এইমাত্র
  • সুনামগঞ্জের হাওরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
  • লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত
  • এক মোটরসাইকেলে ৪ জন, ট্রাকের ধাক্কায় স্ত্রী-সন্তান নিহত
  • দাওয়াত না পেয়ে বিয়েবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
  • ‘সমকামিতা’র নাটকে স্পন্সর করে ওয়ালটনের দুঃখ প্রকাশ
  • শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
  • 'অনলাইন নিউজপোর্টালে বিজ্ঞাপন নীতিমালা করছে সরকার'
  • আড়াইহাজারে ব্যাটারি কারখানায় আগুন
  • রেকর্ড ৪০.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
  • নাটোর পৌরসভা চত্বরে সংঘর্ষে নিহত ১, কাউন্সিলরসহ আটক ২
  • আজ বুধবার, ৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ চার দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম

    দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ চার দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম

    দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ চার দফা দাবি জানিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা।

    বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সকালে রোহিঙ্গা শিবিরের বিভিন্ন স্থানে আলাদাভাবে ‘দ্রুত প্রত্যাবাসন’ ক্যাম্পেইন শেষে একত্রিত হন রোহিঙ্গারা। এসময় রোহিঙ্গারা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে নিজ দেশ মিয়ানমারে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যাওয়া, নাগরিকত্বের স্বীকৃতি, নিরাপত্তা এবং অন্য জাতিগোষ্ঠীর লোকজন যেভাবে অবাধে চলাফেরা করে তেমন স্বাধীনতাসহ চার দাবি তুলে ধরে মোনাজাতে দোয়া চান।

    সমাবেশে হাজারো রোহিঙ্গা অংশগ্রহণ করে বলে দাবি রোহিঙ্গা নেতাদের। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতারা সেখানে বক্তব্য দেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশ উপলক্ষে টেকনাফের লেদা, জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকাল থেকে লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেয়। এছাড়া কুতুপালং, বালুখালী, লম্বাশিয়ায়ও এ ধরনের সমাবেশ হয়েছে। সেখানে পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলেন।

    সাধারণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী সৈয়দউল্লাহ বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের দেশ, অনতিবিলম্বে আমাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে প্রত্যাবাসন সফল করতে দেশটির পাশে থাকতে হবে।’

    প্রত্যাবাসনে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন মহল থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল চায় না আমরা দেশে ফিরে যাই, আমরা তাদের অনুরোধ করছি দয়া করে প্রত্যাবাসনে বাধা দেবেন না।’

    এই সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিল বলে জানিয়ে টেকনাফের ১৬-এপিবিএনের পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ‘তিন ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। সেটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।’

    দ্রুত স্বদেশে (মিয়ানমারে) ফিরে যেতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা দাবি করে টেকনাফের জাদিমুড়া শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান বলেন, ‘আমরা আর বাংলাদেশে থাকতে চাই না। দ্রুত নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, চলাচলের স্বাধীনতাসহ নিজ গ্রামে ভিটেমাটি ফেরত দিলে এই মুহূর্তে চলে যাব মিয়ানমারে।’

    জানতে চাইলে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা দ্রুত প্রত্যাবাসন দাবি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। সেখানে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া দাবি জানিয়ে রোহিঙ্গারা কয়েকটি দাবি তোলেন।’

    আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘আমরা আর শরণার্থী জীবন চাই না। সামনের দিনগুলোতে আমরাও আমাদের জন্মভূমি আরাকানে জীবনযাপন করতে চাই। বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের দেশে ফেরার ব্যাপারে যেন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়।’

    উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে ছিল আরও কয়েক লাখ নিপীড়িত রোহিঙ্গা। গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবাসন শুরুর আলোচনা চলছে।

    প্রকল্পের আওতায় মিয়ানমারে যেতে রাজি হওয়া ২৩ রোহিঙ্গার খাদ্যসহায়তা গত সোমবার (০৫ জুন) ইউএনএইচসিআর বন্ধ করলেও পরদিন মঙ্গলবার থেকে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে জানিয়ে পুনরায় খাদ্য দেওয়া শুরু করে সংস্থাটি।

    ধারণা করা হচ্ছে, সব ঠিকমতো থাকলে চলতি মাসেই ১১৭৬ জন রোহিঙ্গা দিয়ে শুরু হতে পারে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…