এইমাত্র
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে: তারেক রহমান
  • ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক: মেডিকেল বোর্ড
  • হাদির ওপর হামলা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না: ইসি মাছউদ
  • সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমাদান ও জামানতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসির পরিপত্র
  • প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা
  • মেসির নিকট ক্ষমা চাইলেন মমতা ব্যানার্জি
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম

    মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাহার ও কোটা সংস্কারের একদফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

    সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজসহ আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা 'কে রাজাকার? কে রাজাকার?, তুই রাজাকার, তুই তাজাকার,' 'লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না,' 'তুমি নও, আমি নই! রাজাকার, রাজাকার', 'আমি কে রাজাকার? জবাব চাই, দিতে হবে,' 'চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার,' 'প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য, প্রত্যাহার করতে হবে' প্রভৃতি শ্লোগান দিতে থাকেন।

    এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে রাজাকারের মতো ট্যাগিং দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে রাজাকার হিসেবে ট্যাগিং করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রীই তাদেরকে রাজাকার বলে সম্বোধন করেছে। এই স্লোগানের দায়ভার প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। শিক্ষার্থীরা তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে।

    এ সময় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শারজিস আলম বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আমাদের ভাই-বোনেরা মাঠে নামা শুরু করেছে। আপনারা বিশ্বাস করেন কিনা ৫৬ শতাংশ কোটা উন্নত বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না। ৫৬ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। রবিবার প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যা বলেছেন, তা আমাদেরকে আশাহত করেছে।

    আমরা আমাদের সব দাবি নির্বাহী বিভাগ, আইনসভার কাছে উপস্থাপন করেছিলাম বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়নে আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি যা বলেছেন এতে আমাদের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের যেই ফ্রেমিং-ই করা হোক না কেনো, আমাদের উদ্দেশ্য হলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার। আমরা তপ্ত দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে লড়াইয়ের জন্য আসি নি। আমরা এসেছি পড়াশোনা করার জন্য।

    বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে দুপুর সোয়া দুইটায় মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা হল পাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আন্দোলনকারীদের আরেকটি অংশ রাজুতে অবস্থান করছে।

    এদিকে বাঙালির মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ, একাত্তরের ঘৃণিত গণহত্যাকারী রাজাকারদের প্রতি সাফাই এবং আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরির প্রতিবাদে রাজুতে বিকেল তিনটায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।

    এমএইচ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…