এইমাত্র
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • ওসমান হাদির অর্গান কাজ করছে: তাসনিম জারা
  • হাদির চিকিৎসা ও পরিবারের খোঁজখবর নিলেন জুবাইদা রহমান
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন: স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত

    জাহিদ হাসান নাইম, কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ এএম
    জাহিদ হাসান নাইম, কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ এএম

    যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন: স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত

    জাহিদ হাসান নাইম, কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ এএম

    কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণে যাত্রী রেখে চলে গেল চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে করে শত শত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

    রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে ভুক্তভোগী যাত্রীদের গন্তব্যের দিকে পাঠানো হয়।

    রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৮০২ নম্বর চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়ম অনুযায়ী নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামার কথা থাকলেও, স্টেশন মাস্টারের ভুল নির্দেশনার কারণে সেটি না থেমে চলে যায়। ঘটনাটি ঘটে যখন স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল, লাকসাম কেবিন মাস্টারকে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেন এবং তিনি চট্টলার পরিবর্তে ভুলবশত ৭০২ নম্বর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ভেবে সিগনাল দেন। ফলে নির্ধারিত স্টপেজ উপেক্ষা করে ট্রেনটি অতিক্রম করে যায়।

    এ ঘটনায় যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্টেশনে ভিড় করা যাত্রীদের কেউ কেউ স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে জবাবদিহি চান। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে নাঙ্গলকোটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠায়।

    ঘটনার বিষয়ে স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমি লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত মাস্টারকে বলেছিলাম ট্রেন চালানোর জন্য। কিন্তু তিনি সম্ভবত ভুল করে চট্টলা এক্সপ্রেসকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ভেবে স্টেশন না থামিয়ে চালিয়ে দেন।’

    অপরদিকে, কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার নিজের দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ৮০২ চট্টলা ট্রেনের কাগজ দিয়েছি। সুবর্ণ ট্রেনের নাম লিখিনি। আমরা মাস্টাররা ভুল করতেই পারি, কিন্তু ট্রেনের চালক বা গার্ড তো থামাতে পারতেন।’

    এ ঘটনায় সোমবার সকালে কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার গণমাধ্যমকে জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…