সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কেরানীহাট এলাকায় মহাসড়কের ওপর আগুন দিয়ে অবস্থান নেন সর্বস্তরের মানুষ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ১১টা ৫৫ মিনিট) অবরোধ চলছিল।
অবরোধ চলাকালে ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ এবং ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’—এমন নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে তারা হাদি হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, দিনের পর দিন প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্রকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হলেও এখনো প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়েনি। এই ব্যর্থতার দায় সরকারকে নিতে হবে।
নিহত শরীফ ওসমান হাদি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবেও আলোচনায় ছিলেন।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে সন্ত্রাসীরা রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে গত সোমবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।
এনআই