তাপপ্রবাহের কারণে শিখন ঘাটতি পূরণে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত ঈদের পর আর থাকছে না বলে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
রবিবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।
আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজ করার জন্য, সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা ৯টি কর্মদিবস পাইনি, শনিবার...আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মসূচি পাওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে আলোচনা করছি, ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না, সেটার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে সবদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখন ফল অর্জন করবো, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা (শনিবার ক্লাস) আমাদের হয়তো কন্টিনিউ করতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করবো।’
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবির আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেকে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি কাম্য নয়। আর এটা নিয়ে আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি- যাদের বয়স ৩০ বছর তাদের মাত্র এক শতাংশ চাকরি পায়, সেখানে ৩৫ করা হলে আর কি-বা হবে। এ ছাড়া আমার সুপারিশের পর সংসদে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাই নতুন করে আমার সুপারিশ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ঠিক নয়।’