এইমাত্র
  • বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার চট্টগ্রামের, দায়িত্ব নিল বিসিবি
  • দেশে ফিরে ইতিহাস গড়েন যে চার বিশ্বনেতা
  • ১৭ বছর পর মাতৃভূমি’র মাটি স্পর্শ করলেন তারেক রহমান
  • লাল-সবুজের বাসে সংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন তারেক রহমান, উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা
  • তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন সারজিস
  • এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, সরানো হলো নেতাকর্মীদের
  • প্রস্তুত গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি
  • দীর্ঘ ১৭ বছর পর খালি পায়ে মাতৃভূমির মাটি ছুঁলেন তারেক রহমান
  • সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ফোনে ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান
  • ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধনের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    অপতথ্য ছড়িয়ে নির্বাচন ভণ্ডুল নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চাই: এম আবদুল্লাহ

    আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
    আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

    অপতথ্য ছড়িয়ে নির্বাচন ভণ্ডুল নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চাই: এম আবদুল্লাহ

    আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

    বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এম আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সামনে যে নির্বাচন রয়েছে সে নির্বাচনকালিন যে সাংবাদিকতা, এটা অনেক বেশি যেমন চ্যালেঞ্জিং, যেমন ঝুঁকির। একই সঙ্গে সাংবাদিকতা দিয়ে আপনারা এ রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালনার চেষ্টা করতে পারেন। আবার এ নির্বাচন ভন্ডুল করার ক্ষেত্রেও আপনাদের ভূমিকা থাকতে পারে। কোনটা বেছে নিবেন আপনাদেরকে চিন্তু করতে হবে।

    বুধবার (২৪ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    এসময় বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জেলায় কর্মরত ১৬জন সাংবাদিকদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।

    জেলা প্রশাসক এস এম মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সম্রাট খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আ.হ.ম মোশতাকুর রহমান, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম স্বপন সহজেলা কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

    সাংবাদিক নেতা এম আবদুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে, এ ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুজব ছড়িয়ে, মিস ইনফরমেশন, ডিজ ইনফরমেশনের নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার ক্ষেত্রেও সাংবাদিকদের একটি রোল থাকবে, যাতে কোন রকম অপতথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনকে ভন্ডুল করা, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা, নির্বাচনের পরিবেশকে ক্ষুন্ন করা না হয়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে।

    বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ আরও বলেন, আমরা এখন মুক্ত পরিবেশে আছি। গণমাধ্যমও মুক্ত আছে। গত ১৫-১৬বছর ফ্যাসিস্ট রেজিমে আমাদের সাংবাদিকতাকে দলন করে, পিষ্ট করে সমস্ত গণমাধ্যমকে ভঙ্গুর এবং ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। পেশাদার এবং দেশাত্মবোধ নিয়ে যেসব গণমাধ্যম কাজ করেছিলো তাদের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিলো এবং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো।সম্পাদকদেরকে জেলে ঢুকানো হয়েছিলো। জুলাইয়ে প্রায় ১৪'শ মানুষের জীবন এবং প্রায় ৩০হাজার মানুষের অঙ্গহানির বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, মুক্ত পরিবেশ পেয়েছি, মুক্ত সংবাদমাধ্যম পেয়েছি। এখন আমরা দায়িত্বহীন সংবাদমাধ্যম যাতে না হয়ে যাই। দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা যাতে আমাদের মাঝে তৈরি না হয়। এ বিষয়ে আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রাখবো।

    তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন গণমাধ্যম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমরা দেখছি গত ৩-৪দিন গণমাধ্যম নিয়ে সাঙ্ঘাতিকভাবে আলোচনা হচ্ছে। দুটি গণমাধ্যমে আগুন দেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়ে ব্যাপক আন্দোল সংগ্রাম আমরা দেখছি। আমরা এধরনের গণমাধ্যমে অগ্নিসংযোগ, গণমাধ্যমে সন্ত্রাস, একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে, একজন গণতন্ত্রমনা মানুষ হিসেবে, একজন গণমাধ্যমের কর্মী হিসেবে কোনভাবে সমর্থন করি না। কিন্তু ভাবটা যদি এমন দেখানো হয়, যে এ প্রথম বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উপর এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তখন কিন্তু আমাদের জন্য পীড়াদায়ক হয়, কষ্টের হয়। কারণ গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের সময় ৫৯জন সাংবাদিক খুন হয়েছে । প্রত্যেক মাসে ২৫-৩০জন সাংবাদিক পঙ্গু হয়েছে, মামলায় আসামী হয়েছে, জেল খেটেছে। এটা প্রত্যেক মাসের হিসাব।

    এম আবদুল্লাহ বলেন, যারা ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশ প্রথম এধরণের ঘটনা ঘটেছে বলছেন, তাদেরকে একটু অতীতটা ঘেটে দেখতে বলবো। অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন লোকজনও যখন এসব কথা বলেন, তখন আমাদের কিন্তু বেদনা-দুঃখ রাখার জায়গা থাকে না। কারণ আমরা দেখেছি কিভাবে একেকজন সম্পাদককে চ্যাংদোলা করে ধরে নেওয়া হয়েছে, কমান্ডো স্টাইলে শীর্ষ সন্ত্রাসীর মতো করে মাহমুদুর রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো দুই দফায়। জেল খেটেছিলেন সাড়ে ৫বছর। নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন ৬বছর। আবুল আসাদের মতো একজন জ্যেষ্ঠ সম্পাদকের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে কিছু সন্ত্রাসী কি কান্ড ঘটিয়েছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন টকশোতে একটি মাত্র কথা বলেছেন একজনের সাথে, যে কথার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করে কিভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে জেলখানার ফ্লোরে শুইয়ে রাখা হয়েছিলো। এ বিষয়গুলো, এ ইতিহাস গুলো চাইলেই মুছে দেওয়া যাবে না।

    তাই আগামী দিনে আমাদের সাংবাদিকতায় অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার জন্য সত্যকে উপেক্ষা করে, সত্যকে বিকৃত করে এটা করতে পারবেন না। সত্য স্বীকার করুন। কোন আমলেই আমরা সংবাদমাধ্যমে নিপীড়ন চাই না।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…