সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে দু'পক্ষের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মুহুর্মুহু গোলাগুলি, মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আবারো কাঁপছে কক্সবাজার-টেকনাফের নাফনদী সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকা। এতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার পর থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে টেকনাফ সাবরাং ইউপি অন্তর্গত শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা ।
শাহপরীর দ্বীপের নাফনদ সংলগ্ন জালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দীন গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে আবারও মিয়ানমারের ভারী গোলা বিস্ফোরণ হওয়ার বিকট শব্দ নিজ বাড়ি থেকে শুনা যাচ্ছে।
মনে হচ্ছে, তাদের ছোঁড়া ভারী গোলা গুলো নাফনদীর এপার সীমান্তে এসে পড়ছে। গোলাগুলির বিকট শব্দ গুলো টানা এক ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছিল।
গোলাগুলির বিকট শব্দে ভয়ে রাত ঘুমোতে পারিনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ৯ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, দিনের বেলায় ওপার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া না গেলেও রাতে ভারী গোলার শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন নাফনদ সংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে এখনও মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওপারের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষরা।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ৯ জন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা করার সময় ফেরত পাঠিয়েছে সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেওয়া বিজিবি সৈনিকরা।
ঠিক একই নিয়মে এর আগে চলতি মাসের এই পর্যন্ত প্রায় চারশ' জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছিল সীমান্তে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ড চট্রগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, ওপারের দু'পক্ষের চলমান যুদ্ধের উত্তপ্ত পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নাফ নদী সীমান্ত এলাকা দিয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা প্রতিরোধে কোস্ট গার্ড সদস্যরা টহল জোরদার অব্যাহত রয়েছে।
নতুন করে এপার সীমান্তে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ২ শতাধিকের বেশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।