ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দশটি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে কয়েকশত মুসল্লি। তবে ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি নামায় মসজিদের ভিতরে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমরা জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল দশটার দিকে রাখালতলী পুরাতন মসজিদের ইমাম জয়নাল ফকির ঈদের জামাতের ইমামতি করেন। এছাড়াও আরো কয়েকটি মসজিদে আংশিক কিছু মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
স্থানীয় মাইটকোমরা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আকতার হোসেন বলেন, এবার খুব ভোর থেকেই বৃষ্টি। তাই মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়নি। মাইটকুমড়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯ টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরি সহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুর, দিঘিরপাড়সহ অন্তত দশটি গ্রামের বেশ কিছু মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন। তবে বৃষ্টির বাগড়ার কারণে মসজিদের মাঠে সাজসজ্জা ও নামাজ আদায় করা যায়নি। মসজিদের মধ্যে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং বারটার দিকে পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল আহমেদ বলেন, উপজেলার দুটি ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড়, কলিমাঝি, জয়দেবপুর ও দিঘীরপাড় গ্রামগুলোর আংশিক কিছু মানুষ আগাম ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ রেওয়াজ এবারো তারা তা অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি বলেন, উপজেলার সহস্রাইল দায়রা শরীফ, রাখালতলী ও মাইটকুমরা জামে মসজিদে এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তিনটি জামাতে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করেন।