এইমাত্র
  • নাহিদসহ ৩ সমন্বয়ক হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের
  • আজও ৯ ঘন্টা কারফিউ শিথিল থাকবে
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • যশোরে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
  • চুরি করতে গিয়ে বোনের শাশুড়িকে জবাই করে হত্যা
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    কক্সবাজারে ফুটপাতে হকার, সড়কে পার্কিং

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৬ এএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৬ এএম

    কক্সবাজারে ফুটপাতে হকার, সড়কে পার্কিং

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৬ এএম

    কক্সবাজার শহরের ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ সড়কের ফুটপাত ও সড়কের দুই পাশ এখন ব্যবসায়ী ও সিএনজি'র দখলে। ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বেচাকেনা করছেন তাঁরা। চায়ের দোকান, কাচাঁ তরকারি, মাছ, মাংস, ফলমূল, কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে ভাজাপোড়া খাবারের দোকানও গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে।

    এছাড়া রাস্তার পাশের অনেক দোকানের মালামালও দখল করে নিয়েছে ফুটপাত। তাছাড়া কেউ কেউ ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের ওপরও পসরা সাজিয়েছেন নানা ধরণের পণ্যের। এর বাইরে যততত্র সিএনজি পার্কিংয়ের কারণে শহরে সার্বক্ষনিক লেগে থাকছে যানজট। ফলে ওই সব সড়কে ছোটখাটো দুর্ঘটনার এসব কারণে বাধ্য হয়ে ছাড়াও প্রতিনিয়ত পৌরবাসী যানজটের ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এসব কারণে পথচারীরা রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করছে। তবে ফুটপাত থেকে সকলকে সরে যেতে পৌরসভার পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও যততত্র পাকিং করা সিএনজির বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ঠরা।

    শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার খুরুশকুল রাস্তার মাথায় ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে মাছ বাজার, কালুর দোকান এলাকার দোকানদারদের মালামাল ফুটপাতে, বার্মিজ স্কুলের সামনে ফুটপাতে তরকারির দোকান, এরপর সেখান থেকে মিষ্টাঙ্গন পর্যন্ত দোকানদারদের মালামাল বিশেষ করে রট, ঢেউটিন, পাইপসহ ইলেকট্রনিক্স তার ও অন্যান্য সরঞ্জামে রয়েছে ফুটপাতে। মসজিদ রোড়ের বেশিরভাগ ফলের দোকান মালামাল ফুটপাতে। এছাড়া মসজিদ রোড়ের মুখ, আইবিপি রোড়ের মাথা, ফায়ার সার্ভিস মসজিদ রোড়, পুরাতন পান বাজার রোড়, বিলকিস মার্কেট, লালদিঘীর পাড়, গুমগাছতলা, থানা রোড়, ইডেন গার্ডেন সিটির সামনে, পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন ফুটপাত, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সুগন্ধা পয়েন্ট ও কলাতলী পয়েন্টে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে নানা ধরণের খাবার, কাপড়, জুতা সহ নানা রকম পণ্যের দোকান। তাছাড়া শহরের ব্যস্ততম বানিজ্যিক এলাকা বাজারঘাটা প্রায়ই সমস্ত দোকানের মালামাল রাখা হয়েছে রাস্তায়।

    সরেজমিনে আরো দেখা যায়, শহরের খুরুশকুল রাস্তার মাথা, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সামনের বাজারঘাটা পৌরসভা মার্কেটের সামনে, মসজিদ রোড়ের মুখ, আইবিপি রোড়ের রাস্তার মাথা, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, লালদিঘীর পূর্ব পাড়ের মসজিদ রোড়, পৌরসভা গেইট ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা এবং কলাতলীতে সিএনজি পাকিং করে রাখা হয়েছে।

    এ সময় ফুটপাতের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বড় বাজারের ইজারা প্রাপ্তদের চাঁদা দিয়েই ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করেন তাঁরা। স্থান ও পন্যভেদে তাদেরকে ওই টাকা গুনতে হয়।

    এছাড়া খুরুশকুল রাস্তার মাথার ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা বাজার থেকে তারাবনিয়ারছড়া হেলাল উদ্দিন, মো. রুহাল. মো. রুবেল, বাবু প্রকাশ টুকাই বাবু ও বেলাল নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    তাছাড়া শহরে রাস্তা দখল করে গড়া সিএনজি পাকিং থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলেন হাসপাতাল সড়কের দীপক দাশ, মোহাজের পাড়ার মোর্শেদ, তৌহা ও মুন্না, বেলাল ও দিদার। তবে এই সিন্ডিকেট প্রধান হচ্ছেন কুমিল্লার বাসিন্দা কবির।

    এবিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ভারত রয়েছি। ভারত থেকে এসে এসব পার্কিং সরানোর ব্যবস্থা গ্রহন করব।

    কক্সবাজারের পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, দখলদারের ফুটপাত থেকে সরে যেতে দুই দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরে না গেলে আগামী ৫ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাছাড়া ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো সরানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…