এইমাত্র
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    নানা সংকটে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম
    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম

    নানা সংকটে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল

    মাহমুদুর রহমান, বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম

    বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে । একটি শয্যাও খালি নেই রয়েছে পানি ও ফ্যানের সংকট। টয়লেটের পানি ফ্লোর গড়িয়ে আসছে রোগীর বিছানায়। রয়েছে চিকিৎসক সংকট। এর মধ্যেই প্রতিদিন জ্বর-ঠান্ডা, ডায়রিয়া, ডেঙ্গুসহ নানা রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগী। রোগীদের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের।

    অন্যদিকে হাসপাতালের নতুন ভবনে দুটি লিফট থাকলেও তা নিয়মিত চলছে না। অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন, ডেঙ্গুর সিবিসি টেস্টের রিএজেন্ট, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ একাধিক যন্ত্র। প্রয়োজনীয় ওষুধ না পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে রোগী ও স্বজনের।

    বরগুনার প্রায় ১২ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল এ হাসপাতাল। ১০০ শয্যা থেকে উন্নীত করে ২৫০ শয্যা করা হলেও বাড়েনি অবকাঠামো অথবা জনবল। এমনকি ১০০ শয্যার জনবলের রয়েছে এক-চতুর্থাংশ। নেই মেডিসিন, সার্জারি ও কার্ডিওলজির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের চিকিৎসক। ১০ জন সিনিয়র কনসালট্যান্টের মধ্যে ১ জন, ১১ জন জুনিয়র কনসালট্যান্টের মধ্যে চারজন এবং ২৮ জন মেডিকেল অফিসারের পদে কর্মরত আছে মাত্র পাঁচজন। এ ছাড়া নার্সসহ একাধিক পদে রয়েছে ভয়াবহ জনবল সংকট।স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। রোগীরা পাচ্ছে না তাদের কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা।

    পুলিশ লাইন এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত তানজিলা রহমান নিশার স্বামী রাসেল মাহমুদ জানান, হাসপাতালের অবস্থা দেখে স্ত্রীকে ভর্তি করেছি বেসরকারি ক্লিনিকে। সেখানে খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা। বাধ্য হয়ে বাসায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

    হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল খালেক বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চার ঘণ্টাও পানি পাই না। অজু, গোসল দূরের কথা টয়লেটে যাওয়ার পানিও নেই। সিট না পেয়ে মেঝেতে চাদর পেতে কোনোভাবে আছি। খাবার পানির জন্য একটা টিউবওয়েল আছে, সেটা দিয়ে ঠিকভাবে পানি ওঠে না।

    হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. লোকমান হাকিম বলেন, পাম্পের সমস্যার কারণে পানি পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ফ্যানসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যার বিষয়ে তিনি গণপূর্ত বিভাগের ওপর দায় চাপান।

    বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ফ্যান কিনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে। পানিসহ অন্যান্য সমস্যাও নিরসনের চেষ্টা চলছে।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…