এইমাত্র
  • সমন্বয়ক রাফিকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রব্বানীর
  • ছাদ ভেঙ্গে আহত বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর
  • ‘টেসলা’র ধাক্কায় গুরুতর জখম অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন
  • 'পিনিক'র পোস্টারে খাঁচায় বন্দি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী
  • সারা রাত শুটিং করতেও কষ্ট লাগে না: জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
  • নিখোঁজের সাতদিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল যুবকের মরদেহ
  • ‘সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না’
  • কুষ্টিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৫
  • রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে: আমির খসরু
  • রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
  • আজ রবিবার, ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

    আপনার স্বাস্থ্য

    দৃষ্টিশক্তি বাড়ে যেসব খাবারে
    চোখ অমূল্য সম্পদ। নিম্নমানের জীবনযাত্রার কারণে মানুষের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগব্যাধি। ৫০-৬০ বছর বয়সের পর যেসব রোগ দেখা দিত, সেটা এখন ৩০-৩৫ পেরোলেই বাসা বাঁধে শরীরে।বর্তমানে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে খারাপভাবে প্রভাবিত হচ্ছে চোখ। ছোট-বড় সবার দৃষ্টিশক্তি বয়সের আগেই দুর্বল হতে শুরু করে। গ্যাজেট নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালে চোখ মোটেও বিশ্রাম পায় না। এতে চোখের ওপর চাপ বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মিও চোখের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিছু খাবার। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করতে পারে।চলুন জেনে নেই দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এমন কিছু খাবারের নাম:আমলকি:ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি চোখের জন্য খুবই উপকারী। আমলকি খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকি। প্রতিদিন ১টি আমলকি খেতে হবে। এটি রেটিনা এবং লেন্সকে ফ্রি ব়্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং চোখকে স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।ক্যাপসিকাম:দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ক্যাপসিকামও একটি ভালো সবজি। রঙিন শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করা হয়। এগুলো ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ। ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি। যা চোখের টিস্যুর ক্ষতি রোধ করে।গাজর:দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন ১-২ টি গাজর খান। এতে থাকা ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। আর দুর্বল চোখ পুষ্টি পায়। গাজর খেলে শুষ্ক চোখের সমস্যাও দূর হয়। ফলে প্রতিদিন গাজর খেতে হবে।ব্রোকলি:যে কোনো উপায়ে ডায়েটে ব্রোকলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্রকলি শুধু চোখ নয়, পুরো শরীরের জন্যই সুপারফুড হিসেবে কাজ করে। এতে জেক্সানথিন ও লুটেইন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা চোখের রেটিনায় পৌঁছে জমতে শুরু করে। এগুলো নীল আলোর কারণে ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করে। চোখের পেশি মজবুত করে এমন উপাদানও রয়েছে ব্রকলিতে।পালং শাক:চোখের সুস্থতায় পালং শাক অবশ্যই খেতে হবে। চাইলে পালং শাক কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ করে সবজি বা স্যুপে মিশিয়ে খেতে পারেন। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী পালং শাক। এতে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান যা চোখকে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। পালং শাকে লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে যা রেটিনাকে ক্ষতিকারক নীল আলো থেকে রক্ষা করে।এফএস
    বাংলাদেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
    দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সানজিদা আক্তার, বয়স ৩০। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১২ জানুয়ারি এই নারীর এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। জানা যাচ্ছিল ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। তখন জানা যায় ওই নারীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়। আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন তখন জানিয়েছিলেন এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় দেশে। এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি। কাজেই এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়। সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।আরইউ
    এইচএমপি ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে ৭টি পরামর্শ
    করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ ভাইরাসের ভয়াবহতা এতটা প্রবল ছিল যে সেই মহামারীতে সারা পৃথিবীতে ৭০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পাঁচ বছর পর চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস সংক্ষেপে এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ায় বিশ্বে নতুন করে আবারও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।  চীনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু ও ৬৫ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে, এইচএমপিভি আক্রান্ত হয়ে চীনের হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে, এমন তথ্য নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সিডিসি বলছে, ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ঘাবড়াবার কিছু নেই। কেননা চীনের সরকার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও কেউই এখনও আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করেনি।এই ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কী-না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও কোনো সতর্কবার্তা দেননি। তবে, রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।এইচএমপিভি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফ্লুর মত উপসর্গ দেখা যায়। সাথে কাঁশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সাথে চামড়ায় র‍্যাশ বা দানা দানা দেখা দিতে পারে। তবে, কারো কারো জন্য এসব উপসর্গ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারসহ সাতটি পরামর্শ মেনে চললে দেশে নতুন করে দেখা দেওয়া হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপি ভাইরাস ঠেকানো যাবে।সম্প্রতি চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশের পর রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশেও এইচএমপি ভাইরাস শনাক্তের খবর আসার মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে এসব নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং দেশের বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করার কথাও বলা হয়েছে। কীভাবে ছড়ায়?এইচএমপিভি সাধারণতঃ আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাঁশি থেকে ছড়ায়। এছাড়া স্পর্শ বা করমর্দনের মত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।এছাড়া আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল' সিডিসি বলছে, এইচএমপিভি রয়েছে এমন বস্তু বা স্থান স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাঁশির ড্রপলেট লেগে থাকা স্থান যেমন দরজার হাতল, লিফটের বাটন, চায়ের কাপ ইত্যাদি স্পর্শ করার পর সে হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়ালে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।অনেকটা  ঠিক কোভিডের মতো। এইচএমপিভির সংক্রমণ সাধারণত শীতের সময় বাড়ে, যখন মানুষ দীর্ঘ সময় ঘরের ভেতর সময় কাটায়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত ফ্লু এর মত উপসর্গ সৃষ্টি করে, যা সাধারণত ২-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এ কারণে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হালিমুর রশিদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশে বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এরসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন, হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও এ রোগের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে নির্দেশনায়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো হল-> শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করা।> হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।> ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া।> আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা ও কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।> ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।> অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ না ধরা এবং> জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।এবি 
    দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত
    জাপান, মালয়শিয়া ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত রোগী। রবিবার (১২ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী, যার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে।এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার (১১ জানুয়ারি) আমরা নতুন করে একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটা রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তিনি রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো। তিনি বলেন, তিনি দেশেই আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ তার কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই।নতুন করে ২০২৫ সালে এসে আতঙ্ক ছড়ালেও এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন।তিনি বলেন, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি। কাজেই এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়।তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা যখন সর্বপ্রথম এই পরীক্ষাটি করেছি, তখনই কয়েকজন শনাক্ত পেয়েছিলাম। হয়তো এর আগেই যদি পরীক্ষা করা হতো, তাহলে আগেই শনাক্ত হতো। সুতরাং ঠিক কবে এই ভাইরাসটি দেশে এসেছে, সেটি বলা সম্ভব নয়। তবে প্রতিবছরই কমবেশি শনাক্ত হয়েছে।সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।বিশেষজ্ঞদের দাবি, এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে এতো ভয়ের কিছু নেই।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়।সিডিসি বলছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোনো বয়সী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মত অসুখ হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে।এবি 
    শরীরের পোড়া ক্ষত সারাতে তেলাপিয়া মাছের চামড়ার ব্যবহার
    ব্রাজিলের ফোর্টালেজ খুবই দরিদ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই স্থানের অধিকাংশ বাসিন্দাই দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষ। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। এই কথা মাথায় রেখে চিকিৎসক এডমার ম্যাসিয়েল, মার্সেলো বোরগেস এবং তাঁর দল সান্টোসের ক্ষত স্থানে মাছের ছালের প্রলেপ দিয়ে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন। আর শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফলও হয়ে যান তাঁরা। বিকল্প ছাল দিয়ে দগ্ধ অঙ্গ সারিয়ে তোলার প্রথা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। মানুষের চামড়ার পাশাপাশি এই কাজে কৃত্রিম চামড়া ও শুয়োরের ছালও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ব্রাজিলের মতো দেশে এই ধরনের সামগ্রীর যা যোগান তাতে দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে তেলেপিয়া এমন একটি প্রজাতির মাছ যা মোটামুটি সব জায়গাতেই কম-বেশি পাওয়া যায়। তাই এই রোগীর শরীরের পুড়ে যাওয়া ক্ষত সারাতে চিকিৎসকরা তেলাপিয়া মাছের ত্বকের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখছেন। এই পদ্ধতিতে অনেকের উপরেই চিকিৎসা চালিয়েছেন তাঁরা এখন পর্যন্ত সাফল্য পাওয়ার কথাই জানাচ্ছেন তারা।• ওষুধের প্রয়োজন নেইব্রাজিলের গবেষকরা বলছেন, পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় তেলাপিয়া মাছের ত্বক ব্যবহার করে সাধারণ উপায়ে চিকিৎসার চেয়ে কম সময়ে সুফল পাওয়া গেছে। এই চিকিৎসায় বাড়তি কোনও ওষুধেরও প্রয়োজন হয় না।• মানুষের ত্বকের মতোতেলাপিয়ার ত্বকে মানুষের ত্বকের প্রায় সমপরিমাণ আর্দ্রতা আর কোলাজেন প্রোটিন আছে। এছাড়া তেলাপিয়ার ত্বক মানুষের ত্বকের মতোই রোগপ্রতিরোধী বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, তেলাপিয়ার ত্বক ব্যথা উপশমে সহায়ক।• চলিত উপকরণের অভাবপোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় সাধারণত শুকরের চামড়া ও মানুষের টিস্যু ব্যবহার করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে আছে আরও বিকল্প ব্যবস্থা। কিন্তু ব্রাজিলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায়ই এসবের অপ্রতুলতা দেখা দেয়। ফলে গজ, ব্যান্ডেজ দিয়ে পোড়ার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু এতে সমস্যা হচ্ছে, দু’দিন পরপর ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করতে হয়, যা অনেক সময় বেদনাদায়ক।• তেলাপিয়া চিকিৎসায় ব্যথা নেই ক্ষতের জায়গায় সরাসরি তেলাপিয়ার ত্বক লাগানো হয়। তারপর ব্যান্ডেজ দিয়ে সেটি আটকে রাখা হয়। কোনও ক্রিমের প্রয়োজন নেই। প্রায় ১০ দিন পর চিকিৎসকরা সেটি খোলেন। এই ক’দিনে তেলাপিয়ার ত্বক শুকিয়ে যাওয়ায় পোড়া ক্ষতের স্থান থেকে সেটি খোলার সময় রোগী ব্যথা পান না।• জীবাণুমুক্ত করামানুষের শরীরে ব্যবহারের আগে তেলাপিয়ার ত্বককে জীবাণুমুক্ত করা হয়। বিভিন্ন স্টেরিলাইজিং এজেন্ট ব্যবহার করে এটি করা হয়। একবার জীবাণুমুক্ত করার পর দুই বছর পর্যন্ত তেলাপিয়ার ত্বক চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা যায়। ছবিতে জীবাণুমুক্ত তেলাপিয়ার ত্বক দেখা যাচ্ছে।• পরীক্ষাব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এখন পর্যন্ত ৫৬ জন রোগীর ওপর এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন।• চীনে প্রথমচীনের গবেষকরা প্রথম পোড়া ক্ষতের চিকিৎসায় তেলাপিয়া মাছের ত্বক ব্যবহার করা যায় কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে ইঁদুরের ওপর সেটি প্রয়োগ করেছেন। তবে ব্রাজিলের গবেষকরাই প্রথম মানুষের ওপর তেলাপিয়ার ত্বক প্রয়োগ পরীক্ষা করে দেখছেন।• খরচ ৭৫ শতাংশ কমগবেষক চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রাজিলে বর্তমানে ক্ষতের চিকিৎসায় যে ক্রিম ব্যবহার করা হয় তার পরিবর্তে তেলাপিয়ার ত্বক ব্যবহার করলে চিকিৎসা খরচ কমবে প্রায় ৭৫ শতাংশ। কারণ, ব্রাজিলে ব্যাপকভাবে চাষ হওয়া তেলাপিয়া মাছের ত্বক সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়।• বাণিজ্যিক ব্যবহারকম মূল্য ও কম সময়ে আরোগ্য লাভ করা যায় বলে চিকিৎসকরা আশা করছেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হবে। এ লক্ষ্যে তারা ব্যবসায়ীদের প্রতি তেলাপিয়ার ত্বক জীবাণুমুক্ত করে চিকিৎসাকাজে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।এবি 
    প্রতি সিগারেটে আয়ু কমে ২০ মিনিট: গবেষণা
    প্রতিটি সিগারেট মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নেয় ২০ মিনিট আয়ু। সেই হিসেবে সিগারেটের একটি প্যাকেট মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে গড়ে সাত ঘণ্টা সময়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য ওঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।সিগারেটের ক্ষতি সম্পর্কে নতুন করে করা এই গবেষণার পর নতুন বছরে ধূমপায়ীদের অভ্যাসটি ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, এতদিন ধরে ডাক্তাররা যে ধারণা করে এসেছেন, তার চেয়েও অনেক দ্রুত আয়ু কমিয়ে দেয় ধূমপান।নতুন এই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, একজন ধূমপায়ী যদি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে দিনে ১০টি সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দেন, তাহলে ৮ জানুয়ারির মধ্যে এক দিন, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহ এবং ৫ আগস্ট পর্যন্ত তার আয়ু বাড়তে পারে পুরো এক মাস। আর পুরো বছর এই অভ্যাস ধরে রাখলে বছর শেষে তার আয়ু বাড়তে পারে ৫০ দিন। অর্থাৎ তিনি অন্তত ৫০ দিন আগে মারা যাওয়া থেকে বেঁচে যেতে পারেন।ইউসিএলের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. সারাহ জ্যাকসন বলেন, মানুষ জানে না ধূমপান ঠিক কতটা ক্ষতিকর। একজন নিয়মিত ধূমপায়ী তার জীবনের প্রায় এক দশক সময় ধূমপানের জন্য হারিয়ে ফেলেন।২০০০ সালে বিএমজের গবেষণায় দেখা গেছে, একটি সিগারেট গড়ে প্রায় ১১ মিনিট আয়ু হ্রাস করে। তবে জার্নাল অব অ্যাডিকশনে প্রকাশিত সর্বশেষ বিশ্লেষণে এই সংখ্যাটি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুষদের জন্য ১৭ ও নারীদের জন্য ২২ মিনিটে।
    এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিং ও পিআর প্রধান হলেন সালাহউদ্দিন মামুন
    এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিং এবং জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. সালাহউদ্দিন মামুন। এর আগে, তিনি ওই বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।এভারকেয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জনসংযোগ ও ব্র্যান্ডিং খাতে অভিজ্ঞতা অর্জন করা সালাহউদ্দিন মামুন এখন থেকে এভারকেয়ার হসপিটালের বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা এবং সেবামূলক কার্যক্রম প্রচারের দায়িত্বে থাকবেন। তার নেতৃত্বে হাসপাতালের ব্র্যান্ডের উন্নতি এবং জনসম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।সালাহউদ্দিন মামুন তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে জানান, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সাথে নতুন করে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য এবং উদ্যোগগুলোর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আশা করছি, আমি আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এভারকেয়ারের সেবা কার্যক্রম এবং ব্র্যান্ডিং প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে সক্ষম হব।প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুণগত মানের স্বাস্থ্যসেবা এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।  এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে আছে ২৪/৭ জরুরী বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ, যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    চোখে স্ট্রোক: সাবধান না হলে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি
    মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ। দু চোখের আলো ছাড়া আমরা অচল। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো তাই নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়া জরুরি। জানলে অবাক হবেন, চোখেও স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক কথাটি শুনলেই প্রথমে মস্তিষ্কের কথা মনে হয়। আবার হিটস্ট্রোক শব্দও এখন সবার পরিচিত। প্রচণ্ড গরম, আর্দ্রতার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অনেকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এমনকি মারাও যান। গরমের দাপটে কিংবা শরীর ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) হয়ে পড়লে স্ট্রোক যে চোখেও হতে পারে, সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই ধারণা নেই। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, ও অক্সিজেন বহনকারী নালীগুলি যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই ঘটে এই বিপদ। কেড়ে নিতে পারে সারা জীবনের জন্য চোখের দৃষ্টি। কিন্তু কিছু ভুলের কারণে আপনার চোখেও স্ট্রোক হতে পারে। কেন জানেন? চোখের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রেটিনা। আমরা যা দেখি সব এই রেটিনার মাধ্যমেই। যখন এই রেটিনার শিরাগুলো ব্লক হয়ে যায় তখনই চোখে স্ট্রোক হয়। অনেকে ভাবেন, স্ট্রোক শুধু ব্রেন বা হার্টে হয়। এই ধারণা ভুল।  চিকিৎসকরা বলছেন, ব্রেন বা হার্ট স্ট্রোকের মতোই চোখের স্ট্রোকও সমানভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এটি বড় ধরনের স্ট্রোকের ইঙ্গিত দেয়। আসলে চোখের রেটিনার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মস্তিষ্কের। তাই রেটিনার মধ্যে হঠাৎ করে যদি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তাহলেই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। এই অবস্থায়, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে চোখের শিরার ক্ষতি ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো বিপদের ঝুঁকি কমতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখের স্ট্রোক একটি মাত্র চোখে হয়ে থাকে। তবে, সময়মতো রোগ নির্ণয় করতে না পারলে দুচোখের দৃষ্টিই হারাতে হতে পারে। কেন হয় চোখে স্ট্রোক? বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের চোখে অসংখ্য রক্তবাহী নালী রয়েছে। এসব রক্তনালীতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ না হলে সেগুলোতে দেখা দেয় ব্লকেজ। আর তখনই ঘটে স্ট্রোকের মতো ঘটনা। ঝাপসা দেখা থেকে শুরু করে একেবারেই চলে যেতে পারে দেখার ক্ষমতা।কাদের এই সমস্যা হতে পারে? যাদের বয়স ৫০-এর বেশি তাদের চোখে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বেশি। উচ্চরক্তচাপে ভোগা ব্যক্তি এবং ডায়াবেটিস আছে এমন মানুষদের মধ্যে চোখের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।কীভাবে বুঝবেন চোখে স্ট্রোক হয়েছে?  চোখে স্ট্রোক হলে মনে হবে চোখের সামনে কিছু একটা ভাসছে। এগুলোই হলো ফ্লোটার কণা। যখন চোখে রক্ত বা অন্য কোনো তরল বের হয়, তখনই এমন হয়ে থাকে। চোখে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা, ব্যথা অনুভব করবেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখে স্ট্রোক হলে যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।চোখে স্ট্রোক হলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়। চোখে ঠিকমতো কিছু দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের স্ট্রোকের চিকিৎসা অনেকটাই নির্ভর করে স্ট্রোকে চোখের কতটা ক্ষতি হয়েছে তার ওপর। থেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা সম্ভব। তাই চোখে দৃষ্টিশক্তিজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবি 
    হার্ট ভালো রাখতে মেনে চলুন দশটি নিয়ম
    সুস্থ জীবনের জন্য হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখা জরুরি। একটুখানি অবহেলা যেমন হার্টের বড় ক্ষতি করতে পারে, তেমনি সংশয়ে ফেলে দিতে পারে আপনার জীবনকেই। তাই সুস্থ জীবনের হার্ট ভালো রাখার পদ্ধতিগুলো মেনে চলা উচিত। হার্ট ভালো রাখতে কী কী করতে পারেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক:সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা:সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্য উপাদান হৃদযন্ত্র ভালো রাখার শ্রেষ্ঠ উপায়।হৃৎবান্ধব খাদ্যাভ্যাস হলো সঠিক পুষ্টি গ্রহণের প্রথম পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্টের মিনোসটার ইউনিভার্সিটি অব রচেস্টরের মায়ো ক্লিনিকের মতে, খাদ্য তালিকায় বেশি করে শাকসবজি, ফল, শস্যদানা রাখা হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত। এছড়া   স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অলিভ অয়েল, বাদাম এবং সামুদ্রিক মাছ খাওয়া হার্টের জন্য উপকারী। লাল মাংস, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ পরিহার করা উচিত​।পর্যাপ্ত ব্যায়াম:অ্যামেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ অনুযায়ী, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম, যেমন হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো বা সাঁতার, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কোলেস্টেরল কমে যায়​।ধূমপান ত্যাগ:ধূমপান হার্টের জন্য অন্যতম ক্ষতিকর অভ্যাস। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজশনের মতে, ধূমপান হৃদরোগের প্রধান ঝুঁকি।ধূমপান বন্ধ করলে ধীরে ধীরে রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের গুণগত মান উন্নত হয়​। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা:অতিরিক্ত মানসিক চাপ হার্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যোগব্যায়াম এবং নিয়মিত বিশ্রাম মানসিক চাপ কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ হার্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই মানসিক শান্তি বজায় রাখা জরুরি​।পর্যাপ্ত ঘুম:সুস্থ হার্টের জন্য রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিরাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাব উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা:উচ্চ রক্তচাপ নিঃশব্দে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিংস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হার্ট ভালো রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও ব্যায়াম অপরিহার্য​।ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা:অতিরিক্ত ওজন হৃদযন্ত্রকে ওপর অতিরিক্ত চাপে রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত ব্যায়াম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সহজ। এর ফরে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ:অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল হার্টের পেশির দুর্বলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। তাই অ্যালকোহল গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া বা একেবারেই বন্ধ করার পক্ষে মত দেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা হার্ট ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ​। হার্ট ভালো রাখতে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরিামর্শ নিন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:প্রতি বছর বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর হার্টের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলি করা উচিত, যেমন কোলেস্টেরল পরীক্ষা, ইসিজি ইত্যাদি। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা আপনার হৃদযন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে আপনি ওয়াকিবহাল থাকবনে, সমস্যার শুরুতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।সুতরাং হার্ট ভালো রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শারীরিক চর্চা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর এই সুপারিশগুলো হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।সূত্র: জন হপকিংস মেডিসিনএফএস
    যে চার অসুখ পুরুষের লজ্জা নয়, প্রয়োজন চিকিৎসা
    নারীরা প্রায়শই লজ্জা ও সংকোচের কারণে বেশ কিছু অসুখ সম্পর্কে পরিবারের কাছে তথ্য গোপন করেন। দেখা যায় খুব জটিল পরিস্থিতি হলে তখনই সেটি প্রকাশ পায়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী পুরুষেরাও অনেক সময় তাদের নানা অসুখ সম্পর্কে লজ্জা বোধ করেন এবং তথ্য গোপন করেন।চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই প্রজননতন্ত্রের নানা অসুখ। অণ্ডকোষের নানাবিধ সমস্যা, যৌন দুর্বলতা, ফিস্টুলা, গাইনোকোমেশিয়া বা পুরুষের স্তন বৃদ্ধি এর মধ্যে কয়েকটি।ঢাকার সাবিনা ইয়াসমিন (ছদ্মনাম) একদিন হঠাৎ খেয়াল করছিলেন তার স্বামী ঠিকভাবে বসতে পারছেন না। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কিছু একটা তার জন্য বেশ ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।‘‘প্রথমে আমাকে জানালো যে তার পায়ুপথের কাছে একটা ফোঁড়া হয়েছে। তখন আমি দেখতে চাইলে ও রাজি হল না। যখন দেখছি যে ও খুব কষ্ট পাচ্ছে তখনও সে আমাকে দেখতে দেয় না। এরকম বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে। এরপর এক রকম জোর করেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। সে তখনও আমাকে ডাক্তারের চেম্বারের মধ্যে ঢুকতে দেয়নি।’’সাবিনা ইয়াসমিন পরে জানতে পারলেন তার ৫০ বছর বয়সী স্বামীর পায়ুপথে ফিস্টুলা হয়েছে। পায়ুপথের কাছে নিতম্বের একটি অংশে সুড়ঙ্গের মতো হয়েছে। সেটি মিশে গেছে পায়ুপথের সাথে। সেখানে রীতিমতো পুঁজ জমে গেছে। এই সমস্যার চিকিৎসায় তিন ধাপের অস্ত্রোপচার দরকার হয়েছে। দশ দিন পরপর মোট তিনবার করা অস্ত্রোপচারে খরচ হয়েছে ছয় লাখের মতো।সাবিনা ইয়াসমিন বলছেন, ‘‘প্রতিবার অপারেশনের পর একটা মোটা গজ কাপড় ঝুলে থাকতো সুড়ঙ্গটার মুখ থেকে। চিন্তা করেন তিন চার ইঞ্চি মাংসের মধ্যে ঠেসে গজ কাপড় ঢুকানো। প্রথমবার জায়গাটা আমার দেখার সুযোগ হয়েছে যখন অপারেশনের পর ড্রেসিং পরিষ্কার করার দরকার হয়েছে। আমি ওর স্ত্রী। আমাকেও কি একটু জানাবে না? সময়মত জানলে একটু গুগল করতে পারতাম। তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যেতে পারতাম। তাহলে বিষয়টা এত খারাপ অবস্থায় যেত না।’’অণ্ডকোষের নানাবিধ সমস্যাইউরোলজিস্ট ডা. ফজল নাসের অণ্ডকোষের কয়েকটি অসুখ সম্পর্কে ধারণা দিলেন। হাইড্রোসিল, যাতে অণ্ডকোষের বাইরের দিকে পানি জমে, অণ্ডকোষ ফুলে যায়। প্রদাহ অথবা আঘাতের কারণে এটি হতে পারে। অণ্ডকোষের দুই পাশে, অথবা একপাশেও এটি হতে পারে।হার্নিয়া হলে মনে হবে পেটের ভেতর থেকে নাড়ি বের হয়ে আসতে চায়। হাঁচি, কাশি দিলে অথবা জোরে হাঁটলে মনে হবে তলপেটের নিচ থেকে কিছু একটা অণ্ডকোষের ভেতরে চলে আসতে চাচ্ছে। অণ্ডকোষকে ঝুলে থাকতে সাহায্য করে, বলা যেতে পারে তারের মতো এই অংশটি অণ্ডকোষের সাথে পেঁচিয়ে গেলে তাকে বলা হয় টেস্টিকুলার টরশন। পেট থেকে যে রক্তনালী অণ্ডকোষের সাথে সংযুক্ত থাকে সেটা ফুলে যেতে পারে, দেখতে কৃমির মতো মনে হতে পারে, যাকে বলা হয় ভেরিকোসিল।টেস্টিকুলার সিস্ট হলে মনে হবে দুটি অণ্ডকোষের সাথে নতুন আরও অণ্ডকোষ গজিয়েছে। তিনি বলছেন, অণ্ডকোষের বেশিরভাগ সমস্যায় অঙ্গটি ফুলে যাওয়া একটি লক্ষণ। বেশিরভাগ সমস্যায় ব্যথা হতে পারে।ডা. নাসের বলছেন, ‘‘অণ্ডকোষের সমস্যা নিয়ে তখন অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন যখন খেয়াল করবেন যে অণ্ডকোষের অনুভূতি চলে গেছে। অণ্ডকোষে হাত দিলে, এমনকি উরুতেও একটু ঘষা লাগলে পুরুষদের এক ধরনের অনুভূতি হয়। সেই অনুভূতি যখন বোধ করবেন না এবং আস্তে আস্তে অণ্ডকোষ ফুলে যাচ্ছে, এই দুটো সমস্যা খেয়াল করলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। কারণ এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।’’গাইনোকোমেশিয়া৩৫ বছর বয়সী একজন তরুণ, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার এক বাসিন্দা বলছেন, যখন কৈশোরে পা দিয়েছেন তখন বুকের কাছে মেয়েদের স্তনের মতো কিছু একটা প্রথম খেয়াল করেন। বাড়ির কর্মচারীদের একজন বিষয়টার প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, যে ছেলেদের এমন হওয়ার কথা না। এরপর থেকে বাকি জীবন পরণে পোশাক ছাড়া তাকে দেখেছেন শুধু ঘনিষ্ঠ কয়েকজন।‘‘একটা অ্যাফেয়ার ছিল আমার কলেজ লাইফে। যার সাথে অ্যাফেয়ার ছিল, সেই ভদ্রমহিলা অনেক সময় এটা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতো যে আল্লাহর তো তোকে আসলে মেয়ে বানানোর কথা ছিল, ভুলে ছেলে বানাইছে।’’‘‘বাংলাদেশে যেটা হয় যে পুরুষরা খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আমি সেটা কখনোই পারতাম না। ম্যাট্রিকে যখন পড়ি, তখন থেকে আমার পুরো লাইফে ঘনিষ্ঠ দু-একজন ছাড়া আমাকে খালি গায়ে কেউ দেখেনি।’’যে অসুখটি সম্পর্কে তিনি বলছেন তার নাম গাইনোকোমেশিয়া বা পুরুষদের স্তন বৃদ্ধি। সে সম্পর্কে তার এই সংকোচের কারণ সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, ‘‘নরমালি আমরা যেটা দেখে অভ্যস্ত তার বাইরে আমরা যদি কিছু দেখি তাহলে সেটা আমাদের মধ্যে একটা সংকোচ তৈরি করে। পুরুষ মানুষের চেস্ট যেরকম থাকার কথা আমার সেরকম না এটা হয়ত আমার সংকোচের কারণ”।“আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যখন থাকতাম তখন আমার রুমমেটরা খালি গায়ে বসে থাকতো। তারা আমাকে বলতো, অনেক গরমকালেও কেন আমি শার্ট পরে বসে আছি। আমার সংকোচটা ছিল ওরা আমাকে নিয়ে হয়ত হাসাহাসি করবে। কলেজের বান্ধবী যখন খোঁটা দিছিল তখনও একটু লজ্জা পাচ্ছিলাম।”এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. মুস্তাফা কায়সার বলছেন, গাইনোকোমেশিয়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে সৃষ্ট একটি অসুখ। সাধারণত কিশোর বয়সে শুরু হয়ে কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যায়।তিনি বলছেন, “সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে গাইনোকোমেশিয়া হয়। উভয়-পাশে বা একপাশে এটি হতে পারে। সাধারণত এতে ব্যথা থাকে। বেশিরভাগ সময়ে এটা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। যদি এটা তিন সেন্টিমিটারের বেশি বড় হয়, আমরা হরমোন চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এটি ক্যান্সার বা অন্য কোন শারীরিক জটিলতা তৈরি করে না। তবে ছয় মাসের বেশি সময় থাকলে এটি আর ভাল হয় না। বয়স বেড়ে যাওয়ার পর যদি কেউ অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে খুব সহজ অস্ত্রোপচার করে এটি অপসারণ করা যায়।”ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ও প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশনডা. ফজল নাসের বলছেন, যে সমস্যায় পুরুষরা সবচেয়ে বেশি সংকোচবোধ করেন তা হল যৌন মিলনের সময় পুরুষাঙ্গ শক্ত না হওয়া যাকে বলে ইরেক্টাইল ডিসফাঙ্কশন। সঙ্গম শুরু করার পর খুব দ্রুত বীর্যপাত হওয়া এটিকে বলা হয় প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন।তিনি বলছেন, “বেশিরভাগ পুরুষ জীবনে কোন না কোন সময় এটির মুখোমুখি হয়। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তাদের কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় ক্লান্তি, উদ্বেগের কারণে সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তবে কারো যদি নিয়মিত এই সমস্যা হয় তাহলে তার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।”যৌনাঙ্গের রক্তনালী সরু হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, হরমোনজনিত সমস্যা, কোন ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এই সমস্যার কারণ হতে পারে। ডা. নাসের বলছেন, এই সমস্যা দুটি বেশিরভাগ সময় চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়।সংকোচের পেছনে যে কারণ থাকতে পারেশারীরিক কষ্ট ও নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকা স্বত্বেও পুরুষেরা কেন তাদের কিছু অসুখের কথা গোপন করেন? মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইশরাত শারমিন রহমান বলছেন, নারী ও পুরুষের অসুখ নিয়ে লজ্জার কারণ দুই রকম এবং বিষয়টি সামাজিকভাবে শিক্ষার একটি ফল। তার মতে পুরুষেরা দুর্বল হবে না, তার যৌনতা তার শক্তির উৎস সামাজিকভাবে পুরুষদের এমন শিক্ষা দেয়ার কারণে তারা এসব অসুখকে তারা পুরুষত্বের উপরে আঘাত মনে করে।তিনি বলছেন, “তারা ফিল করে যে যদি তারা কথা বলে তাহলে তাদের দুর্বল মনে করা হতে পারে। তাদের যে পুরুষত্ব সেটার উপরে একটা আঘাত মনে করে। তার অনেক সময় তারা মনে করে যে তার প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশনের সমস্যা বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশন আছে এই বিষয়টি যদি কারো সাথে শেয়ার করে তাহলে সে তাদের কাছে ছোট হবে।”“অনেক সময় দেখা যায় তারা ভাবে শেয়ার করলে বুলিং করবে হাসাহাসি করবে, পুরুষত্বে সমস্যা আছে বলে লেবেল করবে। পুরুষরা ভাবে যে সেক্সুয়াল বিষয় তাদের শক্তির উৎস। এই বিষয়ে সামর্থবান না হতে পারলে তাদের পুরুষালী ধারনা ও ইগো আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমনকি স্ত্রীরাও খোঁটা দিয়ে থাকে এসব কারণে তারা লজ্জা বা সংকোচ বোধ করে।”ডা. ইশরাত শারমিন রহমান বলছেন, পুরুষদের এসব সমস্যার সমাধানে সামাজিকভাবেই তার শিক্ষার পরিবর্তন দরকার। তবে তিনি মনে করেন তার সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন তার স্ত্রী ও সঙ্গী। যাদের পক্ষে সমস্যা আঁচ করা অন্যদের চেয়ে সহজ।তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন যে দোষারোপ ও বিদ্রূপ না করে সঙ্গী যদি বরং তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে মানসিক সমর্থন জোগায় সেটি হবে অসুখটি সারিয়ে তোলার অনেক বড় একটি ধাপ।চার ধরণের চিকিৎসকপুরুষদের যেসব সমস্যার কথা এই লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে তার অনেকগুলোর চিকিৎসার জন্য ইউরোলজিস্টের কাছে যেতে হয়। যেমন অণ্ডকোষের নানাবিধ সমস্যা, ইরেক্টাইল ডিসফাঙ্কশন, প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন, হার্নিয়া ইত্যাদি। অণ্ডকোষের কিছু সমস্যা ও হার্নিয়ার জন্য যদি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় তাহলে সার্জিকাল স্পেশালিষ্ট দরকার হবে। ইউরোলজিস্ট চিকিৎসার পরবর্তী ধাপগুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেবেন। গাইনোকোমেশিয়া চিকিৎসা দেন এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও হরমোন বিশেষজ্ঞ। যদি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সার্জিকাল স্পেশালিষ্ট। দেশের যেকোনো সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই চার ধরনের চিকিৎসক রয়েছেন।
    কর্মক্ষেত্রে প্রতি পাঁচজনে একজনের মানসিক সমস্যা
    জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বেশির ভাগই কর্মক্ষম। পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল হওয়া সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে এর স্বীকৃতি না পাওয়া, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম ও হতাশায় তাঁরা মানসিক রোগে আক্রান্ত। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে এখনো মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেওয়ার অভ্যস্ততা তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। অথচ সময়মতো সঠিক কাউন্সেলিং ও চিকিৎসা পেলে এ ধরনের রোগী সহজেই স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন।দেশের এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট পৃথকভাবে সভা, সেমিনার ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এখনই’।দেশে কতজন মানুষ মানসিক রোগে ভুগছেন এ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে গত পাঁচ বছরে কোনো জরিপ বা গবেষণা করা হয়নি। ২০২২ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল ঠিক করা হলেও এর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে প্রতি পাঁচজনে একজন মানসিক সমস্যায় ভোগেন। আর তাদের মধ্যে গুরুতর মানসিক অসুস্থতার জন্য ৮০ শতাংশ চাকরি হারান।সরকারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে মোট মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ বা সাইকিয়াট্রিস্ট আছেন ৩৫০ জন। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য বিশেষজ্ঞ রয়েছেন ০ দশমিক ১৭ জন। অন্যদিকে, দেশে মোট মনোবিদ বা সাইকোলজিস্ট আছেন ৫৬৫ জন বা প্রতি লাখে ০ দশমিক ৩৪ জন। সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার আছেন সাতজন বা প্রতি লাখে ০ দশমিক ০০৪ জন। অকুপেশনাল থেরাপিস্ট ৩২৪ জন বা প্রতি লাখে ০ দশমিক ১৮ জন। নার্স রয়েছেন ৭০০ জন।জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তথ্যে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বেশিরভাগই কর্মক্ষম। পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল হওয়া সত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে এর স্বীকৃতি না পাওয়া, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম ও হতাশায় তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত।চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) হাসপাতালটির বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রোগীদের বেশিরভাগই বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত সমস্যা নিয়ে এসেছেন। এছাড়াও অনেকে সোমাটিক সিম্পটম ডিজ-অর্ডার (মানসিক রোগের সমষ্টি), অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজ-অর্ডার (অবাঞ্ছিত চিন্তাভাবনা), বাইপোলার ডিজ-অর্ডার (অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস প্রবণতা), সিজোফ্রেনিয়ো (উদ্ভট চিন্তা, অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা) ও অন্যান্য সাইকোটিক ডিজ-অর্ডার নিয়ে এসেছেন।জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এ বছরের চলতি অক্টোবর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৪৪ জন। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৬৫৮ জন শিশু-কিশোর। শতাংশের হিসেবে এ হার ১০ শতাংশ। এদের বেশিরভাগেরই কনডাক্ট ডিজ-অর্ডার বা আচরণগত সমস্যা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত পরিশ্রম, কম পারিশ্রমিক, কর্মী ছাঁটাই, কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্টি, সহকর্মীদের অসহযোগিতা, দারিদ্র্য ও সামাজিক অবস্থান হারানোর ভয়ে মূলত কর্মীরা বিষণ্নতায় ভোগেন। কর্মক্ষেত্রে প্রতি পাঁচজনে একজন মানসিক সমস্যায় ভোগেন। আর তাদের মধ্যে গুরুতর মানসিক অসুস্থতার জন্য ৮০ শতাংশ কাজ হারান। এসব মানুষ অনুপস্থিতি, কর্মদক্ষতা হ্রাস, কাজে কম মনোযোগ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব এবং মনে রাখার সমস্যায় ভোগেন।জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, উন্নত বিশ্বে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী শুধু বিষণ্নতার কারণে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এতে বছরে গড়ে ৩৬ কর্মদিবস নষ্ট হয়। এসব রোগীদের ৫০ শতাংশ চিকিৎসাসেবা নেন না। অনেক সময় মানসিক সমস্যার কথা মুখ ফুটে বললে চাকরি হারানোর ভয় থাকে।‘তবে কাজের চাপ, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা, উদ্বেগ, পরিবারে সময় কম দেওয়া ইত্যাদি কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের ওপর মানসিক চাপ বাড়ে, যা কর্মদক্ষতা কমিয়ে দেয়’- বলেন তিনি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের ফেজ বি রেসিডেন্ট ডা. নাহিদ আফসানা জামান বলেন, মানসিক রোগীদের মধ্যে ৯২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ শিশু-কিশোর চিকিৎসার আওতায় আসছেন না। চিকিৎসা শুরু হতেই গড় বিলম্ব হয় ২৪ থেকে ৩৬ মাস। বিলম্বজনিত কারণে মানসিক রোগ চরমমাত্রা ধারণ করতে পারে এবং এক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হন রোগীরা।এইচএ 
    সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে ৮০ প্রাণহানি, আক্রান্ত ১৮০৯৭
    সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৭ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ। এর আগের মাস আগস্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৫২১ এবং মৃত্যু হয় ২৭ জনের; জুলাইয়ে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার ৬৬৯ এবং মৃত্যু হয় ১২ জনের। এ ছাড়া এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৮ জন।সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬০৩ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় দৈনিক মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গত আগস্টের তুলনায় তিনগুণের বেশি এবং যা চলতি বছরের অন্য মাসগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৪৬২ ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৭৫৯ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭০৩ জন। এ বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৭ হাজার ৪৩০ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০৮ জন।চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৩৮ জন, যাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ নারী। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১৬৩ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ।বাংলাদেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন ডেঙ্গু রোগ নিয়ে।এবি 
    কোন উপসর্গ দেখলেই বুঝবেন ডেঙ্গু টেস্ট করা জরুরি?
    ডেঙ্গুর জ্বর নিয়ে অনেক মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যুর সংখ্যা একেবারে কম নয়।কোন শরীরে কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হতে পারে?সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র‍্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে।ডেঙ্গুর লক্ষণ/উপসর্গ ডেঙ্গু সাধারণত দু-ধরনের-ক্লাসিক্যাল এবং হেমোরেজিক। তবে বেশি তীব্র হলে সেটাকে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’ বলে। সাধারণত ডেঙ্গু হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দেয়– ১। ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর এবং সেই সাথে হাড় ও শরীর ব্যথা থাকে।২। তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। সেই সাথে ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দিয়ে আবার জ্বর আসতে পারে।৩। মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হয়।৪। জ্বর হওয়ার ৪-৫ দিন পর শরীরে লালচে র‍্যাশ দেখা যায়।৫। বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং অত্যধিক পানি পিপাসা।৬। খাবারে অরুচি এবং এর সাথে বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, মাঝে মাঝে খিচুনিও হতে পারে।৭। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধের মাঝে মাঝে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।৮। পানি আসার কারণে অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে।৯। গরমের সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে অনেক রোগীর ক্ষেত্রে জ্বর দুদিন স্থায়ী হয়ে চলে যায়। বিবিসির একটি প্রতিবেদন বলছে, অনেক ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর জ্বর থাকে না। সে ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গু টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কি না।  ১০।  ডেঙ্গু জ্বরে অনেক রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, বুকে পেটে পানি আসে, যকৃত আক্রান্ত হওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। জ্বর হওয়ার কতদিনের মধ্যে কোন টেস্ট করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে? স্বাভাবিক জ্বর থেকে ডেঙ্গু জ্বরের পার্থক্য টানতে চিকিৎসকরা শুধু শরীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠা লক্ষণগুলোতেই নজর দেন না। কারণ, অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরে লক্ষণ স্পষ্ট হয় না। তাই ডেঙ্গু নির্ণয়ে কিছু টেস্ট করাতে দেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বর নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট হলো এনএসওয়ান। এই টেস্ট জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই করলে টেস্টের রেজাল্ট ভুল আসে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, টেস্টের রিপোর্ট যাতে শতভাগ নির্ভুলের জন্য জ্বরের ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে এ টেস্ট করতে হবে। আবার ৪ দিন ডেঙ্গু জ্বর পেরিয়ে গেলে এ পরিস্থিতিতে রোগীর এনএসওয়ান টেস্ট করা যাবে না। কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বরের ৪ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এনএসওয়ান টেস্ট ভুল আসে। তাই রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে করতে হবে আইজিজি ও আইজিএম। এ দুই টেস্টের মধ্যে রোগী আইজিজি টেস্ট না করলেও চলবে। তবে আইজিএম টেস্ট অবশ্যই করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইজিএম টেস্টেই ধরা পড়ে রোগীর ডেঙ্গু জ্বর। টেস্টে ডেঙ্গু নিশ্চিত হলে উদ্বিগ্ন না হয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, তরল খাবার ও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল অথবা নাপা খেতে দিন। ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট কমে গেলে তা ভয়ের কারণ নয়। খেয়াল রাখুন, রক্তের প্লাটিলেট ১০,০০০-এর নিচে নেমে গেলে এবং সেই সঙ্গে রক্তপাত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর সেবা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।ডেঙ্গু হলে কী করবেন:১। বেশি পরিমান তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন: লেবুর শরবত, ফলের জুস, খাবার স্যালাইন।২। সারাদিনে বিশুদ্ধ খাবার পানি ১২ থেকে ১৪ গ্লাস খেতে হবে।৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। মুখে তরল জাতীয় খাবার বা অন্যান্য খাবার যদি খেতে পারে এবং শারীরিক জটিলতা যদি দেখা না দেয় তাহলে বাসায় পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন।৪। জ্বরের শেষের দিকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে অথবা মাড়ি, নাক  দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এক্ষেত্রে  ফ্লুইড  ম্যানেজমেন্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, হয়ত শিরাপথে স্যালাইন দেয়া লাগতে পারে। এসব ক্ষেত্রে তাই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।ডেঙ্গু হলে কী করবেন না-১। ঘরবাড়ি আশপাশ অপরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না।২। ফুলের টব কিংবা ফ্রিজে নিচে পানি জমাবেন না। প্রতি তিন দিন অন্তর অন্তর পানি ফেলে দিতে হবে।৩। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল ছাড়া অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। এফএফ
    দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ শিশু
    এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রতি তিন জন শিশুর একজন মায়োপিয়া নামের চোখের অসুখে ভুগছে। এই রোগে আক্রান্তরা দূরদৃষ্টির সমস্যায় ভোগে, অর্থাৎ স্বাভাবিক দূরত্বে থাকা বস্তু অস্পষ্ট দেখে।যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একটি দলের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। বিশ্বের ৬টি মহাদেশের ৫০ লাখ বিভিন্ন বয়সী শিশুর তথ্য সংগ্রহ এবং সেসব তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গবেষণা প্রবন্ধ প্রস্তুত করেছেন তারা। ব্রিটেনের বিখ্যাত চিকিৎসা সাময়িকী জার্নাল অব অপথামোলজিতে প্রবন্ধটি ছাপা হয়েছে।প্রবন্ধে গবেষকরা বলেছেন, এশিয়া মহাদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই মহাদেশের অর্ধেকেরও বেশি শিশু দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে এই মহাদেশের দুই উন্নত দেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। জাপানের ৮৫ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৭৩ শতাংশ রোগী মায়োপিয়ায় আক্রান্ত।  চীন এবং রাশিয়ার মোট শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্তদের হার ৪০ শতাংশের বেশি। যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মোট শিশুদের ১৫ শতাংশ এই সমস্যায় ভুগছে।তুলনামূলকভাবে দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকায় মায়োপিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা অনেক কম, শতকরা হার মাত্র ১ শতাংশ। গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৩— ৩৩ বছরে বিশ্বজুড়ে দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের হার বেড়েছে ৩৬ শতাংশেরও বেশি।মায়োপিয়া রোগটি মূলত জেনেটিক। পিতা-মাতা বা রক্তসম্পর্কিত ঘনিষ্ঠ কেনো আত্মীয়ের এই সমস্যা থাকলে উত্তরাধিকারসূত্রে তা শিশুদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ার এই উল্লম্ফণ শুধু জেনেটিক কারণে হয়নি, অন্যন্য কিছু প্রভাবও এখানে বেশ বড় ভূমিকা রেখেছে।চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, জন্মের পর থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত আমাদের চোখ গঠিত হতে থাকে। কোনো ব্যক্তির ছোটো বেলায় যদি চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, তাহলে তার মায়োপিয়া সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং তা কখনও নিরাময় হয় না।গবেষণা প্রবন্ধে ব্রিটিশ চক্ষুবিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেসব দেশে অল্প বয়সে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা হয়, সেসব দেশের শিশুদের মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুরের অধিকাংশ শিশুর দৃষ্টি সমস্যার বড় কারণ এটি।আবার দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্তের হার অনেক কম পাওয়া গেছে। এ দু’টি অঞ্চলে শিশুরা গড়ে ৭ কিংবা ৮ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়।এছাড়া শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ার হার ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে করোনা মহামারির পর। কারণ মহামারির সময় শিশুরা দিনের পর দিন ঘরবন্দি ছিল এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা কাটিয়েছে মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা টেলিভিশন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থেকে। এসব ইলেকট্রিক গেজেট থেকে আসার রশ্মি দিনের পর দিন চোখে ঢুকলে এক সময় শিশুদের দূরের দৃষ্টিক্ষমতা কমে যায়।গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে বিশ্বজুড়ে মায়োপিয়ার এই উল্লম্ফণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ করোনা মহামারি। আমাদের শিশুদের ইলেকট্রিক গেজেটের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার শুরু এই মহামারির সময় থেকেই।”ছেলে শিশুদের তুলনায় মেয়ে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে বাড়ির বাইরে চলাচল ও খেলাধূলার প্রবণতা কম থাকা এর প্রধান কারণ।গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এই অবস্থা যদি চলতে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক শিশু মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।মায়োপিয়ার উপসর্গএই রোগের উপসর্গগুলো হলো—১. স্বাভাবিক দূরত্বে থাকা জিনিস দেখতে সমস্যা হওয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্কুলের ক্লাসবোর্ডের লেখা অস্পষ্ট দেখা।২. শিশুদের টিভি কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিনের কাছাকাছি বসার প্রবণতা, মোবাইল বা ট্যাবলেটের লেখা একদম মুখের কাছে নিয়ে গিয়ে দেখা।৩. মাথাব্যাথা করা৪. ঘন ঘন চোখ কচলানোর প্রবণতামায়োপিয়া থেকে শিশুর সুরক্ষাব্রিটেনের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল হার্ডিম্যান ম্যাককার্টনি বিবিসিকে বলেন, মায়োপিয়ার কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি, তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।যেমন—১. ৭ থেকে ৯ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুর দিনের বেলা অন্তত দুই ঘণ্টা বাড়ির বাইরে সূর্যালোকে কাটানো উচিত।২.যেসব অভিভাবকের ৭ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু রয়েছে, তাদের উচিত অন্তত একবার নিজের সন্তানের চোখ টেস্ট করানো।৩. সম্প্রতি একধরনের বিশেষ কন্টাক্ট লেন্স বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। যেসব কমবয়সী শিশু মায়োপিয়াতে ভোগে, তাদের এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই লেন্স সহায়ক। তবে বিশেষ এই লেন্স ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।এবি 
    স্ট্রোক প্রতিরোধে যা যা করবেন
    স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ। অনেকেই আবার স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাককে এক মনে করেন। আসলে স্ট্রোক হলো ব্রেনের (মস্তিষ্ক) অসুখ আর হার্ট অ্যাটাক হৃৎপিণ্ডের। বিশ্বজুড়ে অকালমৃত্যুর প্রথম কারণ ক্যানসার, পরের দুটি যথাক্রমে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। প্রতিবছর এক লাখ মানুষের মধ্যে ১৮০ থেকে ৩০০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।  এ রোগের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা রক্তনালীর ভেতর রক্ত জমাট বাঁধলে বা রক্তনালী ছিঁড়ে গেলেই বিপদ আসন্ন থাকে।রক্তক্ষরণের কারণে যে স্ট্রোক হয়ে থাকে তাকে হেমোরেজিক স্ট্রোক বা রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক আর রক্ত সরবরাহ বন্ধের জন্য যে স্ট্রোক হয়ে থাকে, তাকে ইস্কেমিক স্ট্রোক বা রক্ত সংরোধজনিত স্ট্রোক বলা হয়।স্ট্রোক সাধারণত তিন ধরনের। টিআইএ, প্রোগ্রেসিভ স্ট্রোক ও কমপ্লিটেড স্ট্রোক। টিআইএ হলো সাময়িক বা ক্ষণিকের সমস্যা। এ ধরনের স্ট্রোক হলে আক্রান্ত রোগী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু প্রোগ্রেসিভ স্ট্রোক হলে রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে আরও খারাপ হতে থাকে। আবার কমপ্লিটেড স্ট্রোকে একটা পর্যায়ে গিয়ে রোগীর অবস্থার আর অবনতি হয় না।মানুষের মস্তিষ্কে রক্তসরবরাহকারী রক্তনালী বন্ধ হলে বা ছিঁড়ে গেলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকের ফলে শরীরের এক পাশ অবশ হতে পারে। এ ছাড়া কারো কারো ক্ষেত্রে মুখ বেঁকে যাওয়া, খিঁচুনি, কথা আটকে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।লক্ষণ১. হঠাৎ হাসতে গিয়ে মুখের অর্ধেক নাড়াতে না পারা।২. মুখের অর্ধেক পুরোপুরি অসাড় হয়ে পড়া।৩. কথা বলার সময় অস্পষ্ট আওয়াজ করতে থাকা।৪. কোনো একটি বাহুতে দুর্বলতা অনুভব করা।৫. হঠাৎ ঝিমুনি বোধ করা।৬. কোনো একটি চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা।৭. হাঁটতে গিয়ে নিজেকে অক্ষম মনে হওয়া।৮. তীব্র মাথা ব্যথা।প্রতিরোধ১. সুস্থ জীবনযাপন করতে হবে।২. ধূমপান বাদ দিতে হবে।৩. সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।৪. লাল মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।৫. নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও শরীরচর্চার ও অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।৬. মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।৭. দিনে অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরিমাণ হাঁটতে হবে।এবি

    Loading…