ফিলিস্তিনের গাজায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে একদিনে কমপক্ষে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়েসুসের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক সতর্ক করে বলেন, খোলা পরিবেশে বসবাস, অপর্যাপ্ত পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং অতিরিক্ত জনঘনত্বের কারণে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস ও ডায়রিয়াজনিত রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, গাজায় পরীক্ষাগার সংক্রান্ত রাসায়নিক উপকরণ ও রোগ নির্ণয় যন্ত্রপাতি পাঠাতে ডব্লিউএইচও এখনো বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ছে।
এছাড়া ইসরাইল অনেক জরুরি সরঞ্জামকে ‘দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য’ (ডুয়াল-ইউজ) পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
টেড্রোস জরুরি ভিত্তিতে এসব অপরিহার্য সামগ্রী গাজায় প্রবেশের আহ্বান জানিয়ে জানান, রোগের প্রাদুর্ভাব দ্রুত শনাক্ত করা, কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানানো এবং আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া এ সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার পরও এই সহিংসতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে অন্তত ৩৮৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজার ১৮ জন আহত হয়েছেন।
এমআর-২