এইমাত্র
  • নাশকতা মামলায় মামুনুল হকের জামিন
  • মির্জাপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
  • আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন ৩ বিচারপতি
  • বেঁচে থাকতে চায় হাত-পা হীন প্রতিবন্ধী সুলতানা
  • কুমিল্লায় ট্রলি উল্টে চালক নিহত
  • তাপমাত্রা নিয়ে নতুন করে যা জানা গেল
  • বাংলাদেশ সফরের জন্য দল ঘোষণা জিম্বাবুয়ের
  • কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত
  • যশোরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা, প্রেমিক আটক
  • বৃষ্টির জন্য কু‌ড়িগ্রা‌মে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়
  • আজ বুধবার, ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    শজিমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

    সাখাওয়াত হোসেন জুম্মা, বগুড়া প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩, ১২:৪১ পিএম
    সাখাওয়াত হোসেন জুম্মা, বগুড়া প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩, ১২:৪১ পিএম

    শজিমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

    সাখাওয়াত হোসেন জুম্মা, বগুড়া প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩, ১২:৪১ পিএম

    বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

    মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে বুধবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টা থেকে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সময় ছাত্রাবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

    শজিমেকের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সম্প্রতি মেডিকেল কলেজটিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নবাগত ছাত্রদের নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শজিমেক শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী ধ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমিও।

    বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শজিমেক ছাত্রাবাসে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালে মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছেন। তাদের নিজ নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দ্ব›দ্ব শুরু হয়। দ্ব›েদ্ব জড়ানো সবাই ভর্তি হতে আসা ৩২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

    একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ছাত্রাবাসের নিচতলায় অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

    বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।

    অন্যদিকে, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি বলেন, সভাপতির গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথমে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্ব›েদ্বর কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।

    বগুড়া ছিলিমপুর (শজিমেক হাসপাতাল) পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় আহতরা শজিমেক হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এআই

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…