আর্মেনিয়া চারটি সীমান্ত গ্রাম আজারবাইজানে ফিরিয়ে দিয়েছে। একটি চুক্তির অধীনে শুক্রবার (২৪ মে) আর্মেনিয়া সীমান্তবর্তী গাজাখ জেলার চারটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজানের সীমান্ত পরিষেবা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবা শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের সীমান্ত রক্ষীরা ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ নতুন অবস্থান গ্রহণ করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে একটি সীমান্ত সীমানা চুক্তিকে প্রতিফলিত করে। বাঘানি, ভোস্কেপার, কিরান্টস এবং বার্কাব গ্রামগুলো আজারবাইজানে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজারবাইজানের উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহিন মুস্তাফায়েভ বলেন, ‘তাদের দেশের সীমান্ত রক্ষীরা চারটি বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা আজারিয়ানদের কাছে বাঘানিস আইরুম, আসাগি এস্কিপাড়া, হেইরিমলি ও কিজিলহাসিলি নামে পরিচিত।’
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান আজারবাইজানের সাথে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চলতি বছরের মার্চ মাসে এই পদক্ষেপে সম্মত হন। এরপর এপ্রিলে জনবসতিহীন গ্রামগুলোকে আজারবাইজানের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছিল ১৯৯০ এর দশকে সেগুলোর দখলদার আর্মেনিয়া।
এদিকে, চারটি গ্রাম হস্তান্তর করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর্মেনিয়ায় বিক্ষোভে নেমেছেন প্রতিবাদকারীরা। বিশ্বাসঘাতকতার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাশিনিয়ান একটি নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকায় আর্মেনীয়রা যে স্বদেশের স্বপ্ন দেখেছেন সে কথা তুলে ধরেন। এসময় কীভাবে জাতীয় সীমানা নির্ধারণ করা সেই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ ছিল তা বর্ণনা করেন
এমএইচ