এইমাত্র
  • দুর্নীতির অভিযোগে রাশিয়ার সাবেক উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার
  • বাংলাদেশের জনগণ সহিংসতার শিকার হওয়ায় আমরা মর্মাহত: কানাডা হাইকমিশন
  • সারাদেশে ৫৫০ মামলায় গ্রেপ্তার ৬ হাজারের বেশি
  • অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনা হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
  • মোবাইল ডাটা চালুর বিষয়ে বৈঠক রবিবার
  • ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
  • নতুন নির্বাচনের দাবি ড. ইউনূসের
  • সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী
  • আম বাগান থেকে কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • হামলাকারীরা পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিলো: ওবায়দুল কাদের
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    দুই শিশু সন্তানসহ ভাগ্নিকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম

    দুই শিশু সন্তানসহ ভাগ্নিকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুই শিশুপুত্রসহ সৎ ভাগ্নিকে হত্যার দায়ে আইয়ুব আলী সাগর (৩১) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    আসামির উপস্থিতিতে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে-খোদা মো. নাজির এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মকছেদ মোল্লার ছেলে।

    আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ১লা অক্টোবর বেলকুচি উপজেলার মবুপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে সুলতান আলীর স্ত্রী রওশন আরা খাতুন (৩০) এবং তার দুই ছেলে জিহাদ হোসেন (১০) ও মাহিনের (৩) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    এ ঘটনায় রওশন আরার ভাই নুরুজ্জামাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন ও একমাত্র আসামি আইয়ুব আলী সাগরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আইয়ুব আলী সাগর।

    জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ভিকটিম রওশন আরা তার সৎ ভাগ্নি। তাঁতের কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার না চলায় দেড় বছর বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নেন সাগর। কিন্তু ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে তার সৎ ভাগ্নি রওশন আরার দ্বারস্থ হন সাগর। ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি রওশন আরার কাছে গিয়ে টাকা ধার চান। কিন্তু রওশন আরা বলেন, তার কাছে টাকা নেই। রওশন আরা ঘরে থাকা চারটি ট্রাংক দেখে সাগর ধারণা করেন যে এগুলোর ভেতরে টাকা আছে। তাই তিনি চুরির সিদ্ধান্ত নেন। দুদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর আবার তিনি সৎ ভাগ্নি রওশন আরার বাড়িতে যান। তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। রাতে তাদের বাড়িতে থেকেও যান। সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর সাগর চাবি নিয়ে ট্রাংক খুলে টাকা খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে রওশন আরা নড়চড়া করলে, সাগর ভাবেন, হয় তো তিনি তাকে চুরি করতে দেখে ফেলেছেন।

    তখনই পাথরের পুতা (পাটার শিল) দিয়ে ভাগ্নির বুকে আঘাত করে এবং গলাটিপে তাকে হত্যা করেন। এরপর তিন বছর বয়সী মাহিন জেগে উঠলে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। এরমধ্যে জিহাদ জেগে উঠলে তাকেও একইভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাগর। তিনজনকে হত্যার পর ঘরের চারটি ট্রাংক খুলে টাকা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোনো টাকা-পয়সা না পেয়ে ভোরে বাইরের দরজায় শিকল দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার এ রায় দেন বিচারক।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…