এইমাত্র
  • ইরানকে ড্রোন সরবরাহ: ভারতের ৩ প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ
  • খালেদা-তারেককে বাদ রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভাবছে বিএনপি
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
  • ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • সৌদি আরব যেকোনো ভিসায় করা যাবে ওমরাহ!
  • রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, শনিবারও চলবে ক্লাস
  • জব্বারের বলিখেলায় এবার চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার শরীফ
  • মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে নারীসহ ৫ দালাল গ্রেফতার
  • বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের
  • আজ শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    দর্শণার্থীদের কাছে বিনোদন স্পটে পরিণত কক্সবাজার শিল্প ও বানিজ্য মেলা

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫১ পিএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫১ পিএম

    দর্শণার্থীদের কাছে বিনোদন স্পটে পরিণত কক্সবাজার শিল্প ও বানিজ্য মেলা

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫১ পিএম

    কক্সবাজারে আগত দেশী-বিদেশী পর্যটক ছাড়াও স্থানীয়দের কাছে বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা।

    বিশ্বের দীঘতর্ম সমূদ্র সৈকতসহ বিভিন পর্যটন স্পটগুলোর পাশাপাশি বাড়তি স্থান করে নিয়েছে শিল্প ও বানিজ্য মেলার বিভিন্ন প্রর্দশনী। প্রতিদিন বিকাল থেকে দর্শণার্থীদের ঢল নামে এমেলায়। দিনের বেলায় সৈকতের বালিয়াডিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরাঘুরির পরে সন্ধ্যায় বানিজ্য মেলায় বিনোদনে মগ্ন রয়েছে স্থানীয় ও পর্যটকেরা।

    কক্সবাজার বানিজ্য মেলার ও সমুদ্র সৈকত, বিপণী কেন্দ্রসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের কোলাহলে হয়ে ওঠেছে। রাস্তা-ঘাটে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। ইতোমধ্যে সৈকতসহ বানিজ্য মেলায় বিভিন্ন প্রর্দশনী দেখার জন্য স্থানীয়দের সাথে সাথে পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।

    বানিজ্য মেলায় রয়েছে শিশুদেরও বিনোদনের জন্য মেট্রো ট্রেন, রাউন দোলনা, নৌকা দোলনাসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা। দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলে প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে মেলায়। এছাড়াও নাগরদোলা, স্পীড বোট, রেল, পানিতে বল ভাসানো, দোলনা, নৌকা বাইচ ও যাদু প্রর্দশনী।

    এবারের মেলায় স্টল রয়েছে ১০০টি সাধারণ স্টল ও ২টি ফুড স্টল। মেলায় অংশ নেয়া প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টলে রেডিমেড গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্পজাত, আচারের স্টল, পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি ও ফার্নিচারসহ এসব স্টলও রয়েছে।

    মেলায় আসা শিক্ষার্থী আসমাউল হোসনা ও নিশি মনি জানান, নৌকা দোলনা, নাগরদোলা, ফাইভার ইলেকট্রিক চর্কি ও মিনি হাতি ঘোড়ায় চড়ে প্রচুর আনন্দ পেয়েছি। দেখেছি যাদু প্রদর্শনীও। শিশুদের বিনোদনের জন্য মেট্রো রেলসহ ওয়াটার স্পীড বোট, জাম্পিং বেলুন, ওয়াটার বলে বাচ্চাদের নিয়ে ভীড় করে আছে মায়েরা। নানা ধরণের মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিয়েছি আমরা।

    দিনে প্রকৃতির এদৃশ্য পর্যটকদের বিমোহিত করলেও সন্ধ্যার পর দেখা বা আনন্দের কিছু নেই- এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অতীত সময়ে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, বৌদ্ধপল্লীতে হামলা, বিপুল রোহিঙ্গা আশ্রয় সর্বশেষ করোনা দূর্যোগ এভাবে একের পর এক সমস্যায় পরিকল্পিতভাবে এগুতে পারেনি কক্সবাজার। তাই রাতের বিনোদনে কোন স্থায়ী আয়োজন এখনো হয়ে উঠেনি।

    জানা গেছে, সমুদ্র জলের নীল ঢেউের স্পর্শ লাগা স্থানে পিচঢালা দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। তারপাশেই সবুজ বৃক্ষরাজি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ পাহাড়। প্রাকৃতিক এদৃশ্য যেন নয়নাভিরাম-মোহনীয়। এর টানেই কক্সবাজার ছুটে আসছেন নানা বয়সী পর্যটক।

    কিন্তু গত মাস দুয়েক ধরে চলা কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলা কক্সবাজারের স্থানীয় ভ্রমণপিয়াসী ও আগত পর্যটকদের রাতের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঝাউবাগান ঘেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে চলমান শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় রাত ১২টা পর্যন্ত কেনাকাটাসহ নানাভাবে বিনোদিত হচ্ছেন আগত আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।

    চট্টগ্রামের মিরসরাই হতে স্ব-পরিবারে বেড়াতে আসা সাহেদ ফেরদৌস লিমন বলেন, দিনে সৈকত ও প্রকৃতি দেখে সময়টা ভালোই কেটেছে সবার। কিন্তু সন্ধ্যার পর হোটেলের রুমে যেন সময় আর কাটছিল না। এক বন্ধু জানালো মোটেল শৈবালের পাশে মেলা চলছে।পরিবার নিয়ে এখানে এসে বিনোদিত হয়েছি। রাতের সময়টা ভালোই কাটলো।

    সদরের চৌফলদন্ডীর প্রবাসী জাহাঙ্গীর অভি বলেন, ভাই-বোন ও পরিবার নিয়ে সৈকতের বালিয়াড়িতে এসেছিলাম। সূর্য ডুবার পর আর কোথাও যাবার জায়গা পেলাম না। এত তাড়াতাড়ি বাড়িও ফিরতে মন চাইলো না। তাই মাইকের শব্দ শুনে মেলায় ঢুকেছি। এটা-সেটা কেনাকাটা, বিভিন্ন রাইডে চড়া, খাওয়ার মধ্যে কখন যে তিন ঘন্টা কেটে গেলো বুঝতেই পারিনি।

    কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মেলা প্রাঙ্গণে রবিবার সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, মেলার প্রধান ফটক নির্মিত হয়েছে রাজকীয় ফটকের আদলে। প্রবেশ মুখেই স্থাপন হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পানির পোয়ারা। রয়েছি লাইটিংসহ সুউচ্চ টাওয়ার। বসানো হয়েছে ফায়ার ইউনিটি ও মেডিকেল টিম। ধূলো বালি কমাতে পুরো মাঠে ইট বিছানোর পাশাপাশি পরিবেশ মেলাময় রাখতে আলোকসজ্জায় ঝলমলে করা হয়েছে চারপাশ। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়।

    মেলা আয়োজক কমিটির কো-চেয়ারম্যান শাহেদ আলী সাহেদ বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও মেলাটি ব্যতিক্রম ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সাজানো। রয়েছে বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা। মেলায় বসেছে শতাধিক স্টল ও একাধিক মুখরোচক খাবারের দোকান। মেলায় অংশ নেয়া প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টলে প্রসিদ্ধ গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি ও ফার্নিচারের সমাহার।

    মেলায় স্বনামধন্য দেশীয় ব্র্যান্ড প্রাণ- আরএফএল, এসিআই, দেশী-বিদেশী কার্পেট, জামদানি ও রাজশাহী সিল্ক শাড়ির প্যাভেলিয়নও রয়েছে।

    কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, পর্যটনে রাতের বিনোদনে স্থায়ী কিছু এখনো গড়ে উঠেনি। কিন্তু গত দুইমাস ধরে বাণিজ্য মেলাটিই রাতে পর্যটক ও স্থানীয় দর্শনার্থীদের বিনোদন অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। এনিয়ে পরিবারসহ বেড়াতে আসা দূরদূরান্তের পর্যটকরাও খুশি।

    মেলা আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক পৌর কাউন্সিলর সালাউদ্দিন সেতু জানান, মেলায় সার্বক্ষণিক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় চারপাশে-ভেতরে রয়েছে সিসিটিভি। রয়েছে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলাস্থলে সব ধরনের হকার ও ভিক্ষুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফুডকোটে অনিয়ম রুখতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মূল্য তালিকা।ইভটিজিং রোধে মেলায় রয়েছে পুলিশের বিশেষ টিম। আরো মাসখানেক থাকবে মেলার কার্যক্রম।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেলার সিসি ক্যামরা সার্বক্ষনিক মনিটর করছে দায়িত্বরত পুলিশ। ইভটিজিংসহ যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশের বিশেষ টিম। মেলায় স্থানীয় ছাড়াও বিদেশি ক্রেতা ও পর্যটক অংশ নিচ্ছেন, এটা আনন্দের।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…