এইমাত্র
  • কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করা হবে ওসমান হাদিকে
  • ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
  • ঢাকায় পৌঁছেছে হাদির মরদেহ
  • ঝিনাইদহে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান
  • ছায়ানটে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা
  • চৌহালীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ
  • সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় জামালপুরের টোকন নিহত
  • জয়পুরহাটে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
  • কেরানীগঞ্জে গাঁজাসহ মাদককারবারি গ্রেপ্তার
  • বড়াইগ্রামে ভুয়া সাংবাদিক দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক এজাহার
  • আজ শুক্রবার, ৫ পৌষ, ১৪৩২ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ঢাকায় পৌঁছেছে হাদির মরদেহ
    সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।এর আগে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ‌৩ মিনিটে ফ্লাইটটি চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়।এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়, শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণের পর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হবে।সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করবো।গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সিঙ্গাপুরে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ইখা
    সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি
    কয়েকটি বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর মাধ্যমে সংঘটিত সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকার সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ ও জানমাল ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায়।বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সব নাগরিককে সহিংসতার বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকার সহিংসতা, সন্ত্রাস, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডকে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানায় এবং এসব ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।সরকার আরও জানায়, দেশের ইতিহাসের এই সংকটময় সময়ে আমরা একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। যারা বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি হিসেবে নেয় এবং শান্তির পথকে উপেক্ষা করে-এমন অল্প কয়েকজনের কারণে এই অগ্রযাত্রা আমরা কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দিতে পারি না এবং দেব না।বিবৃতিতে আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটকে একটি জাতীয় অঙ্গীকার হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, এই অঙ্গীকার অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে সেই স্বপ্নের সঙ্গে, যার জন্য শহীদ শরিফ ওসমান হাদি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁর আত্মত্যাগ ও স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে হলে সংযম, দায়িত্বশীলতা এবং ঘৃণা প্রত্যাখ্যানের প্রতি অবিচল অঙ্গীকার প্রয়োজন।বিবৃতিতে বলা হয়, দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজ-এর সাংবাদিকদের প্রতি আমরা বলতে চাই-আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। সন্ত্রাসের মুখেও আপনাদের সাহস ও সহনশীলতা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানেই সত্যের ওপর হামলা। আমরা আপনাদের পূর্ণ ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিচ্ছি।এছাড়া ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে নিন্দা জানাই। নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।বিবৃতির শেষাংশে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানায়- এই সংকটময় সময়ে সহিংসতা, উসকানি ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধের মাধ্যমে শহীদ হাদির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করুন।’এসকে/আরআই

    জাতীয়

    সব দেখুন
    হাদির জানাজায় আনা যাবে না ব্যাগ, ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ
    আগামীকাল শনিবার বাদ জোহর ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান বিন হাদির জানাজা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেখানে কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানানো হয়। শনিবার দুপুর ২টায় সেখানে তার জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।একইসঙ্গে জানাজার সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ওসমান হাদির মরদেহ এদিন সন্ধ্যায় দেশে আসে।শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তার মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।সেখান থেকে কফিনেবন্দি হাদির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। রাতে সেখানেই হিমঘরে রাখা হবে। এনআই
    সময় পরিবর্তন: শনিবার বেলা দুইটায় ওসমান হাদির জানাজা
    জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আগামীকাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে সন্ধ্যার দিকে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো।এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন, তাদের কোনো প্রকার ব‍্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন‍্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।এর আগে আজ সন্ধ্যায় ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ঢাকায় পৌঁছেছে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই দিন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিট) ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইটটি।এনআই
    সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শনিবার ওসমান হাদির জানাজা
    জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আগামীকাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটায় শরিফ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।এর আগে আজ সন্ধ্যায় ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ঢাকায় পৌঁছেছে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।এর আগে একই দিন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিট) ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইটটি।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮ নম্বর গেট দিয়ে হাদির মরদেহ বের হবে। এজন্য পুরো বিমানবন্দর এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিমানবন্দরের বাইরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।এনআই
    কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করা হবে ওসমান হাদিকে
    ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে এসে পৌঁছেছে। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া কথা ছিল। তবে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদির মরাদেহ নেওয়া হবে। পরে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করা হবে তাকে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে হিমাগার এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে শহীদ ওসমান হাদিকে রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নেবে।’পোস্টে আরও বলা হয়, ‘পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুল এর পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ ভাইকে সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে।’শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন জারি রাখার অনুরোধ জানিয়ে পোস্টে বলা হয়, ‘ছাত্র জনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন জারি রাখবেন যেন কোনো গোষ্ঠি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে একই সঙ্গে সহিংসতা করার সুযোগ ও না পায়। মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবেনা। সকলের নিকট শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং শহীদ ওসমান হাদির জন্য দোয়া পৌঁছানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।’ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে একই দিন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার পর) ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইটটি।এনআই
    হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ
    ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে। এর আগে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে হাদির মরদেহ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পথে নেয়া হয়। এদিকে হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরজুড়ে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিমানবন্দরের বাইরে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান জানান, শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।এর আগেই ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছিল, বিমানবন্দর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হবে। এ সময় জুলাই আন্দোলনের প্রাণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী অকুতোভয় এই বীরকে গ্রহণ করতে সবাইকে এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী সড়কের দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।ইনকিলাব মঞ্চ আরও জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।এনআই
    আজ নয় আগামীকাল ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে হাদির মরদেহ
    ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে এসে পৌঁছেছে। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া কথা ছিল। তবে আজ নয়, আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদির মরাদেহ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, ‘শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে হিমাগার এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। সেখানে শহীদ ওসমান হাদিকে রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে এসে অবস্থান নেবে।’পোস্টে আরও বলা হয়, ‘পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুল এর পাশে সমাহিত করার এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে আজকের পরিবর্তে আগামীকাল মিছিলসহ ভাইকে সেন্ট্রাল মসজিদে আনা হবে।’শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন জারি রাখার অনুরোধ জানিয়ে পোস্টে বলা হয়, ‘ছাত্র জনতা আজ ও আগামীকাল শৃঙ্খলার সঙ্গে আন্দোলন জারি রাখবেন যেন কোনো গোষ্ঠি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আন্দোলন স্তিমিত করতে না পারে একই সঙ্গে সহিংসতা করার সুযোগ ও না পায়। মরদেহ দেখার কোনো সুযোগ থাকবেনা। সকলের নিকট শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং শহীদ ওসমান হাদীর জন্য দোয়া পৌঁছানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।’ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে একই দিন সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার পর) ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইটটি।এনআই
    বিমানবন্দর থেকে যে রুটে ঢাবিতে নেওয়া হবে হাদির মরদেহ
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।এরপর হাদির মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে।জানা যায়, হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর ৮ নং গেট হয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে হাতিরঝিল-এফডিসি-মগবাজার-হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-টিএসসি হয়ে ঢাবি সেন্ট্রাল মসজিদে পৌঁছাবে।হাদিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ‌৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়।এমআর-২
    ঢাকায় পৌঁছেছে হাদির মরদেহ
    সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।এর আগে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ‌৩ মিনিটে ফ্লাইটটি চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়।এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়, শহীদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি ঢাকায় অবতরণের পর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নেয়া হবে।সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করবো।গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সিঙ্গাপুরে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ইখা

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    শাহবাগ মোড়কে ‘শহীদ ওসমান হাদি চত্বর’ ঘোষণা
    ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর থেকে শাহবাগে হাজারো ছাত্র-জনতা অবস্থান নেয়।এ দিন বিকালে শাহবাগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম ঘোষণা দেন, এখন থেকে শাহবাগের নাম হবে শহীদ ওসমান হাদি চত্বর।ডাকসু ভিপি বলেন, ওসমান হাদির খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এ সময় ডাকসু ভিপি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। হাদির রক্ত দিয়ে দিল্লির কবর রচনা করবো।’বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা।জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। প্রথমে ঢাকা এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।এনআই
    শাহবাগ মোড়কে ‘শহীদ ওসমান হাদি চত্বর’ ঘোষণা
    ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর থেকে শাহবাগে হাজারো ছাত্র-জনতা অবস্থান নেয়।এ দিন বিকালে শাহবাগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম ঘোষণা দেন, এখন থেকে শাহবাগের নাম হবে শহীদ ওসমান হাদি চত্বর।ডাকসু ভিপি বলেন, ওসমান হাদির খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। এ সময় ডাকসু ভিপি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। হাদির রক্ত দিয়ে দিল্লির কবর রচনা করবো।’বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা।জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। প্রথমে ঢাকা এবং পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।এনআই
    খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
    বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আজকে প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, গত ১ মাসের মধ্যে এখন ওনার শারীরিক অবস্থা বেশ স্থিতিশীল আছে। আজকেও ওনার ছোট একটি অপারেশন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।করোনারি কেয়ার ইউনিটের আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত কেবিনে এখন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন উল্লেখ করে ডা. জাহিদ বলেন, অর্থাৎ তিনি সিসিইউতে থাকলেও সেখানে আইসিইউর সব সুবিধা আছে। আপনারা এটাকে আইসিইউতে আছে বলতে পারেন।ডা. জাহিদ জানান, ম্যাডাম আজকের অপারেশন গ্রহণ করতে পেরেছেন সফলভাবে। আলহামদুলিল্লাহ ওনার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি ঘটেনি।দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দল এবং পরিবারের পক্ষে থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করেছেন, বলেও উল্লেখ করেন ডা. জাহিদ।এমআর-২
    কর্মসূচি স্থগিত, রাতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
    দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় ২ কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সেচ ভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া বিকেল ৪টায় কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কর্মসূচিও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, দলীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি।বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলীয় সাংগঠনিক বিষয় এবং আসন্ন কর্মসূচি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।এসব বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, পূর্বঘোষিত দুটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে এবং রাতে স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।এমআর-২
    শাহবাগে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক বার্তায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।নাহিদ বলেন, “আজ জুমার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই বিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।”তিনি আরও বলেন, “জনগণের ক্ষোভকে ব্যবহার করে কোনো হঠকারী গ্রুপ কোথাও ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ অথবা কোনো নাশকাতমূলক কার্যক্রম যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে ভূমিকা পালন করুন।”সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন, জুমার পরে  শাহবাগের এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত। তার পরিবর্তে বিকেল ৪টায় বাংলামোটর থেকে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজিত হবে। এমআর-২
    স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাতভর আন্দোলন করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে শাহবাগ পরিণত হয়েছে স্লোগানে উত্তাল এক প্রতিবাদস্থলে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা ‘ভারতীয় পণ্য বয়কট’, ‘বয়কট বয়কট’সহ নানা স্লোগান দেন।সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্র-জনতা শাহবাগে সমবেত হতে থাকেন। তাদের হাতে বিভিন্ন পতাকা, মুখে নানা স্লোগান। এ সময় ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো’, ‘যুগে যুগে লড়ে যাবো’, ‘এই মুহূর্তে দরকার বিপ্লবী সরকার’, ‘লীগ ধর জেলে ভর’- এমন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা।এদিকে, হাদির মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত ৩৬ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), ইসলামি ছাত্রশিবির ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে গণসংযোগকালে রিকশায় থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। সে সময় তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুই ব্যক্তি খুব কাছ থেকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের বরাতে জানা যায়, গুলি তার মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়, তবে গুলির একটি অংশ মস্তিষ্কে রয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে কয়েক দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে ওঠে শাহবাগসহ ঢাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।এসকে/আরআই
    প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় মির্জা ফখরুলের তীব্র নিন্দা
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সরকারকে এই ঘটনার পুরো দায়িত্ব নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এমন পোস্ট করেন তিনি। পোস্ট মির্জা ফখরুল লিখেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। শহীদ হাদির মৃত্যুতে শোকার্ত জাতি যখন সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছে হাদির আত্মার মাগফিরাতের জন্য, তখন ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বরেণ্য সাংবাদিক নূরুল কবীরসহ আরও অনেকের উপর হীন হামলা সংঘটিত হলো।’এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘দেশের সংকটময় মুহূর্তকে কাজে লাগানোর জন্য যারা অপেক্ষা করে, এরা এই দেশের শত্রু। তারা অপেক্ষা করে সংকটের। আজ এই দুঃখভারাক্রান্ত মুহূর্তকে এরা ধ্বংসাত্মক কাজে রূপান্তর করলো। আমি এই সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি! সরকারকে এই ঘটনার পুরো দায়িত্ব নিতে হবে।’প্রায় এক বছরের বেশি সময়কাল ধরে বিভিন্ন মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে— উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘হাদি নির্বাচনে প্রার্থী ছিল। জনগণের দরজায় গিয়েছিল। নির্বাচন হবে। বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। হাদির আততায়ীর বিচার এবং প্রতিটি মব সন্ত্রাসের বিচার করতে হবে।’‘স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পরে সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা। আমরা সকল পক্ষকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’প্রসঙ্গত, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে আহত হন। গুলিটি তার মাথায় লাগে। ঢাকা এবং পরে সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা এখন এক উত্তাল ও থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।এমআর-২
    ওসমান হাদির মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক: মির্জা ফখরুল
    ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এক শোক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর একটি চক্র দেশে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলা ও পরবর্তী সময়ে মৃত্যু সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ।মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র, ভোট ও নির্বাচনের শত্রুরাই হাদিকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। গুরুতর আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দেশ ও জাতিকে গভীর সংকটে ফেলতেই এ ধরনের লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, এসব দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জানমাল রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করার চেষ্টা আরও জোরদার করবে।শোকবার্তায় শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে তিনি নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।আরডি

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    মধ্যরাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে আগুন-ভাঙচুর
    গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার মৃত্যুর পর রাজধানীজুড়ে এ হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধরা বাড়িটিতে আগুন দেয়। এ সময় তারা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’—এসব নানা স্লোগান দিতে থাকে।সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আশপাশের একাধিক স্থানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে বাড়িটির একটি অংশ হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করতেও দেখা যায়।এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।এছাড়া রাত ১২ টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।আরডি
    রাজধানীতে কয়েক মিনিটে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১
    রাজধানীর মৌচাকে ফ্লাইওভার থেকে ছুড়ে মারা ককটেল বিস্ফোরণে এক নারী পথচারী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, সোয়া ৪টা থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে শান্তিনগর, মৌচাক ও মগবাজার এলাকায় পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।ধারণা করা হচ্ছে ফ্লাইওভারের ওপরে চলন্ত কোনো যানবাহন থেকে ককটেলগুলো নিচে ছুড়ে মারা হয়েছে।ওই কর্মকর্তা আরও জানান, মৌচাক এলাকায় ওপর থেকে ছুড়ে মারা ককটেলের বিস্ফোরণে একজন নারী আহত হয়েছেন। আমাদের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা তাকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন।এমআর-২
    শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি, কঠোর অবস্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দালালচক্র, লাগেজ চুরি এবং যাত্রী হয়রানির মতো দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলো নিরসনে এক নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন নবনিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি ধারাবাহিক অভিযান, তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপের মাধ্যমে বিমানবন্দরে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার এই বলিষ্ঠ ভূমিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং সাধারণ যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি এনে দিয়েছে।বিমানবন্দরে জনসমাগম এবং সেখানে ঘটা অনিয়মগুলো সরাসরি তদারকি করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খানকে স্কুটারে চড়ে টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। এই ব্যতিক্রমী পদ্ধতি তাকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে এবং দালাল, লাগেজ কাটা চক্র এবং যাত্রী হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করছে। তার এসব কার্যক্রমের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রবাসীসহ সাধারণ যাত্রীরা স্বস্তি ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে চলমান হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধে এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি ছিল।নিয়োগ পাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, যা যাত্রী হয়রানি রোধে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:*  ক্যান্টিনে অতিরিক্ত দামে ও বাসি খাবার বিক্রি বন্ধ:যাত্রীদের মানসম্মত ও ন্যায্য মূল্যের খাবার নিশ্চিত করতে ক্যান্টিনগুলোর ওপর কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে।*  ওয়াশরুমের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বকশিসের নামে যাত্রী হয়রানি রোধ: ওয়াশরুম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বকশিসের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।* কার্যকর হেল্প ডেস্ক চালু:যাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা প্রদানের জন্য একটি কার্যকর হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে।*   সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা:জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা যাতে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।সবচেয়ে আলোচিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি হলো লাগেজ রিলিজকারী কর্মীদের শরীরে ক্যামেরা সংযুক্ত করা। জানা গেছে, এসব ক্যামেরার ফুটেজের নিয়ন্ত্রণ থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেই। এই পদক্ষেপের ফলে লাগেজ চুরি এবং সংশ্লিষ্ট অনিয়ম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে বলে যাত্রীরা আশা করছেন। এটি একদিকে যেমন কর্মীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে, তেমনি যাত্রীদের মূল্যবান জিনিসপত্র হারানোর ভয়ও কমাবে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খানের এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে শাহজালাল বিমানবন্দরে দুর্নীতি ও প্রবাসীদের হয়রানি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ ও স্বপ্ন যেন আর অনিয়মের শিকার না হয় এমন প্রত্যাশাই এখন সবার। তার এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বিমানবন্দরে একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খানের এই সাহসী পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বিমানবন্দরে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। তার এই নিরলস প্রচেষ্টা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই লড়াই অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা যায়।ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এসব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল যাত্রীদের, তাই আমি এবার কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করছি। যেটুকু আমার দায়িত্ব, আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি এবং আগামীতেও করে যাবো।’এসএম
    পুরান ঢাকায় প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
    পুরান ঢাকার ইসলামবাগে একটি প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় দুপুর দেড়টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ারসার্ভিস পৌঁছেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের মোট ৬টি ইউনিট। সিদ্দিকবাজার থেকে আরও ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি। আরডি
    মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্যারাজাম্প কর্মসূচির কারণে প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবারও স্বাভাবিকভাবে চলাচল শুরু করেছে মেট্রোরেল।মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরীফি জানান, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারাজাম্পে অংশ নেয়া প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। নির্ধারিত সময় শেষে আবার আগের মতোই ট্রেন চলাচল শুরু হয়।তিনি আরও জানান, সরকারি ছুটির দিন হলেও ডিএমটিসিএলের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল চলাচল করছে। সে অনুযায়ী, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছেড়েছে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে এবং সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে। অপরদিকে মতিঝিল স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছেড়েছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে এবং শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে।’ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, শনিবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনের জন্য নির্ধারিত সময়সূচিই এদিন অনুসরণ করা হচ্ছে। যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকিট সংগ্রহ ও যাত্রা সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, নিয়মিত দিনে (শুক্রবার ব্যতীত) সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত যে কোনো স্টেশন থেকে সিঙ্গেল জার্নি টিকিট কেনা এবং এমআরটি বা র‍্যাপিড পাস টপ-আপ করা যায়। নির্ধারিত সময়ের পর সব টিকিট অফিস ও মেশিন বন্ধ হয়ে যায়।ইখা
    ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এসময় তারা হাদির খুনিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিও জানান।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ পৌর মার্কেট চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় তারা হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং অপরাধীদের শাস্তি দাবি জানায়।বক্তারা জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোদ্ধা ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে। তারা প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের সুরক্ষা দিতে যদি পারেন না, তাহলে দায়িত্ব পালন করার কোনো অর্থ নেই। এই সরকারের ব্যর্থতার জন্য অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, সহস্র শহিদের বিনিময়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশ যাদের কাছে দিয়েছি সেই ইন্টেরিম সরকার জুলাই বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা হাদীর ওপর গুলি করা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই। তিনি বলেন, এক ওসমান হাদীর মৃত্যু হবে, লক্ষ হাদী জন্ম নেবে। এসময় উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মো. কোহিনুর সরদার, পৌর আমীর এম এ বারী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. হোসেন, শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য মো. আনিসুর রহমান, উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল রহমান, পৌর ৫নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ উপজেলা ও পৌর জামায়াতের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর ওসমান হাদির মাথায় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলি চালানো হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসার পর রাতেই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরিফ ওসমান হাদি।এসকে/আরআই
    যশোর কারাগারে বাড়ছে বন্দী মৃত্যুর সংখ্যা!
    যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের মৃত্যুর সংখ্যা। গত ১১ দিনে মারা গেছেন ৩ জন। মৃতরা হলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার গুরুগ্রাম এলাকার হেলালউদ্দিন মোল্যার ছেলে কয়েদি আফজাল মোল্যা (৬৫), যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ‘উদ্ভাবক’ মিজানুর রহমান (৫৪) ও কেশবপুর পৌর এলাকার আলতাপোল গ্রামের নাজির বিশ্বাসের ছেলে যুবদল নেতা ওয়ালিউর রহমান উজ্জল (৪০)। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে এক নারীসহ দুই কয়েদি মারা যান। তাদের প্রত্যেককে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। জানা গেছে, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে আফজাল মোল্যার বুকে ব্যথা শুরু হয়। কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনেন। রাত ১২ টা ১০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার কয়েদি নম্বর ৯১০৩/এ। তিনি একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আফজালকে ২০২৫ সালের ২৩ অক্টোবর নড়াইল কারাগার থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ১২ মে পর্যন্ত তিনি নড়াইল জেলা কারাগারে ছিলেন।হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. শাকিরুল কবীর জানান, আফজাল মোল্যাকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।আফজাল মোল্যার মৃতদেহ নিতে হাসপাতালে আসা স্বজনরা অভিযোগ করেন, আফজাল মোল্যা কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও সঠিক সময়ে চিকিৎসাসেবা মেলেনি। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।গত ১২ ডিসেম্বর আপন শ্যালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ‘উদ্ভাবক’ মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৫৪) আত্মহত্যাজনিত কারণে মারা যান। কারাগারের কার্পেট তৈরির পুরাতন গোডাউনের সিলিংয়ের লোহার বিম’র সঙ্গে রশি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। মিজানুর রহমান শার্শা উপজেলার আমতলা গাতিপাড়ার আক্কাস আলীর ছেলে। প্রিন্স হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে কারাগারের কপোতাক্ষ ৩ নম্বর কক্ষের বন্দি ছিলেন। তার কয়েদি নম্বর-৮৭০৯।গত ৪ ডিসেম্বর কেশবপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ওয়ালিউর রহমান উজ্জলের (৪০) কারাগারে মৃত্যু হয়। ৫ ডিসেম্বর সাড়ে ১০ টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। উজ্জল কেশবপুর পৌর শহরের আলতাপোল গ্রামের নাজির হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কেশবপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছিলেন, আটকের আগে মারধরের শিকার হয়েছিলেন উজ্জল। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেও সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি।গত ২০ বিকেলে সেপ্টেম্বর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েদি মেজবাহ উদ্দিন (৫৪)। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার শাবলা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে। মেজবাহ উদ্দিন চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। তার কয়েদি নম্বর ৮০৭৫/এ। মৃতের স্বজনরা দাবি করেছিলেন চিকিৎসা অবহেলায় মেজবাহ উদ্দিনের মৃত্যু হয়।গত ১৬ সেপ্টেম্বর কারাগারে ফাতেমা খাতুন (৩৬) নামে এক নারী কয়েদির মৃত্যু হয়। তার কয়েদি নম্বর ১৪২/এ। তিনি যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়ার ভাদু মিয়ার স্ত্রী। মাদক মামলায় ২০ আগস্ট তাকে ঝিনাইদহ কারাগার থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কারাগারে শ্বাসকষ্ট বেড়ে অসুস্থ হলে হাসপাতালে আনার পথে তিনি মারা যান।যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, কারাগারে কার্ডিয়াক রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিসিইউতে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ সঠিক নয়। মারা যাওয়া অধিকাংশ রোগী আগে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। কারাগারে অবস্থানকালে নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ গ্রহণ করতেন তারা। এ ছাড়া মানসিক সমস্যায় ভুগতেন।তিনি আরও জানান, কারাগারে ৪৬ শয্যার হাসপাতালে গড় ৩২ জন নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকে। তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিনামূল্যের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কোন রোগীর শারিরীক অবস্থা খারাপ মনে হলে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহমেদ জানান, কারাগারে অসুস্থ কয়েদি ও বন্দিদের চিকিৎসাসেবায় কারও অবহেলা নেই। অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রশাসনিকভাবে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। ৫ ডিসেম্বররাত সাড়ে ৯টার দিকে উজ্জলকে কারাগারে আনা হয়। সাড়ে ১০টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার নথিতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এমন একটি এমসি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল। আরেকজন মিজানুর রহমান সবার অজান্তে কারাগারের কার্পেট তৈরির পুরাতন গোডাউনের দরজা ভেঙে ভিতরে যান। এরপর সিলিংয়ের লোহার বিম’র সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। ঘটনাটি বুঝতে পেরে কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আফজাল মোল্যা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে কারাগারের দায়িত্বরত চিকিৎসক তার সঙ্গে ছিলেন। সাধ্যমত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।ইখা
    নড়াইলে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া-শীতবস্ত্র বিতরণ
    বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় নড়াইলের লোহাগড়ায় দোয়া ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলদী ইউনিয়নের মিঠাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মো.মাহফুজুর রহমান এ আয়োজন করেন। দোয়া মাহফিল শেষে প্রায় ৫০০জনকে কম্বল প্রদান করা হয়।এ সময় নলদী ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মশিয়ার রহমান মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত হোসেন মোল্যা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাজ্জাক বিশ্বাস, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো.আশরাফুল বিশ্বাস, নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সদস্য খান মেজবাহ উদ্দিন, লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিয়ার বিশ্বাস, যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল বিশ্বাস, নলদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মিজানুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর খান খোকন, আহাদ বিশ্বাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।ইখা
    ভারতে সাজা খেটে দেশে ফিরলেন শিশুসহ ২৪ জন
    বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ২৪ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু। এদের মধ্যে ৫ জন নারী, ৩ জন শিশু ও ১৬ জন পুরুষ রয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। ফেরত আসরা হলেন- সোনিয়া বেগম, পারভীন খাতুন, লাবনী আক্তার সুমাইয়া, ফাহিমা খাতুন, জুবাইদা খাতুন, বকুল বেগম, জবেদা বেগম, কুলসুম আক্তার, রিয়াজ তালুকদার, জুবাইয়ের আসলাম, পারভেজ, ইউসুফ খান, ইয়ামিন, সুজন সর্দার, ইলিয়াছ খান, আব্দুল সালাম হাওলাদার, মুকুল, ইব্রাহিম হাওলাদার, ফজলু হাওলাদার, মারুফ হাওলাদার , মিজানুর রহমান হাওলাদার, কাইয়ুম মিয়া, জাফর আহমেদ ও ইয়াসিন তালুকদার। এরা নড়াইল, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা ও রংপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে অধিকাংশই স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ রয়েছেন।ফেরত আসা সোনিয়া বেগম জানান, তারা দালালদের মাধ্যমে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমান প্রায় তিন বছর আগে। এরপর সে দেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। সেখানে এক বছর জেল খাটার পর সেদেশের বেসরকারী এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আসেন তারা। তারা ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের সালেম জেলার আত্তুর এলাকার একটি শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলেন।বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ফেরত আসা বাংলাদেশি নারী-পুরুষরা ভালো কাজের আশায় তারা বিভিন্ন সীমান্তে দিয়ে ভারত গিয়ে আটক হন। ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।’ বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘থানার আনুষ্ঠানিক কাজ শেষে এদেরকে বেসরকারী এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।’বেসরকারী সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফেরত আসাদের আমরা যশোর নিয়ে নিজ শেল্টার হোমে রাখব । এরপর সেখান থেকে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’ইখা
    সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
    খুলনার আড়ংঘাটা থানার শলুয়া বাজার এলাকায় সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তিনি আড়ংঘাটা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।এমদাদুল হক মিলন ডুমুরিয়া শলুয়া বাজারের বজলু রহমানের ছেলে। বিষয়টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন খুলনা মহানগর পু‌লি‌শের অ‌তি‌রিক্ত উপ-ক‌মিশনার মো. রো‌কোনুজ্জামান।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শলুয়া এলাকায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হামলায় গুলিতে ঘটনাস্থলেই সাংবাদিক এমদাদুল গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তবে কী কারণে এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।এ হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।খবর পেয়ে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।এনআই
    মধ্যরাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ
    সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কেরানীহাট এলাকায় মহাসড়কের ওপর আগুন দিয়ে অবস্থান নেন সর্বস্তরের মানুষ।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১১টা ৫৫ মিনিট) অবরোধ চলছিল।অবরোধ চলাকালে ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ এবং ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’—এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে তারা হাদি হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।বিক্ষোভকারীরা বলেন, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্রকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হলেও এখনো প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়েনি। এই ব্যর্থতার দায় সরকারকে নিতে হবে।নিহত শরীফ ওসমান হাদি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবেও আলোচনায় ছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে সন্ত্রাসীরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে গত সোমবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।এনআই
    পটিয়ায় পুলিশ ঘুমে, ছাত্রলীগ নেতার সেলফি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট
    চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেফতারের পরও থানা হেফাজতে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি হলেন মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিম (২১)। সে পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে পরিচিত।জানা গেছে, বুধবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় তাকে আটক করা হয়েছে।তবে গ্রেফতারের পরপরই শোয়াইবের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পুলিশ হেফাজতে থাকার পরও তাকে ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট দিতে দেখা যায়। এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন—“আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি পটিয়া থানায়। দেখা হবে আবারো, ফিরবো বীরের বেশে কোন একদিন। জয় বাংলা।”পরবর্তীতে থানা পুলিশের অফিস কক্ষে হাতকড়া পরা একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন—“এইদিন দিন নয়, দিন আরও আছে।”এছাড়াও ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমন্ত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সেলফি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন শোয়াইব। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন “ঘুম ভালোবাসিরে এএএ... জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।”সর্বশেষে আরেকটি ছবিতে তাকে ছাত্রলীগ নেতা ও বন্ধু মহিমের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ করতে দেখা যায়। ওই ছবির ক্যাপশনে বন্ধু মহিম লেখেন “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপোষহীন লড়াইয়ে দখলদার বাহিনীর হাতে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা শোয়াইব-উল ইসলাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে ছবি তুলে ফেইসবুকে দিয়েছিল মনে হয়।এসআর
    ধরা পড়ছে মাঝিমাল্লারা, আড়ালে রয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা
    সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত কক্সবাজারের গভীর সমুদ্র পথ দিয়ে অবৈধ পন্থায় মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে দেশীয় পণ্য ও নির্মাণ সামগ্রী।তথ্য সুত্র বলছে, আড়ালে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা দেশীয় পণ্যের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসছে ইয়াবা ও আইসের চালান। পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যের চেয়ে চার গুণ মূনাফা লাভ হওয়ার কারণে কারবারিরা তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে।এদিকে সাগর পথে চোরাকারবারীদের চলমান এই অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করার জন্য দেশীয় জলসীমায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত থেকে তাদের চলমান অভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। উক্ত বাহিনীর হাতে দেশীয় পণ্য বোঝাই ট্রলারসহ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের আটক হওয়ার চিত্রও চোখে পড়ার মতো।এবিষয়ে টেকনাফের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা আক্ষেপ প্রকাশ করে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, সাগর পথে ফিশিং দেশীয় পণ্য বোঝাই ট্রলারসহ আটক হওয়া ব্যক্তিরা উক্ত ট্রলার গুলোতে কর্মরত মাঝিমাল্লা।তাদের দাবি অবৈধ পন্থায় মিয়ানমারে দেশীয় পণ্য পাচার করে তার বিনিময়ে মাদকের চালান নিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসা মূল হোতারা বারংবার থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পর্দার অন্তরালে থাকা আসল চোরাকারবারীদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসলে অবৈধ পন্থায় এই পাচার কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব হবেনা বলেও জানান তারা।তারেই ধারাবাহিকতায় ১৭ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকালের দিকে সময়ের কণ্ঠস্বরকে নৌবাহিনীর মিডিয়া সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা গভীর সমুদ্র পথ থেকে দেশীয় সিমেন্ট বোঝাই দুটি ট্রলারসহ ২৩ জনকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করে একটি প্রেস বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি জানান ১৬ ডিসেম্বর,কক্সবাজারের কুতুবদিয়া গভীর সমুদ্র পয়েন্ট থেকে ৪৫ কিলোমিটার অদূরে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের গভীর সাগরে হয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করার আগে দেশীয় জলসীমায় দায়িত্বরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ মহিবুলাহ দেশীয় পণ্য বহনকারী এফবি আজিজুল হক’ এবং ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামক দুটি ফিশিং ট্রলারে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে, ১৭৫০ বস্তা দেশে তৈরি ডায়মন্ড সিমেন্ট উদ্ধার ও ২৩ জন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত ৩২ টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।উদ্ধারকৃত মালামাল, বহনকারী দুটি ফিশিং ট্রলার ও আটককৃত ২৩ পাচারকারীকে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান নৌবাহিনী।এসআর
    চকরিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
    কক্সবাজারের চকরিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা দু'জনের বয়স পাঁচ বছর। বৃহস্পতিবার (১৮ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।নিহত দুই শিশু হলো চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার আবদুল মাবুদের ছেলে মো.নোমান ও একই এলাকার বেলাল উদ্দিনের মেয়ে জন্নাতুল ফেরদৌস। তাদের উভয়ের বয়স পাঁচ বছর।নিহত নোমানের দাদা নুরুছ শফা বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে বাড়ির পাশে উঠান থেকে মাটি কাটা হয়। এতে বড় এক গর্তের সৃষ্টি হয়। এই গর্তে পানি জমে ছোট্ট পুকুরের মতো সৃষ্টি হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে নোমান ও জন্নাতুল ফোরদৌস ওই গর্তের পাশে খেলা করছিলো। খেলার চলে হঠাৎ করে দুইজন ওই পানি ভর্তি গর্তে পড়ে যায়। দূর থেকে ঘটনাটি শিশু জন্নাতুল ফেরদৌসের মা দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’স্থানীয় ইউপি মেম্বার আজিজুল হক প্রকাশ সোনা মিয়া ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। বিষয়টি চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। দুই শিশু পানি ভর্তি গর্তে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের দাফনের প্রস্ততি চলছে।’ইখা
    লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
    আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত (হাতপাখা) প্রার্থী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত উজ জামানের কাছ তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। এর আগে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবারের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) এর মেয়ের জামাতা ও খলিফা।`সৎ ও জনদরদি একজন আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে এ অঞ্চলের সর্বশ্রেণীর মানুষের কাছে বেশ সমাদৃত। চালচলনে, পোশাক-আশাকে তিনি একেবারে সাদামাটা মানুষ হলেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে খুবই কঠোর ছিলেন। আলেম চেয়ারম্যান হিসেবে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে তিনি জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।মনোনয়ন সংগ্রহ শেষে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আইন মেনেই আমি মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নমিনেশন ফরম যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেব ইনশাআল্লাহ। আপনাদের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের রামগতি-কমলনগরবাসীর দোয়া চাই।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সমমনা ৮ দলের প্রার্থী বাচাই এখনো চলমান রয়েছে।এ আসনটি ইসলামী আন্দোলন পাবেন বলে তিনি  আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা মাওলানা আহমদ নোমান সিরাজী, কমলনগর উপজেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহমান, সহসভাপতি মুফতী শরীফুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।ইখা
    সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফের ভোটে ফিরলেন বিএনপি প্রার্থী
    নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে তিন দিনের নানা নাটকীয়তা ও উত্তেজনার পর অবশেষে নির্বাচনে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শত শত মানুষ তার কারখানা ঘেরাও করে নির্বাচন করার দাবি জানালে তিনি এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।এর আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন শহরের খানপুর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে তল্লা এলাকার কারখানা ঘেরাও করেন। সেই সঙ্গে কারখানা ঘেরাওয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই মাসুদুজ্জামান জনসাধারণের মাঝে এসে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।মাসুদুজ্জামান বলেন, তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করবো। আমি জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন পেয়েছি আমি নির্বাচন করবো। এখন থেকে আপনারাই আমার পরিবার। আপনারাই আমাকে দেখে রাখবেন। আপনারাই আমার নিরাপত্তা। নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা আজ থেকে রইলো না।তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচন করবো না বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। এই ঘোষণায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাদের সবার কাছে আমি নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী। ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। আমার আগে আমরা ক্ষমতার আগে জনতা সবার আগে বাংলাদেশ। আপনারা আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন আপনাদের কাছেও আমি ক্ষমাপ্রার্থী।এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত মাসুদুজ্জামান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।তার এই ঘোষণার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও জনসাধারণ মাসুদুজ্জামান নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেই সঙ্গে টানা দুইদিন ধরেই এই বিক্ষোভ চলতে থাকে। যার ধারাবাহিকতায় সবশেষ মাসুদুজ্জামান তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।গত ৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের চারটি আসনে প্রার্থীর নাম রয়েছে। এই তালিকায় থাকায় নারায়ণগঞ্জের চারটি আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে মাসুদুজ্জামান মাসুদের নামও ঘোষণা করা হয়েছিল।এনআই
    কালিয়াকৈরে আম গাছ থেকে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় মো. আলাল উদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নয়া নগর গ্রামের একটি আম গাছের ডাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত আলাল উদ্দিন ওই গ্রামের মো. মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় একটি মুড়ি ভাজার কারখানার মালিক ছিলেন।স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের ডালের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।কালিয়াকৈর থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় মানসিক চাপে ভুগছিলেন আলাল উদ্দিন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।এসকে/আরআই 
    কেরানীগঞ্জে গাঁজাসহ মাদককারবারি গ্রেপ্তার
    ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে আনুমানিক এক লাখ ৬৮ হাজার টাকা মূল্যমানের ৫ দশমিক ৬ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১০।র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১০-এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ইকুরিয়া বেপারীপাড়া এলাকার মিরেরবাগ কবরস্থানের পাশ থেকে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় ওই স্থান থেকে গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোঃ সাগর (৩২) তিনি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। র‍্যাব জানায়, অভিযানে উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ ৬৮ হাজার টাকা।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব জানায়, মোঃ সাগর একজন পেশাদার মাদককারবারি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিলেন।উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।র‍্যাব আরও জানায়, মাদক সমাজ ও যুবসমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ কারণে মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে র‍্যাব। ভবিষ্যতেও মাদক, অস্ত্র ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব-১০।ইখা
    পাকুন্দিয়ায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক
    কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে গেছে স্বামী। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের ছয়চির গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত ইভা (২০) সুখিয়া ইউনিয়নের ছয়চির গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী সাকিব মিয়া (২৫) একই ইউনিয়নের আগরপাট্টা গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে সাকিব ও ইভার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ছয় মাস বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ইভা বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাকিব শ্বশুরবাড়িতে গেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাকিব ইভার হাত-পা বেঁধে তাকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ইভাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ইখা
    মানবতার গল্পে বদলে গেছে অসহায় দম্পতির জীবন
    জীর্ণশীর্ণ কুঁড়েঘরে অনাহারে–অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের মতিয়ার ও রহিমা বেগম দম্পতি। দীর্ঘদিন ধরে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে গেলেও তাদের অসহায় জীবনের খবর কারও নজরে আসেনি। শীতের রাতে ফুটো ঘর, দিনের বেলায় খালি হাঁড়ি—এভাবেই কেটেছে তাদের প্রতিটি দিন। অবশেষে শেষ হচ্ছে তাদের সেই দিন, মানবতার গল্পে বদলে গেছে তাদের দিন।স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবতার সেবায় সোহেল’-এর সেবক সোহেল ক্ষ্যাপার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের মাধ্যমে তাদের অসহায়ত্ব চোখে পড়ে উপজেলা প্রশাসনের। এরপরই তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে উপজেলা প্রশাসন। মিলেছে খাবার সহায়তা, বাসস্থান নির্মাণের জন্য টিন এবং নগদ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ। এছাড়াও সংগঠনটির উদ্যোগে আরও ৫৫ হাজার টাকা সহযোগিতা সংগ্রহ করা হয়, নির্মাণ করে দেওয়া হয় একটি নতুন ঘর।জানা গেছে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবতার সেবায় সোহেল’-এর সেবক সোহেল ক্ষ্যাপা মতিয়ার ও রহিমা বেগম দম্পতির দুর্দশার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন। মুহূর্তেই সেটি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব হাসানের। সঙ্গে সঙ্গে মানবিক উদ্যোগ নেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ওই দম্পতির জন্য খাবার সহায়তা, বাসস্থান নির্মাণের জন্য টিন এবং নগদ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন।সরেজমিনে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চর নিকলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অসহায় ওই বয়স্ক দম্পতির একটি ভাঙা ঘরে বসবাস। ঘরটিতে নেই কোনো জানালা, দাঁড়ানোর মতো জায়গাও নেই। মাথা তুললেই চালায় ঠেকে যায়। দিনের বেশিরভাগ সময় অন্ধকারেই কাটে তাদের জীবন। মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা নিয়মিত খোঁজ নিতে পারেন না। ছেলেরাও আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় বাবা–মায়ের দায়িত্ব নিতে পারছেন না বলে জানান এলাকাবাসী।অবশেষে একটি ফেসবুক পোস্ট বদলে দেয় এই দম্পতির ভাগ্য। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবতার সেবায় সোহেল’-এর সেবক সোহেল ক্ষ্যাপা তাদের দুর্দশার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। মুহূর্তেই সেটি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব হাসানের। তিনি ওই দম্পতির জন্য খাবার সহায়তা, বাসস্থান নির্মাণের জন্য টিন এবং নগদ ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন।শুধু তাই নয়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যদের উদ্যোগে আরও ৫৫ হাজার টাকা সহযোগিতা সংগ্রহ করা হয়। দীর্ঘদিনের কষ্ট ও দুর্দশা পেরিয়ে অবশেষে মতিয়ার–রহিমা দম্পতির জন্য নির্মিত হয় একটি নতুন ঘর—একটি নিরাপদ মাথা গোঁজার ঠাঁই।স্থানীয় লালন অনুরাগী রফিকুল ইসলাম বলেন, “মতিয়ারের একসময় সবই ছিল। ভাগ্যের কাছে হেরে আজ তিনি নিঃস্ব। কোনো দিন খাবার জোটে, কোনো দিন জোটে না। সোহেল ক্ষ্যাপা নিয়মিত খোঁজ নিতেন। এবার তার উদ্যোগেই প্রবাসীদের সহযোগিতায় একটি ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।”‘মানবতার সেবায় সোহেল’ পেইজের অ্যাডমিন সোহেল ক্ষ্যাপা বলেন, “এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে আমি তাদের অসহায়ত্বের খবর পাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখে ছবি তুলে ফেসবুক পেইজে পোস্ট করি। সঙ্গে সঙ্গে ইউএনও স্যার বিষয়টি দেখেন এবং এসে খাবার, টিন ও নগদ সহায়তা দেন। প্রবাসী ভাই–বোনদের সহযোগিতায় মোট ৫৫ হাজার টাকায় আমরা ঘরটি নির্মাণ করি। এখন তারা নিরাপদে থাকতে পারবেন।”তিনি আরও বলেন, “মানুষের জন্য সামান্য কিছু করতে পেরে আমি আনন্দিত। মানুষের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান। আমি কিছু করিনি—শুধু তার আদেশ পালন করেছি।”নতুন ঘরে দাঁড়িয়ে কৃতজ্ঞ চোখে তাকিয়ে মতিয়ার ও রহিমা বেগম বলেন, “আমরা ভাবতেই পারিনি কেউ আমাদের কথা শুনবে। আল্লাহ সোহেল ভাইয়ের মাধ্যমে আমাদের ঘর দিয়েছেন।”স্থানীয়দের মতে, একজন স্বেচ্ছাসেবকের ফেসবুক পোস্ট, স্বেচ্ছাসেবীদের দৌড়ঝাঁপ এবং ইউএনও’র দ্রুত মানবিক উদ্যোগ—সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে একটি অসহায় পরিবারের পুনর্জন্মের গল্প।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান বলেন, “খবর পেয়ে গিয়ে দেখি তারা বসবাসের অনুপযোগী ঘরে থাকছেন। তখনই তাৎক্ষণিক খাবার সহায়তা ও টিন দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে আরও ৫৫ হাজার টাকা সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”ইখা
    হাদির মৃত্যুতে ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।ওসমান হাদির মৃত্যুতে ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে সাধারণ জনতা। এ সময় সাধারণ জনতা বলেন, হাদিকে যারা খুন করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় কোনো গাড়ি চলবে না।জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে, তবে অংশবিশেষ এখনও তার ব্রেনে রয়েছে।এই অবস্থার মধ্যেই পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সবশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।এনআই
    বরিশালে সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান
    সন্ত্রাসীদের ধরতে মাঠে নেমেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশাল নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের রিফিউজি কলোনীটিতে হানা দেয় পুলিশ এবং সেনাবাহিনী । এর আগে বুধবার রাতে কলোনীতে রুবেল এবং রকি নামের দুটি সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যাপক সংঘাত ও গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে বরিশাল নগরময় উত্তেজনা তৈরি হয়, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল এবং রকি দুটি বাহিনীই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কলোনীতে সন্ত্রাস করে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে দুটি গ্রুপ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গোলাগুলিতে জড়িয়ে তুমুল আলোচনা তৈরি করে।এতে নগরবাসীর নিরাপত্তার ভাবনায় টেনশনে পড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার এবং বুধবার কবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর পরে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয় যৌথ অভিযানের। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, রিফিউজি কলোনীর পাশাপাশি কেডিসিসহ অপর কলোনীগুলোতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে অপরাধীদের ধরতে চাইছে। বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মামুন উল ইসলাম জানান, সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এবং তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করছে।এনআই
    আমতলী আদালতের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনের বাধা
    হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণকাজে উপজেলা প্রশাসন বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে আইনজীবী ও কয়েকশ বিচারপ্রার্থীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির (বার) আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।জানা গেছে, ১৯৮২ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপিত হয়। স্থাপনের শুরু থেকেই আদালতের দখলে এক একর ৪৬ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমিতেই সরকারের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।২০২৩ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আরিফুর রহমান আদালতের জমির সীমানা নির্ধারণ করেন। এরপর তিন দিকের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতের নিরাপত্তা বেষ্টনী ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগ ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণকাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ।বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণকাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর পেয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরানসহ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ফলে প্রায় এক ঘণ্টা আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া এলাকার বিচারপ্রার্থী মাসুদ মিয়াসহ একাধিক বিচারপ্রার্থী বলেন, হঠাৎ করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতের প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেওয়ায় বিচারক ও আইনজীবীরা ঘটনাস্থলে যান এবং আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম বলেন, নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণে বাধা দেওয়ায় বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ মহসিন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আদালতটি অরক্ষিত ছিল। দুই বছর আগে উপজেলা প্রশাসন ও আদালত কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সীমানা নির্ধারণ করেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী আদালতের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই সীমানা অনুযায়ী বেষ্টনী নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ অযাচিতভাবে উপজেলা প্রশাসন এতে বাধা দিয়েছে।বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, নির্ধারিত পিলার অনুযায়ী হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ চলছিল। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এতে বাধা প্রদান করেন।এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “নির্মাণকাজে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি। আদালতের নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণে কোনো সমস্যা নেই।এসএম
    পুলিশ হবে জনগণ ও রাষ্ট্রের, কোনো দলের নয়: ভোলায় এসপি
    পুলিশ কোনো রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হিসেবে নয়, বরং জনগণ ও রাষ্ট্রের আস্থার প্রতীক হিসেবেই কাজ করবে—এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোলা জেলায় সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ কাওছার।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এসপির মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের একমাত্র লক্ষ্য। এখানে দলীয় প্রভাব বা পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই।তিনি বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটাররা যেন নিরাপদ পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে পুলিশ সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে থাকবে। এসময় তিনি আরো বলেন, পুলিশ হবে মানুষের শেষ ভরসাস্থল। সাধারণ মানুষ যেন কোনো ভয় ছাড়াই থানায় এসে ন্যায় বিচার পায়—আমরা সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই। এখানে রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধই হবে মুখ্য বিষয়।ভূমিদস্যুতা, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধের বিষয়ে তিনি কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, ভোলায় এসব অপরাধের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, পুলিশের কার্যক্রমের গঠনমূলক সমালোচনা ও সহযোগিতায় গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম যদি সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। তাহলে পুলিশও নিজেদের ভুল সংশোধনের সুযোগ পায় এবং সেবার মান উন্নত করা সম্ভব হয়।সভায় জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভূমিদস্যুতা, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং থানাভিত্তিক সেবার মান উন্নয়ন নিয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করলে পুলিশ সুপার সেগুলোর বিস্তারিত জবাব দিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।এসএম
    ভোলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষক নিহত
    ভোলার বোরহানউদ্দিনে বৈদ্যুতিক মটর দিয়ে সেচ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোহাম্মদ নুরনবী (৩৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের বাটামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভোলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মো. মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মৃত নুরনবী ওই গ্রামের মোজাম্মেল মিয়ার ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক ছিলেন।নুরনবীর ভাই বাবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মাঠের কাছের একটি ডোবা থেকে সেচ দিয়ে মাছ ধরতে যান নুরনবী। সেখানে সেচ করার জন্য বৈদ্যুতিক মটর স্থাপন করে তাতে লাইন দিতে গেলে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ইখা 
    গৌরীপুরে চা দোকানীর উদ্যোগে বর্ষসেরা চা’প্রেমীদের সম্মাননা
    ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্যতিক্রমী আয়োজনে এবারও অনুষ্ঠিত হয় বর্ষসেরা চা’প্রেমী সম্মাননা। ‘মাদক ছেড়ে চা ধরুন, মোবাইল আসক্তি কমিয়ে বই পড়ুন’ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সম্মাননা অনুষ্ঠান থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় চা দোকানদার হারুন মিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ২৫জন চা প্রেমিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দাস।স্বজন সমাবেশ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামাবাদ ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মো. এমদাদুল হক। সঞ্চালনা করেন গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কবি সেলিম আল রাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চা-দোকানি হারুন মিয়া।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাবুই প্রকাশনীর সম্পাদক ও শিশুসাহিত্যিক কাদের বাবু, ফুলবাড়ি উপজেলার মহিলা বিষয়ক অফিসার রীতা মন্ডল, ভূটিয়ারকোনা স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রইছ উদ্দিন, কালের কন্ঠের ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি আলম ফরাজী, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গৌরীপুর উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মদ, গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক শামীম খান, স্বজন সমাবেশের সহসভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন সোহেল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামার হোসেন প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘হারুন মিয়া গৌরীপুরের একজন আলোকিত মানুষ। একজন চা বিক্রেতা হয়ে তিনি সমাজসচেতনতা নিয়ে কথা বলছে। একটি পাঠাগার তৈরি করে মানুষকে বিনামূল্যে বই পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। সদূর দিনাজপুর থেকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর এসে এমন একটি আয়োজনে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি মনে করি, হারুনের মতো তরুণরা সামাজিক কাজকর্মে এভাবে জড়িয়ে থাকলে সমাজ থেকে অন্ধকার দুর হয়ে যাবে।’বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিশুসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাবুই প্রকাশনীর সম্পাদক কাদের বাবু বলেন, ‘এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা হারুনের পাশে থাকবো সবসময়।’উল্লেখ হারুন মিয়ার বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের সতিষা মহল্লায়। ছয় ভাই বোনের মধ্যে হারুন পঞ্চম। মাধ্যমিকে পড়াশোনার ইতি ঘটলে ২০১২ সালে গৌরীপুর পৌর শহরের কালীখলা এলাকায় জালাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সামনে (বর্তমান বিএনপির দলীয় কার্যালয়) চা স্টল দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি প্রতি বছর দোকানের সেরা গ্রাহকেদর বর্ষসেরা সম্মাননা প্রদান করছেন।২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পোগ্রামে ভর্তি হোন। পরবর্তীতে একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পাশ করে বর্তমানে ডিগ্রিতে অধ্যায়নরত আছে। ২০২৩ সালে চা স্টলের শতাধিক বই নিয়ে হারুন পাঠাগারের যাত্রা শুরু করে।হারুন মিয়ার বাবা পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন, ২০২৩ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে তার ওপরে। বর্তমানে ছোট বোন আর মা নিয়ে হারুনের তিন সদস্যের পরিবার। ছোট বোন বীনা আক্তার গৌরীপুর সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। বড় দুই ভাই বিয়ে করে আলাদা ঘর সংসার করছেন। মুক্তিযোদ্ধার চায়ে অর্ধেক দাম, মাদকবিরোধী আন্দোলন, গ্রাহকদের নিয়ে দুর্নীতিবিরুধী বিক্ষোভ এবং পাঠাগার তৈরি করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি।হারুন মিয়া বলেন, আমার পাঠাগারটিতে দেড় হাজারের মতো বই আছে, আমার স্বপ্ন পাঠাগারটি বড় করা মানুষের উপকার হয় এমন কাজে জড়িত থাকা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা।এসএম
    জামালপুরে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে ১৭ জন গ্রেফতার
    জামালপুরে পুলিশের ‘ডেভিল হান্ট, ফেইজ-২’ অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় জামালপুরের সাত উপজেলায় পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ১৭ জন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জামালপুর সদর থানায় ৬ জন, মাদারগঞ্জ মডেল থানায় ৫ জন, মেলান্দহ থানায় ২ জন, ইসলামপুর থানায় ২ জন, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ১ জন ও সরিষাবাড়ী থানায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নূরে আলম সীমান্ত (২৫), সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম (২৫), জামালপুর পৌর শ্রমিক লীগ ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আকন্দ তুহিন (৩৬), বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন (৪০), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক লিটন হোসেন (৩৬) ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান হালিম (৪১)।এছাড়াও সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আওয়াল (৪২), মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক টিপু সুলতান (৫৮), মেলান্দহ পৌর আওয়ামী লীগের ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি শাহ আলী (৬০), মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নান্নু পারভেজ (৩৬) ও মীর রাইসুল ইসলাম রাসেল (৪২), বালিজুড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রকিবুল হাসান (৩৫), একই ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক (৫৫), আদারভিটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), ইসলামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোনাহার সরকার (৩৬), কুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম হাসমত (৫২) ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম (৬১)।জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সোহেল মাহমুদ জানান, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। যারা নির্বাচনী পরিবেশ অস্থিতিশীল ও রাজনৈতিক পরিবেশ অশান্ত করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ গত ২৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’এসএম
    নান্দাইলের যমজ দুই বোনের মেডিক্যালে চান্স
    এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে যমজ দুই বোন মেডিক্যালে চান্স পেয়েছেন।তাদের মধ্যে ফাবিহা জামান মিহা ৮১.৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৮৭৩তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে এবং লামিসা জামান লিহা ৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৪৬৭৫তম হয়ে নেত্রকোনা মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেয়েছেন।তাদের এই কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামে। তাদের বাবা ডা. এম, কামরুজ্জামান মানিক, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মা তসলিমা বেগম লাভলী, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রসায়ন বিভাগ, নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহে কর্মরত। মেধাবী এই দুই বোন বর্তমানে বাউন্ডারি রোড ময়মনসিংহে বসবাস করেন।মিহা ও লিহা ময়মনসিংহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এসএসসি-২০২৩ পরীক্ষায় মিহা ১২৪৭ নম্বর এবং লিহা ১২৪১ নম্বর, এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় মিহা ১১৯২ এবং লিহা ১১৮৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।তাদের বাবা ডা. এম কামরুজ্জামান মানিক জানান, এই সাফল্য শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো নান্দাইলবাসীর। তাদের এই অর্জন আশপাশের শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমরা আশা করি, তারা ভবিষ্যতে মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দশের সেবা করবে।তিনি আরো বলেন, ‘নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকতে হয়। মেয়েদের সাফল্যের পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের শিক্ষক মায়ের দিকনির্দেশনা অনেক কাজে লেগেছে। তাদের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিও সার্বিক খোঁজ নিয়েছি।’মিহা ও লিহার মা তসলিমা বেগম লাভলী মা বলেন, ‘মেয়েদের পরিশ্রমের সার্থকতা এসেছে, আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করি, তারা যেন তাদের মানবিক গুণগুলো আজীবন ধারণ করতে পারে।কারণ ডাক্তারি পেশায় মানবতা খুব প্রয়োজনীয়।’মিহা তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মানবিক ডাক্তার হয়ে পরিবার, দেশ ও মানুষের সেবা করতে চাই’। লিহা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবা করতে চাই।’মিহা ও লিহার এই অসাধারণ অর্জনে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহীর অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবু হায়াত মো. রীশাদ মোরশেদ বলেন,‘মিহা ও লিহা দুজনই একই পরিবারের যমজ বোন হয়েও এই বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জন করেছে। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনন্য গৌরবের মুহূর্ত। অধ্যক্ষ হিসেবে আমি গভীর আনন্দ ও গর্ব অনুভব করছি। তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও সঠিক দিক নির্দেশনা থাকলে অসাধ্য কিছুই নয়। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’এসআর
    ভিডিও বানাতে গিয়ে হাতির আক্রমণে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের মৃত্যু
    শেরপুরের শ্রীবরদীতে বনের ভেতরে ভিডিও করতে গিয়ে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ফারুক হোসেন (৩৬) নামের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিহত হয়েছেন।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বালিজুড়ী রেঞ্জের সোনাঝুড়ি এলাকায় বনের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ফাকরাবাদ এলাকার মো. সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি জেলার সীমান্তবর্তী বনাঞ্চলে গিয়ে নিয়মিত হাতির ভিডিও করে তাঁর ফেসবুক আইডিতে আপলোড করতেন।তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের বালিজুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া।বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী রেঞ্জের মালাকুচা বিটের বনে ৪০-৪২টি বন্য হাতি ৬-৭টি শাবকসহ অবস্থান করছে। খবর পেয়ে আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফারুক হোসেন উৎসুক মানুষদের সঙ্গে বন্য হাতির ভিডিও করতে শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাঝুড়ি এলাকায় বনের ভেতরে যান।এ সময় তিনি সামনে গিয়ে ভিডিও করতে গেলে হঠাৎ হাতির সামনে পড়েন। তখন একটি বন্য হাতি পা দিয়ে তাঁর মাথা পিষ্ট করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বন বিভাগের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।ফারুক হোসেনের ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আজ সকালেও হাতির একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। তিনি প্রতিনিয়তই জেলার বিভিন্ন জায়গার বন্য হাতির ভিডিও ধারণ করে সেগুলো তাঁর ফেসবুকে আপলোড করতেন। এটি করতে গিয়ে তিনি অনেক সময়ই ঝুঁকিপূর্ণভাবে হাতির কাছাকাছি চলে যেতেন। ভিডিওগুলোতে বেশ কয়েকবারই হাতির ধাওয়া খেয়ে তাঁকে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে।বন বিভাগের বালিজুড়ী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানান, উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বনের ভেতরে ৪০-৪২টি বন্য হাতি অবস্থান করছে। আজ বিকেলে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ফারুক নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সম্ভবত তিনি ভিডিও করতে গিয়েছিলেন।সুমন মিয়া আরও বলেন, নিহত যুবকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করতে পরামর্শ দেওয়া হবে।শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ বলেন, এ ঘটনার পর ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচল সীমিত করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত ব্যক্তি যাতে দ্রুত সময়ে ক্ষতিপূরণ পান, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এনআই
    ‘হাদীর উপর হামলাকারীরা সীমান্ত ব্যবহার করে পালানোর তথ্য নিশ্চিত নয়’
    ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় হামলাকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কী না—তা এখনও শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা মানবপাচারকারী ফিলিপ স্নালকে ধরতে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।হাদীর ওপর হামলার ঘটনার পরপরই বিজিবি সম্ভাব্য পালানোর রুট ও মানবপাচার চক্রের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে সীমান্ত এলাকায় অভিযান শুরু করে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। বসানো হয় একাধিক অস্থায়ী ও স্থায়ী চেকপোস্ট। একই সঙ্গে সীমান্ত টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়।বিজিবি জানায়, হামলার সঙ্গে জড়িতরা ময়মনসিংহ সীমান্তের দুর্গম এলাকা ব্যবহার করে পালানোর চেষ্টা করতে পারে—এই আশঙ্কায় সীমান্তের অধিকাংশ এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত সম্ভাব্য রুটগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের খাগডহর বিজিবি ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গুলি বর্ষণকারীরা ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়েছে কী না—তা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।’তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারি ও অভিযান চালাচ্ছি। ফিলিপ স্নালকে গ্রেপ্তার করতে পারলে হামলার পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।’বিজিবি জানায়, অভিযানের অংশ হিসেবে ফিলিপ স্নালের স্ত্রী ডেলটা চিরান, তার শ্বশুর ইয়ারসন রংডি এবং মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।এ ছাড়া ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী বারোমারি এলাকা থেকে বেঞ্জামিন চিরাম নামে আরও একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।বিজিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলার ঘটনায় কারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত এবং তাদের পালানোর পথ কী ছিল—তা উদ্‌ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সীমান্ত এলাকায় অভিযান আরও জোরদার করা হবে।ইখা
    পঞ্চগড়ে অবৈধ ইটভাটায় যৌথ অভিযান, ভাঙ্গা হলো দুই ভাটার চিমনি
    পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) বোদা পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এম এম এল ব্রিকস ও মেসার্স এস এ আর ব্রিকস নামের দুইটি ইটভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে ইটভাটাগুলোর চিমনি ভেঙে ফেলা হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুর রহমান অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন।অভিযানকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পঞ্চগড়, আনসার ব্যাটালিয়ন পঞ্চগড় এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।এসএম
    পঞ্চগড়ে হোমিও চিকিৎসককে জরিমানা
    পঞ্চগড়ে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে ফুড সাপ্লিমেন্টকে ওষুধ হিসেবে বিক্রির অভিযোগে সত্যেন্দ্রনাথ রায় নামের এক হোমিও চিকিৎসককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তার গুদামে থাকা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য জব্দ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের বানিয়াপট্টি এলাকায় অবস্থিত রায় হোমিও হল এবং অপুলেন্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনালের গুদামে এ অভিযান চালানো হয়।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ. এস. এম. মাসুম-উদ-দৌলার নেতৃত্বে অভিযানে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাসুদ হাসান এবং জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জয় চন্দ্র বর্মন উপস্থিত ছিলেন।অভিযান সূত্রে জানা যায়, অপুলেন্ট ই-কমার্সের প্রায় ১৩ ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য ওষুধ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল, যেগুলোর অধিকাংশেরই বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পণ্যের গায়ে মূল্য উল্লেখ ছিল না। এ ছাড়া মসলা জাতীয় একটি পণ্য হলুদের গুঁড়ায় চক পাউডারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৫ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, সত্যেন্দ্রনাথ রায় দীর্ঘদিন ধরে ‘অপুলেন্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ফুড সাপ্লিমেন্টকে কার্যকর ওষুধ হিসেবে প্রচার ও বিক্রি করে আসছিলেন। বিভিন্ন রোগের সমাধান হিসেবে এসব পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা হতো।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ. এস. এম. মাসুম-উদ-দৌলা বলেন, ফুড সাপ্লিমেন্টকে ওষুধ হিসেবে প্রচার করার কোনো সুযোগ নেই। পণ্যগুলোর বৈধতার পর্যাপ্ত প্রমাণাদি তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। দ্রুত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনের জন্য কর্তৃপক্ষকে সময় দেওয়া হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।তিনি আরও বলেন, জব্দ করা পণ্যগুলো সিভিল সার্জনের প্রতিনিধির হেফাজতে রাখা হয়েছে। কয়েকটি পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।ইখা
    খাদ্য বিভাগের বস্তা কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে তদন্তে খাদ্য বিভাগ
     পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এলএসডিতে পৌঁছানোর আগেই খাদ্য বিভাগের নতুন বস্তা কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে এবার আনুষ্ঠানিক তদন্তে নেমেছে খাদ্য বিভাগ। অভিযোগসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পরই একই দিনে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) সময়ের কণ্ঠস্বরে "এলএসডিতে পৌঁছার আগেই কালোবাজারে খাদ্য গুদামের নতুন বস্তা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে চলতি আমন মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের জন্য বরাদ্দকৃত নতুন বস্তা এলএসডিতে পৌঁছানোর আগেই ভিন্ন স্থানে নামিয়ে বিক্রির অভিযোগ ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণের তথ্য উঠে আসে। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য বিভাগ।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দেবীগঞ্জ এলএসডিতে পৌঁছানোর আগেই নতুন বস্তা কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে সুষ্পষ্ট মতামতসহ আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গঠিত তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাকারিয়া আহমেদকে। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে তেঁতুলিয়া উপজেলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফজাল হোসেন এবং কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক সৈয়দ সাব্বির আহম্মেদকে।এর আগে প্রকাশিত সংবাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর পঞ্চগড় থেকে RM পরিবহণ নামের একটি ট্রাক্টরে করে নতুন বস্তা বহন করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ট্রাক্টরটির করতোয়া সেতু টোল এলাকা অতিক্রম, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হয়ে পাটোয়ারী পাড়া এলাকায় থামা এবং স্থানীয় এক বস্তা ব্যবসায়ীর গোডাউনে বস্তা নামানোর দৃশ্য উঠে আসে। পরে ট্রাক্টরটি আবার এলএসডির দিকে গিয়ে সেখানে প্রবেশ করে। এতে বস্তার সংখ্যায় বড় ধরনের গরমিলের অভিযোগ ওঠে।তবে অভিযোগের বিষয়ে এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার আগেই দাবি করেছিলেন, এলএসডিতে বস্তা ঠিকঠাকভাবেই এসেছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বস্তা দেখানো সম্ভব নয়।এসআর
    ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডলসহ আটক ২
    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) টহলরত সদস্যরা এক পৃথক মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় গাঁজা-ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুই চোরাকারীকে  আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে,  বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শিমুলবাড়ী বিওপি’র আওতাধীন উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা এলাকায় বিজিবি’র টহলদল মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালান। এ সময় সন্দেহজনক এক চোরাকারবারির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবির টহলদল। পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সোহেল রানা (৩০) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করে ১.৩ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।  আটক চোরাকারবারি হলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের জয়রী গ্রামের  , মৃতঃ আসরাফ আলীর ছেলে। অন্য দিকে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে বালারহাট বিওপি’র আওতাধীন অভ্যন্তরে বালাতাড়ি সীমান্ত এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে একই কৌশলে মদর আলী (৪০) নামের এক চোরাকারবারিকে ভারতীয় ৪০ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। আটক মাদক কারবারি হলেন উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চরগোরকমন্ডল এলাকার মৃত: হবিবুর রহমানের ছেলে। লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি জানান, জব্দকৃত মাদক দ্রব্য ১.৩ কেজি গাঁজা, যার সিজার মূল্য ৪ হাজার ৫৫০ টাকা এবং টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৪০পিচ, যার সিজার মূল্য ৪ হাজার টাকাসহ সর্বমোট সিজার মূল্য ৮ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আটককৃত দুই মাদক কারবারিকে উদ্ধারকৃত মাদকসহ ফুলবাড়ী থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বলেন, “দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।এসআর
    পার্বতীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল যুবকের
    দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও যুবকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলফিকার আলী।ওসি জানান, সৈয়দপুর থেকে খুলনাকামী রকেট মেইল ট্রেনটি পার্বতীপুরে স্টেশনে প্রবেশ করছিল। পার্বতীপুর রেল স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কেন্দ্রীয় লোক কমিটিভ কারখানার সামনে ট্রেনে কাটা পড়েন ওই যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। ওসি জুলফিকার আলী জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিকেলে সিআইডির টিম এসে নিহতের পরিচয় উদ্ধার করবে। এনআই
    চৌহালীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ
    যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে রাস্তার নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট-পাথর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে কিছু ইট সরিয়ে নেওয়া হয়। চৌহালী উপজেলার জোতপাড়া ও বৈন্যা গ্রামের রাস্তায় এই নিম্নমানের ইট ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর ) দুপুরে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, "এখানে দুই ও তিন নম্বর এবং সবচেয়ে নিম্নমানের ইট দিয়ে মেরামতের কাজ হচ্ছে। বিষয়টি আমরা ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারের লোককে বললে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।"স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সিরাজগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জিওবি প্রকল্পের আওতায় চৌহালী উপজেলার বৈন্যার মোড় থেকে জোতপাড়া নদীর ঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজ পায় আইকন কনস্ট্রাকশন। সেখান থেকে কাজটি কিনে নেয় মেসার্স শহীদুল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তারা এখন কাজ করছে। চুক্তিমূল্য নির্ধারণ হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা।কোদালিয়া গ্রামের আকবর আলী ও রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, "আমাদের এই রাস্তার কাজে দুই পাশ দিয়ে তিন নম্বর ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা নিষেধ করলেও তারা শোনেনি। এখন সাংবাদিক দেখে কিছু ইট ফেরত নিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই রাস্তাটি ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে করা হোক।"মেসার্স শহীদুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. শহীদুল ইসলাম নিম্নমানের ইট ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, "কিছু ইট খারাপ এসেছিল, সেগুলো আমরা ফেরত নিয়ে যাচ্ছি। এখন ভালো ইট দিয়ে কাজ করা হবে।"চৌহালী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো: আলমগীর হোসেন  বলেন, "নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে -বিষয়টি জানতে পেরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি সেগুলো সরিয়ে নিতে।’ইখা
    জয়পুরহাটে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
    জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিরা বাজারে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত সুজন মণ্ডল (২৭) আক্কেলপুর উপজেলার কাশিরা কুমিরপাড়া গ্রামের ওসমান মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় মাইক্রোবাসচালক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার বাদী হয়ে আক্কেলপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে একই উপজেলার পাইকর দারিয়া গ্রামে কুদ্দুসের বাড়িতে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে সুজন মণ্ডলকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন। এরপর স্থানীয়দের হাতে সুজন গণপিটুনির শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।স্বজনদের অভিযোগ, পরে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন গ্রাম পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সুজনকে কাশিরা বাজারের হাট অফিসে নিয়ে যান এবং সেখানে রাতভর আটকে রাখা হয়। পরদিন সকালে ইউপি সদস্যের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের ভেতরেই সুজনের মৃত্যু হয়। এরপর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে মরদেহটি একটি গাছে ঝুলিয়ে রেখে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যান।ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন রেজা বলেন, নিহতের স্ত্রী ইউপি সদস্যসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।ইখা
    বড়াইগ্রামে ভুয়া সাংবাদিক দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক এজাহার
    নাটোরের বড়াইগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। চাঁদা আদায়ের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিকের ওপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় পৃথক দুইটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মনিরুল ইসলাম ওরফে মানিক মাস্টারের ছেলে অভিযুক্ত মো. রাসেল হোসেন (৪৩) ও তার স্ত্রী মোছা. রিক্তা বেগম (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তারা নিজ এলাকায় এক গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে পুনরায় চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দাবির খবর পেয়ে এলাকার জনগণ ওই দম্পতিকে অবরুদ্ধ করে সাংবাদিকদের খবর দিলে চ্যানেল এস ও দৈনিক আজকালের কণ্ঠ পত্রিকার বড়াইগ্রাম থানা প্রতিনিধি মো. সাহাবুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। পরে ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে দিঘলকান্দি বাজার এলাকায় পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকের পথরোধ করে বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তিনি হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে এলাকাবাসী আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড পুরো সাংবাদিক সমাজের পেশাগত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল সালাম বলেন, ‘অভিযোগ দুটি তদন্তাধীন রয়েছে। সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ইখা
    পরিক্ষা যেন ক্ষুদে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎসব
    প্রথমবারের মত পাবনার ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত হলো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি পরিক্ষা। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও শেকড় মজবুত করতে এই উদ্যোগ সহায়ক বলে মনে করছেন এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা। ছোটদের এই বড় পরীক্ষা যেন আতুর ঘরের এক সাহসী দীপশিখা। বেশ আগ্রহ নিয়েই যেন প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে উপজেলার ৩২টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রায় ৬ শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থী।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া এ বৃত্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে সকাল থেকে কেন্দ্রের মাঠে পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমাগম দেখে মনে হচ্ছে পরিক্ষা যেন ক্ষুদে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের একটি উৎসব।ঈশ্বরদী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত এ বৃত্তি পরিক্ষায় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ হামিদুর রহমান। পরিক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অপেক্ষাকৃত অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ‘এই বৃত্তি পরীক্ষা আমাদের কাছে এবং আমার সন্তানদের কাছে একটি উৎসব-উদ্দিপনার মত মনে হচ্ছে। বৃত্তি পেতেই হবে -এমন কোন বিষয় না। তাদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও প্রতিযোগী হওয়ার মানসিকতা তৈরির লক্ষ্যে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করিয়েছি যাতে তারা শুধু খেলাধুলা নয় বইমুখীও হতে পারে।’ ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হামিদুর রহমান বলেন, ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত এ বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগী করে তুলতে সহায়ক হবে। শুধু  তাই নয় এ সব পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মুল্যায়নও সম্ভব হবে বলে আমি মনে করছি।’ঈশ্বরদী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সাঈদ বলেন, ‘আমাদের এ্যাসোসিয়েশনের আওতায় ৩২টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ শতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তাদের আগ্রহ ও অভিভাবকদের দেখে মনে হচ্ছে এটি কোন উৎসবে পরিনত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই ও প্রতিযোগিতা পড়াশোনায় এগিয়ে থাকতে এ পরীক্ষাগুলো সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্র সচিব মোঃ রিয়াজুল ইসলামের সার্বিক তত্ববধানে অনুষ্ঠিত এ বৃত্তি পরীক্ষার হল সুপারের দায়িত্বে ছিলেন এ্যাসোসিয়েশ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সাঈদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম রাজা, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব পাবনা জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, বাঁশেরবাদা ডিগ্রি কলেজের সাবেক সহকারি অধ্যাপক আতাউল হত নান্নু, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আশিকুর রহমান লুলুসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ প্রমুখ।ইখা
    পুঠিয়ায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
    নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে (৩২) গেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টর দিকে উপজেলার কাঁঠালবাড়ীয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম পুঠিয়া পৌরসভার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় পুঠিয়া উপজেলা জুড়ে অভিযান চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীর আলমকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ইখা
    হবিগঞ্জ বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ
    হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর একটি চৌকস টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বালিভর্তি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। যার সিজার মূল্য ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো: তানজিলুর রহমান।বিজিবি সূত্র জানায়, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি চৌকস টহলদল সীমান্তহতে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার বাংলাদেশ অভ্যন্তরে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার সাতছড়ি তেলিয়াপাড়া এলাকায়কৌশলগতভাবে অবস্থান নিয়ে আত্মগোপন করে থাকে।পরবর্তীতে দুপুরে ১টি ডাম্প ট্রাক আসতে দেখে সংকেত দিয়ে গাড়ীটি থামানো হয়। তল্লাশী করে বালিভর্তি ট্রাকের মধ্যেলুকানো অবস্থায় পরিবহনকালে মালিকবিহীন ভারতীয় বিপুল পরিমাণ জিরা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের সিজারমূল্য প্রায় ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। জব্দকৃত পণ্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবিগঞ্জ কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকটহস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। একই সঙ্গে চোরাচালানে জড়িত চক্রকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে বিজিবির গোয়েন্দা তৎপরতাঅব্যাহত রয়েছে।এসআর
    সুনামগঞ্জে ৪৫ বোতল বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
    সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে ৪৫ বোতল বিদেশী মদসহ মোঃ মোকসেদ আলী (৬২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের দুধপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। তিনি উপজেলার দুধপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে।জানা গেছে  র‍্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল টহল ডিউটি করাকালীন উপজেলার চিনাকান্দি বাজারে অবস্থানের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন ধনপুর ইউনিয়নের দুধপুর এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। সংবাদ পেয়ে র‍্যাবের আভিযানিক দলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মোকশেদ দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়, পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তার হেফাজতে ১টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর বিদেশী মদ রয়েছে। পরবর্তীতে তার হেফাজতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর থেকে ৪৫ বোতল বিদেশী মদসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।র‍্যাব-৯, সিলেট অতিঃ পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার কে, এম, শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ খ্রিঃ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র‍্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসআর
    চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
    সিলেটের ওসমানীনগরে শিপন আহমদ নামের এক চালককে হত্যা করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।রবিবার(১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউপির চাতলপাড় কেশবপুর সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।নিহত শিপন (২৫) উপজেলার দয়ামীর ইউপির রাইকদারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরফ আলীর ছেলে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। গত শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিপন তার বড় বোনের অনটেস্ট সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউপির চাতলপাড় কেশবখালী নদীর দক্ষিণপাড়ে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ওসমানীনগর থানা পুলিশকে খবর দেন।খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও পিবিআই লাশের সুরতহাল করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা লাশটি শিপনের বলে শনাক্ত করেন। নিহত শিপনের কানের নিচে ও বুকের বামপাশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।পুলিশ ধারণা, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা শিপনকে ভাড়া করে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোরশেদুল হাসান ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অটোরিকশাচালক শিপন হত্যার ঘটনায় এখানো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।এনআই
    হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের কেউ যেনদেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য হবিগঞ্জ সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী চেকপোস্ট স্থাপন করে বিশেষ টহল পরিচালিত হচ্ছে।৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: তানজিলুর রহমান জানান, ওই ঘটনার পর থেকে ৫৫ বিজিবি অধীনস্থ ১৬টি বিওপি সমূহ হতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত বিশেষ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সম্ভাব্য পলায়ন ও অবৈধ পারাপারের স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।তিনি জানান, ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ জেলার প্রায় ১০৩ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের পাশ্ববর্তী দেশে পলায়ন ও সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। যেকোনো সন্দেহজনক তথ্য সম্পর্কে এলাকাবাসীকে নিকটস্থ বিজিবি বিওপিকে অবহিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।ইখা
    দুই দিন যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
    ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ লাইন উন্নয়ন এবং গাছপালার শাখা-প্রশাখা কাটার জন্য সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আগামী ২ দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ও রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সময়ের জন্য এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিলেট পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এবং বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলীরা পৃথক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত—১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডার ও ১১ কেভি উপশহর ফিডারের আওতাধীন ও আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।এই এলাকাগুলো হলো—শিবগঞ্জ, টিলাগড়, সবুজবাগ, বোরহানবাগ, হাতিমবাগ, লামাপাড়া, রাজপাড়া।বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি লাক্কাতুড়া উপকেন্দ্রের আওতাধীন ১১ কেভি ফিডারের ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলো হলো—কাকুয়ারপাড়, এয়ারপোর্ট থানা, বাইশটিলা, ওসমানী বিমানবন্দর এক্সপ্রেস, ধোপাগুল, বনশ্রী, বাদামবাগিচা, পাহাড়িকা, বড়বাজার, লাক্কাতুড়া স্টেডিয়াম, লাক্কাতুড়া বাজার, মুসলিমপাড়া, মালনীছড়া, রূপসা আবাসিক, আবদানি, ফরিদাবাদ, সিলভার সিটি, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা বাগান, মহালদিক, উমদারপাড়া, লিলাপাড়া, দাপনাটিলা, কালাগুল, লালবাগ, পীরেরগাঁও, ছালিয়া, রঙ্গিটিলা, সালুটিকরঘাট।লাক্কাতুড়া উপকেন্দ্রের বড় বাজার, বনশ্রী ও বাদামবাগিচা ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলো হলো—বনশ্রী, বাদামবাগিচা, ইলাশকান্দি, উদয়ন, চৌকিদেখী, আনার মিয়ার গলি, বাঁশবাড়ি গলি, সিলসিলা গলি, রূপসা গলি, মোল্লাপাড়া গলি, মালনীছড়া, মুসলিমপাড়া, লাক্কাতুড়া বাজার।পিডিবি জানায়, কাজ শেষ হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে কর্তৃপক্ষ।এমআর-২

    অনলাইন ভোট

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হবে। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান
    আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেসের (জিএফজেড) এ তথ্য জানিয়েছে। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে বলছে, ভূমিকম্পটি বাংলাদেশ সময় সকাল ৫টা ৩৯ মিনিটে অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজ থেকে প্রায় ৬১ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।এর আগে গত মাসে উত্তর আফগানিস্তানের বালখ, সামাঙ্গান, সার-ই-পুল, বাগলান ও কুন্দুজসহ কয়েকটি প্রদেশে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৭ জন নিহত এবং ৯৫৬ জন আহত হন।এ ছাড়া আগস্ট মাসে পূর্ব আফগানিস্তানে আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং প্রায় ৪ হাজার মানুষ আহত হন। ওই ভূমিকম্পে কুনার প্রদেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।এমআর-২
    আমেরিকা আগুন নিয়ে খেলছে, হুঁশিয়ারি চীনের
    তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদনের তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোউ জিয়াকুন জানান, তাইওয়ান দ্বীপকে অস্ত্রসজ্জিত করা অব্যাহত রাখা মানে আগুন নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া। এই তৎপরতা তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।মূলত এর মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেন চীনা মুখপাত্র।বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জিয়াকুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে তাইওয়ানকে অস্ত্রসজ্জিত করার এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাইওয়ানের কাছে উন্নত অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা অনুমোদনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ ‘এক চীন’ নীতি এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত তিনটি যৌথ চুক্তিকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে। চীনা কূটনীতিক জোর দিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তাইওয়ান প্রণালি জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করবে এবং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলোর কাছে সম্পূর্ণ ভুল বার্তা পাঠাবে।এমআর-২
    ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে যা বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি হাদির মৃত্যর খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বৃহস্পতিবারই (১৮ ডিসেম্বর) প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের নেতা শরিফ ওসমান হাদি; গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর যাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তিনি মারা গেছেন। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চিকিৎসকদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হাদিকে বাঁচানো যায়নি। ডয়চে ভেলেও হাদিকে নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। জার্মান সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা হাদির হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। হাদি ভারতের একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয় ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে।   ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুতকারী যুব আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানও এ খবর প্রকাশ করেছে। হাদির মৃত্যুর খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বৃহস্পতিবার হাদির মৃত্যর খবর আসার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একই খবর দিয়েছে। সিএনএ, আল আরাবিয়া, দ্য সান মালয়েশিয়াসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য গণমাধ্যমও ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এছাড়াও, দ্য ডন, জিও নিউজ ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং দ্য টেলিগ্রাফ, এনডিটিভি’র মতো ভারতীয় অনেক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে হাদির মৃত্যুর খবর। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। ওইদিন মোটরসাইকেলে করে এসে দু’জন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে, তবে অংশবিশেষ এখনও তার ব্রেনে রয়েছে।  এই অবস্থার মধ্যেই পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সবশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।  এমআর-২
    আগামী বছর ফিজিতে দূতাবাস খুলবে ইসরায়েল
    ইসরায়েল আগামী বছর ফিজিতে একটি নতুন দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা করছে। আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েল এ ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার তার এক পোস্টে জানান, ‘ফিজির প্রধানমন্ত্রী সিতেনি রাবুকার সঙ্গে কথা হয়েছে এবং ২০২৬ সালে ফিজিতে একটি ইসরায়েলি দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে।’ এটি দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি সাধন করবে এবং একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উপস্থিতি শক্তিশালী করবে।ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, ফিজিতে ইসরায়েলের দূতাবাস খোলার মাধ্যমে পুরো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইসরায়েলের বন্ধুত্বপূর্ণ উপস্থিতি জোরদার হবে।সেপ্টেম্বরে ফিজির প্রধানমন্ত্রী সিতেনি রাবুকা জেরুজালেমে ফিজির মিশন উদ্বোধন করেন। জেরুজালেমের বিতর্কিত অবস্থানের কারণে বেশিরভাগ দেশ তাদের দূতাবাস তেল আবিবে স্থাপন করে, কারণ এটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একটি গুরুতর বিষয়।১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে এবং এটি তার অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে দাবি করে।তবে ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায়। ২০১৭ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন, যা বিশ্বব্যাপী বিতর্কের সৃষ্টি করে।২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করে এবং এর পর গুয়াতেমালা এই একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাপুয়া নিউ গিনি একমাত্র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ হিসেবে জেরুজালেমে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেয়।সূত্র : আল-অ্যারাবিয়াএবি 
    গাজায় সেনা পাঠাতে পাকিস্তানকে চাপ যুক্তরাষ্ট্রের
    আন্তর্জাতিক বাহিনীর অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সেনা পাঠাতে পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী। যেখানে মূলত মুসলিম দেশের সেনারা থাকবেন।তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ চাপের কারণে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনীর। কারণ গাজায় আন্তর্জাতিক যে বাহিনী যাবে সেটি হামাসের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবে। আর এই দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোনো ভুল হয় বা হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়; তাহলে নিজ দেশে সমালোচনার মুখে পড়বেন মুনীর।শুধু তিনি নয়, যেসব দেশই সেনা পাঠাবে তাদের সরকার প্রধানরা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের একটিা ঝুঁকিতে থাকবেন।বার্তাসংস্থা রয়টার্স গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জানায়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির। এরমাধ্যমে গত ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয় বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।দুই মাস আগে ট্রাম্পের ২০ দফার ভিত্তিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। এটির একটি ধারায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর কথা বলা হয়। যারা গাজা পুনর্গঠন এবং অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে কাজ করবেন।আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।যেসব দেশ সেনা পাঠাতে যাচ্ছে সেসব দেশের সরকারের শঙ্কা হামাসকে নিরস্ত্র করতে এই সেনাদের কাজে লাগানো হতে পারে। এতে করে এই সেনারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যাবেন। যা সেনা পাঠানো দেশগুলোর মানুষকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।ওয়াশিংটনভিত্তিক আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান রয়টার্সকে বলেছেন, “গাজায় সেনা না পাঠালে অসীম মুনিরের ওপর ক্ষুব্ধ হতে পারেন ট্রাম্প। এটি পাকিস্তানের জন্য কোনো ছোট বিষয় নয়। পাকিস্তান ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়, যেন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও সামরিক সহায়তা পাওয়া যায়।”মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান। তাদের আছে যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করা পরীক্ষিত সৈনিক। পাকিস্তান এখন পর্যন্ত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি যুদ্ধ করেছে। সর্বশেষ গত মে মাসে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।সূত্র: রয়টার্সএবি 
    ফের নির্বাচিত হলেন নেপালের জেন-জি আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলি
    নিজ রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ভোটাভুটিতে আবারও দলের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন জেন-জি আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। বৃহস্পতিবার দলটির সদস্যরা তাকে দলের নেতৃত্বে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। এর ফলে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় দেশটির জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রস্তুতির তত্ত্বাবধান করবেন তিনি।নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্টের (সিপিএন-ইউএমএল) সদস্যরা রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত দুই দিনের সাধারণ সম্মেলনে ভোটাভুটির মাধ্যমে দলীয় প্রধান নির্বাচন করেছেন। এতে দলের সদস্যদের ভোটে ভূমিধস জয় পেয়েছেন অলি।গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেন-জি নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের পর ৭৩ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ রাজনীতিক দলির প্রধান নির্বাচিত হলেন। ওই আন্দোলনের মুখে অলির সরকারের পতন ঘটে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।আগামী বছরের মার্চে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে সুশীলা কার্কি নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন।ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দলটির প্রচার বিভাগের প্রধান রাজেন্দ্র গৌতম বলেন, দলের প্রধান নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈশ্বর পোখরেলের তুলনায় প্রায় তিন গুণ ভোট পান অলি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী অলি ১ হাজার ৬৬৩ ভোট, আর পোখরেল পেয়েছেন ৫৬৪ ভোট।কে পি নামে পরিচিত অলি নিজেকে দলের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে ভাবমূর্তি গড়ে তোলার কাজ করছেন। তার কিছু সমাবেশে ‘কেপি বা (বাবা), আমরা তোমাকে ভালোবাসি’ লেখা পোস্টার ও ব্যানার দেখা গেছে।রাজেন্দ্র গৌতম বলেন, আমি খুশি যে তিনি জিতেছেন। পশ্চিম নেপালের গণ্ডকি প্রদেশ থেকে সম্মেলনে অংশ নিতে আসা ৪৫ বছর বয়সী তারা মায়া থাপা মাগার বলেন, এই মুহূর্তে জাতির জন্য তিনিই প্রয়োজন।এর আগে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা কে পি অলির বাসভবন, সংসদ ভবন ও আদালত-সহ শত শত স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেন। এর কিছুদিন পরই চারবারের প্রধানমন্ত্রী অলি পদত্যাগ করেন।পদত্যাগপত্রে অলি লেখেন, তার সরে দাঁড়ানো ‘রাজনৈতিক সমাধান ও সমস্যার নিষ্পত্তির পথে সহায়ক হবে’ বলে তিনি আশা করেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর সরকারের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদ থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলনে অন্তত ৭৭ জন নিহত হন। দেশটিতে দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং রাজনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।মাগার বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের ফল। অলির নেতৃত্বেই আমরা এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারি।অলির ক্ষমতাচ্যুতির পর ৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ৫ মার্চের নির্বাচন পর্যন্ত হিমালয় অঞ্চলের দেশটির নেতৃত্ব দেবেন।বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী দমন-পীড়নে অলির ভূমিকা তদন্তে একটি সরকারি কমিশন কাজ করছে। এ কারণে অলিসহ আরও কয়েকজন সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই রয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের গভীর অবিশ্বাস বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও কার্কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য ‘ন্যায়সঙ্গত ও ভয়মুক্ত’ পরিবেশ নিশ্চিত করবেন।সূত্র: এএফপিএবি 
    সৌদি সীমান্তে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছে ২০ হাজার যোদ্ধা
    সৌদি আরবের সীমান্ত এলাকায় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হচ্ছে ২০ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা। তারা ইয়েমেনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি)’ যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালাতে পারে।এসটিসি গত মাসে ইয়েমেনের তেলসমৃদ্ধ হাদরামাউত প্রদেশের বিভিন্ন ভূখণ্ড নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।১৯৯০ সালের আগে ইয়েমেন— উত্তর ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইয়েমেন নামে আলাদা দুটি দেশ ছিল। এসটিসি এখন ইয়েমেনকে আবারও দুইভাগে বিভক্ত করতে চায়।সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত এসটিসিকে ইতিমধ্যে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, সৌদি আরবের বিমানবাহিনী তাদের ওপর সরাসরি হামলা চালাতে পারে।অপরদিকে এসটিসিকে স্থলে প্রতিহত করতে সৌদির সীমান্তবর্তী আল-ওয়াদিয়াহ এবং আল-আবর এলাকায় জড়ো হচ্ছে ‘ন্যাশনাল শেল্ড’ নামে আরেকটি সশস্ত্র যোদ্ধা।সৌদি আরবের এমন হুমকির মুখেই এসটিসিকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আরব আমিরাত। এতে করে দুই দেশের সমর্থিত যোদ্ধাদের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের শঙ্কা বাড়ছে।ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে এমনিতেই হুতি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে দীর্ঘদিন দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। এখন দক্ষিণ দিকে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলমান গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।এসটিসি গত শুক্রবার আদেন নামে একটি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর সৌদি আরব তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়। তবে এসটিসি জানিয়েছে, সৌদির এ নির্দেশনা তারা মানবে না।এসটিসির যোদ্ধারা প্রথমে হাদরামাউতে প্রবেশ করে। এরপর পার্শ্ববর্তী মাহরা প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এটি ওমানের সঙ্গে লাগোয়া একটি প্রদেশ। এছাড়া আবইয়ান প্রদেশেও যোদ্ধা পাঠিয়ে সেখানে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে এসটিসি।এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর এমন হঠাৎ উত্থানে বেশ অবাক হয়েছে সৌদি আরব। কারণ ইয়েমেনে আগে থেকেই তাদের আধিপত্য রয়েছে। সৌদি চায় না ইয়েমেন আলাদা দুটি দেশ হোক। কিন্তু এসটিসি দেশটিকে ভাগ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।হাদরামাউত প্রদেশটি ইয়েমেনের মোট ভূখণ্ডের ৩৬ শতাংশ নিয়ে গঠিত। সেখানের দেশটির সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র রয়েছে। এছাড়া আছে মুকাল্লা, আল-শিরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এছাড়া ডাব্বাতে তেলের একটি টার্মিনালও আছে।সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানএবি 
    এবার তাইওয়ানে ভূমিকম্পের আঘাত
    তাইওয়ানে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে সাগরে এই ভূমিকম্প হয়েছে বলে দ্বীপটির আবহাওয়া বিষয়ক প্রশাসন জানিয়েছে।তবে ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, সেই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে রাজধানী তাইপের বিভিন্ন ভবনও কিছু সময়ের জন্য কেঁপে উঠেছে।স্থানীয় আবহাওয়া প্রশাসনের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩১ দশমিক ৬ কিলোমিটার ভূগর্ভে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পূর্বাঞ্চলীয় শহর হুয়ালিয়েন থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে সাগরে।তাইওয়ান দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২০১৬ সালে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।আর ১৯৯৯ সালে ৭.৩ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে এই দ্বীপ ভূখণ্ডে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন।সূত্র : রয়টার্স।এমআর-২
    বাতাসে বিষ, দক্ষিণ এশিয়ায় বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক
    দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ বায়ুদূষণে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটান এই পাঁচ দেশে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। এর ফলে বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ আঞ্চলিক জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশে পৌঁছেছে।বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণ এখন এই অঞ্চলের অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ। প্রতিবেদনে দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে রান্না ও গরমের জন্য কঠিন জ্বালানি ব্যবহার, শিল্পকারখানায় অদক্ষ জ্বালানি পোড়ানো, পুরোনো যানবাহন, কৃষিজ বর্জ্য পোড়ানো এবং ঘরোয়া ও বাণিজ্যিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, সমন্বিত ও বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎচালিত রান্নাব্যবস্থা, শিল্প ও ভাটার আধুনিকীকরণ, বৈদ্যুতিক ও অ-মোটরচালিত পরিবহন, কৃষি ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর বর্জ্য পুনর্ব্যবহার।বিশ্বব্যাংক পরিষ্কার বায়ুর জন্য ৩টি মূল কৌশলের কথা বলেছে। তা হলো, উৎস পর্যায়ে নির্গমন কমানো, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং শক্তিশালী নীতি, প্রতিষ্ঠান ও আঞ্চলিক সমন্বয়ের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতি নিশ্চিত করা।প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই লক্ষ্য অর্জনে তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো—এই ‘৪টি আই’-এর ওপর জোর দিতে হবে। বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকারগুলোর যৌথ উদ্যোগ ও টেকসই বিনিয়োগই পারে দূষণ কমিয়ে লাখো প্রাণ বাঁচাতে এবং সবার জন্য নির্মল বাতাস নিশ্চিত করতে।এমআর-২
    ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান দিয়ে কম্বোডিয়ায় হামলা চালাল থাইল্যান্ড
    চলতি বছরের মে মাসে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে মোদি সরকারকে এমন একটি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যা তারা কখনো ভুলবে না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়ার হারিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী ল্যাপটপ স্কিম–২০২৫ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।শাহবাজ শরিফ বলেন, যুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী জাতির দোয়া ও সমর্থনে বিজয় অর্জন করেছে। তিনি দাবি করেন, ভারত এই পরাজয় কখনো ভুলবে না।গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ভারত অভিযোগ করে, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২৬ জন পর্যটক হত্যার ঘটনায় পাকিস্তানি জড়িত ছিল। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়।প্রায় ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী ওই সংঘাতে পাকিস্তান ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ও বহু ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় দুই দেশ।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাইবার পাখতুনখোয়ার জনগণকে সাহসী ও আত্মত্যাগী উল্লেখ করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা দেশের শান্তি ফিরিয়ে এনেছে।তিনি বলেন, ল্যাপটপ স্কিমটি পুরো প্রদেশে সম্প্রসারণ করা হবে এবং দেশের উন্নয়নে যুবসমাজের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।শাহবাজ শরিফ বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অর্থনীতি এখন স্থিতিশীলতার পথে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, চারটি প্রদেশ একসঙ্গে উন্নত হলে দেশও উন্নত হবে।সূত্র: জিও নিউজএমআর-২

    বিনোদন

    সব দেখুন
    মালদ্বীপে ম্যাচিং লুকে রোম্যান্টিক ফ্রেমবন্দি মিম
    ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল বিদ্যা সিনহা মিমকে প্রায়ই দেখা যায় দেশের বাইরে। বেশ কিছুদিন ধরেই মালদ্বীপে অবস্থান করছেন এই নায়িকা। মূলত অবকাশ যাপনেই নিয়মিত সফরে যান তিনি; এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকেন তার স্বামী সনি পোদ্দার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি; মালদ্বীপ সফরে এবারও স্বামীকে ভ্রমণসঙ্গী করলেন মিম। দিন কয়েক ধরে ধারাবাহিকভাবে নিজের মালদ্বীপ ভ্রমণের মুহূর্তগুলো সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের মাঝে মেলে ধরছিলেন মিম। এবার ধরা দিলেন নিজের স্বামীর সঙ্গে। একগুচ্ছ ছবি প্রকাশ করে নেটিজেন থেকে শুরু করে ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন এই নায়িকা।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মালদ্বীপের প্রকৃতি আর সবুজে ঘেরা এক বিলাসবহুল রিসোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এই তারকা দম্পতি। ছবির মূল আকর্ষণে ছিলো তাদের এই ম্যাচিং লুক।মিমের পরনে ছিল সাদা ও কালোর সংমিশ্রণে একটি স্টাইলিশ স্লিভলেস লং ড্রেস, যা তাকে দিচ্ছিল এক স্নিগ্ধ ও আধুনিক লুক। চুলে গুঁজে রাখা একটি সাদা ফুল তার সৌন্দর্যে যোগ করেছে এক ভিন্ন মাত্রা। অন্যদিকে সনি পোদ্দারকে দেখা গেছে ক্যাজুয়াল লুকে, তার পরনে ছিল কালো রঙের পলো টি-শার্ট এবং চোখে সানগ্লাস।প্রকাশিত ছবিতে কখনো তারা ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসছেন, আবার কখনো একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে ভালোবাসায় মজেছেন- এমনই কিছু রোম্যান্টিক মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছবিগুলো পোস্ট করার পরপরই সেখানে ভক্ত-অনুরাগীদের ভালোবাসা ও প্রশোংসামূলক মন্তব্যে ভরে উঠেছে।মিমের আরও একটি পরিচয় রয়েছে; তাকে বলা হয় ‘ভ্রমণকন্যা’! চিরচেনা অভিনয় ও মডেলিংয়ের বাইরেও দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন নায়িকা। কখনো থাইল্যান্ড, কখনো মালদ্বীপ আবার কখনো ইউরোপের কোনো দেশ- প্রায়ই সেখান থেকে নিজেকে মেলে ধরে আলোচনায় আসেন তিনি।এইচএ
    আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই মরে যাওয়ার চেষ্টা করব: নচিকেতা
    সময়ের অন্যায়, সামাজিক অসংগতি আর সাধারণ মানুষের কথা অকপটে গানে তুলে ধরে দুই বাংলার গানের জগতে প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর নচিকেতা চক্রবর্তী।শ্রোতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আবারও আলোচনায় উঠে এলেন সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এক ভিডিও ও লেখা শেয়ার করে। যা নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা।ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জীবনমুখী গানের কিংবদন্তি নচিকেতা চক্রবর্তী। চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় হার্টে দুটি স্টেন্ট বসানোর পর এখন অনেকটাই সুস্থ ওপার বাংলার এই গায়ক। ভক্তরা যখন তার ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় নচিকেতার একটি ভিডিও ও দীর্ঘ লেখা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল ফেসবুকে ভিডিও বার্তার ক্যাপশনে সংগীত শিল্পী লিখেছেন, ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’। মৃত্যুর মুখ থেকে বারবার ফিরতে মন্দ লাগছে না। কিন্তু এই প্রথমবার নয়, মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় লেগে কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সে শুধুমাত্র ভাগ্যের কারণে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন নচিকেতা। শেষ মুহূর্তে স্থান পরিবর্তনের কারণে পুলিশের গুলি এসে লাগে বন্ধুর বুকে।মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাতাল রেলের নির্মিত হওয়া টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে বেঁচে গিয়েছিলেন নচিকেতা। এর আগে মাত্র ৭ বছর বয়সে ক্ষুদিরামের ছবি দেখে গলায় দড়ি দিতে গিয়েছিলেন তিনি, মাত্র ৬ বছর বয়সে নকশাল আন্দোলন দেখে স্কুলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন, সেবারও বেঁচে গিয়েছিলেন গায়ক।এরপর ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে সার্জারির টেবিল থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন এবং ২০২৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও বেঁচে যান তিনি।নচিকেতা লিখেছেন, ‘আমার লেখা যদি ভালো লাগে ভালো না হলে কমেন্ট করবেন না। আপনাদের কমেন্টের আশায় আমি বসে নেই। নিজেকে আমার বাড়ির পুরনো তক্তপোশের মতো জরাজীর্ণ প্রমাণ করতে গিয়ে কমেন্ট করবেন না। আবারও বেঁচে এলাম, হয়তো ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই কথা দিচ্ছি মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’সব মিলিয়ে কথা শুনে বোঝাই যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নচিকেতার মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে হইচই পড়ে গিয়েছিল তাতেই হয়তো ক্ষুব্ধ তিনি। মূলত, নচিকেতার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় বেশ আশাহত হয়েছেন ৬১ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী, আর তাই নিজের ওই অভিমান থেকেই এতগুলো কথা লেখেন তিনি।এইচএ
    মেসির সঙ্গে ছবি তুলে ট্রলের শিকার শুভশ্রী, থানায় অভিযোগ রাজের
    ‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’ এর অংশ হিসেবে গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা যান ফুটবলের কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তিনি অংশ নেন এক বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। বিশ্ব তারকা ঘিরে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ও দায়দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ভয়াবহ ট্রলের মুখে পড়েন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি।মেসির সঙ্গে তোলা ছবি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন অভিনেত্রী। আর তাতেই যেন শুরু হয় আক্রমণ।একের পর এক কটূক্তি, কুরুচিকর মন্তব্যে ভরে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। এমনকি শুভশ্রীর শারীরিক গঠন ও সন্তান নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করতে ছাড়েননি সমালোচকরা। এই ঘটনায় স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে রোববার সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া বার্তা দেন রাজ চক্রবর্তী। এরপর সেদিন রাতেই টিটাগড় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ।রাজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, একজন নারীকে উদ্দেশ্য করে যেভাবে নোংরা ইঙ্গিত, কুৎসা ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেয়া যায় না।তিনি বলেন, ‘শুভশ্রীর শারীরিক গঠন, সন্তান নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে। যারা এই ভাষা ব্যবহার করছে, তাদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্তও থাকতে পারে।’রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচকদের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দেন রাজ চক্রবর্তী। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত শুভশ্রী গাঙ্গুলির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।এসআর
    টরন্টোতে প্রদর্শিত হলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘সাবিত্রী’
    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কানাডার টরন্টোতে প্রদর্শিত হলো বাংলাদেশের সিনেমা ‘সাবিত্রী’। মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ের কঠিন বাস্তবতাকে পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা পান্থ প্রসাদ।টরন্টো ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে গত ১২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে দর্শকের ভূয়ষী প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘সাবিত্রী’। চা শ্রমিক এক নারীর জীবনের গল্পে উঠে এসেছে শক্তিশালী ও মানবিক আখ্যান, যেখানে নারী মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রাম, মাতৃত্ব এবং যুদ্ধ-পরবর্তী কঠিন বাস্তবতা চরমভাবে ফুটে উঠেছে।এ প্রসঙ্গে নির্মাতা পান্থ প্রসাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘বিজয়ের মাসে প্রবাসী বাঙালি প্রাণকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পুনরুজ্জীবিত করতে পেরে দারুণ খুশি। এ ধরণের কাজের সুযোগ পেলে প্রজান্মন্তরের কাছে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ প্রয়াস থাকবে।’‘সাবিত্রী’ শুধু যুদ্ধের ইতিহাস নয়, এটি এক নারীর অসাধারণ সাহস, আত্মত্যাগ ও টিকে থাকার লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ে সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় একজন নারীর জীবনের যে জটিল ও বেদনাবিধুর পথচলা- চলচ্চিত্রটি তা অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরেছে।ইখা

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    আরও ৬৭ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
    দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে আরও প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সাতটি ব্যাংক থেকে ডলারগুলো কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কাট-অফ রেট ১২২ দশমিক ৩০ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে ডলার ক্রয়ের এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।এ নিয়ে চলতি ডিসেম্বর মাসে ৬৯১ দশকি ৫০ মিলিয়ন বা ৬৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগেও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কয়েক দফায় নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পর্যন্ত মোট কেনা হয়েছে ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ বা ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।আরডি
    ছেঁড়া-ফাটা নোট নিতে না চাইলেই ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
      দীর্ঘদিনের ব্যবহার অথবা বিভিন্ন কারণে টাকার কাগজের নোট ছিঁড়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দোকানি থেকে শুরু করে কেউ এসব নোট নিতে চান না। ছেঁড়া বা নষ্ট এসব নোট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন গ্রাহকরা। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ছেঁড়া, পোড়া বা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হওয়া নোটের বিনিময় মূল্য ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে।এ নীতিমালার আওতায় এখন থেকে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে নষ্ট হওয়া নোটের বিপরীতে নির্ধারিত হারে অর্থ ফেরত পাবেন।সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে জানানো হয়, নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।  নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্যমান থাকলে এর বিপরীতে পুরো মূল্যমানের অর্থ ফেরত পাবেন গ্রাহক।এ সার্কুলারের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান ২০২৫’ কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রেগুলেশনস ২০১২’। আগে ছেঁড়া ও পোড়া নোট বদলের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। নতুন বিধিমালায় নোটের কত অংশ থাকলে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।সার্কুলারে আরো বলা হয়, কোনো নোট দুই খণ্ডে বিভক্ত হলে খণ্ড দু’টি সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে জমা গ্রহণের সময় নোটের বিচ্ছিন্ন খণ্ড দু’টির উল্টো পিঠে সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগাতে হবে, যাতে আসল নোট শনাক্তে কোনো অসুবিধা না হয়। একইভাবে, যেসব জীর্ণ নোট পরীক্ষার সময় নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, সেগুলোর উল্টো পিঠেও হালকা সাদা কাগজ সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, নষ্ট বা পুড়ে যাওয়া প্রচলিত নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা অফিসসহ বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও বদল করে নেওয়া যায়। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ছেঁড়া নোট বদলের সুযোগ থাকলেও সব নোটের পুরো মূল্য পাওয়া যায় না।কেবল যেসব নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ অক্ষত রয়েছে, সেগুলোর বিপরীতে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে। এসব ক্ষেত্রে নোট সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবেই বদল করে দেওয়া হচ্ছে। অন্য ছেঁড়া-ফাটা নোটও নিয়ম অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে বদল করা হয়।নীতিমালায় বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিনিময় মূল্য পেতে কোনো ব্যাংক শাখায় সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক। ব্যাংক শাখা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে আবেদনটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সেখান থেকেও সমাধান না হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্র প্রাপ্তির আট সপ্তাহের মধ্যে নোটটির মূল্য প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং মূল্য প্রদেয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে অর্থ সমন্বয় করা হবে।সুষ্ঠু নগদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের বিধি মোতাবেক ছেঁড়া-ফাটা, ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লাযুক্ত নোটের বিনিময় মূল্য প্রদান এবং দাবিযোগ্য নোটসংক্রান্ত সেবা নিয়মিতভাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে এ ধরনের সেবা প্রদানে কোনো ব্যাংক শাখা অনীহা দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
    ১৩ দিনে এল ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
    চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার ৩০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ লাখ ডলার।এদিকে ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনেও ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।এছাড়াও এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংক আল ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।এর আগে বিদায়ী নভেম্বরে দেশে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।এবি 
    দেশের বাজারে আবার বাড়ল সোনার দাম
    বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ছাড়িয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার টাকা।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন দাম মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম (পিওর গোল্ড) বাড়ায় বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা।এফএস
    বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
    দীর্ঘ ৩ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা দুইটার টার দিকে সাতক্ষীরার মেসার্স এইচ কে এ এন্টারপ্রাইজ ও যশোরের মেসার্স সাবাহ এন্টারপ্রাইজ এর দুটি পেঁয়াজ আমদানির চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ছাড়করন প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি জানান, আপাতত এ চালানে ৩টি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।সরেজমিনে সোমবার সকালে বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ২০০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ থেকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আরডি
    সিডিএফ’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
    ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ)-এর ২৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিগত বৎসরের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ২০২৫-২০২৬ সালের কর্ম পরিকল্পনা ও বাজেট অনুমোদন করা হয়।শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের “মিডিয়া বাজার” কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিডিএফ এর চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকার। এসসময় সংগঠনটির সাধারণ পরিষদের সদস্যগণসহ পর্যবেক্ষণ অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে জনাব মুর্শেদ আলম সরকার চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে ক্রেডিট এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ) এর কর্মকাণ্ড ও অর্জিত মূল সাফল্যগুলো উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য তিনি সিডিএফ ব্যবস্থাপনাকে ধন্যবাদ জানান। ক্ষুদ্রঋণে তহবিল যোগানে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদানের প্রশংসা করে মুর্শেদ আলম সরকার বলেন, ‘সিডিএফ জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের অ্যাডভোকেসি, লবিং, গবেষণা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল নেটওয়ার্কিং সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।’তিনি আরও বলেন, সিডিএফ কর্তৃক ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাসমূহের মধ্যে আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক সৃষ্টির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। উক্ত সভায় সিডিএফ-এর কোষাধ্যক্ষ জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম আর্থিক বিবরণী ও বাজেট ২০২৫-২৬ পেশ করেন। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সিডিএফ-এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ উপস্থাপন করেন। তিনি সিডিএফ-এর প্রতি আস্থা রেখে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সিডিএফ সদস্য-সংস্থাসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।আরডি
    দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৫৭ বিলিয়ন ডলার
    দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুসারে, ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩২৫৭৩ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৭৮৭৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩২৪৮২ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৭৮১৭ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।প্রসঙ্গত, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।এমআর-২
    আরও ৬৭ মিলিয়ন ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
    দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে আরও প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার বা ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা পর্যন্ত। সাতটি ব্যাংক থেকে ডলারগুলো কেনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কাট-অফ রেট ১২২ দশমিক ৩০ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে ডলার ক্রয়ের এই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।এ নিয়ে চলতি ডিসেম্বর মাসে ৬৯১ দশকি ৫০ মিলিয়ন বা ৬৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগেও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কয়েক দফায় নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পর্যন্ত মোট কেনা হয়েছে ২৮৭ কোটি ১৫ লাখ বা ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।আরডি
    ছেঁড়া-ফাটা নোট নিতে না চাইলেই ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
      দীর্ঘদিনের ব্যবহার অথবা বিভিন্ন কারণে টাকার কাগজের নোট ছিঁড়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দোকানি থেকে শুরু করে কেউ এসব নোট নিতে চান না। ছেঁড়া বা নষ্ট এসব নোট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন গ্রাহকরা। এবার বাংলাদেশ ব্যাংক ছেঁড়া, পোড়া বা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হওয়া নোটের বিনিময় মূল্য ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে।এ নীতিমালার আওতায় এখন থেকে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে নষ্ট হওয়া নোটের বিপরীতে নির্ধারিত হারে অর্থ ফেরত পাবেন।সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে জানানো হয়, নির্দেশনাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।  নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্যমান থাকলে এর বিপরীতে পুরো মূল্যমানের অর্থ ফেরত পাবেন গ্রাহক।এ সার্কুলারের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান ২০২৫’ কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রেগুলেশনস ২০১২’। আগে ছেঁড়া ও পোড়া নোট বদলের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। নতুন বিধিমালায় নোটের কত অংশ থাকলে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।সার্কুলারে আরো বলা হয়, কোনো নোট দুই খণ্ডে বিভক্ত হলে খণ্ড দু’টি সন্দেহাতীতভাবে একই নোটের অংশ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে জমা গ্রহণের সময় নোটের বিচ্ছিন্ন খণ্ড দু’টির উল্টো পিঠে সরু আকারের হালকা সাদা কাগজ দিয়ে জোড়া লাগাতে হবে, যাতে আসল নোট শনাক্তে কোনো অসুবিধা না হয়। একইভাবে, যেসব জীর্ণ নোট পরীক্ষার সময় নাড়াচাড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে, সেগুলোর উল্টো পিঠেও হালকা সাদা কাগজ সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত, নষ্ট বা পুড়ে যাওয়া প্রচলিত নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা অফিসসহ বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও বদল করে নেওয়া যায়। প্রতিটি ব্যাংক শাখায় ছেঁড়া নোট বদলের সুযোগ থাকলেও সব নোটের পুরো মূল্য পাওয়া যায় না।কেবল যেসব নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ অক্ষত রয়েছে, সেগুলোর বিপরীতে সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে। এসব ক্ষেত্রে নোট সাধারণত তাৎক্ষণিকভাবেই বদল করে দেওয়া হচ্ছে। অন্য ছেঁড়া-ফাটা নোটও নিয়ম অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে বদল করা হয়।নীতিমালায় বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিনিময় মূল্য পেতে কোনো ব্যাংক শাখায় সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক। ব্যাংক শাখা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হলে আবেদনটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। সেখান থেকেও সমাধান না হলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্র প্রাপ্তির আট সপ্তাহের মধ্যে নোটটির মূল্য প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং মূল্য প্রদেয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে অর্থ সমন্বয় করা হবে।সুষ্ঠু নগদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের বিধি মোতাবেক ছেঁড়া-ফাটা, ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লাযুক্ত নোটের বিনিময় মূল্য প্রদান এবং দাবিযোগ্য নোটসংক্রান্ত সেবা নিয়মিতভাবে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে এ ধরনের সেবা প্রদানে কোনো ব্যাংক শাখা অনীহা দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
    ১৩ দিনে এল ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স
    চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৮ হাজার ৩০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। পাশাপাশি বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩২ লাখ ডলার।এদিকে ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনেও ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।এছাড়াও এই সময়ে বিদেশি খাতের ব্যাংক আল ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও উরি ব্যাংকের মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।এর আগে বিদায়ী নভেম্বরে দেশে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।এবি 
    দেশের বাজারে আবার বাড়ল সোনার দাম
    বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ফলে ভালো মানের সোনার ভরি ছাড়িয়েছে দুই লাখ ১৭ হাজার টাকা।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন দাম মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম (পিওর গোল্ড) বাড়ায় বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৫৭২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৩৬২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৮০০ টাকা।এফএস
    বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
    দীর্ঘ ৩ মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা দুইটার টার দিকে সাতক্ষীরার মেসার্স এইচ কে এ এন্টারপ্রাইজ ও যশোরের মেসার্স সাবাহ এন্টারপ্রাইজ এর দুটি পেঁয়াজ আমদানির চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ছাড়করন প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি জানান, আপাতত এ চালানে ৩টি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।সরেজমিনে সোমবার সকালে বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকা এবং দেশি শুকনো মানের পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও কমেছে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ২০০ জন আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ থেকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) শামীম হোসেন বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আরডি

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    ইনকিলাব মঞ্চ ব্যতীত কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না: জুমা
    ইনকিলাব মঞ্চ ব্যতীত কারও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।পোস্ট জুমা লিখেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চ শহীদ ওসমান হাদিকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আসবে। ছাত্রজনতা রাজপথ দখলে রাখবেন এবং বিচারের জন্য স্লোগান জারি রাখবেন।’তিনি আরও লিখেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চ ব্যতীত কারও কোনো নির্দেশনা বা প্ররোচনায় পা দিবেন না। আমরা খুব দ্রুতই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা আমাদের শহীদ ভাইয়ের বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব, ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে সন্ত্রাসীরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।এমআর-২
    ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশের’ ডাক সাদিক কায়েমের
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ ও চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ’ আয়োজনের ডাক দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কর্মসূচির কথা জানান তিনি।ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম লিখেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামের সেনানী শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং বিপ্লবী সংগ্রাম জারি রাখতে ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে।’ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর সারাদেশের সব মসজিদে ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত। এদিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত শহীদ হাদি চত্বরে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।কর্মসূচিতে দেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ওসমান হাদির রক্তের আমানত এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।এমআর-২
    হাদি হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদ ও দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। এতে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বেগম রোকেয়া হলের সামনে যাত্রী ছাওনি এলাকায় তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির। তিনি বলেন, শরীফ ওসমান হাদি জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা ছিলেন। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা তার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।নাসির উদ্দীন নাসির অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যারা দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং অবৈধ নির্বাচন আয়োজন করেছে, তারাই হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে একটি আসন্ন গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। ছাত্রদল এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সজাগ থাকবে এবং প্রয়োজন হলে রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।তিনি আরও বলেন, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যারা গুজব ছড়াচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাচ্ছে, ছাত্রদল তাদের তৎপরতা প্রত্যাখ্যান করে। একই সঙ্গে তিনি হাদির পরিবার ও তার সন্তানের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।এনআই
    ‘আমরা সবাই হাদি হবো, হাদির মুখে কথা কবো’- স্লোগানে ঢাবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
    ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরিফ ওসমান হাদির খুনিদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শামসুন্নাহার হল ও রোকেয়া হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।মিছিলটি হল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নিয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীরা 'আমরা সবাই হাদি হবো, হাদির মুখে কথা কবো', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ জিন্দাবদ'সহ নানা স্লোগান দেন।ইনকিলাব মঞ্চ, এনসিপি নেতাকর্মীসহ বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার সঙ্গে নারী শিক্ষার্থীরাও শাহবাগে অবস্থান করছেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় প্রচারে যাওয়া ওসমান হাদিকে গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসী। রিকশায় থাকা হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর দেখে সেখান থেকে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যায় সরকার। কিন্তু সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে চলে যান আধিপত্যবাদবিরোধী প্লাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি।

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    হোয়াটসঅ্যাপে বিরক্তিকর নম্বর ব্লক করার সহজ উপায়
    বর্তমান সময়ে যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর একটি হলো হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে বন্ধু, পরিবার কিংবা অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে সহজে ও নিরাপদে যোগাযোগ করা যায়।তবে অনেক সময় অচেনা নম্বর থেকে অপ্রয়োজনীয় বার্তা বা কল আসায় বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে হোয়াটসঅ্যাপে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বর ব্লক করার সুবিধা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে সহজেই এই কাজটি করা যায়প্রথমে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ খুলে যে নম্বরটি ব্লক করতে চান তার চ্যাটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর চ্যাট স্ক্রিনের উপরের ডান পাশে থাকা তিনটি ডট চিহ্নে ট্যাপ করে ‘মোর’ অপশন থেকে ‘ব্লক’ নির্বাচন করলেই নম্বরটি ব্লক হয়ে যাবে। একবার ব্লক করলে সেই নম্বর থেকে আর কোনো বার্তা বা কল আসবে না এবং আপনার প্রোফাইল সংক্রান্ত আপডেটও তারা দেখতে পাবে না।দ্বিতীয় পদ্ধতিতে হোয়াটসঅ্যাপের ‘সেটিংস’ মেনুতে গিয়ে ‘প্রাইভেসি’ অপশনে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে ‘ব্লকড কন্টাক্টস’ অপশন নির্বাচন করে ‘অ্যাড’ বাটনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর তালিকা থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত নম্বরটি বেছে নিয়ে ‘ব্লক’ চাপলেই নম্বরটি স্থায়ীভাবে ব্লক হয়ে যাবে।আরডি
    খেলাধুলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য চীনের যত প্রযুক্তি
    চীনে চলছে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য ক্রীড়ার আসর ১২তম ন্যাশনাল গেমস ফর পারসন্স উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ। সেই সঙ্গে ৯ম জাতীয় স্পেশাল অলিম্পিক গেমসও চলছে। আর এ ধরনের আসরে অংশগ্রহণ বাড়াতে নিরলস কাজ করে চলেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।সেই ধারাবাহিকতা এবার ক্রীড়াবিদদের জন্য এসেছে এআই-চালিত সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ রিকগনিশন সিস্টেম। যারা কথা বলতে পারেন না, বা কানে শোনেন না, তারা এবার বুঝতে পারছেন রিয়েল টাইম ধারাভাষ্য। সহজে জানতে পারছেন ভেনুর নির্দেশনা।দক্ষিণ চীনের কুয়াংচৌর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভয়িবুকের তৈরি সিস্টেমটি ইতোমধ্যে গেমসের সার্ভিস অ্যাপ্লিকেশনে যুক্ত হয়েছে।ভয়িবুকের প্রতিষ্ঠাতা শি ছেংছুয়ান জানালেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি শ্রবণপ্রতিবন্ধী অ্যাথলেটদের জন্য বাধাহীন যোগাযোগ নিশ্চিত করছে। আমরা অ্যালগরিদম আরও উন্নত করব, যাতে শনাক্তকরণের নির্ভুলতা ও গতি বাড়ানো যায়।’শি নিজেও শ্রবণপ্রতিবন্ধী। তিনি ও তার দল সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ অনুবাদক ফোন অ্যাপ, অনুবাদ ডিভাইস, ভয়েস-ট্রান্সলেশন ঘড়ি ও ক্যাপশনিং সিস্টেম তৈরি করেছেন—যেগুলো চীনের বিভিন্ন সরকারি সেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল ও স্কুলসহ বহু স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে।অন্যদিকে চীনের হাংচৌ শহরের ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দেখা গেছে এমন কিছু স্মার্ট কৃত্রিম অঙ্গপ্রতঙ্গ, যেগুলো ব্যবহার করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা করছেন রক ক্লাইম্বিং। কেউ আবার বাজাচ্ছেন পিয়ানো। আবার কেউ করছেন ক্যালিগ্রাফি।হাংচৌয়ের ক্রীড়াপ্রেমী লিন ইউন চার বছর ধরে ব্যবহার করছেন বুদ্ধিমান বায়োনিক পা। আগে সাধারণ প্রস্থেটিক পা দিয়ে যখন রক ক্লাইম্বিং করতেন, তখন পদে পদে ছিল পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক। এখন সেন্সরযুক্ত স্মার্ট বায়োনিক পা তার স্নায়বিক সংকেত শনাক্ত করে মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট শক্তি দিয়ে জয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করে।লিন ইউন জানালেন, ‘এখন দৌড়াতে পারি, বাস্কেটবল-টেবিল টেনিস-ব্যাডমিন্টন খেলতে পারি। আমার মনে হচ্ছে আমি খেলাধুলার প্রতি আমার আকর্ষণটাকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।’দুর্ঘটনায় ডান হাত হারানো চৌ চিয়ানের জীবনও বদলে দিয়েছে স্মার্ট বায়োনিক হাত। তিন বছর আগে লাগানো বায়োনিক হাত দিয়ে এখন তিনি বোতলের ঢাকনা খোলা, ফলের খোসা ছাড়ানোসহ জটিল অনেক কাজ করতে পারছেন।চৌ চিয়ান বললেন, ‘এখন পাঁচ আঙুলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, স্বাধীনভাবে নাড়াতেও পারি। যেন হারানো ডান হাতটিই আবার ফিরে পেয়েছি।’প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও বসে নেই। আরও বুদ্ধিমান বায়োনিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরির গবেষণা চলছে তাদের অন্দরমহলে।বায়োনিক হাত নির্মাতা ব্রেইনকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্য সিইউচিন জানালেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মের বায়োনিক হাত শুধু সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়, এগুলো ফিডব্যাকও দেবে। ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে এই হাতের মাধ্যমে বিশ্বকে উপলব্ধি করতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। তারা এখন কারও সঙ্গে করমর্দনের সময়, হাতের তালু থেকে বের হওয়া উষ্ণতাও অনুভব করতে পারবে।’মোটকথা, সাধারণ খেলাধুলা হোক আর দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার অ্যাডভেঞ্চার—চীনা প্রযুক্তির উত্থানে প্রতিবন্ধীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন এক ছাদের তলায়, নতুন এক আলোকজ্জ্বল দিনের প্রত্যাশায়।এইচএ
    গুগল ফটোসে এআই আপনাকে যে সুবিধা দেবে
    বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আমাদের দৈনন্দিন কাজকে আরও সহজ এবং দ্রুত করে তুলেছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার গুগল তার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুগল ফটোসে যুক্ত করতে চলেছে একাধিক শক্তিশালী এআই ফিচার, যা ছবি এডিটিং-এর ধারণায় এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।গুগল ফটোস অ্যাপে আসা এই নতুন এআই-চালিত সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, ছবির ত্রুটি তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন করার ক্ষমতা। প্রায়শই আমরা পারিবারিক বা বিশেষ দিনের ছবিতে দেখি যে কেউ চোখ বন্ধ করে ফেলেছে, কারো মুখে হাসি নেই, বা কেউ ভুল করে সানগ্লাস পরে আছে। আগে এমন ছবি ঠিক করার জন্য বড় এবং জটিল সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতো। এখন ব্যবহারকারী সরাসরি গুগল ফটোসে গিয়ে শুধু মুখে কম্যান্ড দিলেই এআই নিজে থেকেই ছবিটি প্রাকৃতিকভাবে ঠিক করে দেবে।এই স্বয়ংক্রিয় সম্পাদনার জন্য কমান্ডগুলি হবে খুবই সহজ, যেমন— ‘হেল্প মি এডিট’ → ‘রিমুভ সানগ্লাসেস’ বা ‘ওপেন মাই আইস’ অথবা ‘এডিটেড স্মাইল’। এআই এই কমান্ড অনুযায়ী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ছবিটিকে নিখুঁত করে তুলবে।এর ফলে নতুন করে ছবি তোলার দরকার পড়বে না এবং বিশেষ মুহূর্তের ছবিগুলিকে সহজেই পারফেক্ট করে তোলা সম্ভব হবে।এছাড়াও, গুগলের নিজস্ব এবং জনপ্রিয় ইমেজ জেনারেটর ‘ন্যানো বানানা’ এখন সরাসরি গুগল ফটোস অ্যাপের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই এআই টুলটি কয়েক মুহূর্তের মধ্যে যে কোনো সাধারণ ছবিকে সম্পূর্ণ নতুন স্টাইল বা থিমে সাজিয়ে দেবে।এর সুবিধা হলো, কোনো আলাদা সফটওয়্যার বা ডিজাইন দক্ষতা ছাড়াই সাধারণ ছবি থেকে অসাধারণ কাল্পনিক ইমেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তৈরি করা যাবে।আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল নিয়ে এসেছে ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ এডিটিং’ সুবিধা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী মুখে কমান্ড দিলেই এআই ছবি এডিট করে দেবে। একই সঙ্গে, নতুন একটি ফটো এডিটর ইন্টারফেস আনা হয়েছে, যেখানে টাচ বা জেসচারের মাধ্যমেও পরিবর্তন আনা যাবে। ফলে যারা এডিটিংয়ে ততটা অভ্যস্ত নন, তারাও সহজেই ছবিকে নিজেদের পছন্দমতো সাজিয়ে নিতে পারবেন।এই নতুন ফিচারগুলি নিঃসন্দেহে গুগল ফটোস ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।এইচএ
    ফেসবুক অ্যাপে বড় পরিবর্তন
    মেটা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুক এবার তার মূল উদ্দেশ্যগুলোতে ফিরে আসছে বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, ছবি শেয়ার এবং মার্কেটপ্লেস। বেশ কিছু বছর মেটাভার্সে মনোনিবেশ করার পর, এবার খরচ কমানো এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহ ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে তারা নতুন করে ফেসবুকের অভিজ্ঞতা পরিবর্তন করছে।বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অগণিত হলেও, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু বাজারে তরুণ ব্যবহারকারীর প্রবৃদ্ধি থেমে গিয়েছিল। তাই জেন–জেড প্রজন্মকে ধরে রাখার জন্য ফেসবুক নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মার্কেটপ্লেসের গুরুত্ব বৃদ্ধি। মার্কেটপ্লেস এখন তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু আগে এটি অ্যাপের ‘More’ মেনুর ভিতরে ছিল। নতুন আপডেটে মার্কেটপ্লেসকে নিচের নেভিগেশন বারে তুলে আনা হয়েছে, যেখানে থাকবে রিলস ও বন্ধু সংক্রান্ত অপশন।ফেসবুকে বন্ধুত্ব-কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা আরও জোরদার করতে প্রোফাইল ট্যাব আগের অবস্থানে রাখা হয়েছে এবং ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারবে। ছবি দেখার ধরনও বদলানো হয়েছে—ডাবল ট্যাপ করে ইনস্টাগ্রামের মতো লাইক করা যাবে এবং ছবিগুলো একটি গ্রিডে সাজানো হবে, ক্লিক করলে ফুল স্ক্রিনে দেখা যাবে। সার্চ পেজেও ইন্টারেকটিভ গ্রিড ডিজাইন যোগ করা হচ্ছে, যাতে ছবি ও ভিডিও আরও গভীরভাবে দেখা যাবে। স্টোরি ও পোস্ট তৈরি করাও সহজ হচ্ছে, মিউজিক যোগ করা এবং বন্ধু ট্যাগ করার সুবিধা সামনে আনা হয়েছে।কমেন্ট সেকশনেও নতুন ফিচার এসেছে, যেমন সহজ রিপ্লাই, বেশি দৃশ্যমান ব্যাজ, পিনিং টুল এবং মডারেশন টুল উন্নত করা হয়েছে। বিরক্তিকর মন্তব্য অ্যানোনিমাস রিপোর্ট করার সুবিধাও দেয়া হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ফিডে কোন পোস্ট পছন্দ না হলে তার কারণ জানাতে পারবে, যা ফিডকে আরও ব্যক্তিগতকৃত করবে।সবশেষে, ফেসবুকে প্রোফাইলে আগ্রহ, শখ, ভ্রমণ তথ্যসহ নানা তথ্য যোগ করা যাবে, যা মিল থাকা বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবে। তবে এই তথ্য ফিডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে না; ব্যবহারকারী চাইলে বন্ধ করতে পারবে।পরিবর্তনগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহে সারা বিশ্বে চালু হবে, যদিও নেভিগেশন, সার্চ ও কমেন্ট সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন শুধুমাত্র মোবাইল সংস্করণে দেখা যাবে। ফেসবুকের এই নতুন দিকনির্দেশনা মূলত ব্যবহারকারীর বন্ধুত্ব এবং যোগাযোগকে সহজ ও আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।এইচএ
    আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
    আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এ অবস্থায় মজুত ও পাইপলাইনে থাকা আনঅফিসিয়াল বিক্রি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অননঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির জন্য বিক্রেতারা মার্চ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। অর্থাৎ মার্চ পর্যন্ত আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা নিবন্ধিত হবে। এসব ফোন বন্ধ হবে না। মার্চ মাসের পর থেকে আর আনঅফিসিয়াল ফোন বিক্রির আরও কোনো সুযোগ থাকবে না।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে হ্যান্ডসেট উৎপাদক, বিটিআরসি ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের মধ্যে হওয়া বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম।এ বিষয়ে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন বলেও জানান তিনি। এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে এনইআইআর সিস্টেম সংস্কারের দাবিতে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।মোবাইল ফোন বিক্রেতাদের আন্দোলন বিষয়ে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যহারের বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে।আরডি
    চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে পড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা
    শিক্ষা ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে থাকায় এক নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের জন্য এআই ব্যবহার করে কোর্স ও লেকচার তৈরি করা হচ্ছে।শিক্ষার্থীদের দাবি, এআই দিয়ে তৈরি এসব কোর্সে সন্দেহজনক ফাইলের নাম ও অপ্রত্যাশিত ভয়েসওভার উচ্চারণ শোনা যাচ্ছে, যা পড়াশোনার মান কমিয়ে দিচ্ছে। তাদের মতে, কোর্সের বেশিরভাগ অংশ এআই-নির্ভর হওয়ায় তারা শিক্ষকের জ্ঞান ও পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেমস ও ওয়েনসহ ৪১ জন শিক্ষার্থী ২০২৪ সালে স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোডিং মডিউলের ওপর কোর্সে ভর্তি হন। এই কোর্সের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বা সফটওয়্যার প্রকৌশলী হওয়ার কৌশল শেখানো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, পুরো এক টার্ম ধরে কোর্সটিতে এআই দিয়ে তৈরি স্লাইড ও মাঝে মাঝে একটি এআই ভয়েসওভার ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এটিকে তাদের জীবনের দুই বছর নষ্ট করার শামিল বলে অভিযোগ করেছেন এবং এর মাধ্যমে সবচেয়ে সস্তা উপায়ে কোর্স তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করছেন। শিক্ষার্থীদের প্রধান ক্ষোভের কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিমুখী নীতি। শিক্ষার্থীদের যদি তাদের বাড়ির কাজ বা ক্লাসে এআই ব্যবহার করতে দেখা যায়, তবে তাদের নীতি লঙ্ঘনে অভিযুক্ত করা হয় এবং একাডেমিক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। অথচ তাদেরই এআই দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এক অধ্যাপকের সঙ্গে বিতর্কের সময় শিক্ষার্থী জেমস এই অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেন।বারবার বিশ্ববিদ্যালয়কে এআই-নির্ভর লেকচার সম্পর্কে জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ এখনো কোর্স শেখানোর জন্য এআই দিয়ে তৈরি সামগ্রী ব্যবহার করছে এবং একটি বিবৃতির মাধ্যমে এআই ব্যবহারের ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।যুক্তরাজ্যের শিক্ষা বিভাগ এআই ব্যবহারকে শিক্ষার উন্নয়নে স্বাগত জানালেও, শিক্ষকদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য এটি হতাশাজনক হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। একটি জরিপে দেখা গেছে, তিন হাজার ২৮৭ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ তাদের শিক্ষাদানে এআই টুল ব্যবহার করছেন।অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে এআই ব্যবহারকারী অধ্যাপকদের সম্পর্কে নেতিবাচক রিভিউ পোস্ট করে অভিযোগ করছেন যে শিক্ষকেরা চ্যাটজিপিটি থেকে কপি-পেস্ট করে এনে পড়াচ্ছেন।স্ট্যাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা শিক্ষা ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার ও নৈতিকতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ানএইচএ

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    সংবিধান পরিবর্তনকে হুমকি নয়, গণতান্ত্রিক সত্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
    সংবিধান পরিবর্তনকে হুমকি হিসেবে নয়, বিচার বিভাগকে তা গণতান্ত্রিক সত্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া বিদায় সংবর্ধনায় তিনি একথা বলেন।সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা একসঙ্গে দেশের বিচারিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করেছি। গত ষোল মাসে আপনারা যে সহযোগিতা আমাকে করেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হয় তিনটি প্রধান অঙ্গের মাধ্যমে। সেগুলো হচ্ছে— আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ। তাই এই প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট ভবন কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি নাগরিক জীবনের তিনটি ভিত্তির একটি।প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জনগণের সংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে, তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানকে পরিবর্তন করতে পারে। বিচার বিভাগকে এটা হুমকি হিসেবে নয়, গণতান্ত্রিক সত্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।তিনি বলেন, বিচার বিভাগের শক্তি কোনো একক পদে নয়, বরং এটি ন্যায়, ভারসাম্য ও দূরদর্শিতার সঙ্গে সেবা দেওয়ার সম্মিলিত সংকল্পের এক প্রয়াস। আমরা সাধারণত রায়ের কৃতিত্ব বিচারকদের দিই। কিন্তু সেই রায়ের ভাষা, যুক্তি ও কাঠামো তৈরি করেন (আইনজীবী) আপনারা।এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, অস্থির এই বিশ্বে বিচার বিভাগের স্থিরতা, সংযম, সততা ও সাহসই জাতির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্থিতিশীলতার উৎস হতে পারে।আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের কর্মময় জীবন নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন। বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন। ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াডাম কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে আইন শাস্ত্রের ডিগ্রি পেয়েছিলেন। পরে মাস্টার্স ও পিএইচডি করেন যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। সৈয়দ রেফাত আহমেদ অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করেছেন।সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতে এবং ১৯৮৬ সালে হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হন। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হন। এর দুই বছর পর তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন।সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশের প্রথিতযশা আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ ও ড. সুফিয়া আহমেদের ছেলে। ইশতিয়াক আহমেদ দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৈয়দ রেফাত আহমেদের মা ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুফিয়া আহমেদ বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন।এইচএ

    প্রবাস

    সব দেখুন
    মালয়েশিয়ার অভিযানে ৭২ বাংলাদেশিসহ আটক ৪০২ জন
    মালয়েশিয়ার ২ রাজ্যে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে ৭২ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৪০২ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, জোহর বাহরুর তেব্রাউ শিল্প এলাকায় একটি কম্পিউটার যন্ত্রাংশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩৫৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই অভিযানে পরিকল্পিতভাবে অবৈধ প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগের তথ্যের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহদ রুসদি মোহদ দারুস জানান, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)-এর সহযোগিতায় জেআইএম জোহরের এনফোর্সমেন্ট শাখা অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযানে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক বিদেশি বৈধ ভ্রমণ নথি ও পারমিট ছাড়াই সেখানে কাজ করছিলেন।তিনি বলেন, অভিযানের সময় কয়েকজন বিদেশি পালানোর চেষ্টা করলেও সব বহির্গমন পথ দ্রুত বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তদন্তে সহায়তার জন্য কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের দুইজন স্থানীয় পুরুষ কর্মীকেও আটক করা হয়েছে।যাচাইয়ে দেখা যায়, আটকদের মধ্যে ২৯৯ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন ভারতীয়, তিনজন ইন্দোনেশীয়, দুইজন নেপালি এবং একজন করে পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে।দাতুক মোহদ রুসদি আরও জানান, কারখানাটিতে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সুসংগঠিত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগসংক্রান্ত শর্ত ভঙ্গও অন্তর্ভুক্ত। আটক সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ ও ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩-এর আওতায় সন্দেহভাজন হিসেবে সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, অবৈধ শ্রমিক নিয়োগ করে যারা মুনাফা অর্জন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো আপস করা হবে না। জোহরজুড়ে ধারাবাহিক ও সমন্বিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ নিয়োগচক্র ভেঙে দেওয়া হবে।এদিকে নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের নিলাই এলাকায় একটি লৌহ কারখানায় পরিচালিত পৃথক অভিযানে ৪৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটক সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরিচালিত অভিযানে ২৬ জন জেআইএম কর্মকর্তা অংশ নেন। এ সময় মোট ১১৭ জন যাচাই-বাছাই পরীক্ষা করা হয় এবং তাদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সী ৪৬ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়।অভিযানে সেরেমবান সিটি কাউন্সিলের ১৯ জন সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অভিযান শেষ হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।কেনিথ তান বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে বৈধ পাস ও ভ্রমণ নথি না থাকা, নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থানসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। এসব অপরাধ ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩-এর আওতায় পড়ে।আটকদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পিএটিআই সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।এদিকে সংশ্লিষ্ট পিএটিআইদের নিয়োগকারী মালিকপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ৫৫ই(১) ধারায় অবৈধ কর্মী নিয়োগ বা আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।এইচএ

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    বিয়ের পর মানুষ কেন বদলে যায়? মনোবিজ্ঞান যা বলে
    বিয়ে এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে প্রতিদিন একজন মানুষের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। বিয়ের আগে যে মানুষটি খুব হাসিখুশি ছিল, বিয়ের পর সে চুপচাপ হয়ে গেছে এমন অভিযোগ আমরা প্রায়ই শুনি। কেউ বলেন, দায়িত্ব মানুষকে বদলে দেয়। কেউ বলেন, ভালোবাসা ফুরিয়ে গেলে মানুষ বদলায়। আবার কেউ সরাসরি বলেন, “বিয়ের পর সবাই বদলে যায়।” কিন্তু প্রশ্ন হলো বিয়েই কি মানুষকে বদলে দেয়, নাকি বিয়ের পর জীবনের চাপ আমাদের আসল রূপটা সামনে নিয়ে আসে?ব্যক্তিত্ব কি সত্যিই বদলায়মনোবিজ্ঞান বলছে, মানুষের ব্যক্তিত্ব কোনও স্থির বিষয় নয়। শৈশব, জিন এবং পরিবেশ মিলেই আমাদের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ব্যক্তিত্ব মোটামুটি স্থায়ী হয়ে যায়, তবুও জীবনের বড় কোনও ঘটনা যেমন বিয়ে মানুষের আচরণ ও মানসিক গঠনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনতে পারে।বিয়ে এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে প্রতিদিন একজন মানুষের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। নিজের ইচ্ছা, সময়, অভ্যাস সবকিছুর সঙ্গে আরেকজনের চাহিদা জড়িয়ে যায়। এই প্রতিদিনের সমঝোতা, দায়িত্ব আর প্রত্যাশাই মানুষের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তনের সূচনা করে।মনোবিজ্ঞানের ‘বিগ ফাইভ’ তত্ত্ব বিয়ের পরে কোনও পরিবর্তন আসে কি না সে বিষয়টি বোঝার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার মনোবিজ্ঞানী জাস্টিন ল্যাভনার ও তার সহকর্মীরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। তারা ১৬৯টি দম্পতিকে বিয়ের ৬ মাস, ১২ মাস এবং ১৮ মাস পর প্রশ্নমালার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন। এতে দাম্পত্য সন্তুষ্টি ও ব্যক্তিত্ব দুই বিষয়ই পরিমাপ করা হয়।গবেষণাটি করা হয় মনোবিজ্ঞানের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ‘বিগ ফাইভ’ ব্যক্তিত্ব তত্ত্বের ভিত্তিতে। এই তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষের ব্যক্তিত্ব পাঁচটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে তৈরি নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ, দায়িত্ববোধ, সামাজিকতা, অন্যের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা এবং আবেগগত স্থিরতা।গবেষণায় দেখা যায়, বিয়ের পর অনেক নারীর ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে আসে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সংসারজীবনের নিয়মিত রুটিনকে মেনে নেয়ার ফল। প্রতিদিনের কাজ, দায়িত্ব ও সময়সূচির ভেতর দিয়ে চলতে গিয়ে নতুন কিছু করার জায়গা কমে যায়। বিয়ের পর অনেক নারীর ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে আসে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সংসারজীবনের নিয়মিত রুটিনকে মেনে নেয়ার ফল।  ছবি: এআই দিয়ে তৈরিবিয়ের পর অনেক নারীর ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতার প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে আসে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সংসারজীবনের নিয়মিত রুটিনকে মেনে নেয়ার ফল। ছবি: এআই দিয়ে তৈরিঅন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে বাড়তে দেখা যায়। সময়মতো কাজ করা, সংসারের খরচ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এই বিষয়গুলো পুরুষদের আগের চেয়ে বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলে। অনেক পুরুষই বিয়ের পর বুঝতে পারেন, শুধু ভালোবাসা নয়, নির্ভরযোগ্য হওয়াটাও সম্পর্কের বড় অংশ।সামাজিকতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ের পর অনেক পুরুষ ধীরে ধীরে কম মিশুক হয়ে ওঠেন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা বাইরে সময় কাটানোর বদলে পরিবারকেন্দ্রিক জীবন প্রাধান্য পায়। এটি একাকিত্ব নয়, বরং অগ্রাধিকার বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত।মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যেই এই গুণ কিছুটা কমে যায়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি চোখে পড়ে। তবে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি নেতিবাচক নয়। বরং অনেক নারী বিয়ের পর নিজের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে শেখেন, যা আত্মসম্মানের দিক থেকে ইতিবাচক। পুরুষদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে বাড়তে দেখা যায়। সময়মতো কাজ করা, সংসারের খরচ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এই বিষয়গুলো পুরুষদের আগের চেয়ে বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলে। ছবি: এআই দিয়ে তৈরিপুরুষদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্পষ্টভাবে বাড়তে দেখা যায়। সময়মতো কাজ করা, সংসারের খরচ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এই বিষয়গুলো পুরুষদের আগের চেয়ে বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলে। ছবি: এআই দিয়ে তৈরিসবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায় আবেগগত স্থিরতার ক্ষেত্রে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা বিয়ের পর মানসিকভাবে আগের চেয়ে বেশি স্থির হয়ে ওঠেন। নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের অনুভূতি তাদের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও সামান্য উন্নতি দেখা যায়।তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম্পত্য সন্তুষ্টি কিছুটা কমে আসে এটা গবেষণাতেও উঠে এসেছে। ১৮ মাসের মাথায় স্পষ্ট হয় যে ‘হানিমুন পর্ব’ শেষ। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এই পতন সমান নয়। যেসব স্বামী শুরু থেকেই নতুনত্বে আগ্রহী এবং যেসব স্ত্রী আবেগগতভাবে স্থিতিশীল, তাদের দাম্পত্য সন্তুষ্টি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।অনেকে মনে করেন, বয়স বাড়া, চাকরি, সন্তান জন্ম এসব কারণেই মানুষ বদলায়। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স, বিয়ে-পূর্ব সহবাস বা সন্তান হওয়া কোনোটিই এই পরিবর্তনের মূল কারণ নয়। বরং প্রতিদিন একজন মানুষের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে থাকার ধারাবাহিক চাপই এই পরিবর্তনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে।সবশেষে বলা যায়, বিয়ে মানুষকে বদলায় কিন্তু এই বদলে যাওয়া মানেই খারাপ হয়ে যাওয়া নয়। এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই মানুষ শিখে নেয় কীভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়। ভালোবাসা শুধু অনুভূতির বিষয় নয়, এটি এক ধরনের মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। যে দম্পতিরা একে অপরের পরিবর্তনকে বুঝতে ও গ্রহণ করতে পারেন, তাঁদের সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে শান্ত ও স্থায়ী হয়।সূত্র : সাইকোলজি টুডে এবি 

    Loading…