নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রাতে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক মাত্র পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো.মিন্টু ওরফে হেলাল উপজেলার মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার যাত্রা বাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্থানীয় রুহুল আমিনের নেতৃত্বে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ অভিযোগপত্র দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন। ২০২৪ সালে এসে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ মামলার পলাতক এক মাত্র আসামি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মিন্টু ওরফে হেলালকে র্যাব-১০ এর সহযোগীতায় গ্রেপ্তার করে চরজব্বর থানার পুলিশ।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পিএম