এইমাত্র
  • মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
  • নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে লঙ্কানরা
  • নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে
  • সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের
  • আজও ৯ ঘন্টা কারফিউ শিথিল থাকবে
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    কিশোরের বীরত্বে ছিনতাইকৃত রিকশা উদ্ধার করলো পুলিশ

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম
    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম

    কিশোরের বীরত্বে ছিনতাইকৃত রিকশা উদ্ধার করলো পুলিশ

    রাজু আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম
    কিশোর সোহান

    পুরান ঢাকার বাদামতলী এলাকার কিশোর রিকশাচালক সোহানের (১৬) বীরত্বে তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া পরিবারের একমাত্র আয়ের অবলম্বন ভাড়ায় চালিত একটি অটোরিকশা রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে পল্লবী থানাধীন মিরপুর -১১ নম্বরের মিল্লাত ক্যাম্প থেকে রিকশাটি উদ্ধার করা হলেও আপাততঃ ছিনতাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি।

    পল্লবী থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী সোহানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টার পরপর সেটি রাজধানীর পুরান ঢাকার বাদামতলী থেকে ছিনতাই হয়।

    এ ঘটনায় রিকশাচালক সোহানের মা সালেহা বাদী হয়ে ওই দিনই পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ায় আমার বড় ছেলে সোহান (১৬) ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার সময় আমার ছেলে ডিএমপির কোতয়ালী থানাধীন ইসলামপুরের বাদামতলী রিকশা স্ট্যান্ডে অটোরিকশা নিয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলো। এমন সময় হঠাৎ ৩ জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে বাবুবাজার যাবেন উল্লেখ করে ভাড়া মিটিয়ে আমার ছেলের অটোরিকশায় উঠে।

    এরপর আমার ছেলে কিশোর সোহান যাত্রী বেশধারী ছিনতাইকারীদের নিয়ে বাদামতলী ব্রিজের আগে মিটফোর্ড হাসপাতালের গলির ভেতরে পৌঁছলে ওই ৩ যাত্রী রিকশা থামিয়ে অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সোহানের বুকে ছুরি ঠেকায়। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা আমার ছেলের পরিহিত প্যান্টের সামনে ডান পাশের পকেটের মধ্যে মোবাইল কেনার জন্য থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ৯০ হাজার টাকা মূল্যের অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আমার ছেলে সোহান বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে অজ্ঞাত ওই ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। আমার ছেলের ডাক চিৎকার শুরু করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ছিনতাইকারীরা আমার ছেলের কাছে থাকা টাকা ও অটোরিকশাটি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’

    ভুক্তভোগী সোহানের মা সালেহা বেগম আরো জানান, ওই সময় নিজের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে চুপচাপ অন্য একটি রিকশাযোগে ছিনতাইকারীদের পিছু নেন অটোরিকশা চালক সোহান। বাদামতলী থেকে ছিনতাই করা রিকশাটি নিয়ে মিরপুর ১১ নম্বরের মিল্লাত ক্যাম্পের একটি রিকশার গ্যারেজে প্রবেশ করেন রিকশাটি সেখানে লুকিয়ে রাখেন ওই ছিনতাইকারীরা। এসময় কিশোর রিকশাচালক সোহান চুপচাপ ওই রিকশার গ্যারেজটির ঠিকানা নিশ্চিতভাবে অবগত হয়ে মুঠোফোনে তার মাকে বিষয়টি জানিয়ে সেখান থেকে সরাসরি পল্লবী থানায় পৌছে পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে গ্যারেজের ঠিকানা দেন। এরপর পল্লবী থানা পুলিশের একটি দল ওই গ্যারেজে গিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে কিশোর চালক সোহানকে বুঝিয়ে দেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে এমন একটি ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাটির সত্যতা জানতে পুলিশের একটি টিমকে আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছতে নির্দেশ দেই। এরপর ভুক্তভোগী কিশোর সোহানের দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী পল্লবী থানা পুলিশের আভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মিল্লাত ক্যাম্পের একটি রিকশার গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া ওই রিকশাটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। কিশোর রিকশা চালক সোহানের দুঃসাহসিকতা ও বিশেষ বীরত্বের ফলস্বরূপ ছিনতাই হওয়া রিকশাটি উদ্ধার হলেও আপাততঃ ঘটনায় জড়িত ছিনতাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি।

    এঘটনায় সংশ্লিষ্ট রিকশার গ্যারেজ মালিককে থানায় ডাকা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওসি।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…