রমজান এলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফার আশায় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে থাকে। নানা অজুহাতে তারা তাদের ইচ্ছে মতো পণ্য বিক্রি করেন। অসাধু এই ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরতে এ বছর আগে থেকেই তৎপরতা শুরু করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় বাজার পরিদর্শন করছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পৌর কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করে বিভিন্ন পণ্যের দাম সম্পর্কে সচেতন করেন। তিনি বলেন, মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করা হয়। আর এটা যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় কার্যক্রম নেব। এছাড়া আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল, চিনি, তেলসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে না পারে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করছে।
এ সময় এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান আরও বলেন, মাঝে মধ্যে সুযোগ নিয়ে ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে ক্ষুদ্র কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম নিয়ে যা করছে আজ চাল, কাল পেঁয়াজ নিয়েও তা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান আমাদের। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে লেভেলহীন ড্রামে করে পাম তেল, সুপার পাম এবং সয়াবিন পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দামেও বড় পার্থক্য রয়েছে। খুব দ্রুত বাজারে খোলা তেল বন্ধ করে প্যাকেট ও বোতলজাত করণের জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল এবং জেলা পুলিশ সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
পিএম