এইমাত্র
  • কুড়িগ্রামের খাবার খেয়ে খুশি ভুটানের রাজা
  • বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
  • নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বালিচাপা দিল ইসরায়েলি সেনারা
  • ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
  • দিনে ৭৮ কোটির বেশি মানুষ অভুক্ত, অথচ নষ্ট হয় ১০০ কোটির খাবার: জাতিসংঘ
  • বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের
  • প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
  • কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
  • ‘বিএনপির নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি কিনেন না’
  • ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এখন সব অপকর্মের নিরাপদ আশ্রয়!

    আবদুল্যাহ রিয়েল, ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১১:০৫ পিএম
    আবদুল্যাহ রিয়েল, ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১১:০৫ পিএম

    ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এখন সব অপকর্মের নিরাপদ আশ্রয়!

    আবদুল্যাহ রিয়েল, ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১১:০৫ পিএম

    সকল ধরনের অপকর্মের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশের এলাকা। এ যেন একের ভেতর সব অপকর্মের নিরাপদ আশ্রয়। ছিনতাইকারি, মাদকসেবী, ভ্রাম্যমান পতিতাদের অভয় আশ্রমে পরিণত হয়েছে ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশের এলাকা। তাদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্টেশনে আগত যাত্রী সাধারণসহ এ পথ দিয়ে চলাচলরত সাধারণ জনগন।

    জানা যায়, রেলওয়ে প্লাটফর্ম থেকে রেলক্রসিং পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত বসে মাদকসেবীদের মিলনমেলা। তাদের দেখভালের দায়িত্বে থাকেন এলাকার প্রভাবশালী বড় ভাইরা। এ এলাকার মাদক বিকিকিনির হিড়িক দিন-দিন বাড়ছে।

    রেলওয়ের জায়গা দখল করে রেল লাইনের দুই পাশে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছেন অবৈধ স্থাপনা। মাহে রমজানেও এখানে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিক্রি হচ্ছে খাবার। অবাধে খাবার বিক্রি না করার নির্দেশনা থাকলেও মানছে না কেউই। পর্দার অন্তরালে খাবারের পাশাপাশি তারা চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের রমরমা ব্যবসাও। হাত বাড়ালেই এখানে মিলছে নেশা জাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য । এখান থেকে মাদক পাওয়া সহজলভ্য হওয়ায় বেড়েছে ক্রেতা। এ এলাকায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। রাজনৈতিক কয়েক বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম চলছে বলে জানা যায়। তাদের ভয়ে মুখ খুলছেন না স্থানীয়রা।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকের টাকা যোগানোর জন্য তারা করছেন চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। তাদের টার্গেট থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতরত যাত্রীরা। সুযোগ বুঝে ব্যাগ ধরে দেয় টান।চুরির মালমালের মধ্যে বিশেষ করে মোবাইল বিক্রি হচ্ছে স্টেশন রোডের বিভিন্ন দোকানে। তাদের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত হচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা। এতো কিছুর পরও প্রশাসনের নেই তেমন কোন নজরদারি। সন্ধ্যা নামলেই দেখা যায় পতিতাদের রেল লাইনের দুই পাশে আনাগোনা। রেল লাইনের দুই পাশে বসে উঠতি বয়সী তরুণদের আড্ডা। গ্রুপ বেঁধে তারা খেলেন লুডু। প্রায় সময় লুডু খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঘটে মারামারির ঘটনা। প্রথমে চলে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ। পরে চলে দেশিয় অস্ত্রের মহড়া। আতঙ্কে থাকে জনগণ ।

    স্টেশন রোডের বিভিন্ন ব্যবসায়ী জানান, ছিনতাইকারীরা সাধারনত চোরাই মোবাইল বেশি বিক্রি করেন। তবে তারা যদি বুঝেন মোবাইলটি চোৱাই, তাহলে তারা তা কিনেন না। তবে কেউ কেউ হয়তো কিনতে পারেন। তারা জানান, পুরাতন মোবাইল শুধু স্টেশন রোডের দোকানদাররা যে কিনে তা নয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে পুরাতন মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেশন রোডের বিভিন্ন ব্যবসায়ী জানান, স্টেশন এলাকায় এসব অপকর্ম যুগযুগ ধরে চলে আসছে। দেশের বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় অপকর্ম হয় না তাতো ভাবাই যায় না। তারা জানান, কিছু টোকাই ও উঠতি বয়সের ছেলেদের উৎপাত স্টেশন রোড ও আশপাশের এলাকায় আগের চেয়ে বেড়েছে। রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বখাটেদের লাগাম টেনে ধরার দাবিও জানান তারা।

    ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের ইনচার্জ (জিআরপি পুলিশ) পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমজাদ আলি জানান, তিনি চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ফেনীর কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। এ সময়কালের মধ্যে চুরি, ছিনতাই ও মাদক বেচা-কেনার কোন ঘটনার কোন অভিযোগ তিনি পাননি। আজও তিনি কয়েকজন তরুন- তরুণীকে রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে বাজে আড্ডার জন্য বের করে দিয়েছেন। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি। কেউ যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলওয়ের জায়গায় যে অবৈধ স্থাপনা আছে জিআরপি পুলিশ সাধারণত সেখানে যান না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যদি নির্দেশনা দেয় সেখানেও অভিযান চালানো হবে।

    তিনি বলেন, গত বছরের আক্টোবর মাসে দুর্বৃত্তরা রেলওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আহত করেছিল। সে ঘটনায় ১৩জনকে আসামি করে ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি মামলায় চার্জশিট হয়েছে। বাকি মামলার চার্জশিটও সহসায় হয়ে যাবে।

    ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. হারুন বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তিনি জিআরপি পুলিশের সাথে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেন।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…