এইমাত্র
  • শবে বরাতে মসজিদে-মসজিদে পাপ মোচনের আকুতি
  • অজিদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে লঙ্কানদের নির্মম প্রতিশোধ
  • আমিরাত সফর শেষ করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
  • ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
  • আগামীকাল পবিত্র শবে বরাত
  • ঈদের পর দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় সাংবাদিক নিহত
  • বগুড়ায় অবৈধভাবে রাখা ৯টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার
  • খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি
  • আজ শনিবার, ১ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

    রাজনীতি

    ঈদের পর দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া
    লন্ডনে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রোজার ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানান।এমএ মালেক বলেন, আমরা যুক্তরাজ্য বিএনপির টিম খালেদা জিয়ার পাশে আছি। আলহামদুলিল্লাহ উনি মেন্টালি খুব রিলাক্স রয়েছেন। আমরা উনাকে অনুরোধ করেছি আমাদের সঙ্গে অন্তত এই ঈদটা করে যাওয়ার জন্য। আমরা আশা করি, উনি যদি আমাদের কথা রাখেন, তাহলে ঈদের পরেই বাংলাদেশে যাবেন। তিনি বলেন, আপনারা সবাই খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন। দেশবাসীর দোয়ায় তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। কারণ উনি তার প্রিয় সন্তান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান, তিন নাতনি ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান এবং জাফিয়া রহমানের সঙ্গে বাসায় দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। তারা সবাই উনার পাশে রয়েছেন।হাসিনাই খালেদাকে স্লো পয়জনিং দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির এই সভাপতি বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী। হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, হাসিনা যখন লন্ডনে আসেন তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন খালেদা জিয়াকে হত্যার। আল্লাহ বলেছেন, এর চেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী আমি খোদ আল্লাহ। আল্লাহর পরিকল্পনায় হাসিনার পতন হয়েছেন, খালেদা জিয়ার উত্থান হয়েছে।এফএস
    ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় বিএনপি
    ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে গণহত্যা হয়েছে, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে আমরা এখন থেকে চাইব, ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত দিয়ে বাংলাদেশের সরকারের হাতে দেবে এবং তাকে (শেখ হাসিনা) বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া তার সহযোগী যারা ছিল তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল এ কথা বলে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে কবে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। এ বিষয়ে সবার আগ্রহ থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি যে, যে ঘটনাগুলো সত্য এগুলো প্রকাশ পেয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো যখন এই ঘটনাগুলো বলি তখন কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে যে হত্যাকাণ্ড হয় তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে তারই নির্দেশে এখানে গণহত্যা হয়েছে, এটা আজকে প্রমাণিত হয়ে গেছে। এদেশের মানুষকে তিনি অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যা সবকিছু তারই নির্দেশেই হয়েছে। সুতরাং এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে হাসিনা ফ্যাসিস্ট। আমি জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোনো পার্টি নিষিদ্ধ হবে কি হবে না? কোন পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে।আয়নাঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু পার্টি নয়, দেশের বিভিন্ন মানুষকে গুম করেছে। তুলে এনে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে।আনুপাতিক হারে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এটা আমরা পুরো বিরোধী। মানুষ এতে অভ্যস্ত নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা আমরা আগেও বলেছি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। জাতীয় নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার দুটো কারণে। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, আর ওই গভর্ন্যান্স চালু করা। অর্থনীতি ঠিক হয়ে যাবে, ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া হচ্ছে না সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে। নির্বাচিত সরকার না হলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। নির্বাচনের ‘ডেড লাইন’ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি তো বলতে পারব না। তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) বলেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন।এবি 
    ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
    ঢাকায় ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয়।আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি আরও বলেন, তাঁর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।এবি 
    জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াত
    জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় জামায়াত-এ কথা জানিয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথাও জানান।বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংক্ষপ্তি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই। এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে অবাক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে অবশ্যই সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। নো ইলেকশন উইদাউট রিফরম।’বৈঠকে জামাত ইসলামের পক্ষ থেকে ৩০ টি দাবি ইসির কাছে দাখিল করা হয়।নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরকে ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আপনারা এর সঙ্গে একমত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, দিন তারিখ কোনো বিষয় নয় আগে সম্পূর্ণ সংস্কার করতে হবে তারপর নির্বাচন।বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য কমিশনার বৃন্দ। এ সময় জামাতের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন হামিদুর রহমান আজাদ, মতিউর রহমান আকন, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন ও এডভোকেট ইউসুফ আলী। 
    সরিষাবাড়ীতে বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
    জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দীর্ঘ ৬ বছর পর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দিনব্যাপী সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ময়দানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ। সম্মেলনে বক্তরা বলেন, ‘সৈরাচারি আ.লীগ ১৭ বছরের শাসনে আমলে বিএনপি ব্যাপক নির্যাতন জুলুমের শিকার হয়েছে। তারা দেশটাকে লুটপাট করে এখন দেশ থেকে পালিয়ে আছে। তাদের বিচার এই বাংলা মাটিতেই হবে। দেশটাকে সাজাতে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।বক্তরা আরো বলেন, বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের বাড়ি এই সরিষাবাড়ীতে। জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) নির্বাচনী আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত। সর্বশেষ গত ২০১৯ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০২১ সালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এতে আজিম উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আন্দোলন সংগ্রাম, মামলা, হামলা, হয়রানি, গ্রেপ্তারের কারণে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করতে পারেনি উপজেলা বিএনপি। দীর্ঘ ৬ বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।পরবর্তীতে প্রথম অধিবেশন শেষে জামালপুর জেলা বিএনপির শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন আজিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে নির্বাচিত করা হয়।এ-সময় ৮ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বস্তরে নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এমআর-২
    খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: ডা. এ জেড এম জাহিদ
    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।ডা. জাহিদ বলেন, আপনারা জানেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি থেকে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন আছেন। এই মুহূর্তে বেগম জিয়া তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বাসায় ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে আছেন। তিনি প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তার বাসা থেকে হচ্ছে জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, মাঝেমধ্যে যেসব পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়া হয়, সেগুলো করানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। আপনারা ওনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।ডা. জাহিদ আরও বলেন, বাসায় ওনার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শামিলা রহমান ও তিন নাতনী ব্যারিস্টার জায়মা রহমান, জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান তাদের দাদির যত্ন নিচ্ছেন। ফলে মানসিকভাবে তিনি অনেকটা আগের চেয়ে ভালো আছেন। সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানকার চিকিৎসকরা যেদিন ওনাকে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন বা তারা যদি মনে করেন উনি বিদেশ থেকে দেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন, তখনই তিনি দেশে ফিরবেন।এবি 
    আজ ৬ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
    চার দফা দাবিতে জনদাবির ব্যানারে আজ থেকে কর্মসূচিতে নামছে বিএনপি। প্রথম দিনে ৯টি জেলায় সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে।গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও পতিত ফ্যাসিবাদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশের ৬৪ জেলায় ১২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি আট দিনের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়– আজ প্রথমদিন বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাটে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিরাজগঞ্জে নজরুল ইসলাম খান, খুলনায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, পটুয়াখালীতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সুনামগঞ্জে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দিনে যশোরে বক্তব্য দেবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, মাদারীপুরে সেলিমা রহমান, চাঁদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঠাকুরগাঁওয়ে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বগুড়ায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, মৌলভীবাজারে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী এবং ভোলায় থাকবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।এবি 
    জামায়াত কার্যালয়ে এসে আমিরের সঙ্গে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তারা মিলিত হন এবং মতবিনিময় করেন।জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয় এবং ভ্রাতৃপ্রতিম উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পাকিস্তান হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মাদ ওয়াসিফ ও পলিটিক্যাল কাউন্সেলর কামরান ধাংগল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি.এম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।এফএস
    কোনো ভদ্র ও সভ্য মানুষ আওয়ামী লীগ করে না: মির্জা আব্বাস
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘কোনো ভদ্র ও সভ্য মানুষ আওয়ামী লীগ করে না‘। তিনি আরও বলেন, যারা শয়তান লোক তারাই আওয়ামী লীগ করে। সকল প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের লোক আছে। তাদেরকে ধরুন।মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মুগদায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা আব্বাস বলেন, এখন সংস্কার সংস্কার বলে একদল লোক পাগল হয়ে যাচ্ছে। ঘোষণা দিয়ে সংস্কার হয় না। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যা করার করে ফেলেন। একটু তাড়াতাড়ি করেন। ঘোষণা দিয়ে দেরি করতে হয় না। যদি কারো চক্রান্ত না থাকে তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। দেশের জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন ব্যক্ত করে তিনি বলেন, অশুভ শক্তির কোনো কার্যক্রম এই দেশে বাস্তবায়ন হতে দেবে না বিএনপি। ইউনূস সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বিএনপি।বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ভাবসাব এমন, নির্বাচন আসলে শুধু বিএনপিই নির্বাচনে যাবে, আর কেউ যাবে না। নির্বাচন এলে নাকে খত দিয়ে আসবেন, কারণ বিএনপি নির্বাচনের কথা বলেছে।এফএস
    আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ: মামুনুল হক
    যুগে যুগে যারাই ইসলামের কথা বলেছে, ইসলামের ছায়াতলে মানুষকে ডেকেছে তাদের উপর সব সময়ই বাতিলের গোষ্ঠী সম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রশক্তি নির্যাতন, নিপিড়ন করেছে। শত জুলুম নির্যাতনের পরেও দিনের এই দায়ীদের ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করতে তারা পারেনি। বরং এই দেশে ইসলামি আন্দোলন আরো তীব্রতর হয়েছে। এই দেশে ইসলামি পতাকা পতপত করে উড়বে, সে দিন বেশি দুরে নয়। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মওলানা মামুনুল হক। মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের শিবপুর রোকেয়া আকবর মহিলা মাদ্রাসার আয়োজনে ৭তম খতমে বুখারী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, বর্তমান এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে প্রতিটি মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে চাই। আমরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছি, আমরা অনেক বরদাশত করেছি এখন সারা দুনিয়া জোড়া ইসলামের বিজয় নিশ্চিত হতে চলেছে। আপনারা দেখেছেন, কিভাবে গত ১৫ বছর সারা দেশে একটি মানুষের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। সে সব মূর্তি কিন্তু আজ আর নাই। এভাবেই ইসলাম এদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।রোকেয়া আকবর মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব মওলানা আবুল হোসাইন এর সভাপতিত্বে মাহফিলে স্থানীয় ওলামায় কেরাম ও খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।পিএম
    তিস্তা অভিমুখে ২ দিনের কর্মসূচি, অংশ নেবেন তারেক রহমান-ফখরুল
    তিস্তা নদী পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ২ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন রংপুর বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।বিএনপির সূত্র বলছেন, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ এই স্লোগানে দুদিনের কর্মসূচিতে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে তাঁবু করে এই সমাবেশ করবে দলটি।এই কর্মসূচির মাধ্যমে আগামী দিনে রাজনৈতিকভাবে ভারতকে চাপে রাখা যাবে মনে করেন বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভারত চাপে থাকবে। তবে, বিএনপি মনে করেন তিস্তা মহাপরিকল্পনায় যদি ভারত অর্থায়ন করে এতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।বিএনপির মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল তৎকালীন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে তিস্তা অভিমুখে লং-মার্চ করেছিল। সেই সময় উত্তরা থেকে লং-মার্চ গাড়িবহর যাত্রা শুরু হয়। যাওয়ার পথে গাজীপুর কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল বাইপাস মোড়, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেইসময় ২২ এপ্রিল রাতে রংপুরে যাত্রাবিরতি থাকে।পরদিন রংপুরে সমাবেশ পর নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ অভিমুখে লং-মার্চ যাত্রা শুরু হয়। ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজের কাছে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি শেষ করে।গত ৯ ফেব্রুয়ারি রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তা সড়ক সেতুর পাশে তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক শুনানি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চীনকে দুই বছরের সময় দিতে সম্মত হয়েছি দুটি শর্তে। আপাতত ৪৫ কিলোমিটারে ভাঙন রোধে বাঁধের জন্য টেন্ডার দেওয়া হবে।চীনের ঋণ নিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিশদ সমীক্ষা করতে দেশটি যে পরামর্শ দিয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।গত বছরের ১৪ জুন সংসদে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছিলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চীন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের দুঃখ লাঘবে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, এজন্য চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় সমীক্ষাও করা হয়েছে।শায়রুল কবির খান বলেন, উত্তরাঞ্চল খরা পিড়িত এলাকায় ১৯৩৭ সাল তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণ পরিকল্পনা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন ১৯৭৯ সালে তা শুরু করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সালে সৌদি উন্নয়ন ও আইডিবি তহবিলে ১৯৯০ নির্মাণ শেষ হয়, ৫ আগস্ট চালু হয়। ৫ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা হয়।বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, যে তিস্তা নদী এক সময় সুখ-সমৃদ্ধির উৎস ছিল তা আর নেই, তিস্তা এখন উত্তরাঞ্চলের দুঃখের কারণ। উচ্ছল জলধারার এই নদীর পানি এখন হাটুর নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই তিস্তা নদী ও এর অববাহিকার মানুষকে রক্ষায় পানির ন্যায্য হিস্যা এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জরুরি।এবি 
    বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে ‘অর্থ সংকটে’
    দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের অনেক নেতাকর্মী। বর্তমানে তাদের বড় একটি অংশ অর্থ সংকটে রয়েছেন। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন আল-জাজিরার অনুসন্ধানি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি। তার স্ট্যাটাসটি নিচে দেওয়া হলো:আওয়ামী লীগের বেশ সিনিয়র একজন নেতার সাথে কথা বললাম, তিনি যা বললেন তার সারমর্ম হলো,"ধানমন্ডি ৩২ এ আক্রমণ হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসিনা ও তার বোন রাজনৈতিক ভাবে বেশ নিষ্ক্রিয় ছিলেন, কিন্তু ভবনটি ধ্বংসের পর সম্প্রতি তারা বেশ সক্রিয় হয়েছেন, হাসিনা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ক্রোধে উন্মাদ প্রায়। কিন্তু দেশে কোন নেতা না থাকায় কর্মীদের সংগঠিত করার মতো অবস্থা নেই। আর যেসব নেতা এখনো দেশে লুকিয়ে আছেন তারা এক প্রকারের আতংকে আছেন। এই সিনিয়র নেতা উল্লেখ করেন; যেসকল নেতা-নেত্রী বিদেশে পালিয়ে গেছেন তারা দলের কাউকে না জানিয়ে, শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়ায় বেশ ক্ষুদ্ধ, অনেকেই বলেছেন তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে।বিদেশে অবস্থানরত এ সকল নেতাদের একটা বড় অংশ বেশ অর্থ সংকটে আছেন বলেও তিনি জানান, কারণ এভাবে চলে যাওয়ার কারণে তারা কেউই তেমন টাকা পয়সা সাথে করে নিতে পারেননি। কারোই কোন প্রস্তুতি ছিলোনা। আর বেশিরভাগই সম্পদ গড়েছেন অন্যের নামে। যা আদায় করতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আমির হোসেন আমু এবং নসরুল হামিদ বিপু'র কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আমু'র সবই অন্যায়ের নামে করা, আর বিপু'র দুবাইতে করা সব বিনিয়োগ রাজিব সামদানির মাধ‍্যমে হয়েছে, যা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামদানি আর ফেরত দিচ্ছেন না। বিপু ও তার স্ত্রী এই মুহূর্ত ভারতে অবস্থান করছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন নেতাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতে আছেন, ফজলে তাপস আছেন সিংগাপুর আর বাদ বাকীরা দুবাই-কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য, কয়েকজন অস্ট্রেলিয়াতে।বর্ডার পার হয়ে নিরাপদে কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাথাপিছু ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করছেন বলেও তিনি জানান।
    বসুন্ধরা থেকে দুবাই, কানাডা থেকে চট্টগ্রাম- কোথায় নেই হাসান মাহমুদের সম্পদ?
    দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন আত্মগোপনে থাকা সাবেক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। তার স্ত্রী, কন্যা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে-বেনামে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দেখে রীতিমতো বিস্মিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।ব্যাংক হিসাবে বিপুল লেনদেন:বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) থেকে আসা ব্যাংক তথ্য অনুযায়ী, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব হিসাবে প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য রয়েছে, যেখানে বর্তমানে স্থিতি রয়েছে ২৩ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ২০২ টাকা।দেশের মেঘনা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পুবালী ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংকে এসব লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংকে ১৬টি, মেঘনা ব্যাংকে ১৭টি, এবি ব্যাংকে ৯টি, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ২টি, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে ১৮টি, জনতা ব্যাংকে ১টি, ইউনিয়ন ব্যাংকে ৪টি এবং পুবালী ব্যাংকে ১টি হিসাব রয়েছে।দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর আয়কর নথিতে উল্লিখিত আয় এসব সম্পদের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। হিসাব অনুযায়ী, তাদের প্রকৃত সম্পদ অর্জনের হার আয়কর বিবরণীর তুলনায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গুণ বেশি।বিদেশে সম্পদ ও সম্পদের উৎস:হাছান মাহমুদ শুধু নিজে নয়, তার ভাই এরশাদ মাহমুদ ও খালেদ মাহমুদের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। তাদের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমি দখল, বন বিভাগের পাহাড় দখল, বাংলো ও বাগানবাড়ি নির্মাণ, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অট্টালিকা নির্মাণ, আবুধাবির আজমান এলাকায় বিশাল জায়গা নিয়ে রিসোর্ট তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ টিম এই সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে। টিমের সদস্যরা ইতোমধ্যে দেশে ও বিদেশে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই চলছে।রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার:আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে বন ও পরিবেশ, তথ্য ও সর্বশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন হাছান মাহমুদ। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে স্ত্রী নুরান ফাতেমাকে জাহাজ ব্যবসার লাইসেন্স পেতে সহায়তা করেন। তার স্ত্রী ও তার মালিকানাধীন "দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস" নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কন্টেইনার ও ফিশিং জাহাজ নির্মাণ করা হয়। তবে চট্টগ্রামের জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এফএমসি গ্রুপ থেকে টাকা পরিশোধ না করেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জাহাজ সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।দুদকের তদন্তে আরও জানা যায়, হাছান মাহমুদ বন ও পরিবেশ মন্ত্রী থাকাকালে রাতারাতি তার স্ত্রীকে জাহাজ ব্যবসায়ী বানিয়ে দেন এবং রূপালী ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা ঋণ নেন, যা পরিশোধ না করায় সুদাসলে এখন দাঁড়িয়েছে ১৯.৫ কোটি টাকা।ব্যক্তিগত সম্পদের বিশদ বিবরণ:দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ছয়টি ব্যক্তিগত ও ৩০টির বেশি যৌথ ব্যাংক হিসাব রয়েছে। মেঘনা ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় এসব হিসাব খোলা হয়েছে।তার কন্যা নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের নামেও চারটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে, যেখানে প্রায় ১.৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এবং বর্তমানে স্থিতি রয়েছে ৯৬ লাখ টাকা। এছাড়া "দি ডেইলি পিপলস লাইফ" নামে একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশক হিসেবে তার নাম রয়েছে, যা হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে অনুমোদন পেয়েছিল।সম্পদের বিস্তৃতি:দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ানবাজার এলাকায় ১৫ তলা ভবনসহ তিনটি বহুতল ভবন, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাড়ি, চট্টগ্রামের সিরাজদৌলা রোডে বাণিজ্যিক ভবন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান এলাকায় হোটেলসহ স্থাবর সম্পত্তি, কানাডায় একটি বাড়ি, চট্টগ্রামের মাতারবাড়ীতে কয়লাবিদ্যুৎ ও গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রকল্প থেকে অবৈধ লভ্যাংশ গ্রহণের তথ্য পাওয়া গেছে।রাঙ্গুনিয়ায় বন বিভাগের ১৬ দশমিক ১৯ একর জমি দখল করে বাগানবাড়ি নির্মাণের অভিযোগও উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বন বিভাগ ওই জমি পুনরুদ্ধার করে স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করেছে।ব্যাংক হিসাব জব্দ ও আইনি পদক্ষেপ:গত ১৬ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে পাওয়া সম্পদের তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে এবং সম্পদ জব্দের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে— অবৈধ সম্পদ অর্জন, বিদেশে অর্থপাচার, জাহাজ নির্মাণের অর্থ পরিশোধ না করা, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ।দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এমআর-২
    সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল
    অন্তবর্তীকালীন সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল  বলেন, প্রধান উপদেষ্টাসহ সেখানে যারা ছিলেন তারা অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন— ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন। জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার।বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে জাতীয় নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি এবং জনগণও প্রত্যাশা করছে।
    ‘নির্বাচন দেরি হলে কলঙ্কিত হতে পারে ড. ইউনূসের মর্যাদা’
    দ্রুত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, নির্বাচন বিলম্ব হলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মর্যাদা কলঙ্কিত হতে পারে।সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এমন কথা যেন কেউ না বলে যে নির্বাচন ২০২৬- এর মাঝামাঝি হতে পারে।ডেভিল হান্ট নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই ডেভিল হান্ট শুরু হলে গাজীপুরে আক্রমণ হত না। এখন নির্বাচন দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখাতে হবে।’বিএনপি মৃত ব্যক্তির ভোটে জিতে ক্ষমতায় যেতে চায় না বলেও জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা। তারা বলেন, ‘যারা মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করেন, মির্জা ফখরুলের সমান হোন। এরপর সমালোচনা করুন।’এবি 

    Loading…