এইমাত্র
  • পুরো আইপিএলের জন্য এনওসি পাবে মুস্তাফিজ, তবে
  • নভেম্বরে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৩ ও আহত ১৩১৭ জন
  • ছয় মাসের মাথায় চাকরি হারালেন আনচেলত্তি
  • নিকুঞ্জের সামনে ট্রাক উল্টে এয়ারপোর্ট রোডে তীব্র যানজট
  • রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফিং করবেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক
  • ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু
  • মানবতাবিরোধী অপরাধে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
  • যেসব এলাকায় আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না
  • মালয়েশিয়ার অভিযানে ৭২ বাংলাদেশিসহ আটক ৪০২ জন
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    মানবতাবিরোধী অপরাধে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
    জুলাই গণঅভ্যূত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর রেজিস্ট্রারের কাছে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান।এইচএ
    রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
    রাজধানী থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোড এলাকার জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত জান্নাত আরা রুমী (৩০) নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার নাজিরপুর থানার মো. জাকির হোসেনের মেয়ে ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি থানার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাত আরা রুমী নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।এইচএ

    জাতীয়

    সব দেখুন
    নভেম্বরে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৩ ও আহত ১৩১৭ জন
    গত নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৩৪টি। এসব দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত এবং ১৩১৭ আহত জন হয়েছেন। নিহতের মধ্যে ৬৪ জন নারী ও ৭১ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় ১০৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৪৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।আগের মাস অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিলেন ১৪.২২ জন। নভেম্বর মাসে নিহত হয়েছেন ১৬.১ জন। সেই হিসেবে নভেম্বর মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩.২২ শতাংশ।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো নভেম্বর মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৯৪ জন, বাসের যাত্রী ২৪ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-মিকচার মেশিন গাড়ি আরোহী ২২ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ১৪ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ৮৩ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-টমটম-মাহিন্দ্র) ৩১ জন এবং রিকশা-বাইসাইকেল আরোহী ৯ জন নিহত হয়েছেন।রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩১টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৪৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৮২টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৭১টি শহরের সড়কে এবং ৫টি অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর ১২২টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৫৯টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।আরও জানানো হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩০টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম শেরপুর ও পঞ্চগড় জেলায়। সেখানে ৯টি দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত।সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; ত্রুটিপূর্ণ সড়ক; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ-র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে।সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।এইচএ
    অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ৩৯২
    অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর আওতায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৯২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।এর মধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৫ জন সক্রিয় নেতাকর্মী এবং ৩৭৭ জন বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ও এজাহারনামীয় ব্যক্তি রয়েছে।গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে পুলিশের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।এছাড়া সন্দেহভাজন যানবাহন তল্লাশি ও জননিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার রাজধানীর প্রবেশ ও বহির্গমন ১১টি স্থানে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের ৭৬৯টি যানবাহন তল্লাশি করে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে ডিএমপির চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এইচএ
    নিকুঞ্জের সামনে ট্রাক উল্টে এয়ারপোর্ট রোডে তীব্র যানজট
    রাজধানীর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার সামনে সড়কে একটি লোডেড ট্রাক উল্টে যাওয়ায় এয়ারপোর্ট রোডের এক লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সকালবেলা নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।গুলশান ট্রাফিক বিভাগের ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্যমতে, সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে নিকুঞ্জ-১ আউটগোয়িং লেনে একটি বোঝাই ট্রাক উল্টে যায়। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়।পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আরেকটি পোস্টে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ জানায়, উল্টে যাওয়া ট্রাকটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।ভোরে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার কারণে এয়ারপোর্ট রোডে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এদিকে যানজট ছড়িয়ে পড়ে বনানী পর্যন্ত, অন্যদিকে বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ হয়ে যানজট পৌঁছে যায় মাটিকাটা ফ্লাইওভার ধরে মিরপুরের কালশী এলাকায়।এতে অফিসগামী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের দীর্ঘ সময় সড়কে আটকে থাকতে হয়।এইচএ
    রাজধানী থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
    রাজধানী থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার রোড এলাকার জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত জান্নাত আরা রুমী (৩০) নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার নাজিরপুর থানার মো. জাকির হোসেনের মেয়ে ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ধানমন্ডি থানার যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রী হোস্টেল থেকে জান্নাত আরা রুমী নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।এইচএ
    ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু
    নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের (আইভেক) কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বাভাবিক নিয়মে চালু করা হয়েছে।সকালে ভারতীয় হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।এর আগে, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠনের মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’-এর ব্যানারে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওই কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় দুপুর ২টা থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল।এদিকে, একই দিন এর প্রায় দুই ঘণ্টা আগে বাংলাদেশে ক্রমাবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লির গভীর উদ্বেগ জানাতে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।এইচএ 
    ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালো ইনকিলাব মঞ্চ
    ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন, তবে তার মৃত্যুর খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টের মাধ্যমে ইনকিলাব মঞ্চ এ বার্তা দেয়। রাত ১১ টা ২১ মিনিটে দেয়া ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ওসমান হাদি ভাইয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন। কিন্তু তার মৃত্যুর যেই সংবাদ শোনানো হচ্ছে সেটি সত্য নয়। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। আল্লাহ যেনো তাকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নসিব করেন। হাদির শারীরিক অবস্থা জানিয়ে দেয়া এক ফেসবুক পোস্টে জুলাই আন্দোলনে তার সহযোদ্ধা ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেন, ‘ওসমান ভাই আজীবন ফাইটার মানুষ। ০.১% হোপ থাকা অবধি আমরা আশাবাদী ভাই ফিরবেন। আল্লাহর কাছে খাস দিলে দোয়া করুন সকলে। ১৮ কোটি মানুষের দোয়ায় আল্লাহ তার কুদরতির হাতে ভাইকে ফিরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।’ এর আগে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। ফেসবুক পোস্টে প্রেস সচিব বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আজ দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।’ শফিকুল আলম বলেন, ‘রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।’ তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।এফএস
    দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
    সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আজ হাসপাতালে গিয়ে শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।পরে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে হাদির বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও চলমান চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।ফোনালাপে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান জানান, হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং চিকিৎসকরা তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।এদিকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।এফএস
    হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন: প্রেস সচিব
    সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি লেখেন, ‘সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আজ দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।’প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন বলে পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন।এর আগে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি।রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।এরপর সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে অবতরণের প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে নিরাপদে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।এনআই

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসা নিতে পারছেন: ডা. জাহিদ
    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেস্বর) বিকেলে হাসপাতালের সামনে ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এর মধ্যে রয়েছে লিভারসংক্রান্ত জটিলতা, কিডনিসংক্রান্ত জটিলতা, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও ইনফেকশন–জনিত সমস্যা।দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। বাসায় অবস্থানকালে শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বর বেড়ে যাওয়ায় ২৩ নভেম্বর তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা–নিরীক্ষায় ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে তীব্র অবনতি দেখা দেয়, ফলে তাকে কেবিন থেকে সরিয়ে দ্রুত ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।গত ২৭ নভেম্বর তার একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস ধরা পড়ে, যার চিকিৎসা এখনো চলছে। একই সঙ্গে শরীরে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় দেওয়া হচ্ছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা।চিকিৎসকরা জানান, কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার ডায়ালাইসিস শুরু করা হয় এবং এখনো নিয়মিত ডায়ালাইসিস দিতে হচ্ছে। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও ডিআইসি –এর জটিলতায় প্রয়োজন হচ্ছে রক্ত ও রক্তের বিভিন্ন উপাদান ট্রান্সফিউশন।এছাড়া নিয়মিত ইকোকার্ডিওগ্রামে অ্যাওর্টিক ভাল্ভে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ‘টিইই’ পরীক্ষায় ইনফেকটিভ অ্যানডোকার্ডাইটিস ধরা পড়ে। এরপর আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করেছেন বোর্ডের চিকিৎসকেরা।দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন শাখার বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল টিম প্রতিদিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে।এমআর-২
    খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসা নিতে পারছেন: ডা. জাহিদ
    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেস্বর) বিকেলে হাসপাতালের সামনে ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এর মধ্যে রয়েছে লিভারসংক্রান্ত জটিলতা, কিডনিসংক্রান্ত জটিলতা, হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও ইনফেকশন–জনিত সমস্যা।দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। বাসায় অবস্থানকালে শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বর বেড়ে যাওয়ায় ২৩ নভেম্বর তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা–নিরীক্ষায় ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে তীব্র অবনতি দেখা দেয়, ফলে তাকে কেবিন থেকে সরিয়ে দ্রুত ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।গত ২৭ নভেম্বর তার একিউট প্যানক্রিয়েটাইটিস ধরা পড়ে, যার চিকিৎসা এখনো চলছে। একই সঙ্গে শরীরে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় দেওয়া হচ্ছে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা।চিকিৎসকরা জানান, কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার ডায়ালাইসিস শুরু করা হয় এবং এখনো নিয়মিত ডায়ালাইসিস দিতে হচ্ছে। পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও ডিআইসি –এর জটিলতায় প্রয়োজন হচ্ছে রক্ত ও রক্তের বিভিন্ন উপাদান ট্রান্সফিউশন।এছাড়া নিয়মিত ইকোকার্ডিওগ্রামে অ্যাওর্টিক ভাল্ভে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ‘টিইই’ পরীক্ষায় ইনফেকটিভ অ্যানডোকার্ডাইটিস ধরা পড়ে। এরপর আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করেছেন বোর্ডের চিকিৎসকেরা।দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন শাখার বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল টিম প্রতিদিন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে।এমআর-২
    খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেলেন যিনি
    বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।এইচএ
    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে ব্রিফিং করবেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এ ব্রিফিং করা হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।তিনি জানান, ব্রিফিংয়ে বেগম খালেদা জিয়ার চলমান চিকিৎসা, শারীরিক অবস্থা ও পরবর্তী চিকিৎসা পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করা হবে।এইচএ
    ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইনকিলাম মঞ্চের বিবৃতি
    ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনটির ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন। কিন্তু তার মৃত্যুর যে সংবাদ শোনানো, হচ্ছে সেটি সত্য নয়।হাদির জন্য দোয়া চেয়ে ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবারের পক্ষ থেকে ওসমান হাদির জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। আল্লাহ যেন তাকে হায়াতে তৈয়্যেবা দান করেন।   এর আগে, বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।প্রেস উইংয়ের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, পরে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।এর আগে, বুধবার বিকেলে হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির হার্ট, ফুসফুস ও কিডনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টের মাধ্যমে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইউরিন আউটপুটও আগের মতোই সাপোর্টের মাধ্যমে বজায় রয়েছে। বুধবারও তার সিটিস্ক্যান করা হয়েছে—তার ব্রেনে যে ইস্কেমিয়া (রক্ত সঞ্চালনজনিত সমস্যা) ছিল, তা কিছুটা বেড়েছে। ব্রেনে থাকা গুলির একটি ছোট অংশ অপসারণে নতুন করে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে কি না এবং সে ক্ষেত্রে তাকে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে কি না, এসব বিষয় নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনা চলছে বলেও জানান ডা. আহাদ।তিনি বলেন, যে জায়গায় গুলির অংশটি রয়েছে, সেখানে অপারেশন করলে নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে কি না, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পাশাপাশি তার শরীর এই মুহূর্তে দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল নিতে পারবে কি না, সেটিও চিকিৎসকেরা মূল্যায়ন করবেন। এ ক্ষেত্রে পরিবারের ইচ্ছার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার থেকে উন্ন চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এবি 
    ভারতের হাইকমিশনারকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া উচিত: হাসনাত আব্দুল্লাহ
    ‘আমাদের হাইকমিশনারকে নাকি ভারত ডেকে ধমক দিয়েছে। কেন আমরা ওই কথা বলেছি। খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য শুধু ধমক না, ভারতীয় হাই কমিশনারকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া উচিত ছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আপনি আমার দেশের সন্ত্রাসকে পেলেপুষে বড় করবেন, তাদেরকে ট্রেনিং দেবেন, অর্থ দেবেন। অন্তত ৩০ হাজার আওয়ামী লীগের কর্মী ভিসা এবং পাসপোর্ট ছাড়া ভারত আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। তো আপনি আমার দেশের সন্ত্রাস পালবেন, বাংলাদেশ বিরক্তিকর করে রাখবেন। আর আমি আপনার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখব? এত ঠ্যাকা পড়ে নাই।’বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফুলতলী এলাকায় উঠান বৈঠকে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন হাসনাত।হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতের সন্ত্রাসীগুলো কয়দিন পরপর আমাদের দেশে ছেড়ে দেয়। বাংলাদেশের সন্ত্রাসীগুলো ভারত আবার পাহারা দেয়, ট্রেনিং দেয়, অর্থ দেয়। অনেকদিন পরপর আমাদের দেশে ছাড়ে। আমাদের দেশে এসে দুষ্কর্ম করে। তাদেরকে বারবার করে বলা হয়েছে শোনে না।’তিনি আরও বলেন, ‘সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আপনি সন্ত্রাস ছাড়বেন, আপনার সার্বভৌমত্ব আমরা সম্মান করব। আপনার সীমান্তের প্রতি আমাদের সম্মান থাকবে। শর্ত হলো আমার সীমান্তকে আপনাকে সম্মান করতে হবে। আপনি যদি দেখামাত্রই গুলি মারা পলিসিতে বিশ্বাস করেন, আমি কেন আপনাকে দেখামাত্রই সালাম দেওয়া নীতিতে থাকব? আপনি যদি আমাকে দেখামাত্রই গুলি করতে পারেন, আমি আপনাকে দেখামাত্রই গুলি না করতে পারি, অন্তত ঢিল ছুঁড়ে হলেও প্রতিবাদ করব।’এফএস
    ‘ডামি’ ভোটের প্রার্থীদের সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে এই দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছে সংগঠনটি।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায় সংগঠনটি।সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল ‘আমি–ডামির’ নির্বাচন। ওই বিতর্কিত নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তারা প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছেন। তারা জনমতের তোয়াক্কা করেননি।’তিনি আরো বলেন, ‘ওই নির্বাচনে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং প্রার্থী হয়ে নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করতে হবে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না, তাদের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। কারণ, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে চিরতরে হত্যা করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা বর্তমানে জীবন সংকটে আছেন। পলাতকরা বিদেশের মাটিতে বসে হত্যার নীলনকশা করছে। এর জবাবে ছাত্র আন্দোলন কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।’আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টার সমালোচনা করে রিফাত রশীদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভোট নেই বলেই তারা ভোট চুরি করেছিল। অথচ এখন অনেক রাজনৈতিক দল তাদের (আওয়ামী লীগ) ভোটের জন্য সেজদা দিতে অস্থির হয়ে উঠেছে। পলাতক ফ্যাসিস্টের ষড়যন্ত্রের জবাবে ছাত্র আন্দোলন হার্ডলাইনে যাবে।’সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল। ছাত্র–জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর নির্দেশ তৎকালীন সংসদ সদস্যরা দিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা যাতে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, সে জন্য তাঁরা লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। একই দিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সংস্কার প্রশ্নে গণভোটও হবে।এসএম
    মনোনয়ন দেবে জাতীয় পার্টি, নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায়
    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনয়ন দেবে বলে জানিয়েছে দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে শেষ পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে যাবে কি না তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন এই নেতা। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সময় সংবাদকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান তিনি।  শামীম হায়দার বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর ধারণা ছিল, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে নেবে, নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু তা হয়নি। সরকার প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে কোনো ধরনের সমঝোতাও হয়নি।’মনোনয়নের দেয়ার বিষয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নিজস্ব অভ্যন্তরীণ তফসিল হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।’সামনে শঙ্কার নির্বাচন হতে যাচ্ছে উল্লেখ শামীম হায়দার বলেন, ‘সংকট মোচন না করে সংকট ঘনীভূত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছকে করার চেষ্টা হচ্ছে। দিনের ভোট রাতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অশনি সংকেত ও মিডিয়া ক্যু হওয়ারও সম্ভাবনা দেখছি।’পাতানো নির্বাচন হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরপরও জাতীয় পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে মনোনোয়ন জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যদি প্রার্থীদের জীবনের হুমকি রয়েছে বলে মনে হয়, যদি সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নির্বাচনে যাবে কি না পুনর্বিবেচনা করবে জাপা।’নির্বাচন পূর্ববর্তী যে পরিবেশ ও কাঠামো তৈরি করা দরকার ছিল, সরকার তা তৈরি করতে চায়নি অভিযোগ করেন জাপা মহাসচিব বলেন, ‘স্বদিচ্ছার অভাবে তা পারেনি, নিয়তের অভাব ছিল। ঐকমত্য সৃষ্টির কথা থাকলেও জাতীয় পার্টিকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়নি।  সরকার উদ্যোগ নেয়নি। কমিশনও সেই চেষ্টা করেনি।’তিনি আরও বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা প্রমাণ করে, এখনো প্রশাসন ঢিলেঢালাভাবে কাজ করছে। নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ, সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনও ব্যর্থ।’ আরডি

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্যারাজাম্প কর্মসূচির কারণে প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবারও স্বাভাবিকভাবে চলাচল শুরু করেছে মেট্রোরেল।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরীফি জানান, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্পে অংশ নেয়া প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। নির্ধারিত সময় শেষে আবার আগের মতোই ট্রেন চলাচল শুরু হয়।তিনি আরও জানান, সরকারি ছুটির দিন হলেও ডিএমটিসিএলের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল চলাচল করছে। সে অনুযায়ী, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছেড়েছে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে এবং সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। অপরদিকে মতিঝিল স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছেড়েছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে এবং শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে।’ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, শনিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনের জন্য নির্ধারিত সময়সূচিই এদিন অনুসরণ করা হচ্ছে। যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকিট সংগ্রহ ও যাত্রা সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, নিয়মিত দিনে (শুক্রবার ব্যতীত) সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত যে কোনো স্টেশন থেকে সিঙ্গেল জার্নি টিকিট কেনা এবং এমআরটি বা র‍্যাপিড পাস টপ-আপ করা যায়। নির্ধারিত সময়ের পর সব টিকিট অফিস ও মেশিন বন্ধ হয়ে যায়।ইখা
    রাজধানীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক ১১
    রাজধানীর সায়েদাবাদ ওয়াসা পাম্প সংলগ্ন বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মাদকদ্রব্য এবং নগদ ১৮ লাখ টাকা জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নবম পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ১৫ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন এই অভিযান পরিচালনা করে। ১৫ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো একটি চক্র। এতে দীর্ঘদিন আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়রা। সেনাবাহিনী জানায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। সেনাবাহিনী আরও জানায়, এসব অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজির টাকা হিসেবে বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হত।এইচএ
    জামায়াতের যুব ম্যারাথনে নেতাকর্মীর ঢল
    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত যুব ম্যারাথনে নেতাকর্মীর ঢল নামে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ম্যারাথনটি শুরু হয়।ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। উদ্বোধনের পূর্বেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন দলটির বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এতে করে পুরো এলাকা হয়ে উঠে উৎসবমুখর পরিবেশ।জামায়াত সূত্র জানায়, বিজয় দিবসের এই যুব ম্যারাথনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক তরুণ অংশ নেন। তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচি রূপ নেয় এক বৃহৎ জনসমাবেশে।ম্যারাথনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ও সায়েন্সল্যাব অতিক্রম করে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়। পুরো পথজুড়ে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার। সেখানে সমাপনী বক্তব্য দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছর যাবত একটি আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদেরকে স্বাধীনতার সত্যিকারের স্বাদ আস্বাদন করতে দেয়নি। জগজিৎ সিং অরোরার কাছে জেনারেল নিয়াজিকে কেনো আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল সেই ইতিহাস জানার জন্য তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানাচ্ছি।’গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হবার প্রতিশোধ নিতেই ভারত ১৯৭১-এ আমাদের পিছনে এসে দাঁড়িয়েছিল। গোটা জাতি যখন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায় সামিল হয়েছিল তখনই ওসমান হাদির ওপর হামলা ভিন্ন বার্তা দেয়।’তিনি আরও বলেন, ‘যারা চায় না বাংলাদেশ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধের পক্ষকে নির্বাচনে জয়ী করুক তারাই হাদির ওপর হামলার পিছনে দায়ী। আগামী নির্বাচনে আধিপত্যবাদ বিরোধী ইসলামী শক্তিকেই জনগণ নিজেদের ম্যান্ডেট দিয়ে সংসদে পাঠাবে।’অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা ছাড়াও ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা যুবসমাজের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বিজয় দিবসকে ঘিরে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।আয়োজকদের ভাষ্য, এই যুব ম্যারাথনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং দেশের রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করাই মূল লক্ষ্য।ইখা
    গোলাম আযম-নিজামীকে সূর্যসন্তান আখ্যা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে: মির্জা আব্বাস
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলমাী একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, এখনও তারা সেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গোলাম আযম ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে সূর্যসন্তান আখ্যায়িত করে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত অপমান করেছে জামায়াত। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জামাত একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, এখনও তারা সেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশের তুলনা চলে না। গোলাম আযম আর নিজামীকে সূর্যসন্তান আখ্যায়িত করে জামায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত অপমান করছে।’ এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মঈন খান সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ হীন স্বার্থে পরস্পরকে মুখোমুখি করা হচ্ছে মন্তব্য করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।ইখা
    মহান বিজয় দিবস: আজ যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন
    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেশকিছু সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।এতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সব যানবাহন চালককে অনুরোধ করা যাচ্ছে।এছাড়া সর্বসাধারণের জন্য সকাল ৯টা থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ৪০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এক বার্তায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় মেট্রোরেলের সব স্টেশনেই ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে এবং যাত্রী পরিবহন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।এইচএ
    শীতের শুরুতেই ব্যস্ত লেপ-তোশকের কারিগররা
    দিনের বেলায় রোদের হালকা উষ্ণতা থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই বইছে হিমেল হাওয়া। রাত ও ভোরের কনকনে ঠান্ডায় প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের তীব্রতার আগমন। শীত শুরু হতেই নড়াইলে বেড়েছে লেপ, তোশক, জাজিম ও কম্বলের চাহিদা। আর এই চাহিদাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।নড়াইল জেলা শহরের তুলা পট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, ‘প্রতিটি কারখানায় চলছে তুলা ঝাড়া, সেলাই আর প্যাকেজিংয়ের কাজ। আগে যেখানে এক-দু’জন শ্রমিক কাজ করতেন, এখন বাড়তি অর্ডার সামলাতে তিন-চারজন একসঙ্গে কাজ করছেন।,ব্যবসায়ীরা জানান, ‘রোদের তাপ কমলে, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোশকের বেচাকেনাও আরও বাড়বে। তবে কাপড়ের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোশক তৈরির খরচও বেড়েছে।,কারিগররা জানান, ‘ব্যস্ততার এই মৌসুমে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা কাজ করতে হয়।, ২২ বছর ধরে লেপ তোশক তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক কারিগর বলেন, ‘সারাবছর কম বেশি কাজ হয়, তবে শীতের সময়ই বেশি কাজ হয়। দিনে ১৫-২০টা লেপ তৈরি করা যায়। আয় খুব বেশি না, সংসার চালানো কষ্টকর। শিখেছি, তাই বাধ্য হয়েই করে যাচ্ছি।,ব্যবসায়ীরা জানান, ‘সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় লেপ-তোশক তৈরির উপকরণের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে কিছুটা। এ মৌসুমে লেপ তৈরির প্রতি গজ কাপড়ের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, তোশকের কাপড় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং জাজিম ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে গার্মেন্টস তুলা কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা, ফোম তুলা ২০০ টাকা এবং শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জুটের দাম কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তুলার দাম এবার প্রায় সব প্রকারে ২০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রেডিমেড লেপ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকায়, জাজিম ২৫০০ থেকে ৪ চার হাজার টাকায়।,শীত বাড়তেই জমে উঠেছে লেপ-তোশকের ব্যবসা। কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়ায় লেপ-তোশক তৈরির খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম বাড়ায় খরচও বেড়ে গেছে তাদের। শীত মৌসুমকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধে আছেন নড়াইলের এই ব্যবসায়ী ও কারিগররা।এসআর
    লৌহ মানব কারাতে যশোরের মোহন
    ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যশোর স্টেডিয়ামে কারাতে নৈপুণ্য কলাকৌশল দেখিয়ে দর্শককে কাছে লৌহ মানব হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন মোহন কারাতে একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক মাহবুবুর রহমান মোহন । ৩ ইঞ্চির শতাধিক পেরেকের ধারালো অংশের উপর শুয়ে শরীর প্রদর্শন করেন তিনি । শরীরের উপর ওঠেন আরো ৭ জন। তার উপর উঠে লাল সবুজের বাংলাদেশের পতাকা প্রদর্শন করেন এক শিশু। যা দেখে দর্শকের চোখে রীতিমতো ধাঁধা লেগে যায় । বিশ্বাস করতে পারেন না এটা মানব, নাকি লৌহ মানব ? মুহূর্তের মধ্যে নীরব হয়ে যায় পুরো স্টেডিয়াম । কাঠের উপর সোজাসুজি বসানো ৩ ইঞ্চি লম্বা পেরেকের উপর প্রায় ৫/৬ মিনিট শুয়ে এরকম অভিনব কলাকৌশল দেখালেও তার শরীরে কোন পেরে বিদ্ধ হয়নি । এমন তাক লাগানো কসরত দেখে সবাই অবাক হয়ে যান । পেরেকের উপর থেকে নেমে উঠে দাঁড়ালে সাংবাদিকরা ক্যামেরা হাতে ছুটে যান মার্শাল মোহনের দিকে। তিনি ড্রেস খুলে পিঠ দেখান । কিন্তু পিঠে কোন পেরেক বিদ্ধ হয়নি। দীর্ঘদিন মার্শাল চর্চা ও সাধনা করলে যে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় তা প্রমাণ করেন যশোর স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত মোহন কারাতে একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক মাহবুবুর রহমান মোহন । তিনি প্রমাণ করে দেখান কিছু সময়ের জন্য নিজের শরীর প্রতিরোধ গড়ার জন্য শক্ত করা যায় । যাতে শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানো যায় । মার্শাল আর্ট চর্চা করে এটা সম্ভব । মার্শাল শুধু চর্চা করলে হবে না দীর্ঘদিন মার্শাল চর্চা ও সাধনা করতে হবে । চলতি বছর মাহাবুব রহমান মোহন সর্বপ্রথম যশোরের এ গ্রেডের কারাতে কোর্স হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন । একই সঙ্গে তিনি কারাতে ব্ল্যাক বেল্ট চতুর্থ ড্যানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ১০ ও ১১ অক্টোবর কক্সবাজারে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কারাতে সেমিনার ও কোচেস গ্রেডিংয়ে, যেখানে বাংলাদেশ সোতোকান কারাতে ডু কিউকাই’র ২য় কোচেস কারাতে সেমিনার ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কারাতে খেলোয়ার ও প্রশিক্ষকরা অংশ নেন। পরীক্ষার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের এ কোচেস গ্রেডিং সনদ প্রদান করা হয়। বিগত দিনে মাহাবুব রহমান মোহন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর চিলড্রেন ক্লাবের প্রশিক্ষক ছিলেন। মার্শাল শিখলে নিজের জীবন সেফ রাখা যায় । শিশুদের মোবাইল আসক্তি থেকে দূরত্ব রাখা সম্ভব । এছাড়া ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব । পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষার্থীর শরীর চর্চা। ও আত্মরক্ষার কলা কৌশল শিক্ষা প্রয়োজন । উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে মাহবুবুর রহমান মোহন প্রথম মার্শাল শুরু করেন । ৯০ সালের আগ পর্যন্ত তিনি খেলোয়ার ছিলেন । ১৯৯০ সাল থেকে অদ্যাবধি করাতে কোচ ও রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার হাতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থ কারাতের দীক্ষা নিয়েছেন । এনআই
    গৃহপালিত কুকুরকে বিষ খাইয়ে হত্যা, থানায় অভিযোগ
    যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে গৃহপালিত কুকুরকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কুকুর মালিক মুদি দোকানি রবিউল ইসলাম বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রতিবেশী দম্পতির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। এসময় তিনি মৃত কুকুরটিকে সঙ্গে এনেছিলেন। পুলিশ বলছে, অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবাদকচুয়া গ্রামের গাজীপাড়ার ইমান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম অভিযোগ উল্লেখ করেছেন, আমার কালো রঙের একটি পোষা কুকুর ছিল। গত ২৭ নভেম্বর প্রতিবেশী জীবন দাস প্রায় কুকুরটিকে হত্যার হুমকি দেন। এরই মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর  থেকে আমার কুকুরটি নিখোঁজ ছিল। খোঁজ করার সময় গত ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে পাশের বাগানে গিয়ে দেখেন, গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় কুকুরটির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কুকুরটি জীবন দাসের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। জীবনের শ্বশুর সেটি পাশের বাগানে ফেলে দিয়েছেন । জীবন দাস ও তার স্ত্রী মিলে কুকুরকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বলে বলে জানতে পেরেছি।যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ পরিদর্শক আল আমিন জানান, গৃহপালিত কুকুর হত্যার অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  এনআই
    মাগুরার কুদরতি দাওয়াখানায় অনৈতিক কাজের অভিযোগ
    মাগুরা সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের বনগ্রামে কুদরতি দাওয়াখানা নাম দিয়ে এক বাড়িতে অনৈতিক কর্মকান্ড করা হয় এমন অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কুদরতি দাওয়াখানার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও তৌহিদী জনতা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে বনগ্রামে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দাওয়াখানার সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধন থেকে বক্তারা জানায়, কয়েক বছর ধরে দাওয়াখানার পরিচালক আবুল কালাম আজাদ তার ওইখানে নারী ও নানা বয়সের রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে। একইসাথে নারীদের নিয়ে অনৈতিক কাজ পরিচালনা করে আসছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ এবং অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ভয়েস রেকর্ডিং প্রচার হয়েছে। ভয়েসে শোনা যায় নারীদেরকে নিয়ে ওই দাওয়াখানায় পুরুষের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে অনৈতিক কাজ করানো হয়। তাই আবুল কালাম আজাদের শাস্ত্রী দাবি করে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিক্ষুদ্ধ জনতা দাওয়াখানার দেওয়ালে লাগানো ব্যানার ছিড়ে ফেলে প্রতিবাদও জানায়।এঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে স্থানীয় শত্রুজিৎপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা উপস্থিত হন। পুলিশ জানায়, মানববন্ধন ও বিক্ষোভের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এলাকায় যেনো শান্তি বজায় থাকে এজন্য তারা সতেষ্ট রয়েছেন এবং এলাকা শান্ত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সদস্যরা।এনআই
    দামুড়হুদায় ভোক্তার অভিযানে দু'প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা
    চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বেশি দামে ও অবৈধভাবে সার-বীজ বিক্রির অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার আটকবর এলাকায় মুদি দোকান, সার-বীজ ও বেকারি পণ্যসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকির সময় এ জরিমানা করা হয়।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় হাজিরা খাতুনের মালিকানাধীন ‘মায়া বেকারি’কে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এছাড়া বেশি দামে ও অবৈধভাবে সার-বীজ বিক্রি এবং লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় একই আইনের ৪৩ ধারায় আশরাফুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স মদিনা ট্রেডার্স’কে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে মোট জরিমানার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ হাজার টাকা।এসময় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বাজারে হালনাগাদ মূল্যতালিকা প্রদর্শন, নির্ধারিত ও যৌক্তিক মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও মানহীন পণ্য, ওষুধ ও বীজ বিক্রি না করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা, ক্যাব প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।এনআই
    সাতকানিয়ায় খালের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া বাঁধ অপসারণে অভিযান
    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে অবৈধভাবে দেওয়া মাটির বাঁধ অপসারণে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।   বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ঢেমশা ও নলুয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বারমোহা খালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।    অভিযানের নেতৃত্ব দেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।   প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খালটির ওপর মাটি ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানকালে খালের ওপর দেওয়া অবৈধ মাটির বাঁধ অপসারণে শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করা হয়। একই সঙ্গে খালটি দখল বা ভবিষ্যতে মাটি ফেলে বাঁধ দেওয়ার বিষয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়।   এ সময় ইউএনও খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, খাল ও জলাধারের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। জনভোগান্তি সৃষ্টি করে এমন কোনো অবৈধ কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান। অভিযানে সহায়তা করেন আনসার সদস্যরা।  এনআই
    মিরসরাইয়ে তাহমিদ হত্যাকাণ্ড, পরিবারের সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি
    চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) নামক প্ল্যাটফর্মের নেতা গাজী তাহমিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বারইয়ারহাট পৌরসভাস্থ তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ছোট বোন ফারিয়া আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ‘আমার ভাই তাহমিদকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। বর্তমানে অজ্ঞাত পরিচয়ের বিভিন্ন লোকজন এসে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। তাহলে পরিবারের সবাইকে শেষ করে দেয়া হবে।’তিনি জানান, হত্যার ঘটনায় তারা কয়েকজনকে সন্দেহ করছেন। ঘর থেকে ডেকে নেয়া ব্যক্তি এবং স্বজন ও প্রতিবেশী কয়েকজন। এছাড়াও তাকে শরীরে সামনে এবং পেছনে যারা কুপিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন তারা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত তাহমিদের বাবা আলমগীর হোসেন, মা বিবি জোহরা এবং বড় বোন আকলিমা।এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে এখনো আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে তারা নিরাপত্তাহীনতায় থাকলে আইন অনুযায়ী আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবো।’উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বারইয়ারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য মো. তাহমিদ উল্লাহ (১৮) কে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তাহমিদ খানের মা জোহরা বেগম ১২ ডিসেম্বর রাতে বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদেন আসামী করে জোরারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় ছাত্রদলকর্মী চাকমা জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।এসএম
    বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ জব্দ
    রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ জব্দ করা হয়েছে।বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মারিশ্যা জোন (২৭ বিজিবি) এর জোন কমান্ডারের নির্দেশনায় আনুমানিক রাত ৯টায় নায়েব সুবেদার মোঃ আবুল কালাম-এর নেতৃত্বে একটি টহল দল মারিশ্যা রাবার ফ্যাক্টরি মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।অভিযান চলাকালে বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা অবৈধভাবে সংগ্রহকৃত কাঠের গুড়ি ও টুকরা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় গর্জন, সেগুন ও গামারী প্রজাতির মোট ১৩৩.৬৯ ঘনফুট কাঠ উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত কাঠের আনুমানিক সিজার মূল্য ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২২৫ টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি।এ বিষয়ে মারিশ্যা জোন (২৭ বিজিবি) এর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, পিএসসি বলেন, মারিশ্যা জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারীরা বিভিন্ন অভিনব কৌশলে চোরাচালান কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব অপরাধ দমনে গোয়েন্দা তৎপরতা ও আভিযানিক টহল আরও জোরদার করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।বিজিবি সূত্র আরও জানায়, সীমান্ত এলাকার বনজ সম্পদ রক্ষা এবং অবৈধ চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।এনআই
    এমপি প্রার্থীকে কোটি টাকার গাড়ি উপহার দিলেন এক ভক্ত
    লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত (হাতপাখা) প্রতিদ্বন্দ্বী  মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ'র নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য তার এক ভক্ত কোটি টাকা দামের একটি প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ি উপহার দিয়েছেন।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে ড্রাইভ করে এনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের আউলিয়ানগরস্থ ওই এমপি প্রার্থীর বাড়িতে নিয়ে পৌঁছে দেন।তবে নাম পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।সম্পুর্ন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য গাড়িটি হুজুরকে দিয়ে তিনি ওমরাহ পালন করার জন্য পবিত্র মক্কায় চলে যাবেন বলে জানা গেছে।গাড়িটি মুলত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার কাজে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়।মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান।এর আগে তিনি একটানা ওই উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।তিনি হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর মেয়ের জামাতা ও খলিফা।আল্লাহওয়ালা,সৎ ও জনদরদি একজন আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে এ অঞ্চলের সর্বশ্রেণীর মানুষের কাছে তিনি বেশ সমাদৃত। চালচলনে,পোশাক-আশাকে তিনি একেবারে সাদামাটা মানুষ হলেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে খুবই কঠোর।এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয় আলেম নেতা।একজন আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে তিনি জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। ৭৫ বছর বয়সী প্রবীণ এ আলেম মানুষের কাছে পীর সাহেব কমলনগর নামে পরিচিত।দলীয় ভাবে তিনি চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।একজন ইসলামী রাজনৈতিক নেতা ও বার বার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সারাদেশে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সমমনা ৮ দলের প্রার্থী হয়ে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।স্থানীয়রা জানান,প্রবীণ এই জনপ্রতিনিধির নির্বাচনে যে টাকা ব্যয় হয়,ওই টাকা নির্বাচনের সময় বিভিন্নজনের কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতা তার চেয়েও আরও বেশি পান।তবে এক টাকাও কাউকে তিনি দিতে বলেননি। মানুষ নিজের ইচ্ছাতেই দিচ্ছেন।আর অনেকেই নিজ উদ্যোগেই ব্যক্তিগতভাবে তার নির্বাচনের সময়ে শ্রম দিচ্ছেন।জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাদামাটা পোশাক ও স্যান্ডেল পরে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে।প্রচারণায় তিনি অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। প্রবীণ এ আলেম চেয়ারম্যান বর্তমান সমাজব্যবস্থায় অন্যান্য চেয়ারম্যানসহ সমাজের বিত্তবানদের জন্য অনুকরণীয়। সমাজসেবায় তিনি সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি। আলেম-উলামা ও জনসাধারণের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ঘুষ,দুর্নীতি ও জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে তিনি বজ্র কঠিন। সারাদেশে রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত ও মুরিদ। স্থানীয়রা আরও জানান, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই হুজুরের ভক্ত মুরিদানরা আরও গাড়ি ও টাকা নিয়ে স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়া শুরু করবে।মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন,আমি ও আমার নেতাকর্মীরা যে নিয়তে নামাজ পড়ি,রোজা রাখি অন্যান্য ইবাদত করি,ঠিক সেই নিয়তেই রাজনীতি করি। রাজনীতিটাকে আমরা ইবাদত মনে করেই করি।তাই মানুষের সেবা করাও একটা ইবাদত।জনসেবা ও জনগণের খেদমত করাটা অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে উত্তম ইবাদত।মানুষ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চায়।আর আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো জনসেবা করা।দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলাম,একবার উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে।ঘুষ দুর্নীতি চিরতরে উৎখাত করতে এবার সংসদ নির্বাচন করবো ইনশাআল্লাহ।কিছু আল্লাহর বান্দা হয়তো দীনি কাজে শরীক হতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।আমার নির্বাচন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য। এতে দুনিয়ার কোন উদ্দেশ্য নেই।এনআই
    বিলুপ্তির পথে নাটেশ্বর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়, রক্ষার দাবি শিক্ষানুরাগীদের
    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় নাটেশ্বর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয় নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কালের বিবর্তনে আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। ইতিহাসের সাক্ষী পুরোনো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ থাকলেও, অযত্ন অবহেলায় বিদ্যালয়টি তার সেই চাকচিক্যময় জৌলুস হারিয়ে আজ বিলুপ্ত হওয়ার পথে। এমন সংকট উত্তরণে বিদ্যালয়ের হারানো জৌলুস স্ব-গৌরবে ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় শিক্ষানুরাগী সচেতন সমাজ।বিজয় দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের নেতা, শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন গুণী শিক্ষার্থীরা এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে সমুন্নতভাবে সমৃদ্ধ করার দাবী জানান।১৯৬০ সালে বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার ও সোনাইমুড়ী উপজেলার কৃতি সন্তান প্রয়াত আবুল খায়েরের হাত ধরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়।যেখানে একসময় হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর কলকাকুলি আর পদচারণায় মুখরিত ছিলো বিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস, সেখানে আজ নিরবতায়-নিস্তব্ধ খাঁ খাঁ করছে। নেই কোনো কোলাহল, নেই কোনো উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ, নেই ছাত্র ছাত্রীর পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। জরাজীর্ণ কক্ষে কোনোমতে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের উদাসীনতায় কিছু কিছু শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতাসহ অভিভাবকদের অসচেতনতায় শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নেমে এসেছে বিপর্যয়। এমন ফলাফলে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা হয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক ও অভিভাবক সমাজের। অথচ এর আগে এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এখান থেকেই জ্ঞান বিজ্ঞানের শিক্ষা অর্জন করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা দপ্তরে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়ে দেশ গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে।জানা যায়,স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ের ১৯৬০ সালে বৃহত্তর নোয়াখালীতে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছিল নাটেশ্বর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠালগ্নের শুরু থেকে আবুল খায়ের গ্রুপ অব কোম্পানীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো এ প্রতিষ্ঠান। ১৯৬০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঠিকঠাক ভাবেই চলছিলো বিদ্যালয়টির শ্রেণী পাঠদান, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সকল কার্যক্রম।জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্কুলের সাথে প্রতিযোগিতায় বেশ এগিয়ে থাকা গৌরবোজ্জ্বল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বেহাল করুণ দশায় অবতীর্ণ। যার কারণ হিসেবে বিদ্যালয়টির সাথে যুক্ত থাকা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, একটি কুচক্রী মহল নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থের লক্ষ্যে আবুল খায়ের গ্রুপ অব কোম্পানিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান ও মালিক পক্ষের মধ্যে একটি ভুল বোঝা-বুঝির সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নাটেশ্বর আবুল খায়ের উচ্চ বিদ্যালয়।২০১০ সালে তৎকালীন প্রধান শিক্ষককে অপসারণ, ২০১২ সালে স্কুলের শিক্ষকরা বাদী হয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে মামলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এতে করে দেশের শীর্ষ স্থানীয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ অব কোম্পানির মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ায় তারা বিদ্যালয়টির সবধরনের অর্থায়ন ও সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রাক্তন গুণী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় আবুল খায়ের গ্রুপ অব কোম্পানির কর্ণধারদের সু-দৃষ্টি কামনা করেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বক্তারা। এ সময় উল্লেখযোগ্য যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, এনসিটিবি'র উপসচিব ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আবু নাছের টুকু, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার মনির উল্যাহ, ঢাকার পিজি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রাক্তন ছাত্র ডা. আতা উল্যাহ বিপ্লব, এবি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ও প্রাক্তন ছাত্র সাইফুল ইসলাম আলমসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এসএম
    জীবনের নিরাপত্তা চান জাকির খান, থানায় জিডি
    এবার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কথা জানালেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান৷ কোনো কুচক্রী মহলের দ্বারা ক্ষতির স্বীকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা তার৷ আর সেটি জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে তার পক্ষ থেকে৷  জাকির খানের মা আছিয়া বেগম ১৭ ডিসেম্বর (বুধবার)  নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডিটি দায়ের করেন।জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমার ছেলে জাকির খান বিএনপির রাজনীতি করায় প্রতিহিংসার কারণে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন।বর্তমানে ওইসকল মামলায় খালাস পেয়ে বিএনপির সকল কর্মসূচী পালন করে আসছেন। বর্তমানে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রী মহল জাকির খানের ক্ষতিসাধন করতে পারে। ফলে তিনি তার ছেলের (জাকির খান) নিরাপত্তা চান৷ প্রসঙ্গত, জাকির খানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম খন্দকার হত্যাসহ ৪টি হত্যাসহ মোট ৩৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় কারাগারে ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার এড়াতে জাকির খান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গোপনে দেশে ফিরে এসে রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিচয় গোপন করে সপরিবার বসবাস শুরু করেন।২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর পর থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ব্যবসায়ী নেতা শাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে জাকির খানসহ সব আসামি খালাস পান। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন৷ এদিন শহরজুড়ে ব্যাপক শোডাউন দিয়ে আলোচনায় আসেন জাকির খান৷ এরপর থেকে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে৷ এফএস
    জমির মামলায় হেরে নারীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার চেষ্টার অভিযোগ
    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি সংক্রান্ত মামলায় হেরে গিয়ে এক নারীকে দিয়ে ধর্ষণ মামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিল্লাল হোসেন নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন হাসিনা বেগম। এছাড়া এঘটনায় তিনি মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা বেগম বলেন, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গন্ধব্যপাড়া হাবু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। গোড়াই ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বিল্লাল হোসেন জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাধে তার সাথে পরিচয়। গত শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সোহাগপুর বাজারে গেলে বিল্লাল হোসেন তার হাতে একটি চিরকুট ও ৩ হাজার টাকা দিয়ে বলেন কলিমাজানি ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হেলাল উদ্দিন, হযরত আলী, সুজন, শরিফ, ফারুক মিয়াকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিতে হবে। এরজন্য তাকে মোটা অংকের টাকা দেয়া হবে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রস্তাবে রাজি না হলেও বিল্লাল চিরকুট ও টাকা রেখে পরে এবিষয়ে কথা বলবেন বলে চলে যান। এরপর পুনরায় বিল্লাল তাকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী হওয়ার জন্য বললে তিনি আবারও তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এতে বিল্লাল হোসেন তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলাকা ছাড়া ও খুন জখমের ভয় দেখায়। গোড়াই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হেলাল উদ্দিন বলেন, বিল্লাল হোসেন অবৈধভাবে এক নিরীহ ব্যক্তির সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করছিলেন। এনিয়ে মামলা মোকদ্দমা হলে আমি ওই নিরীহ ব্যক্তিকে সহযোগিতায় করায় বিল্লাল মেম্বার আমার প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই তিনি এমন জঘন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে।বিল্লাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ওই নারী আমাদের এলাকায় ভাড়া থেকে মাদক ব্যবসা করেন। তাকে নিষেধ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। মির্জাপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এনআই
    কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল
    আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে কিশোরগঞ্জে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আখড়া বাজার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মশাল মিছিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় তারা–অবৈধ মনোনয়ন, মানিনা-মানবো না, 'চুন্নু ভাইয়ের অ্যাকশন ডাইরেক্ট একশন', 'সোহেল ভাইয়ের অ্যাকশন ডাইরেক্ট একশন', রুহুল ভাইয়ের অ্যাকশন ডাইরেক্ট একশন', মাসুদ হিলালী ভাইয়ের অ্যাকশন ডাইরেক্ট একশনসহ নানান স্লোগান দেন।মশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন মনোনয়নবঞ্চিত চার নেতা। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হিলালী, ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক বিভাগীয় স্পেশাল জজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান চুন্নু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোহাম্মদ রুহুল হোসাইন।এসময় বক্তারা বলেন, যারা ১৭ বছর জেল-হামলা-মামলার শিকার হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন মনোনয়নে তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে। অথচ যিনি ১৭ বছর আওয়ামী লীগ নেতাদের ছায়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন, তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যা তৃণমূল মেনে নেবে না।হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, অবিলম্বে মোঃ মাজহারুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কিশোরগঞ্জ ১ আসনটি পুনর্বিবেচনার জন্য বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি জোর আবেদন জানান তারা।এদিকে বিএনপির ‌তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতা-কর্মী জানান, মনোনয়ন ঘিরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তারা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন। নেতা-কর্মীরা এখন বিভক্ত। কেন্দ্র থেকে কোন্দল নিরসনের জন্য কঠোর মনোভাব দেখানো হলেও তা মাঠপর্যায়ে প্রভাব পড়ছে না। এটা আগামী দিনে অব্যাহত থাকলে এর সুবিধা পাবে প্রতিপক্ষ। সুতরাং প্রার্থী পরিবর্তন না করলে বিরূপ ফলাফল আসতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের ৩৬টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতা চান। তবে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি। অন্যদিকে তাঁর মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে আসছেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা।এফএস
    জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই দেশের সব বিজয় এসেছে: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
    দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় জিয়া পরিবারের নেতৃত্ব অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন পর্যন্ত জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ সব ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক বিজয় উৎসবে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু।সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে চারটি বড় ঐতিহাসিক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের সিপাহী–জনতার বিপ্লবেও তার নেতৃত্ব ছিল, যার মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম হয়। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০২৪ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জিয়া পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি দেশনায়ক তারেক রহমান। প্রতিটি আন্দোলনের বিজয়ের পেছনে শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবার ও বিএনপি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।টুকু বলেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের মানুষের বহু আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নিজেদের পছন্দের সরকার গঠন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে মানুষ তাদের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হারিয়েছে।তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না; বিএনপি রাজনীতি করে জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি সবসময় বলেন, জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে। বিএনপি জনগণের দল।এসময় বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির সঙ্গে জড়িত, তারা আজ বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসে কর্মসূচি পালন করছে, যা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ দেশের মানুষ চায় না ওই শক্তি আবার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হোক।টুকু বলেন, বিজয়ের মাসে আমাদের অঙ্গীকার হোক যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করা হবে এবং তা নিশ্চিত করা হবে আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে।টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শ্যামল হোডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ. কে. এম. মনিরুল হক (ডিপি মনির)।এনআই
    নারায়ণগঞ্জে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে গ্রেফতার-১৯
    নারায়ণগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এর আওতায় জেলা পুলিশের অভিযানে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল (১৬ ডিসেম্বর) বিভিন্ন সময়ে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, সদর মডেল থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো মো. রতন প্রধান (৪০), আরিফুল হক ফাহিম (৩৮) ও সহিদুল ইসলাম (৪৫)।ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে দুজনকে। তারা হলো মো. রমিজ উদ্দিন ঢালী (৫৯) ও মহাসিন সিপাহি (৪৫)।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বাধিক ৯জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো মো. আরিফ মাহমুদ (৩০), মো. সাজু (৩১), মনিরুল ইসলাম রাসেল (৪৫), মোখলেছুর রহমান (৫৮), মো. আবুল হোসেন (৫৪), হাবিবুর রহমান তানভীর (২১), মো. শাহিন (৩২), মো. তাজুল ইসলাম (বয়স উল্লেখ নেই) এবং মো. আক্তার হোসেন (২৭)।বন্দর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে তিনজনকে। তারা হলো সাইদুল ইসলাম (৩৫), মিজান মেম্বার (৪৬) ও সুফল চন্দ্র দাস (২১)।রূপগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে মোমেন মোল্লা (৫২) এবং সোনারগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করে মো. রাসেল (৪০)।নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, ‘গ্রেফতারকৃত ১৯ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।তিনি আরও জানান, একই দিনে জেলার সাতটি থানার উদ্যোগে সাতটি চেকপোস্ট বসিয়ে ১৭৬টি যানবাহন ও ৩৪৩টি মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হয়। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও রুট পারমিট সংক্রান্ত অপরাধে দুটি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে।’এসএম
    ভোলায় পৃথক ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু
    ভোলায় পৃথক ঘটনায় বিল্লাল হোসেন (২) ও তাহসান ইসলাম (৫) নামের দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ও পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে পৃথক ঘটনায় শিশু দু'টির মৃত্যু হয়।মৃত শিশু বিল্লাল ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কবির হোসেনের ছেলে। এবং তাহসান পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের কাজল মিয়ার ছেলে।শিশু দু'টির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বাড়ির আঙিনায় খেলা করার সময় অসাবধানতাবশত পুকুরের পানিতে ডুবে যান শিশু বিল্লাল হোসেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করলে পুকুরের পানিতে  ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও একই দিন বেলা ১১ টার দিকে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি নচিমনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন শিশু তাহসান। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসা মৃত ঘোষণা করেন।ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এনআই
    ভোলায় ফের জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
    নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে জামায়াত সমর্থিত বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে মো. আবুল বাসার ও আশিক ইলাহি নামের ২ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে ফেজবুকে লেখা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের দুই কর্মী সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা হয়। পরে বিষয়টি সন্ধ্যার মিমাংসের আশ্বাস দিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। এরপর সন্ধ্যায় ভেলুমিয়া বাজারে জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত হয়। এসময় বিএনপির একটি মিছিল এসে জামায়াতের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে। এছাড়াও জামায়াত সমর্থিত ৪ টি দোকানঘর ভাংচুর চালায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এঘটনার পর রাতেই জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. কামাল হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জামায়াত সমর্থিত কর্মীদের ৪ টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও হামলায় তাদের ১০ জন আহত হয়েছে বলেও জানান।এদিকে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস খান কমান্ডার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জামায়াতের লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। হামলায় তাদের দুই জন আহত হয়েছে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুপক্ষের কেউই কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ, একই দিন সকালে চেয়ারে বসা নিয়ে দৌলতখানে জামায়াতে-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। এছাড়াও গেল সোমবার দুপুরে ভোলার চরফ্যাশনে দফায় দফায় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এসআর
    ভোলায় চেয়ারে বসা নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ২০
    ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের ২০ জন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতখান উপজেলা স্টেডিয়ামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জামায়াতে ইসলামীর ১৫ জন ও বিএনপির সাতজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।এদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় দৌলতখান স্টেডিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পূর্বেই বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদদের পরিবার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে আলাদাভাবে সবার জন্য আসন নির্ধারিত ছিল।অনুষ্ঠান শুরুর নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলা শাখার আমির ও সেক্রেটারি। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে আসনে জামায়াতের নেতাদের দেখে ‘রাজাকার বলে’ নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।জামায়াতে ইসলামীর দৌলতখান উপজেলার সেক্রেটারি মো. আশরাফ উদ্দিন ফারুক বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন আমাদেরকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়েছিল। দাওয়াত পেয়ে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হই। সেখানে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত আসনে বিএনপির চারজন ও জামায়াতে ইসলামীর দুজন নেতার জন্য চেয়ার সংরক্ষিত ছিল।’তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমরা আমাদের আসন গ্রহণ করি। এক পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে দৌলতখান পৌরসভা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল ও দৌলতখান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও যুবদলের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।তাদের হামলায় আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ পুরোপুরি নির্বিকার ছিল। এ ছাড়া তারা চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল, তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল তাই তাদের কিছুটা সেক্রিফাইস মন-মানসিকতা থাকা দরকার ছিল। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি ও ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়িতে আমাদের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।’দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বসার আসনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’এসএম
    কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুমরে মুচরে গেছে যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস
    পেছন থেকে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুমরে মুচরে গেছে থেমে থাকা যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস। এতে মাইক্রোবাসে থাকা নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আটজন যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছেন।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে গুরুত্বর আহতদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া এএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে।তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল সিভেন্সের স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানিয়েছেন-আহতরা সবাই বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন-সামনে গাড়ি থাকায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনাস্থলে থেমে ছিলো। আকস্মিকভাবে বেপরোয়াগতিতে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান স্বজোরে থেমে থাকা মাইক্রোবাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে যাত্রীবাহি মাইক্রোবাসটি ঘটনাস্থলেই দুমড়ে মুচরে ভেতরে থাকা যাত্রীরা গুরুত্বর আহত হয়।এসময় মহাসড়কের দুইপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘক্ষন চেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. শামীম শেখ জানিয়েছেন-দূর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাস ও ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।এনআই
    বাউফলে গরু ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নারীসহ ৫ জন আহত
    পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গরু ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত পাঁচজন কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বারেক ঢালীর ছেলে সায়েম ঢালী (১৮), নাতি সোহাগ গাজী (১৪), স্ত্রী রেহেনা বেগম (৫০) ও বারেক ঢালী (৬০) নিজে। অপর পক্ষের আহত ব্যক্তি হলেন মো. সোহাগ (৩৫)।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার জাকির নামের এক ব্যক্তি বারেক ঢালীর চাষকৃত জমিতে গরু বেঁধে রাখেন। এতে জমির ধান নষ্ট হতে দেখে বারেক ঢালী গরুটি খুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জাকিরের নেতৃত্বে কয়েকজন বারেক ঢালীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় বারেক ঢালীর ছেলে সায়েম ঢালী, নাতি সোহাগ গাজী ও স্ত্রী রেহেনা বেগম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ সময় সংঘর্ষে অপর পক্ষের মো. সোহাগও আহত হন।পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়েম ঢালী ও সোহাগ ঢালীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি । এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এনআই
    গৌরীপুরে চা দোকানীর উদ্যোগে বর্ষসেরা চা’প্রেমীদের সম্মাননা
    ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্যতিক্রমী আয়োজনে এবারও অনুষ্ঠিত হয় বর্ষসেরা চা’প্রেমী সম্মাননা। ‘মাদক ছেড়ে চা ধরুন, মোবাইল আসক্তি কমিয়ে বই পড়ুন’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সম্মাননা অনুষ্ঠান থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় চা দোকানদার হারুন মিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ২৫জন চা প্রেমিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দাস।স্বজন সমাবেশ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামাবাদ ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মো. এমদাদুল হক। সঞ্চালনা করেন গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কবি সেলিম আল রাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চা-দোকানি হারুন মিয়া।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাবুই প্রকাশনীর সম্পাদক ও শিশুসাহিত্যিক কাদের বাবু, ফুলবাড়ি উপজেলার মহিলা বিষয়ক অফিসার রীতা মন্ডল, ভূটিয়ারকোনা স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রইছ উদ্দিন, কালের কন্ঠের ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি আলম ফরাজী, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গৌরীপুর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মদ, গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক শামীম খান, স্বজন সমাবেশের সহসভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন সোহেল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামার হোসেন প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘হারুন মিয়া গৌরীপুরের একজন আলোকিত মানুষ। একজন চা বিক্রেতা হয়ে তিনি সমাজসচেতনতা নিয়ে কথা বলছে। একটি পাঠাগার তৈরি করে মানুষকে বিনামূল্যে বই পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। সদূর দিনাজপুর থেকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর এসে এমন একটি আয়োজনে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি মনে করি, হারুনের মতো তরুণরা সামাজিক কাজকর্মে এভাবে জড়িয়ে থাকলে সমাজ থেকে অন্ধকার দুর হয়ে যাবে।’বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিশুসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাবুই প্রকাশনীর সম্পাদক কাদের বাবু বলেন, ‘এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা হারুনের পাশে থাকবো সবসময়।’উল্লেখ হারুন মিয়ার বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের সতিষা মহল্লায়। ছয় ভাই বোনের মধ্যে হারুন পঞ্চম। মাধ্যমিকে পড়াশোনার ইতি ঘটলে ২০১২ সালে গৌরীপুর পৌর শহরের কালীখলা এলাকায় জালাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে (বর্তমান বিএনপির দলীয় কার্যালয়) চা স্টল দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি প্রতি বছর দোকানের সেরা গ্রাহকেদর বর্ষসেরা সম্মাননা প্রদান করছেন।২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পোগ্রামে ভর্তি হোন। পরবর্তীতে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পাশ করে বর্তমানে ডিগ্রিতে অধ্যায়নরত আছে। ২০২৩ সালে চা স্টলের শতাধিক বই নিয়ে হারুন পাঠাগারের যাত্রা শুরু করে।হারুন মিয়ার বাবা পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন, ২০২৩ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে তার ওপরে। বর্তমানে ছোট বোন আর মা নিয়ে হারুনের তিন সদস্যের পরিবার। ছোট বোন বীনা আক্তার গৌরীপুর সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। বড় দুই ভাই বিয়ে করে আলাদা ঘর সংসার করছেন। মুক্তিযোদ্ধার চায়ে অর্ধেক দাম, মাদকবিরোধী আন্দোলন, গ্রাহকদের নিয়ে দুর্নীতিবিরুধী বিক্ষোভ এবং পাঠাগার তৈরি করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি।হারুন মিয়া বলেন, আমার পাঠাগারটিতে দেড় হাজারের মতো বই আছে, আমার স্বপ্ন পাঠাগারটি বড় করা মানুষের উপকার হয় এমন কাজে জড়িত থাকা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা।এসএম
    জামালপুরে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে ১৭ জন গ্রেফতার
    জামালপুরে পুলিশের ‘ডেভিল হান্ট, ফেইজ-২’ অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় জামালপুরের সাত উপজেলায় পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ১৭ জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জামালপুর সদর থানায় ৬ জন, মাদারগঞ্জ মডেল থানায় ৫ জন, মেলান্দহ থানায় ২ জন, ইসলামপুর থানায় ২ জন, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ১ জন ও সরিষাবাড়ী থানায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নূরে আলম সীমান্ত (২৫), সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম (২৫), জামালপুর পৌর শ্রমিক লীগ ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আকন্দ তুহিন (৩৬), বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন (৪০), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক লিটন হোসেন (৩৬) ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান হালিম (৪১)।এছাড়াও সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আওয়াল (৪২), মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক টিপু সুলতান (৫৮), মেলান্দহ পৌর আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাহ আলী (৬০), মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নান্নু পারভেজ (৩৬) ও মীর রাইসুল ইসলাম রাসেল (৪২), বালিজুড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রকিবুল হাসান (৩৫), একই ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক (৫৫), আদারভিটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), ইসলামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোনাহার সরকার (৩৬), কুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম হাসমত (৫২) ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম (৬১)।জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সোহেল মাহমুদ জানান, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। যারা নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল ও রাজনৈতিক পরিবেশ অশান্ত করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ গত ২৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’এসএম
    নান্দাইলের যমজ দুই বোনের মেডিক্যালে চান্স
    এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে যমজ দুই বোন মেডিক্যালে চান্স পেয়েছেন।তাদের মধ্যে ফাবিহা জামান মিহা ৮১.৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৮৭৩তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে এবং লামিসা জামান লিহা ৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৪৬৭৫তম হয়ে নেত্রকোনা মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেয়েছেন।তাদের এই কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামে। তাদের বাবা ডা. এম, কামরুজ্জামান মানিক, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মা তসলিমা বেগম লাভলী, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রসায়ন বিভাগ, নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহে কর্মরত। মেধাবী এই দুই বোন বর্তমানে বাউন্ডারি রোড ময়মনসিংহে বসবাস করেন।মিহা ও লিহা ময়মনসিংহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এসএসসি-২০২৩ পরীক্ষায় মিহা ১২৪৭ নম্বর এবং লিহা ১২৪১ নম্বর, এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় মিহা ১১৯২ এবং লিহা ১১৮৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।তাদের বাবা ডা. এম কামরুজ্জামান মানিক জানান, এই সাফল্য শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো নান্দাইলবাসীর। তাদের এই অর্জন আশপাশের শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমরা আশা করি, তারা ভবিষ্যতে মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দশের সেবা করবে।তিনি আরো বলেন, ‘নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকতে হয়। মেয়েদের সাফল্যের পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের শিক্ষক মায়ের দিকনির্দেশনা অনেক কাজে লেগেছে। তাদের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিও সার্বিক খোঁজ নিয়েছি।’মিহা ও লিহার মা তসলিমা বেগম লাভলী মা বলেন, ‘মেয়েদের পরিশ্রমের সার্থকতা এসেছে, আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করি, তারা যেন তাদের মানবিক গুণগুলো আজীবন ধারণ করতে পারে।কারণ ডাক্তারি পেশায় মানবতা খুব প্রয়োজনীয়।’মিহা তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মানবিক ডাক্তার হয়ে পরিবার, দেশ ও মানুষের সেবা করতে চাই’। লিহা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবা করতে চাই।’মিহা ও লিহার এই অসাধারণ অর্জনে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহীর অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবু হায়াত মো. রীশাদ মোরশেদ বলেন,‘মিহা ও লিহা দুজনই একই পরিবারের যমজ বোন হয়েও এই বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জন করেছে। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনন্য গৌরবের মুহূর্ত। অধ্যক্ষ হিসেবে আমি গভীর আনন্দ ও গর্ব অনুভব করছি। তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও সঠিক দিক নির্দেশনা থাকলে অসাধ্য কিছুই নয়। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’এসআর
    ভিডিও বানাতে গিয়ে হাতির আক্রমণে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মৃত্যু
    শেরপুরের শ্রীবরদীতে বনের ভেতরে ভিডিও করতে গিয়ে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ফারুক হোসেন (৩৬) নামের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিহত হয়েছেন।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বালিজুড়ী রেঞ্জের সোনাঝুড়ি এলাকায় বনের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ফাকরাবাদ এলাকার মো. সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি জেলার সীমান্তবর্তী বনাঞ্চলে গিয়ে নিয়মিত হাতির ভিডিও করে তাঁর ফেসবুক আইডিতে আপলোড করতেন।তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের বালিজুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া।বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী রেঞ্জের মালাকুচা বিটের বনে ৪০-৪২টি বন্য হাতি ৬-৭টি শাবকসহ অবস্থান করছে। খবর পেয়ে আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফারুক হোসেন উৎসুক মানুষদের সঙ্গে বন্য হাতির ভিডিও করতে শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাঝুড়ি এলাকায় বনের ভেতরে যান।এ সময় তিনি সামনে গিয়ে ভিডিও করতে গেলে হঠাৎ হাতির সামনে পড়েন। তখন একটি বন্য হাতি পা দিয়ে তাঁর মাথা পিষ্ট করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বন বিভাগের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ফারুক হোসেনের ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আজ সকালেও হাতির একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। তিনি প্রতিনিয়তই জেলার বিভিন্ন জায়গার বন্য হাতির ভিডিও ধারণ করে সেগুলো তাঁর ফেসবুকে আপলোড করতেন। এটি করতে গিয়ে তিনি অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণভাবে হাতির কাছাকাছি চলে যেতেন। ভিডিওগুলোতে বেশ কয়েকবারই হাতির ধাওয়া খেয়ে তাঁকে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে।বন বিভাগের বালিজুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানান, উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বনের ভেতরে ৪০-৪২টি বন্য হাতি অবস্থান করছে। আজ বিকেলে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ফারুক নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সম্ভবত তিনি ভিডিও করতে গিয়েছিলেন।সুমন মিয়া আরও বলেন, নিহত যুবকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে পরামর্শ দেওয়া হবে।শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ বলেন, এ ঘটনার পর ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচল সীমিত করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তি যাতে দ্রুত সময়ে ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এনআই
    ‘হাদীর উপর হামলাকারীরা সীমান্ত ব্যবহার করে পালানোর তথ্য নিশ্চিত নয়’
    ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় হামলাকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কী না—তা এখনও শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা মানবপাচারকারী ফিলিপ স্নালকে ধরতে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।হাদীর ওপর হামলার ঘটনার পরপরই বিজিবি সম্ভাব্য পালানোর রুট ও মানবপাচার চক্রের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে সীমান্ত এলাকায় অভিযান শুরু করে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। বসানো হয় একাধিক অস্থায়ী ও স্থায়ী চেকপোস্ট। একই সঙ্গে সীমান্ত টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়।বিজিবি জানায়, হামলার সঙ্গে জড়িতরা ময়মনসিংহ সীমান্তের দুর্গম এলাকা ব্যবহার করে পালানোর চেষ্টা করতে পারে—এই আশঙ্কায় সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত সম্ভাব্য রুটগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গুলি বর্ষণকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কী না—তা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।’তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারি ও অভিযান চালাচ্ছি। ফিলিপ স্নালকে গ্রেপ্তার করতে পারলে হামলার পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।’বিজিবি জানায়, অভিযানের অংশ হিসেবে ফিলিপ স্নালের স্ত্রী ডেলটা চিরান, তার শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এ ছাড়া ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী বারোমারি এলাকা থেকে বেঞ্জামিন চিরাম নামে আরও একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলার ঘটনায় কারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং তাদের পালানোর পথ কী ছিল—তা উদ্‌ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সীমান্ত এলাকায় অভিযান আরও জোরদার করা হবে।ইখা
    ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডলসহ আটক ২
    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) টহলরত সদস্যরা এক পৃথক মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় গাঁজা-ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুই চোরাকারীকে  আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে,  বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শিমুলবাড়ী বিওপি’র আওতাধীন উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা এলাকায় বিজিবি’র টহলদল মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালান। এ সময় সন্দেহজনক এক চোরাকারবারির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবির টহলদল। পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সোহেল রানা (৩০) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করে ১.৩ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।  আটক চোরাকারবারি হলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের জয়রী গ্রামের  , মৃতঃ আসরাফ আলীর ছেলে। অন্য দিকে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে বালারহাট বিওপি’র আওতাধীন অভ্যন্তরে বালাতাড়ি সীমান্ত এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে একই কৌশলে মদর আলী (৪০) নামের এক চোরাকারবারিকে ভারতীয় ৪০ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। আটক মাদক কারবারি হলেন উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চরগোরকমন্ডল এলাকার মৃত: হবিবুর রহমানের ছেলে। লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি জানান, জব্দকৃত মাদক দ্রব্য ১.৩ কেজি গাঁজা, যার সিজার মূল্য ৪ হাজার ৫৫০ টাকা এবং টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৪০পিচ, যার সিজার মূল্য ৪ হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ৮ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আটককৃত দুই মাদক কারবারিকে উদ্ধারকৃত মাদকসহ ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বলেন, “দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।এসআর
    পার্বতীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল যুবকের
    দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও যুবকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলফিকার আলী।ওসি জানান, সৈয়দপুর থেকে খুলনাকামী রকেট মেইল ট্রেনটি পার্বতীপুরে স্টেশনে প্রবেশ করছিল। পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীয় লোক কমিটিভ কারখানার সামনে ট্রেনে কাটা পড়েন ওই যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। ওসি জুলফিকার আলী জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিকেলে সিআইডির টিম এসে নিহতের পরিচয় উদ্ধার করবে। এনআই
    দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত
    দিনাজপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী জামায়াত নেতা আনিসুর রহমান নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা অপর এক পথচারী আহত হয়েছেন।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে দিনাজপুর–ফুলবাড়ি মহাসড়কের সদর উপজেলার লক্ষীতলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত আনিসুর রহমান দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আল ফালাহ আম-এর পরিচালক ছিলেন।বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আল ফালাহ আম-এর কর্মকর্তা মো. আয়াস উদ্দীন জানান, আনিসুর রহমান মোটরসাইকেলে করে অফিসের কাজে লক্ষীতলা বাজারে সংস্থাটির শাখা কার্যালয়ে যান। অফিসের কাজ শেষে শহরে ফেরার পথে লক্ষীতলা বাজার এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাক পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই আনিসুর রহমানের মৃত্যু হয়।দিনাজপুর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুন নবী বলেন, ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।এনআই
    আহত সেনাসদস্যের পরিবারের পাশে বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন
    সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বীর সদস্য সার্জেন্ট মোস্তাকিম হোসেনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহ্‌মিনা সুলতানা নীলা আহত ওই শান্তিরক্ষীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং সান্ত্বনা প্রদান করেন।জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বুজরূক বাইলশিরা গ্রামের এনামুল হকের পুত্র মোস্তাকিম হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন্ট।তিনি জাতিসংঘের পতাকার নিচে সুদানের আবেই অঞ্চলে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ওই মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় তিনি আহত হন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বুধবার বিকেলে ইউএনও তাহ্‌মিনা সুলতানা নীলা সার্জেন্ট মোস্তাকিমের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং বীর এই সেনাসদস্যের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। এসময় ইউএনও বলেন, দেশ ও জাতির গর্ব হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা বিশ্ব শান্তি রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।দায়িত্ব পালনকালে আহত হওয়া আমাদের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি বেদনার। উপজেলা প্রশাসন সবসময় এই বীর সন্তানদের পরিবারের পাশে আছে।পরিবারের সদস্যরা সার্জেন্ট মোস্তাকিমের দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। এনআই
    দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীর
    দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী ও স্ত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার(১৭ ডিসেম্বর)  সকালে বীরগঞ্জ-পীরগঞ্জ সড়কের কমোর রাইস মিল সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বীরগঞ্জ উপজেলার মহুগাঁও গ্রামের কসমেটিকস ব্যবসায়ী তারিনী বর্মণ  ও তার স্ত্রী ইতি রানী । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে স্বামী ও স্ত্রী একটি মোটরসাইকেলে করে বীরগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারিনী বর্মণ নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্ত্রী ইতি রানীকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ট্রাক্টরচালক পালিয়ে গেলেও সড়ক পরিবহন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’এনআই
    ওয়াজ মাহফিলে দোকান বসানো নিয়ে বিরোধ; ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
    পাবনা শহরের দারুল আমান ট্রাস্ট এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সুজন মোল্লা (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোহান ইসলাম (২০) নামে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।পাবনা সদর থানার ওসি দুলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিহত সুজন মোল্লা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামের সাইফুল মোল্লার ছেলে। আর আটককৃত সোহান ইসলাম পাবনা সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর গ্রামের শরিফ প্রামাণিকের ছেলে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দারুল আমান ট্রাস্টে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে সংলগ্ন এলাকায় দোকান বসানো নিয়ে সুজন ও সোহানের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সোহান ধারালো ছুরি দিয়ে সুজনকে আঘাত করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ওসি দুলাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সোহান ইসলামকে আটক করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে।এফএস
    নওগাঁয় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
    শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নওগাঁয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৩জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ কার্যক্রমের আওতায় জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলার ধামুইরহাট উপজেলার হযরতপুর গ্রামের বেনজির আহমেদ, পূর্ব চকপ্রাদ এলাকার রফিকুল ইসলাম, কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার আল আমিন ও জাহানপুর এলাকার হেলাল হোসেন, সদর উপজেলার ভীমপুর এলাকার সিরাজ উদ্দিন ও নিন্দইল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, আত্রাই থানার কাসিয়াবাড়ি এলাকার মোকলেসুর রহমান, রাণীনগর উপজেলার চরকোনাই এলাকার সখিমুদ্দীন, বদলগাছী উপজেলার কাশিমালা গ্রামের মিন্টু হোসেন ওরফে সকি, মহাদেবপুর উপজেলার চকগোড়া পূর্ব পাড়ার জালাল উদ্দিন, কর্ণপুর জোয়াদ্দার পাড়ার পূর্ণ চন্দ্র সাহা ও দক্ষিণওড়া গ্রামের মামুনুর রশিদ এবং পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার সাবিনা বেগম।গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে নওগাঁ জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান "অপারেশন ডেভিলহান্ট টু " পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও অপরাধ দমনে জেলা পুলিশ  নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।জানা যায়, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার ফেজ-২ নামক অভিযান ঘোষণা করেছে। এরই প্রেক্ষিতে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর দুই দিন ব্যাপী জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে বিশেষ অভিযান “অপারেশন ডেভিল হান্ট (ফেইজ–২)” পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা হতে  কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দলের সাথে সংযুক্ত মোট ১৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে  আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ জনমনের অশান্তি সৃষ্টি এবং শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গের  অভিযোগ রয়েছে। নওগাঁ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জেলার বিভিন্ন থানা পুলিশের উদ্যোগে এই অভিযান চালানো হয়।এনআই
    দিগন্তের পর দিগন্ত হলুদ ফুলে ভরে গেছে চৌহালীর চরাঞ্চলের মাঠ-ঘাট
    কৃষিপ্রধান রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলা সরিষা ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু সবুজের ফাঁকে হলুদের সমাহার। পথিকের নজর কাড়তে ফুলের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে মৌমাছির দল। কখনো কখনো সরিষা খেতে বসছে পোকাখাদক বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁক। অনেকটায় প্রতিকূল আবহাওয়ার পরেও এখানে প্রায় ২৫৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাঠে মাঠে চাষ করা হয় সব রকমারি ফসল। সরিষা চাষ কিছুটা কম হলেও ফসলের মাঠের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে এসব সরিষা খেত। মাঠের চারিদিক যেন হলুদে হলুদে পরিপূর্ণ। এক দেখাতেই মন কাড়বে পথচারীদের। সরিষা ফুলের শোভা আরও বাড়িয়ে তুলেছে অসংখ্য মৌমাছির দল। গুণগুনিয়ে মধু আহরণে ব্যস্ত তারা। এ মৌসুমে অধিক পরিমাণ মধু উৎপাদনের জন্য মাঠে মাঠে মৌবাক্স স্থাপন করছে মধু ব্যবসায়ী ও মৌচাষিরা।উপজেলার উল্লেখযোগ্য খাষকাউলিয়া জোতপাড়া এলাকা, কুরকী, পশ্চিম জোতপাড়া, দক্ষিণ খাষকাউলিয়া ও পশ্চিম কোদালিয়াসহ বিভিন্ন স্থানের মাঠের পাশে শতশত মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। মধুচাষে ভালো লাভের কারণে এ পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকেই। ইতোমধ্যে খাঁটি এসব মধু উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন শতাধিক খেটে খাওয়া মানুষ। এখন পেশাদার মধু ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তারা।দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে মধুচাষ করে আসছে স্হানীয়রা। প্রতিবছর এ সংস্থাটি বিভিন্ন মাঠে তাদের চাষ করা মৌবক্স থেকে কয়েক টন মধু সংগ্রহ করে থাকে। পরে এসব মধু শোধনের পর সারা বছর বাজারজাত করে আসছে। সংস্থার মূলধন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেকারের কর্মসংস্থান, মৌপালন ও মধুচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সকল পেশাজীবীরা।উপজেলার দক্ষিণ জোতপাড়া গ্রামের কৃষক ময়নাল হক বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহের পাশাপাশি গুরুত্বের সঙ্গে প্রায় দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। ভাল ফুল ফুটেছে বলে ভালো ফলনও আশা করা যায়।কোদালিয়া এলাকার বৈন্যা গ্রামের মধুচাষী শামচুল হক বলেন, চাকরির দায়িত্ব পালনের পর অবসর সময়ে মৌচাষ করে উৎপাদিত মধু হতে অনেক টাকায় আয় হয়ে থাকে। এ থেকে অর্জিত টাকায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জোগায়। এটি একটি লাভজনক পেশা।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। ফলনও ভাল ফলবে বলে আশাবাদী তিনি। এছাড়াও সরিষা খেতে মৌমাছি পালন ও মধুচাষে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান বাড়ছে।এসআর
    পাবনায় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
    পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের গুলিতে বীরু মোল্লা (৪৮) নামের এক ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত বীরু মোল্লা কামালপুর গ্রামের আবুল মোল্লার ছেলে এবং লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বীরু মোল্লার চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লা তাদের পারিবারিক বিরোধকৃত জমি থেকে মাটি কাটে। এই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আজ সকালে বীরু মোল্লা লোকজন নিয়ে জহুরুল মোল্লার বাড়িতে, যায়। কথার একপর্যায়ে বাক-বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়, পরে জহুরুল মোল্লা ও তার ছেলে ফাঁকা গুলি করে এবং তাদেরকে চলে যেতে বলে। তারা সেখান থেকে না গেলে পরবর্তীতে তাদের লক্ষ্য করে আবারো গুলি করে এবং বীরু মোল্লা মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান জানান, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিল। কিন্তু বাড়ির ভেতর থেকে গুলি করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এসআর
    নওগাঁয় বাস চাপায় কারারক্ষী নিহত
    নওগাঁর মান্দায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে পলাশ আলী নামে এক কারারক্ষী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের ভোলাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পলাশ আলী বগুড়া জেলা কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত পলাশ আলী মোটরসাইকেল চালিয়ে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তার মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁ অভিমুখী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এতে পলাশ আলীর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হয়। মান্দা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশীষ কুমার সন্যাল বলেন, বাস চাপায় ঘটাস্থলেই ওই কারারক্ষী নিহত হন। কারা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ঘাতক বাসটিকে শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। পিএম
    সুনামগঞ্জে ৪৫ বোতল বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
    সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে ৪৫ বোতল বিদেশী মদসহ মোঃ মোকসেদ আলী (৬২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের দুধপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি উপজেলার দুধপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে।জানা গেছে  র‍্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল টহল ডিউটি করাকালীন উপজেলার চিনাকান্দি বাজারে অবস্থানের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন ধনপুর ইউনিয়নের দুধপুর এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। সংবাদ পেয়ে র‍্যাবের আভিযানিক দলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মোকশেদ দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়, পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তার হেফাজতে ১টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর বিদেশী মদ রয়েছে। পরবর্তীতে তার হেফাজতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ৪৫ বোতল বিদেশী মদসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।র‍্যাব-৯, সিলেট অতিঃ পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার কে, এম, শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ খ্রিঃ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র‍্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসআর
    চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
    সিলেটের ওসমানীনগরে শিপন আহমদ নামের এক চালককে হত্যা করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।রবিবার(১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউপির চাতলপাড় কেশবপুর সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।নিহত শিপন (২৫) উপজেলার দয়ামীর ইউপির রাইকদারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরফ আলীর ছেলে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। গত শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিপন তার বড় বোনের অনটেস্ট সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউপির চাতলপাড় কেশবখালী নদীর দক্ষিণপাড়ে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ওসমানীনগর থানা পুলিশকে খবর দেন।খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও পিবিআই লাশের সুরতহাল করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা লাশটি শিপনের বলে শনাক্ত করেন। নিহত শিপনের কানের নিচে ও বুকের বামপাশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।পুলিশ ধারণা, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা শিপনকে ভাড়া করে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোরশেদুল হাসান ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অটোরিকশাচালক শিপন হত্যার ঘটনায় এখানো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।এনআই
    হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের কেউ যেনদেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য হবিগঞ্জ সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী চেকপোস্ট স্থাপন করে বিশেষ টহল পরিচালিত হচ্ছে।৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: তানজিলুর রহমান জানান, ওই ঘটনার পর থেকে ৫৫ বিজিবি অধীনস্থ ১৬টি বিওপি সমূহ হতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সম্ভাব্য পলায়ন ও অবৈধ পারাপারের স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।তিনি জানান, ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ জেলার প্রায় ১০৩ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের পাশ্ববর্তী দেশে পলায়ন ও সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। যেকোনো সন্দেহজনক তথ্য সম্পর্কে এলাকাবাসীকে নিকটস্থ বিজিবি বিওপিকে অবহিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।ইখা
    দুই দিন যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
    ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ লাইন উন্নয়ন এবং গাছপালার শাখা-প্রশাখা কাটার জন্য সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আগামী ২ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ও রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সময়ের জন্য এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিলেট পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এবং বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলীরা পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত—১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডার ও ১১ কেভি উপশহর ফিডারের আওতাধীন ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।এই এলাকাগুলো হলো—শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, বোরহানবাগ, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া।বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি লাক্কাতুড়া উপকেন্দ্রের আওতাধীন ১১ কেভি ফিডারের ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলো হলো—কাকুয়ারপাড়, এয়ারপোর্ট থানা, বাইশটিলা, ওসমানী বিমানবন্দর এক্সপ্রেস, ধোপাগুল, বনশ্রী, বাদামবাগিচা, পাহাড়িকা, বড়বাজার, লাক্কাতুড়া স্টেডিয়াম, লাক্কাতুড়া বাজার, মুসলিমপাড়া, মালনীছড়া, রূপসা আবাসিক, আবদানি, ফরিদাবাদ, সিলভার সিটি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা বাগান, মহালদিক, উমদারপাড়া, লিলাপাড়া, দাপনাটিলা, কালাগুল, লালবাগ, পীরেরগাঁও, ছালিয়া, রঙ্গিটিলা, সালুটিকরঘাট।লাক্কাতুড়া উপকেন্দ্রের বড় বাজার, বনশ্রী ও বাদামবাগিচা ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলো হলো—বনশ্রী, বাদামবাগিচা, ইলাশকান্দি, উদয়ন, চৌকিদেখী, আনার মিয়ার গলি, বাঁশবাড়ি গলি, সিলসিলা গলি, রূপসা গলি, মোল্লাপাড়া গলি, মালনীছড়া, মুসলিমপাড়া, লাক্কাতুড়া বাজার।পিডিবি জানায়, কাজ শেষ হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে কর্তৃপক্ষ।এমআর-২
    সিলেটে মধ্যরাতে ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প
    সিলেটে মধ্যরাতে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথমবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর ২টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট।ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫ এবং গভীরতা ছিল ২০ কিলোমিটার। পরেরটির মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।এদিকে রাত ৩টা ৩৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর গভীরতা ছিল ১৫ কিলোমিটার।এছাড়া রাত ২টা ৫৪ মিনিট ৩ সেকেন্ডে মিয়ানমারে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার খবর জানায় ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর মান্দালয় থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে।এরআগে, রাজধানীতে গত ৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৪ দশমিক ১। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং এর উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এবং নরসিংদীর ৩ কিলোমিটার উত্তরে।এরআগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কক্সবাজার শহর, উখিয়া, চকরিয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভূমিকম্প অনুভব করেন। ওই দিনের ভূমিকম্পের আঘাতে কোনো ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, কম্পনের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড। ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৪ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার।এরআগে, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নরসিংদীর মাধবদীতে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। এতে উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন, ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে এক শিশুসহ তিন জেলায় মোট ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন কয়েক শত মানুষ।এবি 

    অনলাইন ভোট

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হবে। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ১২
    নাইজেরিয়ার প্লাটো রাজ্যের আতোসো গ্রামে একটি খনি স্থাপনায় বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। এ সময়ে আরও তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় একদল নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।বেরোম ইয়ুথ মোল্ডার্স-অ্যাসোসিয়েশন (বিওয়াইএম) এর প্রধান ডালিওপ সলোমন মাওয়ান্তিরি জানান, আক্রমণকারীরা (যাদের স্থানীয়রা সশস্ত্র ফুলানি মিলিশিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে) মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশের মুখপাত্র আলফ্রেড আলাবো নিশ্চিত করেন, এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। সর্বশেষ এই হামলার ঘটনা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তাহীনতার ঘটনাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে।সেখানে জাতিগত ও ধর্মীয় দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।এমআর-২
    ভেনেজুয়েলার তেল আমেরিকার সম্পদ: ট্রাম্পের সহকারী
    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহকারী স্টিফেন বলেছেন, ভেনেজুয়েলার তেল আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ। তিনি দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির তেল শিল্প জাতীয়করণকে সরাসরি ‘চুরি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার বলেন, ভেনেজুয়েলায় তেল শিল্প গড়ে উঠেছে ‘আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবন ও পরিশ্রমে’। তার ভাষায়, এই শিল্পের স্বৈরাচারী দখল ছিল আমেরিকান সম্পদ ও সম্পত্তির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুরি।তিনি আরও বলেন, এই ‘লুণ্ঠিত সম্পদ’ ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করা হয়েছে ও যুক্তরাষ্ট্রে খুনি, ভাড়াটে যোদ্ধা ও মাদক প্রবাহিত করা হয়েছে।মিলারের এই মন্তব্যে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার পেছনে মাদক পাচারই প্রধান কারণ- ট্রাম্প প্রশাসনের এই দাবি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও আন্তর্জাতিক আইনের ‘প্রাকৃতিক সম্পদের স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতিমালা অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার তেল দেশটির নিজস্ব সম্পদ।ভেনেজুয়েলা ১৯৭৬ সালে তাদের তেল খাত জাতীয়করণ করে ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পিডিভিএসএর অধীনে আনে। পরে ২০০৭ সালে তৎকালীন বামপন্থি প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ বাকি বিদেশি তেল প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন। এর ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সন মোবিলের মতো মার্কিন তেল জায়ান্টরা কার্যত দেশটি থেকে বিতাড়িত হয়।এই জাতীয়করণের বিরুদ্ধে মার্কিন কোম্পানিগুলো আইনি লড়াই শুরু করে। ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সালিসি ট্রাইব্যুনাল এক্সন মোবিলকে ১৬০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ভেনেজুয়েলাকে নির্দেশ দেয়। এ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান।২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দ্বিতীয় মেয়াদে জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে তাঁর তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি আরও জোরদার করেছেন।মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর ওপর অবরোধের ঘোষণা দেন এবং সেগুলোকে ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত’ বলে অভিহিত করেন। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি মিলারের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ভেনেজুয়েলাবাসী যুক্তরাষ্ট্রের তেল ‘চুরি’ করেছে।ট্রাম্প লেখেন, দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে সম্পূর্ণ ঘিরে ফেলা হয়েছে। যতক্ষণ না তারা আমাদের কাছ থেকে আগে চুরি করা সব তেল, ভূমি ও অন্যান্য সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে দিচ্ছে, ততক্ষণে এই বহর আরও বড় হবে ও তাদের জন্য এমন এক ধাক্কা আসবে, যা তারা আগে কখনো দেখেনি।এই অবরোধ ভেনেজুয়েলার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক নীতিরই অংশ। মাদুরো প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজের সরকারের সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে একটি তেল ট্যাংকার জব্দ করে, যাকে কারাকাস ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার আশপাশে যেসব নৌযানে মাদক বহনের অভিযোগ তুলেছে, সেগুলোর ওপর বোমা হামলাও চালিয়ে আসছে। বহু আইন বিশেষজ্ঞ এই অভিযানকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মনে করছেন।মঙ্গলবার ভ্যানিটি ফেয়ারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, এসব নৌ হামলার লক্ষ্য হলো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরানো। ওয়াইলস নাকি বলেছেন, মাদুরো ‘আত্মসমর্পণ’ না করা পর্যন্ত নৌকাগুলো ধ্বংস করা চালিয়ে যেতে চান ট্রাম্প।নভেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ‘কার্টেল দে লস সোলেস’কে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে, যদিও এটি কোনো সংগঠিত গোষ্ঠীর নাম নয়; বরং ভেনেজুয়েলার সরকার ও সেনাবাহিনীর ভেতরের কথিত দুর্নীতির একটি উল্লেখমাত্র। তবে মাদুরো কোনো মাদকচক্রের নেতা বা ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রগামী মাদকের প্রধান উৎস- এমন দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।তবু মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ চুরি’র অভিযোগে তিনি ‘ভেনেজুয়েলার সরকারকে’ বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেবেন।এদিকে, ধারণা করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলের মজুত রয়েছে ভেনেজুয়েলায়। আর এটিই এই বিরোধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পলিটিকোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অজ্ঞাত সূত্রের বরাতে বলা হয়, মাদুরো ক্ষমতাচ্যুত হলে ভেনেজুয়েলায় ফিরে আসতে আগ্রহী কি না, তা জানতে ট্রাম্প প্রশাসন বেসরকারি তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।এক সূত্র পলিটিকোকে বলেন, ভেনেজুয়েলায় ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে শিল্পখাতের সঙ্গে যোগাযোগের সূচনা হয়েছে। তবে কম তেলের দাম ও বিশ্বের অন্য জায়গায় বেশি আকর্ষণীয় ক্ষেত্র থাকায় শিল্পখাতে খুব একটা আগ্রহ নেই।তবে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো ঘোষণা দিয়েছেন, মাদুরো ক্ষমতা হারালে তিনি দেশের তেল খাত বেসরকারিকরণ করবেন ও বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করবেন। চলতি বছর মাচাদো শান্তিতে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন।সূত্র: আল-জাজিরাএমআর-২
    ভেনেজুয়েলায় রক্তপাত ঠেকাতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
    লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক চাপ ও তেল ট্যাংকার অবরোধের ঘোষণার মধ্যেই সম্ভাব্য সহিংসতা ও রক্তপাত ঠেকাতে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছে মেক্সিকো। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সংলাপের ওপরও জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি ভেনেজুয়েলায় ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছেন তিনি।সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সহিংসতা ঠেকাতে জাতিসংঘকে কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির ওপর চাপ আরও বাড়াচ্ছেন, তখনই তিনি এই আহ্বান জানালেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে শেইনবাউম বলেন, ‘জাতিসংঘের ভূমিকা চোখে পড়ার মতোভাবে অনুপস্থিত। যেকোনও রক্তপাত ঠেকাতে এবং সব সময় শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেল ট্যাংকারের’ ওপর অবরোধ ঘোষণার পর তিনি এই মন্তব্য করেন। গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলছে। তাদের দাবি, লাতিন আমেরিকায় মাদক পাচার দমন করাই এই অভিযানের লক্ষ্য। তবে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাস এই সামরিক তৎপরতাকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা এবং ভেনেজুয়েলার তেল ‘চুরির’ অভিযান হিসেবে দেখছে।প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম বলেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্ব নিয়ে যে-ই মতামত থাকুক না কেন, মেক্সিকোর অবস্থান স্পষ্ট— আমরা যেকোনও ধরনের ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ প্রত্যাখ্যান করি। তিনি বলেন, ‘যেকোনও আন্তর্জাতিক বিরোধে আমরা সংলাপ ও শান্তির পক্ষে, হস্তক্ষেপের নয়। এটি আমাদের নীতিগত অবস্থান এবং আমাদের সংবিধানের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।’এদিকে বুধবার কুইটোতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানায়, ইকুয়েডরের প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দরনগরী মান্তায় ‘ইকুয়েডরীয় বিমানবাহিনীর সঙ্গে সাময়িক অভিযানে’ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। তবে কতজন সদস্য বা কী ধরনের সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।এর আগে গত সোমবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করা তিনটি নৌযানে হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এই বিতর্কিত অভিযানে ইতোমধ্যেই বহু মানুষের প্রাণ গেছে।চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ক্যারিবীয় সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক পাচারের অভিযোগে নৌযান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। এসব অভিযানে অন্তত ২৬টি ছোট নৌযান ধ্বংস করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ৯৫ জন নিহত হয়েছেন।এবি 
    চলতি বছরে ইউক্রেনের ৫ লাখ সেনা নিহত: রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী
    চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভ তার মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বোর্ড মিটিংয়ে এ দাবি করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম রাশিয়ান টেলিভিশনের (আরটি) জানিয়েছে, বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোর্ড মিটিং ছিল। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।সেখানে বেলৌসোভ বলেন, ‘২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে এই ক্ষতি কাটিয়ে বাহিনীকে আবার সংগঠিত করা কিয়েভের জন্য কঠিন। কারণ ব্যাপক এই প্রাণহানির কারণে দেশটির বেসামরিক জনগণ সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের ব্যাপারে আর উৎসাহী হচ্ছে না।’বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান, বিপুলসংখ্যক সেনা হারানোর পাশাপাশি চলতি বছর ১ লাখ ৩হাজারেরও বেশি সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫০০ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান রয়েছে— যেগুলো সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে দিয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব।ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা না করা এবং ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কিয়েভের তদবিরের জেরে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই যুদ্ধ বাঁধার অল্প কিছুদিনের মধ্যে ডিক্রি জারি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেই ডিক্রিতে ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।যুদ্ধের শুরুর দিকে বেসামরিকদের জন্য ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগদানের বয়স ছিল ২৭ বছর। গত বছর তা ২৫ করা হয়েছে।এদিকে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের জন্য জোর-জবরদস্তির অভিযোগে গত এক বছরে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ জনগণ ও সেনা সমাবেশ কর্মকতাদের মধ্যে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে।তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও জানায়নি ইউক্রেন।তথ্যসূত্র: তাসএবি 
    গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর ৬১ ইসরাইলি সেনার আত্মহত্যা
    ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির ৬১ জন সেনাসদস্য আত্মহত্যা করলেন। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবশেষ আত্মহত্যা করা ওই সেনা ইসরাইলি বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি ‘ট্র্যাকার’ হিসেবে কাজ করতেন। মঙ্গলবার তিনি নিজের ওপর গুলি চালান। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে এদিন সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।এর কিছুক্ষণ আগে ইসরাইলি বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উত্তর ইসরাইলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে গুলি লেগে এক সেনা গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের গবেষণা ও তথ্যকেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের শুরু থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ইসরাইলের ২৭৯ জন সেনাসদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এ তথ্য অনুযায়ী প্রতি সাতজনের চেষ্টার বিপরীতে একজন সেনা আত্মহত্যা করেছেন।তথ্যসূত্র: আনাদোলুএবি 
    বেশিরভাগ অভিবাসীকেই ‘অবৈধ’ মনে করেন ইউরোপীয়রা
    ইউরোপীয়দের অনেকেই ভুলবশত মনে করেন, তাদের দেশগুলোতে অবস্থানরত বেশিরভাগ অভিবাসী ‘অবৈধ’। সম্প্রতি ইউরোপের সাতটি দেশে পরিচালিত এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে।জরিপে দেখা গেছে, ইউরোপীয়দের মাঝে অভিবাসন বিরোধিতা তীব্রভাবে বেড়েছে। শুধু তাই নয়, তারা অভিবাসীদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। এমনকি অভিবাসীদের বহিষ্কার করা হলেও তাদের আপত্তি নেই।বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ পরিচালিত এই জরিপে যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনের নাগরিকরা অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৪ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা মনে করেন ইউরোপের দেশগুলোতে বসবাসরত অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা নিয়মিতদের তুলনায় ‘‘অনেক বেশি’’ বা ‘‘কিছুটা বেশি’’।ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকারি হিসাব অনুযায়ী, অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা মোট বিদেশিদের তুলনায় অনেক কম। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রান্সে বসবাসরত মোট অভিবাসীর মাত্র ২১ ভাগ কোনো একসময় ‘নথিবিহীন’ বা অনিয়মিত ছিলেন।ইউরোপের আরেক দেশে পোল্যান্ডেও এই জরিপ চালানো হয়েছে। ৩৬ ভাগ পোলিশ মনে করেন তাদের দেশে নিয়মিতদের চেয়ে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা বেশি। ২৮ ভাগ মানুষ করেন উল্টো, আর ২২ ভাগ মনে করেন নিয়মিত ও অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা সমান।সাতটি দেশে করা জরিপে দেখা গেছে, সব দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছাকাছি সংখ্যক মানুষ অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে চান। খুবই সীমিত পরিসরে অভিবাসীদের জন্য সুযোগ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা। এমন ভাবনায় সবার পেছনে রয়েছে পোল্যান্ড। দেশটির ৪৯ শতাংশ মানুষ অভিবাসীদের জন্য সীমিত সুযোগ রাখতে চান। আর জার্মানি ক্ষেত্রে সেটি ৬০ ভাগ।সাতটি দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ (৪৬ থেকে ৫৩ ভাগ) নতুন করে অভিবাসী আসা সম্পূর্ণ বন্ধ করার পক্ষে তাদের মতামত দিয়েছেন। এছাড়া বড় পরিসরে অভিবাসীদের বহিষ্কার কার্যকরের পক্ষেও তাদের সম্মতি রয়েছে।৬৪ থেকে ৮২ ভাগমানুষ নতুন করে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ানোরও বিরোধিতা করেছেন।কোন অভিবাসীদের বহিষ্কার করা উচিত? এমন প্রশ্নের জবাবে ৭৮-৯১ ভাগ ইউরোপীয় নাগরিকেরা বেছে নিয়েছেন নিয়ম ভঙ্গকারী বা আইন অমান্যকারীদের। তাদের ভাষায় এই অভিবাসীরা ‘‘সুবিধা নিতেই’’ ইউরোপে এসেছেন। অনিয়মিত অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে চান ৭৩ থেকে ৮৫ ভাগ ইউরোপীয় নাগরিক। বৈধ কাজের ভিসা ছাড়া অদক্ষ কাজে যারা নিয়োজিত, তাদের বহিষ্কার চান ৬৬ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষ।নিয়ম মেনে চলা আশ্রয়প্রার্থী, বিদেশি শিক্ষার্থী এবং উচ্চ দক্ষতা বা সংকটপূর্ণ পেশায় কর্মরতদের বহিষ্কারের প্রতি তাদের আগ্রহ দেখা যায়নি। ইউরোপীয় নাগরিকদের কাছে চিকিৎসকেরাই বেশি প্রশংসিত হয়েছেন।জরিপে অংশ নেয়া খুব কম মানুষ অভিবাসন না কমানোর পরিবর্তে ‘‘করদাতার সংখ্যা বাড়ানো’’, ‘‘বৃহত্তর অর্থনীতি উন্নত করা’’ এবং ‘‘আন্তর্জাতিক মানবিক দায়িত্ব বজায় রাখা’’ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন।জরিপে একটি প্রশ্ন ছিল অভিবাসন তাদের দেশের জন্য ভালো নাকি মন্দ ছিল। জবাবে ৫৬ থেকে ৭৫ ভাগ মানুষ বলেছেন অনিয়মিত অভিবাসনের মন্দ দিকের কথা বলেছেন। আর নিয়মিত অভিবাসন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।এক্ষেত্রে স্প্যানিশরা সবচেয়ে ইতিবাচক ছিলেন। ৪২ ভাগ স্প্যানিশ নিয়মিত অভিবাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফরাসি ও জার্মানরা ছিলেন সবচেয়ে নেতিবাচক। যথাক্রমে এই দুটি দেশের ৩৮ ভাগ ও ৩৯ভাগ মানুষ বলেছেন নিয়মিত অভিবাসন নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা খারাপ ছিল। উল্টোটা বলেছে ২২ ভাগ ও ২৪ ভাগ মানুষ।৫২ ভাগ ফরাসি ও ৫৭ ভাগ জার্মান মনে করেন নিয়মিত অভিবাসনের মাত্রাও অতিরিক্ত ছিল। একই রকম মতামত দিয়েছেন ৪৮ ভাগ পোলিশ।তাছাড়া, ফ্রান্স, ইটালি ও জার্মানির অর্ধেকের বেশি মানুষ এবং ৪৭ ভাগ পোলিশ মনে করেন নিয়মিত অভিবাসীরাও সমাজে সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন না।জরিপ সংস্থা বলেছে, ‘‘এটা স্পষ্ট যে নিয়মিত অভিবাসন অনিয়মিত অভিবাসনের তুলনায় অনেক বেশি, কিন্তু শুধু ইউরোপীয়রা এটা জানলেই অভিবাসন ইস্যু চলমান ক্ষোভ শেষ হয়ে যাবে, তা নয়।’’তারা বলেছে, অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ ‘‘অর্থনৈতিক কারণেরও বাইরে চলে গেছে, যা দিয়ে সাধারণত বেশি অভিবাসনকে ন্যায্যতা দেওয়া হয়।’’ তারা বলেছে, “যে বা যারা এই সমস্যা সমাধান করতে চাইবেন, তাকে পরিচয়, অন্তর্ভুক্তি এবং জাতীয় মূল্যবোধ নিয়ে গভীর উদ্বেগের চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে।’’  ইনফোমাইগ্রেন্টস।এবি 
    ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সৌদি আরব
    সৌদি আরবে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ২টা বেজে ১১ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি (এনসিএম)।এনসিএম জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ট থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে একই মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আরব সাগরে সৌদি সীমান্তের কাছে আঘাত হানে। তখন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয় দেশই ভূমিকম্পটির কম্পন অনুভূত হয়।ওই ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, আরবিয়ান প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের পুরোনো ফল্ট লাইনে চাপ সৃষ্টি হয়, যা ভূমিকম্পের সূত্রপাত ঘটায়।আশপাশের দেশ ইরান, ইরাক ও ওমানে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর আগে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছরের ৪ নভেম্বর ওমানের মুসানদামের দক্ষিণদিকে ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।এছাড়া ১ ডিসেম্বর ভোরে বাহরাইনে ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ২২ নভেম্বর ইরাকেও ৫.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। চলতি বছরের আগস্টে ওমানের মাদহায় আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ২.২। সূত্র: খালিজ টাইমসএবি 
    ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে
    ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ বছর ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানেরই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ)।সংস্থাটির মহাপরিচালক পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের (সংসদ) প্রবাসী ও মানবাধিকার বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিকে বলেছেন, ভিক্ষা করায় এসব প্রবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।এরমধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার এবং আজারবাইজান থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ পাকিস্তানির বিরুদ্ধে ভিক্ষার দায়ে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এছাড়া অনেকে ওমরাহর নাম করে সৌদি আরব গিয়ে সেখান থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদেরও ধরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মহাপরিচালক আরও জানিয়েছেন, এ বছর ২৪ হাজার পাকিস্তানি (পর্যটক ভিসায়) কম্বোডিয়ায় গেছেন। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ফেরত আসেননি। এছাড়া একই ভিসায় ৪ হাজার জন মিয়ানমার গেছেন। কিনতউ তাদের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জন আর আসেননি।অবৈধ অভিবাসনের কারণে ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের পাসপোর্ট ১১৮ তম থেকে ৯২-এ নেমে গেছে।অবশ্য অবৈধ অভিবাসনের সংখ্যাও কমেছে। অবৈধ অভিবাসনে গত বছর শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে থাকলেও; এ বছর এই তালিকায় আর নেই ইসলামাবাদ।মহাপরিচালক বলেছেন, গত বছর ৮ হাজার জন অবৈধভাবে ইউরোপে গিয়েছিলেন। এ বছর এ সংখ্যা কমে ৪ হাজারে নেমে এসেছে।সূত্র: ডেইলি অউসাফএবি 
    মেক্সিকোর সংসদে নজিরবিহীন হট্টগোল, চুলোচুলিতে জড়ালেন আইনপ্রণেতারা
    মেক্সিকোর কংগ্রেসের অধিবেশনকক্ষে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একাধিক নারী সংসদ সদস্য একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি ও চুলোচুলি করছেন। কক্ষের ভেতরে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে ডানপন্থী ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টি (পিএএন) এবং ক্ষমতাসীন বামঘেঁষা মোরেনা পার্টির নারী আইনপ্রণেতাদের মধ্যে এ মারামারির দৃশ্য ধরা পড়ে। খবর এনডিটিভির।পিএএনের প্রতিনিধিরা অধিবেশনকক্ষের পোডিয়াম থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় মোরেনা পার্টির সদস্যরা তাদের সেখান জোরপূর্বক সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী আইনপ্রণেতা অপর এক সংসদ সদস্যের হাত ধরে টান দেন। এতে দ্বিতীয় নারী দ্রুত হাত ছাড়িয়ে নিয়ে তার পেটে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এর জবাবে প্রথম নারী পেছন থেকে আঘাত করেন এবং পরে তার চুল ধরে টানেন, ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।একজন পুরুষ আইনপ্রণেতা পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন। তবে এর মধ্যেই আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে পোডিয়ামের দিকে ছুটে আসেন। পরে একাধিক নারী আইনপ্রণেতাকে ধাক্কাধাক্কি ও কুস্তিতে জড়াতে দেখা যায়। অন্য সংসদ সদস্যরা নজিরবিহীন এই হট্টগোল মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করেন।ফক্স নিউজের বরাতে জানা যায়, প্রস্তাবিত একটি আইনের প্রতিবাদে বিরোধী দল ন্যাশনাল অ্যাকশন পার্টির (পিএএন) আইনপ্রণেতারা পোডিয়াম দখল করলে এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে একে অপরের প্রতি চিৎকার-চেঁচামেচির মধ্যে উভয় পক্ষের আইনপ্রণেতারা অধিবেশনকক্ষেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।ঘটনার পর উভয় দলই সহিংসতার জন্য পরস্পরকে দায়ী করে নিন্দা জানিয়েছে। পিএএনের মুখপাত্র আন্দ্রেস আতায়দে বলেন, তার দল শান্তিপূর্ণভাবে পোডিয়াম অবস্থান করছিল এবং কাউকে স্পর্শও করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের মিত্ররা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পোডিয়াম দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছে।অন্যদিকে, মোরেনা দলের মুখপাত্র পাওলো গার্সিয়া পিএএনের বিরুদ্ধে আলোচনা এড়িয়ে মারামারির পথ বেছে নেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘উদ্বেগের বিষয় হলো, বিরোধী দল ক্রমাগতভাবে যুক্তির বদলে সহিংসতার পথ বেছে নিচ্ছে।’এবি 
    কলকাতার নিউটাউনে ঘুনি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
    পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের নিউটাউনে ইকোপার্কের কাছে ঘুনি এলাকায় বস্তিতে আগুন লাগে। এলাকাটি বাংলাদেশি কলোনি বলেও পরিচিত। আগুন লাগার পর মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বস্তিজুড়ে এবং সেখানে থাকা দুই শতাধিক ঘর মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। একইসঙ্গে আগুনের ভয়াবহতায় সৃষ্ট কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, আগুনের মধ্য থেকেই পরপর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুনের তীব্রতা আরো বেড়েছে। আশপাশের এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এছাড়া দুর্ঘটনা স্থলে বেশ কিছু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে, এখনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।এবি 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    কণার গানের তালে মাতলেন নোরা ফাতেহি
    সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার নতুন গান ‘মেহেন্দি’ মুক্তি পেয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এই গানের উন্মাদনা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বলিউডে। কনার গাওয়া এই গানে নেচেছেন বলিউডের হার্টথ্রব নোরা ফাতেহি। সুরকার ও সংগীতশিল্পী সানজয়ের করা এই গানে কণার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশ। স্যোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সানজয়। সেখানে দেখা যায়, ‘মেহেন্দি’ গানের তালে বেশ ফুরফুরে মেজাজে নাচছেন নোরা ফাতেহি। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন সানজয়।ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে সানজয় লিখেছেন, ‘ওর হাতে মেহেন্দি।’ নোরার এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। নেটিজেনরা রীতিমতো মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন। কমেন্ট বক্সে নোরা নিজেও ভালোবাসা জানিয়েছেন ইমোজির মাধ্যমে।বাংলাদেশি গানের তালে নোরার এই পারফরম্যান্স দেখে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। ভিডিওর নিচে একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলা গানে নোরা! অবিশ্বাস্য সুন্দর একটি মুহূর্ত।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘আমাদের বাংলা গান এভাবে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাচ্ছে দেখে খুব ভালো লাগছে।’ কিছুদিন আগেই মুক্তি পাওয়া কণার এই গানটি এখন টিকটক এবং রিলসে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এবার নোরার নাচ যেন সেই জনপ্রিয়তায় বাড়তি মাত্রা যোগ করল।এইচএ
    মেসির সঙ্গে ছবি তুলে ট্রলের শিকার শুভশ্রী, থানায় অভিযোগ রাজের
    ‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা যান ফুটবলের কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তিনি অংশ নেন এক বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। বিশ্ব তারকা ঘিরে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ও দায়দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ভয়াবহ ট্রলের মুখে পড়েন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি।মেসির সঙ্গে তোলা ছবি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন অভিনেত্রী। আর তাতেই যেন শুরু হয় আক্রমণ।একের পর এক কটূক্তি, কুরুচিকর মন্তব্যে ভরে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকি শুভশ্রীর শারীরিক গঠন ও সন্তান নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করতে ছাড়েননি সমালোচকরা। এই ঘটনায় স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে রোববার সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া বার্তা দেন রাজ চক্রবর্তী। এরপর সেদিন রাতেই টিটাগড় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ।রাজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, একজন নারীকে উদ্দেশ্য করে যেভাবে নোংরা ইঙ্গিত, কুৎসা ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেয়া যায় না।তিনি বলেন, ‘শুভশ্রীর শারীরিক গঠন, সন্তান নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে। যারা এই ভাষা ব্যবহার করছে, তাদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্তও থাকতে পারে।’রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকদের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দেন রাজ চক্রবর্তী। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত শুভশ্রী গাঙ্গুলির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।এসআর
    টরন্টোতে প্রদর্শিত হলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘সাবিত্রী’
    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কানাডার টরন্টোতে প্রদর্শিত হলো বাংলাদেশের সিনেমা ‘সাবিত্রী’। মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ের কঠিন বাস্তবতাকে পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা পান্থ প্রসাদ।টরন্টো ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে গত ১২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে দর্শকের ভূয়ষী প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘সাবিত্রী’। চা শ্রমিক এক নারীর জীবনের গল্পে উঠে এসেছে শক্তিশালী ও মানবিক আখ্যান, যেখানে নারী মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রাম, মাতৃত্ব এবং যুদ্ধ-পরবর্তী কঠিন বাস্তবতা চরমভাবে ফুটে উঠেছে।এ প্রসঙ্গে নির্মাতা পান্থ প্রসাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘বিজয়ের মাসে প্রবাসী বাঙালি প্রাণকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পুনরুজ্জীবিত করতে পেরে দারুণ খুশি। এ ধরণের কাজের সুযোগ পেলে প্রজান্মন্তরের কাছে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ প্রয়াস থাকবে।’‘সাবিত্রী’ শুধু যুদ্ধের ইতিহাস নয়, এটি এক নারীর অসাধারণ সাহস, আত্মত্যাগ ও টিকে থাকার লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ে সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় একজন নারীর জীবনের যে জটিল ও বেদনাবিধুর পথচলা- চলচ্চিত্রটি তা অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরেছে।ইখা
    ছেলের হাতেই খুন হয়েছেন হলিউড দম্পত্তি
    হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ও পরিচালক রব রাইনার এবং তার স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রাইনারকে নিজ বাসা থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে তাদের হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাদের ছেলে নিক রাইনার। লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় রোববার তাদের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর সোমবার নিক রাইনারকে হত্যার অভিযোগে আটক করে পুলিশ।সংবাদ সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, রোববার সকালে নিজ বাসা থেকে ৭৮ বছর বয়সী রব রাইনার ও তার স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের ৩২ বছর বয়সী ছেলে নিক রাইনারকে আটক করে পুলিশ।লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের প্রধান জিম ম্যাকডোনেল সাংবাদিকদের জানান, ‘সারা রাত ধরে তদন্ত চালিয়ে আমরা নিক রাইনারকে হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং চার মিলিয়ন ডলার জামিনে তাকে আটক রাখা হয়েছে।’লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় একটি পার্টিতে নিক রাইনারের সঙ্গে তার বাবা-মায়ের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। অতীতে মাদকাসক্তিসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন নিক, এমন তথ্যও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে।পুলিশ সূত্রের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একটি তারকাবিষয়ক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।রব রাইনার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি, দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ, দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড এবং আ ফিউ গুড মেন। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র জগতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও প্রভাবশালী এক নাম।রাজনৈতিকভাবেও সক্রিয় ছিলেন রব রাইনার। তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির একজন কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘তাদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত।’সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শোক জানিয়ে বলেন, ‘রব রাইনার আমাদের পর্দায় কিছু অমূল্য গল্প উপহার দিয়েছেন। মানুষের ভেতরের ভালোগুলোর উপর তার গভীর বিশ্বাস ছিল।’হলিউডের বহু তারকা ও রাজনীতিক এই দম্পতির মৃত্যুকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    ছেঁড়া-ফাটা নোট নিতে না চাইলেই ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
      দীর্ঘদিনের ব্যবহার অথবা বিভিন্ন কারণে টাকার কাগজের নোট ছিঁড়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দোকানি থেকে শুরু করে কেউ এসব নোট নিতে চান না। ছেঁড়া বা নষ্ট এসব নোট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন গ্রাহকরা। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ছেঁড়া, পোড়া বা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হওয়া নোটের বিনিময় মূল্য ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে।এ নীতিমালার আওতায় এখন থেকে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে নষ্ট হওয়া নোটের বিপরীতে নির্ধারিত হারে অর্থ ফেরত পাবেন।সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে জানানো হয়, নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।  নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্যমান থাকলে এর বিপরীতে পুরো মূল্যমানের অর্থ ফেরত পাবেন গ্রাহক।এ সার্কুলারের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান ২০২৫’ কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রেগুলেশনস ২০১২’। আগে ছেঁড়া ও পোড়া নোট বদলের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। নতুন বিধিমালায় নোটের কত অংশ থাকলে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।সার্কুলারে আরো বলা হয়, কোনো নোট দুই খণ্ডে বিভক্ত হলে খণ্ড দু’টি সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে জমা গ্রহণের সময় নোটের বিচ্ছিন্ন খণ্ড দু’টির উল্টো পিঠে সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগাতে হবে, যাতে আসল নোট শনাক্তে কোনো অসুবিধা না হয়। একইভাবে, যেসব জীর্ণ নোট পরীক্ষার সময় নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, সেগুলোর উল্টো পিঠেও হালকা সাদা কাগজ সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, নষ্ট বা পুড়ে যাওয়া প্রচলিত নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা অফিসসহ বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও বদল করে নেওয়া যায়। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ছেঁড়া নোট বদলের সুযোগ থাকলেও সব নোটের পুরো মূল্য পাওয়া যায় না।কেবল যেসব নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ অক্ষত রয়েছে, সেগুলোর বিপরীতে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে। এসব ক্ষেত্রে নোট সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবেই বদল করে দেওয়া হচ্ছে। অন্য ছেঁড়া-ফাটা নোটও নিয়ম অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে বদল করা হয়।নীতিমালায় বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিনিময় মূল্য পেতে কোনো ব্যাংক শাখায় সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক। ব্যাংক শাখা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে আবেদনটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সেখান থেকেও সমাধান না হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্র প্রাপ্তির আট সপ্তাহের মধ্যে নোটটির মূল্য প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং মূল্য প্রদেয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে অর্থ সমন্বয় করা হবে।সুষ্ঠু নগদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের বিধি মোতাবেক ছেঁড়া-ফাটা, ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লাযুক্ত নোটের বিনিময় মূল্য প্রদান এবং দাবিযোগ্য নোটসংক্রান্ত সেবা নিয়মিতভাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে এ ধরনের সেবা প্রদানে কোনো ব্যাংক শাখা অনীহা দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
    ১৩ দিনে এল ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
    চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার ৩০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ লাখ ডলার।এদিকে ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনেও ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।এছাড়াও এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংক আল ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।এর আগে বিদায়ী নভেম্বরে দেশে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।এবি 
    দেশের বাজারে আবার বাড়ল সোনার দাম
    বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ছাড়িয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার টাকা।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন দাম মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম (পিওর গোল্ড) বাড়ায় বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা।এফএস
    বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
    দীর্ঘ ৩ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা দুইটার টার দিকে সাতক্ষীরার মেসার্স এইচ কে এ এন্টারপ্রাইজ ও যশোরের মেসার্স সাবাহ এন্টারপ্রাইজ এর দুটি পেঁয়াজ আমদানির চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ছাড়করন প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি জানান, আপাতত এ চালানে ৩টি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।সরেজমিনে সোমবার সকালে বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ২০০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ থেকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আরডি
    সিডিএফ’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
    ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ)-এর ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত বৎসরের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ২০২৫-২০২৬ সালের কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদন করা হয়।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের “মিডিয়া বাজার” কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিডিএফ এর চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকার। এসসময় সংগঠনটির সাধারণ পরিষদের সদস্যগণসহ পর্যবেক্ষণ অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জনাব মুর্শেদ আলম সরকার চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) এর কর্মকাণ্ড ও অর্জিত মূল সাফল্যগুলো উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য তিনি সিডিএফ ব্যবস্থাপনাকে ধন্যবাদ জানান। ক্ষুদ্রঋণে তহবিল যোগানে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদানের প্রশংসা করে মুর্শেদ আলম সরকার বলেন, ‘সিডিএফ জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের অ্যাডভোকেসি, লবিং, গবেষণা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল নেটওয়ার্কিং সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।’তিনি আরও বলেন, সিডিএফ কর্তৃক ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাসমূহের মধ্যে আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক সৃষ্টির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। উক্ত সভায় সিডিএফ-এর কোষাধ্যক্ষ জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম আর্থিক বিবরণী ও বাজেট ২০২৫-২৬ পেশ করেন। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সিডিএফ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ উপস্থাপন করেন। তিনি সিডিএফ-এর প্রতি আস্থা রেখে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সিডিএফ সদস্য-সংস্থাসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।আরডি
    ডিসেম্বরের ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৯ কোটি ডলার
    ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে নতুন গতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে দেশে এসেছে ১২৯ কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন ‘গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘শুধু ১০ ডিসেম্বর একদিনেই দেশে এসেছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৪০ শতাংশ বেশি।’এর আগে চলতি অর্থবছরের মধ্যে নভেম্বরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল সর্বোচ্চ—মোট ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার।অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আগস্ট ও জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরজুড়ে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩২ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ) ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড।এইচএ
    আরও ৬৭ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
    দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে আরও প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সাতটি ব্যাংক থেকে ডলারগুলো কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কাট-অফ রেট ১২২ দশমিক ৩০ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে ডলার ক্রয়ের এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।এ নিয়ে চলতি ডিসেম্বর মাসে ৬৯১ দশকি ৫০ মিলিয়ন বা ৬৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগেও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কয়েক দফায় নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পর্যন্ত মোট কেনা হয়েছে ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ বা ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।আরডি
    ছেঁড়া-ফাটা নোট নিতে না চাইলেই ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
      দীর্ঘদিনের ব্যবহার অথবা বিভিন্ন কারণে টাকার কাগজের নোট ছিঁড়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দোকানি থেকে শুরু করে কেউ এসব নোট নিতে চান না। ছেঁড়া বা নষ্ট এসব নোট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন গ্রাহকরা। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ছেঁড়া, পোড়া বা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হওয়া নোটের বিনিময় মূল্য ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে।এ নীতিমালার আওতায় এখন থেকে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে নষ্ট হওয়া নোটের বিপরীতে নির্ধারিত হারে অর্থ ফেরত পাবেন।সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে জানানো হয়, নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।  নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্যমান থাকলে এর বিপরীতে পুরো মূল্যমানের অর্থ ফেরত পাবেন গ্রাহক।এ সার্কুলারের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান ২০২৫’ কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রেগুলেশনস ২০১২’। আগে ছেঁড়া ও পোড়া নোট বদলের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। নতুন বিধিমালায় নোটের কত অংশ থাকলে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।সার্কুলারে আরো বলা হয়, কোনো নোট দুই খণ্ডে বিভক্ত হলে খণ্ড দু’টি সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে জমা গ্রহণের সময় নোটের বিচ্ছিন্ন খণ্ড দু’টির উল্টো পিঠে সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগাতে হবে, যাতে আসল নোট শনাক্তে কোনো অসুবিধা না হয়। একইভাবে, যেসব জীর্ণ নোট পরীক্ষার সময় নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, সেগুলোর উল্টো পিঠেও হালকা সাদা কাগজ সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, নষ্ট বা পুড়ে যাওয়া প্রচলিত নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা অফিসসহ বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও বদল করে নেওয়া যায়। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ছেঁড়া নোট বদলের সুযোগ থাকলেও সব নোটের পুরো মূল্য পাওয়া যায় না।কেবল যেসব নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ অক্ষত রয়েছে, সেগুলোর বিপরীতে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে। এসব ক্ষেত্রে নোট সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবেই বদল করে দেওয়া হচ্ছে। অন্য ছেঁড়া-ফাটা নোটও নিয়ম অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে বদল করা হয়।নীতিমালায় বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিনিময় মূল্য পেতে কোনো ব্যাংক শাখায় সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক। ব্যাংক শাখা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে আবেদনটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সেখান থেকেও সমাধান না হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্র প্রাপ্তির আট সপ্তাহের মধ্যে নোটটির মূল্য প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং মূল্য প্রদেয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে অর্থ সমন্বয় করা হবে।সুষ্ঠু নগদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের বিধি মোতাবেক ছেঁড়া-ফাটা, ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লাযুক্ত নোটের বিনিময় মূল্য প্রদান এবং দাবিযোগ্য নোটসংক্রান্ত সেবা নিয়মিতভাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে এ ধরনের সেবা প্রদানে কোনো ব্যাংক শাখা অনীহা দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
    ১৩ দিনে এল ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
    চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার ৩০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ লাখ ডলার।এদিকে ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনেও ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।এছাড়াও এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংক আল ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।এর আগে বিদায়ী নভেম্বরে দেশে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।এবি 
    দেশের বাজারে আবার বাড়ল সোনার দাম
    বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ছাড়িয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার টাকা।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন দাম মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম (পিওর গোল্ড) বাড়ায় বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা।এফএস
    বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
    দীর্ঘ ৩ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা দুইটার টার দিকে সাতক্ষীরার মেসার্স এইচ কে এ এন্টারপ্রাইজ ও যশোরের মেসার্স সাবাহ এন্টারপ্রাইজ এর দুটি পেঁয়াজ আমদানির চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ছাড়করন প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি জানান, আপাতত এ চালানে ৩টি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।সরেজমিনে সোমবার সকালে বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ২০০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ থেকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আরডি
    সিডিএফ’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
    ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ)-এর ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত বৎসরের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ২০২৫-২০২৬ সালের কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদন করা হয়।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের “মিডিয়া বাজার” কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিডিএফ এর চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকার। এসসময় সংগঠনটির সাধারণ পরিষদের সদস্যগণসহ পর্যবেক্ষণ অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জনাব মুর্শেদ আলম সরকার চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) এর কর্মকাণ্ড ও অর্জিত মূল সাফল্যগুলো উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য তিনি সিডিএফ ব্যবস্থাপনাকে ধন্যবাদ জানান। ক্ষুদ্রঋণে তহবিল যোগানে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদানের প্রশংসা করে মুর্শেদ আলম সরকার বলেন, ‘সিডিএফ জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের অ্যাডভোকেসি, লবিং, গবেষণা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল নেটওয়ার্কিং সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।’তিনি আরও বলেন, সিডিএফ কর্তৃক ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাসমূহের মধ্যে আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক সৃষ্টির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। উক্ত সভায় সিডিএফ-এর কোষাধ্যক্ষ জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম আর্থিক বিবরণী ও বাজেট ২০২৫-২৬ পেশ করেন। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সিডিএফ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ উপস্থাপন করেন। তিনি সিডিএফ-এর প্রতি আস্থা রেখে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সিডিএফ সদস্য-সংস্থাসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।আরডি

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    নোবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার ‘ইন্টারন্যাশনাল কলোকুইয়াম অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিটিসি ২০২৫)’ ও এমআইএস ডে-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগ ও এমআইএস নেট এর যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনার আয়োজিত হয়।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রহুল আমিন অডিটোরিয়ামে সকাল দশটায় এই সেমিনার আরম্ভ হয়। সেমিনারের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণ থেকে বেলুন উড়ানো ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অডিটোরিয়াম ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর কেক কাটার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ জিয়াউল হক, সহযোগী অধ্যাপক ড. এস কে হাবিবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক তন্ময় দে, ত্রিসা সাহা, মোঃ শাহরিয়ার সেতু, ইসরাত জাহান শিথি। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এমআইএস নেট'র সভাপতি ও সেমিনারের অর্গানাইজিং চেয়ার মোঃ আবু সাঈদ।আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি সেমিনারে কি-নোট স্পিকার উপস্থিত ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কুমিল্লা জোনের জোনাল হেড জনাব কাজী মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্কেট অপারেশন) মো. মুনজুর মোর্শেদ, ওয়েব ফন্টেইনের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার দীপেশ বণিক, সিনেসিস আইটি পিএলসির হেড অব সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট মইনুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের আইটি বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান নূর।ক্যারিয়ার, ব্যবসা এবং তথ্য প্রযুক্তির নেতৃবৃন্দকে একত্রিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী এই সম্মেলনের প্রথমদিনে এমআইএস ডে-২০২৫ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা, কেস প্রতিযোগিতা, দাবা, এক্সটেম্পোর স্পিচসহ বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিযোগিতা। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ বক্তারা এসময় একাডেমিয়া ও শিল্পের সংযোগ ও সহযোগিতা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। যা সমসাময়িক সমস্যা এবং ব্যবসা, প্রযুক্তি ও তথ্য ব্যবস্থার উদীয়মান প্রবণতাগুলিকে মোকাবেলা করবে বলে আশা আয়োজকদের। অনুষ্ঠানে এমআইএস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের প্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, দেশ-বিদেশের গবেষক, একাডেমিশিয়ানরা অংশগ্রহণ করেন। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।এসএম
    প্রাথমিকের শতভাগ পাঠ্যবইয়ের কাজ শেষ
    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরের শতভাগ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সম্মিলিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এনসিটিবি চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি) শতভাগ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও সরবরাহ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।তথ্যবিবরণীতে আরও বলা হয়, সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার ও আন্তরিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সব পক্ষ-মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান, পরিবহন সংস্থা এবং এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস শ্রম ও নিষ্ঠার ফলেই এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এর ফলে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই দেশের প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীর হাতে সম্পূর্ণ নতুন পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার পথ সুগম হয়েছে। শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রায় সাড়ে আট কোটিরও বেশি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও প্রস্তুত করা একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কার্যক্রম। এই সাফল্য সরকারের শিক্ষা-বান্ধব নীতি ও প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে অটল প্রতিশ্রুতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। এ সাফল্য প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।এইচএ
    ববিতে বিজয় দিবস যথাযথভাবে উদযাপন না হওয়ার অভিযোগ ছাত্রদলের
    ৫৫তম মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন না হওয়ায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসনের উদাসীনতার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ, তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার চূড়ান্ত স্মারক মহান বিজয় দিবস। এই দিনটি জাতীয় অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অবিনাশী প্রতীক হলেও ৫৫তম বিজয় দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা বা দৃশ্যমান আনুষ্ঠানিক উদযাপনের চিহ্ন দেখা যায়নি।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের দিনটি এভাবে উপেক্ষিত হওয়া অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এ ধরনের অবহেলা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শহিদদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পরিপন্থী।ছাত্রদলের দাবি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয় ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় কেবল ইতিহাস নয়, বরং এটি আমাদের জাতীয় আদর্শ ও প্রেরণার মূল ভিত্তি। এই আদর্শের প্রশ্নে কোনো উদাসীনতা বা নীরবতা গ্রহণযোগ্য নয়।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসাইন শান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ অবস্থানের বিরুদ্ধে সুস্পষ্টভাবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ছাত্রদলের অবস্থান দ্ব্যর্থহীন; এখানে কোনো আপস নেই।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।এসএম
    স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে চব্বিশের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে: ইবি উপাচার্য
    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, মূলত চব্বিশের যে রক্ত, সেই রক্তের মাধ্যমে আবার আমরা শপথ গ্রহণ করেছি বাংলাদেশ যে লক্ষ্যে স্বাধীন হয়েছিল সেই লক্ষ্যকে আমরা অর্জন করব।আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন-সাধ পূরণ হবে চব্বিশের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মনে করে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উদযাপন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।উপাচার্য বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করার একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা, রাষ্ট্র ব্যবস্থা, শোষণমুক্ত সমাজ তৈরি ও ন্যায়ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র তৈরি করা। যে লক্ষ্যকে অর্জন করার জন্যে আমরা দেখি চব্বিশের বীর সেনানীরা রক্ত দিয়েছে। এর পূর্বে যে ইতিহাস আমাদের, সেই ইতিহাসটি কালো অধ্যায় দিয়ে ঢাকা।ছাত্র সমাজকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ভুলে যাও তোমাদের পুরনো ইতিহাস। স্বাধীনতা যে মূলমন্ত্র নিয়ে আমাদের বিজয় সূচিত হয়েছিল, আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছিলাম, সেই উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্যে চব্বিশের চেতনাকে ধারণ করে আগামী বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নে তোমরা এগিয়ে যাও।এসআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    হোয়াটসঅ্যাপে বিরক্তিকর নম্বর ব্লক করার সহজ উপায়
    বর্তমান সময়ে যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর একটি হলো হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে বন্ধু, পরিবার কিংবা অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে সহজে ও নিরাপদে যোগাযোগ করা যায়।তবে অনেক সময় অচেনা নম্বর থেকে অপ্রয়োজনীয় বার্তা বা কল আসায় বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে হোয়াটসঅ্যাপে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বর ব্লক করার সুবিধা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সহজেই এই কাজটি করা যায়প্রথমে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ খুলে যে নম্বরটি ব্লক করতে চান তার চ্যাটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর চ্যাট স্ক্রিনের উপরের ডান পাশে থাকা তিনটি ডট চিহ্নে ট্যাপ করে ‘মোর’ অপশন থেকে ‘ব্লক’ নির্বাচন করলেই নম্বরটি ব্লক হয়ে যাবে। একবার ব্লক করলে সেই নম্বর থেকে আর কোনো বার্তা বা কল আসবে না এবং আপনার প্রোফাইল সংক্রান্ত আপডেটও তারা দেখতে পাবে না।দ্বিতীয় পদ্ধতিতে হোয়াটসঅ্যাপের ‘সেটিংস’ মেনুতে গিয়ে ‘প্রাইভেসি’ অপশনে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে ‘ব্লকড কন্টাক্টস’ অপশন নির্বাচন করে ‘অ্যাড’ বাটনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর তালিকা থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরটি বেছে নিয়ে ‘ব্লক’ চাপলেই নম্বরটি স্থায়ীভাবে ব্লক হয়ে যাবে।আরডি
    খেলাধুলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য চীনের যত প্রযুক্তি
    চীনে চলছে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য ক্রীড়ার আসর ১২তম ন্যাশনাল গেমস ফর পারসন্স উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ। সেই সঙ্গে ৯ম জাতীয় স্পেশাল অলিম্পিক গেমসও চলছে। আর এ ধরনের আসরে অংশগ্রহণ বাড়াতে নিরলস কাজ করে চলেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।সেই ধারাবাহিকতা এবার ক্রীড়াবিদদের জন্য এসেছে এআই-চালিত সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ রিকগনিশন সিস্টেম। যারা কথা বলতে পারেন না, বা কানে শোনেন না, তারা এবার বুঝতে পারছেন রিয়েল টাইম ধারাভাষ্য। সহজে জানতে পারছেন ভেনুর নির্দেশনা।দক্ষিণ চীনের কুয়াংচৌর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভয়িবুকের তৈরি সিস্টেমটি ইতোমধ্যে গেমসের সার্ভিস অ্যাপ্লিকেশনে যুক্ত হয়েছে।ভয়িবুকের প্রতিষ্ঠাতা শি ছেংছুয়ান জানালেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি শ্রবণপ্রতিবন্ধী অ্যাথলেটদের জন্য বাধাহীন যোগাযোগ নিশ্চিত করছে। আমরা অ্যালগরিদম আরও উন্নত করব, যাতে শনাক্তকরণের নির্ভুলতা ও গতি বাড়ানো যায়।’শি নিজেও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। তিনি ও তার দল সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ অনুবাদক ফোন অ্যাপ, অনুবাদ ডিভাইস, ভয়েস-ট্রান্সলেশন ঘড়ি ও ক্যাপশনিং সিস্টেম তৈরি করেছেন—যেগুলো চীনের বিভিন্ন সরকারি সেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল ও স্কুলসহ বহু স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে।অন্যদিকে চীনের হাংচৌ শহরের ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দেখা গেছে এমন কিছু স্মার্ট কৃত্রিম অঙ্গপ্রতঙ্গ, যেগুলো ব্যবহার করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা করছেন রক ক্লাইম্বিং। কেউ আবার বাজাচ্ছেন পিয়ানো। আবার কেউ করছেন ক্যালিগ্রাফি।হাংচৌয়ের ক্রীড়াপ্রেমী লিন ইউন চার বছর ধরে ব্যবহার করছেন বুদ্ধিমান বায়োনিক পা। আগে সাধারণ প্রস্থেটিক পা দিয়ে যখন রক ক্লাইম্বিং করতেন, তখন পদে পদে ছিল পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক। এখন সেন্সরযুক্ত স্মার্ট বায়োনিক পা তার স্নায়বিক সংকেত শনাক্ত করে মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট শক্তি দিয়ে জয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করে।লিন ইউন জানালেন, ‘এখন দৌড়াতে পারি, বাস্কেটবল-টেবিল টেনিস-ব্যাডমিন্টন খেলতে পারি। আমার মনে হচ্ছে আমি খেলাধুলার প্রতি আমার আকর্ষণটাকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।’দুর্ঘটনায় ডান হাত হারানো চৌ চিয়ানের জীবনও বদলে দিয়েছে স্মার্ট বায়োনিক হাত। তিন বছর আগে লাগানো বায়োনিক হাত দিয়ে এখন তিনি বোতলের ঢাকনা খোলা, ফলের খোসা ছাড়ানোসহ জটিল অনেক কাজ করতে পারছেন।চৌ চিয়ান বললেন, ‘এখন পাঁচ আঙুলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, স্বাধীনভাবে নাড়াতেও পারি। যেন হারানো ডান হাতটিই আবার ফিরে পেয়েছি।’প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও বসে নেই। আরও বুদ্ধিমান বায়োনিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরির গবেষণা চলছে তাদের অন্দরমহলে।বায়োনিক হাত নির্মাতা ব্রেইনকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্য সিইউচিন জানালেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের বায়োনিক হাত শুধু সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়, এগুলো ফিডব্যাকও দেবে। ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে এই হাতের মাধ্যমে বিশ্বকে উপলব্ধি করতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। তারা এখন কারও সঙ্গে করমর্দনের সময়, হাতের তালু থেকে বের হওয়া উষ্ণতাও অনুভব করতে পারবে।’মোটকথা, সাধারণ খেলাধুলা হোক আর দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার অ্যাডভেঞ্চার—চীনা প্রযুক্তির উত্থানে প্রতিবন্ধীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন এক ছাদের তলায়, নতুন এক আলোকজ্জ্বল দিনের প্রত্যাশায়।এইচএ
    গুগল ফটোসে এআই আপনাকে যে সুবিধা দেবে
    বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আমাদের দৈনন্দিন কাজকে আরও সহজ এবং দ্রুত করে তুলেছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার গুগল তার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুগল ফটোসে যুক্ত করতে চলেছে একাধিক শক্তিশালী এআই ফিচার, যা ছবি এডিটিং-এর ধারণায় এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।গুগল ফটোস অ্যাপে আসা এই নতুন এআই-চালিত সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, ছবির ত্রুটি তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন করার ক্ষমতা। প্রায়শই আমরা পারিবারিক বা বিশেষ দিনের ছবিতে দেখি যে কেউ চোখ বন্ধ করে ফেলেছে, কারো মুখে হাসি নেই, বা কেউ ভুল করে সানগ্লাস পরে আছে। আগে এমন ছবি ঠিক করার জন্য বড় এবং জটিল সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতো। এখন ব্যবহারকারী সরাসরি গুগল ফটোসে গিয়ে শুধু মুখে কম্যান্ড দিলেই এআই নিজে থেকেই ছবিটি প্রাকৃতিকভাবে ঠিক করে দেবে।এই স্বয়ংক্রিয় সম্পাদনার জন্য কমান্ডগুলি হবে খুবই সহজ, যেমন— ‘হেল্প মি এডিট’ → ‘রিমুভ সানগ্লাসেস’ বা ‘ওপেন মাই আইস’ অথবা ‘এডিটেড স্মাইল’। এআই এই কমান্ড অনুযায়ী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছবিটিকে নিখুঁত করে তুলবে।এর ফলে নতুন করে ছবি তোলার দরকার পড়বে না এবং বিশেষ মুহূর্তের ছবিগুলিকে সহজেই পারফেক্ট করে তোলা সম্ভব হবে।এছাড়াও, গুগলের নিজস্ব এবং জনপ্রিয় ইমেজ জেনারেটর ‘ন্যানো বানানা’ এখন সরাসরি গুগল ফটোস অ্যাপের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই এআই টুলটি কয়েক মুহূর্তের মধ্যে যে কোনো সাধারণ ছবিকে সম্পূর্ণ নতুন স্টাইল বা থিমে সাজিয়ে দেবে।এর সুবিধা হলো, কোনো আলাদা সফটওয়্যার বা ডিজাইন দক্ষতা ছাড়াই সাধারণ ছবি থেকে অসাধারণ কাল্পনিক ইমেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা যাবে।আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল নিয়ে এসেছে ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ এডিটিং’ সুবিধা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী মুখে কমান্ড দিলেই এআই ছবি এডিট করে দেবে। একই সঙ্গে, নতুন একটি ফটো এডিটর ইন্টারফেস আনা হয়েছে, যেখানে টাচ বা জেসচারের মাধ্যমেও পরিবর্তন আনা যাবে। ফলে যারা এডিটিংয়ে ততটা অভ্যস্ত নন, তারাও সহজেই ছবিকে নিজেদের পছন্দমতো সাজিয়ে নিতে পারবেন।এই নতুন ফিচারগুলি নিঃসন্দেহে গুগল ফটোস ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।এইচএ
    ফেসবুক অ্যাপে বড় পরিবর্তন
    মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুক এবার তার মূল উদ্দেশ্যগুলোতে ফিরে আসছে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, ছবি শেয়ার এবং মার্কেটপ্লেস। বেশ কিছু বছর মেটাভার্সে মনোনিবেশ করার পর, এবার খরচ কমানো এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহ ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে তারা নতুন করে ফেসবুকের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করছে।বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অগণিত হলেও, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু বাজারে তরুণ ব্যবহারকারীর প্রবৃদ্ধি থেমে গিয়েছিল। তাই জেন–জেড প্রজন্মকে ধরে রাখার জন্য ফেসবুক নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মার্কেটপ্লেসের গুরুত্ব বৃদ্ধি। মার্কেটপ্লেস এখন তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু আগে এটি অ্যাপের ‘More’ মেনুর ভিতরে ছিল। নতুন আপডেটে মার্কেটপ্লেসকে নিচের নেভিগেশন বারে তুলে আনা হয়েছে, যেখানে থাকবে রিলস ও বন্ধু সংক্রান্ত অপশন।ফেসবুকে বন্ধুত্ব-কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা আরও জোরদার করতে প্রোফাইল ট্যাব আগের অবস্থানে রাখা হয়েছে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবে। ছবি দেখার ধরনও বদলানো হয়েছে—ডাবল ট্যাপ করে ইনস্টাগ্রামের মতো লাইক করা যাবে এবং ছবিগুলো একটি গ্রিডে সাজানো হবে, ক্লিক করলে ফুল স্ক্রিনে দেখা যাবে। সার্চ পেজেও ইন্টারেকটিভ গ্রিড ডিজাইন যোগ করা হচ্ছে, যাতে ছবি ও ভিডিও আরও গভীরভাবে দেখা যাবে। স্টোরি ও পোস্ট তৈরি করাও সহজ হচ্ছে, মিউজিক যোগ করা এবং বন্ধু ট্যাগ করার সুবিধা সামনে আনা হয়েছে।কমেন্ট সেকশনেও নতুন ফিচার এসেছে, যেমন সহজ রিপ্লাই, বেশি দৃশ্যমান ব্যাজ, পিনিং টুল এবং মডারেশন টুল উন্নত করা হয়েছে। বিরক্তিকর মন্তব্য অ্যানোনিমাস রিপোর্ট করার সুবিধাও দেয়া হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ফিডে কোন পোস্ট পছন্দ না হলে তার কারণ জানাতে পারবে, যা ফিডকে আরও ব্যক্তিগতকৃত করবে।সবশেষে, ফেসবুকে প্রোফাইলে আগ্রহ, শখ, ভ্রমণ তথ্যসহ নানা তথ্য যোগ করা যাবে, যা মিল থাকা বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবে। তবে এই তথ্য ফিডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে না; ব্যবহারকারী চাইলে বন্ধ করতে পারবে।পরিবর্তনগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহে সারা বিশ্বে চালু হবে, যদিও নেভিগেশন, সার্চ ও কমেন্ট সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন শুধুমাত্র মোবাইল সংস্করণে দেখা যাবে। ফেসবুকের এই নতুন দিকনির্দেশনা মূলত ব্যবহারকারীর বন্ধুত্ব এবং যোগাযোগকে সহজ ও আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।এইচএ
    আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
    আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এ অবস্থায় মজুত ও পাইপলাইনে থাকা আনঅফিসিয়াল বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অননঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির জন্য বিক্রেতারা মার্চ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিবন্ধিত হবে। এসব ফোন বন্ধ হবে না। মার্চ মাসের পর থেকে আর আনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির আরও কোনো সুযোগ থাকবে না।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে হ্যান্ডসেট উৎপাদক, বিটিআরসি ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের মধ্যে হওয়া বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম।এ বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন বলেও জানান তিনি। এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনইআইআর সিস্টেম সংস্কারের দাবিতে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।মোবাইল ফোন বিক্রেতাদের আন্দোলন বিষয়ে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যহারের বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।আরডি
    চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে পড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা
    শিক্ষা ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে থাকায় এক নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের জন্য এআই ব্যবহার করে কোর্স ও লেকচার তৈরি করা হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের দাবি, এআই দিয়ে তৈরি এসব কোর্সে সন্দেহজনক ফাইলের নাম ও অপ্রত্যাশিত ভয়েসওভার উচ্চারণ শোনা যাচ্ছে, যা পড়াশোনার মান কমিয়ে দিচ্ছে। তাদের মতে, কোর্সের বেশিরভাগ অংশ এআই-নির্ভর হওয়ায় তারা শিক্ষকের জ্ঞান ও পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেমস ও ওয়েনসহ ৪১ জন শিক্ষার্থী ২০২৪ সালে স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোডিং মডিউলের ওপর কোর্সে ভর্তি হন। এই কোর্সের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বা সফটওয়্যার প্রকৌশলী হওয়ার কৌশল শেখানো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, পুরো এক টার্ম ধরে কোর্সটিতে এআই দিয়ে তৈরি স্লাইড ও মাঝে মাঝে একটি এআই ভয়েসওভার ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এটিকে তাদের জীবনের দুই বছর নষ্ট করার শামিল বলে অভিযোগ করেছেন এবং এর মাধ্যমে সবচেয়ে সস্তা উপায়ে কোর্স তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছেন। শিক্ষার্থীদের প্রধান ক্ষোভের কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিমুখী নীতি। শিক্ষার্থীদের যদি তাদের বাড়ির কাজ বা ক্লাসে এআই ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে তাদের নীতি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করা হয় এবং একাডেমিক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অথচ তাদেরই এআই দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এক অধ্যাপকের সঙ্গে বিতর্কের সময় শিক্ষার্থী জেমস এই অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন।বারবার বিশ্ববিদ্যালয়কে এআই-নির্ভর লেকচার সম্পর্কে জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ এখনো কোর্স শেখানোর জন্য এআই দিয়ে তৈরি সামগ্রী ব্যবহার করছে এবং একটি বিবৃতির মাধ্যমে এআই ব্যবহারের ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ এআই ব্যবহারকে শিক্ষার উন্নয়নে স্বাগত জানালেও, শিক্ষকদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হতাশাজনক হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। একটি জরিপে দেখা গেছে, তিন হাজার ২৮৭ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ তাদের শিক্ষাদানে এআই টুল ব্যবহার করছেন।অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এআই ব্যবহারকারী অধ্যাপকদের সম্পর্কে নেতিবাচক রিভিউ পোস্ট করে অভিযোগ করছেন যে শিক্ষকেরা চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে এনে পড়াচ্ছেন।স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা শিক্ষা ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার ও নৈতিকতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানএইচএ

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    মানবতাবিরোধী অপরাধে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
    জুলাই গণঅভ্যূত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর রেজিস্ট্রারের কাছে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান।এইচএ

    প্রবাস

    সব দেখুন
    মালয়েশিয়ার অভিযানে ৭২ বাংলাদেশিসহ আটক ৪০২ জন
    মালয়েশিয়ার ২ রাজ্যে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে ৭২ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৪০২ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, জোহর বাহরুর তেব্রাউ শিল্প এলাকায় একটি কম্পিউটার যন্ত্রাংশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩৫৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই অভিযানে পরিকল্পিতভাবে অবৈধ প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগের তথ্যের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহদ রুসদি মোহদ দারুস জানান, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)-এর সহযোগিতায় জেআইএম জোহরের এনফোর্সমেন্ট শাখা অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযানে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক বিদেশি বৈধ ভ্রমণ নথি ও পারমিট ছাড়াই সেখানে কাজ করছিলেন।তিনি বলেন, অভিযানের সময় কয়েকজন বিদেশি পালানোর চেষ্টা করলেও সব বহির্গমন পথ দ্রুত বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তদন্তে সহায়তার জন্য কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের দুইজন স্থানীয় পুরুষ কর্মীকেও আটক করা হয়েছে।যাচাইয়ে দেখা যায়, আটকদের মধ্যে ২৯৯ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন ভারতীয়, তিনজন ইন্দোনেশীয়, দুইজন নেপালি এবং একজন করে পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে।দাতুক মোহদ রুসদি আরও জানান, কারখানাটিতে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সুসংগঠিত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগসংক্রান্ত শর্ত ভঙ্গও অন্তর্ভুক্ত। আটক সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ ও ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩-এর আওতায় সন্দেহভাজন হিসেবে সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ করে যারা মুনাফা অর্জন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপস করা হবে না। জোহরজুড়ে ধারাবাহিক ও সমন্বিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ নিয়োগচক্র ভেঙে দেওয়া হবে।এদিকে নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের নিলাই এলাকায় একটি লৌহ কারখানায় পরিচালিত পৃথক অভিযানে ৪৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটক সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরিচালিত অভিযানে ২৬ জন জেআইএম কর্মকর্তা অংশ নেন। এ সময় মোট ১১৭ জন যাচাই-বাছাই পরীক্ষা করা হয় এবং তাদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সী ৪৬ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়।অভিযানে সেরেমবান সিটি কাউন্সিলের ১৯ জন সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অভিযান শেষ হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।কেনিথ তান বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে বৈধ পাস ও ভ্রমণ নথি না থাকা, নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থানসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। এসব অপরাধ ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩-এর আওতায় পড়ে।আটকদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পিএটিআই সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।এদিকে সংশ্লিষ্ট পিএটিআইদের নিয়োগকারী মালিকপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৫৫ই(১) ধারায় অবৈধ কর্মী নিয়োগ বা আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।এইচএ

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    বিয়ের পর মানুষ কেন বদলে যায়? মনোবিজ্ঞান যা বলে
    বিয়ে এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে প্রতিদিন একজন মানুষের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। বিয়ের আগে যে মানুষটি খুব হাসিখুশি ছিল, বিয়ের পর সে চুপচাপ হয়ে গেছে এমন অভিযোগ আমরা প্রায়ই শুনি। কেউ বলেন, দায়িত্ব মানুষকে বদলে দেয়। কেউ বলেন, ভালোবাসা ফুরিয়ে গেলে মানুষ বদলায়। আবার কেউ সরাসরি বলেন, “বিয়ের পর সবাই বদলে যায়।” কিন্তু প্রশ্ন হলো বিয়েই কি মানুষকে বদলে দেয়, নাকি বিয়ের পর জীবনের চাপ আমাদের আসল রূপটা সামনে নিয়ে আসে?ব্যক্তিত্ব কি সত্যিই বদলায়মনোবিজ্ঞান বলছে, মানুষের ব্যক্তিত্ব কোনও স্থির বিষয় নয়। শৈশব, জিন এবং পরিবেশ মিলেই আমাদের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ব্যক্তিত্ব মোটামুটি স্থায়ী হয়ে যায়, তবুও জীবনের বড় কোনও ঘটনা যেমন বিয়ে মানুষের আচরণ ও মানসিক গঠনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনতে পারে।বিয়ে এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে প্রতিদিন একজন মানুষের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। নিজের ইচ্ছা, সময়, অভ্যাস সবকিছুর সঙ্গে আরেকজনের চাহিদা জড়িয়ে যায়। এই প্রতিদিনের সমঝোতা, দায়িত্ব আর প্রত্যাশাই মানুষের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তনের সূচনা করে।মনোবিজ্ঞানের ‘বিগ ফাইভ’ তত্ত্ব বিয়ের পরে কোনও পরিবর্তন আসে কি না সে বিষয়টি বোঝার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার মনোবিজ্ঞানী জাস্টিন ল্যাভনার ও তার সহকর্মীরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। তারা ১৬৯টি দম্পতিকে বিয়ের ৬ মাস, ১২ মাস এবং ১৮ মাস পর প্রশ্নমালার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন। এতে দাম্পত্য সন্তুষ্টি ও ব্যক্তিত্ব দুই বিষয়ই পরিমাপ করা হয়।গবেষণাটি করা হয় মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ‘বিগ ফাইভ’ ব্যক্তিত্ব তত্ত্বের ভিত্তিতে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষের ব্যক্তিত্ব পাঁচটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে তৈরি নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ, দায়িত্ববোধ, সামাজিকতা, অন্যের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা এবং আবেগগত স্থিরতা।গবেষণায় দেখা যায়, বিয়ের পর অনেক নারীর ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে আসে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সংসারজীবনের নিয়মিত রুটিনকে মেনে নেয়ার ফল। প্রতিদিনের কাজ, দায়িত্ব ও সময়সূচির ভেতর দিয়ে চলতে গিয়ে নতুন কিছু করার জায়গা কমে যায়। বিয়ের পর অনেক নারীর ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে আসে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সংসারজীবনের নিয়মিত রুটিনকে মেনে নেয়ার ফল।  ছবি: এআই দিয়ে তৈরিবিয়ের পর অনেক নারীর ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে আসে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সংসারজীবনের নিয়মিত রুটিনকে মেনে নেয়ার ফল। ছবি: এআই দিয়ে তৈরিঅন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে বাড়তে দেখা যায়। সময়মতো কাজ করা, সংসারের খরচ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এই বিষয়গুলো পুরুষদের আগের চেয়ে বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলে। অনেক পুরুষই বিয়ের পর বুঝতে পারেন, শুধু ভালোবাসা নয়, নির্ভরযোগ্য হওয়াটাও সম্পর্কের বড় অংশ।সামাজিকতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের পর অনেক পুরুষ ধীরে ধীরে কম মিশুক হয়ে ওঠেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা বাইরে সময় কাটানোর বদলে পরিবারকেন্দ্রিক জীবন প্রাধান্য পায়। এটি একাকিত্ব নয়, বরং অগ্রাধিকার বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত।মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যেই এই গুণ কিছুটা কমে যায়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি চোখে পড়ে। তবে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি নেতিবাচক নয়। বরং অনেক নারী বিয়ের পর নিজের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে শেখেন, যা আত্মসম্মানের দিক থেকে ইতিবাচক। পুরুষদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে বাড়তে দেখা যায়। সময়মতো কাজ করা, সংসারের খরচ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এই বিষয়গুলো পুরুষদের আগের চেয়ে বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলে। ছবি: এআই দিয়ে তৈরিপুরুষদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে বাড়তে দেখা যায়। সময়মতো কাজ করা, সংসারের খরচ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এই বিষয়গুলো পুরুষদের আগের চেয়ে বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলে। ছবি: এআই দিয়ে তৈরিসবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায় আবেগগত স্থিরতার ক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা বিয়ের পর মানসিকভাবে আগের চেয়ে বেশি স্থির হয়ে ওঠেন। নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের অনুভূতি তাদের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও সামান্য উন্নতি দেখা যায়।তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম্পত্য সন্তুষ্টি কিছুটা কমে আসে এটা গবেষণাতেও উঠে এসেছে। ১৮ মাসের মাথায় স্পষ্ট হয় যে ‘হানিমুন পর্ব’ শেষ। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এই পতন সমান নয়। যেসব স্বামী শুরু থেকেই নতুনত্বে আগ্রহী এবং যেসব স্ত্রী আবেগগতভাবে স্থিতিশীল, তাদের দাম্পত্য সন্তুষ্টি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়া, চাকরি, সন্তান জন্ম এসব কারণেই মানুষ বদলায়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স, বিয়ে-পূর্ব সহবাস বা সন্তান হওয়া কোনোটিই এই পরিবর্তনের মূল কারণ নয়। বরং প্রতিদিন একজন মানুষের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে থাকার ধারাবাহিক চাপই এই পরিবর্তনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে।সবশেষে বলা যায়, বিয়ে মানুষকে বদলায় কিন্তু এই বদলে যাওয়া মানেই খারাপ হয়ে যাওয়া নয়। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই মানুষ শিখে নেয় কীভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়। ভালোবাসা শুধু অনুভূতির বিষয় নয়, এটি এক ধরনের মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। যে দম্পতিরা একে অপরের পরিবর্তনকে বুঝতে ও গ্রহণ করতে পারেন, তাঁদের সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে শান্ত ও স্থায়ী হয়।সূত্র : সাইকোলজি টুডে এবি 

    Loading…