নীলফামারীতে বিয়ের এক মাস না যেতেই শোভা রানী রায় (২৬) নাকে এক নববধূ স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে স্বামী দিপু রায়কে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের আরাজি কুখাপাড়া (বাবুরহাট) নামক এলাকায় ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তার দিপু রায় দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর থানার ডাংগারহাটের ফেরসাডাঙ্গা গ্রামের মৃত দেবেন রায়ের ছেলে। তার স্ত্রী মৃত শোভা রানী রায় জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের বাজিতপাড়া গ্রামের হরিপদ চন্দ্র রায়ের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘চলতি মাসের গত ৪ মার্চ তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দিপু রায় পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। বিষয়টি শোভা রানী রায় জানতে পারলে দিপুর সাথে বিবাদের সৃষ্টি হয়। দিপুর বড় স্ত্রী নমীতা রানী রায় গত দুই দিন ধরে নারায়ন মাষ্টার এর ভাড়া বাসায় দিপুর খোঁজ করতে আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দিপু ঘরের দরজায় এসে শোভা রানী রায়কে ডাকাডাকি ও ফোনে ফোন দিলে শোভা রানী রায়ের কোন সারা শব্দ না পেয়ে পাশের রুমে চান্দোয়ারীর ফাঁকা দিয়ে দেখতে পারে যে, শোভা রানী রায় ঘরের টুইয়ের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো। দিপু ওই স্থান দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন।’
এসময় বাড়ির মালিক সহ অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা দিপুকে আটক করে থানায় খবর দেয়। শোভা রানী সনিকে ও দীপু রায় এভারগ্রিন উত্তরা ইপিজেডে চাকরি করতেন।
মৃতের বাবা হরিপদ চন্দ্র রায় বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে সদর থানায় তার মেয়ে জামাই দিপু রায়কে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামি মৃতের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এফএস