এইমাত্র
  • চিকিৎসকে থাপ্পড় দিয়ে পা ধরে মাফ চাইলেন শ্রমিক নেতা!
  • ঢাকায় বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি
  • সহজ লক্ষ্য কঠিন করে জিতলো বাংলাদেশ
  • সকাল ৯টার মধ্যেই যেসব জেলায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়
  • বাংলাদেশকে সহজ লক্ষ্য ছুড়ে দিলো জিম্বাবুয়ে
  • নতুন করে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ থাকছে না: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
  • দেশজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি
  • টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এলো বিজিপির আরও ৮৮ সদস্য
  • জব পেতে পিৎজা বক্সের সাথে দিলেন সিভি
  • চুয়াডাঙ্গায় ধান মাড়াই কলে শাড়ি পেচিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
  • আজ সোমবার, ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিশুসন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ

    মাহফুজুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
    মাহফুজুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম

    ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিশুসন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ

    মাহফুজুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম

    চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাঁও রেলপথে চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনের নিচে শিশুকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

    বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে আত্মহত্যার খবর পান স্বজনরা। রেলওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ মাসুদ আলম ঘটনাস্থল থেকে মা ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

    নিহত তাহমিনা আক্তার হাজীগঞ্জের ধড্ডা গ্রামের দেওয়ানজি বাড়ির মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে। ২০১৯ সালে একই উপজেলার সন্না গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মো. মাসুদুজ্জামান হাওলাদারের সঙ্গে তাহমিনার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। সম্প্রতি পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাহমিনার সঙ্গে মারা যাওয়া শিশুসন্তানের নাম আবদুর রহমান।তাহমিনার মুনতাহা নামে পাঁচ বছর বয়সী আরেকটি মেয়ে আছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার আগে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে একটি পোস্ট করেন তাহমিনা। পোস্টে তিনি তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন ও মেয়েকে দেখে রাখার অনুরোধ করে গেছেন। এর আগে গত ২৮ মার্চ স্বামী ও তাঁর স্বজনদের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তাহমিনা।

    লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে উঠিয়ে না নেওয়ায় বাবার বাড়িতে থাকতেন তাহমিনা। পরে বাবার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নিয়ে স্বামী মাসুদুজ্জামানকে কুয়েতে পাঠান। স্বামী প্রবাসে থাকতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে তাহমিনার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। তখন তাঁর স্বামী তাঁকে বাবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকতে বলেন। স্বামীর কথামতো তিনি হাজীগঞ্জের মকিবাদ চৌধুরীপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তখন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মুঠোফোনে তাঁকে নানা অপবাদ দিয়ে গালমন্দ করেন এবং স্বামী ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে তাহমিনার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

    সূত্র জানায়, ছাড়াছাড়ির পর গত ২৮ মার্চ হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তাহমিনা। এর মধ্যে ১৮ এপ্রিল তাহমিনার সাবেক স্বামী মাসুদুজ্জামান হাওলাদার দেশে ফিরে আসেন। তিনি অভিযোগ তুলে নিতে মুঠোফোনে তাহমিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে বলেন। অন্যথায় স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

    থানায় অভিযোগ থাকায় প্রবাস থেকে ফেরার পথে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত মাসুদুজ্জামান হাওলাদার। অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর মুঠোফোন নম্বরে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।

    পুলিশ জানায়, বিষয়টি সুরাহার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ অভিযুক্ত মাসুদুজ্জামানের পরিবারের সঙ্গে বসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। এক সপ্তাহ আগে ওই ব্যক্তি দেশে আসেন। কিন্তু বাড়িতে না থেকে তিনি বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়ান। পরে জানতে পেরেছেন, ওই ব্যক্তি আবার প্রবাসে চলে গেছেন।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…