এইমাত্র
  • নাব্যতা হারিয়ে যমুনার বুক এখন ফসলের মাঠ
  • সুদানে নিহত ৬ শান্তিরক্ষীর জানাজা রোববার ঢাকা সেনানিবাসে
  • শহীদ হাদিকে সংসদ প্লাজা থেকে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানালো লাখো জনতা
  • ওসমান হাদি তুমি আমাদের বুকের মধ্যে আছো: প্রধান উপদেষ্টা
  • শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত
  • হাদিকে শেষ বিদায়: জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা
  • কাজীপুরে আড়াই বছর পর জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু
  • হঠাৎ অসুস্থ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
  • সংসদ প্লাজায় পৌঁছেছে নিথর হাদি, অপেক্ষা জানাজার
  • মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার মারা গেছেন
  • আজ শনিবার, ৬ পৌষ, ১৪৩২ | ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    যশোরে মিলছে না বিনামূল্যের দামি ইনজেকশন

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

    যশোরে মিলছে না বিনামূল্যের দামি ইনজেকশন

    বিল্লাল হোসেন, যশোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ পিএম

    যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসায় দামি ইনজেকশন মিলছে না। ফলে দামি ইনজেকশন কিনতে গিয়ে গরীব রোগীর স্বজনেরা হিমশিম খাচ্ছেন। অপরদিকে, ইনজেকশন কিনতে না পারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা হচ্ছে না। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকাদের অনিয়মের কারণে সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বিনামূল্যের অনেক ইনজেকশন পাওয়া থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। নানা অজুহাতে কতিপয় ওয়ার্ড ইনচার্জ দামি ইনজেকশন গায়েব করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    জানা গেছে, যশোরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলার রোগীদের আশা ভরসার স্থল হলো যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল । সরকারি এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন দ্বিগুনের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। বহির্বিভাগে গড় চিকিৎসা সেবা নেন ৯ শ থেকে ১ হাজার রোগী। স্বনামধন্য এই হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় যশোরসহ নড়াইল, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলার অধিকাংশ গরীব মানুষ চিকিৎসা নিতে এখানে আসেন। উদ্দেশ্য একটাই- অল্প খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়া।

    গরীব মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে এই হাসপাতালে ৮৪ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ কর হয়। এর মধ্যে ইডিসিএল ৪৪ প্রকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্থানীয় অর্থে টেন্ডারের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৪০ প্রকার ওষুধ কর্তৃপক্ষ ক্রয় করে। কিন্তু বিনামূল্যের অনেক ইনজেকশন রোগীরা পাচ্ছেন না। ভর্তি রোগীদের চিকিৎসার জন্য অধিকাংশ ইনজেকশন বাইরে থেকে কেনার জন্য স্লিপ করে দেয়া হচ্ছে। ইনজেকশন মেরোপেনাম ১ গ্রাম, সেফুরক্সিম ৭৫০ এমজি, সেফট্রিঅ্যাকসন ১ গ্রাম ও ওমেপ্রাজল, নক্সারিন’ রোগীর চিকিৎসার জন্য বাইরে থেকে কিনে আনছেন স্বজনরা। তবে প্রভাবশালী ব্যক্তির কোন রোগী ভর্তি হলে রয়েছে ভিন্নতা। চিকিৎসার জন্য প্রায় ওষুধ দেয়া হয় হাসপাতাল থেকে। অথচ গরীব রোগীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    দিনমজুর আবু হানিফ জানান, তার রোগী মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোগীর ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসক প্রতিদিন দুটি করে মেরোপেনাম ইনজেকশন লিখেন। যার প্রতিটির মূল্য সাড়ে ১৩শ’ টাকা। দামি ইনজেকশন কিনতে গিয়ে তার হিমশিম খেতে হয়।

    পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন আতিয়ার রহমান, মিয়ারাজ হোসেনসহ অনেকেই জানান, রোগীর ভর্তির পর বিনামূল্যের ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। সেবিকা স্লিপ দেওয়ার পর সেফুরক্সিম ৭৫০ এমজি ও সেফট্রিঅ্যাকসন ১ গ্রাম ও ওমেপ্রাজল ইনজেকশন বাইরে থেকে কিনে আনেন।

    আরেক রোগীর স্বজন পারভীন আক্তার জানান, তার রোগীর জন্য প্রতিদিন দুইটা করে সেফট্রিঅ্যাকসোন এবং ওমেপ্রাজল ইনজেকশন কিনতে হচ্ছে। বিনামূল্যে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে না।

    মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন আনিকা ইসলাম জানান, তার মায়ের জন্য অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। দামি ইনজেকশন দুরের কথা গ্যাসের ইনজেকশন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

    রোগীর স্বজনদের ভাষ্যমতে, ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকারা স্লিপ দেয়ার সময় বলে থাকেন বিনামূল্যের সেফুরক্সিম ৭৫০ এমজি ও সেফট্রিঅ্যাকসন ১ গ্রাম ও গ্যাসের ইনজেকশন শেষ। সব রোগীদের দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ রোগীর তুলনায় সরবরাহ কম। এমন কথা বলে তারা দায় এড়িয়ে যান। ফলে অধিকাংশ রোগীর জন্য বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।

    হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে রোগীর স্বজন ওয়াহিদুজ্জামান মিলন জানান, তার রোগীর চিকিৎসায় বিনামূল্যে নাভির ইনজেকশন ওয়ার্ড থেকে দেয়া হয়নি। ইনজেকশন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়।

    এই বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, ওষুধের তেমন সংকট নেই। তবে সরবরাহ না থাকলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। রোগীদের বিনামূল্যের ওষুধ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কেনো রোগীরা পাচ্ছেন না খোঁজ নেওয়া হবে।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…