এইমাত্র
  • হংকংয়ে এক রাতে ১০ হাজার বার বজ্রপাত
  • ফার্মেসির ওষুধ চুরি করে চাকরি হারান মিল্টন সমাদ্দার
  • মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
  • খালেদা জিয়া সিসিইউতে
  • মোহাম্মদপুরে ড্রেন খোঁড়ার সময় গ্রেনেডসদৃশ বস্ত উদ্ধার
  • চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
  • মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
  • বন্ধুদের সঙ্গে গ্রামের নদীতে মাশরাফির কাঁদা মাখামাখি
  • চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ
  • আবারও হাসপাতালে খালেদা জিয়া
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    মহাসমারোহে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    এস.এম শাহাদাত হোসেন অনু, জবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
    এস.এম শাহাদাত হোসেন অনু, জবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম

    মহাসমারোহে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    এস.এম শাহাদাত হোসেন অনু, জবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) মহাসমারোহের মধ্যে দিয়ে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রকাশনা উৎসব ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণকে নেওয়া হয়েছে।

    আজ ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ পালিত হয়।

    বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসে।

    মঙ্গল শোভাযাত্রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সকলে অংশগ্রহণ করেন।

    ‘রিকশাচিত্র’কে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন/ মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।

    শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘের মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ শোভাযাত্রায় স্থান পায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল চারুকলা অনুষদ।

    মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

    উপাচার্য বলেন, ‘আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়া সত্ত্বেও সীমিত অবকাঠামো ও স্বল্প পরিসর নিয়েও সকলের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যায়ের মূল প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা তুলে ধরতে পারছে।

    ‘পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও তারপর বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্য। বঙ্গবন্ধুর এই অবদান যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের চিন্তা চেতনায় ধারণ করতে পারে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা সবাইকে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করতে পারি। পারিবারিকভাবেই নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে মানুষ ভাবার মানসিকতার শিক্ষা দিতে হবে, নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লিখতে হবে, বলতে হবে।’

    আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যন্যারা বক্তব্য দেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহিদ রফিক ভবনের নীচতলায় দিনব্যাপী ‘প্রকাশনা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ, জার্নাল, সাময়িকী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বার্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রকাশিত বিভিন্ন গ্রন্থ স্থান পায়।

    অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বিকেলে জবি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির পরিবেশনা এবং জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হয়।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…