এইমাত্র
  • চীনের মধ্যস্থতায় এক টেবিলে হামাস-ফাতাহ
  • অবশেষে দুই বিভাগে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টির আভাস
  • গা'জায় শরণার্থী শিবিরে ইস'রাইলি হামলায় নিহত ১৫
  • হিট অফিসারের পরামর্শে রাজধানীতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা
  • রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
  • ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২
  • বরগুনায় নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর জেলের লাশ উদ্ধার
  • হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু, পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
  • আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সুখবর নেই, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
  • ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
  • আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। রমজান মাসে এটি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থী উপস্থিত হয়।

    ২০২৩ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন করা হয় উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ। ১৯৮৩ সালে ইটের দেয়াল ও ছাদে নির্মিত হয় মসজিদটি।

    নতুন এই মসজিদ নির্মাণ নিয়ে কথা হয় মসজিদ কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফার সাথে। তিনি জানান, পুরাতন মসজিদের জরাজীর্ণ অবস্থা এবং মুসল্লীদের জায়গা সংকট হওয়ায় তৎকালীন ইউএনও মো. উজ্জল হোসেনের কাছে জানানো হয়। এবং একটি নতুন মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়। পরে ইউএনও মোঃ উজ্জল হোসেন উদ্যোগী হয়ে পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ তৈরী করেন। প্রায় ১ বছর ইট, পাথরে বিভিন্ন কারুকার্য করে ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৪ হাজার স্কয়ারফিট মসজিদের দেয়ালে কার্লিওগ্রাফী যেন সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।

    মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণ শৈলী, এর রং ও লাইটিং দূর থেকেই কাছে টানছে দর্শনার্থীদের। নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন হাজারো দর্শনার্থীরা।

    অসাধারণ লাইটিং ও মসজিদের মোহনীয় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। মসজিদ দেখা শেষে মুগ্ধতার আবেশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও দর্শনার্থীরা। দিনের আলো, সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহুর্ত ও রাতের অন্ধকার, তিন সময়ে ভিন্নরকম সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ। তবে সন্ধ্যার পর মসজিদের লাইট জ্বালানো হলে ফুটে ওঠে এর দূতি ছড়ানো সৌন্দর্য। এর সামনেই রয়েছে বাহারী ফুলের বাগান, ফুলের সৌন্দর্য আর সুঘ্রাণ মুগ্ধ করছে সবাই কে। এসি ব্যবহার করা হয়নি তবে আধুনিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত মসজিদে গ্রীষ্মকালে সারাক্ষণ থাকে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং শীতকালে গরম আবহাওয়া বিরাজমান। মসজিদটিতে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লীর একসাথে নামাজের ব্যবস্থা এছাড়াও নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের নিচতলায় রয়েছে ইসলামিক লাইব্রেরি, আরাবি ভাষা চর্চা কেন্দ্র।

    মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা। মসজিদে নামাজের জন্য একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও ১ জন খাদেম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    মসজিদের খাদেম নুরুজ্জামান জানান, পুরাতন মসজিদে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হতো। কিন্তু বর্তমানে এই নতুন মসজিদ যেমনটা নান্দনিক তেমনটি নামাজের জন্য আরামদায়ক। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসে মসজিদ দেখার জন্য। রমজান মাসে এখানে কুরআন তেলওয়াত হয়।

    উল্লাপাড়া উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মো. হাসান আলী জানান, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের এরকম সৌন্দর্য আমি কখনও দেখিনি। এখানে নামাজ পড়ে মনে অনেক প্রশান্তি পাই। এখান থেকে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না।

    মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ যিনি নিয়েছিলেন তৎকালীন ইউএনও মো. উজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পুরাতন মসজিদে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হতো জায়গা সংকট ছিল। উল্লাপাড়ার স্থানীয় মুসল্লীদের অনুরোধে নতুন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। দীর্ঘ এক বছর নির্মাণ কাজ করে সম্পুর্ণ করা হয়েছে। এটির নঁকশা ইউএনও নিজেই করেছেন বলে জানান তিনি।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…