এইমাত্র
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১০ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১০ পিএম

    যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১০ পিএম
    পুরোনো ছবি

    এক আল্লাহ। সবকিছুর জন্য এই একটা নামই যথেষ্ট । তিনি আমাদের ‍সৃষ্টিকর্তা। যে তার ওপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। কারণ, আল্লাহতায়ালার প্রতি ভরসা ছাড়া কোনো মূহূর্ত কেউ অতিবাহিত করতে পারেন না। আল্লাহর ওপর ভরসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তিনি সব সময় আমাদের সঙ্গে আছেন। তাই কোনো কারণে ভেঙে পড়া উচিত না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। সূরা ত্বালাক: ৩

    সূরা ফুরকানের ৫৮ নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আর ভরসা করো সেই জীবিত সত্ত্বার (আল্লাহর) ওপর, যিনি কখনও নিঃশেষ হবেন না। শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ (সা.)-কে তার ওপর ভরসা করার আদেশ দিয়েছেন।

    পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ যা আমাদের জন্য লিখে রেখেছেন, তা ছাড়া কোনো কিছুই আমাদের ছুঁতে পারবে না। তিনিই আমাদের অভিভাবক, তার ওপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত’ (সূরা তাওবা, আয়াত-৫১)।

    এ ছাড়া প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকতে চায়, ভালো থাকতে চায়। কিছু আমল করলে সহজে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সামর্থ্য হবে।কোরআন এবং হাদিসে অগণিত অসংখ্য তাসবিহ ও দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যার কিছু আমল ও জিকির আছে। যেগুলো করলে আল্লাহ সারাদিন বা সারারাত নিরাপদে রাখেন। পুরো সময় কল্যাণকর ও বরকতময় করেন।

    পাঠকদের জন্য সেই আমলগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো-

    আয়াতুল কুরসি পড়া:

    হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা মৃত্যু ছাড়া আর কোনো কিছু বাধা থাকবে না।’ (বুখারি, নাসাঈ, তাবারানি)।

    اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

    উচ্চারণ : আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫)

    সাইয়েদুল ইসতেগফার

    যে ব্যক্তি দিনে (সকালে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এ ইসতেগফার পড়বে আর সন্ধ্যার আগেই সে মারা যাবে সে জান্নাতি হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (প্রথম ভাগে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে তা পড়বে আর সে ভোর হওয়ার আগে মারা যাবে; সে জান্নাতি হবে।’

    (বুখারি) أَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

    উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা-ইলা-হা ইল্লা- আন্তা খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুকা, ওয়া আনা আ’লা আ’হ্দিকা, ওয়া ওয়া’দিকা মাছত্বোয়াতাতু, আ’উজুবিকা মিন শাররি মা ছানা’তু, আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ লাকা বিজাম্বি, ফাগফিরলী। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লাহ আন্তা।(যাদুল মাআদ)।

    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া কোনো প্রভু নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি সাধ্যমত তোমার কাছে দেওয়া ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতিগুলো পালনে সচেষ্ট আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমাকে যে নেয়ামত দান করেছ, তা স্বীকার করছি এবং আমি আমার পাপগুলো স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া কেউ ক্ষমাকারী নেই।

    হাসবিয়াল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হু আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম। (যাদুল মাআদ)

    অর্থাৎ- আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তারই ওপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন মহান আরশের অধিপতি।

    ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল এবং সন্ধ্যায় এ দোয়াটি ৭ বার পড়বে, দুনিয়া ও আখিরাতের সব চিন্তা-ভাবনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হবেন।

    বিছমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস্সামাই ওয়া হুয়াচ্ছামীয়ুল আলিম।(তিরমিযী, যাদুল মাআদ)

    অর্থাৎ- আল্লাহর নামে (আমি এই দিন বা রাত শুরু করছি)- যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কেউ কোনো ক্ষতি করতে সক্ষম নয়। তিনি সব শোনেন ও জানেন।

    ফজিলত : যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় এ দোয়া ৩ বার করে পাঠ করেন, আল্লাহ তাআলা তাকে সর্বপ্রকার ক্ষতি থেকেই হেফাজত করা হয়।

    আল্লাহুম্মা ইন্নি আছবাহ্তু আশহাদুকা, আশহাদু জুমলাতা আরশিকা ওয়া মালাইকাতিকা, ওয়া জামিয়া খালক্বিকা, ইন্নাকা আনতাল্লাহুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুকা ওয়া রাসুলুক।

    অর্থাৎ- হে আল্লাহ্ আমি সকাল করছি আপনাকে সাক্ষ্য রেখে, আরশবাহী ফেরেশতাদের সাক্ষ্য রেখে, সমস্ত সৃষ্টি জগতকে সাক্ষ্য রেখে – নিশ্চয়ই আপনিই সেই সত্বা যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার বান্দা ও রাসুল।

    মাগরিবের পর উপরোক্ত দোয়ায় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আছবাহতু’ এর স্থলে ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আমছাইতু’ অর্থাৎ ‘সকাল করছি’ এর বদলে ‘সন্ধ্যা করছি’ বলবে।

    ফজিলত : যে ব্যক্তি এ দোয়া ৪ বার উল্লেখিত নিয়মে পড়বে, ১ বার পড়ার পর তার দেহের এক চতুর্থাংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় বার পাঠের পর অর্ধাংশ, তৃতীয়বার পাঠের পর তিন চতুর্থাংশ ও চতুর্থবার পাঠের পর সম্পূর্ণ অংশ জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। (জাদুল মাআ’দ)

    সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করবে, সে অকল্পনীয়ভাবে তার মর্যাদা লাভ করবে, তার ফলাফল ভোগ করবে। আর সে হবে সর্বাধিক উন্মুক্ত হৃদয়ের মানুষ, সবচাইতে সুখি মানুষ।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…