এইমাত্র
  • রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
  • জনগণ মনে করে ফারুকীর চেয়ে আমি যোগ্য: হিরো আলম
  • নভেম্বরে একসঙ্গে শক্তিশালী ৪ ঘূর্ণিঝড়!
  • বইমেলা শুধু বাংলা একাডেমিতে, বরাদ্দ মেলেনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
  • উইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে শান্তর বদলির নাম ঘোষণা
  • ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সৌদি আরবের নতুন নির্দেশনা
  • ঢালাও মামলা আমাদের বিব্রত করে: আইন উপদেষ্টা
  • সাবেক মেয়র তাপস ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
  • লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর আত্মহত্যা
  • সেই সিঁথি এবার আসিফের গানে মডেল
  • আজ বুধবার, ২৮ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

    ফিচার

    এবার মোরগের আকৃতির বিল্ডিং বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড
    সারা পৃথিবীর বিভিন্ন আকৃতির বিল্ডিং নজরে পড়েছে হয়তো অনেকের। দেশের হোক কিংবা বিদেশের জুতা, মাছ, জাহাজ, গাড়িসহ নানান আকৃতির গাড়ি নানান কারণে অনেকে বানিয়েছেন। তবে এবার বিশাল এক মোরগের আকৃতির বিল্ডিং বানিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছে ফিলিপাইন এক রিসোর্ট মালিক।  ফিলিপাইনের নিগ্রোস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্ট সম্প্রতি সর্বোচ্চ মোরগ আকৃতির ভবনের জন্য গিনেস রেকর্ডে ভূষিত হয়েছে। ১১৪ ফুট ৭ ইঞ্চি (৩৪.৯৩১ মিটার) লম্বা, উচ্চতায় ১২.১২৭ মিটার (৩৯ ফুট ৯ ইঞ্চি) প্রস্থ ২৮.১৭২ মিটার (৯২ ফুট ৫ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্য ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টের রুস্টার হোটেলটি বেশ দৃষ্টিনন্দন।এটি কেবল গৃহপালিত পাখির মতোই নয়, বাস্তবে একটি দৈত্যাকৃতির সত্যিকার মোরগের মতো দেখায়, যা বেশ প্রভাবশালী অবস্থানের সঙ্গে পুরো এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে। রিসোর্টের পরিচালক রিকার্ডো ক্যানো গোয়াপো টান বলেন যে, তিনি এমন কিছু নজরকাড়া তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা স্থানীয় সংস্কৃতিকেও শ্রদ্ধা জানায়, যার মধ্যে গেমফাউল একটি বিশাল অংশ।বিল্ডিংটি ১৫ কক্ষ বিশিষ্ট একটি হোটেল, যেখানে এয়ার কন্ডিশনার, বড় আরামদায়ক বিছানা, বড় টিভি এবং গরম ঝরনা রয়েছে যেখানে ছোট বা বড় পরিবার এসে ছুটির দিনগুলোতে বিশ্রাম নিতে পারে।অনন্য আকৃতির বিল্ডিংটির ডিজাইন বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিশেষ করে যখন বিল্ডিংটিকে ঝড় এবং টাইফুন সহ্য করতে হয়, যা এই অঞ্চলে সাধারণ। তা সত্ত্বেও মাত্র ৪৫৬ দিনে নির্মাণকাজ শেষ হয়।২০১০ সালে ক্যাম্পুয়েস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টের জন্য এই জমিটি রিকার্ডোর স্ত্রী নীতা কিনেছিলেন। রিকার্ডো বলেন, এখানে এসে তারা পাহাড়ের মন্ত্রমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল। পর্যান্ত রাস্তা ও বিদ্যুতের অভাব সত্ত্বেও তিনি সেখানে একটি রিসোর্ট নির্মাণ শুরু করেন।তিনি রিসোর্টের বিল্ডিংটি একটি বিশাল আকারের মোরগের আকৃতির করবেন বলে সিন্ধান্ত নেন। এর পেছনে অবশ্য একটি কারণ আছে বটে। নিগ্রোস অক্সিডেন্টালের একটি গেমফাউল শিল্প রয়েছে, যা ফিলিপাইনে লাখ লাখ লোককে নিয়োগ করে। তারা মনে করেন, মোরগ প্রবল বাতাসের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে এবং অন্যান্য মোরগের চাপ সহ্য করতে পারে, জীবনের যে কোনো ধরনের অসুবিধা ও কষ্ট থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা আছে মোরগের। এমনটাই মনে করেন নেগ্রেন্স লোকেরা।রিসর্টটি একটি বিশাল ওয়েভ পুল, একটি বড় রেস্তোরাঁ, একটি ক্যাফে, তিনটি সুইমিং পুল, হোটেল রুম, বনিতা কুঁড়েঘর, শত শত ডাইনোসর এবং কার্টুন/মার্ভেল চিত্র রয়েছে। অবশ্যই একটি মুরগির আকারে বৃহত্তম ভবন নিয়ে ভাবছে তারা। ভবনটি গিনেস রেকর্ডে জায়গা করে নেওয়ায় রিকার্ডোর পরিবারসহ এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সবাই গর্বিত।এবি 
    একাকীত্বকে উপভোগ করার দিন আজ
    রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ‘একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গিয়েছি, নিঃসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না’ নিয়ে। কিংবা শুনে নেওয়া যাক জয় গোস্বামীর ‘একাই থাকব, একাই দুটো ফুটিয়ে খাব’ কবিতাটি হয়তো আজকের দিনের জন্য। কারণ  যারা একা কিংবা একাকী থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকের দিনটি কিন্তু তাদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যারা এখনও ভালোবাসার কোনো সম্পর্কে জড়াতে পারেননি, তাদের উদ্দেশেই আজ সারা বিশ্বে উদযাপন করা হচ্ছে বিশ্ব সিঙ্গেল ডে।  একা থাকার আনন্দ একবার যাঁরা পেয়ে যান, পেয়ে যান স্বাধীনতার সুখ, কিছুতেই তাঁরা প্রথাগত প্রেমের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়তে চান না। সিঙ্গেল মানেই নির্ভেজাল নির্বিবাদী জীবন। ঝাড়া হাত-পা। গায়ে হাওয়া লাগিয়ে নিজের মতো নিজের জীবনকে যাপন। সুতাবিহীন ঘুড়ির মতো খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো। কারও কাছে জমা দেওয়া নেই ঘুড়ির নাটাই। কী, কেন, কখন, কীভাবে—নেই এসব কৈফিয়তের ঝামেলা। নিয়ম করে ফোনালাপ, খুদেবার্তা, যত্ন করে মনে রাখা বিশেষ দিন, মন ভরানো আলগা প্রশংসা—এসব জটিলতা থেকে মুক্ত থাকেন তাঁরা।কাউকে পেলাম না বলে একা রয়ে গেছি কিংবা একা থাকার গুণগান গেয়ে যাচ্ছি—সিঙ্গেল বন্ধুদের ব্যাপারে যুগল বন্ধুরা আবার এমনটা ভাববেন না। একা থাকাটা কারও কারও ব্যক্তিগত পছন্দ। অন্য জীবন জড়িয়ে নিজের সরল জীবনকে জটিল করে তুলতে চান না অনেকেই। সত্যিই সিঙ্গেল জীবনে সুখী তাঁরা।এই দিনটি মূলত আত্ম-প্রেম, নিজেকে জানার ও বোঝার এবং নিজের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকতে উৎসাহিত করে। যারা অবিবাহিত অথবা সঙ্গীহীন আছেন তারা কেন নিজেদের বঞ্চিত রাখবেন? সেই সব মানুষদের জন্যই এই দিনটির সূচনা। কারেন রিড নামে এক ব্যক্তি দিনটির প্রচলন করেন। শুরুতে অবশ্য পয়লা জানুয়ারি  পালন করা হতো। ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি ২৩ সেপ্টেম্বর পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু  ১৯৯৩ সালে  ১১ নভেম্বরে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি প্রথম উদযাপন করা হয়। দিবসটি ‘ব্যাচেলর ডে’ নামেও পরিচিত। দিবসের রীতি হিসেবে চীনের অবিবাহিত বা সিঙ্গেল তরুণ তরুণীরা এদিন নিজেই নিজের জন্য উপহার কেনেন। তবে দিবসটি এখন শুধু চীনে সীমাবদ্ধ নেই, দিবসটি এখন সারাবিশ্বেই বেশ ঘটা করেই পালিত হচ্ছে।  যারা ভালোবাসা দিবসে ঘরবন্দী থেকে আর বন্ধুদের কাপল ছবিতে রিয়াক্ট দিয়ে কাটিয়েছেন তারা বেড়িয়ে পড়ুন। আপনার এই একাকী থাকার সুময়গুলোকে উদযাপন করুন। তাই, যারা সিঙ্গেল আছেন, তারাও আজকের দিনটি নিজের মতো করে প্রাণভরে উপভোগ করতে পারেন। একাকীত্বের দুঃখ ভুলে আজ সময় কাটান শুধুই নিজের জন্য। আজকের দিনে ঘুরতে যেতে পারেন পছন্দের কোনো জায়গায়। নিজেকে নিজেই দিতে পারেন পছন্দের কোনো উপহার। কোনো রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেয়ে নিতে পারেন পছন্দের খাবারও।এবি 
    আজ ‘ঝামেলার শেষ নেই’ দিবস
    আমার জীবনে কোন ঝামেলা নেই আমি একদম ঝামেলাবিহীন মানুষ -এ কথাটা  কিন্তু আমরা কেউ বলতে পারবো না। আমাদের জীবন অনিশ্চয়তা, জটিলতা, উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। এটাই জীবনের কঠিন সত্য যে, মানুষ কখনো ঝামেলা ছাড়া পথ চলতে পারেনা। আমাদের জীবনে এক একটি দিন আসে সম্ভাবনা আর সংকট নিয়ে। এই দুইয়ের প্রভাবে আমরা দ্বন্দ্ব আর অস্থিরতায় ভুগতে শুরু করি। সংকট আর সম্ভাবনার মধ্যে শুধু সংকটের দিকে মনোযোগ দিলে ঝামেলার অন্ত থাকে না। আপনি চাইলেও কিন্তু সব ঝামেলা বিদায় দিতে পারবেন না। কারণ সমস্যার আসলে কোনো শেষ নেই। একটি শেষ হতে না হতেই দেখবেন আপনার জীবনে আরেকটি সমস্যা শুরু হয়ে গেছে। এই কথাটি সত্য যে, ঝামেলার শেষ নেই। আর এই কথাটি মনে করার দিন আজ। ৯ নভেম্বর ‘ঝামেলার শেষ নেই’ দিবস।  ডেজ অব দ্য ইয়ারের তথ্য, ৯ নভেম্বর, ‘ঝামেলার শেষ নেই’ (ক্যাওস নেভার ডাইস ডে) দিবস। যুক্তরাষ্ট্রে এই দিনটি পালিত হয়। কবে কীভাবে এর প্রচলন হয়েছিল, তা অবশ্য জানা যায় না। এই দিনটি মনে করিয়ে দেয়, ঝামেলা আমাদের জীবনেরই অংশ। ঝামেলা অস্বীকার করার কিছু নেই। বরং সহজভাবে গ্রহণ করে ইতিবাচক থাকতে হবে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ্য করে তুলতে হবে। এজন্য ‘বর্তমান’কে গুরুত্ব দেওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়।‘ইতিবাচকতা’ বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারেন। যেমন, ঝামেলাপূর্ণ জীবনটাতে একটু স্বস্তি আনতে আমাদের প্রাত্যহিক কাজে আমরা নিয়ে আসতে পারি পরিবর্তন। দিনের শুরুটা হতে পারে হালকা শরীরচর্চা আর এক কাপ ধোঁয়াওঠা গরম চা বা কফির সাথে। এই হালকা শীতের সকালে আপনি একটা শাল মুড়িয়ে হেঁটেও আসতে পারেন একটা নীরব রাস্তা ধরে। ব্যস্ত জীবন থেকে নিজেকে কিছুসময়ের ছুটি দিতে সকল ধরণেরর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিভাইস থেকে থাকতে পারেন কিছু সময়ের জন্য দূরে। কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। প্রকৃতির কাছাকাছি কিছু সময় কাটাতে পারেন। অতিরিক্ত প্রত্যাশা কমাতে পারেন এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে পারেন। যদিও জীবনের বাস্তবতায় আমাদের ঝামেলার অন্ত নেই, কিন্তু নিজের জন্য কিছু ঝামেলাহীন সময় আপনি আজ বের করে নিতেই পারেন। হয়ত আপনার মনে হয়ে গেলো এ জীবন আর এই ঝামেলা খুব একটা খারাপ না। এবি 
    আজ পুরুষদের রান্না করার দিন
    রান্নাঘর শুধু বাড়ির মেয়েদের ব্যক্তিগত আস্তানা আর নেই বললেই চলে। ছেলেদেরও অবাধ যাতায়াত সেখানে। গিন্নিকে খুশি করতে হোক কিংবা শখে, রান্নাঘরে আনাগোনা বাড়ছে পুরুষের। অফিস থেকে ফিরে কিছু খেতে ইচ্ছা হলে নিজেই বানিয়ে নিচ্ছেন। কিংবা ছুটির দিনে বাড়িতে বন্ধুবান্ধবের আড্ডায় বিশেষ কোনো পদ বানিয়ে চমকে দিচ্ছেন সবাইকে। অনেকে তো আবার ইউটিউব দেখে রান্না শেখেন। কেউ আবার বইমেলায় গিয়ে খোঁজেন দেশ-বিদেশের রান্নার বই। সেই বই দেখেই চলে রান্নাবান্না। ইদানীং পুরুষের সঙ্গে রান্নাঘরের সম্পর্ক এভাবেই নিবিড় হয়েছে। সবার বাড়ির পরিবেশ আগের সময়ের মতো আর নেই। বহু বাড়িতেই জিরা, কালোজিরা, হলুদের কৌটোর ঠিকানা এখন জানেন পুরুষ সদস্যেরা। বাড়িতে স্ত্রী কিংবা মা কেউ না থাকলেও নিজেই দিব্যি রেঁধেবেড়ে খেতে পারেন। কাজ চালানোর মতো ডাল, ভাত, ডিম সেদ্ধ শুধু নয়, রীতিমতো পঞ্চব্যঞ্জন রাঁধেন। ইচ্ছা হলেও লুচি বানিয়ে নেন মাঝেমধ্যে।রান্না নিয়ে পুরুষের পরীক্ষা-নিরীক্ষা অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। মন এবং মসলা দিয়ে রান্না করা খাবারের গন্ধে ম ম করে পুরো বাড়ি। আর রান্নাঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে গিন্নি অবাক হয়ে দেখেন নতুন প্রতিভার স্ফূরণ। কখনও তো আবার দেখা যায় ব্যাগভর্তি বাজার করে বাড়ি ফিরেছেন গিন্নি। আর রান্নার দায়িত্ব কর্তার। রান্নার বিষয়ে নারীর পাশাপাশি পুরুষরাও এখন বেশ এক্সপার্ট। আপনিও যদি একজন ভালো রাঁধুনী হন, তাহলে ঢুকে পড়ুন কিচেনে। রাতের খাবার নিজ হাতে তৈরি করে প্রিয়জন ও পরিবারকে চমকে দিন আজ। কারণ, আজ ‘ন্যাশনাল মেন মেক ডিনার ডে’ অর্থাৎ ‘পুরুষদের রাতে খাবার তৈরির জাতীয় দিন’। প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম বৃহস্পতিবার পালিত হয় দিবসটি।মূলত, রান্নার সঙ্গে পুরুষদের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে ও তাদের মধ্যে রান্নাবিষয়ক আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই পালিত হয় দিবসটি।এবি 
    ‘মায়ের চেয়ে বড় আশ্রয়, বড় পৃথিবী আর নেই’
    মা, হৃদয়ের গভীর থেকে আসা ছোট্ট একটা ডাক। জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষটি মা। যার শরীর বেয়ে এই পৃথিবীতে আসা, যার আদর-যত্নে বেড়ে ওঠা। যার জীবনের সবটুকুজুড়ে সন্তানকে ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা। জন্ম নেওয়ার পর ‘ওয়া’ বলা থেকে শুরু করে ‘ওমা’ বলার পুরোটা সময় যে মানুষটি নিঃস্বার্থভাবে আমাদের পাশে থাকেন, তিনি হলে মা। ছোট্ট একটি শব্দ মা। যার ভার অনেক বেশি। নাড়ীর সম্পর্ক যে নারীটির সঙ্গে তিনিই মা। নিজের সবটুকু সুখ যিনি সন্তানের জন্য বিসর্জন দিতে সদা প্রস্তুত থাকেন। নিঃস্বার্থ ভালোবাসার আধার একজন মা। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর মায়েদের রাত বা দিন বলে আলাদা কিছু থাকে না। ঘুম, খাওয়া নিয়ে ভাবার কোনো সময় থাকে না। সন্তানের সর্বোচ্চ সুখ আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হয়ে ওঠে একজন মায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সন্তানের বিপদ কীভাবে মা আগাম টের পেয়ে যান তার ব্যাখা জ্যোতিষশাস্ত্র করতে ব্যর্থ হয়। সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিলে কীভাবে মায়েদের পেট ভরে তার ব্যাখা খুঁজে পাননি কোনো চিকিৎসক। সন্তানদের জন্য নিজের পুরোটা উৎসর্গ করে দেওয়ার পরও মায়েদের কিছু চাওয়ার থাকে না। সন্তানের সুখেই নিজের সুখ খুঁজে নেন তারা। তবুও সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি কর্তব্য রয়েছে সবার। যে মানুষটি আপনাকে গড়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছেন, তার মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্বও আপনার। অবশ্য মায়েদের খুশি করতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। একটি ফুল কিংবা কমদামী একটি চায়ের ছাঁকনিই মায়ের ঠোঁটে এনে দিতে পারে অমূল্য হাসি। মাকে নিয়ে গল্প, কবিতা, গানের যেন শেষ নেই। ‘মা তুমি আমার আগে যেও না গো মরে/আমি কেমন করে দেবো মাটি তোমার কবরে’- শিল্পী পলাশের এ গান শুনে কার না মন কেঁদে উঠেছে! কিংবা হেমন্ত কুমারের ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব/মা গো, বলো কবে শীতল হবো’ গান শুনে চোখ বুঝলে মায়ের মুখ দেখতে পেয়েছেন কতশত সন্তান। জগতের বিশুদ্ধতম সম্পর্কগুলোর একটি হলো মা-সন্তানের সম্পর্ক। একজন মা ই জানেন, নিজের উদরে একটি প্রাণকে বড় করে তুলে তাকে এই পৃথিবীর আলো দেখানোর কী আনন্দ! প্রচণ্ড কষ্ট, যন্ত্রণা ম্লান হয়ে যায় যখন সন্তানের মুখ একজন মা দেখতে পারেন। বড় হয়ে তাই প্রতিটি সন্তানের উচিত মায়ের জন্য কিছু করা। মায়ের ভালো থাকা নিশ্চিত করা। মাকে ভালোবাসা। কারণ, মায়ের মতো ভালোবাসা আর কেউ দিতে পারে না। এফএস
    যে দেশে বিয়েতে কনের মুখে কালো রং দেওয়া হয়
    বিয়ে নিয়ে একেক দেশে একেক রকম নিয়ম রয়েছে। বিশ্বের অনেক জায়গায় বিয়েতে এমন অনেক রীতি আছে যা বিয়ের সময় পালন করা হয়, যেগুলো বেশ অদ্ভুত। কোথাও বর-এর জুতা চুরি করা হয় তো কোথাও নব দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাদের বাসনপত্র ভাঙাকে শুভ বলে মনে করা হয়।  তবে আয়োজন ভিন্ন হলেও আনন্দ আর উদ্দেশ্য একই। বিয়ের মাধ্যমে মূলত দুজন ছেলে-মেয়েকে সামাজিকভাবে একসঙ্গে থাকার স্বীকৃতি দেওয়া। সেইসঙ্গে পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনরা এই উপলক্ষে মেতে ওঠেন আনন্দে।আসুন,বিভিন্ন দেশ এবং তাদের সংস্কৃতির কিছু অদ্ভুত বিয়ের রীতি সম্পর্কে জানি, যা কেবল মজার নয়, বরং তাদের পেছনে গভীর অর্থও রয়েছে।স্কটল্যান্ডের কিছু অঞ্চলে, কনে এবং বর-এর বন্ধুরা বিয়ের আগে তাদের মুখে কালো রং করে দেয় এবং তার উপর আটা জাতীয় ময়লা জিনিস ফেলে দেয়। এইভাবে তাদের অপমানিত করার ঐতিহ্য চলে আসছে বহু যুগ ধরে।তাদের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয় যে বিয়ে করা কঠিন কাজ এবং যদি দম্পতি এই অপমান সহ্য করে একসঙ্গে থাকতে পারে, তাহলে তারা জীবন এবং বিয়ের সমস্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে সক্ষম হবে।হিন্দু বিয়েতে একটি মজাদার রীতি হলো বরের জুতা চুরি। এই রীতিতে, কনের বন্ধু এবং বোনেরা বিয়ের সময় গোপনে বর-এর জুতা চুরি করে ফেলে। এরপর তারা জুতাগুলো তখনই ফেরত দেয়, যখন বর তাদেরকে মোটা অর্থ দিতে রাজি হয়৷ সঙ্গে ভালো জিনিসও৷  এই রীতির পেছনে বর এবং তার বোনেদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার উদ্দেশ্য রয়েছে। এই রীতি এখনও চলে হিন্দুদের বিয়েতে৷কিরগিজস্তানে এক সময় ছিল যখন পুরুষরা তাদের পছন্দের নারীকে অপহরণ করে বিয়ের জন্য বাধ্য করত। এই রীতি মহিলার সম্মতি নিয়ে অথবা সম্মতি ছাড়াই করা হত। যদিও, এখন এই রীতি অবৈধ।বিহারের কিছু গ্রামীণ এলাকায় এখনও কিছু অংশে এই ধরনের রীতি পালন করা হচ্ছে। পার্থক্য হল, কনের পরিবার কোনো উপযুক্ত যুবককে অপহরণ করে তাদের কন্যা বা বোনের বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং পরে তরুণীকে তার সঙ্গে বিয়ে করতে হয়।জার্মানিতে একটি অদ্ভুত রীতি রয়েছে। নববিবাহিত দম্পতিকে টিমওয়ার্কের গুরুত্ব শেখানোর জন্য এবং খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিয়ের পরে যখন অতিথিরা নববিবাহিত দম্পতির বাড়িতে যান, তখন তারা সেখানে বাসনপত্র এবং মাটির পাত্র ভেঙে ফেলেন।তাদের বিশ্বাস, এতে দম্পতির জন্য শুভকামনা আসে। আসলে, যখন অতিথিরা চলে যায়, তখন দম্পতি একসঙ্গে বাড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করেন, যা টিমওয়ার্কের প্রতীক।অস্ট্রিয়ায় নববিবাহিত দম্পতিকে একটি কাঠের লাঠিকে অর্ধেক করে কাটতে হয়। এই রীতি সাধারণত বিয়ের রিসেপশনে করা হয়। এর উদ্দেশ্য হল, দম্পতিকে শেখানো যে বিয়েতে টিমওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে তারা মিলিত হয়ে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারে।এমএসএ নেক রীতি আছে যা বিয়ের সময় পালন করা হয়, যেগুলো বেশ অদ্ভুত। একেক দেশে একেক নিয়ম। কোথাও বর-এর জুতা চুরি করা হয় তো কোথাও নব দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাদের বাসনপত্র ভাঙাকে শুভ বলে মনে করা হয়। আসুন,বিভিন্ন দেশ এবং তাদের সংস্কৃতির কিছু অদ্ভুত বিয়ের রীতি সম্পর্কে জানি, যা কেবল মজার নয়, বরং তাদের পেছনে গভীর অর্থও রয়েছে।স্কটল্যান্ডের কিছু অঞ্চলে, কনে এবং বর-এর বন্ধুরা বিয়ের আগে তাদের মুখে কালো রং করে দেয় এবং তার উপর আটা জাতীয় ময়লা জিনিস ফেলে দেয়। এইভাবে তাদের অপমানিত করার ঐতিহ্য চলে আসছে বহু যুগ ধরে।তাদের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয় যে বিয়ে করা কঠিন কাজ এবং যদি দম্পতি এই অপমান সহ্য করে একসঙ্গে থাকতে পারে, তাহলে তারা জীবন এবং বিয়ের সমস্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে সক্ষম হবে।হিন্দু বিয়েতে একটি মজাদার রীতি হলো বরের জুতা চুরি। এই রীতিতে, কনের বন্ধু এবং বোনেরা বিয়ের সময় গোপনে বর-এর জুতা চুরি করে ফেলে। এরপর তারা জুতাগুলো তখনই ফেরত দেয়, যখন বর তাদেরকে মোটা অর্থ দিতে রাজি হয়৷ সঙ্গে ভালো জিনিসও৷  এই রীতির পেছনে বর এবং তার বোনেদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করার উদ্দেশ্য রয়েছে। এই রীতি এখনও চলে হিন্দুদের বিয়েতে৷কিরগিজস্তানে এক সময় ছিল যখন পুরুষরা তাদের পছন্দের নারীকে অপহরণ করে বিয়ের জন্য বাধ্য করত। এই রীতি মহিলার সম্মতি নিয়ে অথবা সম্মতি ছাড়াই করা হত। যদিও, এখন এই রীতি অবৈধ।বিহারের কিছু গ্রামীণ এলাকায় এখনও কিছু অংশে এই ধরনের রীতি পালন করা হচ্ছে। পার্থক্য হল, কনের পরিবার কোনো উপযুক্ত যুবককে অপহরণ করে তাদের কন্যা বা বোনের বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং পরে তরুণীকে তার সঙ্গে বিয়ে করতে হয়।জার্মানিতে একটি অদ্ভুত রীতি রয়েছে। নববিবাহিত দম্পতিকে টিমওয়ার্কের গুরুত্ব শেখানোর জন্য এবং খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিয়ের পরে যখন অতিথিরা নববিবাহিত দম্পতির বাড়িতে যান, তখন তারা সেখানে বাসনপত্র এবং মাটির পাত্র ভেঙে ফেলেন।তাদের বিশ্বাস, এতে দম্পতির জন্য শুভকামনা আসে। আসলে, যখন অতিথিরা চলে যায়, তখন দম্পতি একসঙ্গে বাড়ির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করেন, যা টিমওয়ার্কের প্রতীক।অস্ট্রিয়ায় নববিবাহিত দম্পতিকে একটি কাঠের লাঠিকে অর্ধেক করে কাটতে হয়। এই রীতি সাধারণত বিয়ের রিসেপশনে করা হয়। এর উদ্দেশ্য হল, দম্পতিকে শেখানো যে বিয়েতে টিমওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে তারা মিলিত হয়ে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারে।এবি 
    আজ জেলহত্যা দিবস
    আজ ৩ নভেম্বর, জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩ নভেম্বর) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী দেশের জাতীয় চার নেতাকে। তারা হলেন, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর (১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর) ওই সময়ের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তার নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করে, পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে এর বিচারকাজ শেষ হয়।এবি 
    আজ জাতীয় সমবায় দিবস
    ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস আজ। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে দিবসটি পালিত হবে। এবারের সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। সমবায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন এবং সমবায় আন্দোলনে গতিশীলতা আনতে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার দিবসটি পালন করা হয়।দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার সকাল ১০টায় সমবায় অধিদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।বাণীতে তিনি বলেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে ৫৩তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল সমবায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”তিনি বলেন, “অর্থনীতিকে গতিশীল করে গড়ে তুলতে সমবায় অঙ্গনেও সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের সমাজে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য দক্ষ ও টেকসই সমবায় ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘সমবায়ে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।”প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সমবায় খাত দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী নিবিড় পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে সমবায়ীদের ঋণ সুবিধা, প্রযুক্তিগত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমবায়ীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে। একটি নতুন অর্থনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়নে সমবায়কে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।’তিনি জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।এবি 
    আজ প্রাক্তনের খোঁজ নেওয়ার দিন
    প্রাক্তনের সঙ্গে সাধারণত যোগাযোগ আর রাখা হয় না। যে মানুষটা এক সময় সবার চেয়ে প্রিয় ছিল, যার সঙ্গে কাটত সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলো, সে মানুষটার সঙ্গেই ব্রেকআপের পর আর হয়তো যোগাযোগ করা হয়ে ওঠে না। তার পিছনেও থাকে নানা কারণ। কখনও কখনও রাগ, অভিমানের মাত্রাটা এতটা বেশি থাকে যে পিছনে ফেলে আসা অতীতকে মনে করতে চান না , তাই বলে কি মানুষটাকে একেবারেই ভুলে যাওয়া যায়? অনেকেরই হয়তো কৌতূহল জাগে পেছনে ফেলে আসা সেই মানুষটার প্রতি। তিনি কেমন আছেন একবার হয়তো তা জানতে চান। আপনারও যদি এমন কৌতূহল থাকে, তাহলে এক সময়ের সেই প্রিয় মানুষকে এসএমএস বা খুদেবার্তা পাঠাতে পারেন আজ। আজ 'টেক্সট ইওর এক্স ডে' বা প্রাক্তনকে টেক্সট পাঠানো দিবস। প্রতি বছর ৩০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল টেক্সট ইওর এক্স ডে’ পালন করা হয়। সে হিসেবে আজ টেক্সট ইওর এক্স ডে বা প্রাক্তনকে টেক্সট পাঠানোর দিন। সুতরাং চাইলে আপনিও দিবসটি উদযাপন করতে পারেন। একটা সময়ে তিনি আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, তাকে তা স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন।খোঁজ নিতে পারেন প্রিয় মানুষটির। কী লিখতে চান চিন্তা করুন—তারপর তাকে তা পাঠিয়ে দিতে পারেন।দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে অতীত সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে সহায়তা করা। তারা কেমন আছেন তা জানার কৌতূহল দূর করা। অতীতে তিনি আপনার সঙ্গে কতটা খারাপ আচরণ করেছেন তা নিয়ে আজ ভাবার প্রয়োজন নেই। বরং তিনি আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন তাকে তা সানন্দে মনে করিয়ে দিতে পারেন।১৯৮৪ সালে জার্মানিতে টেক্সটিং বা এসএমএসের (সংক্ষিপ্ত বার্তা) ধারণা বিকশিত হলেও কার্যকর হতে কয়েক বছর সময় লেগেছিল। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে ২২ বছর বয়সী প্রকৌশলী কম্পিউটার ব্যবহার করে মোবাইলে ফোনে 'মেরি ক্রিসমাস' লিখে পাঠান।তখন থেকে প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। আধুনিক যোগাযোগের সর্বাধিক ব্যবহৃত ফর্ম হয়ে উঠেছে এসএমএস। বিশেষ করে ৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য।বর্তমানে মানুষ প্রতিদিন পরিবারের সদস্য, সহকর্মী ও বন্ধুদের এসএমএস পাঠান। তবে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধবী, স্বামী-স্ত্রীকে সাধারণত একে অপরকে এসএমএস দেন না। এজন্য প্রাক্তনদের এসএমএস পাঠাতে উৎসাহিত করতে দিবসটি উদযাপন করা হয়।এবি 
    আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস
    সারাবিশ্ব জুড়ে ২৯ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। স্ট্রোক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘একত্রে আমরা স্ট্রোকের চেয়ে বড়’।এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, সারা বিশ্বে প্রতি ছয়জনে একজন এই রোগের ঝুঁকিতে আছে। প্রতি বছর প্রায় ১৫০ লক্ষ লোক এ রোগে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে ৬০ লাখ লোক মারা যান এবং ৫০ লাখ লোক আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে পরেন।বাংলাদেশে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক। দেশে বর্তমানে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ লোক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে ভুগছে। প্রতি ১ হাজারে আক্রান্ত হচ্ছে অন্তত ১০ জন।আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ২০ লাখ স্ট্রোকের রোগী রয়েছে। প্রতি হাজারে গড়ে ৩ থেকে ৫ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন।সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের হার বেশি লক্ষ্য করা গেলেও যে কোন বয়সেই তা হতে পারে। ৫০ বছর বয়সের পর প্রতি ১০ বছরে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়।আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। মহিলাদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্তের হার কম। ফাস্টফুডে আসক্তদের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শিশু ও তরুণদের অনেকে খাদ্যাভ্যাসের কারণে স্ট্রোক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।স্ট্রোকের এই ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে এবং মানুষকে সচেতন করতে ইউরোপিয়ান স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ১৯৯০ সালে সর্বপ্রথম স্ট্রোক দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়; কিন্তু অর্থসংকটে থাকায় তারা শুধুমাত্র ইউরোপের মধ্যেই মে মাসের ১০ তারিখে এ দিবসটি পালন করে।২০০৪ সালে কানাডার ভ্যানকুভারে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক কংগ্রেসে প্রথম বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালন করার কর্মসূচি চালু করা হয়।২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক সোসাইটি এবং ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক ফেডারেশন একত্রিত হয়ে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন তৈরি করেন যারা পরে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস পালনের দায়িত্ব নেন।২০০৭ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশানের অধীনে প্রতিবছর স্ট্রোক সচেতনতা বাড়াতে ‘বিশ্ব স্ট্রোক দিবস’ পালন করা হচ্ছে।এবি 
    আজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস
    জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ (২২ অক্টোবর)। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ দেশে এ বছর প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে সড়ককে নিরাপদ করার লক্ষ্যে আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রথমবারের মতো দিবসটি জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে।রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, নিরাপদ ও উন্নত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অন্যতম নিয়ামক। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ ও আইন মেনে চলতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থী ও যুবসমাজের কার্যকর অংশগ্রহণ সড়কে দুর্ঘটনা, বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রথাগত সড়ক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে সংঘটিত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে গণআন্দোলনের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক, অবৈধ যানবাহন সড়ক নিরাপত্তার যে ঝুঁকি তৈরি করে, সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক তা উপলব্ধি করে এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা পূরণ অনেকটাই সহজ হবে।জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বাধীন সংগঠন নিসচা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সূত্র: বাসসএবি 
    আজ আপেল খাওয়ার দিন
    ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দিবস থাকে। সেই দিবসের কোনটি খুব অদ্ভুত, কোনোটি মজার, আবার কোনোটি দরকারি। তেমনই একটি দিন আজ। আজ আপেল খাওয়ার দিন। তাই প্রিয় জনকে আজ উপহার হিসাবে আপেল দিয়ে পারেন, আর আপেল খেতে কিন্তু কম বেশি সবাই পছন্দ করে। সেটা হতে পারে হলুদ, সবুজ, গোলাপি বা লাল রঙের আপেল। প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও সহজলভ্য একটি ফল এই আপেল। এই ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে।  প্রতি বছরের ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র আপেল দিবস পালন করে। ন্যাশনাল টুডে বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে-১০ থেকে ২০ বছর আগে প্রাচীন বন্য আপেল গাছের সন্ধান পাওয়া যায় মধ্য এশিয়াতে। তবে শুরুর দিকে সেই আপেলগুলো স্বাদ কিছুটা টক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৭তম শতাব্দীর প্রথম দিকে আপেল ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করেন, এই সময়েই রোমান জনগোষ্ঠী আপেলের আকার বড়, মিষ্টি ও বৃহৎ পরিসরে চাষাবাদ শুরু করে। আমরা এখন যে আপেল খাই, এই আপেলের বিকাশ তখনই হয়েছিল। তারপর আপেল যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে।আপেল দিবস যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হলেও দিবসের শিকড় আসলে ইউরোপে। ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা কমন গ্রাউন্ড আপেলের বিভিন্ন প্রজাতির গুরুত্ব বোঝাতে দিবসটির প্রচলন করেছিল। বর্তমানে আপেলপ্রেমীরা এখনো বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত সাড়ে সাত হাজারের বেশি জাতের আপেলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে আপেল দিবস পালন করে।তবে গবেষকরা বলছেন, আপেল খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। কখন আপেল খেলে উপকার হবে বা অবেলাতে আপেল খেলে কি হবে তা জেনে নিন-খাওয়ার উপযুক্ত সময়: প্রতিদিন যদি একটি করে আপেল খাওয়া যায় তবে আর ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। আয়ুবের্দীয় শাস্ত্র মতে, প্রতিটি ফল খাওয়া একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এতে তা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আপেল খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। পুষ্টিবিজ্ঞানিদের রীতিতে, সকালবেলা আপেল খেতে পারলে সেটা খুবই উপকারি। কারণ আপেলের খোসা ও আঁশ পেকটিন সমৃদ্ধ। অনেকেরই অপর্যাপ্ত ঘুম, দেরিতে ঘুম ইত্যাদির কারণে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয় ও বদ হজম হয়ে থাকে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে আপেল খাওয়া সব থেকে ভালো।সকালবেলায় আপেল খেলে অন্ত্রের ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। পেকটিন ল্যাকটিক এসিড সুরক্ষিত রাখতে এবং কোলনে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ভালোভাবে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। যা পরবর্তিতে পাঁচন তন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পেকটিন টকসিনের পরিমাণ কমাতে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান কারসিনোজাসিস দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। তাই সকালবেলা আপেল খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।এবি 
    আজ প্রাক্তনকে ক্ষমা করার দিন
    জীবনে সবারই প্রেম আসে। তবে কয়জনেরই বা প্রেমে সফল হয়। তবে ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আমরা কমবেশি সবাই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। অনেক সময় আমাদের সেই চেষ্টা কাজে আসে। আবার কিছু সময় বিভিন্ন কারণে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। মুহূর্তের ভেঙে যায় একসঙ্গে দেখা স্বপ্নগুলো। আর সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অধিকাংশেরই প্রাক্তনের প্রতি থাকে হাজারটা অভিযোগ। তবে সব ভুলে গিয়ে প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ। আর যদি না করে থাকেন, তাহলে আজকে করে দিন।কেননা আজ ১৭ অক্টোবর, প্রাক্তনকে ক্ষমা করার দিন। আর এই বিচিত্র দিবসের যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়। অবশ্য প্রাক্তনকে ক্ষমা করার এই দিবসের কোন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই। তবুও দিবসটি পালনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করেন। প্রেমের সম্পর্ক যে কারণেই ভাঙে না কেন, সবারই প্রাক্তনকে ঘিরে রাগ, ক্ষোভ, অভিমান কমবেশি থেকেই যায়। এসব মনে রেখে নিজেকে কষ্ট না দিয়ে এ অভিযোগ ও ঘৃণা মন থেকে দ্রুত মুছে ফেলা জরুরি। সহজ নয়, তবে ক্ষমা করার জন্যই দিবসটির আবির্ভাব। জানা যায়, দিবসটির জন্ম হয়েছে ইন্টারনেট থেকেই। ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ফরগিভ অ্যান এক্স ডে’।ক্ষমা একটি মহৎ গুণ'। এই গুণটির মাধ্যমেই সবাই বুঝতে পারবেন আপনি কীভাবে মানুষকে উপলব্ধি করেন। তাছাড়া আপনাকে দেখে অন্যরাও উত্সাহি হবে। মানে আপনার ক্ষমা করে দেখে অন্যরাও তাদের প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেবে। এভাবে ছড়িয়ে পড়বে ক্ষমা করার গুণ। তাহলেই তো জীবন আরও সুন্দর হবে।এবি 
    আজ বন্ধুকে টাকা ফেরত দেওয়ার দিন
    মানব জীবনে টাকা এবং বন্ধু দুইটারই গুরুত্ব অনেক। আমরা যা কিছু করি, সবটাই টাকাকে ঘিরে। কেননা টাকা ছাড়া সবকিছু অচল। আবার বন্ধু ছাড়া একাকী জীবন পার করাও কঠিন। বন্ধুর সংজ্ঞা এক-একজনের কাছে এক-একরকম। যে সবসময় বিপদে-আপদে পাশে থাকে, যার কাছে সবকিছু শেয়ার করা যায়, বিশ্বাসের জায়গা বজায় রাখে তাকেই বন্ধু বলে। আর প্রিয় বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নেন না এমন মানুষ কমই আছেন। তবে বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে যদি তা ফেরত না দেওয়া হয় তখন এই সুন্দর সম্পর্কটা মলিন হয়ে যায়। এমন অনেকেই রয়েছেন যে সময় মতো ধারের টাকা পরিশোধ না করায় বন্ধুত্বের মধ্যে দূরত্ব বা ভুল-বোঝাবুঝির তৈরি হয়েছে।  আবার দেখা যায় ছোটবেলায় বা বড় হওয়ার পর বন্ধুর কাছ থেকে হয়তো কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন কিন্তু তা শোধ দেওয়ার আগেই বন্ধুত্ব ভেঙে গেছে। সেই টাকা আর শোধ করা হয়নি। তাহলে আজ কিন্তু শোধ করে দিতে পারেন। জীবনে যত বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন তাদের সবার টাকা শোধ করে দিন। কারণ আজ পে ব্যাক অ্যা ফ্রেন্ড ডে। আসলে আজ ১৭ অক্টোবর, আর এই দিনটিকে ‘ন্যাশনাল পে ব্যাক এ ফ্রেন্ড’ বা ‘বন্ধুকে টাকা ফেরতের দিন’ হিসেবে বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি বছর আমেরিকায় এই দিনটি পালিত হয় বেশ ঘটা করে। এটিকে বন্ধু দিবসও বলেন আমেরিকানরা। হয়তো পুরোনো অনেক বন্ধুর সঙ্গে তাদের এদিন আবার যোগাযোগ হয়। ভুল বোঝাবুঝি, অভিমান কিংবা দূরত্বের অবসান ঘটে।   মূলত ব্যাংক অব আমেরিকা ১৭ অক্টোবরকে বন্ধুর ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার দিন হিসেবে উদযাপন করার প্রথম উদ্যোগ নেয়।   ব্যাংক অব আমেরিকা এটিকে মূলত তাদের মুনাফা লাভের একটি পদ্ধতি হিসেবেই নিয়েছিল। তাদের পরিকল্পনাও কাজে দিয়েছে বেশ ভালোি। আমেরিকায় এদিনে টাকা পাঠানোর জন্য একাধিক অনলাইন অ্যাপ রয়েছে। যেগুলোতে হাজার হাজার ডলার বিনিময় হয় এই দিবসে।এবি 
    শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতিতে এলো হেমন্ত
    পালা বদল করে এক ঋতু যায় আরেকটি আসে। ষড় ঋতুর বাংলায় আজ থেকে কার্তিকের ঋতু শুরু হলো হেমন্ত। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে ধীর পায়ে প্রকৃতিতে আসে হেমন্ত। তাই তো একে বলা হয় শীতের বাহন। পঞ্জিকার পাতায় আজ থেকে হেমন্ত শুরু হলেও প্রকৃতিতে অনুভূত হচ্ছে ঈষত্ শীতের আমেজ। চারদিকে কুয়াশার মৃদু আবরণ আর নতুন ধানের মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে হেমন্তের উপস্থিতি। শরৎ-এর শেষ দিন ছিল গতকাল।কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস জুড়েই বাংলাদেশে হেমন্তের বিস্তৃতি। শরতের কাশফুল মাটিতে নুইয়ে পড়ার পরপরই বাংলার রূপবৈচিত্র্যে হাজির হয় হেমন্ত।বসন্তের মতো তার নিজস্ব কোনো বর্ণ গন্ধ কিংবা গরিমা নেই। হেমন্ত মৌন শীতল ও অন্তর্মূখী। হেমন্তে ফোঁটা শিউলী, কামিনী, গন্ধরাজ, মল্লিকা, দেবকাঞ্চন, হিমঝুরি, রাজ অশোক প্রভৃতি ফুলের সৌরভ বাঙ্গালির প্রাণে সঞ্চার করে নতুন আমেজ। ভোরের শিশির ভেজা ঘাসে ছড়িয়ে থাকা মুক্ত দানা আর ফসলের সোনালি সমুদ্র সবমিলিয়ে যেন পূর্ণতা পায় প্রকৃতি। হেমন্তের সকালে শিউলীর সৌরভে বাঙালির প্রাণে আসে উৎসবের আমেজ।এক সময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। সম্রাট আকবর অগ্রহায়ণ মাসকেই বছরের প্রথম মাস বা খাজনা তোলার মাস ঘোষণা দিয়েছিলেন। কারণ, ধান উৎপাদনের ঋতু হলো এই হেমন্ত। হেমন্তের প্রথম মাস কার্তিকে ধানে পাক ধরে। কার্তিকের শেষ দিকে গ্রামের মাঠে মাঠে ধান কাটার ধুম পড়ে যায়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে পাকা ধানের গন্ধে মৌ মৌ গন্ধ। জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের ষড়ঋতুতে। ঋতুর উপস্থিতিতে ঘটছে তারতম্য।তবে এরই মধ্যে প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে উত্তুরে বাতাসের হালকা কাঁপুনি। যে কাঁপুনি একসময় তীব্র হয়ে জানান দিবে শীতের উপস্থিতি। তবে শহরে এখনও উত্তুরে বাতাসের তীব্র কাঁপুনি না হলেও উত্তরবঙ্গে কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। হেমন্তে কুয়াশা ভেদ করে লাল আভা বেয়ে পূর্ব আকাশে উঁকি দিতে খানিকটা বেগ পেতে হলেও মায়াবী আলোয় ভরে থাকা চারপাশে সজিবতা ফিরে মনে। দৃষ্টিসীমায় কুয়াশার প্রলেপ জমলেও সূর্যের আলো ফোটার আগেই আড়মোড়া ভেঙে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়েন গ্রামের মানুষজন।  অপরদিকে গ্রামবাংলার মানুষের জীবনে হেমন্ত মানেই নবান্ন উৎসবের আমেজ। হেমন্ত এলেই এই জনপদের মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করে। হেমন্তের আগমনে গ্রামের মেঠোপথে সকালে হাঠলেই পা ভিজে যাই শিশির কণাতে।  হেমন্তের আগমনে মাঠে মাঠে হেসে উঠে সোনালী ধান। পাকাধানের মৌ মৌ সুমৃষ্ট সুভাসে মুখরিত চারিপাশ। আর কয়দিন পরেই কৃষকের ঘরে ঘরে উঠবে রক্তজলকরা সোনালী রোপা ধান আর এই নতুন ধানের চাউল থেকে বাংলার গৃহবধুরা গুরা তৈরী করে নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরী করবে হরেক রকমের বাঙ্গালী পিঠা-পুলি। আসতে শুরু করবে মেয়ে-জামাই।   আসছে শীত, ইতিমধ্যে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সকালের আকাশ অনেকটাই ঘোলাটে থাকে। শেষরাতের দিকে অথবা খুব সকালে হালকা ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। শেষরাতে একটা কিছু গায়ে না জড়িয়ে আরামে ঘুমানো যাচ্ছে না। উষ্ণতম এলাকার রাজশাহীতে এমন অবস্থা। তবে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরও বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে।শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড় জেলায়। ইতিমধ্যে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। খুব শিগগিরই নিম্ন তাপমাত্রা আরও নিচে নামার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে শীত যে পড়ছে তা রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন ফুটপাথের গরম কাপড়ের দোকান দেখলেই বোঝা যায়। সেখানে বাহারি রঙের এবং বিভিন্ন ডিজাইনের নতুন ও পুরনো গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। তাই অচিরেই আর বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা নেই।এবি 

    Loading…