শরীয়তপুর জেলার বিএনপির বেশিরভাগ নেতারাই আত্মগোপনে থাকার খবর পাওয়া গেছে। দলটির কেন্দ্রঘোষিত চলমান আন্দোলন সংগ্রামে জেলার র্শীষ পদধারী নেতাদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। নেতাকর্মীদের অভিযোগ জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ বর্তমানে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঘোষিত বিএনপির আন্দোলন নিয়ে শরীয়তপুরের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, নেই কোন দলীয় কার্যালয়। দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনার অভাবে ভুগছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এরপর আবার পুলিশি তৎপরতা ও দলের নির্দেশনা সঠিকভাবে না পৌঁছানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভুগছে দলটি।
জেলা বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ জেলায় হরতাল-অবরোধের অংশ হিসেবে ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। যদিও এসব মিছিলে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল হাতেগোনা। তবে শরীয়তপুর জেলায় কর্মসূচি পালিত হচ্ছেই না। ফলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে মাঠের নেতাকর্মীদের দূরত্ব এর কারণ বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে নড়িয়া উপজেলায় ঘড়িষারে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। গ্রেফতার এড়িয়ে চলার নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে দায়িত্বশীল নেতারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরণের যোগাযোগ রাখছেন না। ফলে কর্মসূচিতেও যথাযথ সমন্বয় হচ্ছে না। এতে হরতাল-অবরোধে সম্মিলিতভাবে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কমছে।
এছাড়াও শরীয়তপুর জেলার বিএনপির ভেতরে রয়েছে কয়েকটি ভাগ। যে কোন নির্দেশনা আসলে তার ভিন্ন ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করলেও এখন আর তা করছেনা।
শরীয়তপুর জেলার বিএনপি সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ ও সাধারন সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন কালুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া যুবদলের সভাপতি আরিফুজ্জামান মোল্লার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে শরীয়তপুর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ জানান, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ধরপাকড় হচ্ছে, বাড়িত বাড়িতে হামলা হচ্ছে। আমাদের এখানেও বাড়ি বাড়ি পুলিশি তল্লাশি হচ্ছে, গ্রেফতার আতঙ্কে ভয়ে আমরা আত্মগোপনে আছি। আমরা খুব শিগগিরই আত্মগোপন থেকে বের হয়ে আসবো। চলমান আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার জন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাচ্ছি। শরীয়তপুরের পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না। ওনাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএনপির নেতাদের আত্মগোপনে কে যেতে বলেছে।