অ্যান্টিগায় বৃষ্টি থামার আর নাম নেই। যার কারণে ম্যাচটি আর পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসে যখন দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়, তখনই ধারণা করা হচ্ছিল ম্যাচটি বাংলাদেশের নাগালেই বাইরে চলে গেছে। আর হয়েছেও তাই। বৃষ্টির কারণে আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। যার ফলে ২৮ রানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক শান্তর (৪১ রান) ব্যাট থেকে। তাওহীদ হৃদয় করেন ৪০ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার হেড ও ওয়ার্নার। মাঝে একবার বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হলেও এগিয়ে ছিল অজিরা।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে রিশাদের ঘূর্ণিতে দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম হেডকে বোল্ড করেন রিশাদ। এরপরের ওভারে অজি অধিনায়ক মার্শকেও তুলে নেন তিনি।
এরপর অবশ্য আর সুযোগ দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। ওয়ার্নার ও ম্যাক্সওয়েল পেটাতে থাকেন মোস্তাফিজ-রিশাদদের। এরই মাঝে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হলে নামে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিতেই জয় পায় অজিরা।
এ ম্যাচে প্যাট কামিন্স তার ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন। প্রথমে মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করেন তিনি। তার পরের বলেই মেহেদি হাসানকে তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক। ২০তম ওভারের প্রথম বলে হৃদয়কে তুলে নিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কামিন্স। হ্যাটট্রিককের কারণে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সপ্তম এবং অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ব্রেট লি। ২০০৭ সালে এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিকের দেখা পান তিনি।
এমএইচ