এইমাত্র
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • ওসমান হাদির অর্গান কাজ করছে: তাসনিম জারা
  • হাদির চিকিৎসা ও পরিবারের খোঁজখবর নিলেন জুবাইদা রহমান
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে মাথাপিছু আয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম

    ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে মাথাপিছু আয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

    সময়ের কণ্ঠস্বর রিপোর্ট প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম

    করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক মন্দার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এক অনন্য উদাহরণ। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন ভারত এবং পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।

    ২০০০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৪৩০ ডলার। দুই দশকের ব্যবধানে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৮৬০ ডলার, যা ৫৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি। অন্যদিকে, একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু আয় ৪৪০ ডলার থেকে বেড়ে ২,৫৪০ ডলার (৪৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ৪৭০ ডলার থেকে ১,৫০০ ডলার (২১৯ শতাংশ বৃদ্ধি) হয়েছে।

    দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি। ভুটানের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১৯ শতাংশ, মায়ানমারের ৫৩৭ শতাংশ এবং নেপালের ৫২৩ শতাংশ। তবে তুলনামূলকভাবে পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে কম, মাত্র ২১৯ শতাংশ।

    বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের এই অগ্রগতির পেছনে কয়েকটি কারণ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে:

    গার্মেন্টস রপ্তানি: তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি।

    রেমিট্যান্স: প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয় দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

    মহিলা শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ: শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    উন্নয়ন পরিকল্পনা: দীর্ঘমেয়াদি নীতি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে ধারাবাহিক সাফল্য।

    তবে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে এসেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হার ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এ অবস্থায় রপ্তানি বাজারের সম্প্রসারণ, বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, এবং অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

    বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০০০ সালে যেসব দেশ নিম্ন আয়ের তালিকায় ছিল, সেখান থেকে ৩৯টি দেশ মধ্যম আয়ের তালিকায় এসেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে, আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির আরও উচ্চতর অবস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…