এইমাত্র
  • সিরাজগঞ্জে সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ইসি রাশেদা
  • শনিবার বন্ধ থাকছে দেশের যেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
  • পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
  • পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ২০
  • এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে
  • খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় গ্রেফতার এবং বন্দি: কাদের
  • দুপুরে যে ৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
  • জয়দেবপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালকসহ আহত ৪
  • কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
  • কারামুক্ত হলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক
  • আজ শনিবার, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ফুলবাড়ীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

    অনিল চন্দ্র রায়, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
    অনিল চন্দ্র রায়, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম

    ফুলবাড়ীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

    অনিল চন্দ্র রায়, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিবার ভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের প্রায় দেড় কোটি টাকা অনিয়ম করে আত্নসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।

    এ নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হলেও এ অনিয়মের সাথে কে বা কাহারা জড়িত তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে। ফলে আবারও ৫ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অডিট টিম গঠন করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অফিস আদেশ জারি হয়েছে।

    জানা যায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের আওতায় ৪৮০ কেন্দ্রে কয়েক কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। প্রথম প্রথম ভালো চললেও ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির ঋণ কর্মসূচী মূখ থুবরে পরে। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা কৌশলে বেশীর ভাগ কেন্দ্রে ভুয়া তালিকা প্রনয়ন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কর্মচারীদের একাংশ বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও দুনীতিবাজদের ঘাটি শক্ত হওয়ায় তা চাপা পড়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দেড় কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্নসাতের বিষয়টি অভিযোগ আকারে উত্থাপিত হয়।

    গত ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিচালক এ কে এম মফিজুল ইসলাম সাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে নতুন করে ৫ সদস্য অডিট টিম গঠন করা হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের দৈনিক আদায় রেজিষ্টারে গরমিল, ঋণের মাষ্টার রেজিষ্টারের পরিবর্তে ডুপ্লিকেট রেজিষ্টার তৈরি করণ, ঋণীগ্রহীতাদের ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন নথি না থাকা সহ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রধান কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, উপজেলাটির পরিবারভিত্তিক কর্মসূচিতে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা খেলাপী রয়েছে।

    সরেজমিনে ৪৬৭ নং কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রটিতে প্রথম দফায় ৪৫ জন সদস্যের জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঋণ অনুমোদিত হলেও ১১/০৭/২০০৫ তারিখে ঋণের চেক প্রদান করা হয় ৩০ জনকে। অন্যদিকে একই স্মারক ব্যবহার করে অপর একটি ৪৬৭ নং কেন্দ্র গঠন করে ৪৫ জন সদস্যের নামে জনপ্রতি আবারও ৭ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ দেখানো হয়। এরপর ২৮/০৫/২০২৪ ইং তারিখ দ্বিতীয দফায় একই স্মারক ব্যবহার করে দুইটি কেন্দ্রের একটিতে ৪৫ জন এবং অপরটিতে ৩২ জন সদস্যের মাঝে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকার চেক বিতরণ দেখানো হয়। যাহা ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধানসহ অন্যান্য সদস্যরা কিছুই জানেন না। চার দফায় ওই কেন্দ্রটি থেকে ওই অসাধু চক্রটি ১২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করলেও ৩০ জন সদস্য শুধুমাত্র এক দফায় জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ প্রাপ্ত হন।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সদস্য জানান, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নামে বেনামে ঋণ অনুমোদন করে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে যার পরিমান দাড়িয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

    ৪৬৭ নং কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান মজিবর রহমান বলেন, আমিসহ আমার কেন্দ্রের ৩০ জন সদস্য গ্রুপ এ্যানিমেটর সেহাব স্যারের মাধ্যমে একবার জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঋণ উত্তোলন করি। পরবর্তীতে আমরা আর কোন ঋণ গ্রহন করি নাই। সদস্যরা তাদের ঋণের টাকা যথা সময়ে পরিশোধ করেছেন।

    এ বিষয়ে তৎকালীন গ্রুপ এ্যানিমেটর সেহাব উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

    এ বিষয়ে তৎকালীন অপর এক গ্রুপ এ্যানিমেটর ও বর্তমানে রাজারহাট উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল আনোয়ারী জানান, আমি সে সময় চন্দ্রখানা শাখায় কর্মরত ছিলাম। এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত টিম গঠন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

    এ প্রসঙ্গে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ললিত মোহন রায় জানান, ডুপ্লিকেট রেজিষ্টার তৈরী করে ঋণ উত্তোলনের ঘটনাটি আমিও শুনেছি। এখন প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক দফা অডিট টিম তদন্ত করেছে। আবারও কয়েক দিনের মধ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অডিট টিমতদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…