এইমাত্র
  • সুনামগঞ্জে বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
  • ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা : তিন শিক্ষার্থী পুলিশি হেফাজতে
  • মুন্সিগঞ্জে তিন দিন ব্যাপি বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত
  • ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা
  • চুনারুঘাটে ১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
  • টাঙ্গাইলে চিপস কারখানাকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা
  • জাবিতে গণধোলাইয়ের শিকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নিহত
  • চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস
  • সংক্ষিপ্ত সিলেবাস চেয়ে চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ
  • ঢাকা চাইলে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    আপনার স্বাস্থ্য

    পাঙাশ-তেলাপিয়ায় অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে
    পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছে অতিমাত্রায় অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সাইয়েন্সের অধ্যাপক ড. শারমিন রুমি আমিন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।   বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার প্রাক-অবহিতকরণ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।   তিনি বলেন, আমাদের সাধারণ মানুষের তথা নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম পছন্দের খাবার পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছে অ্যন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাত্রা এতো বেশি যে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এক রোগের ওষুধ খেলে অন্যান্য রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মাসুম বলেন, ‌‌‘দেশে পশু মোটা-তাজাকরণে স্ট্রয়েট ড্রাগ ব্যবহার হচ্ছে না বলা হলেও খামারিরা এটি ব্যবহার করছে। খামারিরা প্রথমে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে তারা জানায় তারা হলুদ বা গোলাপি বড়ি নামে ব্যবহার করে। আর এসব ড্রাগ সীমান্ত এলাকায় বেশি ব্যবহার হয়। কেননা ভারত থেকে এগুলো সহজেই পাচার হয়ে দেশে আসে। আমরা পশুর রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা করে স্ট্রয়েড ব্যবহারটা তুলে ধরব।’ বিএফএসএর অতিরিক্ত পরিচালক অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘অনিরাপদ খাদ্যে বিশ্বে প্রতিবছর ৬০ কোটি লোক অসুস্থ হয়, ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বে বছরে ৪০ শতাংশ শিশু রোগাক্রান্ত হয় ও ১ লাখ ২৫ হাজারের মৃত্যু হয়।’  বিএফএসএর সাবেক পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা জানান, মানুষকে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করাও একটি ইবাদত। ইতোপূর্বে ১৩টি দুধের স্যাম্পলের মধ্যে ১১টিতে হেভি মেটার পাওয়া গিয়েছিল। এটি নিয়ে কাজ করায় সেখান থেকে উত্তরণ হয়েছে। বর্তমানে ১০টি গবেষণায় অর্থায়ন করা হচ্ছে। আশা করি দেশের খাদ্য ব্যবস্থায় এটি বড় অবদান রাখবে। স্ট্রিট ফুডগুলোতে নানা ধরনের রঙ ব্যবহার খাবারকে আকর্ষণ করে তোলা হয়। এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।  এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্সের ড. মাহফুজা মোবারক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী, নোয়াখালী সায়েন্স অ্যান্ড টেকননোলজি ইউনিভার্সিটির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর সরকার প্রমুখ। এবি 
    ডেঙ্গু আক্রান্ত ছাড়াল ২০ হাজার
    রাজধানীসহ দেশজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শুধু ঢাকা নয়, এবার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজধানীর বাইরেও। এছাড়া চলতি বছরের শুরু থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১৩ জন। এর মধ্যে ৬২.২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭.৮ শতাংশ নারী রয়েছেন। যার ভিতর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৪.৯ শতাংশ নারী ও ৪৫.১ শতাংশ পুরুষ। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৭ হাজার ৮৯৭ জন।  সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে এই সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে।ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার উপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বলেন, রোগীর চাপ বাড়লেও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মশক নিধন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা না গেলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে লার্ভা ধ্বংসে কাজ করতে হবে বলে জানানা ডা. শফিউর।তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে নতুন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ডেঙ্গুর নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব ছড়াচ্ছে কিনা তা আইইডিসিআর নিশ্চিত করবে বলেও জানান তিনি।এবি 
    যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন গোপনে হানা দিচ্ছে কিডনি রোগ
    মানবদেহের অন্যতম অঙ্গ কিডনি। এই অঙ্গটির কিছু হলে পুরো শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। কিডনির সমস্যা বা অসুখের নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ হয় না। তবে কয়েকটি উপসর্গ অত্যন্ত সাধারণ বলে মনে হলেও, এগুলো লক্ষ্য করলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার। আমাদের শরীরে ছাঁকনির মতো কাজ করে কিডনি। কোনো কারণে এই অঙ্গটি আক্রান্ত হলে বা কিডনিতে কোনো রকম সংক্রমণ হলে শরীরে একের পর এক জটিল সমস্যা বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই কিডনির সমস্যা বা অসুখকে ‘নিঃশব্দ ঘাতক’ বলেই ব্যাখ্যা করে থাকেন চিকিৎসকরা।কিডনি রোগের লক্ষণ:কিডনিতে কোনো সমস্যা হলে তা ধরা পড়তে অনেকটা সময় লেগে যায়। কিন্তু তার আগে শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখেই বুঝতে পারবেন, আপনি কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত কি-না। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডটকমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী চলুন জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষণগুলো।ফোলাভাব:মুখ, চোখের চারপাশ হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ওঠলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনিতে সমস্যা হলে চোখের নিচে অথবা পায়ের গোড়ালি বা মুখের ফোলাভাব স্থায়ী হয়। সেটা এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ হলে, তা কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। কিডনি যখন শরীর থেকে পানি বের করতে পারে না, তখন তা শরীরে জমে এই ফোলাভাব হয়।ক্লান্তি:কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্তি, দুর্বল অনুভব, ওজন দ্রুত কমে যাওয়া কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এছাড়া কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয় না। রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বাড়তে থাকে। ফলে আরও বেশি ক্লান্ত লাগে।প্রস্রাবে সমস্যা:ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া অথবা প্রস্রাব কমে যাওয়া দুটিই কিডনির সমস্যার লক্ষণ। শরীর থেকে পানি বের করা ছাড়াও পানি শুষে নেয়ার কাজও করে কিডনি। সেটি করতে না পারলে বেশি প্রস্রাব হয়ে থাকে। কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বর্জ্য নির্গত করে। কিন্তু কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে মূত্রনালিতে সমস্যা দেখা দেয়। বারবার মূত্রত্যাগ, মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার প্রস্রাব করতে হলে খুব সতর্ক হন।শ্বাসকষ্ট:আমাদের শরীরের তরল ভারসাম্যতা বজায় রাখে কিডনি। তবে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে ফুসফুসে তরল জমা হবে, ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। একে ফ্লুইড ওভারলোড বা হাইপারভোলেমিয়াও বলা হয়। অনেকে আবার এক্ষেত্রে বুকে ব্যথাও অনুভব করেন।অনিদ্রা:বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের রাতে ঘুম না আসার সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি যখন শরীর থেকে পানি নিঃসরণ করতে পারে না, তখন কিছু পানি ফুসফুসে জমে যায়। সে কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এফএস
    দুই সপ্তাহে ২৩ প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গু
    মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেপ্টেম্বরের দুই সপ্তাহে মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এদিকে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তার আগের ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৪৮ জন।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মারা যাওয়া তিনজনই ঢাকার। তাদে মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দু’জন এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে একজন রয়েছেন। ৫৪৮ নতুন রোগীর মধ্যে ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে ১৯০ জন, উত্তর সিটিতে ১৬৯ জন, ঢাকার বাইরে ৪৬ জন, বরিশাল সিটির বাইরে ৫৪ জন, চট্টগ্রাম সিটির বাইরে ২৪ জন, খুলনায় ২০ জন, ময়মনসিংহে ২৪ জন, রংপুরে ১২ জন ও রাজশাহীতে ৯ জন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের গত ১৪ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৪৮ জন।আর গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৮৯ জন। এবি 
    যে নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা
    ঘরে ঘরে এখন বাতের ব্যথার সমস্যা। কারও হাঁটুতে সমস্যা তো কারও আবার কোমরে ব্যথা। কখনও আবার গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা। বাতের ব্যথা একবার হলে খুব ভোগায়। কখন তার ব্যথা জানান দিয়ে উঠবে কেউ বলতে পারে না।গরমের সময় বা বর্ষায় আর্দ্রতা থাকে বলে বেশি বাতের সমস্যা হয়। বেড়ে যায় ব্যথা। এমনকি সেই ব্যথা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হাত, পা ভাঁজ করতেও সমস্যা হয়। তবে কিছু নিয়ম মানলে কিন্তু এই সময়ে আরাম মিলতে পারে।শরীরে বাতের ব্যথা বাড়লে অনেকেই হাঁটাচলা একদম কমিয়ে দেন, সাধারণ কাজগুলোও করতে চান না। এই অভ্যাস কিন্তু মোটে ভাল নয়। বাতকে হার মানাতে হলে, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। যোগ ব্যায়াম করুন। তাহলেই আরাম পাবেন।ব্যথার চোটে অনেক সময় জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এক্ষেত্রে গরম সেঁক দিতে পারেন। গরম কাপড় দিয়ে সেঁক দিন। আরাম পাবেন। বাতের ব্যথার সমস্যা থাকলে হালকা গরম জলে স্নান করুন, সেটা ভালো।পানি বা তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। শরীরের ভিতরের আর্দ্রতা অস্থিসন্ধির তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অস্থিসন্ধির তরল শুকিয়ে গেলে ব্যথা বেশি হতে পারে।স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খাওয়া কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বাদাম, মাছ, সবজি এইসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার শরীর ভালো রাখার জন্য ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।বেশি ওজন শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত ওজনের ফলে হাঁটু ও অন্যান্য অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়ে। যার জেরে হাড় ক্ষয়ে যেতে পারে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়তে পারে।হাড়ের ব্যথা বা বাতের ব্যথা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক চিকিৎসা হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়াও সম্ভব। সঙ্গে নিয়মিত সঠিক সময়ে ওষুধ খেতে হবে এবং শরীরচর্চাও করতে হবে।এসএফ 
    কোন যোগাসনে কোন রোগের মুক্তি?
     ইয়োগা বা যোগাসন শারীরিক ও মানসিক অবসাদ কাটিয়ে তুলতে যেমন কার্যকরী, তেমনি ফলদায়ক রোগ থেকে মুক্তি লাভেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ওষুধের বিকল্প হিসেবে যোগাসনের অভ্যাস করাই বুদ্ধিমানের কাজ।যোগাসনের অর্থ হলো শরীরের সমস্ত অংশকে প্রকৃতির সঙ্গে আত্মস্থ করা। এর ফলে শরীরের চালনা ও উৎফুল্লতা বজায় থাকে। নিয়মিত এ অভ্যাসে প্রাকৃতিক উপায়ে শারীরিক গঠন সুগঠিত হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। যোগাসনে অসংখ্য আসন রয়েছে যা শরীর ফিট রাখে ও নির্দিষ্ট কিছু রোগের মুক্তি ঘটায়। তাই আসুন এক নজরে জেনে নিই কোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কোন যোগাসনের উপর জোর দেবেন- ১। মস্তিষ্ক ও হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে: মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শীর্ষাসনের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আর হার্টজনিত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনুশীলন করতে পারেন শশকাসন, অপান বায়ু মুদ্রা, অনলোম- বিলোম প্রাণায়াম। ২। হজমের সমস্যা: অনিয়ন্ত্রিত জীবনে আমাদের প্রায় সবারই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানে পবনমুক্তাসন বা সুপ্ত বজ্রাসন করা যেতে পারে। পবনমুক্তাসনে চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা ভাঁজ করে পেটের সঙ্গে লাগাতে হবে। বাঁ পা তখন সোজা থাকবে। এরপরে একইভাবে বাঁ পা ভাজ করে পেটে লাগতে হবে। ডান পা তখন সোজা থাকবে। নিয়মিত এভাবে যোগাসন করার ফলে গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যাসহ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা যায়। ৩। কোমরের যন্ত্রণা: কোমরজনিত বিভিন্ন রোগ ও এর যন্ত্রণা কমাতে ভুজঙ্গাসন একটি আদর্শ স্থান। এই আসন করার সময় আপনার শারীরিক ভঙ্গি দেখতে অনেকটাই সাপের মতো হবে। এই আসন ছাড়াও উপুড় হয়ে শুয়ে এক পা উপরে তুলে একপদ সলভাসন বা পবনমুক্তাসন করলেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে। ৪। হাঁটুর ব্যথা: যারা হাঁটুর ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন তারা হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য উত্থান পদাসন করলে উপকার মিলবে। চেয়ারে বসে পা তোলা ও নামানো অর্থাৎ সিটেড লেগরাইজও ভারী কাজে আসতে পারে। শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে পা তোলা নামা বা পেলভিস ব্রিজও করতে পারেন। এতে থাইয়ের পেশি সংকুচিত বা প্রসারিত হয়ে হাঁটুর ব্যথাকে সারিয়ে তুলবে।  ৫। কাঁধ ও ঘাড়ের যন্ত্রণা: কর্মব্যস্ত জীবনে বসে বসে কাজের অভ্যাসে অনেকেই এখন ঘাড় ও কাঁধের সমস্যায় ভুগেন। ঘাড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য আইসোমেট্রিক প্রেসার অভ্যাস করতে পারেন। এর জন্য দু’হাত মাথার পিছনে নিয়ে মাথাকে হাত দিয়ে ঘাড় সোজা করে চাপ দিতে হবে। এভাবে মাথাকে চার দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চাপ দিন। চিৎ হয়ে শুয়ে ভুজঙ্গাসন অভ্যাস করলেও কাঁধ ও ঘাড়ের ব্যথা দূর করা যায়। ৬। পেট ও নিতম্বের চর্বি কমাতে: দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়ায় অনেকেরই পেট ও নিতম্বের আশেপাশে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেখা যায়। এই সমস্যা সমাধানে অর্ধকূর্মাসন খুবই কার্যকরী। এই আসনটি নিয়মিত অনুশীলন করতে প্রথমে মাটিতে বজ্রাসনে বসুন। মাথা মাটিতে ঠেকান। এইবার হাত দুটি সোজা করে একসঙ্গে জড়ো করে মাথার ওপরে তুলুন নমস্কারের ভঙ্গিতে। খেয়াল রাখবেন এসময় যেন পেট ও বুক ঊরুর সঙ্গে লেগে থাকে। এই অবস্থায় ২০ মিনিট থাকার পর ধীরে ধীরে সোজা হয়ে বসে শবাসনে বিশ্রাম নিন। ৭। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা: হাঁপানি বা শ্বাসজনিত সমস্যায় সিদ্ধাসন নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন। এর জন্য মেরুদণ্ড সোজা রেখে পা গুটিয়ে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে। এই আসন দেখতে অনেকটাই পদ্মাসনের মতো। সিদ্ধাসনে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। ৮। মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা: হরমোন বা বংশগত সমস্যার জন্য অনেকেরই শারীরিক উচ্চতা বেশি হয় না। তাই যাদের উচ্চতা কম তারা অল্পবয়স থেকেই করতে পারেন সর্বাঙ্গাসন, তাড়াসন, উষ্ট্রাসন এবং বৃক্ষাসনের মতো আসনগুলো। এসব আসন মেরুদণ্ডকে সুগঠিত করে। সেই সঙ্গে নমনীয় করে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সূত্র: জিনিউজ
    ফেনীতে বন্যাদুর্গত এলাকায় রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে বিজিবি
    ফেনীতে বন্যাদুর্গত ৫০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ–বিজিবির মেডিকেল ক্যাম্প। শনিবার পিবিজিএমএস জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিজিবি হাসপাতালে, ঢাকা এর মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মেজর শাহ মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বন্যাদুর্গত ফেনীর জয় লস্করপুর উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পেইনে ২০০ জন পুরুষ, ২৫০ জন মহিলা ও ৫০ জন শিশুসহ মোট ৫০০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।এবি 
    বন্যাদুর্গত এলাকায় কাজ করছে সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম
    দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার, নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার, স্থলপথ ও স্পিডবোটের মাধ্যমে মোট ১২ হাজার ৬১৫ প্যাকেট ত্রাণ বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করেছে। পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা বাড়াতে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ৬টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ১৬টি স্পিড বোট সংযোজন করা হয়েছে।এদিকে শনিবার ২১টি হেলি সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। দিনব্যাপী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৯ জন রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর ৫টি হেলিকপ্টার (২টি এমআই, ২টি বেল ও ১টি ডওফিন), বিজিবির ১টি এমআই হেলিকপ্টার এবং র‍্যাবের ২টি বেল হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া আনম্যান্ড কম্ব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যালের (ইউসিএভি) মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের অবস্থান চিহ্নিত করে ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ সেলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলের উপযোগী রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই ব্রিগেডগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত গোমতি নদীর বাঁধ রক্ষায় নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে।বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জাতির আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।এবি 
    দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি ডব্লিওএইচওর
    চলতি বছর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে ১৩ হাজার ৭০০ জনের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৫০ জন মারা গেছেন। এছাড়াও রোগটি বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য আফ্রিকান দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় অত্যন্ত সংক্রামক মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবকে ‘খুব উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর বিবিসির।বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স এখন মধ্য এবং পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের একটি নতুন রূপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বলেছেন, আফ্রিকা এবং তার বাইরে আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ‘খুব উদ্বেগজনক’। তিনি বলেন, এই প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে এবং জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া অপরিহার্য। মাঙ্কিপক্স সংক্রামক রোগ।এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ ফ্লুর মতো। এটি ত্বকের ক্ষত সৃষ্টি করে এবং মারাত্মক হতে পারে, ১০০টির মধ্যে চারটি মৃত্যু ঘটায়।আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে দু’টি প্রধান ঢেউ সঞ্চালিত হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের একটি ধরণ হলো ‘ক্লেড আই’, এটি মধ্য আফ্রিকার স্থানীয়দের শরীরে বেশি সংক্রমিত হতে দেখা যায়। আরেকটি ধরন হলো ‘ক্লেড আইবি’। এটি মাঙ্কিপক্সের নতুন এবং আরও মারাত্মক রূপ, যেটিকে একজন বিজ্ঞানী ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপজ্জনক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই নতুন ধরণটির কারণেই বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ডব্লিউএইচও। চলতি বছরের শুরু থেকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে এই রোগে ১৩ হাজার ৭০০ জনের মতো আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৪৫০ জন মারা গেছেন। এরপর থেকে এটি বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কেনিয়া এবং রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য আফ্রিকান দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি এবারই প্রথম নয়। ২০২২ সালের জুলাইয়ে মাঙ্কিপক্সের একটি ধরন ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছুসহ প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।ডব্লিউএইচওর একটি গণনা অনুসারে, সেই প্রাদুর্ভাবের সময় ৮৭ হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হন। সেই সময় এ রোগে অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। 
    যে ৭ লক্ষণে অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা বুঝা যায়
    অনেক সময় পেটের  ব্যথাই আমরা গ্যাসের ব্যথা বলে এড়িয়ে যাই। কিন্তু সব ব্যথাই তো আর গ্যাসের নয়। বিশেষ করে নারীদের পিরিয়ড জটিলতার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা আলাদা করে চিনে ওঠা সম্ভব হয় না।  অনেক সময় ভয়ঙ্কক রোগের আলামত হিসেবেও এই ব্যথা দেখা দেয়। অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথাকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে দেখে দেরি করে ফেলেন। কিন্তু এজন্য ঘটতে পারে অনেক বড় বিপদ। বৃহদান্ত্র এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একটি ছোট থলির মতো অঙ্গটিকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। মূলত অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের শরীরের একটি অকেজো অঙ্গ। বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের প্রাণ যায় এই অ্যাপেন্ডিক্স এর সময়মতো চিকিৎসা না হওয়ায়। অ্যাপেন্ডিক্সের এই সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।১. অ্যাপেন্ডিক্স হলে তল পেটের ডান দিকে ব্যথা শুরু হবে। নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।২. অনেক সময় তলপেট ফুলে ওঠে। তবে শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ব্যথা বাড়তে থাকে। খাবার খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়।৩. এ সময় জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। শরীরের তাপমাত্রা হেরফের করে।৪. খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সমস্যা হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বমি।৫. কিছুক্ষেত্রে রোগীর পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময়, অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে।৬. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যাওয়া।৭. অ্যাপেন্ডিক্স কোনও কারণে ফেটে গেলে সারা পেট জুড়ে মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয় এবং পেট ফুলে ওঠে।এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।এবি 
    বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, একদিনেই ১০৩ জন শনাক্ত
    দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ১০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে চার হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৪৫ জন এবং বাকি ৫৮ জন ঢাকার বাইরের।এ ছাড়া গত ৮ জুলাই ৬৩ জন, ৯ জুলাই ৮৮ জন এবং ১০ জুলাই ৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৩১১ জন। এরমেধ্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিন হাজার ৯৪৯ জন। মারা গেছেন ৪৭ জন।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।এসএফ
    খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে করণীয়
    খাদ্যে বিষক্রিয়া আসলে বেশ বড় এবং বিস্তৃত একটি ধারণা। এটা যেহেতু খাবার খাওয়া বা পান করার কারণে হয় তাই এটি বিভিন্ন ধরণের এবং বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খাবারে বিষক্রিয়া সাধারণত মারাত্মক আকার ধারণ করে না এবং সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ভালও হয়ে যায়।খাদ্যে বিষক্রিয়া কখনো হয় বিভিন্ন ধরণের জীবাণুর কারণে, অনেক সময় খাবারে বিষাক্ত উপাদান থাকার কারণে আবার অনেক সময় দৈহিক সমস্যা যেমন অ্যালার্জি থাকলে কিংবা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে।সাধারণত রাস্তা বা হোটেলের বাসি-পচা খাবার, অস্বাস্থ্যকর, জীবাণুযুক্ত খাবার, অনেকক্ষণ গরমে থাকার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বন্যার সময় পানীয় জলের অভাব, হাওর-বিল-বাঁওড়ের পচা মাছ খাওয়ার কারণে ফুড পয়জনিং জটিল আকার ধারণ করে। এ অবস্থাকে আমরা পেটের পীড়া বলে থাকি। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যদি কোনো খাবার খেয়ে বারবার বমি, পাতলা পায়খানা, জ্বর, পেট ব্যথা শুরু হয় তাহলে তাকে ‘ফুড পয়জনিং’ বলে। ছোট-বড় সবাই এ ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে খাবার স্বাস্থ্যসম্মত থাকলেও যেসব পাত্রে পরিবেশন করা হয় তা অপরিষ্কার থাকায় জীবাণুমুক্ত হয় না। এসব পাত্রে খাবার পরিবেশন করা হলেও ফুড পয়জনিং হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের জীবাণু দ্বারাও ফুড পয়জনিং হতে পারে। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ যাই হোক না কেন লক্ষণগুলো অনেকটা একই থাকে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'খাদ্য থেকে উদ্ভূত অসুস্থতা'কে সংজ্ঞায়িত করে এভাবে- "এমন একটি রোগ যা সংক্রামক বা বিষাক্ত প্রকৃতির এবং এটা এমন জীবাণুর মাধ্যমে হয় যা খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে।"ফুড পয়জনিং হলে সাধারণত পেটে ব্যথা, হজমে সমস্যা, ডায়রিয়া, বমি অনেক ক্ষেত্রে জ্বর হতে পারে। অনেক সময় ফুড পয়জনিং ও ডায়রিয়া আলাদা করা যায় না।চিকিৎসাফুড পয়জনিং হলে প্রথমত খাবার-দাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে নরম খাবার দেওয়া ভালো। এ ছাড়া লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া উচিত। বমি ও পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন দেওয়া যায়। পাশাপাশি ফুড পয়জনিংয়ের তীব্রতা অনুযায়ী উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণুনাশক ওষুধ সেবন করলে দ্রুত ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি নিরাময় লাভ করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে এক ধরনের টক্সিন (অ্যানথ্রাক্স, বোটুলিমিনাস টক্সিন) থেকেও ফুড পয়জনিং হতে পারে। সময়মতো এ রোগের চিকিৎসা করা না হলে শরীরে তীব্র পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ থেকে রোগীর কিডনি অকেজো হয়ে পড়তে পারে; যা কিনা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।প্রতিরোধের উপায়রাস্তার খোলা খাবার খাবেন না। পানি ফুটিয়ে খেতে হবে। বাসন-কোসন ভালোভাবে ধুতে হবে। খাওয়ার আগে হাত ভালো করে ধুতে হবে।দুধ, কলা, ফলমূল বেশি দিন পুরোনো হয়ে গেলে খাবেন না। গরমের সময় হোটেলের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কেননা, অনেক হোটেলেই স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টিতে লক্ষ্য রাখা হয় না। যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কয়েকদিন ধরে ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়া ঠিক নয়। খাবার ঠিকমতো ঢেকে রাখুন, নয়তো বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ খাবারে বসে জীবাণু ছড়াতে পারে।এবি 
    ডেঙ্গু সমস্যা সামলাতে পারবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
    দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল।স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কেউ চাই না ডেঙ্গুতে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হোক। যদি হয়, ওপরওয়ালার ইচ্ছায় আমরা সামলাতে পারবো বলে আশা করি। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সব চিকিৎসক কিন্তু জানেন ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কী করতে হবে। আমাদের একটা গাইডলাইন আছে, সেটি সম্পর্কেও তারা অবগত। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুত আছে। আমি এরই মধ্যে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, আমাদের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডকে (ইডিসিএল) নিয়ে মিটিং করেছি যেন কোনোভাবেই স্যালাইনের ঘাটতি না হয়। মশা নিয়ন্ত্রণে কীভাবে সমন্বয় করা হচ্ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কয়েকটি মিটিং করেছি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং দুই মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষ্যতেও আমরা মিটিং করবো। দুটি মন্ত্রণালয়কে সমন্বয় করে কাজটি করতে হবে। স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।  স্বাস্থ্য সুরাক্ষার আইন নিয়েও আমরা কাজ করছি। যেখানে রুগীদেরও সুরাক্ষা দিব , চিকিৎসকদের ও সুরাক্ষা দিব।এসময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এবি 
    কিডনি ভালো রাখে যে তিন ফল
    শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। কোনো কারণে এ কিডনি বিকল হলে অকালেই মুত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হয়। তাই বিকল হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে কিডনির সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে নিয়মিত ৩টি ফল খেতে পারেন। কিডনি হলো দেহের ছাঁকনি। সব খারাপ পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে পারে এই অঙ্গ। এ ছাড়া বিভিন্ন হরমোন তৈরি থেকে শুরু করে প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। নিয়মিত কিডনি পরিষ্কার করে সুরক্ষিত রাখতে ডায়েটে নিয়মিত তিনটি ফল রাখুন। এগুলো হলো লাল আঙুর, সামুদ্রিক মাছ ও সাইট্রাস জাতীয় ফল।   ১। লাল আঙুর: লাল আঙুরের বাইরের আবরণ ও বীজে রিসভারিট্রল নামের এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেলে। এটি আমাদের ত্বক ও শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে লাল আঙুরে থাকা রিসভারিট্রল, পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড নামক তিন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। লাল আঙুরে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। এই দুই ভিটামিন দূষণ থেকে রক্ষা করে ত্বককে। এছাড়া ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতেও আঙুরের জুড়ি নেই।   ২। ক্র্যানবেরি: ক্র্যানবেরিতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস নামক এ- টাইপ প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিনস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা কমিয়ে মূত্রনালীর এবং কিডনি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া এটিতে পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং সোডিয়ামের পরিমাণও কম।   স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মূত্রনালীর সংক্রমণ মূত্রাশয় এবং কিডনিতে চাপ সৃষ্টি করে। ফলে কিডনির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু ক্র্যানবেরি এবং ক্র্যানবেরি জুস খাওয়ার অভ্যাস কিডনি পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।  ৩। সাইট্রাস জাতীয় ফল: লেবু বা কমলা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পারে। এ জাতীয় টক ফল কিডনি থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফলগুলোতে উচ্চ মাত্রার সাইট্রেটের উপস্থিতির থাকে, যা কিডনিতে পাথর গঠন প্রতিরোধে সহায়তা করে। এমএইচ
    মুরগির লেগ পিস নাকি পাঁজরের মাংস, কোনটি বেশি উপকারী?
    বিরিয়ানি হোক বা কষা মাংস, পাতিলের ভিতর থেকে খুঁজে বার করা চাই মুরগির ‘লেগ পিস’। তা না হলে মাংস খেয়ে আর সুখ কোথায়? বেশির ভাগ মানুষেরই নজর থাকে মুরগির ওই এক জোড়া  লেগপিস দিকেই। একান্ত চিকেন স্টেক বা চিলি চিকেনের মতো কোনো পদ না হলে মুরগির মাংসের অন্যান্য অংশ বাড়ির কেউই খেতে চান না। তবে, পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা। খেতে ভাল লাগলেও মুরগির লেগপিস শরীরের জন্য ভাল নয়। ইদানিং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ কিন্তু মুরগির লেগপিসের মোহ ত্যাগ করে মন দিয়েছেন পাঁজরের অংশে। অবশ্য স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খেলোয়াড়, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অনেকদিন আগে থেকেই মুরগির এই ‘ব্রেস্ট’-এর অংশ নিয়ে সচেতন। চিবোতে কষ্ট হলেও কেন মুরগির পাঁজরের মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।প্রোটিনের মাত্রা বেশি মুরগির লেগপিসের চেয়ে পাঁজরের মাংসে প্রোটিনের মাত্রা বেশি। পেশির গঠনে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১০০ গ্রাম সেদ্ধ পাঁজরের মাংস থেকে প্রায় ৩১ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্যেও মুরগির এই অংশের মাংস খাওয়া ভাল।ফ্যাট কমমুরগির পাঁজরের অংশে ফ্যাট নেই বললেই চলে। যেটুকু স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, তা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। মুরগির এই অংশের মাংসে ফ্যাটের পরিমাণ ৩.৬ গ্রাম। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই ফ্যাট হার্টের জন্য ভাল। পেশি মজবুত করতেও সাহায্য করে। ভিটামিনে সমৃদ্ধমুরগির পাঁজরের মাংসে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে। এই সমস্ত ভিটামিন বিপাকহারের সঙ্গে যুক্ত শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করতে সাহায্য করে। কায়িক পরিশ্রমের জন্য যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন, তা-ও পাওয়া যায় এখান থেকেই।খনিজে ভরপুরফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ মুরগির পাঁজরের মাংসে রয়েছে। হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে ফসফরাস। সেলেনিয়াম আবার কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো। শরীরে ফ্লুইডের সমতা এবং পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণে সাহায্য করে পটাশিয়াম। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, ক্যালোরি মেপে খাবার খান, তাঁদের জন্য মুরগির পাঁজরের মাংস খাওয়া নিরাপদ। কারণ ১০০ গ্রাম সেদ্ধ মাংসে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ১৬৫। তাই প্রতিদিন খেলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।এমএইচ

    Loading…