যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মোস্তফা বিশ্বাসকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৭ মার্চ) সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এম জি আযম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ঘাতক স্বামী মোস্তফা বিশ্বাস (৩৯) আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা বিশ্বাস সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের আমজেদ বিশ্বাসের ছেলে। নিহত স্ত্রী শিউলী খাতুন একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুস সবুরের মেয়ে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার বাবু বলেন, বিয়ের পর যৌতুকের নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণের দাবি করে স্ত্রী শিউলী খাতুনকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মোস্তফা বিশ্বাস। শিউলী খাতুন বাবার বাড়িতে থাকায় যৌতুকের টাকাসহ তাকে আনতে শ্বশুরবাড়ি রঘুনাথপুরে যান তিনি। যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই রাতে কথাকাটির এক পর্যায়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে শিউলী খাতুনকে হত্যা করেন মোস্তফা বিশ্বাস।
ওই দিনই পুলিশ মোস্তফা বিশ্বাসকে আটক করে। এই ঘটনার পরদিন মোস্তফা ও তার বাবা আমজেদ বিশ্বাসকে আসামি করে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন শিউলী খাতুনের বাবা আব্দুস সবুর। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর তালা থানার তৎকালিন এসআই লুৎফর রহমান মোস্তফা বিশ্বাস ও তার বাবা আমজাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তিনি আরো বলেন, ১০ জনের সাক্ষ্য ও পুলিশের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সোমবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মোস্তফা বিশ্বাসের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন বিচারক এমজি আযম।
এছাড়া অভিযোগ প্রমানণত না হওয়ায় মোস্তফা বিশ্বাসের বাবা আমজেদ হোসেনকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক। আসামি পক্ষের আইনজীবী এড. বশির আহমেদ বলেন, 'আমরা এই রায়ে খুশী নই। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।'