপর জায়গাটা আলতো হাতে মুছে নিন।নারকেল তেল নারকেল তেলে মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল, উভয় বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান, যা দাদের সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। দাদ ছাড়াও এটি ক্যান্ডিডা এবং অন্যান্য ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও কার্যকর। এই প্রক্রিয়াটি করার জন্য, প্রথমে একটি পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে হালকা গরম করে নিন। তারপর ওই হালকা গরম তেল সরাসরি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। এটি ত্বকে দ্রুত শোষিত হয়। অন্তত দিনে তিনবার এই প্রক্রিয়াটি করুন।টি-ট্রি অয়েল: এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ছত্রাকজনিত ত্বকের ইনফেকশনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। এই প্রতিকারটি করার জন্য, প্রথমে একটি পরিষ্কার তুলোর বলে কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল নিয়ে সরাসরি সংক্রমিত স্থানে লাগিয়ে নিন। তবে আপনার যদি সংবেদনশীল ত্বক হয় তবে, টি-ট্রি অয়েল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এই প্রক্রিয়াটি দিনে দুই থেকে তিনবার করা যেতেই পারে।আরও পড়ুন: শরীরে ভিটামিন সি’র অভাব বুঝবেন যে ৭ লক্ষণেঅ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকা ফাঙ্গাসরোধী উপাদান ফাঙ্গাসঘটিত জটিলতা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে পারে। দিনে তিন থেকে পাঁচবার পরিষ্কার তুলায় অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে ডুবিয়ে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি প্রয়োগ করতে হবে। দাদ মিলিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবেহলুদ: হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা অসীম। হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তাছাড়া হলুদ কার্যকরী অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবেও কাজ করে। এটি সংক্রমণের বৃদ্ধিকে রোধ করতে অত্যন্ত সহায়ক। এই প্রতিকারটি করতে, প্রথমে তাজা হলুদ বাটা কিংবা হলুদ গুঁড়া নিয়ে, তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সংক্রমিত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে শুকিয়ে নিন।অ্যালোভেরা: দাদের সংক্রমণ রোধ করতে অ্যালোভেরাও দুর্দান্ত কার্যকর। অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। অ্যালোভেরা দাদের চুলকানি, অস্বস্তি এবং প্রদাহের লক্ষণগুলোকে প্রশমিত করতে সহায়তা করে। এই প্রতিকারটি করতে, সংক্রমিত স্থানে সরাসরি অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন। ভালো ফল পেতে দিনে তিনবার এই প্রতিকারটি করার চেষ্টা করুন। এমআর
    সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ ভালো, নাকি কুসুম?
    ডিম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাদ্য, যাকে পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই ডিম একটি অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্য। ডিম রান্নার বা খাওয়ার হাজারও রেসিপি থাকলেও সেদ্ধ করে ডিম খাওয়াকে সবচেয়ে পুষ্টিকর মনে করা হয়। কারণ সেদ্ধ ডিমের ক্যালোরি মোটামুটি কম এবং পুষ্টি উপাদান যেমন প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট অক্ষুণ্ন থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।একটি বড় ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। একটি সেদ্ধ ডিমের পুষ্টি উপাদান হলো: ক্যালোরি ৭৭, কার্বোহাইড্রেট ০.৫৫ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫, টোটাল ফ্যাট ৫.৫ গ্রাম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১.৬৫ গ্রাম, কোলেস্টেরল ১৮৬.৫ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৩ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ভালো পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, সালফেট ও বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।ডিমের অনেক উপকার। ডিম খেলে পেট তো ভরেই, তার সঙ্গে নানারকম পুষ্টিকর উপাদানও শরীরে যায়। সেদ্ধ ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের ডায়েটে অবশ্যই ডিম থাকতে হবে। এছাড়া হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে ও ব্লাড সুগারকে কার্যকর উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেদ্ধ ডিমের কুসুম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনাকে ডিম খাওয়া উচিত। শিশুরা নিয়মিত সেদ্ধ ডিম খেলে দাঁত, হাড় শক্তিশালী হয়। গর্ভাবস্থায় মহিলারা নিয়মিত সেদ্ধ ডিম খেলে তাদের ও সন্তানের উপকার হয়। সেদ্ধ ডিম স্নায়ু ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে যা ডিমের কুসুমে থাকে। এটা মস্তিষ্কের মেমব্রেন ও পেশি সুগঠিত রাখতে সাহায্য করে, যা মস্তিষ্কের ঝিল্লি গঠন করতে সহায়তা করে এবং এটা স্নায়ু থেকে পেশিতে সংবেদন পৌঁছাতে সহায়তা করে। সেদ্ধ ডিম খেলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।ডিম চোখ, চুল ও নখের জন্য উপকারী। প্রতিদিন একটা করে সেদ্ধ ডিম খাওয়া ‘ম্যাকুলার’ ক্ষয় কমায়। কারণ এতে আছে লুটেইন ও জ্যাক্সেন্থিন। ডিমে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকায় তা চুল ও নখ ভালো রাখতেও সহায়তা করে। তাছাড়া সেদ্ধ ডিম খাওয়া চোখের ছানি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।ডিমের কুসুম নিয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। যেহেতু ডিমের কুসুমে অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে, তাই ধারণা করা হতো, যাঁদের করোনারি হার্ট ডিজিজ রয়েছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাঁদের জন্য ডিমের কুসুম ক্ষতিকর। পরামর্শ দেওয়া হতো কুসুমছাড়া ডিম খাওয়ার জন্য।কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে, ডিমের কুসুম থেকে যে কোলেস্টেরল  পাওয়া যায়, তা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না এবং এটি করোনারি হার্ট ডিজিজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। প্রতিদিন কুসুমসহ একটি ডিম সবার জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। ডিমের কুসুমে পুরো ডিমের প্রায় অর্ধেক পুষ্টি উপাদান থাকে। এ ছাড়া কুসুমে আমাদের জন্য উপকারী উপাদান ফলেট, কোলিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, লেটিইন এবং জি-অ্যাকজানথাইন থাকে।তাই কুসুম বাদ দিয়ে নয়, কুসুমসহ প্রতিদিন একটি ডিম সবার জন্যই স্বাস্থ্যসম্মত। সেদ্ধ ডিম খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো হলেও বেশি খাওয়া মোটেই ভাল নয়। উচ্চরক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে ডিম খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।লেখক: নিউট্রিশন অফিসার, ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিএমআর
    প্রতিদিন কমলার রস খেলে কী হবে?
    অনেকে সকালের নাস্তায় কমলার রস পান করে থাকেন। কেউ কেউ আবার দুপুরে প্রাণ জুড়াতে ঠান্ডা ঠান্ডা কমলার রসে চুমুক দেন। প্রতিদিন কমলার রস পান করা কি ঠিক? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? তাদের মতে, না। তবে মাঝে মাঝে পান করা খারাপ কিছু নয়। কমলার রস এই ফলের পূর্ণ উপকারিতা পাওয়ার জন্য সঠিক উপায় নয়। প্রতিদিনই যদি আপনি কমলার রস পান করেন তবে কী হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-১. ভালো অংশ বাদকমলায় থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার, যা আপনাকে পরিপূর্ণ রাখতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু কমলার রসে এর অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যখন একটি কমলালেবুর রস পান করেন, তখন ফাইবার বেশিরভাগই সরে যায় এবং আপনার কাছে শুধুমাত্র এক গ্লাস মিষ্টি পানির পুষ্টি উপাদান থাকে। ফাইবার পাচনতন্ত্র থেকে চিনির শোষণকে ধীরগতিতে এবং টক্সিন এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে।২. চিনি ওভারলোডঅনেকেই কমলার রস খাওয়ার চেয়ে প্যাকেটজাত জুস কিনতে পছন্দ করেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে বাজার থেকে কেনা কমলার রসের বেশিরভাগই চিনি দিয়ে প্যাক করা হয় এবং এটিকে আরও সুস্বাদু করার জন্য রঙ এবং প্রিজারভেটিভ যুক্ত করা হয়। এমনকি যদি আপনি বাড়িতে কমলার জুস করেন, আপনি ৩-৪টি কমলা ব্যবহার করবেন যা দিনের জন্য খুব বেশি চিনির ব্যবহার হতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, এতে চিনির ওভারলোড হতে পারে। কমলা বা অন্য কোনো ফল হলো সাধারণ শর্করা। তাই শরীরের জন্য কতটুকু প্রয়োজন সে অনুযায়ী খেতে হবে।৩. ডাম্পিং সিনড্রোম হতে পারেঅত্যধিক কমলার রস খেলে ডাম্পিং সিন্ড্রোম হতে পারে। ডাম্পিং সিন্ড্রোম হলো যখন বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে খুব দ্রুত পেট থেকে ছোট অন্ত্রে চলে যায়। এটি ছোট অন্ত্রে ছুটে যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণ খাবার হজম না হওয়া অবস্থায়ই থেকে যায়। এর ফলে আপনি পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, এমনকি রক্তে শর্করার ওঠানামা অনুভব করতে পারেন। যেহেতু কমলার রসে প্রচুর চিনি থাকে, তাই যদি এটি নিয়মিত পান করেন তবে আপনি ডাম্পিং সিন্ড্রোম অনুভব করতে পারেন।সুতরাং, আপনি অবশ্যই মাঝে মাঝে কমলার রস পান করতে পারেন এর উপকারিতার জন্য। তবে পরিমিত পরিমাণে যাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়। এমআর
    স্বামীর সফলতা নির্ভর করে স্ত্রীর ওপর: গবেষণা
    স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিশ্বাস ও আস্থার ওপর। দুজনের মধ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা তাদের নিজেদের ওপরেই নির্ভর করে। সংসারে সুখী হতে চাইলে যেমন একে অন্যের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ভরসার প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনই জীবনের সফলতাও নাকি জীবনসঙ্গীর ওপরই নির্ভর করছে। এমনটিই বলছে এক সমীক্ষা। বিশ্বের সব নামকরা ব্যক্তিই তাদের জীবনের সফলতার পেছনে জীবনসঙ্গীর সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যেই একজন হলেন বারাক ওবামা। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার সফলতার পেছনে স্ত্রী সহযোগিতার কথা বুক ফুলিয়ে বলেছেন।কথায় আছে ‘প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে একজন নারী থাকেন’। এ কথা কিন্তু বিজ্ঞানও বিশ্বাস করে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞান ও গবেষণা এ বিষয়ে কী বলছে-যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণা এটিকে বৈজ্ঞানিক পর্যায়ে নিয়ে আসেন। ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যে স্ত্রী তার স্বামীর সহযোগী, ওই স্বামী জীবনের বেশি সফলতা পান (স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)।গবেষণা দেখা গেছে, একজন পুরুষের সাফল্য নির্ভর করে তিনি কেমন নারীকে বিয়ে করেছেন তার ওপর। ১৬৩ দম্পতির ওপর করা এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে আসে।এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একটি সহজ ধাঁধা সমাধান করতে দেন, যারা জিতবেন তাদেরকে পুরস্কার দেওয়ারও ঘোষণা দেন গবেষকরা।গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেসব স্ত্রীরা পুরস্কার জেতার আশায় তাদের স্বামীকে পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সেসব স্বামীরা ধাঁধার সমাধান করতে পেরেছেন।অন্যদিকে যেসব স্ত্রীরা পুরস্কারের বিষয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছেন কিংবা স্বামীকে এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করেননি তারা পিছিয়ে পড়েছেন।গবেষকরা ৬ মাস পরে একই দম্পতিদের পরীক্ষা করে দেখেন, যারা পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাদের তুলনায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন; তারা বেশি সফলতা অর্জন করেছেন। তারা অন্যদের চেয়ে সুখী ও সুস্থ বলে দাবি করেন গবেষকরা।সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরাও গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করেন যে, একজন ব্যক্তির সাফল্য কেবল নিজের ওপর নির্ভর করে না, তার জীবনসঙ্গীও এ ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করেন।সেলিব্রিটি ও মহান নেতাদের মধ্যে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তাদের জীবনসঙ্গী তাদের সাফল্যে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।২০১৭ সালে হার্ভার্ডের সূচনা বক্তৃতায় মার্ক জুকারবার্গ জানান, স্ত্রী প্রিসিলা সামাজিক বিভিন্ন কাজে তার সঙ্গে স্বেচ্ছায় কাজ করেন ও তাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেন। তার জীবনের সফলতার পেছনে বিরাট অবদান আছে স্ত্রীর বলেও জানান সবাইকে।সম্প্রতি স্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য নিজে গাড়ির ডিজাইন করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। তারপর সেই নকশা করা গাড়িটি তৈরি করেছে জনপ্রিয় মোটারগাড়ি নির্মাতা পোরশে। 

    Loading…