শিশু নাজমুল (১০) এক দুরারোগ্য ব্যাধি (Motor Neuron Disease (MND) / ALS) তে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন কাটাচ্ছে। নার্ভ শুকিয়ে যাওয়া ও শরীরের মাংস ক্ষয় হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত অসাড় হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সে আর দাঁড়াতে পারে না। চিকিৎসকদের মতে, দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে শিশুটি চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
নাজমুল কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের মো. হামিদুল ও নাজমা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান।
দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে নাজমুলের চিকিৎসার বিপুল ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। নাজমুলের বাবা মো. হামিদুল একজন দিনমজুর এবং মা নাজমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। নিত্যদিনের সংসার চালাতেই যেখানে তাদের হিমশিম খেতে হয়, সেখানে সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাজমুল লেখাপড়ার প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ছিল। তার স্বপ্ন ছিল একদিন ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু অর্থের অভাবে আজ সেই স্বপ্ন থমকে যেতে বসেছে। বর্তমানে নাজমুল আর হাঁটতে পারে না; মায়ের কোলে করেই তাকে চলাচল করতে হয়।
কষ্টভরা কণ্ঠে নাজমুলের মা নাজমা বেগম বলেন, “আমার একমাত্র ছেলেটা টাকার অভাবে ধীরে ধীরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তাররা বলেছেন দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। আর দেরি করলে নাজমুলের রোগটা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে। আর চিকিৎসার জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে। আমাদের পক্ষে এই বিপুল টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।”
তিনি সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে বলেন, “আপনারা সাহায্য করলে আল্লাহ রহমতে হয়তো আমার ছেলেটা আবার বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।”
নাজমুলের চিকিৎসার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে তার মা নাজমা বেগমের বিকাশ অথবা নগদ পার্সোনাল নম্বরে: 01759262343।
এফএস