এইমাত্র
  • দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জামায়াতের আমীর
  • মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সংস্কার কাজে আসবে না: নুর
  • বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে মনে করে হাওয়ায় ভাসবেন না: মির্জা ফখরুল
  • খানসামায় যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
  • চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ১
  • মনিটাইজেশনের শর্ত আরও সহজ করলো ফেসবুক
  • শেরপুরে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
  • ডিবি কার্যালয়ে আয়নাঘর-ভাতের হোটেল থাকবে না: রেজাউল করিম
  • আগামী ৩ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানালো অধিদপ্তর
  • চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • আজ শনিবার, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৫ অক্টোবর, ২০২৪

    আন্তর্জাতিক

    ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে নৌ ও বিমান হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র
    ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথিদের অন্তত ১৫টি স্থাপনায় হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ‘নৌ চলাচল নির্বিঘ্ন’ রাখতে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। হামলায় রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের প্রধান কয়েকটি শহরে কিছু বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির। গত নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে অন্তত একশ জাহাজে হামলা করেছে এবং এর মধ্যে দুটি নৌযান ডুবে গেছে।এদিকে, বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীটি বলেছে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিশোধ নিতে তারা এসব হামলা করেছে।মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে এবার হুথিদের অস্ত্র সম্ভার, ঘাঁটি ও অন্য উপকরণ লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। হুথি সমর্থিত মিডিয়া জানিয়েছে যেসব শহর আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে সানা একটি।গত সোমবার হুথিরা জানিয়েছে তারা ইয়েমেনের আকাশসীমায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এমকিউ-৯ রিয়েপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি মনুষ্যহীন আকাশযান হারানোর কথা স্বীকার করেছে।হুথি সমর্থিত মিডিয়া জানিয়েছে যেসব শহর আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে সানা একটি। সেখানকার প্রধান বন্দর নগরী হোদেইদার বিমান বন্দরে এবং হুথি নিয়ন্ত্রিত সামরিক ঘাঁটি কাথেইব এলাকায় সাতবার বিমান আঘাত হানে। রাজধানী সানায় চার বার এবং ধামার প্রদেশে দু বার আঘাত হানা হয়। হুথির মিডিয়া দপ্তর আরও জানায় যে সানার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বায়দা প্রদেশেও তিন বার বিমান হামলা চালানো হয়।গত সপ্তাহে পেন্টাগন বলেছে হুথিরা ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ লক্ষ্য করে ‘জটিল হামলা’ চালিয়েছে। যদিও হুথিদের নিক্ষেপ করা সব কিছুই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।ইয়েমেনের লড়াইরত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় সানায় গত দুই বছর তেমন কোনো বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। তবে লোহিত সাগরে নৌযানের ওপর হামলার পাশাপাশি হুথিরা সরাসরি ইসরায়েলে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।গত জুলাইতে ইয়েমেন থেকে পাঠানো ড্রোন হামলা হয়েছে তেল আবিবে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও দশ জন আহত হয়।গত মাসে তারা ইসরায়েলে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে, যার একটির লক্ষ্য ছিলো ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর। উভয় ঘটনাতেই ইসরায়েল ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা করে পাল্টা জবাব দেয়।এবি 
    কানাডাতে মহালয়া উদযাপিত
    কানাডায় মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার পুণ্যলগ্ন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সাউথইস্টের নিজস্ব মন্দির ভবনে এ মহালয়ার আয়োজন করা হয়।সনাতনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ এদিন থেকেই দেবীপক্ষের শুরু। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনাও শুরু এদিন থেকে। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। পুরান মতে, এদিন মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান দেবী দুর্গা। চন্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন করছেন ভক্ত-অনুসারীরা।মহালয়ার পর আগামী ১২ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ১৪ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব।উল্লেখ্য, বরাবরের মতো এ বছর ও কানাডার ক্যালগেরিতে ‘ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ’, ‘আমরা সবাই’ ও ‘বাংলাদেশ পূজা পরিষদ’ পৃথক পৃথকভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করবেন।পিএম
    ৯ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
    সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন(এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এর মাধ্যমে ৯ বছরের পর পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখবেন ভারতের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী।শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘এবার ১৫ ও ১৬ অক্টোবর এসসিও-র কাউন্সিল অব হেডস অব গভর্নমেন্ট (সিএইচজি)-এর বৈঠকের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। এ সম্মেলনে আমাদের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।’প্রসঙ্গত, সবশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এদিকে দীর্ঘ ৯ বছর পর ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাকিস্তান সফরে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, সম্মেলনের পাশাপাশি কি দুই দেশের আলাদা কোনো বৈঠক হবে? যদিও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।তিনি জানান, শুধুমাত্র এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে গত আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পাকিস্তান। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।কূটনীতিকরা বলছেন, এই সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় বার্তা দিল নয়াদিল্লি। কারণ আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় বড় ভূমিকা নেয় এসসিও। সেই সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়ে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিল, এই সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ভারত।উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও এসসিও-এর সদস্য দেশগুলো হল— চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। গত বছর এসসিও সম্মেলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারত। গত বছরের জুলাইয়ে ভার্চুয়ালি এই সম্মেলন হয়েছিল।২০০৫ সালে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে এসসিওতে যোগ দেয় ভারত। ২০১৭ সালে পূর্ণ সদস্য হয়। একই বছর এসসিওর পূর্ণ সদস্য দেশ হয় পাকিস্তানও।সূত্র: রযটার্স, এনডিটিভিএমআর
    শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়ার আহ্বান খামেনির
    ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনকে রুখতে মুসলিম বিশ্বে ঐক্যের ডাক দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এক হয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়তেও আহ্বানও জানান তিনি। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তেহরানে ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় এসব কথা বলেন সর্বোচ্চ এ নেতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুপক্ষ মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ ছড়িয়ে দিতে বিভাজন ও ঘৃণার বীজ বপন করার নীতি অবলম্বন করে। একই পক্ষ আবার ফিলিস্তিনি, লেবাননি, মিসরীয় এবং ইরাকিদেরও শত্রু। তারা ইয়েমেনি ও সিরীয়দের শত্রু। আমাদের শত্রু একই।’ প্রায় এক বছর ধরে গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকে হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে মঙ্গলবার  ইসরাইলে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরাইল যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজে খুতবা দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। খুতবায় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হিজবুল্লাহপ্রধান নাসারুল্লাহর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তবে তার আদর্শ ও তার দেখানো পথ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। তার শাহাদত এই আন্দোলন আরও জোরদার হবে। নাসরুল্লাহর জীবনদান বৃথা যাবে না। আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, নাসরুল্লাহর নেতৃত্বে হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এরপর গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের অভিযানকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন খামেনি। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লেবানিজ ও ফিলিস্তিনিরা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়ছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার কোনো আন্তর্জাতিক আইনে নেই। তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে জায়নবাদী ও আমেরিকানরা অনেক স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু আমরা জায়নবাদীদের শিকড় উপড়ে ফেলব। অবশ্য তাদের কোনো শিকড়ই নেই। এরা ভুয়া ও অস্থিতিশীল। শুধু মার্কিন সমর্থন নিয়েই টিকে আছে।’ এ খুতবায় খামেনিকে একনজর দেখতে তেহরানে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। মুসল্লিদের কারও কারও হাতে হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা ছিল। আবার কারও কারও হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। খামেনির আগে ইসরাইলকে মোকাবিলায় মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলোকে তেহরান নিজেদের ‘ভাই’ হিসাবে দেখে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।পিএম
    শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত জাতিসংঘ মহাসচিব
    ২০২৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে মনোনীত করেছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার প্রদান কমিটি। সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।আগামী ১১ অক্টোবর থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হবে।জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইউনাইটেড নেশন্স প্যালেস্টাইনিয়ান রেফিউজি এজেন্সি (আনরোয়া) এবং জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ড অব জাস্টিসকেও (আইসিজে) নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র এবং অর্থনীতি— এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। শান্তি ব্যাতিত বাকি ৪টি খাতে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন এবং প্রদানের ব্যাপারটি দেখভাল করে সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি; আর শান্তিতে নোবেলের প্রার্থী মনোনয়ন ও পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে রয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। সূত্র জানায়, শান্তিতে চলতি বছরের নোবেলের জন্য রাশিয়ার সাবেক বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও সম্ভাব্য মনোনীতদের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু পরে উভয়কেই বাদ দেওয়া হয়েছে।অ্যালেক্সেই নাভালনিকে বাতিল করার কারণ তিনি মারা গেছেন। আর ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বাদ পড়েছেন এই কারণে যে তিনি একটি যুদ্ধরত দেশের প্রেসিডেন্ট।নরওয়ের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরদাল রয়টার্সকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত-সংঘর্ষ চলছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার তৃতীয় বছরে পা রাখতে চলেছে, সুদানে গত দেড় বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত হচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও হামাস একে অপরকে ধ্বংসের লক্ষ্যে প্রায় এক বছর ধরে মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে।এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে সহিংসতা এবং রক্তপাত বন্ধের জন্য যারা বা যেসব সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, নোবেল কমিটি এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য তাদেরকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের বিশ্লেষণ তা-ই বলছে।নোবেল শান্তি পুরস্কার বিষয়ক ইতিহাসবিদ অ্যাশলে সেভিনের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীজুড়ে যে বৈশ্বিক আইনের শাসন চালু হয়েছিল, তা গত কয়েক বছরে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই বৈশ্বিক আইন ও বিশ্বব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে যারা অবদান রাখছেন, তাদেরকেই এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মনোনয়ন দিচ্ছে নরওয়ের নোবেল কমিটি। সেই হিসেবে পুরস্কারের জন্য মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং আইসিজের মধ্যে।অ্যাশলে সেভিন রয়টার্সকে বলেন, এই মুহূর্তে আন্তোনিও গুতেরেস হচ্ছেন জাতিসংঘের শীর্ষ প্রতীক। অন্যদিকে, মানবিক ইস্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত সব আন্তর্জাতিক আইনের সুরক্ষা এবং সেগুলো প্রয়োগের দায়িত্বে রয়েছে জাতিসংঘের আদালত আইসিজে। এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র : রয়টার্স।এফএস
    প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য হয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সেইসঙ্গে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিয়েছেন তিনি।বৈঠক শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম।বাংলাদেশিদের শ্রমবাজার নিয়ে তিনি বলেন, মালোয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার বাংলাদেশি নেওয়া হবে।আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকবে।সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। বৈঠকে রাজনৈতিক, মানবিক, বাণিজ্যিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে কথা বলেছি।আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে।এফএস
    মুসলিম বিশ্বের সবার শত্রু একই: জুমার খুতবায় খামেনেয়ি
    পুরো মুসলিম বিশ্বের শত্রু একই বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) তেহরানে জুমার নামাজের খুতবায় তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর আলজাজিরার।খামেনেয়ি বলেন, আমাদের শত্রুদের গৃহীত নীতি হলো বিভাজন ও রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করা। মুসলমানদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা। ফিলিস্তিনি, লেবানিজ, মিসরীয় ও ইরাকিদের শত্রু একজনই। তারা ইয়েমেন ও সিরিয়ার জনগণের শত্রুও। আমাদের সবার শত্রু একই।তিনি বলেন, আগ্রাসনকারীদের হাত থেকে আত্মরক্ষার অধিকার প্রতিটি দেশেরই রয়েছে। মুসলিম দেশগুলোকে তাদের সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে।দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা এবং ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ‘আইনত ও বৈধ’ বলেও জানান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।খামেনেয়ি জানান, ইসরায়েলকে দমনে দায়িত্ব পালনে তার দেশ বিলম্ব বা তাড়াহুড়ো করবে না। খুতবায় ফিলিস্তিনের পক্ষেও বক্তব্য দেন তিনি। বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে। সেই অপরাধীদের রুখে দাঁড়াতে এমন কোনো একক আদালত বা আন্তর্জাতিক সংস্থা নেই যা ফিলিস্তিনি জনগণকে কেবল তাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য দোষারোপ করতে পারে।ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং লেবাননে মিত্র হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো তিনি এই খুতবা দিলেন।এই উপলক্ষে তেহরানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। কারও কারও হাতে হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা দেখা যায়। কেউ বা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে আসেন। তবে সবার উদ্দেশ্য একটিই- খামেনিকে এক নজর দেখা।প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম জুমার খুতবা দিলেন খামেনেয়ি। ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই খুতবা দিলেন।ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়। সবশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন তিনি। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন। প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এ ঘটনার পর খামেনেয়ি জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন।এফএস
    আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন খামেনি, দিতে পারেন নির্দেশনা
    দীর্ঘ ৪ বছর পর তেহরানের ইমাম খোমেনি গ্র্যান্ড মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতি করতে যাচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) তিনি জুমার নামাজের ইমামতি করতে যাচ্ছেন তিনি। জনসাধারণের উদ্দেশে বক্তৃতাও দেবেন খামেনি, যেখানে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের ‘পরবর্তী পরিকল্পনা’র ওপর আলোকপাত করা হতে পারে।এমন এক সময়ে খামেনি এই বক্তৃতা দিতে যাচ্ছেন, যখন ইসরাইলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার এক বছর পূর্তি হওয়ার বাকি আছে মাত্র তিন দিন। গত বছরের ৭ অক্টোবর এ হামলা চালানো হয়েছিল। এরপর থেকেই গাজায় বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর জন্য ইরানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এক ‘স্মরণ সভা’র পর প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।এর আগে, হিজবুল্লাহর নেতৃত্বের ওপর ইসরাইলের হামলার জবাবে তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেয়ার পর, গেল বুধবার প্রথমবার জনসমক্ষে আসেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। এদিন তিনি বিজ্ঞানী এবং শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে জানায় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। খামেনি সেদিন বলেন, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরান এখনও শোকস্তব্ধ। কিন্তু শোকে থাকা মানে হতাশাগ্রস্ত হওয়া এবং হাত গুটিয়ে বসে থাকা নয়।এছাড়া, গাজা উপত্যকা এবং লেবানন সম্পর্কিত সমস্যাগুলো অদূর ভবিষ্যতে সমাধান করার প্রতিশ্রুতিও দেন আয়াতুল্লাহ খামেনি।পিএম
    এবার গাজার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
    এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রধানমন্ত্রী রাহী মুস্তাহাসহ আরও দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ খবর দাবি করে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তিন মাস আগে গাজার প্রধানমন্ত্রী রাহী মুস্তাহা, হামাস কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ এবং সামি ওদেহকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় —এখন তারা নিশ্চিত হয়েছে তাদের হামলায় এই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, যখন হামলা চালানো হয় তখন এ তিনজন গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি সুড়ঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।ইসরায়েলি বাহিনী আরও দাবি করেছে, যে সুড়ঙ্গে গাজার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেটিতে অনেক সুযোগ-সুবিধা ছিল এবং দীর্ঘদিন অবস্থান করার মতো রশদ ছিল।হামাসের যোদ্ধাদের যেন মনোবল না ভাঙে সেজন্য এতদিন হামাস এই তথ্য গোপন রেখেছিল বলেও দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল।গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। এরমধ্যে হামাসের যোদ্ধা, কর্মকর্তা ছাড়াও হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ রয়েছেন।যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল জানিয়েছিল, গাজা থেকে হামাসকে তারা পুরোপুরি নির্মূল করে দেবে। তবে এখন পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েল তাদের এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।এবি 
    নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে অন্তত ১০০ জন নিখোঁজ
    পশ্চিম আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে অন্তত ১০০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটেছে এই ঘটনা।প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার পর নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় মকওয়া রাজ্যের নাইজার নদী পাড়ি দেওয়ার সময় যাত্রীবাহী ডুবে যায়। স্থানীয়ভাবে তৈরি কাঠের তৈরি সেই নৌকার যাত্রী ধারনের ক্ষমতা যেখানে ছিল ১০০ জন, সেখানে নৌকার মাঝি ও তার সহকারীরা প্রায় ৩০০ যাত্রী তুলেছিলেন। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে মাঝনদীতে যাওয়ার পর পরই ডুবে গেছে নৌকাটি।মকওয়ার রাজ্যের মুন্ডি জেলা থেকে গিবাজিবো জেলার দিকে যাচ্ছিল নৌকাটি। যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও শিশু। একটি উৎসবে যোগদান শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।নাইজেরিয়ার দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর (এনএসইএমএ) কেন্দ্রীয় শাখার মুখপাত্র আবদুল্লাহি বাবা-আরাহ জানিয়েছেন, নৌকাডুবির পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে ১৫০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, সেই সঙ্গে মৃত ‍অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৫০ জনকে, কিন্তু বাকিদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।গণমাধ্যমকে আবদুল্লাহি বাবা-আরাহ বলেন, “আমাদের অনুসন্ধান এবং তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি শিগগিরই নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যাবে।”তবে মকওয়ার নৌ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইলিয়া ওমরের মতে, নিখোঁজদের সবার সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন নাইজেরিয়ায় বর্ষাকাল চলছে। নদ-নদীগুলোতে পানির যে স্রোত, তাতে এখন নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া প্রায় অসম্ভব।”নৌকাডুবে বহু মানুষের মৃত্যু অবশ্য নাইজেরিয়ায় বিরল কোনো ঘটনা নয়। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার নাইজার রাজ্যে নৌকাডুবে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।  পিএম
    কোনদিকে যাচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
    ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে সম্প্রতি অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া স্থল অভিযানের সঙ্গে লেবাননে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এমন প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এনিয়ে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।এদিকে ছয় মাসের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ইরানের হামলার পর একদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন ‘ইরানকে মূল্য দিতে হবে’। অন্যদিকে, ইসরায়েল যদি জবাব দেয়ার চেষ্টা করে, আবারো পাল্টা হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। খবর বিবিসির এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতির দিকে। ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েলের পদক্ষেপ কী হবে সেটি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।এদিকে হামাস, হেজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা ও ইরানের কমান্ডারদের হত্যার জবাব হিসেবেই মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।বিবিসির আন্তর্জাতিক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন তার বিশ্লেষণে বলছেন, ইরান ‘সিরিয়াস ড্যামেজ’ (গুরুতর ক্ষতি) ঘটানোর চেষ্টা করেছিল বলেই দেখা যাচ্ছে। ফলে ইসরায়েলের জবাব কী হয় সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। বিবদমান দুই দেশ এবং তাদের মিত্রদের তৎপরতায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি কোনদিকে যেতে পারে? এ ব্যাপারে মি. বোয়েন এবং বিবিসির নিরাপত্তাবিষয়ক সংবাদদাতা ফ্র্যাংক গার্ডনারের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে।গত এপ্রিলে ইরান যখন ইসরায়েলে আক্রমণ করে, তখন দৃশ্যমান কিছু একটা কিছু করে দেখানোর প্রচেষ্টাটা লক্ষণীয় ছিল। কিন্তু সেটা একটা প্রচেষ্টা হিসেবেই থেকে যায়। কারণ, সেবার তাদের প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলি এবং আমেরিকান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে ভূপাতিত হয়।তবে এবারের ব্যাপারটা ভিন্ন। ইরান গুরুতর ক্ষতি করার চেষ্টাতেই জোরদার আঘাত হেনেছে বলে মনে হচ্ছে। এবার অনেক বেশি আগ্রাসী তাদের প্রচেষ্টা।ইসরায়েলিদের মনোভাবগত এপ্রিলে নেতানিয়াহুকে বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালাতে বারণ করেছিলেন জো বাইডেন। তাতে ইসরায়েলেরই জয় হবে বলে অভিমত ছিল তার। ইসরায়েলও সেবার জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।  তবে গতবার ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সহযোগিরা দেশটিকে যেভাবে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছিলো। এবার তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন ইসরায়েলে ভিন্ন হাওয়া বইছে। গতরাতে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের করা টুইটের দিকে তাকালে এর একটা আভাস পাওয়া যায়। সেখানে বেশ কড়া ভাষা ব্যবহার করেছেন মি. বেনেট। তিনি লিখেছেন, ‘৫০ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সুযোগ মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা পাল্টে দেওয়ার।’ইরানের ‘সন্ত্রাসী সরকারকে মারাত্মকভাবে পঙ্গু করে দিতে’ তাদের পরমাণু অবকাঠামোর দিকে নজর দেওয়া উচিত ইসরায়েলের, এমনটা মনে করছেন মি. বেনেট।তিনি যদিও এখন প্রধানমন্ত্রী নন। তবে, ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করা হয়, নিজেকে কঠোর হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা হয়তো সেজন্যই। কিন্তু তার বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই দেশটির নাগরিকদের অন্তত একাংশের মনোভাবের প্রতিফলন।এই মুহূর্তে ইরানের অর্থনীতির ক্ষতির কারণ হতে পারে এমন যে কোনো কিছুতে ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মনে করেন জেরেমি বোয়েন। হতে পারে সেটি পরমাণু প্রকল্প কিংবা পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনা। ইসরায়েলের ‘সমস্ত অবকাঠামোতে’ হামলার হুঁশিয়ারিতেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যদি কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়, তবে ইসরায়েলের সমস্ত অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাবে ইরান।ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর যুগ্ম প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যদি (ইসরায়েল)... এই ধরনের অপরাধ অব্যাহত রাখে বা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিছু করতে চায়, তাহলে আজকের রাতের অভিযান আরও কয়েকগুণ শক্তিশালী হবে এবং তাদের সমস্ত অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।’তিনি আরও বলেন, যে ইরানের বিশেষায়িত সামরিক শাখা রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার জন্য প্রস্তুত।ইরানের ঢাল হেজবুল্লাহলেবাননের হেজবুল্লাহ ইরানের একটি প্রতিরক্ষা ঢাল হিসেবে কাজ করে আসছিল। ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো আক্রান্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে, হেজবুল্লাহর ভাণ্ডারে থাকা অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো প্রতিরোধের কাজে লাগানো যেতো। কিন্তু মার্কিন এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে সশস্ত্র সংগঠনটির অর্ধেক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব শেখ হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন। লেবাননে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি সেনারা, ফলে হেজবুল্লাহর কারণে ইরানের যে প্রতিরোধটুকু ছিল, সেটি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। জেরেমি বোয়েনের বিশ্লেষণ, এর ফলে ইসরায়েল আরও অবাধে তৎপরতা চালাতে পারছে।আর ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, ইসরায়েলের এখনকার কৌশল হিসেবে দেখা যাচ্ছে এক সাথে দু’ভাবে এগোনোর চেষ্টা। গুপ্ত হামলায় শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করা, বিমান হামলা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা, যার মাধ্যমে ইরান ও ছায়াশক্তিগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া যে ইসরায়েলে আঘাত করলে আরও বেশি শক্তির মুখোমুখি হতে হবে। তবে লেবাননের সম্মুখ যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাদের প্রতিহত করার দাবি করেছে হেজবুল্লাহ।বুধবার দুইবার মুখোমুখি লড়াই হয়েছে বলে জানায় তারা। সংগঠনটির বক্তব্য, এগুলো যুদ্ধের প্রথম পর্যায়।প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত দক্ষিণ লেবাননে নিজেদের অন্তত আটজন সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাইরানে হামলার জন্য দীর্ঘদিনের একটি পরিকল্পনা ইসরায়েলের হাতে থেকে থাকবে। অবশ্যম্ভাবী সামরিক লক্ষ্যবস্তু হবে স্থলভাগে, যেখান থেকে মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।ফায়ারিংয়ের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র যেখানে রাখা হয়েছে, সেই জায়গাই শুধু নয়, কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, এমনকি রিফুয়েলিং সেন্টারগুলোও এর আওতায় থাকার কথা।বুধবার গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ, গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের ইতি টানার মতো পরিস্থিতি হয়নি এখনো। অন্যদিকে জো বাইডেন ভূমধ্যসাগরে আরও সৈন্য পাঠিয়ে ইরানকে ইঙ্গিত করছেন, যদি ইসরায়েলের ওপর আঘাত আসে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত বলেই বিবেচিত হবে।এসব কারণে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নিয়ে কথা উঠছে। চলমান ঘটনাপ্রবাহে তৈরি অস্থিতিশীলতা ও অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ একেবারেই ক্ষীণ হয়ে এসেছে।জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তে থাকা আগুন দ্রুতই নরকে রূপ নিচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। অবশ্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিজেদের দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
    জাপানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ
    জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পুঁতে রাখা একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আত্মঘাতি আক্রমণ ঠেকানোর জন্য এটি পুঁতে রাখা হয়েছিল।  আকস্মিক বোমা বিস্ফারণে ফলে বিমানবন্দরের একটি ট্যাক্সিওয়েতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রায় ৯০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।জাপানের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার মতে, রানওয়ের পাশের ট্যাক্সিওয়ের মাঝখানে সাত মিটার (২৩ ফুট) চওড়া এবং এক মিটার (৩.২ ফুট) গভীরে বিস্ফোরণ হলে মিয়াজাকি বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।নিকটবর্তী একটি এভিয়েশন স্কুলের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণটি ঝর্ণার মতো ছড়িয়ে পড়ে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে ৫০০ পাউন্ড ওজনের মার্কিন বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে।  এছাড়া আরো কারণ খতিয়ে দেখছেন তারা।জাপান গ্রাউন্ড সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্সের একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল জানিয়েছে, বোমাটি আমেরিকান। যা ভূপৃষ্ঠের নীচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তারা ধারণা করছেন, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময় লুকিয়ে রাখা হয়।স্থানীয় সম্প্রচারকারী এমআরটি জানায়, বিস্ফােরণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি তবে লাইভ ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে বিস্ফোরণের মাত্র দুই মিনিট আগে ওই কাছাকাছি জায়গায় ট্যাক্সি চলাচল করছিল।জাপানের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর আগেও মিয়াজাকি বিমানবন্দরে একাধিক অবিস্ফোরিত বোমা পাওয়া গেছে।দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ৭৯ বছরেরও বেশি সময় পর আজও জাপান জুড়ে পাওয়া যায় অবিস্ফোরিত বোমা।  ২০২৩ অর্থবছরে ৩৭.৫ টন ওজনের মোট ২ হাজার ৩৪৮টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।এবি 
    পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে জাকির নায়েক
    বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা এবং স্কলার জাকির নায়েক পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে গিয়েছেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।বুধবার (২ অক্টোবর) গভর্নমেন্ট অব পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডল থেকে এ বৈঠকের একাধিক ছবি প্রকাশ করা হয়।পাকিস্তানের গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, প্রায় এক মাস থাকার পরিকল্পনা নিয়ে পাকিস্তানে এসেছেন জাকির নায়েক। সঙ্গে এসেছেন তার ছেলে ফারিক নায়েক, যিনি নিজেও একজন ইসলামিক স্কলার।সোমবার পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে যান জাকির নায়েক। ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নামার পর সেখানে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।এ সময় ডা. জাকির নায়েক বলেন, মুসলিম উম্মাহর উচিত নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ইসলাম শান্তি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের ধর্ম, আমার প্রচার কাজের উদ্দেশ্য বিশ্বে ইসলামের শান্তি ও ভালোবাসার প্রকৃত বার্তা তুলে ধরা।জাকির নায়েকের আগমন নিয়ে পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই এক মাসের সফরে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন জাকির নায়েক। পাশাপাশি ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোরে কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি মসজিদে তিনি জুমার নামাজেও ইমামতি করবেন তিনি।উল্লেখ্য, একজন ভারতীয় নাগরিক জাকির নায়েক। ভারত সরকার অর্থপাচার নিয়ে মামলা করায় তিনি নিজ দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান। আইনি জটিলতার কারণে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন জাকির নায়েক।ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ধর্মীয় উসকানির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ আছে ড. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। তিনি দেশটির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে ‘ওয়ান্টেড’ আসামি হিসেবে ঘোষণা করেছে অনেক আগেই।এদিকে মালয়েশিয়ার কাছে ভারত সরকার জাকির নায়েককে দেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাতে সাড়া দেয়নি মালয়েশিয়া।জাকির নায়েক ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। তখন থেকে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) তার বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করে।প্রসঙ্গক্রমে, ২০১৬ সালে জুলাইয়ে ঢাকার গুলশান এলাকায় অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।কারণ হিসেবে জানা যায়, হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকা একজন সন্ত্রাসী স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি জাকির নায়েকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।উল্লেখ্য, জাকির নায়েক পিস টিভি নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনা করতেন। সেখানেই ধর্মসংক্রান্ত আলোচনা করতেন তিনি। তবে লাগাতার উসকানিমূলক ও অন্যান্য ধর্মের প্রতি ‍ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলংকায় তার টেলিভিশন চ্যানেলটি নিষিদ্ধ হয়। এ ছাড়া উগ্র বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশ দুটির সরকার।যে বছর পিস টিভি নিষিদ্ধ হয়, সেই ২০১৬ সালে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। মামলা হওয়ার সময় অবশ্য দেশের বাইরে ছিলেন জাকির। মামলার সংবাদ শুনে আর ভারতে ফেরেননি তিনি।এমআর
    ই’সরায়েলি হামলায় ২৪ ঘন্টায় লেবাননে ৪৬ জন নিহত
    লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২ অক্টোবর) ফের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কিছুক্ষণ আগে মধ্য লেবাননে ই’সরায়েলি হামলায় অন্তত দুইজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বৈরুতের উপকণ্ঠে এবং বেকা, বালবেক-হারমেল ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ জন নিহত ও ৮৫ জন আহত হয়েছেন।এদিকে ই’সরায়েলি বাহিনী বলছে, আজ লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হি’জবুল্লাহ ২৪০ টি মতো রকেট নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ লেবাননে হি’জবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধ তীব্রতর হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত আটজন ই’সরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ‘পারসনা নন গ্রেটা’ আখ্যা দিয়ে তাকে ই’সরায়েলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তেল আবিব। বুধবার ই’সরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইজরায়েল কার্টজ বলেছেন, মঙ্গলবার ইরান যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে দ্ব্যর্থহীনভাবে তার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন গুতেরেস। পিএম
    ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরান নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল ভারত
    হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার ইসরাইলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে ভারত।বুধবার দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অতি প্রয়োজন ছাড়া এখন ইরানে না যাওয়াই বাঞ্ছনীয়।পাশাপাশি ইরানে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্যও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে এবং ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখতে হবে। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি আপৎকালীন নম্বরও দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরান এবং গোটা অঞ্চলের পরিস্থিতির দিকে ভারত নজর রাখছে।এর আগে মঙ্গলবার ইসরাইলে ভারতের দূতাবাস একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বার না হওয়াই ভালো। ভারতীয় দূতাবাস পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে এবং ইসরাইলের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলেও সেখানে জানানো হয়েছিল।সূত্র: ডয়চে ভেলে

    Loading…