অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, দেউলিয়া হওয়া এড়াতে বিশ্বব্যাংক থেকে আইএমএফ সবার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেরিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ হলেও এখনো প্রবল ঝুঁকিতে দেশটি। এমন অবস্থায় কৌশলগত প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে অন্যান্য সব সরকারি কোম্পানি বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, সরকারি বিভিন্ন কোম্পানি ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিগত কয়েক বছরের পণ্য-পরিষেবা উৎপাদন ও অর্জিত মুনাফার সার্বিক অবস্থা যাচাই শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়ে চলবে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
মূলত সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, শিগগিরই বেসরকারি খাতে স্থানান্তর করা হবে; এমন সরকারি কোম্পানির একটি প্রাথমিক তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, চারটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি, ১০টি বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি, নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে অবস্থিত বিলাসবহুল রুজভেল্ট হোটেল এবং দুটি বিমা কোম্পানিসহ ২৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।