কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হাসান (১২) নামের ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে অন্ডকোষে লাথি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে ঝিলংজার ৯নং ওয়ার্ডের খামারপাড়া-মেহেরআলী পাড়ার মাঝখানে এমএস ব্রিকফিল্ডের সামনে খেলার মাঠে হামলার শিকার হাসান। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত হাসান মেহের আলীপাড়া গ্রামের গুরামিয়ার ছেলে।
হাসানের স্বজন মুফিজ জানান, এমএস ব্রিকফিল্ডের সামনের খালি জায়গায় খেলা করছিলো হাসানসহ কয়েকজন কিশোর। এসময় স্থানীয় ফারুক আজম প্রকাশ বাবুলের ছেলে মুজিব তাদের সাথে খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তাদের চেয়ে বয়সে বড় হওয়ায় মুজিবকে খেলতে দেননি হাসান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসানের পেঠে ও অন্ডকোষে লাথি দিলে হাসান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় বাঁধা দেওয়ায় মুফিজকেও ইট দিয়ে আঘাত করে মুজিব।
হাসানের সহপাঠি মাসুদ জানান, ইমরান, আনিছ, হাসানসহ তারা কয়েজন বাড়ির পাশের খালি জায়গায় ফুটবল খেলছিলো। এসময় মুজিব এসে ফুটবল দিয়ে হাসানের পেঠে আঘাত করলে সে মাটিতে ঢলে পড়েন।
হাসানের মা মাসুদা বেগম বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে তার ছেলে হাসানের পেঠে উপর্যুপরি আঘাত করে মুজিব। এমন খবর পেয়ে খেলার মাঠে তার ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে হাসানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ওইদিন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হাসানকে ভর্তি করা হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন হাসান দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যায়। আমি ছেলের খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
নিহত হাসানের পরিবারের দাবি, হামলার পর থেকে মামলা না করতে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন মুজিব। যদি মামলা করে হাসানের ছোট ভাইকেও হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন অভিযুক্ত মুজিব।
স্থানীয়রা জানান, মুজিব একজন উশৃঙ্খল কিশোর। এরআগেও সে এলাকায় একাধিক হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
তাদের মতে, হাসান শান্ত-শিষ্ট ও অমায়িক হওয়ায় তাকে সবাই আদর-স্নেহ করতেন। সেও সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারতেন। স্কুলছাত্র হাসান হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী ও পবিরারের সদস্যরা হাসান হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ যাবতীয় খোঁজ-খবর রাখছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সে অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এআই