জুলাই বিপ্লবে ঢাকার মীরপুরে শহীদ হওয়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ঘাটান্দি গ্রামের পলাশের লাশ বুধবার (৭মে) উত্তোলনের চেষ্টা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে শহীদ পলাশের স্ত্রী না মত প্রকাশে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যায় পুলিশ।
মামলার বাদী শহীদ পলাশের স্ত্রী রেশমী সুলতানা তার বৃদ্ধা মায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যায়। পলাশ দূর্বিত্বদের গুলিতে ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বরে নিহত হয়।
ঢাকা মেট্রো চীফ জুডিশালের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রো পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট লাশ তুলে ময়না তদন্তের আদেশ দেন। আদেশের প্রেক্ষিতে ভূঞাপুরের সহকারী কমিশনার ( ভৃমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিসট্রেট মো. তারিকুল ইসলামসহ তদন্ত কর্মকর্তা লাশ তুলতে গেলে মামলার বাদী পলাশের সহধর্মিণী রেশমা সুলতানা লাশ না তোলার জন্য আবেদন করে। পলাশের বৃৃদ্ধা মা লাশ উত্তোলনে বাধা দেয়। ফলে স্হানীয়দের উপস্হিতিতে পুলিশ লাশ উত্তোলন না করে ফিরে যায়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিসট্রেট তারিকুল ইসলাম জানান, মামলার বাদী পলাশের স্ত্রী রেশমী সুলতানার আবেদন ও পলাশের মাসহ স্বজনদের আপত্তির কারণে আদালতের নির্দেশক্রমে লাশ তুলতে গেলে তাদের লিখিত আবেদনের প্রক্ষিতে ও স্বজনদের বাধার কারনে লাশ তুলতে পারিনি, যাহা মহামান্য আদালতকে অবহিত করা হবে।
এনআই