আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বেড়েছে কাপড়ের কদর। এরই সাথে দ্বিগুণহারে বেড়েছে তাঁতের শাড়ির কদর। যার চাহিদা দেশজুড়ে। কিন্তু চাহিদা থাকলেও নানামুখী সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমান সরবরাহ করতে পারছেন না বাহুবলের আদিবাসি তাঁতশিল্পীরা। ভাল মানের তাঁত না থাকার পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিং ও নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রচালিত তাঁতের সঙ্গে দেখা দিয়েছে সক্ষমতার ঘাটতি। এমতাবস্থায় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন তারা।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার কালিগজিয়া আদিবাসীরা দীর্ঘদিন যাবত উৎপাদন করছেন তাঁতের শাড়ি। যার চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। চাহিদা থাকলেও তাঁতের তৈরী শাড়ি নানা সংকটের কারণে সরবরাহ করতে পারছেন না শিল্পীরা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা কালিগজিয়া আদিবাসী রমনীদের হাতে নিপুণ শৈলিতে তৈরি হয় তাঁতের বেনারসি। যা বাজারে প্রতিটি শাড়ি বিক্রি হয় ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। শুরুতে ২০ জন নারী কারিগর সমবায় সমিতি করে তাঁতের কাজ শুরু করলেও পরে বৃদ্ধি পায় ৫২ জনে। তবে অর্থনৈতিক সঙ্কট ও তাঁতে সমস্যা দেখা দেয়ার ফলে অনিহা দেখা দিয়েছে তাঁত কারিগরদের মাঝে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন তারা।
তাঁত শিল্পী রিমু দেব বর্মা জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত কালিগজিয়া আদিবাসী মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাধ্যমে তাতের শাড়ি উৎপাদন করে আসছি। কিন্তু এখন আমরা নানামুখী সংকটে। আমাদের তেমন সুযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে। শিল্পী দেব বর্মা জানান, বর্তমানে আমাদের কাজের সময় দেখা দিচ্ছে বিদ্যুত বিভ্রাট। যে কারণে আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। আমরা পর্যাপ্ত পরিমান বিদ্যুতের সরবরাহ চাই। রাসেল দেব বর্মা জানান, সুযোগ সুবিধার কারণে আমাদের কারিগর এখন কমে যাচ্ছে। আমরা সরকারের সহযোগীতা চাই।
সরবরাহে চাহিদা পূরণে খাটের তাঁত পরিবর্তন করে সরকারীভাবে টেক্সটাইল তাঁত দেয়ার দাবী জানান কালিগজিয়া আদিবাসী মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেটের সভাপতি স্বপ্না দেব বর্মা।
বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁত শিল্পীদের সহযোগিতা করা হয়েছে। বিপননে সহযোগিতার পাশাপাশি তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে তাদেরকে সর্বপুরী সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এআই