রাজধানীর সবুজবাগের ‘মায়াকানন’ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের মাচা ভেঙে নিচে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন অপর শ্রমিকেরও মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মফিজুল ইসলাম (২০)।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ২টার দিকে মফিজুলকে মুগদা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মফিজুলের মামা মিজানুর রহমান জানান, মায়াকানন ৭ নম্বর জামে মসজিদের একটি ১০ তলা ভবনে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতো মফিজুল। আজ সকাল ১০টার দিকে ভবনের ১০ তলার বাইরে পাশে মাচায় দেয়াল প্লাস্টারের কাজ করছিল। মাচায় ছিল মফিজুল, আলতাফুর (৪০) ও অন্তর (২২)। তখন মাচার রশি ছিঁড়ে তারা তিনজনই নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলতাফুর ও অন্তর। তবে পুলিশ ও সহকর্মীরা তিনজনকেই মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ওই দুইজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেন। চিকিৎসাধীন রাখা হয় মফিজুলকে।
তিনি জানান, সেখানে মফিজুলের অবস্থার অবনতি দেখে দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকেও মৃত বলে জানান।
এদিকে সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন জানান, মুগদা হাসপাতালে এ ঘটনায় দুইজন মারা গেলেও আর মফিজুলকে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। মফিজুলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, মফিজুলের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার চরপাড়া গ্রামে। বাবার নাম রব্বানি। পরিবার নিয়ে মায়া কানন এলাকাতেই থাকেন। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই ভবনটিতে কাজ করে আসছিল সে। এছাড়া নিহত আলতাফুরের বাড়িও জামালপুর আর অন্তরের বাড়ি ময়মনসিংহ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আরও ২ নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সবুজবাগ থানা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এসএফ