এইমাত্র
  • পিছিয়ে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা
  • ববি ছাত্রদলের প্রথম কাউন্সিল: তিন পদে লড়বেন ১০ প্রার্থী
  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি, বিলম্ব হচ্ছে খালেদা জিয়ার লন্ডন গমন
  • ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
  • হঠাৎ বদলির আদেশ, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
  • দেশের উদ্দেশে লন্ডন বিমানবন্দরে জুবাইদা রহমান
  • আন্দোলনরত প্রাথমিকের ৪২ শিক্ষক নেতাকে অন্য জেলায় বদলি
  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিলম্বিত, আগামীকাল দেশে আসছেন জুবাইদা রহমান
  • অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন: পুতিনকে ঘিরে থাকে যে ‘ছায়াবাহিনী’
  • সুরঙ্গে আটকা ৪০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
  • আজ শুক্রবার, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে দেশে আসছেন পুত্রবধু জুবাইদা রহমান। বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অবতরণ করার কথা রয়েছে।এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার) কিছু পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৩০২) তিনি লন্ডন ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে ডা.  জুবাইদা সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।এরপর এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যাওয়ার সূচি ঠিক করা হয়েছে।এর আগে গতকাল দুপুরে এক বিফ্রিংয়ে  ডা. জাহিদ মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে আবারও লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।আরইউ
    হঠাৎ বদলির আদেশ, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
    আগামী রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷ হঠাৎ বদলি আদেশ ও আন্দোলনের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান দেশের একটি অনলাইন পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা আজ সকালেই ডিজি ও সচিবের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে জানিয়েছিলাম যে, আন্দোলন চলমান থাকলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যেন আওতামুক্ত রাখতে চাই৷ পরে বিকেলে জানতে পারি, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যদি সকালে বৈঠক হয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার আয়োজন করব। কিন্তু বৈঠক না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপরও আমরা রোববার থেকে পরীক্ষা নেব। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান। তাদের ক্ষতি আমরা চাই না। দুই দিন পিছিয়ে গেছে, কিন্তু এতে শিক্ষাজীবন অচল হবে না।অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকরা অভিভাবকদের চাপে পড়েছেন। অনেকে উত্তেজিত হয়েছেন। কিন্তু বছরের পড়াশোনা শেষ। পরীক্ষা দুই দিন পর হলে বড় সমস্যা হতো না।তিনি আরও জানান, আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে, তবে পরীক্ষাকে আওতামুক্ত রাখা হবে।মাহবুবর রহমান বলেন, রোববার থেকে আমরা পরীক্ষা নেব। কর্মবিরতি চলবে, তবে অন্যান্য কর্মসূচি পরীক্ষার পর অব্যাহত থাকবে। বদলি চাকরিরই অংশ। তাই সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের থামানো যাবে না।এফএস

    জাতীয়

    সব দেখুন
    পিছিয়ে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা
    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা পিছিয়ে যাচ্ছে। কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার আসছে না। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি জানান, সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে। মির্জা ফখরুল আরও জানিয়েছেন, ‘ম্যাডামের শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রবিবার) ফ্লাই করবেন।বিস্তারিত আসছে.....ইখা
    খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাদ জুমা দেশব্যাপী দোয়া
    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আজ শুক্রবার বাদ জুমা সারাদেশে দোয়া ও প্রার্থনা আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সংস্থা-১ শাখা থেকে পত্র জারি করা হয়।চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সরকার তার আশু রোগমুক্তি কামনা করে শুক্রবার দেশের সব মসজিদে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া এবং সব মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় প্রার্থনা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এ অবস্থায় তার আশু রোগমুক্তি কামনা করে শুক্রবার দেশের সব মসজিদে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া এবং সুবিধামতো সময়ে সব মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় স্ব স্ব ধর্মমতে প্রার্থনা আয়োজনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।এ দোয়া ও প্রার্থনা আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিবদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হতে পারে আজ। সকাল ১০টার পর কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে লন্ডন নেওয়া হতে পারে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির সমস্যাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। সবশেষ গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। এ অবস্থায় গত ২৩ নভেম্বর তাকে জরুরিভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা জানান তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা আছে।এমআর-২
    এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি, বিলম্ব হচ্ছে খালেদা জিয়ার লন্ডন গমন
    উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু কারিগরি সমস্যার কারণে সেটি এখনও কাতার থেকে ছাড়েনি।বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, চেয়ারপারসনকে বহন করায় জন্য কাতার আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি সমস্যার কারণে যাত্রা বিলম্ব হবে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওয়ানার দেয়নি। ফলে, সেটি কখন কাতার থেকে ছেড়ে আসবে, তা এখনও জানা যায়নি।এর আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কাতার সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সম্মত হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে কাতার সিভিল এভিয়েশন অথবা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) লিখিত আকারে জানিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অবতরণের শিডিউল জানাবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্যতম এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন তাকে লন্ডন নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।আরইউ
    ঢাকার পথে ডা. জুবাইদা রহমান
    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে দেশে আসছেন পুত্রবধু জুবাইদা রহমান। বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অবতরণ করার কথা রয়েছে।এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার) কিছু পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৩০২) তিনি লন্ডন ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে ডা.  জুবাইদা সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।এরপর এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যাওয়ার সূচি ঠিক করা হয়েছে।এর আগে গতকাল দুপুরে এক বিফ্রিংয়ে  ডা. জাহিদ মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে আবারও লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।আরইউ
    দেশের উদ্দেশে লন্ডন বিমানবন্দরে জুবাইদা রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে লন্ডন বিএনপির একাধিক সূত্র।এরইমধ্যে তিনি লন্ডনে বিমানবন্দরে চেক ইন করেছেন এবং লন্ডনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফ্লাইট ছাড়বে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাংলাদেশে এসে পৌঁছবেন বলেও জানা গেছে।এদিকে, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপির প্রেস উইং।এফএস
    এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিলম্বিত, আগামীকাল দেশে আসছেন জুবাইদা রহমান
    ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’ দেখা দেয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাতে বিলম্বিত হতে পারে। এদিকে লন্ডন সময় আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহন করার জন্য কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কারিগরি সমস্যার কারণে যাত্রা বিলম্ব হবে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাতার থেকে উড্ডয়নের পর আপনাদের জানানো হবে। এদিকে সকাল সাড়ে নয়টায় ঢাকায় পৌঁছে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন জুবাইদা রহমান। এরপরে শাশুড়ি বেগম জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। এই পুরো প্রক্রিয়া মিলিয়ে খালেদা জিয়ার লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিতে সকাল ১০টা পার হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র। এফএস
    খালেদা জিয়াকে ভোরে লন্ডনে নেওয়া হবে
    রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোর ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে লন্ডনে নেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপির দলীয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ভোরে বেগম জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।এফএস
    পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন
    পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। রিজওয়ানা হাসান বলেন, পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠন করার অধ্যাদেশটা পাস করা হয়েছে। এই কমিশনের প্রধান থাকবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন—এমন গ্রেড ওয়ানের নিচে না এরকম কোনও সরকারি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক গ্রেড ওয়ানের নিচে নয়, এমন কোন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, তিনি কর্মরত হতে পারেন, অবসরপ্রাপ্ত হতে পারেন, মানবাধিকার এবং সুশাসন বিষয়ে কাজ করেছে অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তি এই কমিশনের সদস্য হবে। এই পুলিশ কমিশন গঠনের আমাদের উদ্দেশ্যটা হচ্ছে পুলিশকে জনবান্ধব, জনমুখী করা। এই কমিশন সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। পুলিশ যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে, সেই ব্যাপারে কী কী করণীয় সে বিষয়ে এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ প্রদান করবে। পুলিশ যাতে মানবাধিকার সংবেদনশীল হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—এগুলো তারা চিহ্নিত করবে।তিনি আরও বলেন, এই কমিশনের আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে—এক. নাগরিকদের যে অভিযোগগুলো থাকবে পুলিশের ব্যাপারে, সেগুলোর তদন্ত নিষ্পত্তি করা। দুই. পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। এই হচ্ছে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের মূল ফিচার। এখানে পুলিশ এই কমিশনের যে কাজগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে, পুলিশ কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনয়ন, শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংকট নিরসন, পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কল্যাণমূলক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সরকারকে সুপারিশ দেওয়া। আর পুলিশ সংক্রান্ত যেসব আইন গবেষণা করতে হবে সেগুলোর বিষয়েও সরকারকে সুপারিশ প্রদান করা।এমআর-২

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    জুবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসছেন। তাকে গ্রহণ করার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ডা. জুবাইদা রহমানের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গাড়িবহরে থাকা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘বিমান আসতে এক ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে। এ কারণে ডা. জোবাইদা রহমান ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছাবেন।’এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সকালে দেশে ফেরার পর কিছু সময় বিরতি নিয়ে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন জুবাইদা। মূলত কারিগরি ত্রুটির কারণে খালেদা জিয়াকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকায় আসতে বিলম্ব করছে।এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়েছেন। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি দেশে অবতরণ করলে তারা সেটিকে ইনস্পেকশন করবেন। তাদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের পর খালেদা জিয়াকে মেডিক্যাল হেলিকপ্টারে করে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হবে।এসএম
    জুবাইদা রহমানকে নিতে বিমানবন্দরে পৌঁছেছে গাড়িবহর
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসছেন। তাকে গ্রহণ করার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ডা. জুবাইদা রহমানের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গাড়িবহরে থাকা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘বিমান আসতে এক ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে। এ কারণে ডা. জোবাইদা রহমান ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছাবেন।’এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সকালে দেশে ফেরার পর কিছু সময় বিরতি নিয়ে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন জুবাইদা। মূলত কারিগরি ত্রুটির কারণে খালেদা জিয়াকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকায় আসতে বিলম্ব করছে।এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্যরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়েছেন। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি দেশে অবতরণ করলে তারা সেটিকে ইনস্পেকশন করবেন। তাদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের পর খালেদা জিয়াকে মেডিক্যাল হেলিকপ্টারে করে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরে নেওয়া হবে।এসএম
    ‘অনিবার্য কারণ ছাড়া নির্বাচন বিলম্বিত হোক বিএনপি চায় না’
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেছেন, অনিবার্য কারণ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হোক, সেটা চায় না বিএনপি। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ঘোষিত সময়েই নির্বাচন দলটি।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। রাজনৈতিক সংকট ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার এই সময়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় আছি। অনিবার্য কোনো কারণ ছাড়া আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে যেতে চাই না। আমরা ১৫ বছর থেকে নির্বাচন চাচ্ছি। জনগণের ভোটের অধিকার আমরা ফিরিয়ে দিতে চাই এবং যথাসময়ে নির্বাচন হবে, তা আমরা চাই।তিনি বলেন, আগে শুধু সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট হতো এবং সেখানে ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ থাকত। এবার একসঙ্গে সংসদ ও গণভোট দুটো ভোটের ব্যালটে ভোট দিতে হবে। এর জন্য সময় বেশি লাগবে। এজন্য আমরা বলেছি, যাতে কোনো ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। তারা বলেছে, আগামী রোববার (৭ নভেম্বর) তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যালট পেপার সরকারি প্রেস থেকে ছাপানো হয়। এবার আমরা শুনতে পেয়েছিলাম যে প্রাইভেট প্রেসে ছাপানো হতে পারে। এজন্য আমরা বলেছি, ব্যালট পেপার যাতে কোনো প্রাইভেট প্রেসে ছাপানো না হয়। কমিশন বলেছে, সরকারি প্রেস থেকেই ব্যালট ছাপানো হবে।তিনি আরও বলেন, পাসপোর্টকে বিবেচনায় নিয়ে যাতে প্রবাসীদের ভোটার করা হয়। আমরা চাই আরও বেশি বেশি প্রবাসী ভোটার হোক। সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠককালে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।এমআর-২
    দ্বিতীয় দফায়ও বিএনপির মনোনয়ন পেলেন না রুমিন ফারহানা
    আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে প্রাথমিকভাবে ২৩৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আরও ৩৬ আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে এবারও তালিকায় নেই বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।আজ বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন তালিকা থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ পর্যন্ত দলটি মোট ২৭২ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এখনও ফাঁকা আছে ২৮টি।এদিকে রুমিন ফারহানা প্রার্থী তালিকায় না থাকলেও তার জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে বিএনপি এখনও প্রার্থী দেয়নি। এছাড়া প্রথম দফায় ২৩৭ আসনে ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় ছিলেন মাদারীপুর-১ আসন থেকে কামাল জামান মোল্লা। পরে তার প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়। এবার সে আসনে নাদিরা আক্তারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।   দলীয় সূত্রমতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান রুমিন ফারহানা। তার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত সরকারের আমলে গঠিত বিজয়নগর উপজেলাটি একসময় ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অধীন। তখন এলাকাটি ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-সদরের একাংশ) আসনের অন্তর্গত। বতর্মানে পুরো বিজয়নগর উপজেলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে রুমিন ফারহানার বাবা অলি আহাদ নৌকার প্রার্থী তাহের উদ্দিন ঠাকুরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তখন তাহের উদ্দিন ঠাকুর নির্বাচিত হয়েছিলেন।এমআর-২
    শুক্রবার সকালে দেশে আসছেন জুবাইদা রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে রওনা হয়ে আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন।এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর অথবা আগামীকাল শুক্রবার ভোরে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে তাকে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।ফলে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা গেলে জুবাইদা রহমান পৌঁছানোর আগেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবে একটি দল।আর এই দলে থাকবেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী শামিলা রহমান, কয়েকজন চিকিৎসক ও ব্যক্তিগত সহকারী।জুবাইদা রহমান আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন।মাহদী লিখেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দেশবাসীর অনিঃশেষ দোয়া-আন্তরিকতা ও কূটনীতিকদের সহযোগিতায় তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অগ্রগতি হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। উন্নত ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ম্যাডামকে অতি শিগগির লন্ডনের হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।’‘এই চিকিৎসা-প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ডা. জোবাইদা রহমান, যিনি লন্ডন থেকে সার্বিক সমন্বয় করে যাচ্ছেন। তিনি আজই দেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে কাল সকালে ঢাকা পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন, যেন সঙ্গে থেকে দেশনেত্রীকে কাতারের অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন নিয়ে যেতে পারেন।’‘তবে তার আগেই যদি ফ্লাইট ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিবেচনায় লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিল এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন। ম্যাডামের পুত্রবধূ শামিলা রহমান, কয়েকজন চিকিৎসক ও পার্সোনাল স্টাফও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সার্বক্ষণিক পাশে থাকবেন বলে জানা গেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রক্রিয়ার প্রতিটি বিষয় সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন তারেক রহমান।’নভেম্বরের ২৩ তারিখে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।সবশেষ কিডনি, হৃদরোগ এবং নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এর মধ্যে তার চিকিৎসায় দেশি, বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত এই বোর্ডের অন্যতম সদস্য জুবাইদা রহমান।এমআর-২
    খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২ গৃহকর্মীসহ লন্ডনে যাচ্ছেন যারা
    সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ মধ্যরাত বা কাল সকালের মধ্যেই উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেয়া হবে। তার সঙ্গে থাকবেন চিকিৎসক, দলের নেতা ও ঘনিষ্ঠ সহকর্মীসহ মোট ১৪ জন।আজ বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সফরে থাকা ১৪ জনের মধ্যে রয়েছেন— পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), আব্দুল হাই মল্লিক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী), মাসুদুর রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি), ফাতেমা বেগম (গৃহকর্মী) এবং রুপা শিকদার (গৃহকর্মী)।ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বেগম খালেদা জিয়াকে আজ মধ্যরাতের পরে অথবা আগামীকাল সকালের মধ্যে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা সেখানে তার চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছি।এইচএ
    মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন কামরুজ্জামান রতন
    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ঘোষণার দ্বিতীয় দফায় মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর-গজারিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। দীর্ঘদিনের নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তাকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দলটি।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন ৩৬টি আসনের প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।ঘোষণার সময় মির্জা ফখরুল জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর-গজারিয়া) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কামরুজ্জামান রতন। এর মাধ্যমে এ আসনের প্রার্থী নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তারও অবসান হলো।এর আগে ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে নিজেদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি।এসকে/আরআই
    বিএনপিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন পেলেন রেজা কিবরিয়া
    বিএনপিতে যোগ দিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হয়ে হবিগঞ্জ-১ আসনে (নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলা) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন তিনি।বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হবিগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে রেজা কিবরিয়ার নাম ঘোষণা করেন।গত শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন রেজা কিবরিয়া। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।২০১৮ সালের নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে হবিগঞ্জ-১ আসনে (বাহুবল-নবীনগর) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন।এমআর-২

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
    প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫ এর চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করেছেন। এর ফলে মিরপুর সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং নিউমার্কেটসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা মিরপুর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আজিমপুর মোড় ঘুরে কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। এতে বিপাকে পড়েছেন কর্মস্থলে যাওয়ার মানুষ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তিন দফা আলোচনা হলেও অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এতে প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।ইখা
    খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কাকরাইলে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে কাকরাইল সার্কিট হাউস জামে মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাদ এশার নামাজের পর এই দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম।দোয়া মাহফিলে মসজিদের ইমাম হাফেজ কামরুজ্জামান খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে কোরআন শরীফ খতম করা হাফেজদের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দোয়া মাহফিলে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীবৃন্দ ও স্থানীয় মুসল্লিগণ।দোয়া মাহফিল ও কোরআন খতম আয়োজনের বিষয়ে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তিনি যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করে আমাদের মাঝে ফিরে এসে আবার তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে গড়ে তুলতে পারেন সেজন্যই আজকের এই আয়োজন।’ছাত্রদলের এই নেতা আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় আছেন। তার সুস্থতা দেশের ও দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরী। আল্লাহ যেন ওনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করেন সেই প্রত্যাশা আমাদের।’ইখা
    জকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ স্থগিত
    ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) জকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর ক্যাম্পাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় জকসু নির্বাচন ২০২৫-এর তফসিলের ক্রম-১২ অনুযায়ী আজ (০৩ ডিসেম্বর) নির্ধারিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের নতুন সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।ইখা
    রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তা জোরদার
    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাত থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে দেখা গেছে, এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের দুই পাশে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাইরে অন্য কাউকে সেখানে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, সোমবার রাত ২টার দিকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পাশাপাশি আশপাশে কাউকে ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না।হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে, হাসপাতালের আশপাশে ভিড় ঠেকাতে ও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ২৩ নভেম্বর জরুরি ভিত্তিতে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা রয়েছে।গত কয়েক দিনে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ–সমমানের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়। পরে রোববার ভোরে সেখান থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।সোমবার (০১ ডিসেম্বর) বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান জানান, ‘সিসিইউ থেকে আইসিইউ, আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশন- যাই বলি, ম্যাডাম বর্তমানে খুবই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। এ মুহূর্তে বলার মতো কিছু নেই। আমরা শুধু তার জন্য জাতির কাছে দোয়া চাই।’এমআর-২
    রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে মুদি দোকানের কর্মচারী নিহত
    রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রকি(২৫) নামে এক মুদি দোকানের কর্মচারী নিহত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সারে ৩টার দিকে কামরাঙ্গীরচর বড় গ্রাম মাতাব্বর বাজার, হারিকেন ফ্যাক্টরি আশরাফাবাদ হাই স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পৌনে ৫টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে পথচারী মোঃ রানা জানান, রাতে মাতবর বাজার আশরাফাবাদ হাইস্কুলের সামনে ওই যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে ছিল। দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। তবে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা দেখেননি তিনি।নিহত রকির বাবা আবু সাঈদ জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি গ্রামে। বর্তমান কামরাঙ্গিরচড় চেয়ারম্যান বাড়ি মোড় বড়গ্রাম এলাকায় থাকে। রকি একটি মুদি দোকানে কাজ করতো। ভোরে খবর পাই কে বা কারা রকিকে ছুরিকাঘাত করেছে, তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে রকির মরদেহ দেখতে পাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই যুবকের দুই পায়ের উড়ুতে ছুরিকাঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।এবি 
    কুষ্টিয়ায় চায়ের দোকানে কৃষককে গুলি করে হত্যা
    কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চায়ের দোকানে এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও দুজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর পচাভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত রফিক হোসেন (৫০) ওই এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে ও পেশায় তিনি একজন কৃষক। গুলিবিদ্ধরা হলেন—ওই এলাকার সিদ্দিক ফরাজীর ছেলে রবজেল (৪০) ও আহাদ ফরাজীর ছেলে ইউসুফ (৪২)। তারাও পেশায় কৃষক।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিনের কাজ শেষে রফিক হোসেন পচাভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত ওবায়দুলের চায়ের দোকানে চা পান করতে যান। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা ছয়জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পেটে গুলি লেগে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলির শব্দ শুনে ওই এলাকার রবজেল ও ইউসুফ দুর্বৃত্তদের পিছু নিলে তারা দুজনের দিকেও গুলি ছোড়ে। এতে তাদের পায়ে গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, দুর্বৃত্তদের গুলিতে রফিক হোসেন নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম মাঠে নেমেছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।এফএস
    চিত্রা নদীর তীরে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর লাশ
    নড়াইলের কালিয়ায় চিত্রা নদীর তীরে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশটি নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় কয়েকজন জেলে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের পিরোলীস্থান কবরস্থানের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে উপজেলার পিরোলীস্থান কবরস্থানসংলগ্ন চিত্রা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন জেলে। খবর পেয়ে কালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।পুলিশ জানায়, অন্যত্র থেকে নদীর স্রোতে ভেসে মরদেহটি এখানে এসে আটকে থাকতে পারে। মরদেহটির মুখ মাফলার দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল।ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।এনআই
    ‘টিউলিপে’ নতুন সম্ভাবনা
    শীতের আগমনী হাওয়ায় আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে ফুলের রাজ্য খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী ও পানিসারা অঞ্চল। মাঠে মাঠে রঙিন ফুলের চারা, কুয়াশা ভেদ করে ব্যস্ত চাষিরা ব্যস্ত চাষে, চারদিকে ছড়িয়ে আছে ফুলের গন্ধ আর উৎসবের আমেজ। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত যে মৌসুমকে বলা হয় ফুলের ভরা সময়, তার প্রস্তুুতি এখন পুরোদমে চলছে। সব মিলিয়ে শীতের শুরুতেই আবারও রঙে রঙে ভরে উঠছে গদখালী। মাঠজুড়ে ফুটতে শুরু করেছে নতুন আশার ফুল, যার মাঝে টিউলিপের পাপড়িও হয়তো লিখে দেবে বাংলাদেশের ফুলচাষে এক নতুন অধ্যায়।চাষিরা এখন সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত বীজতলা তৈরিতে, জমিতে সেচ ও পরিচর্যায়। আগাছা নিড়ানো, স্প্রে করা, মরা গাছ তুলে ফেলা সব মিলিয়ে ফুলের মৌসুমকে সামনে রেখে চলছে পরিশ্রমের প্রতিযোগিতা। কারণ, আসন্ন বিজয় দিবস, নববর্ষ, বসন্তবরণ ও ভালোবাসা ও শহীদ দিবসের বাজার ধরাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য।এবারের মৌসুমে গদখালীর মাঠে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা, জারবেরা, জিপসি ও চন্দ্রমল্লিকার পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে টিউলিপ চাষ করে চমক দেখিয়েছেন কয়েকজন চাষি।ফুলের রাজধানীখ্যাত গদখালী, নাভারন, পানিসারা ও মাগুরা ইউনিয়নের একাংশ বাণিজ্যিক ফুল চাষের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। দেশের বৃহত্তম ফুল উৎপাদক যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উৎপাদিত মানসম্মত ফুল বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে প্রতিদিনই সরবরাহ হয়। দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ ফুল সরবরাহ হয় গদখালী থেকে।এখানকার উৎপাদিত ফুল ইউরোপের পাঁচটি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। রং বেরঙের গোলাপ, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, রজনীগন্ধাসহ নানা জাতের ফুল রপ্তানি হয়ে থাকে। ফুল উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন এ গ্রামীণ জনপদের ফুল চাষিরা। নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী, কৃষিজীবী পরিবার ও জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ফুল চাষে। ফুলের উৎপাদন মৌসুম শুরুতে এ জনপদের ফুল চাষীদের নাওয়া খাওয়ার ফুরসৎ নেই, দিনরাত ফুলের ক্ষেত পরিচর্যার পাশাপাশি নতুন বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার ফুল চাষিরা।টিউলিপ চাষী ইসমাইল হোসেন জানান, টিউলিপ মূলত শীত প্রধান অঞ্চলের ফুল চাষে সাধারণত ৫ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। এমন আবহাওয়া বাংলাদেশে বিরল হলেও, গদখালীর অনুকূল মাটি ও শীতকালের হালকা ঠান্ডা এই ফুল চাষে আশাব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছে।এদিকে, ফুলের ভরা মৌসুম সামনে রেখে বাজারেও শুরু হয়েছে সরব প্রস্তুুতি। গদখালী ফুলবাজারে প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে কোটি টাকার ফুল। পাইকাররা আসছেন দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে। গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা দরে, রজনীগন্ধা ৬ টাকা, গ্লাডওলাস, ১২-১৫ টাকা, আর জারবেরা ১২-১৪ টাকায়।গদখালি ফুল চাষি কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘যশোর অঞ্চলে প্রায় ৭ হাজার ফুলচাষি ১২ শতাধিক হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করেন। দেশের মোট ফুলের চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগই সরবরাহ হয় এখান থেকে। চলতি বছরের গ্রীষ্মে অতিবৃষ্টি ও তীব্র গরমে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিদের মনে নতুন আশার আলো। তারা বলছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে এই মৌসুমে শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের নানা জাতের ফুল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।’স্থানীয় কৃষিবিদরা বলছেন, ‘দেশে বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষের সম্ভাবনা যাচাইয়ে গদখালী হতে পারে নতুন দিগন্তের সূচনা।’ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় বর্তমানে প্রায় ৬৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে। এখন এখানে বিদেশি কিছু ফুলও পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হচ্ছে। এই ফুলচাষের সঙ্গে প্রায় এক হাজার কৃষক এবং ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক সরাসরিযুক্ত। বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ফুলের লেনদেন হয় এই অঞ্চলে। কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছি, যাতে ফুলের বাগানের পরিধি দিন দিন আরও বাড়ে।’ইখা
    যশোরে ১০টি স্বর্ণেরবারসহ দুই পাচারকারী আটক
    যশোরের কোতোয়ালী থানার মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১০টি (এক কেজি ১৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের বারসহ দুই স্বর্ণপাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।আটক ফরিদুল ইসলাম (২৮) চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও মাহাফুজ আলম (৩১) ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার বাজিপোতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে যশোর ৪৯ বিজিবির একটি টহল দল কোতয়ালি থানার মুরাদনগর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফরিদুল ইসলাম ও মাহাফুজ আলমকে আটক করে। পরে তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের পকেটের মধ্যে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় এক কেজি ১৬৪ গ্রাম ওজনের ১০টি স্বর্ণের বার ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঢাকা থেকে যশোর ও চৌগাছা হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। তারা আরো জানায়, ঢাকার তাতিবাজার এলাকার চোরাকারবারীদের নিকট হতে স্বর্ণের বারগুলো সংগ্রহ করে যশোরের চৌগাছায় গমন করছিল। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য দুই কোটি ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৭২ টাকা। সব মিলিয়ে সিজারের মোট মূল্য দুই কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ২৪৪ টাকা।যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, কিছু দিন যাবত বাংলাদেশ হতে ভারতে স্বর্ণ পাচারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উক্ত স্বর্ণসহ পাচারকারী আটকের নিমিত্তে বিজিবি’র আভিযানিক কার্যক্রম ও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক করতে সক্ষম হচ্ছে। আটককৃত আসামি দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি‘র ওই কর্মকর্তা। এসআর
    আজ ৪ ডিসেম্বর জীবননগর মুক্ত দিবস
    আজ ৪ ডিসেম্বর। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর তুমুল প্রতিরোধের মুখে পাকহানাদার বাহিনী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর জীবননগর ছেড়ে ঝিনাইদহ অভিমুখে পালিয়ে যায়।জীবননগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দলুর উদ্দীন জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জীবননগরে পাকহানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর।এদিন ভোরে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কমান্ডার মেজর দত্ত ও ৮নং সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান প্রয়াত জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর তারা জীবননগর, দত্তনগর, সন্তোষপুর ও হাসাদহ গ্রামে পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিতভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী প্রচন্ড সম্মুখযুদ্ধের। এই যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা ঝিনাইদহের দিকে পালিয়ে যায়।এ সময় থানায় ফেলে যাওয়া পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন নারী ধর্ষণকারী ও অমানুষিক নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত মুনছুর আলীর ব্যবহৃত জিপ গাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আগুন ধরিয়ে দেন এবং থানার মালখানা থেকে উদ্ধার করেন পাশবিক নির্যাতনের পর সদ্য হত্যা করা ৭-৮ জনের অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর লাশ।এদিন স্বতঃস্ফূর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা জীবননগরের মাটিতে প্রথম উত্তোলন করে স্বাধীন বাংলার পতাকা। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রসুলকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মজিবর রহমানকে থানা ইনচার্জ করে বে-সামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়। সে দিনের সেই ৪ ডিসেম্বর জীবননগর মুক্ত দিবস হিসেবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আজও এ দিনটি পালন করে আসছে।এসআর
    তিতাসে ট্রলি উলটে একই পরিবারের ৩ নারী নিহত
    কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় ট্রলি উলটে নদীতে পড়ে একই পরিবারের তিন নারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি-রাজাপুর সড়কের তিতাস নদীতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- শুক্কুর আলীর স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫), ইমন মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তার (৩০) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী সামছুন নাহার (৪০)। এদের মধ্যে রুজিনা ও সামছুন নাহার আপন জা এবং রিনা আক্তার তাদের ভাগিনার স্ত্রী।  জানা যায়, নিহত তিন নারী তিতাস নদীতে গোসল করতে ছিলেন, এমন সময় রাজাপুর থেকে কড়িকান্দি বাজারগামী একটি খালি ট্রলি ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে এসে উলটে তিতাস নদীতে নারীদের ওপর পড়ে যায়, এতে ঘটনাস্থলেই রিনা ও রুজিনা মারা যান এবং সামছুন নাহারকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  এদিকে একই পরিবারের তিন নারীর মৃত্যুর খবর শুনে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ ঘটনা স্থলে এসে নারীদের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তিতাস থানা পুলিশ  ঘটনা স্থলে গিয়েছেন।   এনআই
    মনোনয়ন না পাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ
    চট্টগ্রাম-১৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমানের সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া সীমান্তবর্তী ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।বিক্ষোভ শেষে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ডাল ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক পুরোপুরি অবরোধ করে দেন। আকস্মিক এই অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী।জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। এ খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে মজিবুর রহমানের অনুসারীরা এ মশাল মিছিল বের করেন এবং মহাসড়কের আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান বলেন, তিনি বর্তমানে সাতকানিয়ার বাইরে অবস্থান করছেন। নাজমুল মোস্তফা আমিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে কিছু কর্মী-সমর্থক সড়ক অবরোধ করেছে বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান।এফএস
    ইসলামের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ আমাদের সবার। মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু ইসলামের বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভেদ সমাজকে ধ্বংস করে, আর ঐক্য জাতিকে শক্তিশালী করে তোলে।তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করছে। যদি দেশে দুর্নীতি বন্ধ করা যায় এবং সম্পদ বিদেশে পাচার রোধ করা যায়, তাহলে বাংলাদেশ আরও বহু দেশকে পেছনে ফেলতে পারবে। যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে তারা দেশপ্রেমিক নয়, আমরা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে কুমিল্লা আল কুরআন একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কারাগার সংস্কার ও কোরআন শিক্ষার প্রসারে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি জানান, তিনি দেশের দুটি বড় কারাগার পরিদর্শন করেছেন যেখানে বন্দীদের জন্য কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রে বর্তমানে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিনি বলেন, যদি তারা সাহাবায়ে কেরামদের জীবন পড়ে, তাদের মধ্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোরআনের আলোকে জীবন গঠন করতে হবে। কোরআন থেকে দূরে সরে গেলে প্রকৃত দেশপ্রেম অর্জন সম্ভব নয়। প্রকৃত দেশপ্রেমিক কখনো দেশের টাকা বিদেশে পাচার করবে না। তিনি জানান, খুব শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কারাগারগুলোতে লক্ষাধিক ধর্মীয় গ্রন্থ হস্তান্তর করা হবে।সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আলেম-ওলামাদের সামনে সুযোগ এসেছে নেতৃত্বে আসার। এবার ভুল করলে আরও ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে।এসময়, পাঁচ দেশের খ্যাতনামা ক্বারীদের তিলাওয়াতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল কুমিল্লা নগরী। আন্তর্জাতিক এই ক্বিরাত সম্মেলনে তিলাওয়াত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের ক্বারি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আযহারী, মিশরের শাইখ আহমাদ আল জাওহারী, পাকিস্তানের ক্বারি আনওয়ারুল হাসান শাহ বুখারী, ইরানের ক্বারি মাহদী গোলাম নেযাদ এবং ফিলিপাইনের ক্বারি মুহাম্মদ নাজীর আসগার। তাদের অপূর্ব তিলাওয়াতে মুগ্ধ হয়ে হাজারো মুসল্লি সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা আল কোরআন একাডেমির সভাপতি আলহাজ্ব মু. নূরুদ্দিন আহমদ। সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি ড. মুজাহিদুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তামিরুল উম্মাহ ট্রাস্টের সভাপতি কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইনসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কেএম এমদাদুল হক মামুন, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, এবিপার্টি কুমিল্লা জেলা সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ তৌফিক, অর্থ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ, গোমতী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মজিবুর রহমান, ভিক্টোরিয়া কলেজের জিএস সানাউল্লাহ মজুমদারসহ আরও অনেকে।সম্মেলনে ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। নারীদের জন্য কুমিল্লা হাই স্কুল মাঠে পৃথকভাবে অনুষ্ঠান উপভোগের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনকে ঘিরে কুমিল্লা নগরী ধর্মীয় আবেগ, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের বার্তায় এক অনন্য পরিবেশে রূপ নেয়।এনআই
    রায়পুরে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু
    লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে অটোরিকশার ধাক্কায় মো: ওমর হোসেন (৭) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে । বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব লাচ এলাকার নিউ কলোনি রোডে, লোকমান অফিসারের বাসার সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।নিহত  শিশু ওমর হোসেন  ওই এলাকার সোহাগ হোসেন ও ফাতেমা বেগমের ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানা যায়,  শিশু ওমর হোসেন বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর দ্রুতগতির একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগলে  গুরুতর আহত হয় ওমর হোসেন । পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান , নতুন বাজার থেকে খেজুরতলা পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থার  জন্য  এই পথে যান চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা । এতে করে স্মার্ট স্কুলের পেছনের  সড়কটি তুলনামূলক ভালো হওয়ায় সড়কটি  দিয়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করে  এবং এর ফলে  দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়েছে অধিকহারে । এরই ধারাবাহিকতায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে  স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন  ।শিশু ওমর হোসেনের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।  ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গাছ ফেলে সাময়িকভাবে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন এবং দ্রুত সড়ক সংস্কার ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।এবিষয়ে  রায়পুর থানা পুলিশ  বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানানো হয়  । এনআই
    পানছড়িতে বিজিবির টিউবওয়েল ও কৃষি সহায়তা বিতরণ
    ‎‎পার্বত্য এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড (বিজিবি) দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ির পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) ও লোগাং জোন কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জীবনমান উন্নয়নমূলক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।‎বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জোনের আওতাধীন শান্তিনগর বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ত্রিপুরাপাড়া এলাকায় মোট ০২টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। এতে দীর্ঘদিনের বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভোগা শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।‎এছাড়া ধুদুকছড়ার মগপাড়া এলাকার ৫ জন গরীব ও অসহায় কৃষকের মধ্যে ৫টি কৃষি উপকরণ (স্প্রে মেশিন) বিতরণ করা হয়, যা স্থানীয় কৃষকদের ফলন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এছাড়াও শ্বশান এলাকার উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।‎অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপকরণ বিতরণ করেন পানছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩ বিজিবি) এর অধিনায়ক ও লোগাং জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো. রবিউল ইসলাম।‎এসময় উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার শান্তি ও উন্নয়ন ধরে রাখতে বিজিবি সর্বদা জনগণের পাশে আছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’‎স্থানীয়রা বলেন, বিজিবি’র এসব উদ্যোগ পাহাড়ি অঞ্চলে জীবনমান উন্নয়ন ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করছে। আমরা ৩ বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞ।এসএম
    কিশোরগঞ্জের ইউএনও হলেন লাক্স সুপারস্টার সোহানিয়া
    চ্যানেল আই লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতার সেরা দশে স্থান পাওয়া সুন্দরী তানজিমা আঞ্জুম সোহানিয়া নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে যোগদান করছেন। তাকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ উপপরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) সমন্বয় ও সংসদ বিভাগে দায়িত্ব থেকে কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে বদলি করা হয়েছে।রোববার (৭ ডিসেম্বর) তিনি কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় ধাপে এসব উপজেলায় সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নতুন ইউএনও নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই ছাত্রী লাক্স সুন্দরী ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে গেজেটপ্রাপ্ত হন। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে তিনি ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হন।সোহানিয়া ২০১০ সালে চ্যানেল আই লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সেরা দশের তালিকায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, পুরস্কার জিতে নেন ক্লোজআপ মিস বিউটিফুল স্মাইল ক্যাটাগরিতেও। এরপর শোবিজে কিছু কাজ করেছেন তিনি। তবে নিয়মিত ছিলেন না।এনআই
    মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ
    মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ২ নেতার কর্মী-সমর্থকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর)রাত ৮ টার দিকে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে সাময়িক যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু এবং জেলা কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) তোজাম্মেল হক তোজা দীর্ঘদিন ধরে মানিকগঞ্জ-১ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। প্রচার-প্রচারণা, শোডাউনসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে তারা মনোনয়ন পাওয়ার আশা করেছিলেন।বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীরকে মানিকগঞ্জ-১ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাবলু ও তোজার অনুসারীরা। পরে তাদের শতাধিক কর্মী-সমর্থক মহাদেবপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে মশাল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।এসময় বাবলুর অনুসারীরা ‘অবৈধ মনোনয়ন মানি না, মানবো না’, ‘টাকা খেয়ে মনোনয়ন, মানিনা মানবো না’, ‘মানিকগঞ্জের অহংকার খন্দকার দেলোয়ার’, ‘দেলোয়ার কাকার স্মরণে ভয় করি না মরনে’—এমন স্লোগান দিতে থাকেন।অন্যদিকে তোজাম্মেল হক তোজা এক সমাবেশে বলেন, “ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়ের গণমানুষের পরামর্শক্রমে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবো। ধানের শীষের মনোনয়ন আমরা আদায় করেই ছাড়বো।”শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, “মহাসড়ক অবরোধের খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।”এনআই
    মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন
    মাদারীপুর-১ আসনে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী বদলের পথে হাঁটল বিএনপি। এর আগে ৩ নভেম্বর এ আসনে কামাল জামান মোল্লাকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলে এলাকায় ব্যাপক অসন্তোষ ও প্রতিবাদের মুখে পড়ে বিএনপি। পরে দলের কেন্দ্র থেকে তার মনোনয়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন করে ৩৬টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকায় মাদারীপুর-১ থেকে নতুন প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে নাদিরা মিঠুর নাম।নাদিরা মিঠু শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নাজমুল হুদা মিঠু চৌধুরীর স্ত্রী। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির সদস্য এবং শিবচর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন। এর আগেও তিনি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।স্থানীয় নেতাকর্মীদের আশা নতুন নেতৃত্ব মাঠে নামায় আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপির অবস্থান আরও দৃঢ় হবে।এসএম
    গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মজিবুর রহমান
    গাজীপুর-১ আসনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মজিবুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এতে এলাকায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন। ওই তালিকায় গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ি) আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।মনোনয়ন ঘোষণার খবর প্রচারিত হতেই কালিয়াকৈর উপজেলাজুড়ে দলীয় নেতা–কর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর সুসংগঠিত রাজনৈতিক কার্যক্রমে প্রাণ ফিরে আসে এলাকাজুড়ে। স্থানীয় বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিট ও পৌর এলাকায় মুহূর্তেই জমে ওঠে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থকদের সমাবেশ। কোথাও শুকরিয়া আদায় করে দোয়া-মাহফিল, আবার কোথাও দেখা যায় আনন্দের প্রতীক হিসেবে শুকরিয়া নামাজ আদায়। নেতা–কর্মীদের মুখে মুখে একটাই বার্তা মেয়র ‘মজিবুর রহমানকে প্রার্থী করায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন।’কালিয়াকৈর ও কোনাবাড়ি এলাকার অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পর্যায়ে একজন গ্রহণযোগ্য ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে মজিবুর রহমানের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তার প্রার্থিতা দলের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক আন্দোলন ও নির্বাচনে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।এসএম
    এক মাসের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে ৫ বছর পার, ভূঞাপুর যুবদলে অস্থিরতা
    টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা যুবদলে টানা ২৭ বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনটি চলছে আহ্বায়ক কমিটির ওপর ভর করে। এমনই একটি এক মাস মেয়াদী আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয় ২০২০ সালের মার্চে, যা সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বহাল রয়েছে। জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ মার্চ জেলা যুবদলের তৎকালীন আহ্বায়ক আশরাফ পাহেলীর অনুমোদনে খন্দকার জুলহাস উদ্দিনকে আহ্বায়ক এবং অর্নিবান আমির দুখুকে সদস্য সচিব করে ভূঞাপুর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে একজন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, পাঁচ জন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ২৩ জন সাধারণ সদস্য রাখা হয়। কমিটির মেয়াদ এক মাসের জন্য নির্ধারিত ছিল এবং শর্ত ছিল, কমিটি ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।সেই সময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল ইউনিয়নের সম্মেলন সম্পন্ন করে উপজেলা সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মেলন সম্পন্ন না হয়, তবে ওই আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে এবং জেলা কমিটির নেতৃত্বে সম্মেলন আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি, ওই আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক পরবর্তী কমিটির প্রার্থী হতে পারবেন না বলে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। তবে সেই একমাস মেয়াদী আহ্বায়ক কমিটি এখন সাড়ে পাঁচ বছর ধরে বহাল রয়েছে, যা শুরুর শর্তের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সমন্বিত ও বৈধ কমিটি না থাকায় সংগঠনের স্বাভাবিক নেতৃত্ব কাঠামো ভেঙে পড়েছে। বহু নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতা বছর পার হয়ে গেলেও পদবঞ্চিত রয়েছেন। নতুন প্রজন্মও নেতৃত্বের সুযোগ পাচ্ছে না। একই সঙ্গে একাধিক নেতা যুবদল ও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বৈত দায়িত্ব পালন করায় দলের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ হচ্ছে।উপজেলা যুবদলের অন্তত পাঁচজন যুগ্ন আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তাদের অভিযোগ- দীর্ঘদিন ধরে একই পদে থাকার কারণে দুই-একজন নেতা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন। এর ফলে দলের ভেতরে মতপার্থক্য বাড়ছে এবং সাধারণ কর্মীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন। শুধু উপজেলা যুবদল নয়, পৌরসভা যুবদলের পরিস্থিতি আরও সংকটজনক। দীর্ঘদিন ধরে আহ্বায়ক বহিস্কৃত থাকায় এই গুরুত্বপূর্ণ শাখাটি বর্তমানে এক সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়কের নেতৃত্বে কার্যত পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং দলীয় কর্মকাণ্ড ঝিমিয়ে পড়ার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।নেতৃত্ব স্থবিরতায় তীব্র ক্ষোভ: থানা ও পৌর যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, তিন বছরের মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ কমিটির বদলে এক, দুই মাসের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে একজন বা দুজন ব্যক্তি ১০–১৫ বছর ধরে একই পদে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতে নেতৃত্বের স্বাভাবিক রোটেশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, মাঠের কর্মীরা সামনে আসতে পারছেন না।এরমধ্যে যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার জুলহাস উদ্দিন বর্তমানে উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম চকদার উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ইব্রাহীম খলিল তরফদার (স্বপন) উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।শুধু তাই নয়, খন্দকার জুলহাস উদ্দিন, আব্দুল আলিমসহ কয়েকজন নেতা দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের আগের ৯ বছরের কমিটিতেও ছিলেন। অর্থাৎ তারা দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে যুবদলের পদে বসে আছেন। এই ধরনের গঠনতন্ত্রবিরোধী দ্বৈতপদ ধারনের বিষয়টি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এক যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, 'দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় অনেক নির্যাতিত নেতাই আজ পদহীন। নির্দিষ্ট মেয়াদের কমিটি হলে তারা ধাপে ধাপে নেতৃত্বে আসতে পারত। কিন্তু এখানে একজনের নামে একই পদ ১৫–১৬ বছর ধরে চলছে।' বর্ধিত সভা নিয়েও বিতর্ক: গত ৩ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-২ আসনের প্রার্থী এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু যুবদলের বর্ধিত সভা ডাকেন। কিন্তু আহ্বায়ক জুলহাস উদ্দিন অসুস্থতার কথা বলে সভায় উপস্থিত হননি।নেতাদের দাবি- আসলে জুলহাস ভাবছিলেন, ওই সভায় পুরোনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি ঘোষণা হতে পারে, তাই ইচ্ছাকৃতভাবে উপস্থিত হননি। সেই থেকেই সংগঠনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, জুলহাস অসুস্থ বলে বর্ধিত সভায় থাকেননি। এক প্রকার থানা যুবদল অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বলা চলে। তিনি ভেবেছিলেন কমিটি ভেঙে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা হবে। তাই আসেননি। এটা থানা জুড়ে ওপেন সিক্রেট।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার জুলহাস উদ্দিন বলেন, যে মতবিনিময় সভার কথা বলা হচ্ছে, সেদিন আমার ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। আমি নিজেই দুই দিন পর তারিখ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। আর পৌরসভার একটি অংশ নিয়মবহির্ভুত ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ফলে এগুলো ছড়ানো হয়েছে। কী বলছেন যুগ্ম আহ্বায়করা?: যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, নির্বাচনের আগে যুবদলের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম হচ্ছে না। কমিটি দরকার, কিন্তু কয়েকজনের কারণে সেটি হচ্ছে না। তিনি সালাম ভাইসহ জেলা যুবদলকে জানিয়ে এসেছেন, কিন্তু কেউ সাড়া দিচ্ছে না।তিনি অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের মতো লোকজন দিয়ে সব চালানোর কারণে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে।যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব হোসেন কফিল বলেন, আমি বারবার থানা ও পৌর বিএনপির কাছে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু তারা প্রতিবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছে। ‘দিতেছি, দিচ্ছি’ বলে গড়িমসি করছে। জেলাতেও কথাবার্তা হয়েছে, কিন্তু সেখান থেকেও কোনো কার্যকর সাড়া পাইনি। এখন যাকে দিয়েই করুক, আমরা চাই অন্তত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হোক।তিনি বলেন, কমিটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া; দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না থাকায় অনেক নির্যাতিত নেতা পদহীন থেকে গেছেন। যদি নির্দিষ্ট মেয়াদি কমিটি থাকত, তাহলে এসব নির্যাতিত নেতারা ধাপে ধাপে পদবিতে আসতে পারত। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল কবীর রঞ্জু বলেন, অনেকবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু দিচ্ছে না। আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে সব পরিচালনা সম্ভব নয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে দল শক্ত হবে, নির্বাচনেও ভালো হবে।এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, আহ্বায়ক মনে করেন তিনি-ই সব। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে- এটা না চেয়েই তিনি কমিটি আটকে রেখেছেন। ফলে যুবদল কুখ্যাত অবস্থায় পড়ে আছে।নেতাদের মনোভাব: উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার জুলহাস উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকে ওয়ার্ড থেকে উপজেলাভিত্তিক যুবদলকে সুসংগঠিত করেছি। কিন্তু শুরু থেকেই একটি মহল আমাকে অসহযোগিতা করছে। তারা কখনোই সহযোগিতা করে না, উল্টো বাধা সৃষ্টি করে।প্রতিপক্ষের অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু সেটি সময়সাপেক্ষ। দলের ভেতরে কিছু কুচক্রী মহল আছে পদের লোভে তারা দলের জন্য কাজ না করে সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে। তারাই এসব অভিযোগ ছড়াচ্ছে।জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনায় ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত কমিটি প্রায় সম্পন্ন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলে জেলা–উপজেলায় সম্মেলন করা যেত, কিন্তু ২০২৪ সালের আন্দোলনের কারণে তা হয়নি।তিনি বলেন, এখন শুধু সম্মেলনের তারিখ দরকার। ভূঞাপুরে কমিটি হওয়া জরুরি। পৌর কমিটির অবস্থাও ভালো না, আহ্বায়ক বহিষ্কৃত। নির্বাচনের আগেই ভূঞাপুরের সম্মেলনের তারিখ দেওয়া হবে।দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় সংগঠনে নেতৃত্বের সংকট তৈরি হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের যোগ্যতা আছে, কিন্তু তা প্রতিফলন ঘটছে না। ফলে তৃণমূলে কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।যুবদল কমিটি গঠনে বিএনপির অবস্থান কী?: ভূঞাপুর উপজেলা যুবদলের দীর্ঘদিনের স্থবির কমিটি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা হলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু জানান, বর্তমানে যুবদলের কমিটি পুনর্গঠন বা অনুমোদনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত তাদের জানা নেই।তিনি বলেন, দুই-আড়াই বছর আগে ওয়ার্ড ও ছয়টি ইউনিয়নে কমিটি গঠন হয়েছিল, তবে সম্মেলন না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি। যারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে, তাদের নতুন কমিটির প্রয়োজনীয়তা স্বাভাবিক। বর্তমানে সাংগঠনিক কোনো নির্দেশনা তাদের কাছে আসেনি, নির্বাচনের পর হয়তো দল নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে চিন্তা করবে।এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, যুবদলের সম্মেলন অনেক আগে হয়েছে, ফলে নতুন নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এখনই পুরোনো কমিটি ভেঙে তিনি নতুন কমিটি করার পক্ষে নন।তিনি বলেন, যুবদলে নতুন লোক এসেছে, তারাও নেতৃত্বে আসতে চায়। কিন্তু আমি এতদিন জেলে ছিলাম, বের হয়ে সকলের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করেছি। দীর্ঘদিনের পুরোনো কমিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে। তাই এখন ভেঙে ফেলার পক্ষে আমি নই; বরং নিয়মতান্ত্রিক নতুন যুবদল গড়তে চাই।এসকে/আরআই
    শিক্ষার্থীশূন্য আমতলীর ৭৬ ইবতেদায়ী মাদ্রাসা
    বরগুনার আমতলী উপজেলার অনুদানপ্রাপ্ত পাঁচটি মাদ্রাসাসহ ৭৬টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় বাস্তবে কোনো শিক্ষার্থী নেই। কাগজে-কলমে হাজারো ছাত্র দেখালেও পরীক্ষার সময় ধার করা শিক্ষার্থী এনে চালানো হচ্ছে কার্যক্রম। এলাকাবাসীর দাবি এ অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় অনুদানভুক্ত পাঁচটিসহ মোট ৭৬টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলো হলো পূর্ব চিলা হাসানিয়া, মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া, উত্তর ঘোপখালী, মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া নাচনাপাড়া ও কুতুবপুর ইসরাইলিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা।গত দুই-তিন বছরে এসব মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থীই উপস্থিত হয়নি। শিক্ষকরা শুধু কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী দেখিয়ে আসছেন। বাস্তবে ঘরগুলো প্রায়ই তালাবদ্ধ থাকে; শিক্ষক উপস্থিত হলেও স্বাক্ষর করে ফিরে যান।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নথিতে ৭৬টি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে ৯,৫০০ জন। অথচ বাস্তবে দুই-একটি ছাড়া কোনো মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী নেই। বিগত ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় বেশিরভাগ মাদ্রাসার কোনো শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি; কোথাও মাত্র একজন-দু’জন করে পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে।কুতুবপুর ইসরাইলিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী রয়েছে মাত্র দুইজন। আয়শা আক্তার জুই (চতুর্থ শ্রেণি) ও সিয়াম (তৃতীয় শ্রেণি)। এ মাদ্রাসায় পরীক্ষার সময় স্থানীয় কয়েকজন বিদ্যালয় পড়ুয়া শিশুকে এনে মাদ্রাসায় বসানো হয় ‘দেখানোর’ জন্য। এ সময় শ্রেণিকক্ষে ছিলেন খণ্ডকালীন শিক্ষক খাদিজা।মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষায় অংশ নেয়নি কেউ। মাহিন নামে এক ছাত্র কলাপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ে; তবুও তাকে এখানে এনে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ মাদ্রাসার ইবতেদায়ী প্রধান মাওলানা বশির আহম্মেদ সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমার মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থী নেই।’মোহাম্মদপুর মাহমুদিয়া মাদ্রাসায় গেলে দেখা যায় মাদ্রাসাটি তালাবদ্ধ। স্থানীয়রা জানান, কবে সর্বশেষ মাদ্রাসা খোলা ছিল তা কেউই বলতে পারেন না। অথচ কাগজে কলমে সেদিন চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান এবং তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা ছিল।আমতলী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘অনুদানপ্রাপ্ত পাঁচ মাদ্রাসার শিক্ষকরা ছয় মাস ধরে বেতনভাতা পান না। এ অবস্থায় মাদ্রাসা চালানো অসম্ভব।’উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার বলেন, ‘মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র তৈরি করে। আমাদের কেবল পরীক্ষা তারিখ নির্ধারণ করা থাকে। মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী আছে কি না তা আমার জানা নেই।’উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াদুল হাসান জানান, ‘অনুদানপ্রাপ্ত পাঁচটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে কি না জানি না। বাকিগুলো কাগজে-কলমে রয়েছে, বাস্তবে নেই।’এসএম
    অগ্রহায়ণের ভোরে শীত উপেক্ষা করে বরিশালে ধান কাটার ব্যস্ততা
    অগ্রহায়নের শুরুর দাপটেই কেঁপে উঠেছে বরিশাল। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।স্বাভাবিকের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম তাপমাত্রা ও হালকা মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্য লুকোচুরি খেলায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষরা।এর আগে ৩০ নভেম্বর বরিশালের তাপমাত্রা নেমেছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ছিল স্বাভাবিক তাপমাত্রার প্রায় ৫ ডিগ্রি নিচে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে নভেম্বরে বরিশালের স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হওয়া উচিত ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তুলনায় বরিশালে শীত অনেকটা আগেভাগেই জেঁকে বসেছে।আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে ডিসেম্বর জুড়ে রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে। একই সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ মাসে ১–২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তার একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। মাসের মধ্যভাগের পর বরিশালসংলগ্ন পশ্চিম অঞ্চলে ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।এদিকে সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে বরিশালে স্বাভাবিকের তুলনায় ৭৩ শতাংশ কম মাত্র ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও স্বাভাবিক হিসেবে এ মাসে ৬ মিলিমিটারের পরিবর্তে ৫-১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ।শীতের কামড় বাড়লেও কৃষকের মাঠে এখন ব্যস্ততা, অগ্রহায়নের ভোরেই চলছে আমন ধান কর্তনের উৎসব। দক্ষিণাঞ্চলের খরিপ-২ মৌসুমে আবাদ হওয়া প্রায় ৯ লাখ হেক্টর জমি থেকে ২৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠে দিনরাত কাজ করছেন কৃষক ও কৃষিশ্রমিকরা।একই সঙ্গে রবি মৌসুমকে সামনে রেখে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ১৭ লাখ টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকরা সর্বোচ্চ ব্যস্ত দিন পার করছেন।শীতের তীব্রতা জনস্বাস্থ্য ও ফসলের মাঠে কোনো প্রভাব ফেলে কি না-সে দিকেও এখন সবার নজর।এসআর
    বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে “বাকসু” নাম অনুমোদন দেয়ার প্রতিবাদে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের বাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে “বাকসু” নাম অনুমোদনের বিরুদ্ধে আপত্তি প্রকাশ করেন।তারা বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের ছাত্র সংসদের জন্য “বাকসু” নামটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাশ করা হয়েছে। এটি শুধু অনৈতিক নয়-এটি ঐতিহাসিক সত্য বিকৃতি, অন্য প্রতিষ্ঠানের পরিচয় জবরদখল এবং প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষের মর্যাদার প্রতি সুস্পষ্ট অসম্মান। “বাকসু” নামের বৈধ একমাত্র মালিকানা বিএম কলেজের। একই অঞ্চলের দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই নাম ব্যবহার করলে একাডেমিক বিভ্রান্তি, প্রশাসনিক ভুল বোঝাবুঝি, মিডিয়ায় ভুল ব্যাখ্যা এবং ইতিহাসের বিকৃতি হবে।’এ সময় তারা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অবিলম্বে সিন্ডিকেটে অনুমোদিত “বাকসু” নামের সিদ্ধান্ত বাতিল করা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের জন্য স্বতন্ত্র নতুন নিজস্ব নাম ঘোষণা করা এবং  বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের নাম নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় লিখিতভাবে অবস্থান জানাবে। দাবি না মানলে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্য রক্ষায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলেও জানান।ইখা
    বরিশালে ইটভাটায় অভিযান, জরিমানা
    বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কালিখলা এলাকায় লুনা ব্রিকস নামক একটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ জহির রাজু ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় প্রধান মোজাম্মেল হক আকন।এ সময়ে লুনা ব্রিকসের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার রকি পালকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা শেষ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘লুনা ব্রিকস একটি অবৈধ ইটভাটা। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য এটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এরকম অবৈধ ইটের ভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’ইখা
    প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই 'কমলার'
    বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা কমলা বেগম, বয়স পঁয়ত্রিশের কোঠায় পৌঁছেছে। ভোরের আলো ফোঁটার আগেই দিনের শুরু হয় তার। প্রতিবন্ধী স্বামী মনির হোসেন ও দুই সন্তানকে নিয়ে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার লড়াই কমলা বেগমের নিত্যদিনের। চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মুজিবনগরে বসবাস করেন কমলাসহ তার পুরো পরিবার।স্বামী অসুস্থ থাকায় কমলা অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকা এবং মৌসুমভিত্তিক কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। গ্রামের কিছু মানুষ মাঝে মাঝে সাহায্য করেন। কেউ চাল দেয়, কেউ পুরোনো কাপড় দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তা নিয়মিত নয়। স্বামী মনিরের নামে প্রতিবন্ধী ভাতা হয়েছে। তবে যে টাকা পায় তা দিয়ে স্বামীর ওষুধের খরচও চলে না।জানা যায়, মনির এক সময় রিকশা চালাতেন। প্রায় ৩০ বছর আগে টাইফয়েট জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার দু’পা পঙ্গু হয়ে যায়। এর পর ধীরে ধীরে বাক প্রতিবন্ধী হয়ে যান তিনি। সেই থেকে শয্যাশায়ী মনিরের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে কমলার কাঁধে। দরিদ্র পরিবারে হঠাৎ করেই উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে যাওয়ায় ঘন কালো অন্ধকার নেমে আসে তাদের জীবনে।কমলা বলেন, ‘আগে আমার স্বামী মনির রিকশা চালিয়ে যা রোজগার করত তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলত। আমার ছেলেটা জন্ম হওয়ার পর থেকে মনিরের দু’পা পঙ্গু হয়ে একেবারেই অচল হয়ে যায়। তারপর সবকিছু থেমে গেছে আমাদের জীবনে। কারও কাছে হাত পাততে ইচ্ছে করে না, কিন্তু না চাইলে তো বাচ্চাদের মুখে খাবার তোলা যায় না। দুই সন্তানই স্কুলে যায়, কিন্তু নিয়মিত যেতে পারে না। কারন ছেলেটা অন্যের কাজ করতে হয়। যেদিন ছেলেটা কাজ না করে সেইদিন আর সংসার চলেনা। কখনও বই-খাতা নেই, কখনও খাওয়ার অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।’কমলা আরো বলেন, 'সংসারটা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। স্বামীর প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে চিকিৎসার খরচ চালাতে হয়। মেয়েটাও পড়ছে, তার খরচ চালাতে হয়। স্বামীর নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা আছে। ৬ মাস পর আড়াই হাজার টাকা পাই, তা দিয়ে কিছুই হয়না। সরকারি ডাল, চাল যা আসে আমরা কিছুই পাই না।'স্থানীয় মনির মাষ্টার বলেন, 'প্রতিবন্ধী মনির আমার পাশ্ববর্তী এলাকার লোক। সে শুধু একটি প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এছাড়া বিকল্প কিছু পায় না। খুবই কষ্টে তাদের সংসার চলে। মনিরকে এমন একটি ভাতা করে দেয়া হোক, যাতে তার ছেলে সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারে।'উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসাইন বলেন, মুজিবনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মনিরকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। জেনেছি, তার স্ত্রী মানুষের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সেই পরিবারটিকে পূর্ণবাসনের আওতায় এনে স্বচ্ছল করা যায় কিনা, এ ক্ষেত্রে সমাজ কল্যাণ পরিষদের তহবিল থেকে সহযোগিতা করা হবে।'এসআর
    নেত্রকোনায় ধানক্ষেতে থেকে বিরল প্রজাতির দুটি মেছো বিড়ালের ছানা উদ্ধার
    নেত্রকোনায় ধানক্ষেত থেকে বিরল প্রজাতির দুটি মেছো বিড়ালের ছানা উদ্ধার । উদ্ধারের পর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বন বিভাগ  জানায় এদের বনে অবমুক্ত করা হবে।বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের সাতপাই চকপাড়া রেল লাইনের পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে মেছো বিড়ালের বাচ্চা দুটি উদ্ধার করে ধান কাটাতে আসা কৃষক শাহজাহান মিয়া।পরে স্থানীয় চা বিক্রেতা মাসুদ মিয়া বাচ্চাগুলোকে উদ্ধার করে দোকানের হাঁস মুরগির ঘরে আশ্রয় দেন। খবর পেয়ে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসং এর প্রতিষ্ঠাতা রিফাত আহমেদ রাসেল ও নেত্রকোনা পেট রেস্কিউ টিমের প্রতিষ্ঠাতা খান মাহবুব আলম আবিদ সন্ধ্যায় বন বিভাগের সদস্য ইন্দ্রজিৎ সরকারের কাছে বাচ্চা দুটি হস্তান্তর করে।স্থানীয়রা জানান, সাতপাই চকপাড়া এলাকার তুরাব মিয়া ধান ক্ষেত সকাল থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করেন শ্রমিকরা। এই সময়  ধান ক্ষেত থেকে পরপর দুইটি মেছো বিড়ালের ছানা বেরিয়ে আসলে স্থানীয়রা আটক করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে পাশের চায়ের দোকানদার মাসুদ মিয়া উদ্ধার করে লোহার খাঁচায় আশ্রয় দেয়। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে স্বেচ্ছাসেবকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চা গুলো মেছো বিড়ালের ছানা বলে শনাক্ত করে বন বিভাগে খবর দেন।শাহজাহান মিয়া জানান, ধান ক্ষেতে একটি বড় মেছো বিড়াল সহ মোট তিনটি ছানা ছিলো। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বড় মেছো বিড়াল ও একটি ছানা পালিয়ে চলে যায়। আর শ্রমিকদের হাতে ধরা পড়ে দুইটি ছানা।এদিকে স্বেচ্ছাসেবক ও বন বিভাগে সদস্যরা জানান, বাচ্চাগুলোকে পর্যবেক্ষণ শেষে পূর্বস্থানের আশপাশেই পুনরায় অবমুক্তের ব্যবস্থা করা হবে।এর আগে গত রবিবার দুর্গাপুরে হাঁস মুরগির ঘর থেকে উদ্ধারের পর আরো দুটি মেছো বিড়ালের ছানা বনে অবমুক্ত করা হয়। এফএস
    শেরপুরে স্কুলের তালা ভেঙে প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন ইউএনও
    শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এদিকে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য বাইরে অপেক্ষায় কোমলমতি একদল শিক্ষার্থী। এমন সময় শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পরীক্ষা শুরু করেন এক ইউএনও।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষা আহমেদ। এ সময় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরন নবী উপস্থিত ছিলেন।প্রাথমিকে বেতন স্কেল দশম গ্রেডে নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবিতে বুধবার থেকে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।এতে সংহতি জানিয়ে শ্রীবরদী উপজেলার ১৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও কর্মসূচি পালন করছেন। বৃহস্পতিবারও এই কর্মসূচি অব্যাহত আছে।এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দাবি আদায়ে শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও।শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবক মিজান উদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় শিশুরা মানসিক চাপের মধ্যে আছে। শিক্ষকরা এতদিন দাবি জানানোর সময় পাননি। আমাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি করে কীসের আন্দোলন? সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের এই আন্দোলন।’আরেক অভিভাবক আফজাল মিয়া বলেন, ‘কোমলমতি শিশুদের জিম্মি করে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। সরকারকে কঠোর হতে হবে, বাচ্চাদের ক্ষতি হবে, আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব তা হয় না। এসব শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।’ইউএনও মনীষা আহমেদ জানান, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষকদের অবিলম্বে পরীক্ষায় ফেরার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে কর্মবিরতি বা শাটডাউন অব্যাহত থাকলে সরকারি চাকরি আইন, আচরণবিধি ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তাও দিয়েছে।’শিক্ষকরা পরীক্ষা না নিয়ে আন্দোলন করছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান তিনি।এসএম
    ত্রিশালের জনগণ পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে : ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন
    ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন বলেছেন, ‘ত্রিশালের জনগণ পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে। আমি শুধু একজন প্রার্থী নই, আমি আপনাদের লোক। আজকে যে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ধানের শীষকে বিজয়ী করার জন্য এগিয়ে এসেছেন, তাতে আমি উৎসাহিত। আমি বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো বাধা আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না।’বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ত্রিশাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মাঠবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন জুয়েলের সমর্থকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।মতবিনিময় সভায় ডা.মাহবুবুর রহমান লিটন তার বক্তব্যে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন।সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ও মাঠবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জুয়েল, ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার শাহজাহান কবির প্রমুখ।ইখা
    শিক্ষার্থীর সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন
    জুলাই অভ্যুত্থানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাস্তিপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইনজামামুল হাসানের বহিষ্কারাদেশ ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল করে দেওয়া মানে তার ভবিষ্যৎ পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া। তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।”তারা আরও বলেন, “ইনজামুল কখনোই সহিংসতায় জড়িত ছিল না। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তার বক্তব্য যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি।” বক্তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত স্থগিত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার নামে কাউকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা যাবে না।’এর আগে মানববন্ধনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন। একই দাবিতে ৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা এসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীরাও পৃথক একটি স্মারকলিপি জমা দেন।উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা, হুমকি, হামলায় আহতদের চিকিৎসায় বাধা এবং উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইনজামামুল হাসানসহ ১৩ জন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে যারা এখনও ছাত্রত্বে রয়েছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যারা কোর্স সম্পন্ন করেছে তাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।ইখা
    আজ ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস
    জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের কামালপুর রণাঙ্গন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ১৬২ জন সদস্য অস্ত্রসহ আনুষ্ঠানিকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসর্মপণ করেন। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে সূচিত হয় জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল তথা ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গন। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে। প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধীনে থাকা ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর রাজধানী ঢাকা দখলের সহজ ও একমাত্র পথ ছিল এটি।এদিকে ঢাকা দখলের উদ্দেশে হানাদার বাহিনী ধানুয়া কামালপুরে শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। এই শক্তিশালী ঘাঁটির পতন ঘটানোর লক্ষ্যে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃতে ১২ জুন থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের দফায় দফায় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয় ৩১ জুলাই রাতে। সম্মুখ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ ১৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও শত্রু পক্ষের একজন মেজরসহ ৪৯৭ জন নিহত হয়। এই যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের একটি মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হন এবং একটি পা হারান। ৩ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী হানাদার বাহিনীর কামালপুর বিওপিতে আঘাত হানে। মাত্রাতিরিক্ত আর্টিলারি গোলা বর্ষণ করেও তেমন কোনো ক্ষতি করা সম্ভব হয়নি।এরপর বিমান হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিওপি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। শুরু হয় বিমান আক্রমণ। প্রতিটি মিশনের পর মেজর জেনারেল গিল পাক বিওপি কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসানকে আত্মসমর্পণ করার জন্য একটি করে চিঠি পাঠান। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও ৪ ডিসেম্বর শত্রু সেনা বিওপিতে প্রথম চিঠি নিয়ে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর আহমদ বীর প্রতীক। চিঠিতে লেখা ছিল ‘তোমাদের চারদিকে যৌথ বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। বাচঁতে চাইলে আত্মসর্মপণ কর। তা না হলে মৃত্যু অবধারিত’।এই চিঠি পেয়েও অগ্নিমূর্তি ধারণ করে পাকসেনা কমান্ডার আহসান মালিক। বশিরের ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় আরেকটি চিঠি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জুকে পাঠানো হয় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে। চিঠির জবাব না পাওয়ায় শুরু হয় চূড়ান্ত বিমান হামলা। অবস্থা বেগতিক দেখে অস্ত্রসহ পাকিস্তানি বাহিনীর কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জনের একটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এতে হানাদারমুক্ত হয় কামালপুর রণাঙ্গন।এরপর কামালপুর মাঠে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর থেকেই ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।এসআর
    লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
    লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহদ হয়েছেন। বিএসএফ নিহতের লাশ ভারতে নিয়ে গেছে।বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর)  ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শমসেরনগর সীমান্তের ৮৬৪ নাম্বার মেইন সীমান্ত পিলারের ৫ নাম্বার সাব পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বিএনএফ নিহতের লাশই রতে নিয়ে গেছে। নিহত বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী হলেন সবুজ মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পাঁচভান্ডার এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।৬১ বিজিবির তিস্তা ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। লাশ ফেরত চেয়ে পতাকা  বৈঠকের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চেনাকাটা বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডারকে পত্র দিয়েছে বিজিবি।বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ৮-১০ জন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে গরু আনার জন্য ভারতের অভ্যন্তরে যান। এসমং বিএসএফের চেনাকাটা ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। সবুজ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বাকিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সীমান্তে  এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী  জানান, আমরা ১০জন একসাথে ভারতে ঢুকেছিলাম একসাথে। ২০টি গরু আনার কথা ছিলো। গরু আনার আগেই বিএসএফ সদস্যদের হাতে পড়ে যাই। বিএসএফ ৭-৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আমরা পালিয়ে আসি। সবুজের লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে। আমরা শুধু ভারত থেকে গরু আনি। এটার মহাজন অন্য ব্যক্তি। ভারত থেকে এটি গরু আনার জন্য ৫ হাজার টাকা পাই,তিনি বলেন।বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার কামাল উদ্দিন জানান, লাশ ফেরত আনতে চেষ্টা চলছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমর বিএসএফ লাশ ফেরত দিবে। ওই সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।এসআর
    গোবিন্দগঞ্জে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুরে মহিদুল ইসলাম সরদার আলস (৪৮) নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  মহিদুল ইসলাম সরদার আলস রামচন্দ্রপুর গ্রামের নজির সরদারের ছেলে। তিনি চা দোকানের পাশাপাশি গোপনে গাঁজার ব্যবসা করে আসছিলেন।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালের দিকে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি কৃষি মাঠ থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।স্বজনরা জানায়, মহিদুল ইসলাম সরদার আলস তার দোকান থেকে রাতে ঠিক সময়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। এরই একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি উঁচু কৃষি জমির গাছের নিচে অালসের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে মহিদুল ইসলাম সরদার আলস নামের এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।এসআর
    পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
    লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ভোরে সীমান্তের ৮৬৪ ও ৮৬৫ নং পিলারের মাঝামাঝি ভারতের অভ্যন্তরে এই ঘটনা ঘটে।নিহত সবুজ (২৫) উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের পঁচাভান্ডার এলাকার শেরাজুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সবুজসহ কয়েকজন যুবক সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের দিকে প্রবেশ করলে ১৬৯ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সবুজ মারা যান। পরে বিএসএফ তার মরদেহ ভারতের ভেতরে নিয়ে যায়।৬১ বিজিবির শমসেরনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, আজ সকাল ১০টা ৩০ থেকে ১১টার মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে নিহত যুবকের বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে।এইচএ
    তীব্র শীত জেঁকে বসেছে কুড়িগ্রামে, তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
    কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। ভোর থেকে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এলাকাবাসী জানান, সকাল হলেও কুয়াশার কারণে সড়ক দেখতে না পাওয়ায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের খেটে-খাওয়া, দিনমজুর, নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে, ঠান্ডা উপেক্ষা করে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন পড়েছেন বিপাকে।নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আলিম,কমল চন্দ্র ও মিলন বলেন, কুয়াশা ও ঠান্ডায় বাড়িত থাকি বের হওয়া যায় না। আবার কাজ না করলে পেটে ভাত যাবে না।সদর উপজেলার বাসিন্দা রাজু বলেন, ঠান্ডায় হাত পা বরফ হয়ে আসছে। শীতের জামাকাপড়ও তেমন নেই। খুব কষ্টে আছি।এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি আরও বাড়তে পারে। ‘দিনে দিনে শীত আরও প্রকট হচ্ছে। এফএস
    রংপুর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের
    রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ থেকে বাসে ফেরার পথে নীলফামারীতে এশার নামাজের বিরতিতে মসজিদে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মো. যোবেদ আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুইজনও গুরুতর আহত হয়েছেন।বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার কাজীর হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত মো. যোবেদ আলী ডোমার উপজেলার চিলাহাটির সবুজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চিলাহাটি সাংগঠনিক শাখার দায়িত্বশীল পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রংপুরে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করে চিলাহাটি অভিমুখী বাসটি কাজীর হাটে এশার নামাজের জন্য বিরতি নেয়। এসময় যোবেদ আলী মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত আহত যোবেদ আলীকে নীলফামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুরে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীও গুরুতর আহত হয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.আর সাঈদ সময়ের কন্ঠস্বরকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এফএস
    বাঘায় বিআরটিসি বাস চালু রাখার দাবিতে দুই সংগঠনের স্মারকলিপি
    চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শরিয়তপুর রুটের বিআরটিসি বাস বানেশ্বর-বাঘা হয়ে ইশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল অব্যাহত রাখার দাবিতে বাঘা উপজেলায় দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীর সুবিধার্থে জনপ্রিয় এ রুটে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু রাখার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)  বাঘা উপজেলা কমিটি এবং পিপলস ফোরাম ফর গুড গভর্ন্যান্স (পিএফজি) বাঘা উপজেলা কমিটি।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শরিয়তপুর রুট বহুদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ জনপদগুলোর মধ্যে সুলভ, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পরিবহন সেবা দিয়ে আসছে। এই রুটে বাস চলাচল শুরু হলে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষসহ সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে এবং যাতায়াতে স্বস্তি ফিরে আসবে।এতে আরও বলা হয়, বাঘা–চারঘাট এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী গত ২৪ নভেম্বর সরকারি প্রজ্ঞাপনে রহনপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) থেকে চারঘাট-বাঘা হয়ে কাজিরহাট (শরিয়তপুর) পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার পর ২৬ নভেম্বর রুটে বাস চলাচল শুরু হলেও প্রথম দিনেই শ্রমিক বাধার মুখে সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে বিআরটিসি বাস চলাচল নিয়মিত করার দাবি জানায় সংগঠনগুলো।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৫) বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তারের মাধ্যমে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাপা বাঘা উপজেলা শাখার সভাপতি ড. আব্দুস সালাম, পিএফজি বাঘা উপজেলার এম্বাসেডর সুরুজ্জামান সুরুজ, বাপার যুগ্ম সম্পাদক অপূর্ব কুমার সাহা, বাপা পৌর কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ বিপ্লব, আমিরুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদিকা রানু আক্তারী, পিএফজি সদস্য শাপলা খাতুন, কো-অর্ডিনেটর উত্তম কুমার পাল, সহকারী অধ্যাপক নীরেন্দ্রনাথ সরকার, আব্দুল হামিদ মিয়া, শরিফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।স্মারকলিপির অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ, পুলিশ সুপার রাজশাহী, বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাঘা থানা ওসি, বিআরটিসি পাবনা এবং রাজশাহী বেসরকারি বাস মালিক সমিতির নিকট।সংগঠনগুলোর দাবি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল নিশ্চিত করা হোক।এনআই
    ৪৫তম বিসিএসে কৃষিতে সুপারিশ প্রাপ্ত বগুড়ার ফয়সাল হোসাইন
    ৪৫তম বিসিএসে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন বগুড়ার কাহালু উপজেলার মেধাবী তরুণ ফয়সাল হোসাইন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহের ধলা শাখায় জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত।ফয়সাল বগুড়া জেলার কাহালু পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মালেক ও হাফছা বেগমের একমাত্র ছেলে। বাবা-মায়ের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল- একদিন তিনি বড় কিছু হবেন।শিক্ষাজীবনের শুরুতে তিনি ২০১১ সালে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১৩ সালে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। উভয় পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ২০১৪-১৫ সেশনে ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে।গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত ৪৫তম বিসিএসের ফলাফলে দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সাফল্য ধরা দেয়, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশ পান তিনি। তার এই অর্জনে আনন্দে মেতেছেন বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুরো এলাকার মানুষ। বিসিএসে সুপারিশ পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে ফয়সাল হোসাইন বলেন, “ছোটবেলা থেকেই বাবাুমা আমাকে শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা আর পরিশ্রমের মূল্য শিখিয়েছেন। নিঃশব্দে তারা আমার স্বপ্নকে তাদের স্বপ্ন বানিয়েছেন। ছোট বোনের ক্যাডার হিসেবে আমাকে দেখার ইচ্ছা আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। পাশাপাশি শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু ও রুমমেট বড় ভাইদের পরামর্শ ও সহযোগিতা আমাকে কখনও পথ হারাতে দেয়নি।”এসকে/আরইউ
    বড়াইগ্রামে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর ও গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ
    নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় মাদকাসক্ত ভাতিজা ও চাচাতো ভাইয়ের নির্যাতনে এক বৃদ্ধ দম্পতি প্রায় ১৫ দিন ধরে নিজ বাড়িতে গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন। উপজেলার জোয়ারী ইউনিয়নের কুমরুল গ্রামে মোসলেম উদ্দিন ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে তাদের নিজ ঘরে আতঙ্কিত অবস্থায় পাওয়া যায়।এর আগে ২২ নভেম্বর সকালে একা পেয়ে মাদকাসক্ত দুই ভাতিজা তৌকির ও তারেক এবং চাচাতো ভাই ফিরোজ ওই বৃদ্ধ মোসলেম উদ্দিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। স্ত্রী খাদিজা বেগম তাকে উদ্ধারে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে পরিবারের অন্য সদস্য ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তারা প্রাণে রক্ষা পান।ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসায় তারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারেননি। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসা নিতে না পেরে তারা ঘরেই বন্দী ছিলেন।ঘটনার পর ২৪ নভেম্বর বৃদ্ধ দম্পতির জামাতা, অবসরপ্রাপ্ত নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তা, বড়াইগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে এলে সাংবাদিকদের সহযোগিতায় বৃদ্ধ দম্পতি অবশেষে ঘর থেকে বের হতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় দম্পতির একমাত্র ছেলে মাসুম আহমেদও বড়াইগ্রাম থানায় পুনরায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে সব ধরনের আইনি সহায়তা পাবেন।’ইখা
    ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে ৫ স্বর্ণের দোকানে সংঘবদ্ধ ডাকাতি
    পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গভীর রাতে পাঁচটি সোনার দোকান ও একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম ও ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারের রতন কর্মকার, উত্তম কর্মকার, তপন কর্মকার, আত্তাব আলী ও ইউসুফ আলীর সোনার দোকানে দুর্বৃত্তরা তালা ভেঙে ঢুকে প্রায় ৩০ ভরি সোনার গহনা ও ৫ লাখ টাকা লুট করে। এরপর তারা রতন কর্মকারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকারকে মারধর করে প্রায় ১০ ভরি সোনা ও ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। দুর্বৃত্তরা একটি স্পিডবোটে করে অষ্টমনিষা বাজারে এসে ডাকাতি শেষে একই নৌযানে গুমানী নদীর ভাটির দিকে পালিয়ে যায়।কান্নাজড়িত কণ্ঠে রঞ্জন কর্মকার জানান, ৮-৯ জনের একটি সশস্ত্র দুর্বৃত্তদল প্রথমে দোকানের তালা ভেঙে গহনা লুট করে। পরে তারা বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনা ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তার মা শরীরের গহনা খুলে দিতে সময় নিলে দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে। রঞ্জন বাধা দিতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। তাদের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল বলে তিনি জানান।এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিদর্শন করে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ইখা
    দেশের বৃহৎ খিরার হাটে আগাম ফসলের বাম্পার ফলন, ভালো দামেও সন্তুষ্ট কৃষক
    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার চলনবিলে দেশের সবচেয়ে বড় খিরার হাটকে কেন্দ্র করে এবার আগাম জাতের খিরা চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা। মৌসুমের শুরু থেকেই অনুকূলে আবহাওয়া ও কৃষি অফিসের কারিগরি সহায়তায় চলতি মৌসুমে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার চলনবিল এলাকায় মোট ৩৬৫ হেক্টর জমিতে খিরা আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি।কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে ২৬ মেট্রিকটন খিরা উৎপাদন হয়েছে। উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী, লাহিড়ী মোহনপুর ও কয়রা ইউনিয়নে সর্বাধিক খিরা চাষ হয়। এই খিরা চাষকে ঘিরেই লাহিড়ী মোহনপুর, চর-বর্ধনগাছা ও চাকসা এলাকায় গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বড় খিরার আড়ৎ, যেখানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা খিরা কিনতে আসেন।চলনবিলের খিরা মানসম্মত হওয়ায় সারাদেশে এ অঞ্চলের খিরার চাহিদা বেশি। এ বছর অলরাউন্ডার, সুইটি, শাহজাদি ও তামিল জাতের খিরার ফলন বেশি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।কয়রা এলাকার কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। খরচ তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় প্রতিবছরই খিরার আবাদ করি। এবার ফলনও ভালো, দামও ভালো।বর্ধনগাছার আরেক কৃষক রমজান আলী, মামুন প্রামাণিক ও মোহাম্মদ আলী জানান, কৃষি অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আগাম জাতের খিরা সময়মতো লাগানোর ফলে ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতি মণ খিরা ১,২০০ থেকে ১,৬০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, চলতি মৌসুমে ৩৬৫ হেক্টর জমিতে খিরা ও শশা আবাদ হয়েছে, হেক্টরপ্রতি ফলন ২৬ মেট্রিকটন। বাজারে বর্তমানে প্রতি মণ খিরা ১,৩০০ থেকে ১,৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা আমরা দিয়ে আসছি।বাম্পার ফলন ও ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় চলনবিলের কৃষকেরা এবার বেশ আনন্দিত। দেশের বৃহত্তম খিরার হাট এখন জমজমাট, কৃষক থেকে পাইকার সবাই ব্যস্ত মৌসুমকে ঘিরে।এসআর
    যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ
    ট্রান্সফরমার মেরামত, সংরক্ষণ, সরবরাহ লাইন সংস্কার ও গাছপালার শাখা-প্রশাখা কাটার জন্য আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সিলেট নগরীর কয়েকটি এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডারের আওতাভুক্ত টিলাগড়, কালাশলী, রাজপাড়া, আল-জালাল সিএনজি, বাংলাদেশ বেতার টিলাগড়, টিলাগড় সরকারি কলেজ, মালুয়া হাউজ ও আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।সাময়িক এমন অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক।এইচএ
    আজমিরীগঞ্জে হালচাষ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
    হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে জমিতে হালচাষ দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে অন্তত দশজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।শনিবার রাত ৯টা থেকে শুরু করে ১১রাত পর্যন্ত পৌরসদরের কৃঞ্চনগর গ্রামে আব্দুল হালিম মিয়ার লোকজন ও আব্দুল হেকিম মিয়ার লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘঠনা ঘটে।আহতরা হলেন, আব্দুল হালিম (৬০), বাহাদুর মিয়া (১৬), শহিদুল মিয়া (১৯), আব্দুল হেকিম (৬০), নুর হোসেন (৫৫), মুরসালিন(২৫), পলাশ (৩৫), উলদত আলী (৬৬), কাছম মিয়া (৫৫), মিরজান (১৮), তানভীর (২৩), মোফাজ্জল (৩৫), জহিরুল (১৯), ইউসুফ (৩০), সাব্বির (১৯), হাফসা বেগম (৫২), মাহফুজ (১৬), লোকমান মিয়া (৭৫), দোলেনা বেগম (৫৫),রায়হান (১৬), সস্তির মিয়া (৮২), রফিকুল ইসলাম (৪৫), শাকিব (২৫), রোজবাহার (৬০) এবং আলমগীর মিয়া (৩৫)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে জমিতে হালচাষ দেওয়া নিয়ে আব্দুল হালিম মিয়ার সঙ্গে আব্দুল হেকিম মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে শনিবার রাত বিষয়টি নিয়ে পৌরসদর বাজারে আব্দুল হালিম মিয়ার সঙ্গে আব্দুল হেকিম মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা বাধে। বিষয়টি উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে উভয়পক্ষের লোকজন বাড়ি ফিরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এসআর
    সুনামগঞ্জের নতুন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এর দায়িত্ব গ্রহণ
    সুনামগঞ্জ জেলার নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন আবু বসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পিপিএম-সেবা। তিনি লালমনিরহাট জেলার কৃতিসন্তান।শনিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বিদায়ী পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ-এর কাছ থেকে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলার সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জদের সঙ্গে এক পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নবাগত পুলিশ সুপার উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও জনসেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।এর আগে তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাকিবুল হাসান রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাপস রঞ্জন ঘোষ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাকির হোসাইন ফুল দিয়ে নবাগত পুলিশ সুপারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।জানাগেছে,আবু বসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পিপিএম-সেবা ২৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। সুনামগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), রংপুর জেলা-তে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এফএস
    ‘স্বাধীন বাংলাদেশে আর দিল্লীর দালালি চলবে না’
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, ‘অতীতে ভারত আমাদের অনেক জুলুম-নির্যাতন করেছে। ফ্যাসিস্টরা দিল্লীর দালালিকে প্রশ্রয় দিয়েছিল। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আর দিল্লীর দালালি চলবে না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ চলবে না।’শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে ছাত্র ও যুব সমাবেশে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘লন্ডন থেকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে কেউ বাংলাদেশ পরিচালনা করতে পারবে না। বাংলাদেশ পরিচালনা করতে হলে দেশের মাটি ও মানুষের নেতা হতে হবে। দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে গণমানুষের নেতা হতে হবে। কাজ ও যোগ্যতার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। তা না করে হাসিনার মতো ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করতে চাইলে দেশের জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখাবে।’তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলবে দেশের মানুষের প্রত্যাশার ও শহীদদের আকাঙ্ক্ষা আলোকে। বাংলাদেশে দিল্লীর রাজত্ব চলবে না। একই সঙ্গে কেউ লন্ডন বসে বাংলাদেশ পরিচালনা করতে চাইলে সেটাও আর পারবে না। লন্ডন থেকে কেউ প্রেসক্রিপশন দিয়েও বাংলাদেশ পরিচালনা করতে পারবে না।’ঢাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘আর সীমান্তে হত্যা চলবে না। সীমান্তে যদি একটি লাশ পড়ে তাহলে ১৮ কোটি জনগণ একসঙ্গে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নামবে। বিগত সময়ের প্রতিটি সীমান্ত হত্যার বিচার হবে।’তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটি দলের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদি কাঠামো আর চলবে। নতুন বাংলাদেশে জনগণের হাতে ক্ষমতা থাকবে, জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে। জনগণের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। কেউ যদি জনগণের অধিকার হরণ করতে চায়, তাহলে তার পরিণতিও শেখ হাসিনার চেয়ে খারাপ হবে।’ভিপি সাদিক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে একটি প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, সেই প্রজন্ম ইনসাফের পক্ষে থাকবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তরুণদের আকাঙ্ক্ষা-প্রত্যাশার আলোকে নতুন বাংলাদেশ বিনিমার্ণ হবে। ইতোমধ্যে দেশের তরুণরা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঢাকসু, রাকসু, জাকসু ও চাকসুতে ইনসাফের প্রতিনিধিরা বিজয়ী হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে ইনসাফের প্রতিনিধিরা দেশের প্রতিটি আসনে জনগণের ভূমিধস ম্যান্ডেড পেয়ে বিজয়ী হয়ে ইনসাফ কায়েম করবে। জনগণের ক্ষমতা জণগণের হাতে ফিরিয়ে দেবে।’সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-৪ আসনের জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী সিলেট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।ইখা
    হবিগঞ্জে ট্রাক্টর চাপায় নিহত ১
    হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের দেওপাড়া এলাকায় ট্রাক্টরের চাপায় গজনাইপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হোসাইন আহমদ (৫০) নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত হোসাইন আহমদ গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামের মৃত তছকির উল্লাহর ছেলে এবং গজনাইপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ছিলেন।পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে গজনাইপুর জনতার বাজারে যাচ্ছিলেন হোসাইন আহমদ। পথিমধ্যে দেওপাড়াশতক সড়কের দেওপাড়া স’মিলের সামনে পৌঁছালে ধানবোঝাই একটি ট্রাক্টর তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়।নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল মিঞা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এসআর

    অনলাইন ভোট

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হবে। আপনি কি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন: পুতিনকে ঘিরে থাকে যে ‘ছায়াবাহিনী’
    রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিদেশযাত্রা ঘিরে গোপনীয় ও নিখুঁত প্রস্তুতির বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সাধারণত নিরাপত্তার ব্যবস্থা আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতের করার কথা। কিন্তু এবারে ভারত সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ক্রেমলিন। পুতিনের প্রত্যেক সফর চরম সতর্কতা, কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং জনসমক্ষে খুব কম দেখা যায় এমন এক নিরাপত্তা জালের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।রাশিয়ার সবচেয়ে গোপন ও দুর্ধর্ষ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর একটি ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিস (এফএসও)। প্রেসিডেন্টের বিদেশ সফরের সময় অদৃশ্য এক নিরাপত্তা জাল তৈরির দায়িত্বে থাকে দেশটির এই নিরাপত্তা সংস্থা। পরিবহন থেকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সব কিছুই থাকে তাদের নিয়ন্ত্রণে।অদৃশ্য নিরাপত্তা জালমডার্ন ডট এজেড বলছে, পুতিনের নিরাপত্তায় সাধারণত খালি চোখে যে দেহরক্ষীদের দেখা যায়, তারা আসলে এক বিশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সামান্য অংশ মাত্র। কেজিবি-ধাঁচের প্রটোকলের ভিত্তিতে গড়া এফএসও এই জটিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করে।প্রেসিডেন্ট পুতিনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা নিয়োগ পান দেশটির এলিট প্রেসিডেনসিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিপি) থেকে। প্রার্থীদের বাছাই করা হয় অত্যন্ত কঠোর এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই বাহিনীতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য বয়স ৩৫’এর নিচে, উচ্চতা ১৮০ সেন্টিমিটারের বেশি, শারীরিকভাবে সবল, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং মানসিকভাবে দৃঢ় হতে হয়। দেশটির এলিট বাহিনীতে সদস্যদের নিয়োগের আগে বিদেশি ভাষাজ্ঞান, ব্যাপকভাবে পারিবারিক তথ্য যাচাই-বাছাই ও বাধ্যতামূলক সততা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়।আলাস্কায় নিজস্ব টয়লেট নিয়ে যান প্রেসিডেন্ট পুতিন২০২৩ সালে রাশিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাবেক দেহরক্ষী গ্লেব কারাকুলভ বলেন, পুতিন এক ধরনের আবদ্ধ জীবনযাপন করেন। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না এবং কখনও কখনও বিশেষ ট্রেনে ভ্রমণ করেন। এই নেটওয়ার্কে থাকে স্নাইপার, ড্রোন অপারেটর, ইলেকট্রনিক-ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ ও যোগাযোগ ইউনিটও।খাবার, ল্যাবরেটরি, স্বাস্থ্যবিধিপ্রেসিডেন্ট পুতিনের খাবার প্রস্তুতকারক কর্মীদের জন্য বেশ কিছু কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন, গ্লাভস পরা, দিনে একাধিকবার পোশাক পরিবর্তন এবং হাত পরীক্ষা করা; যেন কোনও ধরনের কাটাছেঁড়া না থাকে। রান্নার ঘরে ঢোকার আগে রান্নার প্রত্যেকটি রসদও কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়। তবুও প্রস্তুত করা খাবার প্রথমে খেয়ে দেখেন দেহরক্ষীরা। কোনও খাবার বিষাক্ত হলে যাতে প্রেসিডেন্ট আক্রান্ত না হন, সে জন্য দেহরক্ষীরা আগে খেয়ে পরীক্ষা করেন বলে মডার্ন ডট এজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।পুতিনের জীবনযাত্রা নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র আওয়ার সার্ভিসে পুতিনের এক পাচক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যেখানে থাকেন, আমরাও সেখানে থাকি। সেটা ব্যবসায়িক সফর হোক, ছুটি কিংবা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান; সব জায়গাতেই আমরা সবসময় তার সঙ্গে থাকি। বড় কোনও আয়োজন থাকলেও আমরাই সেটা তদারকি করি।এই তথ্যচিত্রে পুতিনের খাদ্যাভ্যাসও তুলে ধরা হয়। তিনি ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলেন এবং রাতে মাংস কম খান। তার পছন্দ বেগুনের ভাজি, ওলিভার সালাদ এবং কলিজা। সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি সাধারণত আদা চা পান এবং খুব কমই অ্যালকোহল গ্রহণ করেন।• যানবাহন ও বিমানবিদেশ সফরে পুতিন যে বুলেটপ্রুফ অরাস সেনাট লিমুজিনে ভ্রমণ করেন, সেটি গ্রেনেড-প্রতিরোধী, জরুরি অক্সিজেন ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপণ প্রযুক্তি ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে। তার ইলিউশিন আইএল-৯৬-৩০০পিইউ বিমান, ‘‘ফ্লাইং প্লুটন’’ নামে পরিচিত। এতে রয়েছে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা, জিম, চিকিৎসাকেন্দ্র, কনফারেন্স রুম এবং পারমাণবিক হামলার অনুমোদন দেওয়ার সরঞ্জামও।• বর্জ্য স্যুটকেসপুতিনের সফরের সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো দেহরক্ষীরা তার মল সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ ব্যাগ বহন করেন। প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা গোপন রাখার লক্ষ্যে তার দেহরক্ষীরা এই ব্যাগ বা ভ্রাম্যমাণ টয়লেট বহন করেন।বিদেশি শক্তিরা যাতে পুতিনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে না পারেন, সে জন্য এই অস্বাভাবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দ্য এক্সপ্রেস ইউএস বলেছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন বিদেশ সফরে গেলে দেহরক্ষীরা তার মল সংগ্রহ করে তা রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যান।দেহরক্ষীরা বিশেষভাবে এসব সংগ্রহ করে সিলমোহর লাগানো ব্রিফকেসে সংরক্ষণ করেন। যা পরে মস্কোতে পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়া দেখা গেছে ২০১৭ সালের ফ্রান্স, ২০১৯ সালের সৌদি আরব এবং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা সম্মেলনেও।বিবিসির সাবেক সাংবাদিক ফারিদা রুস্তামোভাও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক বার বিদেশ সফরে পুতিন একটি ব্যক্তিগত টয়লেট ব্যবহার করেন। ১৯৯৯ সালে নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি এ নিয়ম মেনে চলছেন।এবি
    সুরঙ্গে আটকা ৪০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে আটকে থাকা প্রায় ৪০ হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজার দক্ষিণের ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে।ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে রাফার বিভিন্ন সুড়ঙ্গে প্রায় ২০০ জন হামাস যোদ্ধা আটকা রয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এ সময় অনেকে নিহত হয়েছেন এবং কেউ কেউ আত্মসমর্পণ করেছেন।হামাস যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের বিনিময়ে তাদেরকে উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টায় চুক্তির আলোচনা শুরু করেছিলেন ওয়াশিংটনসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীরা। কিন্তু সেই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় রাফার সুরঙ্গে এখনও বহু হামাস যোদ্ধা আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত যুক্তেরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ওই চুক্তি পুরো গাজা উপত্যকায় হামাসকে নিরস্ত্র করার বৃহত্তর প্রক্রিয়ার জন্য পরীক্ষা হবে।বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন স্থানীয় কমান্ডার রয়েছেন। এছাড়া নিহতদের মধ্যে হামাসের নির্বাসিত নেতা গাজি হামাদের ছেলেও রয়েছেন।হামাসের কয়েকটি সূত্র কমান্ডার মোহাম্মদ আল-বাওয়াবের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য জানায়নি। এছাড়া দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন সুরঙ্গে এখন পর্যন্ত ঠিক কতজন যোদ্ধা আটকে আছেন কিংবা সংঘর্ষে কতজন মারা গেছেন সেই বিষয়েও কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি হামাস।গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র ইসরায়েলি বাহিনীর ৪০ হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।সূত্র: রয়টার্সএবি 
    হিজবুল্লাহ ও হুতির সম্পদ জব্দ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানালো ইরাক
    ভুলবশত লেবানন ও ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও হুতির সম্পদ জব্দের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনার পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছে ইরাক। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী দুটিকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ইরাকের বিচার মন্ত্রণালয়ের সরকারি গেজেটে এমন সব গোষ্ঠী ও সত্তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, যাদের তহবিল ব্লক বা জব্দ করা হবে। সেই তালিকায় হিজবুল্লাহ ও হুতির নাম উল্লেখ করা হয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ওয়াশিংটন স্বাগত জানাতো এবং একই সঙ্গে তেহরানের ওপর চাপ আরও বাড়াত।রয়টার্সকে দুটি ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নরের পাঠানো এক চিঠিতে সন্ত্রাসীদের তহবিল জব্দ সংক্রান্ত কমিটিকে হিজবুল্লাহ ও হুতির নাম সংবলিত ধারাটি তালিকা থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।মালয়েশিয়ার অনুরোধের জবাবে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি বলেন, ইরাক কেবল ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পদ জব্দের অনুমোদন দিয়েছে।তিনি জানান, এ ভুলের জন্য দায়িত্বশীলদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জরুরি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুদানি আরও বলেন, ‘লেবানন বা ফিলিস্তিনে আমাদের জনগণের উপর আগ্রাসন সম্পর্কে ইরাকের রাজনৈতিক ও মানবিক অবস্থান "নীতিগত এবং অতিরঞ্জিত নয়।’এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরাকের কাতায়েব হিজবুল্লাহ-সংশ্লিষ্ট একটি জোটের প্রতিনিধিত্বকারী আইনপ্রণেতা হুসেইন মুয়ানেস। তিনি সরকারের আচরণকে “দায়িত্বজ্ঞানহীন” বলে আখ্যা দেন এবং অভিযোগ করেন, সরকার এখন একটি অধস্তন কর্তৃপক্ষে পরিণত হয়েছে, যার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার বা ইরাকের সার্বভৌমত্ব রক্ষার মতো মর্যাদা নেই।ইরাকের সংশ্লিষ্ট কমিটি জানিয়েছে, ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত তালিকাটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৩৭৩ অনুসারে কেবল ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সত্তাগুলোকেই অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।তবে চূড়ান্ত সংশোধন শেষ হওয়ার আগেই তালিকাটি প্রকাশিত হওয়ায় বেশ কয়েকটি সম্পর্কহীন গোষ্ঠী এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, সংশোধিত তালিকাটি শিগগিরই সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হবে। এ ঘটনায় মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি হিজবুল্লাহ ও হুতি।রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ইরানের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছে। এসব দেশে তেহরানের তথাকথিত ‘প্রতিরোধ অক্ষ’-এর আওতায় থাকা বিভিন্ন মিত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, যেগুলো ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় বড় ধাক্কা খেয়েছে।আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরান তার প্রতিবেশী ও মিত্র ইরাককে নিজের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়েরই অংশীদার বাগদাদ বর্তমানে এক জটিল কূটনৈতিক ভারসাম্যের মধ্যে রয়েছে। কারণ ইরানকে চাপে রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ফলে ইরাক সরাসরি চাপের মুখে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।ইরাকের ভেতরে শক্তিশালী শিয়া মিলিশিয়া ও তাদের সমর্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে ইরান। তবে গত এক বছরে তেহরানের মিলিশিয়া প্রক্সিদের ওপর ইসরায়েলের প্রচণ্ড আঘাতে ইরান অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের প্রতি তাদের সংবেদনশীলতাও বাড়িয়ে দিয়েছে।এবি 
    পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা
    পেন্টাগনের নতুন রিপোর্টিং নীতিকে অসাংবিধানিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনের যুক্তরাষ্ট্র জেলা আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। মামলাটিতে বলা হয়, পেন্টাগনের আরোপিত নতুন নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বা ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টের সরাসরি লঙ্ঘন।মামলার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া পেন্টাগনের নতুন প্রেস অ্যাক্সেস বা সাংবাদিক প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বাতিল করা। নিউইয়র্ক টাইমসের অভিযোগ, এই নীতির ফলে মারাত্মকভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে সাংবাদিকদের কাজ করার স্বাধীনতা।মামলায় উল্লেখ করা হয়, পেন্টাগন রিপোর্টারদের যে ২১ পৃষ্ঠার একটি চুক্তিতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছিল, তা আইনবিরোধী ও অসাংবিধানিক। এই নীতির প্রতিবাদে নিউইয়র্ক টাইমসের ছয়জন সাংবাদিকসহ বহু সাংবাদিক তাদের পেন্টাগন অ্যাক্সেস ব্যাজ জমা দিয়ে দেন।মামলায় বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকরা যা বহুদিন ধরে করে আসছেন যেমন—সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা, তথ্য সংগ্রহ করা এবং জনস্বার্থে প্রতিবেদন প্রকাশ করা সেই বিষয়গুলোকে সীমিত করা।নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তারা সর্বাত্মকভাবে এই অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, ‘এই নীতিমালা সরকারের অপছন্দের প্রতিবেদন নিয়ন্ত্রণের একটি চেষ্টা, যা সংবিধানের প্রথম ও পঞ্চম সংশোধনীতে প্রদত্ত মুক্ত গণমাধ্যমের তথ্য সংগ্রহের অধিকারকে লঙ্ঘন করে।’এই মামলায় বিবাদী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছে নিউইয়র্ক টাইমস কোম্পানি এবং তাদের একজন প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিবেদক।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, যাকে বর্তমানে ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার নামেও অভিহিত করা হচ্ছে, তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি।তবে পেন্টাগনের দাবি, এই নীতিমালা কোনো নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য করে নয়, বরং এর লক্ষ্য হলো এমন তথ্যফাঁস ঠেকানো, যা সামরিক অভিযান ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করতে পারে। তবে এই নতুন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদমাধ্যম তীব্র আপত্তি জানায়। গত অক্টোবরে পাঁচটি বড় সম্প্রচারমাধ্যম ঘোষণা দেয়, তারা পেন্টাগনের আরোপিত এই চুক্তিতে সই করবে না।নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সরকার অনুমোদিত নয় এমন কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি গোপনীয়তা তুলে নেওয়া তথ্য কিংবা অফ দ্য রেকর্ড আলাপচারিতাও প্রকাশ করা যাবে না, তা পেন্টাগন চত্বরে হোক কিংবা বাইরে। এই নিয়মে সই না করলে পেন্টাগনে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার স্থগিত হয়ে যেতে পারে।এবি 
    দিল্লিতে পা রাখলেন পুতিন, বিমানবন্দরে স্বাগত জানালেন মোদি
    ভারতের দিল্লিতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছান তিনি। পালাম বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাবেন। শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) উভয় পক্ষের আলোচনা শুরু হওয়ার আগে পুতিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হবে। আলোচনার পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেবেন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি পুতিনের প্রথম ভারত সফর।  এদিকে, পুতিনের দু’দিনের এই সফরের আগেই রাশিয়ার পার্লামেন্ট ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক সামরিক চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসা পুতিনের এই সফরে সামরিক, বাণিজ্য ও খনিজ তেলের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, রুশ পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়া চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের সামরিক বাহিনী একে অপরকে লজিস্টিক্যাল সহায়তা দেবে, অর্থাৎ এক দেশের বাহিনী অপর দেশে গিয়ে সামরিক পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে।   এছাড়াও পুতিনের সফর শুরুর ঠিক আগেই তার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে রাশিয়া কতটা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে, তা নির্ভর করছে ভারত কতটা এগিয়ে আসতে চায়, তার ওপরে।এমআর-২
    দোকানে ঢুকে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে পড়ে রইল বন্য প্রাণী
    যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় মদের দোকানে প্রবেশ করে অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়েছে একটি বন্য প্রাণী। দোকানটিতে একটি বন্য র‌্যাকুন প্রবেশ করে মদ পান করে। প্রাণীটি এতই বেশি মদ খায় যে এটি দোকানের ভেতরই মাতাল অবস্থায় পড়ে থাকে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত শনিবার দোকানটির কর্মীরা এসে দেখেন কয়েকটি মদের বোতল ভাঙা। এরপর তারা দোকানের ওয়াশরুমে একটি র‌্যাকুনকে পড়ে থাকতে দেখেন।প্রাণী নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন জানিয়েছেন, র‌্যাকুনটি দোকানের ছাদের কোনো অংশ দিয়ে প্রথমে ভেতরে পড়ে যায়। ওই সময় হয়ত কোনো বোতল ভেঙে যায়। এরপর এটির ধাক্কায় আরও কয়েকটি বোতল মাটিতে পড়ে ভাঙে। এরপর মাটিতে পড়া মদগুলো খায় এটি। আর খাওয়ার পরিমাণ এত বেশি ছিল যে এটি সম্পূর্ণ মাতাল হয়ে যায়।দোকানের সিসি ক্যামেরা খুব বেশি স্পষ্ট ছিল না। ফলে এটি কতটুকু মদ পান করেছে সেটি নিশ্চিত নয়।মাতাল হয়ে র‌্যাকুনটি কয়েক ঘণ্টা ধরে ঘুমায়। এটিকে একটি প্রাণী আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।সূত্র: বিবিসিএমআর-২
    চীনের পর এবার ভূমিকম্পে কাঁপল যুক্তরাজ্য
    এবার যুক্তরাজ্যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ (বিজিএস) সংস্থা বলছে, এ ৩.৩ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে।বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পটি ল্যাঙ্কাশায়ার এবং সাউদার্ন লেক ডিস্ট্রিক্টজুড়ে অনুভূত হয়, যার মধ্যে কেন্ডাল এবং উলভারস্টন শহরও অন্তর্ভুক্ত। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ল্যাঙ্কাশায়ারের ল্যাঙ্কাস্টারের সিলভারডেল থেকে ১২ মাইল দূরে অবস্থিত বলে জানা গেছে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যাঙ্কাশায়ারের সিলভারডেল উপকূলের ঠিক কাছে ১.৮৬ মাইল গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য কেন্দ্রস্থল থেকে ৪.৮ মাইল (৭.৭ কিমি) দূরে কার্নফোর্থে বসবাসকারী ক্যাটরিনা সিমন্স বলেন, রাতের এ কম্পনে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি ভয় পেয়ে যান।   তিনি বলেন, ‘ঝাঁকুনিতে আমি ঘুম থেকে উঠে যাই। মনে হচ্ছিল কেউ গাড়ি চালিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে।’ সিমন্সের মতো স্থানীয় অনেক বাসিন্দাই এতে আতাঙ্কিত হয়ে পড়েন, যাদের বেশিরভাগই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। বিজিএস প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০০টি ভূমিকম্প শনাক্ত করে, কিন্তু এর খুব কমই সাধারণ মানুষ অনুভব করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইলএমআর-২
    এবার চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
    চীনের উত্তর-পশ্চিমের জিনজিয়াং অঞ্চলে ৬.০ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) চীনের ভূমিকম্প কেন্দ্র চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কস সেন্টার (সিইএনসি) এই ভূমিকম্পের তথ্য নিশ্চিত করেছে।জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে কিরগিজস্তানের সীমান্ত রয়েছে। জিনজিয়াংয়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পে কিরগিজস্তানের সীমান্তের কিছু এলাকাও কেঁপে উঠেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।সিইএনসি জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা ৪৪ মিনিটে কিরগিজস্তান-শিনজিয়াং সীমান্তের কাছের আকচি কাউন্টিতে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার এই ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) ভূগর্ভে উৎপত্তি হয়েছে।চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত কোনও হতাহত কিংবা ভবন ধসে পড়ার তথ্য পায়নি কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, আকচি কাউন্টির সব জেলার সড়ক, বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিকভাবে সচল রয়েছে।সিইএনসি জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল আকচি থেকে ৪১ দশমিক ১৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৮ দশমিক ৪০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।সূত্র: রয়টার্স, সিনহুয়া।এমআর-২
    বিয়েতে রসগোল্লা কম পড়ায় তুমুল মারামারি, বরপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা
    বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ-উৎসব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এবার সামনে এসেছে ভিন্ন ঘটনা। রসগোল্লা কম পড়ায় বিয়ে বাড়িতে ঘটেছে তুমুল মারামারি। এখানেই শেষ নয়, এ ঘটনা গড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশে।বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় বিয়ে ভেঙে গেছে। এরপর বরপক্ষের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছে কনের পরিবার। ভারতের বিহারের বুদ্ধগয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি বুদ্ধগয়ার একটি হোটেলে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে রসগোল্লা কম পড়ায় পাত্র এবং পাত্রীর পরিবারের মধ্যে কার্যত লড়াই বেঁধে যায়।সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ একে অপরকে ঘুষি, ধাক্কা এমনকি চেয়ার তুলে মারামারি শুরু করেন। গত ১৯ নভেম্বরে এমন কাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ দিন হোটেলে বিয়ের আয়োজন করা হয়। এতে বিয়ের আচার মিটতেই পাত্র পক্ষের লোকজন রসগোল্লা কম পড়ায় অভিযোগ করেন। এরপর মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ আসে।পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মারামারিতে দু’পক্ষের কয়েক জন আহত হন। এরপর বরপক্ষের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করে কনের পরিবার।পাত্রের বাবা বলেন, রসগোল্লার ঘাটতি নিয়েই মারামারি হয়েছিল। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, তারা বিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু কনের পরিবার বেঁকে বসেছিল।অন্যদিকে কনের মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য আনা গয়না নিয়ে গেছে পাত্রের পরিবার। কনের কাকা জানান, এত কিছুর পরেও তারা সমঝোতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।এমআর-২
    সপ্তাহে ৩ দিন বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট যাবে পাকিস্তানে
    প্রায় ১৩ বছর বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে ঢাকা-করাচির আকাশপথ। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন খান বলেছেন, ঢাকা-করাচি রুটে সপ্তাহে তিনটি সরাসরি ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের পর দ্য নিউজ-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, “হ্যাঁ, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করছি। আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থা করাচিতে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।”রুটটি ভারতীয় আকাশসীমার উপর দিয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভারতীয় বিমান যেমন বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে, তেমনি বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটও ভারতের উপর দিয়ে উড়বে।”পাকিস্তানের সরকারি একটি সূত্র দ্য নিউজকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান আকাশসীমার নিষেধাজ্ঞার কারণে, বর্তমানে পাকিস্তানের বিমান সংস্থাগুলোর ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার কোনো তাৎক্ষণিক সম্ভাবনা নেই।বাংলাদেশের হাইকমিশনার ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে তরুণ কূটনীতিকদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এ ধরনের অধিবেশনগুলো এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণ কূটনীতিকদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের সুযোগ করে দিচ্ছে।হাইকমিশনার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য, যোগাযোগ ও সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু সীমিত প্রবেশাধিকার, সীমান্ত বিধিনিষেধ ও আঞ্চলিক রাজনীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারণ হতে পারে, তবে প্রবেশাধিকারের সীমাবদ্ধতা এখনও সবচেয়ে বড় বাধা। তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে রেলপথ দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যকে সহজতর করেছিল, কিন্তু এখন পাকিস্তানের খেজুর দুবাই হয়ে আঞ্চলিক বাজারে পৌঁছায়।তিনি বলেন, সরাসরি প্রবেশাধিকার অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং কৃষকদের আয় বাড়াবে। কাশ্মীরের শতাব্দী প্রাচীন পশমিনা শিল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, খেজুর ও পশমিনার মতো ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলোকে সরাসরি বাজার রুট দেওয়া হলে বাণিজ্যের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।হাইকমিশনার ইকবাল বলেন, দুর্বল ভৌগোলিক সংযোগ দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রগতির সবচেয়ে গুরুতর বাধা, যদিও প্রাচীন বাণিজ্য রুটগুলো একসময় কাবুল, পেশোয়ার, ঢাকা ও মায়ানমারকে সংযুক্ত করেছিল।তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো দেশই বিচ্ছিন্নভাবে অগ্রগতি করতে পারে না এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাই একমাত্র বাস্তব উপায়। বিমসটেকের কথা উল্লেখ করে তিনি এটিকে ভারত, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশসহ একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করেন। তবে বলেন যে, সীমান্ত বিধিনিষেধ এবং বৃহত্তর শক্তির আচরণ প্রায়শই আঞ্চলিক আস্থাকে দুর্বল করে দেয়।তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক মানসিকতা, আদর্শিক আধিপত্য এবং আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রতি প্রবণতা প্রায়শই আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো যদি সম্মিলিত অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেয় এবং নীতি নির্ধারণের কেন্দ্রবিন্দুতে সহযোগিতা স্থাপন করে তাহলে আঞ্চলিক বাণিজ্য, সংযোগ এবং ভাগাভাগি উন্নয়নের একটি নতুন যুগ রূপ নিতে পারে।এইচএ

    বিনোদন

    সব দেখুন
    মেহেদি রাঙা হাতের ছবিতে কনার নতুন বিয়ের গুঞ্জন, কৌতূহলী ভক্তরা
    গানের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব দিলশাদ নাহার কনা। মাঝেমধ্যে নিজের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পী। সেই ধারাবাহিকতায় হঠাৎই নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেন গায়িকা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মেহেদি হাতে সেজেছেন তিনি।ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার হাতে মেহেন্দি...’।এরপরই রহস্য ঘনীভূত হয়। হঠাৎ মেহেদি হাতে ছবি কেন গায়িকার সে নিয়ে শোরগোল চলছে। তবে কি কোনো সুখবর দিতে যাচ্ছেন তিনি? নতুন করে বাঁধছেন ঘর? কে সেই পাত্র? এমনই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে কনার পোস্টে অভিনন্দনও জানাচ্ছেন।তবে এই রহস্য খোলাসা করতে চাননি গায়িকা। যেন আরও ঘনীভূত করলেন। কনা বলেন, ‘এখন কিছুই বলতে চাচ্ছি না। থাকুক না রহস্য। সঠিক সময় আসলে সবাই জানতে পারবে।’সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বিয়ে করেন গোলাম মো. ইফতেখার গহীনকে। তারা ৬ বছর সংসারের পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে ২৫ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তা দেন কনা।এরপর থেকেই শোনা যাচ্ছে, শিল্পীর ব্যক্তি জীবনেও দুষ্টু কোকিলের আগমন ঘটেছে। সেই কোকিলের উদাসী ডাকে সাড়া দিয়েই ভাঙতে চলেছে কনার ৬ বছরের সংসার।একটি সূত্রে জানা গেছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন কনা। তিনি মো. শাহরিয়ার সাঈদ (শুভ্র) নামের এক গিটারিস্টের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের এই পরকীয়া সম্পর্ক চলমান। শিগগির তারা বিয়েও করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন গানের ভুবনে তাদের প্রেম ‘ওপেন সিক্রেট’। বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের প্রায় সবাই জানেন। তারই সঙ্গে গোপনে সেরেছেন বিয়ে। আর সেই বিয়েরই মেহেদি হাতের ছবিটি তিনি আজ পোস্ট করেছেন বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।এদিকে সদ্যই অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয়েছে বিকেএসপির প্রথম থিম সং। সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনা। এ ছাড়াও নতুন বেশ কিছু গান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন গায়িকা।এইচএ
    বিয়ে করলেন পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান
    নতুন জীবনে পা রাখলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান। বহুদিন কিছুটা নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন এই পরিচালক। এবার প্রকাশ্যে জানালেন তার বিয়ের বিষয়টি।সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে সবার কাছে দোয়া চান আরিয়ান। যদিও কবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। নিজের পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, ‘যে মানুষটা চায় আপনার জীবনে ভালো কিছু আসুক, সেই আপনার জীবনে আসা সবচেয়ে ভালো কিছু।’জানা গেছে, আরিয়ানের স্ত্রী তাহসিন তামান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। পরিচালক জানান, তাদের পরিচয় ৭ বছরের। আগামী ঈদুল ফিতরের পর আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, সহকর্মীদের নিয়ে বড় আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান করবেন তারা।রোমান্টিক ঘরানার নির্মাতা হিসেবে পরিচিত মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় রয়েছে অর্ধশতাধিক নাটক। তার নির্মিত ‘বড় ছেলে’ নাটকটি তাকে এনে দিয়েছে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা।নতুন জীবনের শুরুতে ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীরা ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন এই নবদম্পতি।এইচএ
    মেয়ের বাবা হলেন সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল
    প্রথম সন্তানের বাবা হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইমরান দম্পতির কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান।ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নিজেই সুখবরটি জানিয়েছেন গায়ক। তিনি লিখেছেন, 'আলহামদুলিল্লাহ প্রথম বারের মতো বাবা হলাম। আল্লাহ আমাকে একটি সুন্দর সুস্থ কন্যা সন্তান উপহার দিয়েছেন। আমাদের ছোট্ট মেয়ের আগমন আমাদের জীবনকে আরও রঙিন করে দেবে ইনশাআল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন আমার স্ত্রী ও মেয়ের জন্য আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ রাখেন, আমিন।”ইমরান জানান, তাদের কন্যার নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।২০২৩ সালের ২৪ মে পারিবারিক আয়োজনে মেহের আয়াত জেরিনকে বিয়ে করেন তিনি।২০০৮ সালে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পথচলা শুরু করেন ইমরান মাহমুদুল। এরপর একক গায়ক, সংগীত পরিচালক ও নির্মাতা-বহুমাত্রিক পরিচয়ে গত এক যুগে তিনি হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম সফল সংগীতশিল্পী। তার কণ্ঠের বহু গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।এসকে/আরআই
    ব্যক্তিজীবন নিয়ে অপুকে যে পরামর্শ দিলেন শাকিব
    নতুন উদ্যমে কাজে ফিরতে যাচ্ছেন অপু বিশ্বাস। গুঞ্জন ভাসছে সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই শুরু হতে যাচ্ছে তার নতুন রোমান্টিক-অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ছবিটির শুটিং, যেখানে তার নায়ক হিসেবে দেখা যাবে আদর আজাদ।ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সরব থাকেন। ভক্তদের মাঝে শেয়ার করেন তার ঘুরে বেড়ানোর ছবি। কিছু দিন আগে এই চিত্রনায়িকাকে দেখা যায় লন্ডন ব্রিজের সামনে বসে ফটোশুট করতে। ঢালিউড কুইন’খ্যাত অপু বিশ্বাস আবারও সেই চেনা জগতে ফিরতে চান। নিজেকে তৈরি করছেন সেই আঙ্গিকে।বেশ লম্বা বিরতির পর নতুন উদ্যমে কাজে ফিরতে যাচ্ছেন অপু বিশ্বাস। গুঞ্জন ভাসছে সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই শুরু হতে যাচ্ছে তার নতুন রোমান্টিক-অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ছবিটির শুটিং, যেখানে তার নায়ক হিসেবে দেখা যাবে আদর আজাদকে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আসা এক প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস স্পষ্ট করেন, পেশাগত জায়গায় ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার একই বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়া প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস জানান, তিনি এমন কোনো কথা বলতে চান না যা তাকে বারবার বিতর্কের মুখে ফেলবে। এমন কোনো কথা আমি আপনাদেরকে বলে বিতর্ক সৃষ্টি করব না, যেটা দিয়ে বারবার আমাকেই আপনারা তীর ছুড়ে দেবেন। সো আমার কাছে মনে হয় যে, এমন কোনো প্রশ্ন, এমন কোনো টপিক আমি মিডিয়াতে বলবো না, যেটা আমাকেই বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করবে। নিজের সুন্দর চেহারার রহস্য কী- এমন প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, আমি যতটুকু জানি, মানুষ নাকি ভালোবাসা পেলে সুন্দর হয়। তো আমি মনে হয় আমার ভক্ত, দর্শক, ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসা পেয়েই সুন্দর হয়েছি।অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক অপু বিশ্বাসের ছেলে জয় ও শাকিব খানের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রশ্নের উত্তরে মৃদু হেসে অপু বিশ্বাস পাল্টা প্রশ্ন করেন, আচ্ছা, বাবা-ছেলের সম্পর্ক একচুয়ালি কেমন, এটা প্রশ্নের মধ্যে পড়ে?এরপরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন অপু বিশ্বাস। তিনি জানান, শাকিব খান তাকে ব্যক্তিগত জীবনের কথা পেশাগত জায়গায় না আনার পরামর্শ দিয়েছেন। নায়িকা বলেন, আমাকে লিটারেলি আপনি যে মানুষটির নাম বললেন (শাকিব খান), উনি একজন স্বনামধন্য অভিনেতা। ... উনি যখন আপনাদেরকে ফেস করে, তখন উনি ওনার কাজের জায়গাটাই আপনাদের কাছে ফেস করে। ... সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি নিজেও আসলে... আমাকে উনিই বলেছেন, যে তুমি যখন ক্যামেরার জায়গায় যাবা, তখন তুমি কিন্তু শুধু একজন অপু বিশ্বাস। সো তুমি তোমার প্রফেশনটাকে প্রেজেন্ট করো, ব্যক্তি জায়গাকে না।এইচএ

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    আজ বাজারে আসছে নতুন ডিজাইনের ৫০০ টাকার নোট
    বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সিরিজের আরও একটি নোট বাজারে ছাড়ছে। দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যকে থিম করে তৈরি “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য” শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোট আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো প্রচলনে আসছে।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরযুক্ত এই নতুন নোটটি আজ প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও বাজারে ছাড়া হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ৫০০ টাকার নোটে থাকছে শহীদ মিনার ও সুপ্রিম কোর্ট। ১৫২ মি.মি. × ৬৫ মি.মি. আকারের নতুন ৫০০ টাকার নোটের সম্মুখভাগে রয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি। পেছনের অংশে মুদ্রিত হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা। নোটটিতে জলছাপ হিসেবে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ এবং নিচে ইলেকট্রোটাইপ ‘৫০০’। সবুজ রঙের আধিক্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে নোটের ডিজাইন আরও আধুনিক ও নিরাপদ।১০ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: নোটটিতে মোট ১০ ধরনের উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ডানদিকে থাকা মূল্যমান ‘500’ উন্নত রং–পরিবর্তনশীল কালি দিয়ে ছাপা। নোট নাড়াচাড়া করলে রং সবুজ থেকে নীল হয় এবং ভেতরে কোণাকুনি ‘৫০০’ দেখা যায়।বাম পাশে ৪ মি.মি. চওড়া লাল রঙের পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা, যা আলোয় ধরলে ‘৫০০ টাকা’ লেখা স্পষ্ট দেখা যাবে। নাড়াচাড়া করলে লাল অংশ সবুজ হয় এবং সোনালি বার রংধনুর মতো নিচে–ওপরে চলমান দেখা যায়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ডানদিকে নিচে পাঁচটি ছোট উঁচু বৃত্ত। ইন্টাগ্লিও কালি ব্যবহারে শহীদ মিনার, সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন অংশে স্পর্শে উঁচু অনুভূতি পাওয়া যাবে।নোটের বিভিন্ন স্থানে ‘BANGLADESH BANK’ মাইক্রোপ্রিন্ট। UV আলোর নিচে দৃশ্যমান বিশেষ নকশা, সংখ্যা ও রঙিন ফাইবার। উভয় পাশে UV curing varnish থাকায় নোট হবে কিছুটা চকচকে। See-through ইমেজ হিসেবে আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট দেখা যাবে ‘500’।পুরোনো নোটও চালু থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই চালু থাকবে। এছাড়া সংগ্রাহকদের জন্য ৫০০ টাকার নমুনা নোটও মুদ্রণ করা হয়েছে, যা টাকা জাদুঘর বিভাগ, মিরপুর থেকে সংগ্রহ করা যাবে। জাতীয় স্বার্থে সংবাদমাধ্যমগুলোকে এই তথ্য প্রচারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।এইচএ
    ‌‘ব্যবসায়ীদের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আইনগত ভিত্তি নেই’
    দেশের বাজারে ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার এক লাফে লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা।এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। সামগ্রিক একত্রিতভাবে করা এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।'এখন আপনারা কী করবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা আলোচনা করে কর্মপদ্ধতি ঠিক করব। এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।'বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গতকালকে (মঙ্গলবার) আমরা ক্রয় কমিটিতে টিসিবির জন্য তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। সয়াবিন তেল ৫০ লাখ লিটার, রাইস ব্রান তেল এক কোটি লিটার। ওনারা (ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী) আজকে যে দামে বাজারে বিক্রি করছেন, সেটা থেকে প্রায় ২০ টাকা কমে আমাদের তেল দিয়েছেন। তাই বাজারে ২০ টাকা বেশি দামে তেল দেওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ তো আমি খুঁজে পাচ্ছি না। গতকালকেই আমরা তাদের কাছ থেকে কিনেছি।’তাহলে কি ব্যবসায়ীদের ওপর আপনাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমেই জানতে পারবেন, নিশ্চয়ই আছে।’যদি আইন লঙ্ঘন করে থাকে, তবে আপনারা দৃশ্যমান কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন কি না- এ বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘নিশ্চয়ই নেব। কেন নেব না? আইনগতভাবে যে ব্যবস্থাগুলো আছে সবগুলোই নেব।’বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে, আমরা আনন্দের সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা তো সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চাই। সরবরাহ ব্যবস্থা আমরা বিঘ্নিত করতে চাই না।’রমজানের প্রস্তুতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছুরই ভালো প্রস্তুতি রয়েছে। যেখানে যেখানে রাজস্বের ব্যাপারে কর্মকাণ্ড করতে হবে, সরবরাহের ব্যাপারেও...। আমরা দেখেছি আমদানি পর্যায়ের যে পরিমাণ ঋণপত্র খোলার প্রয়োজন, গতবার যা খোলা হয়েছে, সেটা থেকেও বেশি দেখতে পাচ্ছি। তাই সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে না।’এমআর-২
    এবার কমল স্বর্ণের দাম, কার্যকর আজ থেকে
    দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ৫০ টাকা। নতুন দামে ২২ ক্যারেট সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা।গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।নতুন দাম আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সোনার দামে এই সমন্বয় করা হয়েছে।  সোনার নতুন দাম—২২ ক্যারেট : প্রতি ভরি ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা২১ ক্যারেট : প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা১৮ ক্যারেট : প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকাসনাতন পদ্ধতি : প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকাবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে।এদিকে অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের রুপার ভরি চার হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি চার হাজার ৪৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি তিন হাজার ৪৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এইচএ
    নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে আসছে বৃহস্পতিবার
    বাজারে আসছে নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট। আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বাজারে নতুন নোট ইস্যু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নোটটি প্রথমে মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে এবং পরে অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানায়।নতুন ৫০০ টাকার নোটের সামনে রয়েছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি এবং মাঝখানে পাতা ও কলিসহ জাতীয় ফুল শাপলা। আর নোটের পেছনে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি। নোটে জলছাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, যার নিচে ইলেকট্রো টাইপে ‘৫০০’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম দেখা যাবে। পুরো নোটে সবুজ রঙের আধিক্য রাখা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য” শীর্ষক নতুন সিরিজের অংশ হিসেবে এই নোট প্রথমবারের মতো প্রচলনে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নোটে স্বাক্ষর থাকছে গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুরের।নতুন সিরিজে ১০০০, ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোট মুদ্রণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১০০০, ১০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট বাজারে এসেছে।নোটটিতে নিরাপত্তার জন্য মোট ১০ ধরনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রঙ পরিবর্তনশীল কালি— যা নোট নাড়ালে ডান পাশের ‘৫০০’ লেখাটি সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হয়। আবার নোটটিতে লাল ও স্বর্ণালী রঙের পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে, যা আলোতে ধরলে ‘৫০০ টাকা’ লেখা দেখা যাবে।পাশাপাশি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের ডান দিকের নিচে পাঁচটি উঁচু বৃত্ত যুক্ত করা হয়েছে। নোটের শহীদ মিনার, মূল্যমানসহ কিছু অংশ ইন্টাগ্লিও প্রিন্টে করা, যা স্পর্শে উঁচু মনে হবে। এছাড়া নোটে গোপনে ‘৫০০’ লেখা রয়েছে, যা নির্দিষ্ট কোণে ধরলে স্পষ্ট দেখা যায়। নোটের কাগজে লাল, নীল ও সবুজ তন্তু যোগ করা হয়েছে যা বিশেষ আলোতে দৃশ্যমান হয়।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন ৫০০ টাকার নোট চালু হলেও বর্তমানে প্রচলিত পুরনো সব কাগুজে নোট ও কয়েন আগের মতোই চালু থাকবে। পাশাপাশি, মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্য বিশেষ নমুনা (অবিনিময়যোগ্য) ৫০০ টাকার নোট মুদ্রণ করা হয়েছে, যা টাকা জাদুঘর, মিরপুর থেকে নির্ধারিত মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।এমআর-২
    ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ল এলপিজির
    চলতি ডিসেম্বর মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১২৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এলপি গ্যাসের নতুন এই দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এই দাম সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া অটোগ্যাসের দাম ৫৫.৫৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে গত ২ নভেম্বর এলপি গ্যাসের দাম সমন্বয় করেছিল বিইআরসি। ওইসময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি একই দিন ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ১৯ পয়সা কমানো হয় অটোগ্যাসের দাম। ফলে সবশেষ সমন্বয়ের পর বর্তমানে মূসকসহ অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারিত রয়েছে।এইচএ
    এলপিজির দাম বাড়বে কি না, জানা যাবে আজ
    চলতি ডিসেম্বরে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়বে কি না, তা জানা যাবে আজ। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ডিসেম্বর মাসের জন্য এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি জানিয়েছে, সৌদি আরামকো কর্তৃক ঘোষিত ডিসেম্বর, ২০২৫ মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের আদেশ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। ওইদিন বিকেল ৩টায় রমনার ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) শহিদ প্রকৌশলী ভবনের (৬ষ্ঠ তলা) কমিশন কার্যালয়ের শুনানি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দর ঘোষণা করা হবে।এছাড়াও এলপিজির দর ঘোষণা সংক্রান্ত আদেশ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.berc.org.bd) পাওয়া যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, সবশেষ গত ২ নভেম্বর এলপি গ্যাসের দাম সমন্বয় করেছিল বিইআরসি। ওইসময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি একই দিন ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ১৯ পয়সা কমানো হয় অটোগ্যাসের দাম। ফলে সবশেষ সমন্বয়ের পর বর্তমানে মূসকসহ অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারিত রয়েছে।এবি 
    বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার ডাউন, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে ভোগান্তি
    বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার ডাউন হয়ে পড়ায় ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায় বহু গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সার্ভার অচল হয়ে যায় বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কখন সার্ভার স্বাভাবিক হবে তা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। তিনি শুধু জানিয়েছিলেন, সমস্যা সমাধানে কাজ চলমান।সার্ভার ডাউনের প্রভাবে চেক ক্লিয়ারিং, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পেমেন্ট নিষ্পত্তি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি কার্ডভিত্তিক আন্তঃব্যাংক লেনদেন পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) ও সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে গ্রাহকদের আন্তঃব্যাংক লেনদেন, অনলাইন পেমেন্ট ও বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবায় জটিলতা দেখা দিয়েছে।বিভিন্ন ব্যাংক গ্রাহককে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রান্তে এনপিএসবি সেবা সাময়িকভাবে অকার্যকর রয়েছে। সিস্টেম দ্রুত পুনরায় চালু করার চেষ্টা চলছে। এই অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভোল্টেজের ওঠা-নামার কারণে পুরো সিস্টেম অফ হয়ে গেছে। বিকেল ৪টার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে।তিনি আরও জানান, সব ধরনের আন্তঃব্যাংক লেনদেন আপাতত বন্ধ, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ টিম সমস্যাটি সমাধানে কাজ করছে।সার্ভার পুরোপুরি ঠিক হতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত করা না গেলেও, তিনি আশা প্রকাশ করেন শিগগির সেবাগুলো স্বাভাবিক হবে।এমআর-২
    আজ বাজারে আসছে নতুন ডিজাইনের ৫০০ টাকার নোট
    বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সিরিজের আরও একটি নোট বাজারে ছাড়ছে। দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যকে থিম করে তৈরি “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য” শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোট আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো প্রচলনে আসছে।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরযুক্ত এই নতুন নোটটি আজ প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে। পরে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকেও বাজারে ছাড়া হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ৫০০ টাকার নোটে থাকছে শহীদ মিনার ও সুপ্রিম কোর্ট। ১৫২ মি.মি. × ৬৫ মি.মি. আকারের নতুন ৫০০ টাকার নোটের সম্মুখভাগে রয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি। পেছনের অংশে মুদ্রিত হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা। নোটটিতে জলছাপ হিসেবে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ এবং নিচে ইলেকট্রোটাইপ ‘৫০০’। সবুজ রঙের আধিক্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে নোটের ডিজাইন আরও আধুনিক ও নিরাপদ।১০ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য: নোটটিতে মোট ১০ ধরনের উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ডানদিকে থাকা মূল্যমান ‘500’ উন্নত রং–পরিবর্তনশীল কালি দিয়ে ছাপা। নোট নাড়াচাড়া করলে রং সবুজ থেকে নীল হয় এবং ভেতরে কোণাকুনি ‘৫০০’ দেখা যায়।বাম পাশে ৪ মি.মি. চওড়া লাল রঙের পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা, যা আলোয় ধরলে ‘৫০০ টাকা’ লেখা স্পষ্ট দেখা যাবে। নাড়াচাড়া করলে লাল অংশ সবুজ হয় এবং সোনালি বার রংধনুর মতো নিচে–ওপরে চলমান দেখা যায়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ডানদিকে নিচে পাঁচটি ছোট উঁচু বৃত্ত। ইন্টাগ্লিও কালি ব্যবহারে শহীদ মিনার, সুপ্রিম কোর্টসহ বিভিন্ন অংশে স্পর্শে উঁচু অনুভূতি পাওয়া যাবে।নোটের বিভিন্ন স্থানে ‘BANGLADESH BANK’ মাইক্রোপ্রিন্ট। UV আলোর নিচে দৃশ্যমান বিশেষ নকশা, সংখ্যা ও রঙিন ফাইবার। উভয় পাশে UV curing varnish থাকায় নোট হবে কিছুটা চকচকে। See-through ইমেজ হিসেবে আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট দেখা যাবে ‘500’।পুরোনো নোটও চালু থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই চালু থাকবে। এছাড়া সংগ্রাহকদের জন্য ৫০০ টাকার নমুনা নোটও মুদ্রণ করা হয়েছে, যা টাকা জাদুঘর বিভাগ, মিরপুর থেকে সংগ্রহ করা যাবে। জাতীয় স্বার্থে সংবাদমাধ্যমগুলোকে এই তথ্য প্রচারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।এইচএ
    ‌‘ব্যবসায়ীদের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আইনগত ভিত্তি নেই’
    দেশের বাজারে ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার এক লাফে লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা।এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানতো না। আমরা আধা ঘণ্টা আগে এটা জেনেছি। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্রিত হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। সামগ্রিক একত্রিতভাবে করা এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।'এখন আপনারা কী করবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা আলোচনা করে কর্মপদ্ধতি ঠিক করব। এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।'বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, গতকালকে (মঙ্গলবার) আমরা ক্রয় কমিটিতে টিসিবির জন্য তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। সয়াবিন তেল ৫০ লাখ লিটার, রাইস ব্রান তেল এক কোটি লিটার। ওনারা (ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী) আজকে যে দামে বাজারে বিক্রি করছেন, সেটা থেকে প্রায় ২০ টাকা কমে আমাদের তেল দিয়েছেন। তাই বাজারে ২০ টাকা বেশি দামে তেল দেওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ তো আমি খুঁজে পাচ্ছি না। গতকালকেই আমরা তাদের কাছ থেকে কিনেছি।’তাহলে কি ব্যবসায়ীদের ওপর আপনাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমেই জানতে পারবেন, নিশ্চয়ই আছে।’যদি আইন লঙ্ঘন করে থাকে, তবে আপনারা দৃশ্যমান কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন কি না- এ বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘নিশ্চয়ই নেব। কেন নেব না? আইনগতভাবে যে ব্যবস্থাগুলো আছে সবগুলোই নেব।’বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কোনো কারণ থাকে, আমরা আনন্দের সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা তো সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চাই। সরবরাহ ব্যবস্থা আমরা বিঘ্নিত করতে চাই না।’রমজানের প্রস্তুতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছুরই ভালো প্রস্তুতি রয়েছে। যেখানে যেখানে রাজস্বের ব্যাপারে কর্মকাণ্ড করতে হবে, সরবরাহের ব্যাপারেও...। আমরা দেখেছি আমদানি পর্যায়ের যে পরিমাণ ঋণপত্র খোলার প্রয়োজন, গতবার যা খোলা হয়েছে, সেটা থেকেও বেশি দেখতে পাচ্ছি। তাই সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে না।’এমআর-২
    এবার কমল স্বর্ণের দাম, কার্যকর আজ থেকে
    দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার ভরিতে দাম কমেছে ১ হাজার ৫০ টাকা। নতুন দামে ২২ ক্যারেট সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা।গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।নতুন দাম আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম কমায় সোনার দামে এই সমন্বয় করা হয়েছে।  সোনার নতুন দাম—২২ ক্যারেট : প্রতি ভরি ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা২১ ক্যারেট : প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা১৮ ক্যারেট : প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকাসনাতন পদ্ধতি : প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকাবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে।এদিকে অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের রুপার ভরি চার হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি চার হাজার ৪৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি তিন হাজার ৪৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এইচএ
    নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে আসছে বৃহস্পতিবার
    বাজারে আসছে নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট। আগামী বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বাজারে নতুন নোট ইস্যু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। নোটটি প্রথমে মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে এবং পরে অন্যান্য অফিস থেকেও পাওয়া যাবে।মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানায়।নতুন ৫০০ টাকার নোটের সামনে রয়েছে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি এবং মাঝখানে পাতা ও কলিসহ জাতীয় ফুল শাপলা। আর নোটের পেছনে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি। নোটে জলছাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, যার নিচে ইলেকট্রো টাইপে ‘৫০০’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম দেখা যাবে। পুরো নোটে সবুজ রঙের আধিক্য রাখা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, “বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য” শীর্ষক নতুন সিরিজের অংশ হিসেবে এই নোট প্রথমবারের মতো প্রচলনে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নোটে স্বাক্ষর থাকছে গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুরের।নতুন সিরিজে ১০০০, ৫০০, ২০০, ১০০, ৫০, ২০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোট মুদ্রণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১০০০, ১০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট বাজারে এসেছে।নোটটিতে নিরাপত্তার জন্য মোট ১০ ধরনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রঙ পরিবর্তনশীল কালি— যা নোট নাড়ালে ডান পাশের ‘৫০০’ লেখাটি সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হয়। আবার নোটটিতে লাল ও স্বর্ণালী রঙের পেঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে, যা আলোতে ধরলে ‘৫০০ টাকা’ লেখা দেখা যাবে।পাশাপাশি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য নোটের ডান দিকের নিচে পাঁচটি উঁচু বৃত্ত যুক্ত করা হয়েছে। নোটের শহীদ মিনার, মূল্যমানসহ কিছু অংশ ইন্টাগ্লিও প্রিন্টে করা, যা স্পর্শে উঁচু মনে হবে। এছাড়া নোটে গোপনে ‘৫০০’ লেখা রয়েছে, যা নির্দিষ্ট কোণে ধরলে স্পষ্ট দেখা যায়। নোটের কাগজে লাল, নীল ও সবুজ তন্তু যোগ করা হয়েছে যা বিশেষ আলোতে দৃশ্যমান হয়।বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন ৫০০ টাকার নোট চালু হলেও বর্তমানে প্রচলিত পুরনো সব কাগুজে নোট ও কয়েন আগের মতোই চালু থাকবে। পাশাপাশি, মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্য বিশেষ নমুনা (অবিনিময়যোগ্য) ৫০০ টাকার নোট মুদ্রণ করা হয়েছে, যা টাকা জাদুঘর, মিরপুর থেকে নির্ধারিত মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে।এমআর-২
    ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ল এলপিজির
    চলতি ডিসেম্বর মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৩৮ টাকা বাড়িয়ে ১২৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এলপি গ্যাসের নতুন এই দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এই দাম সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া অটোগ্যাসের দাম ৫৫.৫৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে গত ২ নভেম্বর এলপি গ্যাসের দাম সমন্বয় করেছিল বিইআরসি। ওইসময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি একই দিন ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ১৯ পয়সা কমানো হয় অটোগ্যাসের দাম। ফলে সবশেষ সমন্বয়ের পর বর্তমানে মূসকসহ অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারিত রয়েছে।এইচএ

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    ববি ছাত্রদলের প্রথম কাউন্সিল: তিন পদে লড়বেন ১০ প্রার্থী
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নতুন অধ্যায় সূচিত হতে যাচ্ছে। ৬ ডিসেম্বর (শনিবার) প্রথম কাউন্সিলে তিনটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এর আগে ২০১৬ সালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রথম কমিটি গঠিত হয়। সে সময় রেজা শরিফকে সভাপতি ও হাসান আল হাসিবকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ৩১ মার্চ ২০২১ সালে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রাহাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।কমিটি বিলুপ্তির পর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে ২০২৫ সালের ১১ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দিপু; সঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিংকু এবং তারেক হাসান মামুন।এরপর ২২ মে ক্যাম্পাসে তারা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। ২৯ জুলাই কীর্তনখোলা হল রুমে অনুষ্ঠিত হয় কর্মী সম্মেলন। কর্মী সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় শুরু হয় নতুন কমিটি গঠনের নির্বাচন প্রক্রিয়া।সেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের যাচাই–বাছাই শেষে তিন পদে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে।প্রার্থী তালিকায় সভাপতি পদে লড়বেন ৫ জন মো. সাব্বির হোসাইন, আশিক আহমেদ, মো. মোশাররফ হোসেন, মিনহাজুল ইসলাম ও রাকিব হাসান রকি, সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন ৩ জন, মো. ইত্তেসাফ আর রাফি, মো. আরিফ হোসাইন শান্ত ও মো. ওয়াহিদুজ্জামান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়বেন ২ জন, মো. মিজানুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দ্বিতীয় কমিটি ও প্রথম নির্বাচিত কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের যাত্রা শুরু হবে এমন প্রত্যাশা করছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে।ইখা
    হঠাৎ বদলির আদেশ, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
    আগামী রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা৷ হঠাৎ বদলি আদেশ ও আন্দোলনের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মো. মাহবুবর রহমান দেশের একটি অনলাইন পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা আজ সকালেই ডিজি ও সচিবের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে জানিয়েছিলাম যে, আন্দোলন চলমান থাকলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যেন আওতামুক্ত রাখতে চাই৷ পরে বিকেলে জানতে পারি, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যদি সকালে বৈঠক হয় তবে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার আয়োজন করব। কিন্তু বৈঠক না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপরও আমরা রোববার থেকে পরীক্ষা নেব। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান। তাদের ক্ষতি আমরা চাই না। দুই দিন পিছিয়ে গেছে, কিন্তু এতে শিক্ষাজীবন অচল হবে না।অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকরা অভিভাবকদের চাপে পড়েছেন। অনেকে উত্তেজিত হয়েছেন। কিন্তু বছরের পড়াশোনা শেষ। পরীক্ষা দুই দিন পর হলে বড় সমস্যা হতো না।তিনি আরও জানান, আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে, তবে পরীক্ষাকে আওতামুক্ত রাখা হবে।মাহবুবর রহমান বলেন, রোববার থেকে আমরা পরীক্ষা নেব। কর্মবিরতি চলবে, তবে অন্যান্য কর্মসূচি পরীক্ষার পর অব্যাহত থাকবে। বদলি চাকরিরই অংশ। তাই সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের থামানো যাবে না।এফএস
    আন্দোলনরত প্রাথমিকের ৪২ শিক্ষক নেতাকে অন্য জেলায় বদলি
    তিন দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। এরমধ্যে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় ৪ শিক্ষক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তাদেরকে এ নোটিশ দেওয়া হয়।এদিকে, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৫ নেতাসহ ৪২ সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক আদেশে মন্ত্রণালয় এই বদলির অনুমতি দিয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বদলির অনুমোদন প্রদান করা হল।এদিকে বদলির এই তালিকায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৫ জন নেতার নাম রয়েছে। তারা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি; বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নোয়াখালী সদরের কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শামছুদ্দীন মাসুদ; বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কাশেম, প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক ও জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাহবুবার রহমান এবং কিশোরগঞ্জ মিঠামইন ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মো. মনিরুজ্জামান।আদেশে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকদের প্রত্যেককে পাশের জেলায় বদলি করা হয়েছে। ফলে নিজের কর্মস্থলের জেলায় থাকতে পারবেন না এসব শিক্ষকরা।এর আগে অধিদপ্তর থেকে এক অফিস আদেশে বলা হয়, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর দ. চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মো. শামছুদ্দীন মাসুদকে বিদ্যমান শূন্য পদে প্রশাসনিক কারণে নিজ বেতনস্কেলে নির্দেশক্রমে বদলি করা হল। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে বলে অফিস আদেশে বলা হয়।এফএস
    ববি উপাচার্যের দপ্তরে ‘মূলা’ উপহার পাঠালো ছাত্ররা
    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ‘মূলা’ উপহার দিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (ইশাস) ববি শাখা। বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে সংগঠনের কয়েকজন কর্মী হাতে মূলা নিয়ে ভিসি অফিসে উপস্থিত হন। তাদের ভাষ্য, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একের পর এক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ব্যর্থতার প্রতীক হিসেবেই এই প্রতিবাদ।’ইশাস ববি শাখার সভাপতি হাসিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭-৮ মাস পার হলেও এখনো খেলাধুলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে পারেনি। হিট প্রজেক্টের চূড়ান্ত বোঝাপড়া সম্পন্ন হয়নি বিভাগগুলোর সঙ্গে। কর্মচারীদের বেতন আটকে আছে, ছাত্রসংসদ নির্বাচনেও গড়িমসি চলছে। প্রশাসন শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে, বাস্তবায়ন করছে না। বিভিন্ন সময়ে আমাদের সামনে মূলা ঝুলিয়েছে, তাই আজ আমরা প্রতীকীভাবে মূলাই তাদের অফিসে পৌঁছে দিয়েছি।’প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানামুখী সংকট বিদ্যমান থাকলেও তার কোনো কার্যকর সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসনের আশ্বাস এখন শিক্ষার্থীদের কাছে মূলায় পরিণত হয়েছে। এই মূলা নিতে নিতে আমরা ক্লান্ত।’উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হল সংকট, ক্লাসরুম স্বল্পতা, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের সংস্কার বিলম্ব, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা স্থগিত থাকা এবং শিক্ষকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা—এমন নানা সমস্যায় ভুগছে।এসএম

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    প্রবাসীদের মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন-আমদানি বন্ধসহ ৭ সিদ্ধান্ত
    যেসব প্রবাসীর জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে, তারা ট্যাক্স ছাড়া মোট তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি/ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল আমদানি বন্ধ করা হবে।গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এনবিআর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসির মধ্যকার সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সভায় ৭টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।সভার সিদ্ধান্তসমূহগুলো হলো-১) প্রবাসীরা দেশে ছুটি কাটানোর সময়ে ৬০ দিন পর্যন্ত স্মার্টফোন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। ৬০ দিনের বেশি থাকলেই মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।২) প্রবাসীদের যাদের বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড আছে, তারা ফ্রিতে মোট ৩টি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন ফ্রিতে।চতুর্থ ফোনের ক্ষেত্রে ট্যাক্স দিতে হবে। যাদের বিএমইটি কার্ড নেই তারা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ফ্রিতে আনতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ক্রয়ের বৈধ কাগজটি নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে স্বর্ণ, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে।চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই ক্রয় কৃত মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।৩) স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হবে। এতে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এটা উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে।৪) আমদানি শুল্ক কমালেই বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদনকৃত মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে, অন্যথায় কম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।আমদানি এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো এবং তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূল আসবে বলে মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।  ৫) আপনার অজান্তেই কেউ আপনার নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করছে কিনা সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যে-কোনো সাইবার অপরাধ, অনলাইন স্ক্যামিং, অনলাইন ও মোবাইল জুয়া, মোবাইল ব্যাংকিং জনিত অপরাধে আপনার নামে নিবন্ধিত সিমটি ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অপরাধ এবং রেজিস্ট্রেশন ঝামেলা এড়াতে সবসময় নিজের নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করুন।বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি/ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল আমদানি বন্ধ করা হবে।৬) ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা স্টক ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই নাম্বার আছে, সেই আইএমইআই লিস্ট বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআর-এর সাথে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ফোন এবং রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না।৭) বর্তমানে ব্যবহৃত সচল মোবাইল ফোন কোনোভাবেই ১৬ ডিসেম্বরের আগে বন্ধ হবে না। এ সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকুন। ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে এনইআইআর, সুতরাং বৈধ আইএমইআই নম্বরহীন হ্যান্ডসেট ক্রয় থেকে বিরত থাকুন। অবৈধ আমদানিকৃত, চোরাচালানকৃত এবং ক্লোন ফোন বাংলাদেশে বন্ধ করা হবে।দেশে বিদেশের পুরনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যাবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে।প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ (সংশোধনী) ২০২৫ এ মোবাইল সিমের  ইকেওয়াইসি এবং আইএমইআই রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত ডেটা সুরক্ষার নিশ্চয়তা তৈরি করা হয়েছে। নতুন একটি ধারা যোগ করে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত উপাত্ত লঙ্ঘনকারীদের অপরাধের আওতায় আনা হয়েছে। সুতরাং অযথা ভয় বিস্তারের গুজবে কান না দিতে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।এইচএ
    নতুন লোগো উন্মোচন করলো বাংলালিংক
    নতুন লোগো উন্মোচন করেছে দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। এটিকে অত্যাধুনিক, গ্রাহককেন্দ্রিক ও প্রযুক্তিনির্ভর অপারেটর হিসেবে রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ বাংলালিংক ডিজিটালে রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে এক পোস্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের লোগো পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে। ওই পোস্টে নতুন লোগোর ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়েছে ‘নতুন বাংলালিংকের নতুন শুরু!’। একই সঙ্গে অপারেটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে নতুন লোগো উন্মোচিত হতে দেখা যাচ্ছে।বাংলালিংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, নতুন পরিচয় বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন গ্রুপের বৈশ্বিক লক্ষ্য সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতেও ভূমিকা রাখবে। ভিওনের লক্ষ্য ‘ডিজিটাল অপারেটর অ্যাম্বিশন’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতের সেবা ও পরিসরকে ডিজিটালভাবে এবং গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সমৃদ্ধ করা।২০০৫ সালে চালুর পর এই টেলিকম অপারেটরটি অন্তত পাঁচ বার লোগোতে পরিবর্তন এনেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যাত্রা শুরুর পরপরই বাংলালিংক তাদের ব্র্যান্ড পরিচয়ে বেছে নেয় দেশের জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের রং ও ডোরা। প্রথম লোগোটি ছিল কমলা রঙের একটি বর্গাকার ফ্রেম, তার ওপর বাঘের ডোরার নকশা এবং নিচে ছোট অক্ষরে লেখা বাংলালিংক। টেক্সটের রঙ ছিল কমলা ও সবুজ। একবছর পরেই লোগোতে প্রথম পরিবর্তন আনে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সময়ে বাংলালিংক লেখাটি কমলা রঙের হয়ে যায়।কয়েক বছরের মধ্যেই আবারও বদলে ফেলা হয় লোগো। নতুন নকশায় আসে সাদা বর্ডারসহ থ্রি-ডি কমলা ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যবহার। প্রায় এক দশক ধরে এ থ্রি-ডি লোগোই ছিল বাংলালিংকের ব্র্যান্ড পরিচয়ের মূল অংশ।২০২০ সালের জুলাইতে বিশ্বব্যাপী মিনিমালিজমের প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার নকশাটিও হয় একেবারেই মিনিমাল— হেলভেটিকা ফন্টে লেখা, সাদাসিধে উপস্থাপন। পরিচিত কমলা ক্যানভাস থেকেও বাদ দেওয়া হয় গাঢ় বর্ডার; ক্যানভাসের ওপর ডোরার নকশা হয়ে ওঠে আরও বিমূর্ত ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ।বর্তমানে যোগাযোগ, শিক্ষা, কাজ কিংবা বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই মানুষ ডিজিটাল কানেকটিভিটির ওপর নির্ভরশীল। বাংলালিংকের নতুন এই ব্র্যান্ড পরিচয় উন্নততর ডিজিটাল সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে ভিওনের প্রচেষ্টার প্রতিফলন। ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, বিনোদন উপভোগ, সেলফ-কেয়ার অ্যাপ ব্যবহার কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ এবং গ্রাহকের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে সহজ, নির্ভরযোগ্য ও অর্থবহ করতে নতুন এ ব্র্যান্ড ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলালিংক নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে। অপারেটরটির লক্ষ্য শুধু নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী হিসেবে নয়, বরং গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের কোটি মানুষকে সেবা প্রদান করা। বাংলালিংকের প্রতিটি সেবা শুরু হয় গ্রাহকের প্রয়োজন অনুধাবন করার মধ্য দিয়ে আর শেষ হয় তাদের প্রতিদিনের জীবনের প্রতিটি প্রয়োজন যত্নের সঙ্গে সমাধান করার মাধ্যমে।লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, ‘নতুন এই ব্র্যান্ড পরিচয় শুধু বাহ্যিক পরিবর্তন নয়। এটি আমাদের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের ডিজিটাল অপারেটরের লক্ষ্য এবং আমাদের গ্রাহকদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যের সাহসী পুনর্ব্যক্তি। আমাদের নতুন পরিচয় গতি, উদ্ভাবন ও অগ্রগতির প্রতীক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমরা নির্ভরযোগ্য সংযোগ আর সবার জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চাই। মানুষের জীবনকে আরও সহজ করা এবং অন্যের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত তৈরি করাও আমাদের উদ্দেশ্য।’ইখা
    স্যামসাংয়ের প্রথম মাল্টি-ফোল্ডিং ফোন উন্মোচন, টেক্কা দিতে চায় আইফোনকে
    দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড মোবাইল ফোন। যা ট্রাই-ফোল্ড (তিনভাঁজ) স্মার্টফোন বাজারে কোম্পানির প্রথম পদক্ষেপ। ১০ ইঞ্চির ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও শক্তিশালী হার্ডওয়্যারসহ এই ডিভাইসটি ফোল্ডেবল ফরম্যাটে ডেস্কটপ-স্তরের সুবিধা দেবে।ডিসেম্বরের ১২ তারিখে কোরিয়ায় বাজারে আসছে এই ডিভাইস; যুক্তরাষ্ট্রে এর উন্মোচন হবে ২০২৬ সালের প্রথম প্রান্তিকে। এর দাম অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭ এর প্রায় দ্বিগুণ—দুই হাজার ৪৪৩ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় তিন লাখেরও বেশি। তবে এর আগেও অন্যান্য ফোন নির্মাতা তিন বার ভাঁজ করা যায় (ট্রিপল ফোল্ডিং) এমন ফোন বাজারে এনেছে।স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য নির্মাতারা নতুন নতুন ফিচার ও ডিজাইন চালুর উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে নতুন এই ফোন বাজারে এনেছে স্যামসাং।গত ১৪ বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতার স্থানটি দখল করে রাখার সম্প্রতি জানা গেছে, শিগগির অ্যাপলের কাছে সিংহাসন হারাতে চলেছে স্যামসাং। এই পরিস্থিতিতে নতুন ফোনটি বাজারে আনছে স্যামসাং।আগামী বছরেই বাজারে ফোল্ডিং আইফোন আসছে—এমন গুজব বাজারে বেশ প্রচলিত।ডিজাইন ও ডিসপ্লে: গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড পুরোপুরি খোলা অবস্থায় পুরুত্ব ১২.৯ মিমি এবং ভাঁজের সবচেয়ে পাতলা অংশে মাত্র ৩.৯ মিমি। ওজন ৩০৯ গ্রাম। আগের ট্রাই-ফোল্ড ধারণার মতো অ্যাকর্ডিয়ন-স্টাইল নয়; বরং এটি দু’বার ভাঁজ খুলে বড় ডিসপ্লে তৈরি করে।বাইরের দিকে থাকা কেন্দ্রীয় প্যানেলটি ৬.৫ ইঞ্চির কভার ডিসপ্লে হিসেবে কাজ করে, আর ভেতরের ১০ ইঞ্চির বড় মূল প্যানেল একসঙ্গে পাঁচটি অ্যাপ চালানোর সুযোগ দেয়— যা মোবাইলে ‘ডেস্কটপ-সদৃশ’ মাল্টিটাস্কিং অভিজ্ঞতা তৈরি করে।পারফরম্যান্স ও শক্তি: ডিভাইসটিতে রয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ফর গ্যালাক্সি চিপসেট এবং ১৬ জিবি র্যাম— যা ভারী মাল্টিটাস্কিং ও হাই-এন্ড অ্যাপ চালাতে মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।বড় ভেতরের ডিসপ্লের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ফোনটিতে রয়েছে ৫,৬০০ এমএএইচ ক্ষমতার ট্রিপল-সেল ব্যাটারি।ক্যামেরা সক্ষমতা: স্যামসাং ট্রাইফোল্ড–এ যুক্ত করেছে ২০০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ৩ গুণ অপটিক্যাল জুমসহ ১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স এবং ১২ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা। ফোল্ডেবল ফোনের দুর্বল ক্যামেরা নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিতেই এ শক্তিশালী ক্যামেরা সিস্টেম যুক্ত করা হয়েছে। গ্যালাক্সি জেড ট্রাইফোল্ড কোরিয়ায় লঞ্চ হবে ১২ ডিসেম্বর। এরপর ধীরে ধীরে চীন, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ সালের শুরুতে উন্মোচিত হবে।কোরিয়ায় ডিভাইসটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৫৯০,৪০০ উন (প্রায় ২,৪৫০ ডলার)। যুক্তরাষ্ট্রে দাম হবে প্রায় ২,৫০০ ডলার।উচ্চমূল্যের এই ফোনের সঙ্গে স্যামসাং দিচ্ছে— একটি কেস, ৪৫ ওয়াট চার্জার, একবারের জন্য ৫০% ছাড়ে স্ক্রিন রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা এবং ৬ মাসের গুগল এআই প্রো সাবস্ক্রিপশন।এইচএ
    ফেসবুকে লোগো পরিবর্তন, চালুর সময় দেখা মিলছে ‘উইন্টার থিম’
    ফেসবুক অ্যাপ চালু করার সময় প্রচলিত নীল-সাদা লোগোর বদলে হালকা ধূসর ধরণের নতুন লোগো দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে বহু ব্যবহারকারী লক্ষ্য করছেন, ফেসবুক অ্যাপ চালু করার সময়— অর্থাৎ লঞ্চ স্ক্রিনে— প্রচলিত নীল-সাদা লোগোর বদলে হালকা ধূসর বা ‘ফেড’ ধরনের একটি নতুন লোগো দেখা যাচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস— দুই প্ল্যাটফর্মেই এই পরিবর্তিত লোগো দেখা মিলছে।এ কারণে অনেকেই ভেবেছেন, শীতকে কেন্দ্র করে ফেসবুক কি ‘উইন্টার স্নো’ থিম চালু করেছে? আবার কারও ধারণা হয়েছে, এটি হয়তো কোনো বাগ বা কারিগরি ত্রুটি।আইফোন ব্যবহারকারীরা কয়েক দিন ধরে ঠিক এমনই ‘উইন্টার থিম’-ধাঁচের লোগো দেখছেন। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন, হয়তো ফোনের রেজল্যুশনের সমস্যার কারণে লোগোটি অস্বাভাবিক দেখাচ্ছে।তবে প্রযুক্তি সাংবাদিক ও ডিজাইন বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এটি কোনো ত্রুটি নয়। বরং মেটা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ‘ব্র্যান্ড রিফ্রেশ’ বা নতুন ভিজ্যুয়াল পরিচয় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মেটা কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।নতুন লোগোকে সমর্থনকারীরা কয়েকটি কারণ উল্লেখ করছেন—ভিজ্যুয়াল আধুনিকীকরণ: পুরনো ফ্ল্যাট নীল লোগোর পরিবর্তে আরও হালকা, সূক্ষ ও পরিমার্জিত গ্রেডিয়েন্ট বা ফেডেড রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ডিজাইনকে আধুনিক করে তোলে।পাঠযোগ্যতা ও কনট্রাস্ট: ফেডেড টোন যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডে— হালকা বা গাঢ়— লোগোটিকে আরও দৃশ্যমান করে, বিশেষত অ্যাপ লঞ্চ বা লোডিং স্ক্রিনে। মেটা ইকোসিস্টেমে সামঞ্জস্য: হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মতো মেটার অন্যান্য অ্যাপ ইতোমধ্যেই ভিজ্যুয়াল আপডেটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকের নতুন লোগোও সেই একই ধারার অংশ হতে পারে।যদিও অনেক ব্যবহারকারী নতুন লোগোর অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন, তবুও মেটার পক্ষ থেকে পরিবর্তনটি সাময়িক, পরীক্ষামূলক নাকি স্থায়ী— সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি।এইচএ 
    চমক নিয়ে নতুন ফিচার যুক্ত হলো ফেসবুকে
    ফেসবুক গ্রুপে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখার সুবিধা আরও উন্নত করতে নতুন ফিচার ‘নিকনেম’ চালু করেছে মেটা। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের আসল নামের পরিবর্তে গ্রুপে নির্দিষ্ট ছদ্মনামে পোস্ট দিতে, মন্তব্য করতে ও প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন। আগে ফেসবুক গ্রুপে অ্যানোনিমাস পোস্ট করা গেলেও তা দিয়ে গ্রুপে ধারাবাহিকভাবে পরিচিতি তৈরি বা নিয়মিত যোগাযোগ রাখা সম্ভব ছিল না। নতুন নিকনেম ব্যবস্থায় সেই সীমাবদ্ধতা দূর হচ্ছে। মেটার মতে, অনেক ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ না করে বিভিন্ন গ্রুপে আলোচনায় যোগ দিতে চান। নতুন এই নিকনেম ব্যবস্থায় তাদের আসল প্রোফাইল নাম ও ছবি গ্রুপের অন্য সদস্যদের কাছে গোপন থাকবে। তবে গ্রুপ অ্যাডমিন, মডারেটর এবং ফেসবুক সিস্টেম প্রয়োজনীয় তথ্য দেখতে পারবে। গ্রুপের সদস্যরা নিকনেম ব্যবহারকারীর আগের পোস্ট, মন্তব্য এবং গত সাত দিনের প্রতিক্রিয়াও দেখতে পারবেন, তবে মূল পরিচয় গোপনই থাকবে। ব্যবহারকারীরা নিকনেম প্রোফাইলের জন্য পছন্দমতো ছবি ও রঙিন ব্যাকগ্রাউন্ড বেছে নিতে পারবেন। পোস্ট দেয়ার সময় আগে যেমন ‘অ্যানোনিমাস পোস্ট’ অপশন ছিল, তার পাশেই এখন নিকনেম অপশন দেখা যাবে। নিকনেম যেকোনো সময় চালু বা বন্ধ করা যাবে, তবে নাম বদলাতে চাইলে দুই দিন ব্যবধান রাখতে হবে। নাম পরিবর্তনের পর আগের সব পোস্ট, মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন নিকনেমে যুক্ত হবে। একাধিক গ্রুপে ভিন্ন নিকনেম ব্যবহার করা হলে নাম পরিবর্তনের প্রভাব কেবল ওই নির্দিষ্ট গ্রুপেই কার্যকর হবে।মেটা কিছু শর্তের কথা জানিয়েছে যেমন শুধুমাত্র গ্রুপ অ্যাডমিনরা চাইলে গ্রুপে নিকনেম ফিচার চালু করতে পারবেন। আর নাম অবশ্যই ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে হতে হবে। একই গ্রুপে একই নিকনেমে দুইজন থাকতে পারবে না।এইচএ
    ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে ইউটিউব
    অনেক সময় ইউটিউব খুললে হোম পেজে এমন সব ভিডিও ভেসে ওঠে, যেগুলোর সঙ্গে আপনার আগ্রহের কোনো মিলই নেই। অ্যালগরিদমের হিসাব–নিকাশের বাইরে গিয়ে এবার ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে ইউটিউব নিজেই দিচ্ছে ভিডিও সাজানোর নিয়ন্ত্রণ।‘ইউর কাস্টম ফিড’ নামের নতুন ফিচারটি চালু হলে আপনি নিজেই ঠিক করতে পারবেন হোম পেজে কী ধরনের ভিডিও দেখতে চান। এলগরিদমের ভুল সুপারিশ থেকে মুক্তিব্যবহারকারীদের অভিযোগ ছিল, ইউটিউব প্রায়ই তাদের ভিডিও দেখার ধরন ভুলভাবে ধরে নেয়। যেমন- ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে ইউটিউবহঠাৎ ডিজনি বা শিশুদের জন্য দু-একটি ভিডিও চালালেই মনে করে ব্যবহারকারী নিয়মিত এগুলোই দেখতে চান। তাই একই ধরনের অসংখ্য ভিডিও হোম পেজে দেখাতে থাকে। কিন্তু বাস্তবে অনেক সময়ই ভিডিও দেখা হয় কৌতূহল থেকে, শিশুদের জন্য বা অল্প সময়ের জন্য এগুলো ব্যবহারকারীর স্থায়ী আগ্রহ নয়।নতুন ‘ইউর কাস্টম ফিড’ কীভাবে কাজ করবে?ইউটিউবের তথ্য অনুযায়ী, হোম বাটনের পাশেই নতুন Your Custom Feed অপশন যুক্ত হবে। সেখানে ব্যবহারকারী যে বিষয়ের ভিডিও বেশি দেখতে চান, সেই বিষয়ের শব্দ বা নির্দেশনা লিখলেই হবে। এরপর হোম পেজে সেই বিষয়ক ভিডিও বেশি দেখাবে ইউটিউব।উদাহরণ : যদি আপনি cook বা cooking লিখেন, তাহলে হোম পেজে রান্নাবিষয়ক ভিডিওর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। মানে, এবার থেকে সুপারিশ নির্ধারণে শুধু অ্যালগরিদম নয়, ব্যবহারকারীও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।বর্তমানে ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত। খুব দ্রুতই এটি সবার জন্য চালু করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ইউটিউবের নিরাপত্তা ও ব্যবহার অভিজ্ঞতা উন্নয়নের প্রচেষ্টাইউটিউব নিয়মিত ব্যবহারকারীর সেফটি এবং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে নতুন ফিচার যুক্ত করছে। সম্প্রতি, কিশোর-কিশোরীদের দীর্ঘসময় ভিডিও দেখা কমাতে শর্টস ফিডে দৈনিক সীমা যুক্ত করেছে প্ল্যাটফর্মটি। আরও বিভিন্ন নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করার কাজও চলমান।নতুন ‘কাস্টম ফিড’ আসলে আপনার ইউটিউব অভিজ্ঞতা আরও ব্যক্তিগত, নিয়ন্ত্রিত ও কার্যকর করে তুলবে। আর অ্যালগরিদমের বদলে এবার হোম পেজ হবে পুরোপুরি আপনার পছন্দের মতো।সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসএসআর

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইজিপিকে সরিয়ে দিতে লিগ্যাল নোটিশ
    বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে নাম আসায় পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমকে অপসারণ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে বলা হয়।বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। তারা হলেন, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সামাদ, অ্যাডভোকেট শাহিন হোসেন ও অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমান।প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জন প্রশাসন সচিব ও আইন সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণে ব্যর্থ হলে আইনের দ্বরস্থ হব বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার নাম এসেছে। স্পর্শকাতর ওই প্রতিবেদনে আইজিপির নাম আসার পরই প্রশাসনের ভেতরে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সীমান্তরক্ষী এই বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনের মামলায় ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।আরও অন্তত ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। তবে ঘটনার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ভুক্তভোগীরা। ঘটনার দেড় দশক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সাত সদস্যের জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠন করে সরকার। তদন্ত কমিশন গত ৩০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।এমআর-২

    প্রবাস

    সব দেখুন
    ইতালিতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
    ইতালিতে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর)  ইতালির ভিছেন্সা প্রভিন্স বিএনপি ও যুব দলের উদ্যোগে আলতে মন্তেকীও বাংলাদেশী মসজিদে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ইতালির প্রতিটি প্রভিন্সে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দোয়ার আয়োজন করা হয়। ভিছেন্সা বিএনপির সদ্য সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সিকদার মোহাম্মদ কাদের,  সদ্য সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার মুসল্লিদেরকে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অসুস্থতার কথা বর্ণনা করে সবার কাছে দোয়া চান।এ সময় ভিছেন্সা বিএনপি'র সদ্য সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সিকদার মোহাম্মদ কাদের, সদ্য সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তারসহ ভিছেন্সা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য ও যুবদলের প্রধান উপদেষ্টা ইমরান খান, সদ্য সাবেক সহসভাপতি জাফর আহমেদ, সদ্য সাবেক সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদ্য সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আফতাব আহমেদ ভূঁইয়া শাকিল, সাবেক ছাত্রনেতা মামুন খান, সাবেক ছাত্রনেতা শিবলী সাদিক, যুবদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, যুবদল জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহাদ হাসান নয়ন, যুবদল সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম জুয়েল,  সহসভাপতি সোহেল সারেঙ্গ, মোহাম্মদ রফিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ইখা

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    সহজে বাড়িতেই তৈরি করুন নলেন গুড়ের কেক
    নলেন গুড়। নাম শুনলেই জিভে শীতের বিশেষ স্বাদ ভেসে ওঠে। খেজুরের রসের ধোঁয়ায় মেশানো নলেন গুড়ের যে ঘ্রাণ, তা শীতের আলাদা আবহ তৈরি করে। পাটিসাপটা, পায়েস বা বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি ছাড়াও এখন নলেন গুড় দিয়ে কেক তৈরির চল অনেক বেড়েছে।অনেকে ভাবেন, নলেন গুড়ের কেক বানানো কঠিন, কিন্তু বাস্তবে রেসিপিটি এতটাই সহজ যে সামান্য উপকরণেই বাড়িতে সহজে তৈরি করা যায় মাখনের মতো নরম এই অসাধারণ কেক।কেকটির বৈশিষ্ট্যনলেন গুড়ের কেকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর ঘ্রাণ। সাধারণ চিনি দিয়ে কেক বানালে যে স্বাদ পাওয়া যায়, তা কখনো নলেন গুড়ের সঙ্গে তুলনীয় নয়। খেজুর গাছের রস থেকে তৈরি এই গুড় নরম ও সোনালি রঙের হয় বলে কেকের রংও হয়ে ওঠে আকর্ষণীয়। অনেকেই জানেন না, নলেন গুড় কেককে শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং তুলনামূলক হজমেও সাহায্য করে। এটি স্বাদে যেমন দুর্দান্ত, তেমনই পরিবারের ছোট থেকে বড় সবাই নিরাপদে খেতে পারেন।কেক তৈরির পদ্ধতিএই কেক তৈরির জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হয় গুড় ঠিকমতো গলিয়ে নেওয়ার। গুড়কে দুধে মেশানোর সময় দুধ খুব বেশি গরম হওয়া উচিত নয়। হালকা উষ্ণ দুধে গুড় সহজে গলে গিয়ে মসৃণ মিশ্রণ তৈরি হয়। এতে কেকের টেক্সচার হয় স্পঞ্জের মতো নরম এবং মুখে দিলেই গলে যায় এমন সুষম।টক দইয়ের ব্যবহার কেককে আরো ফুলিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ডিম ছাড়া বানালেও কেকটি নরম হয়। রান্নাঘরে থাকা সাধারণ ময়দা, তেল বা গলানো মাখন, এলাচ গুঁড়া, বেকিং পাউডার আর বেকিং সোডাই এই রেসিপির মূল। প্রথমেই শুকনা উপকরণগুলো চেলে নেওয়া দরকার, যাতে ময়দার দানা না থাকে এবং কেকের গঠন নির্ভুল থাকে। গুড় গলানোর সময় পুরো বাড়ি ভরে যায় অদ্ভুত মিষ্টি ঘ্রাণে, যা কেক বেক হওয়ার অপেক্ষাকে আরো আনন্দময় করে তোলে।যখন ভেজা ও শুকনা উপকরণ একসঙ্গে মেশানো হয়, তখন ব্যাটারটি খুব বেশি না নেড়ে আলতোভাবে মেশালে কেক বেশি নরম হয়। ব্যাটার তৈরি হলে প্যানে ঢেলে ওভেনে দিলে গন্ধে পুরো ঘর ভরে যায়। তবে শুধু ওভেন নয়, এই কেক গ্যাসেও বানানো যায়। বড় কড়াইতে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে মাঝারি আঁচে ৪০-৪৫ মিনিট রান্না করলেও কেক হয়ে যায় একদম দোকানের মতো। বেক হয়ে গেলে কেককে প্যানে কয়েক মিনিট রেখে তারপর ছাঁচ থেকে বের করতে হয়—এতে কেক ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে না। ঠাণ্ডা হলে কেকের কাটা অংশে দেখা যায় সোনালি-বাদামি নরম স্তর, গুড়ের রং। ঘ্রাণ যেন প্রতিটি টুকরাতে ছড়িয়ে থাকে। কাজু বা কিশমিশ দিলে কেক আরো রসালো হয়।এবি 

    Loading…