গাজীপুর বিআরটিএ অফিসে ব্যাপক দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৭ মে) সকাল থেকে সাদা পোশাকে ছদ্মবেশে তদন্তের পর দুদক টিম অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স, যানবাহন নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন ও ফিটনেস সনদ প্রদানে ঘুষ লেনদেনসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পায়।
অভিযানে গাজীপুর বিআরটিএ’র সহকারী মোটরযান পরিদর্শক সারোয়ারের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির জোরালো প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে দুদক।
তথ্য অনুযায়ী, সহকারী পরিদর্শক সারোয়ার অফিস সহকারী পদে চাকরিতে যোগদান করেন। বিআরটিএর আলোচিত এই কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় মাসুদের শালিকার স্বামী হওয়ার সুবাদে যেখানে যান সেখানেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুর্নীতি চালিয়েছেন। পরবর্তীতে সহকারী মোটরযান পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়ে টাঙ্গাইল বিআরটিএ অফিসে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তিমূলক গাজীপুরে বদলি হয়ে আসেন।
এছাড়া, স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বাড়তি অর্থ আদায়, নির্ধারিত ফি’র চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ নেওয়া এবং কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি পদে থেকেও ব্যক্তিগত সম্পদ গঠনের অভিযোগ উঠে আসে তদন্তে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী কর্মকর্তা সেলিম সাংবাদিকদের জানান, বিআরটিএ ঘুষ বাণিজ্য, দালালদের দৌরাত্মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বিভিন্ন রেজিস্ট্রার রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ছদ্মবেশে গ্রাহকদের সাথে কথা বলেছেন। অভিযান শেষে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
এনআই/আরআই