এইমাত্র
  • ফ্লোরিডায় হারিকেন মিল্টনের তাণ্ডব, বিদ্যুৎহীন ৩০ লাখের বেশি মানুষ
  • দুর্গোৎসবে সপ্তমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে উৎসবের বারতা
  • ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির
  • প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে সংরক্ষিত রাখা হবে পুরাকীর্তি হিসেবে
  • বাসায় ঢুকে ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টার অভিযোগ, দীপ্ত টেলিভিশনের কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
  • মার্কিন অর্থনীতিতে ধস, শেয়ার নামল ১৫ শতাংশের নিচে
  • ফের ৫ দিনের রিমান্ডে আ. লীগ নেতা ডাবলু, আদালতে চত্বরে ডিম নিক্ষেপ
  • শেখ হাসিনাসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গ খুনিদের বিচার করতে হবে: এ্যানি
  • রিসোর্ট থেকে সাবেক অতিরিক্ত সচিবের লাশ উদ্ধার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

    লাইফস্টাইল

    প্রতিদিন কমলার রস খেলে কী হবে?
    অনেকে সকালের নাস্তায় কমলার রস পান করে থাকেন। কেউ কেউ আবার দুপুরে প্রাণ জুড়াতে ঠান্ডা ঠান্ডা কমলার রসে চুমুক দেন। প্রতিদিন কমলার রস পান করা কি ঠিক? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? তাদের মতে, না। তবে মাঝে মাঝে পান করা খারাপ কিছু নয়। কমলার রস এই ফলের পূর্ণ উপকারিতা পাওয়ার জন্য সঠিক উপায় নয়। প্রতিদিনই যদি আপনি কমলার রস পান করেন তবে কী হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-১. ভালো অংশ বাদকমলায় থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার, যা আপনাকে পরিপূর্ণ রাখতে এবং পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু কমলার রসে এর অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যখন একটি কমলালেবুর রস পান করেন, তখন ফাইবার বেশিরভাগই সরে যায় এবং আপনার কাছে শুধুমাত্র এক গ্লাস মিষ্টি পানির পুষ্টি উপাদান থাকে। ফাইবার পাচনতন্ত্র থেকে চিনির শোষণকে ধীরগতিতে এবং টক্সিন এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে।২. চিনি ওভারলোডঅনেকেই কমলার রস খাওয়ার চেয়ে প্যাকেটজাত জুস কিনতে পছন্দ করেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে বাজার থেকে কেনা কমলার রসের বেশিরভাগই চিনি দিয়ে প্যাক করা হয় এবং এটিকে আরও সুস্বাদু করার জন্য রঙ এবং প্রিজারভেটিভ যুক্ত করা হয়। এমনকি যদি আপনি বাড়িতে কমলার জুস করেন, আপনি ৩-৪টি কমলা ব্যবহার করবেন যা দিনের জন্য খুব বেশি চিনির ব্যবহার হতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, এতে চিনির ওভারলোড হতে পারে। কমলা বা অন্য কোনো ফল হলো সাধারণ শর্করা। তাই শরীরের জন্য কতটুকু প্রয়োজন সে অনুযায়ী খেতে হবে।৩. ডাম্পিং সিনড্রোম হতে পারেঅত্যধিক কমলার রস খেলে ডাম্পিং সিন্ড্রোম হতে পারে। ডাম্পিং সিন্ড্রোম হলো যখন বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে খুব দ্রুত পেট থেকে ছোট অন্ত্রে চলে যায়। এটি ছোট অন্ত্রে ছুটে যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণ খাবার হজম না হওয়া অবস্থায়ই থেকে যায়। এর ফলে আপনি পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, এমনকি রক্তে শর্করার ওঠানামা অনুভব করতে পারেন। যেহেতু কমলার রসে প্রচুর চিনি থাকে, তাই যদি এটি নিয়মিত পান করেন তবে আপনি ডাম্পিং সিন্ড্রোম অনুভব করতে পারেন।সুতরাং, আপনি অবশ্যই মাঝে মাঝে কমলার রস পান করতে পারেন এর উপকারিতার জন্য। তবে পরিমিত পরিমাণে যাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়। এমআর
    স্বামীর সফলতা নির্ভর করে স্ত্রীর ওপর: গবেষণা
    স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিশ্বাস ও আস্থার ওপর। দুজনের মধ্যের সম্পর্ক কেমন হবে তা তাদের নিজেদের ওপরেই নির্ভর করে। সংসারে সুখী হতে চাইলে যেমন একে অন্যের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ভরসার প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনই জীবনের সফলতাও নাকি জীবনসঙ্গীর ওপরই নির্ভর করছে। এমনটিই বলছে এক সমীক্ষা। বিশ্বের সব নামকরা ব্যক্তিই তাদের জীবনের সফলতার পেছনে জীবনসঙ্গীর সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যেই একজন হলেন বারাক ওবামা। সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার সফলতার পেছনে স্ত্রী সহযোগিতার কথা বুক ফুলিয়ে বলেছেন।কথায় আছে ‘প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে একজন নারী থাকেন’। এ কথা কিন্তু বিজ্ঞানও বিশ্বাস করে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞান ও গবেষণা এ বিষয়ে কী বলছে-যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণা এটিকে বৈজ্ঞানিক পর্যায়ে নিয়ে আসেন। ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যে স্ত্রী তার স্বামীর সহযোগী, ওই স্বামী জীবনের বেশি সফলতা পান (স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)।গবেষণা দেখা গেছে, একজন পুরুষের সাফল্য নির্ভর করে তিনি কেমন নারীকে বিয়ে করেছেন তার ওপর। ১৬৩ দম্পতির ওপর করা এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে আসে।এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একটি সহজ ধাঁধা সমাধান করতে দেন, যারা জিতবেন তাদেরকে পুরস্কার দেওয়ারও ঘোষণা দেন গবেষকরা।গবেষণায় অংশগ্রহণকারী পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেসব স্ত্রীরা পুরস্কার জেতার আশায় তাদের স্বামীকে পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সেসব স্বামীরা ধাঁধার সমাধান করতে পেরেছেন।অন্যদিকে যেসব স্ত্রীরা পুরস্কারের বিষয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছেন কিংবা স্বামীকে এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করেননি তারা পিছিয়ে পড়েছেন।গবেষকরা ৬ মাস পরে একই দম্পতিদের পরীক্ষা করে দেখেন, যারা পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাদের তুলনায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন; তারা বেশি সফলতা অর্জন করেছেন। তারা অন্যদের চেয়ে সুখী ও সুস্থ বলে দাবি করেন গবেষকরা।সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরাও গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করেন যে, একজন ব্যক্তির সাফল্য কেবল নিজের ওপর নির্ভর করে না, তার জীবনসঙ্গীও এ ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করেন।সেলিব্রিটি ও মহান নেতাদের মধ্যে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তাদের জীবনসঙ্গী তাদের সাফল্যে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।২০১৭ সালে হার্ভার্ডের সূচনা বক্তৃতায় মার্ক জুকারবার্গ জানান, স্ত্রী প্রিসিলা সামাজিক বিভিন্ন কাজে তার সঙ্গে স্বেচ্ছায় কাজ করেন ও তাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করেন। তার জীবনের সফলতার পেছনে বিরাট অবদান আছে স্ত্রীর বলেও জানান সবাইকে।সম্প্রতি স্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য নিজে গাড়ির ডিজাইন করেছেন মার্ক জাকারবার্গ। তারপর সেই নকশা করা গাড়িটি তৈরি করেছে জনপ্রিয় মোটারগাড়ি নির্মাতা পোরশে। 
    হজমের সমস্যা সমাধানের ৪ ঘরোয়া উপায়
    হজমের সমস্যা নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় অনেককেই। এটি পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে আপনাকে নজর দিতে হবে খাবারের দিকে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পরিবর্তন এনে খুব সহজেই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেজন্য আপনাকে জানতে হবে কোন খাবারগুলো এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে সাহায্য করবে-১. সবসময় উষ্ণ খাবার বেছে নিনঠান্ডা অনেক খাবারই লোভনীয়, কিন্তু আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে গরম, রান্না করা খাবার খাওয়াই ভালো। ঠান্ডা খাবার অতিরিক্ত গ্যাস এবং পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরম, সহজে হজমযোগ্য খাবার খান। উষ্ণ খাবার হজম সহজ করে, তাই আপনার পেট সহজে সেগুলো প্রক্রিয়া করতে পারে।২. জোয়ান পাউডার ব্যবহার করুনজোয়ান নামক এই মসলা হজম বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাবারের প্রথম কামড়েই এক চিমটি জোয়ান পাউডার ছিটিয়ে দিন। কেন? এর কারণ হলো এটি পেট ফাঁপা উপশম করতে সাহায্য করে। এটি হজম করাও সহজ, তাই আপনি হজমের সমস্যা থেকে বাঁচতে এটি খেতে পারেন।৩. খাবারের সাথে মৌরি পানি খানমৌরি পানি হজমের সমস্যা থেকে বাঁচাতে কাজ করে। কিছু মৌরি বীজ হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে নিন এবং খাবারের সময় তাতে চুমুক দিন। বিশেষজ্ঞের মতে, মৌরি পানি তার কারমিনেটিভ বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যার অর্থ এটি গ্যাস গঠন প্রতিরোধ করতে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়তা করে। মৌরি পানি খাবারের রুটিনে হাইড্রেশন যোগ করার একটি সতেজ এবং স্বাদযুক্ত উপায়।৪. ধীরে খাবার খানহজমের সমস্যা এড়াতে সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো ধীর গতিতে এবং সঠিকভাবে খাবার চিবানো। তাড়াহুড়া করে খাবার খেলে আপনার বাতাস গ্রাস করার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, ধীরে এবং প্রতিটি কামড় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চিবিয়ে খেলে তা পরিপাকতন্ত্রকে ভালোভাবে খাবার ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে।এমআর
    বাচ্চাদের শৈশব চুরি করবেন না, ওদের মত বড় হতে দিন
    বলা হয় যে, “দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষাকাল”। জন্মের পর থেকে মানবশিশুর শিক্ষা শুরু হয় আর চলতে থাকে আমৃত্যু পর্যন্ত। এই শিক্ষণের ও জীবনের বিভিন্ন ধাপে মানুষ বিভিন্ন আচরন করে থাকে। ছোট্ট শিশুর আচরণ আর পরিণত বয়সীর আচরণ এক হবে না তা বলাইবাহুল্য। তবুও ইদানিং খুব কষ্টের সাথে লক্ষ্য করছি যে আমরা আমাদের বাচ্চাদের সুন্দর-ভাবলেশহীন শৈশবটাকে নিজ হাতে জব্দ করে গলা টিপে মেরে ফেলছি। সেইটা কখনও গতানুগতিক শিক্ষাক্রমের যাঁতাকলের নীচে ফেলে আবার কখনও বা নিজের আচরণের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে। যাহোক, অভিভাবক হিসেবে আমাদের আচরণের কয়েকটি অসঙ্গতি ও তা নিরসনকল্পে বিভিন্ন পরামর্শ আলোচনা করছি - ১। অপরিণত বয়সে অযাচিত স্কুলিং বন্ধ করুনঃ আমাদের অনেক অভিভাবকগণ তাদের শিশু বাচ্চার বয়স ৩-৪ বছর হতে না হতেই স্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেকে বিশাল সচেতন অভিভাবক হিসেবে জাহির করেন। আর সদ্য বাড়ন্ত শিশুটাকে পাহাড়সম বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। কারন আমাদের দেশে নার্সারি বা কেজি ক্লাসে যা পড়ানো হয় বা যে নিয়ম মানা হয় তা একেবারেই Garbage বা আবর্জনা বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। দুই হরফ 'অ', 'আ' পড়ানোর নাম করে টাকা কামানো আর বাচ্চার বাবা- মায়ের উপরে হোম টাস্ক, টিউটোরিয়াল, ক্লাশ টেস্ট হেন তেন প্রেশার দেওয়ায় যেন মূখ্য। আর আমরাও গবেট, গোবেচারা সেজে সেইটাই অনুসরণ করি। বাচ্চাদের উপরে জুলুম চাপিয়ে দিই। যে বয়সটাতে বাচ্চাটার হেসে-খেলে বেড়ানোর কথা, বাড়ির মানুষজন ও আত্মীয় স্বজনের সংস্পর্শে থেকে তার ব্রেইনের নিউরন কানেক্টিভিটি বাড়ানোর কথা, সে বয়সে আমরা তার হাতে পুঁথি ধরিয়ে তার স্বাধীন মস্তিষ্ক বিকাশের সকল প্রক্রিয়া স্তব্ধ করে দিচ্ছি।এছাড়া বাচ্চা যেহেতু স্কুলে যাচ্ছেই, তাই সফলতা নামক সেই ইঁদূর দৌড়ে তাকে সাথে বাবা-মাকে নিয়ে অবশ্যই। ক্লাশে আগে বলতে পারতে হবে। লিখা শেষ করতে হবে। হোম টাস্ক রেডি করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর তা করার জন্য বাচ্চার অভিভাবকও সেই শিশুর উপরে এমন সব বাক্যবাণ ও কড়াকড়ি প্রয়োগ করে যাতে মনেই হয়না তার সামনে যে ছোট্ট শিশুটি বসে মলিন মুখে তার দিকে তাকানো, সে নিতান্তই অসহায় বোধ করছে। ভয় পাচ্ছে। তার এত পুঁথি পাঠের সত্যিই এখন প্রয়োজন নেই, তার প্রয়োজন বাবা-মায়ের মন খোলা আশ্বাস, ভালোবাসা, নির্ভরতা আর তার উপরে অগাধ বিশ্বাসটুকু। যে বিশ্বাসের জোরে সে এগিয়ে যেতে পারবে সামনে। অপরিনত বয়সে স্কুলিং এর ক্ষতিকারক দিক নিয়ে উন্নত বিশ্বে গবেষণা চলমান এবং সেখানে ছোট বাচ্চাদের স্কুলের পাঠদান ও পঠনে পুঁথি মুখস্থের মত বিষয় একপ্রকার অনুপস্থিত। গবেষণায় প্রাপ্ত বিভিন্ন ক্ষতিকারক দিকগুলো হল - ● বাচ্চাদের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বৃদ্ধি (Pianta, R. C., & La Paro, K. M. (2003). ● শারীরিক বিকাশে বাধা (Zigler, E. F., & Bishop-Josef, S. J. (2006). ● সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ সমস্যাগ্রস্ত (Barnett, W. S. (2008). ● সৃজনশীলতা হ্রাস (Ginsburg, K. R. (2007). ● আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা হ্রাস (Katz, L. G. (1999). ২। বাচ্চাদের অপমানজনক ও নেতিবাচক কথা বলা থেকে বিরত থাকুনঃ আমি অভিভাবকদের কাউকে কাউকে কখনও প্রশ্ন করেছি যে, আপনার এই ছোট্ট শিশুটাকে আপনি যে এত অপমানের স্বরে কথা বলছেন, এত রাগান্বিত হচ্ছেন তার নিস্পাপ দুষ্টুমিগুলোতে। ভেবে বলেন তো- ও যদি সব পড়াগুলো না পারে, দেশ, রাজধানী, মূদ্রার নাম না ও জানে কিংবা ২০ টা ফল আর ২৫ টা ফুলের নামের সাথে ১০ টা রঙ না চিনে বা বানান করতে না পারে, তাতে এই ছোট্ট বয়সে কি এমন ক্ষতি হয়ে যাবে? তেমন কোন সদূত্তর কখনোই পাইনি। বলে যে- ক্লাশে পড়াচ্ছে, অমুক পারছে। আমি বলি যে, আপনার বাচ্চাকে আপনি কখনোই অন্য বাচ্চার সাথে তুলনা করবেন না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রতিটা মানুষকে নিজস্ব স্বকীয়তা দিয়ে পাঠিয়েছেন। যে যার বৈশিষ্ট্যে অনন্য। তাই দয়া করে খোঁচা দেওয়া বা ছোট করার জন্য অন্যের বাচ্চার কথা মুখেও আনবেন না। আজ আপনি তার মনটা ছোট করে দিয়ে যে হীনমন্যতার বীজ বপণ করে দিচ্ছেন, ভবিষ্যতে সে নিজেও আর অন্যদের তুলনায় নিজেকে শ্রেয়তর ভাববার বিশ্বাসটুকু পুরোটাই হারিয়ে ফেলবে। নিজ হাতেই তাদের এই সর্বনাশটুকু করবেন না। হ্যাঁ, কখনও কখনও উৎসাহ দেওয়ার জন্য বলতে পারেন। অবশ্যই আপনার সন্তানের জন্য আপনার বিশ্বাস, ভালোবাসা আর আদর কন্ঠে উপস্থিত রেখে।● অপমানজনক এবং নেতিবাচক কথা শুনে শিশুদের আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মানবোধ হ্রাস পায়। তারা নিজেদের মূল্যহীন মনে করতে শুরু করে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। (Baumeister, R. F., et al. (2003). ● নেতিবাচক কথা শুনে শিশুরা আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে এবং রাগ, হতাশা বা ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা অনুভব করতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে তাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার সমস্যা হতে পারে। (Eisenberg, N., et al. (2001). ৩। সবার দক্ষতা ও মেধা এককেন্দ্রিক হয় নাঃ ইদানিংকালের অভিভাবকগণ একটা জিনিস বুঝতেই চান না যে, সব শিশু সব বিষয়ে তুখোড় মেধা নিয়ে জন্মায় না। আমাদের এই ফাটাকেস্ট মার্কা শিক্ষাব্যবস্থায় সবার জন্য একই ট্রিটমেন্ট, একই স্যাম্পলিং। ঘুরেফিরে ঐ গণিতে ফাটাফাট্টি হতে হবে। ইংরেজি মুখে খই ফুটতে হবে, অন্য সব বিষয়ে পন্ডিত হতে হবে। আমরা ভুলেই গিয়েছি যে সবাই জীবনে একই রকম পেশার জন্য জন্মাইনি। হণিতে শুণ্য পাওয়া শিশুটিও হাফেজে কুরআন হয়ে আমাদের নাজমুস সাকিব, রায়হান, তাকরিমদের মত বিশ্বজয় করতে পারে। আবার ইংরেজিতে ফেইল করা আপনার বাচ্চাটি দেশ সেরা ক্রিকেটার হতে পারে। তখন ঐ ছোট্ট বয়সের বাচ্চাটির পরীক্ষার মূল্যায়ন দিয়ে আপনার কীইবা এসে যাবে? কেউ ভাষাগত দক্ষতায় ভাল হয়, কেউ বিশ্লেষণাত্মক ব্যাপারে ভাল, কেউ বা সুর ও গানে, কেউ খেলাধূলায়। তাই সবাইকে একই ছাঁচে ফেলে বিচার করবার মত মূর্খতা যেন আপনাকে পেয়ে না বসে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিন্নতায় একেকজনকে একেক দায়িত্ব দিতেন, যেমন ● মুয়াজ ইবন জাবাল (রাঃ) কে ইয়েমেনের গভর্ণর করে পাঠিয়েছিলেন তাঁর প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের কারনে; ● খালিদ বিন ওয়ালিদ রা: এর সামরিক দক্ষতা সমর কৌশল বিবেচনায় বিভিন্ন যুদ্ধে উনাকে সেনাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন ও সাইফুল্লাহ বা আল্লাহর তরবারী হিসেবে উপাধি দিয়েছেন;● আমর ইবন আস রা: প্রশাসনিক দক্ষতা ও কূটনৈতিক যোগ্যতার কারনে উনাকে মিসরের গভর্ণর করা হয়েছিল ও যুদ্ধ পরিচালনায় পাঠানো হয়েছিল; ● জায়েদ বিন সাবিত রাঃ ছিলেন ভাষাগত দক্ষতা ও লেখনীতে অতুলনীয় তাই উনাকে প্রধান ওহী লেখক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং ● আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাঃ এর আমানতদারিতার কারনে উনাকে উম্মাহর আমানতদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাই, আজ থেকেই বাচ্চাদের পুঁথি গেলানো বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় ও আদর্শিক পড়াশোনা করান, তবে হ্যাঁ; নিশ্চয়ই একটা বয়সের পরে। নিজের অপ্রাপ্তিগুলো বাচ্চাদের উপরে চাপাবেন না। আপনার কমিউনিটিতে বাচ্চাদের দিয়ে আপনার মান বাড়ানোর ভয়ংকর যুদ্ধে নামবেন না। আপনার ছোট্ট শিশুটিকে আপনার আদরে বড় হতে দিন, বাস্তবতা শেখান, আদব শেখান। ওদের শৈশবটুকু কেড়ে নিবেন না দয়া করে। ৪। বাচ্চাদের পরস্পরের সাথে তুলনা, হিংসাত্মক প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে পুরস্কৃত করুন, উৎসাহ দিনঃ বাচ্চাদের শেখানোর ব্যাপারে আমরা সচরাচর তার নিকততম কোন বাচ্চার সাথে প্রতিদ্বন্দী বানাতে চেষ্টা করি। সন্তানকে আরও চৌকস কিংবা আগ্রহী করে তুলবার প্রয়াসে আমরা বলি যে, "দেখো, ও কিন্তু খুব ভাল করছে, লিখতে পারছে, ক্লাশ টেস্টে ভাল মার্ক পেয়েছে, কিংবা যে সব বাচ্চারা খেতে চায়না তাদের ক্ষেত্রে বলে থাকি যে, তুমি না খেলে বাবা আদর করবেনা, আম্মু কথা বলবেনা ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার কেউ কেউ দুই সন্তানের মাঝে তুলনা করেন। এইটি মোটেও  প্যারেন্টিং এর ভাল কনসেপ্ট নয়। বরং তুলনা করার ফলে আরেকটি বাচ্চার প্রতি শিশু মনে ইর্ষা যা পরবর্তীতে হিংসায় রুপ নেয়। এরকম করার ফলে শত্রুতারও সৃষ্টি হয় বন্ধুদের মাঝে। আর নিজের সন্তানদের মাঝে এরকম উদাহরণ বা তুলনাগুলো দেওয়ার ফলে প্রচ্ছন্নভাবে আপনি তাদের পরস্পরকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন যা কখনোই কাম্য নয়। ছোটবেলা থেকেই দেখা যায় ভাই-ভাই, ভাই-বোন, বোন-বোন নিজেদের মাঝে কে বাবা মা'র কাছে ভাল থাকবে সেই চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে যায়। কিশোর বয়সে যার ফলে অনেক মিথ্যা ও লুকোচুরির আশ্রয় নেয়। সম্পর্কের অবনতি হয় অগ্রজ আর অনুজের মাঝে। তারচেয়ে ঢের ভাল সন্তানদের কোন ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কার দেওয়া। আপনি বয়সমাফিক কাজ দিয়ে পুরস্কার ঘোষনা করে অনুপ্রাণিত করুন। দেখুন, অনেক বেশি কাজে দিবে। খুব ছোট ছোট নতুন উপহারেও বাচ্চারা অনেক খুশি হয়।৫। বাচ্চাদের শুধু নিষেধ নয় বরং নিজে অনুসরনীয় হয়ে উঠুনঃ আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের কোন কাজের ব্যাপারে নিষেধ করি কিন্তু তাদের সামনেই সেই একই কাজ আমরা নিজেরাই করি। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা পড়াশুনায় মনযোগী হউক, আদর্শ সন্তানের গুনাবলী তার মধ্যে বিরাজ করুক। কিন্তু এই আমরা বসে বসে টিভির স্ক্রীনে অশ্লীল মুভি ও বিজ্ঞাপন দেখতে থাকি, গান শুনি  (গান-বাদ্য শোনা ইসলামী শরীয়াতে হারাম)। কিন্তু আমার সন্তান যদি টিভিতে বসে তার পছন্দের কোন সিরিয়াল দেখতে শুরু করে তখন আমরা বকা দিই, নাক সিঁটকাই। অনেকে তো একধাপ এগিয়ে বলেন যে, খারাপ গান বা মুভি দেখা যাবে না। মুভি আর গানের আবার খারাপ ভাল কি? আপনাকে যখন সে এসব অসার কাজে সময় নষ্ট করতে দেখবে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী সিরিয়াল দেখতে দেখবে; সে ও ভেবে নিবে যে তার পছন্দমত টিভি প্রোগ্রাম, গান এগুলো দেখা তার জন্য জায়েয হয়ে যাবে। এর কুফল হয়ত একদিনে বোধগম্য হয়না কিন্তু সেই বাচ্চাটিই যখন কৈশোর পেরিয়ে টিনএজ এ পদার্পণ করে তখন রবি ঠাকুরের কথানুযায়ী এমন বালাই নিয়ন্ত্রন বড্ড কঠিন হয়ে যায়। কি একটু কঠিন মনে হচ্ছে কথাগুলো? আসুন, একটু ভেঙে বলি- আপনার আজ যে বয়স, সে অনুযায়ী আপনার কাছে ৯০ দশকের বা তার পরবর্তী কয়েক বছরের মুভি বা গান আকর্ষনীয়। তাই আপনি সেগুলো উপভোগ করেন মন দিয়ে। আপনার কাছে আপাত ভাল'র বিচারে বাংলা বা হিন্দী সিনেমার সেই সময়ের নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা মনে উঁকি দিচ্ছে। রোমান্টিসিজম বলতে হয়ত হাত ধরে পার্কে গান গাওয়া পর্যন্ত বেলাল্লাপনাকেও আপনি সায় দিচ্ছেন। কিন্তু আপনাকে এইসব কাজে লিপ্ত থাকতে দেখে আগামীতে আপনার সন্তান সময় আর যুগের সাথে হলিউডের মডেল (নাম লিখলাম না কারণ- কেউ আবার এ ব্যাপারে উৎসাহিত বোধ করতে পারে।) তারকাদের উদ্দাম নৃত্য দেখার ব্যাপারে যে অধিকতর আগ্রহী হবেনা সে ব্যাপারে আপনার ভেবে দেখা প্রয়োজন বৈকি। কারন আবেগ, রিপু এগুলোকে আপনি কিছুটা ছাড় দিয়ে আবার বেঁধে রাখতে পারবেন না। তাই ভাল হয় অপছন্দের ও নিষিদ্ধ কাজগুলো করা থেকে নিজেই সম্পূর্ণ বিরত হউন। বাড়ির বোকাবাক্সটিকে যদি সরাতে না পারেন একেবারে তাহলে তার ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতন হউন। আবার আরেকটি বিষয় আমাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় যে, আমরা কেউ চাইনা আমাদের সন্তানেরা ধূমপায়ী হোক বা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ুক কিন্তু আমরাই এই মরনফাঁদ প্রতিনিয়ত নিজের মাঝে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চকলেট বা চিপস খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয় এইটা আমরা সবাই জানি। হয়ত খুব বেকায়দায় পড়লে দুয়েকবার না দিয়ে উপায় থাকেনা। কিন্তু অনেক সময়েই এমন হয় যে আমরা বড়রা তার সামনে একটা চকলেট, চিপস বা বিস্কুট খেতে খেতে চলে আসি। যে সময়টাতে তার ঐ খাবারটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল হবে না। অথচ আমরা নিজেরাই সে কাজটা করি আর শিশুমনে প্রবোধ দিই যে, বাবু এখন তোমার খাওয়া হবেনা, এইটা তোমার খাওয়া হবেনা ইত্যাদি ইত্যাদি। যেখানে নিজের ন্যুন্যতম সতর্কতার ধার ধারছিনা সেখানে বাচ্চাদের এ ব্যাপারে মানিয়ে নেওয়া মোটেই সহজ নয়। বরং আপনার উচিত যে কাজ সন্তানের করা ঠিক হবেনা, যা খাওয়া ঠিক হবেনা সেগুলো তার সামনে না নিয়ে আসা। আবার বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন সবার হাতে হাতে। আমরা বাচ্চাদের ফোন থেকে বিরত রাখতে চাই অথচ তার দিকে মনোনিবেশ না করে ঘন্টার পর ঘন্টা আমরাই ফেসবুকে আছি অথবা গেমস খেলছি। তাই বাচ্চারা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয় এ বিষয়ে।শেষকথাঃ সবশেষে বলতে চাই - কথাগুলো একটু গভীরভাবে ভাবুন। ক্লাশের সাময়িক রোল নম্বরের ক্রমানুসার আপনার শিশুর ভবিষ্যতের কোন নির্ণায়ক তো নয়ই বরং অবোধ বাচ্চাগুলোর জন্য ক্ষতিকারক। ওদেরকে ওদের মত স্পেস দিন,বড় হতে দিন, আর ওর দূর্বলতাতেও সাহস ও বিশ্বাস চাংগা রাখতে বলুন। দেখবেন আপনার শিশুই একদিন বিশ্ব জয় করে ফিরবে। দয়া করে ওদের শৈশবটাকে কেড়ে নিয়েন না। ওদের শৈশব ওদের দিয়ে দিন। দু'নয়ন ভরে দেখতে থাকুন ওদেরকে। আল্লাহর শুকরিয়া করুন আর প্রাণ খুলে দুয়া করুন। শৈশবটাকে শৈশব হতে দিন। দয়া করে শৈশবটাকে চুরি করবেন না।আসুন আমরা সচেতন হই। আমাদের সচেতনতা ছোঁয়াচে হয়ে সঞ্চারিত হোক আমাদের সন্তানদের মাঝে। ধীরে ধীরে প্রাণিত হোক আপনার আগামীর বিনিয়োগ।
    মিষ্টি আলু খেলে মিলবে ত্বকের যেসব উপকার
    যদি আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল আভা দেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপায় খোঁজেন তবে মিষ্টি আলু একটি কার্যকরী খাবার হতে পারে। এতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা দেখা দিলে বা উজ্জ্বলতা নষ্ট হতে শুরু করলে খাবারের তালিকায় মিষ্টি আলু যোগ করে নিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি আলু খেলে ত্বকের কী উপকার হয়-১. কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়মিষ্টি আলু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। কোলাজেন হলো সেই প্রোটিন যা ত্বককে দৃঢ়, মসৃণ এবং স্থিতিস্থাপক রাখে। ২০২১ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০-৭০ বছর বয়সী ১,১২৫ জন অংশগ্রহণকারীর (যাদের মধ্যে ৯৫% নারী) ওপর করা ১৯টি গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, হাইড্রোলাইজড কোলাজেন প্লাসিবো চিকিৎসার তুলনায় ত্বকের হাইড্রেশন, স্থিতিস্থাপকতা এবং বলিরেখা কমিয়েছে। মিষ্টি আলু নিয়মিত খেলে তা ত্বকের গঠনে সহায়তা করে এবং বলিরেখা কমাতে কাজ করে।২. ইউভি ক্ষতি থেকে রক্ষা করেমিষ্টি আলুর কমলা রঙ বিটা-ক্যারোটিন থেকে আসে, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। ত্বক মেরামত এবং পুনর্জন্মের জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য। বিটা-ক্যারোটিন ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, রোদে পোড়া এবং দীর্ঘমেয়াদী ত্বকের ক্ষতির ঝুঁকি কমায়। খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু যোগ করে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে ত্বকের প্রতিরক্ষা বাড়াতে পারেন।৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়মিষ্টি আলুতে থাকা ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষের পরিবর্তন বৃদ্ধি করে, যা কালো দাগ এবং পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। খাবারের তালিকায় নিয়মিত মিষ্টি আলু রাখলে তা ত্বকের উজ্জ্বল আভা বৃদ্ধি করে।৪. ত্বককে হাইড্রেট করে এবং পুষ্টি দেয়মিষ্টি আলুতে প্রচুর পানি থাকে, যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে, যা শরীরে তরল মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু রাখলে তা ত্বককে প্রাণবন্ত এবং উজ্জ্বল থাকার জন্য প্রয়োজনীয় হাইড্রেশন প্রদান করতে পারে।৫. প্রদাহ কমায়আপনি কি জানেন যে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ এবং জ্বালার কারণ হতে পারে? অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের উচ্চ উপাদানের কারণে মিষ্টি আলুতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই যৌগগুলো প্রদাহ শান্ত করতে এবং স্বাস্থ্যকর ত্বককে উন্নীত করতে সহায়তা করে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি ডিজিটাল পাবলিশিং ইনস্টিটিউট (এমডিপিআই) গবেষণা অনুসারে, মিষ্টি আলুর নির্যাস প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে তা ত্বকের ফ্লেয়ার-আপ কমাতে সাহায্য করে।এমআর
    ঘরেই বানান পূজোর নাড়ু
    মহালয়া শেষ। ঘনঘটা শুরু হয়েছে পূজোর। আর নাড়ু ছাড়া যেন পূজো জমেই না।  যেকোনো পূজা অনুষ্ঠানে বা ডেজার্ট আইটেম হিসেবে খুব সহজেই আপনারা এই রেসিপি বানিয়ে নিতে পারেন। ঘরেই সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন পূজোর নাড়ু।চলুন জেনে নিই ঐতিহ্যবাহী কয়েকপদের নাড়ু তৈরি আর সংরক্ষণ পদ্ধতির কথা।  উপকরণশুকনো নারকেলগুড়চিনিছোট এলাচ গুঁড়োগাওয়া ঘিক্ষীরগুড়ের নারকেল নাড়ু –শুকনো নারকেল কে প্রথমে ভালো করে কুড়ে নিতে হবে। এরপর একটা কড়াই কম আঁচে গ্যাসে বসাতে দিন। এইবার গোটা গুড় টা ওর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে, খুন্তির সাহায্যে গুড় টা ভেঙে ভালো করে নেড়ে চেড়ে নারকেলের সাথে মেশাতে থাকবেন।এবার খোয়া ক্ষীর টা ও দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন (কেউ যদি খোয়া ক্ষীর না দিলেও কোনো অসুবিধা নেই)।গ্যাসের ফ্লেম কম রেখেই নাড়তে থাকবেন। রান্না কম আঁচেই করতে হবে।গুড়টা সম্পূর্ণ গলে গেলে চিনি দিয়ে আবার নাড়তে থাকবেন।মিনিট দশেক এই রকম ভাবে নাড়বার পর যখন দেখবেন কড়াই এর গা থেকে নারকেল ছেড়ে ছেড়ে আসছে, তখন ১ চামচ ঘি দিয়ে দেবেন। ভালো করে মিশিয়ে গ্যাস অফ করে দিন।তারপর ওপর থেকে ছোট এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। একটু পরে ঠাণ্ডা হলে, ঘি হাত করে নাড়ু পাকিয়ে নিন।নাড়ু গুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যাবে, ব্যাস হয়ে গেল তৈরি গুড়ের নারকেল নাড়ু , এবার একটি কাচের জারে রেখে ভালো করে ঢাকনা এঁটে রেখে দিন। এবি 
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ৬ অক্টোবর ২০২৪
    আজ ৬ অক্টোবর ২০২৪ , রবিবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল। মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ। ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে। দন্ত্যরোগ বাড়তে পারে। নিজের সুবিধার জন্য কোনও কাজ করতে হবে। বাড়িতে অহেতুক অশান্তির যোগ। সকলে মিলে দূরে কোথাও ভ্রমণ হতে পারে। আপনার সম্পর্কে কোথাও নিন্দা হতে পারে। কিছু পাওনা হতে পারে। কর্মস্থানে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে। বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে। গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় সুখবর আসতে পারে। রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে। দুপুরের পরে দিনটি ভাল কাটবে, কিন্তু মানসিক চাপ থাকবে। ব্যবসায় ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর্থিক ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। ভ্রাতৃবিবাদ বাড়তে পারে। সন্তানের খারাপ ব্যবহারের জন্য চিন্তা বৃদ্ধি। পিতার শরীর নিয়ে চিন্তা বাড়বে। মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালবাসা পাবেন। গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা। আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি বজায় থাকবে। চিকিৎসার জন্য প্রচুর ব্যয় হতে পারে। সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। পেটের সমস্যার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে। আইনি কাজে সমস্যা বাড়তে পারে। কাজের ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাড়তি খরচের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ। মায়ের শরীর নিয়ে চিন্তা।   কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে। কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা। কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে। ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। চাকরির স্থানে কাজের চাপ বৃদ্ধি। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা আসতে পারে। অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের যোগ। লোকের কাছে দয়ার পাত্র হতে হবে। বিলাসিতার জন্য খরচ বৃদ্ধি। স্বামীকে নিয়ে কোনও ব্যাপারে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পিতার সঙ্গে তর্ক হতে পারে।সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে। দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে। সন্তান-স্থান শুভ। আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে। কর্মে একটু জটিলতা থাকলেও সফল হবেন। প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে গিয়ে অপবাদ জুটতে পারে। পারিবারিক ভ্রমণের আশা রাখতে পারেন। পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। আপনার কোনও ব্যবহার লোকের খারাপ লাগতে পারে। বুকের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় নতুন কাজের শুভ সূচনা। চাকরির স্থানে কোনও সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদের সম্ভাবনা। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ হতে পারে। আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ। নিজের প্রতিভা প্রকাশের বিশেষ দিন। কোনও ভয় আপনার বুদ্ধিনাশ করতে পারে। আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে। বাড়তি কথা অশান্তি ঘটাতে পারে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য সুযোগ আসতে পারে। নতুন বন্ধুর কারণে আনন্দ লাভ। স্বামীর কোনও কাজের জন্য শান্তি পেতে পারেন। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে। প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে। প্রিয় কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। বন্ধুদের কারণে কোথাও সম্মানিত হতে পারেন। ব্যবসায় মনোবল থাকলে বাধা কাটবে। কাউকে পরামর্শ দিতে যাবেন না। কোনও কাজে বার বার চেষ্টা করা বৃথা হবে। শারীরিক কষ্ট অবহেলা করবেন না। আইনি কাজের ব্যাপারে ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাবার শরীরের ব্যাপারে চিন্তা বাড়তে পারে। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে। ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। সংসারে সুখ ফিরবে, কিন্তু কিছু অভাব-অনটন থেকে যাবে। যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ। পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হতে পারে। একটু সাবধানে থাকুন, কোনও বিপদ ঘটতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখের খবর আসতে পারে। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল। নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে। অপরের জন্য কাজ করে আনন্দ লাভ। আগুপিছু চিন্তা করে উপার্জনের রাস্তায় এগোন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা বাড়বে। মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হবে। ভ্রমণে বাধা আসতে পারে। সারা দিন প্রিয়জনের সঙ্গে থাকায় আনন্দ লাভ। খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন আসতে পারে। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে। ভ্রমণের পক্ষে  দিনটি শুভ নয়। মা-বাবার সঙ্গে বিরোধে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য সংসারে অবহেলা থেকে অশান্তি। ছোটদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে দিনটি খুব শুভ। বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির যোগ রয়েছে। সংসারে শান্তি দেখতে পাবেন। চাকরির স্থানে জটিলতা বাড়তে পারে। আগুন থেকে সাবধান।কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ। কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে। আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিজের পর্যাপ্ত আয়ের সঙ্গে বাড়তি উপায়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। রাগ বা জেদ বৃদ্ধি পেতে পারে। পিতার ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি। ভাই-বোনের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের আশঙ্কা রয়েছে। সম্মান নিয়ে টানাটানির যোগ।  মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ। স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভাল হবে। ভাল ব্যবহারের দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন। দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভাল হবে। ইচ্ছাপূরণ হওয়ার দিন। সন্তানের জন্য খরচ বাড়তে পারে। পড়াশোনায় চাপ বাড়তে পারে। স্ত্রীর সঙ্গে একটু বুঝে চলুন। উদ্বেগ বাড়তে পারে। ব্যবসায় খরচ বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে। বাইরের লোকের জন্য খরচ বৃদ্ধি।   এবি 
    মোবাইলে আসক্তি শিশু, ভাষা শিক্ষায় বাধা
    বিনোদন হোক বা প্রয়োজন, মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট এসব আমাদের নিত্যসঙ্গী।  ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়া একদিনও কাটানো প্রায় অসম্ভব। ছোট থেকে বড় সব মানুষই দিনের বেশ কয়েক ঘণ্টা এসব ডিভাইসের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাটায়।মূলত যখন পরিবারের বড়রা কাজে বা অলস সময় কাটাতে মোবাইল ও টিভি ব্যবহার করে, তখন ছোট শিশুরাও তাদের দেখাদেখি এই অভ্যাস গড়ে তোলে। তবে শিশুদের জন্য বেশিক্ষণ স্ক্রিনের এই নীল আলোর দিকে তাকিয়ে থাকা অত্যন্ত ক্ষতিকর।শিশুরা বেশিক্ষণ ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকলে তাদের চোখের ক্ষতি হয়। এছাড়াও শিশুদের বিকাশের ক্ষেত্রেও এই অভ্যাস অনেক বেশি ক্ষতি সাধন করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অতিরিক্ত সময় কাটানোর অভ্যাস শিশুদের ভাষাগত বৃদ্ধিতে কঠোরভাবে বাধা প্রদান করতে পারে।      শিশুদের মস্তিষ্কের কগনিটিক অর্থাৎ, জ্ঞানীয় কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান করে। এই কারণে শিশুরা যখন প্রাথমিকভাবে ভাষা শেখা শুরু করে তখন সেই শিক্ষাক্রমে বাঁধা তৈরি হয়। এস্তোনিয়ার বিশেষজ্ঞদের একটি দলের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, স্ক্রিনে বেশি সময় ব্যয় করার এই অভ্যাস শিশুরা তাদের পিতা-মাতার অনুসরণেই পেয়ে থাকে।তারতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক ডাক্তার টিয়া তুলভিস্তে নবজাতকদের ভাষার দক্ষতা অর্জনের প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বলেন, ছোটবেলায় যখন শিশুদের বিকাশ ঘটতে শুরু করে, তখন বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যরা শিশুর সাথে খেলার ছলে নানান কথোপকথন করে। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন বড়দের মাধ্যমে শিশুদের ভাষাগত বিকাশ হতে থাকে।বয়সের সঙ্গে তাদের উচ্চারণ এবং ব্যাকরণগত শিক্ষার ভিত্তি মজবুত হতে থাকে চর্চার মাধ্যমে। সেই বয়সে এর বদলে যদি তাদের মোবাইল বা ল্যাপটপের প্রতি ঝোঁক বাড়ে তাহলে তাদের স্বাভাবিক বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় বাধা পড়ে। শিশুদের এই অভ্যাস তৈরির পেছনে অবশ্য প্রতিপালকদের দায় থাকে। শিশুদের সাথে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে কথোপকথন করতে হবে।  গবেষকেরা কিছু শিশুদের উপর পরীক্ষাজনক ভাবে নজর রাখেন। এই শিশু এবং এদের বাবা মায়েরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সময় কাটান। সময়ের দৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে শিশুদের তিনটি ভাগে পর্যবেক্ষণ করা হয়।প্রথমভাগে সেসব শিশুরা অনেক বেশি ডিভাইসে সময় কাটায় তাদের  ভাষাগত দক্ষতা যাচাই করা হয়। এই শিশুদের কথায় পরিপক্কতার অভাব লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয়ভাগে একই বয়সের তুলনামূলক কম ডিভাইসে আসক্ত শিশুদের ভাষাগত দক্ষতা প্রথম ভাগের তুলনায় উন্নত ছিল। সবশেষে যেসব শিশুদের একদম ডিভাইস থেকে দূরে রাখা হয় তারা ব্যাকরণ এবং উচ্চারণে সবচেয়ে বেশি দক্ষতার পরিচয় দেয়।শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সমগ্র জীবনের ভিত্তি শৈশবেই তৈরি হয়। শিশুদের প্রথম ৫ বছর চঞ্চলতা অনেক বেশি থাকে। এইসময়কালে বই পড়া আর শিক্ষামূলক খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের মানসিক ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে। তাই এইসময়ে শিশুদের অনেক বেশি সময় দেওয়া প্রয়োজন। খেলা, বই পড়া, শিশুদের সাথে কথোপকথনের পাশাপাশি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের থেকে তাদের দূরত্ব রক্ষা করাও নিশ্চিত করতে হবে। তবেই শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ হবে এবং সুন্দর শৈশব উপহার পাবে।      এইচএ
    প্রথম প্রেম যে কারণে ভোলা যায় না
    ২০ বছর আগে তাঁর সঙ্গে আমার প্রেম হয়। সে ছিল আমার প্রথম প্রেমিক। আমার বয়স তখন ১৭, আর ওর ১৯। আমরা একজন আরেকজনের জন্য পাগল ছিলাম। তবে আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে যায়। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আমি এখনো তার কথা ভাবি। সে আমার স্বপ্নে আসে। আমি এখন একজন বিবাহিত সুখী মানুষ। আমি খুবই সুখী। কিন্তু আশ্চর্য লাগে, তাকে ভুলতে পারি না। কিছুদিন আগে আমাদের আবার যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, আমার এখান থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। আমি কী করব? দয়া করে পরামর্শ দিন।পত্রিকা বা নিউজ পোর্টালের পরামর্শ কলামে যদি নিয়মিত চোখ রাখেন, তাহলে এই ধরনের সমস্যা প্রায় প্রতিদিনিই খুঁজে পাবেন। আগের সম্পর্ককে ভুলতে না পারা এবং বারবার সেই কথা মনে করে বর্তমান জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা বেশ উদ্বেগজনক। প্রথম প্রেম, প্রথম অনুভূতি, প্রথম ভালোবাসার মতো অনুভূতিগুলো প্রবলভাবে বিদ্যমান থাকে। ফলে সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়ানোর পরও অতীত বর্তমানে এসে হানা দেয়। ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, এর কারণ হলো, দীর্ঘ সময় পরেও মানুষের জীবনের প্রথম প্রেমের প্রভাব রয়ে যায়। সেই প্রেম কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা দিয়ে শেষ হলেও সেই স্মৃতি মুছে যায় না। কিন্তু কেন?কেন এসব স্মৃতি আমার মনে ও মস্তিষ্কে এত গভীরভাবে গেঁথে থাকে? অন্য স্মৃতির চেয়ে কেন সেগুলো উজ্জ্বল হয়। একটি মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে, প্রথম প্রেমের অনুভূতি অনেকটা প্রথমবার স্কাইডাইভিং বা বিমান থেকে প্যারাস্যুট নিয়ে লাফ দেওয়ার মতো। এরপর আপনি যতবারই লাফ দেন না কেনো, প্রথমবারের স্মৃতিটা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে মনে থাকে।নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক আর্ট অ্যারন বলেন, ‘যে কোনো বিষয়ে আপনার প্রথমবারের অভিজ্ঞতা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি ভালো মনে থাকে। সম্ভবত প্রথমবার কোনো কাজ করার সময় কিছুটা ভীতি, কিছুটা উত্তেজনা কাজ করে সে জন্য। প্রেমে পড়ার বিষয়টিও অনেকটা এ রকম। কারণ প্রথম প্রেমের ক্ষেত্রে কখনো কখনো ভীতি থাকে, প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রত্যাশা পূরণ হবে কি না, সে নিয়ে সংশয় থাকে। উদ্বেগ হচ্ছে প্রেমের সবচেয়ে বড় অংশ। বিশেষ করে প্রথম প্রেমের ক্ষেত্রে।’সে কারণে প্রথম প্রেম আমাদের স্মৃতি খুব গভীরে প্রোথিত থাকে। আর কোনো প্রেমের স্মৃতিই আর এভাবে মনে দাগ কাটতে পারে না। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সবশেষে যে প্রেমটি জীবনে আসে, সেটিই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সেই প্রেমটিতেই সবচেয়ে বেশি যত্ন পায় মানুষ। তবু প্রথম প্রেমের স্মৃতি কখনো না কখনো মনে পড়েই যায়। অ্যারন বলেন, এটা এ কারণে হতে পারে যে, বেশির ভাগ প্রথম প্রেম হয় বয়ঃসন্ধিকালে। যখন প্রবলভাবে হরমোনের পরিবর্তন হয়, পরিবারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। মোট কথা, সব মানুষের জীবনেরই সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়।  আর সে কারণেই এই সময় হওয়া প্রেমের প্রভাব অনেক গভীরভাবে পড়ে জীবনে।এফএস
    বৃষ্টির দিনেই কেন খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা বাড়ে?
    বৃষ্টি মানেই এক অন্যরকম পরিবেশ, এক ধরনের অনুভূতির জাগরণ। বাইরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, মৃদু বাতাস বইছে এবং ধীরে ধীরে ঝরে পড়ছে বৃষ্টি। এই মনোরম পরিবেশে এক কাপ চা, বইয়ের পাতা, আর খিচুড়ি— এ যেন এক অদ্ভুত মিল। কিন্তু কেন বৃষ্টির সময় মানুষের খিচুড়ি খেতে ইচ্ছা করে? এর পেছনে রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক ও মানসিক কারণ।খাদ্যাভ্যাস ও আবহাওয়ার সম্পর্কবৃষ্টির সময় পরিবেশের আদ্রতা বেড়ে যায় এবং তাপমাত্রা কমে আসে। এই সময়ে আমাদের শরীর গরম ও সহজপাচ্য খাবারের দিকে আকৃষ্ট হয়। খিচুড়ি হচ্ছে এমনই এক খাবার যা গরম, সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর। এতে রয়েছে চাল, ডাল, এবং নানা ধরনের সবজি যা একসঙ্গে মিশে তৈরি করে এক বিশেষ স্বাদ ও সুগন্ধ। খিচুড়ি খেলে পেট ভরে, এবং শরীরে একধরনের আরাম অনুভূত হয়। বৃষ্টির সময় এমন আরামদায়ক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হওয়া খুবই স্বাভাবিক।খিচুড়ি: পুষ্টি ও স্বাদের মিলখিচুড়ি তৈরির উপাদানগুলো যেমন চাল, ডাল, সবজি, এবং মসলা, সবই মিলে তৈরি করে একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। এর পুষ্টিগুণ যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, তেমনই এর মসলা ও মাখনের স্বাদ আমাদের মনকে তৃপ্তি দেয়। খিচুড়িতে থাকা মসুর ডাল বা মুগ ডাল প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে, আর সবজিগুলো ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। ফলে বৃষ্টির সময় আমাদের শরীর যখন বেশি ক্যালরি ও পুষ্টি চায়, তখন খিচুড়ি খাওয়া হয় খুবই উপকারী।আবেগ ও স্মৃতির মিলনবৃষ্টির সঙ্গে খিচুড়ির সম্পর্ক অনেকটাই মানসিক। ছোটবেলায় মা বা দাদির হাতে বানানো খিচুড়ির স্বাদ হয়তো আমাদের অনেকেরই মনে গেঁথে আছে। বৃষ্টি পড়লে সেই পুরনো স্মৃতিগুলো ফিরে আসে, আর তার সঙ্গে জুড়ে যায় খিচুড়ির গন্ধ। আমাদের মন এক ধরনের নস্টালজিয়া অনুভব করে, যা আমাদের খিচুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়। তাই বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়া শুধু একটি খাবার খাওয়া নয়, বরং একটি স্মৃতির স্বাদ উপভোগ করা।স্বাস্থ্যবিধি ও সহজলভ্যতাবৃষ্টির সময় বাইরে খোলা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। এই সময়ে অনেকেরই ঠান্ডা-জ্বরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন অবস্থায় ঘরে তৈরি, গরম ও সহজপাচ্য খিচুড়ি খাওয়া স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ। এছাড়া খিচুড়ি রান্না করা সহজ এবং এর জন্য খুব বেশি উপকরণ প্রয়োজন হয় না। বাসায় যেসব উপকরণ থাকে, তাই দিয়েই মজাদার খিচুড়ি তৈরি করা সম্ভব।সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাববিভিন্ন সংস্কৃতিতে বৃষ্টির সময় বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আমাদের দেশেও বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়া একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে বসে খিচুড়ি খাওয়া, তার সঙ্গে ইলিশ মাছ বা ডিম ভাজা যোগ করা—এ এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। এই অভ্যাসটি সামাজিক বন্ধনকেও মজবুত করে।বৃষ্টি আর খিচুড়ি এ এক অদ্ভুত মিলন। এটি কেবল একটি খাবারের প্রয়োজনীয়তা নয়, বরং এটি আমাদের আবেগ, স্মৃতি, এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটার সঙ্গে যেমন প্রকৃতি স্নান করে, তেমনই খিচুড়ির প্রতিটি গ্রাসে আমরা তৃপ্তি পাই। তাই বৃষ্টি পড়লে খিচুড়ি খাওয়া শুধু একটি খাদ্যাভ্যাস নয় বরং এটি আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশ।এমআর
    রাতারাতি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে যেসব পানীয়
    প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বকের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। এজন্য ভেষজ রূপচর্চা থেকে শুরু করে কোনো কিছুই বাদ দেন না। অনেক অর্থও ব্যয় করেন। ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই ভালো। কিন্তু এর পাশাপাশি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং  পানীয় পান করেন তাহলে সুফল মিলবে। তাই প্রথমেই দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। তাতে শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাবে। ত্বকও থাকবে সতেজ। তবে সাধারণ পানি নয়। পান করতে হবে কিছু বিশেষ পানীয়। এতে দ্রুতই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। ডাবের পানি:সুন্দর ত্বকের জন্য সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পান করতে পারেন। শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বককেও হাইড্রেটেড রাখে এই পানীয়। ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বককে টানটান রাখে এই পানীয়। ডাবের পানিতে থাকা ভিটামিন বি৩, বি২, সি ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বাড়ায়। লেবু ও মধু মেশানো পানি:সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে একটি লেবু এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। খালি পেটে এ পানীয় পান করুন। এই পানীয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। পাশাপাশি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও ধরে রাখে এই পানীয়। এছাড়া মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের গুণের কারণে ত্বকে ব্রণের দাপটও কমে।হলুদ ও আদা মিশ্রিত পানি:সকালে হলুদ ও আদা মিশ্রিত পানি পান করুন। হলুদে থাকা কারকিউমিনে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আদায়ও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য গুণ। এ দুটি ভেষজ একসঙ্গে খেলে ত্বকের সংক্রমণ দূরে থাকবে। ত্বকে ভাঁজ ও বলিরেখা দেখা যাবে না। অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাবে না। প্রথমে দেড় গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। তাতে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ২ ইঞ্চি আদা থেতো করে দিন। কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। তারপর একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। রোজ সকালে এ পানীয় পান করুন।  অ্যালোভেরা জুস:অ্যালোভেরা জুস ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর । তাই মর্নিং ড্রিঙ্ক হিসেবে এর  তুলনা হয় না। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, সি, বি। পাশপাশি এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড আছে। এ সব উপাদান ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও বাড়ে। এফএস
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ১ অক্টোবর ২০২৪
    আজ ১ অক্টোবর ২০২৪ , মঙ্গলবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল। মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)ব্যবসার কাজে মাথা ঠান্ডা রাখুন। বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদ। বাড়িতে অনেক বন্ধু আসায় খরচ বৃদ্ধি। শরীর নিয়ে কষ্ট পেতে পারেন। বুদ্ধির জোরে শত্রুজয়ে আনন্দ। ভাই-বোনে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। সম্মানহানি থেকে একটুর জন্য রক্ষা পাবেন। নিজের বুদ্ধিতে বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ। প্রেমের কারণে  আনন্দ লাভ। চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে। সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তা।বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ। মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। প্রেমে আনন্দ লাভ। বাড়তি খরচের জন্য ব্যবসায় চাপ। শত্রুর কারণে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা। জমি ক্রয়-বিক্রয়ে প্রচুর লাভ হতে পারে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। সব থেকে বিশ্বাসযোগ্য মানুষ আপনাকে ঠকাতে পারেন। ন্যায্য পাওনা আদায় করতে গিয়ে অশান্তি হতে পারে। উচ্চ পদের কোনও চাকরির খোঁজ আসতে পারে। লিভারের সমস্যায় ভোগান্তি।  মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট। সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা। কুকথা বলার জন্য অনুশোচনা। জ্যোতিষচর্চায় আনন্দ লাভ। শরীরে কষ্ট বৃদ্ধি। কারও দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা। টাকাপয়সা বুঝে খরচ করুন, অধিক ব্যয়ের সম্ভাবনা। সংসারে দায়িত্ব দ্রুত সেরে ফেলুন। প্রাত্যহিক কাজে বাধা পড়তে পারে। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে সুখের দিন। আইনি কাজে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সাহায্য পাবেন। সন্তানের ব্যবহারে মনঃকষ্ট। বাড়িতে সুসংবাদ আসতে পারে। সেবামূলক কাজে শান্তিলাভ। কোমরের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। আজ স্ত্রীর কোনও কাজ আপনাকে অবাক করবে। নিজের কাজের প্রতি গর্ববোধ হবে। জ্বর-জ্বালায় ভোগান্তির আশঙ্কা আছে। গৃহনির্মাণের পরিকল্পনা। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ। ব্যবসায় বিবাদের যোগ থাকলেও লাভ বাড়তে পারে। কৃষিকাজে সাফল্য পাবেন। পড়াশোনায় সুনাম বৃদ্ধি। দুপুরের পরে ব্যবসার ব্যাপারে বিশেষ আলোচনা। ভ্রমণে না যাওয়াই ভাল, কষ্ট বাড়তে পারে। প্রিয়জনের কোনও কাজের জন্য সংসারে অশান্তি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে আইনি ঝঞ্ঝাট পর্যন্ত হতে পারে। বেশি কথা বলার ফলে ক্ষতি হতে পারে। বাড়তি উপার্জনের যোগ রয়েছে। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না। ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে। পারিবারিক কারণে প্রচুর খরচ হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যবসায় অর্থাভাবের যোগ। প্রেমে বিবাদ বিচ্ছেদ পর্যন্ত যেতে পারে। কোনও অসৎ কাজের জন্য মনঃকষ্ট। কর্মস্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে। কোমরের কষ্ট বাড়তে পারে। সব কাজের জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। পরিবারের সঙ্গে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা বন্ধ হতে পারে। চিকিৎসার ব্যাপারে  খরচ বৃদ্ধি। দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। প্রতিবেশীর জন্য সম্মানহানি। সেবামূলক কাজে আনন্দ লাভ। বাড়ির লোকের কাছ থেকে দুঃখ পেতে পারেন। বন্ধুদের জন্য কষ্ট বাড়তে পারে। ভাল কাজে সাফল্য লাভ। পড়াশোনার জন্য বিদেশযাত্রার আলোচনা বন্ধ হতে পারে। আপনার আলোচনায় মানুষ সন্তুষ্ট হবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনাকে মালিকের বশ্যতা স্বীকার করে চলতে হতে পারে। শত্রুপক্ষের সঙ্গে আপস করে নিজের কাজ উদ্ধার করতে হবে। প্রয়োজনীয় বিষয়ে দ্রুত এগিয়ে যান। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ বিদ্যমান। সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে। শিক্ষকদের জন্য ভাল খবর। প্রেমের ব্যাপারে চাপ আসতে পারে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। নতুন বন্ধুর জন্য আনন্দ লাভ। স্ত্রীর কোনও কাজে শান্তি পেতে পারেন। শত্রুদের থেকে সাবধান থাকুন। কোনও আশা নষ্ট হতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি। কোনও মহিলার কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন। পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। স্বামীর আবদার পূরণ করতে হতে পারে। সন্তানের ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা। বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে। নেশা থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা। ব্যবসার ক্ষেত্রে ভাল কিছু ঘটতে পারে। চাকরির স্থানে উন্নতির যোগাযোগ লক্ষ করা যাচ্ছে। ব্যয় বাড়তে পারে। কোনও কাজে বার বার চেষ্টা করা বৃথা হবে। শারীরিক কষ্ট অবহেলা করবেন না। আইনি কাজের ব্যাপারে ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাড়ির কাছে কোথাও ভ্রমণ হতে পারে। কুচিন্তার কারণে মনঃকষ্ট। লটারি থেকে আয় হতে পারে। কোনও বন্ধুর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার যোগ রয়েছে। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে। বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট। ব্যবসার কাজে আনন্দ পাবেন। বিবাহের যোগাযোগ আসতে পারে। দুপুরের পরে একটু সাবধানে থাকুন, বিপদ ঘটতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখবর আসতে চলছে। আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির যোগ। সামাজিক সুনাম লাভ। ব্যবসার ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ আসতে পারে। বাড়তি খরচের জন্য দুশ্চিন্তা। চাকরির স্থানে বাড়তি আয় হতে পারে। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)সম্মানহানির সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে। চাকরির শুভ যোগাযোগ লাভে আনন্দ। পিতার সঙ্গে তর্ক হওয়ায় মনখারাপ। সারা দিন প্রিয়জনের সঙ্গলাভে আনন্দ। খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন। পেটের সমস্যা। বিবাহের ব্যাপারে কথাবার্তা হতে পারে। দাম্পত্য কলহেরর কারণে মনঃকষ্ট। পড়াশোনার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন। ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারেন।মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা। ব্যবসায় লাভের যোগ। দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। সম্পত্তির ব্যাপারে চাপ বৃদ্ধি। অপরের উপকারের জন্য খরচ বৃদ্ধি। ব্যবসায় উন্নতির ইঙ্গিত। চাকরির স্থানে জটিলতার জন্য চিন্তা। পরিজনের সঙ্গে সামান্য বিষয়ে তর্ক বাধতে পারে। একাধিক পথে উপায় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। কাজের ব্যাপারে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। খেলাধুলার জন্য পুরস্কৃত হতে পারেন। অহেতুক ক্রোধ বাড়তে পারে। নতুন কাজের জন্য যোগাযোগ হতে পারে। এবি 
    গোসলের যেসব ভুলে হতে পারে চর্মরোগ
    প্রতিদিন গোসল করা সবারই দৈনন্দিন অভ্যাস। তবে জানেন কি, সপ্তাহে মাত্র কয়েকবার গোসল করলেই আপনি থাকবেন সুস্থ। প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজনীয়তা নেই- এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।তবে আপনি যখনই ঘামবেন; তখনই গোসল করা জরুরি। গোসলের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি শুষ্কতা, চুলকানিসহ ত্বকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এমনকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে গোসলের মাধ্যমে।প্রতিদিন গোসল করার ভুল ধারণার মতো আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে আছে, যেগুলো অনেকেই এড়িয়ে যান। যেমন- গোসলের জন্য সঠিক সাবান নির্বাচন, ঠান্ডা বা গরম পানির ব্যবহার, ভুল তোয়ালে কিংবা শরীর মাজুনি পরিষ্কার না রাখা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অনেকেই সচেতন থাকি না। চর্মরোগের কারণ হতে পারে গোসলের অনুষঙ্গ অপরিষ্কার রাখা।চলুন তবে জেনে নিন গোসলে যেসব ভুল সবাই কমবেশি করে থাকেন->> প্রথমেই আসা যাক, গোসলের জন্য কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? অবশ্যই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান। এই ধরনের সাবান শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুহূর্তেই ধ্বংস করে দেয়। অন্যান্য সাবান ত্বকে ব্যবহার করলে শুষ্ক হয়ে যায়। তবে মাইল্ড সাবানও ব্যবহার করতে পারেন। এটিও ত্বকের জন্য ভালো, বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য। আপনার যদি একজিমা বা ত্বকের কোনো সমস্যা থাকে, তবে সুবাসযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না।>> শরীরের বেশ কিছু স্থান আছে, যেখানে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। যেমন-বগল, হাত, পায়ের পাতা ও মুখে। কারণ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় এই স্থানগুলো বেশি সংবেদনশীল। তাই এসব স্থানে সাবান ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও নিম্নাঙ্গে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়।>> গোসলের পর শরীর মোছার জন্য সবাই তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার করে থাকেন। সঠিকভাবে পরিষ্কারের অভাবে তোয়ালেতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাসসহ বিভিন্ন জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। জীবাণুযুক্ত তোয়ালে নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে চর্মরোগ পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে তোয়ালে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। ধুয়ে অবশ্যই রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।>> শুধু তোয়ালে পরিষ্কার রাখলেই হবে না, সঙ্গে শরীর মাজুনির কথা ভুলে গেলে চলবে না! এটি সবাই ব্যবহারের পর বাথরুমেই রাখেন! আর বাথরুম হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। তাই শরীর মাজুনি ব্যবহারের পর ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার কোনো স্থানে ঝুলিয়ে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। ৩-৪ সপ্তাহ অন্তর শরীর মাজুনি পরিবর্তন করতে হবে। যদি আপনার শররি মাজুনিটি প্লাস্টিকের হয়ে থাকে, তাহলে ২ মাস পরপর পরিবর্তন করতে হবে।>> সাধারণত শীতকালে সবাই কমবেশি গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। তবে জানেন কি, শুধু শীতকাল নয় গ্রীষ্মকালেও যদি আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল করেন; তাহলে আপনার ত্বক বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে। বিশেষ করে যাদের ত্বকে শুষ্কতা, চুলকানি, একজিমা বা সোরিয়াসিস আছে; তারা গরম পানি দিয়ে গোসলের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। ৫-১০ মিনিট হট বাথ নিলে বিভিন্ন ত্বকের রোগের প্রকোপ কমে।>> প্রতিদিন যেমন গোসলের প্রয়োজন নেই: ঠিক তেমনই নিয়মিত চুল পরিষ্কার করারও প্রয়োজন নেই। যদি আপনার চুল অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় বা শরীরচর্চার পর মাথার ত্বক ঘামে কিংবা নোংরা হয়; তাহলেই কেবল চুল পরিষ্কার করতে পারেন। মাথার ত্বকে তৈলাক্তভাব না আসলে চুলে শ্যাম্পু করার দরকার নেই!>> বাথরুমে একটি গ্র্যাব বার থাকা খুবই জরুরি। অনেক সময় বাথরুমে অনেকেই পড়ে যান! এমন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে বাথরুমে একটি গ্র্যাব বার অবশ্যই লাগাবেন। জানেন কি, যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজারের মধ্যে ১০ জন মানুষ বাথরুমে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে থাকেন। এজন্য বাথরুমের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে একটি গ্র্যাব বার লাগানো আবশ্যক।>> গোসলের সময় ঝরনা সবাই ব্যবহার করে থাকেন! তবে এর এর মাথাটি কখনো পরিষ্কার করার কথা ভেবেছেন? ঝরনার মাথায় জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। তাই যখন আপনি পানি ছাড়বেন, ওই জীবাণুগুলো আপনার শরীরেই পড়বে। গরম পানি দিয়ে নিয়মিত মুছে, শাওয়ারহেড পরিষ্কার রাখবেন।>> গোসলের পরপরই ময়েশ্চারাইজার, ক্রিম বা লোশন ব্যবহার না করলে ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ ও শুষ্ক। গোসলের পর তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে নেওয়ার পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।>> শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত থাকলে, ওই স্থানে ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়ে তবে গোসল করা উচিত।>> বাথরুমে এক্সহস্ট ফ্যান না থাকলে দ্রুত লাগানোর ব্যবহার করুন। বাথরুম বদ্ধ স্থান হওয়ার কারণে, সেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু বাসা বাঁধে। যদি আপনার বাথরুমে এক্সহস্ট ফ্যান থাকে; তাহলে ভেতরের বাতাস বাইরে বের করার মাধ্যমে বাথরুম জীবাণুমুক্ত থাকবে।সূত্র: ওয়েব এমডিএমআর
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল। মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব বুদ্ধি নিয়ে চলতে হবে। ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে। মধুর ব্যবহার আপনাকে জনপ্রিয় করে তুলবে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা। ব্যবসায় লোকের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। সম্মানপ্রাপ্তির যোগ দেখা যাচ্ছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। দাম্পত্য কলহ বাধার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কেউ আপনাকে ঠকাতে পারে। সাংসারিক সমস্যা মিটে যাবে। অতিরিক্ত বন্ধুপ্রীতি আপনাকে ভোগাতে পারে। প্রতিবেশীদের চাপে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। স্থির মস্তিষ্কে শত্রুর মোকাবিলা করুন। গুরুজনদের স্বাস্থ্যের উন্নতি লক্ষ করা যাবে। সন্তানদের কাজে গর্ববোধ। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অতিরিক্ত ব্যয় চিন্তায় ফেলতে পারে। পুরনো ব্যথা বাড়তে পারে।মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ পণ্ড হতে পারে। উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনা সফল হবে। প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে দূরে থাকাই ভাল হবে। চক্ষুপীড়ার যোগ। কোনও ভাল চিন্তা আপনাকে সারা দিন আচ্ছন্ন রাখবে। ভ্রাতৃবিরোধের যোগ দেখা যাচ্ছে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকাই ভাল। বাড়িতে আত্মীয়ের সমাবেশ হতে পারে। নিজের মেধা প্রকাশের সুযোগ পাবেন। সামাজিক কাজে বেশি না জড়ানোই শ্রেয়, মানহানির আশঙ্কা। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)প্রেমের বিষয়ে খুব ভেবেচিন্তে এগোনো উচিত। শেয়ার বাজারে লাভ দেখা যাচ্ছে, তবে খুব চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। কর্মদক্ষতায় চাকরির স্থানে সুনাম অর্জন করতে পারবেন। বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে সংসারে অশান্তি। যে কোনও কাজের চেষ্টা করতে পারেন, ফল শুভ হবে। বাড়িতে কারও বিয়ে নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সন্তানদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার বজায় রেখে চলুন। রাস্তায় ছোটখাটো আঘাত লাগতে পারে।সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)স্ত্রীর জন্য বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন। কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে। নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতার যোগ। গৃহনির্মাণে বাধা পড়তে পারে। সপরিবার ভ্রমণ হতে পারে। যানবাহন চালানোয় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখুন। কর্মক্ষেত্রে বদলির সম্ভাবনা। নিজের কৌশলে ব্যবসায় উন্নতির যোগ। কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। সঙ্গীতচর্চায় নতুন রাস্তা খুলতে পারে। পরিশ্রমের সুফল পাবেন। প্রতিবেশীর দ্বারা ব্যবসায় উপকার পেতে পারেন। কারও প্ররোচনায় হঠাৎ কোনও কাজে হাত দিয়ে দেবেন না। পারিবারিক অশান্তি মিটে যাওয়ার সঙ্কেত। অতিরিক্ত কথা বলায় বিবাদের যোগ। পেটের সমস্যা একটু থাকবে। কর্মস্থানে পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)কোনও ভাল জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ। বন্ধুদের দিক থেকে ক্ষতি হতে পারে। ব্যবসায় দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি। আপনার কোনও আচরণ লোকের খারাপ লাগতে পারে। শরীরে যন্ত্রণা বৃদ্ধি। শত্রুভয় বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে কোনও মহিলার সঙ্গে নতুন ভাবে বন্ধুত্ব শুরু হতে পারে। কাজের জায়গায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘ দিনের কোনও ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। সন্তানদের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য। কোনও জটিল সমস্যা আপনাকে ভোগাতে পারে। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন। প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন। কর্মস্থানে নিজের কিছু ভুল শোধরানোর জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে রুক্ষতা বাড়বে। বিশেষ কোনও আলোচনা থাকলে সেরে ফেলুন। শারীরিক দুর্বলতায় ভোগান্তি। কর্মস্থানে ভাল পরিকল্পনার জন্য সুনাম বাড়তে পারে। গুরুজনের কথায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ কোনও কাজের সুযোগ আসতে পারে। পারিবারিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন। ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)ধর্মবিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে। মাত্রাছাড়া আবেগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা দূর হবে। প্রিয় কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে। খাদ্যের প্রতি লোভ সামলাতে না পারলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বন্ধুদের কারণে কোথাও সম্মানিত হতে পারেন। ব্যবসার ব্যাপারে মনোবল বাড়ান। কাউকে পরামর্শ না দেওয়াই ভাল হবে। হতাশার জন্য শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা। মানুষের সেবায় শান্তিলাভ। গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিপত্তি ঘটতে পারে। দাম্পত্য জীবনে হঠাৎ করে অশান্তি শুরু হতে পারে।মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার ব্যাপারে বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। ভ্রমণের পরিকল্পনায় বাধা আসতে পারে। প্রেমের জট ছেড়ে যাবে। ব্যয়ের প্রতি একটু বেশি নজর দিতে হবে। স্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ কেটে যাবে। সন্তানের সুবুদ্ধি ঘটতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলাই ভাল। সাংসারিক শান্তি বজায় থাকবে। পুরনো শত্রুর কাছ থেকে বন্ধুর মতো ব্যবহার পাবেন। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন। সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। প্রতিভা প্রকাশের বিশেষ দিন। মনে মনে কোনও ভয় আপনার বুদ্ধিনাশ করতে পারে। আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে। আমাশয়-জাতীয় রোগে কষ্ট পেতে পারেন। বাড়ির পরিবেশ আপনার অনুকূল থাকবে। বাড়ির বড়দের শরীর নিয়ে একটু চিন্তা থাকতে পারে। উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে বিশেষ সুযোগ আসতে পারে।মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)ছাত্রছাত্রীরা বহুমুখী প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবেন। নিঃসঙ্গতা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। ঘরের পরিবেশ অনুকূল থাকলেও বাইরের পরিবেশ তেমন উপযুক্ত হবে না। বাড়ির গুরুজনদের নিয়ে ভ্রমণ হতে পারে। উচ্চশিক্ষায় বাধা পড়তে পারে। প্রেমের ক্ষেত্র খুব শুভপ্রদ। নিজের ধৈর্যের জন্য প্রশংসা পেতে পারেন। সংসারে বা ব্যবসায় বিশেষ পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এবি 
    খেজুর ভেজানো পানির জাদুকরী গুণ
    খেজুর সবচেয়ে জনপ্রিয় শুকনো ফলের মধ্যে অন্যতম। এর স্টিকি টেক্সচার এবং প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদ সবাই পছন্দ করেন। সেইসঙ্গে এটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা এই ফলকে প্রক্রিয়াজাত চিনির একটি চমৎকার বিকল্প করে তোলে। যদিও কেক বা স্মুদিতে খেজুরের ব্যবহার অনেকে জানেন, তবে আপনি কি কখনো খেজুর ভেজানো পানি পান করেছেন? খেজুরের পানি খেজুরের মতোই স্বাস্থ্যকর এবং যারা চিনিযুক্ত পানীয় এড়াতে চান তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক খেজুর ভেজানো পানি পানের উপকারিতা সম্পর্কে-১. হজমের স্বাস্থ্য ভালো রাখেআপনি কি ইদানীং হজমের সমস্যায় ভুগছেন? যদি তাই হয়, তাহলে খেজুরের পানিতে চুমুক দেওয়ার চেষ্টা করুন। এই শুকনো ফলটি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস, এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য দারুণ করে তোলে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২১ জন লোক যারা ২১ দিনের জন্য প্রতিদিন ৭টি খেজুর খেয়েছিল তাদের মল ফ্রিকোয়েন্সিতে উন্নতি হয়েছে। সুতরাং, আপনি যদি পেটফাঁপা এবং গ্যাসের মতো সমস্যাকে দূরে রাখতে চান তবে খেজুরকে আপনার নতুন সেরা বন্ধু করুন।২. ত্বকের জন্য ভালোস্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল এবং তারুণ্যময় ত্বক এমন একটি জিনিস যা আমরা সকলেই কামনা করি। খেজুরের পানি অনায়াসে এই ইচ্ছা পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে। এনআইএইচ অনুসারে, মধ্যবয়সী নারীরা যারা ৫% খেজুরের কার্নেলযুক্ত স্কিন ক্রিম ব্যবহার করেছিলেন তাদের বলিরেখার উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে। খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যার মানে এর পানিও আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্ট করতে সাহায্য করবে।৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেআপনি কি জানেন খেজুরের পানি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে? ডায়াবেটিস রোগীরা খেজুর খেতে পারেন, তবে তা সীমিত হতে হবে। খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কম থাকে এবং এর পানিতে চুমুক দিলে তা আপনার মিষ্টি পানীয়ের লোভ কমাতে সাহায্য করতে পারে। মেডিসিনাল ফুড জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিক ডায়েটে খেজুর যোগ করলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং লিপিড প্রোফাইল উন্নত করতে সহায়তা করে।৪. হার্টের স্বাস্থ্য ভালোহ্যাঁ, খেজুরের পানি আপনার হার্টের জন্যও উপকারী হতে পারে! এনআইএইচ-এর মতে, খেজুর খাওয়ার অভ্যাস কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য, বিশেষ করে প্লাজমা লিপিডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। সেইসঙ্গে খেজুরে উচ্চ ফাইবার সামগ্রী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি এগুলিকে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দুর্দান্ত করে তোলে। নিয়মিত খেজুরের পানি পান করলে তা হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, আপনাকে সুস্থ রাখে।বাড়িতে খেজুরের পানি কীভাবে তৈরি করবেন?একমুঠো খেজুর নিয়ে সেগুলোকে অর্ধেক করে কেটে এবং বীজগুলো ফেলে দিন। এবার একটি বড় প্যানে পানি ফুটিয়ে নিন। খেজুরগুলো প্যানে দিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য সেদ্ধ করুন। আগুন বন্ধ করুন এবং একটি ঢাকনা দিয়ে প্যানটি ঢেকে দিন এই খেজুর সেদ্ধ করা পানি ঘরের তাপমাত্রায় কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা রেখে দিন। এটি আপনি ঠান্ডা বা গরম উভয়ভাবেই পান করতে পারবেন।এমআর

    Loading…