এইমাত্র
  • ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন
  • খুলনার উপকূলীয় এলাকায় মিঠা পানির ‘খনির’ সন্ধান
  • খুলনায় গুলিবিদ্ধ এনসিপি নেতা শঙ্কামুক্ত
  • বোমা হামলায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জেনারেল নিহত
  • প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক
  • বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা নয়, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ
  • ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান
  • এই মুহূর্তে কোন বাংলাদেশে আছি জানি না: মির্জা ফখরুল
  • ঢাকা-১০ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন আসিফ মাহমুদ
  • হাদির হত্যাকারীর প্রকৃত অবস্থান জানলে ধরেই ফেলতাম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আজ সোমবার, ৮ পৌষ, ১৪৩২ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ঋণের বোঝা সইতে না পেরে ৩ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

    আল আমিন, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
    আল আমিন, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

    ঋণের বোঝা সইতে না পেরে ৩ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

    আল আমিন, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

    মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় কিস্তির চাপ ও পারিবারিক মানসিক টানাপোড়েনের জেরে গৃহবধূ আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত গৃহবধূ জিলহজ আক্তার (২৮)। তিনি কুমিল্লা জেলার চাঁনদিনা উপজেলার পরচঙ্গা গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে।

    নিহতের স্বামী কামরুল ইসলাম (৩৫) চাঁনদিনা উপজেলার বড় বাড়েরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় বাবুর্চি। প্রায় আট বছর ধরে গজারিয়ায় কাজ করলেও এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও তিন সন্তান—দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামে আব্দুল হাসানের ভাড়া বাসায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

    পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা চলছিল। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে স্বামী কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পর স্ত্রী কান্নাকাটি শুরু করেন। এ সময় কামরুল ইসলাম তাকে সান্ত্বনা দিয়ে ধীরে ধীরে কিস্তি পরিশোধের আশ্বাস দেন। রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত তারা জেগে ছিলেন। পরে সকালে কাজে যেতে হবে—এ কথা বলে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েন।

    সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর রাতে ফজরের নামাজের সময় কামরুল ইসলাম ঘুম থেকে উঠে বড় মেয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মা ওয়াশরুমে গেছেন। কিছুক্ষণ পর বড় মেয়ে রান্নাঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাকে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এসে লাশ নামান এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করা হয়।

    খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী কামরুল ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী সোহরত জানান, নিহতের শরীরে বাহ্যিক কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, তবে গলায় ফাঁসের দাগ স্পষ্ট ছিল।

    নিহতের ভাই ইব্রাহিম বলেন, “আমরা এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ করতে চাই না। প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে চাই।”

    এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আলি বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…