হবিগঞ্জ লাখাইয়ে রোপা আমনের চাষাবাদ শেষ হতে না হতেই ভাদ্র মাসে শেষ দিকে অনাবৃষ্টি ও সাময়িক খরার কারণে উঠতি রোপা আমন ধানে বিভিন্ন রোগবালাই এর আক্রমণ দেখা দেয়। কোন কোন জমিতে ধানের পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। এ অবস্থায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দেয় উদ্বেগ।
তাঁরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পরামর্শে আক্রান্ত জমিতে বালাইনাশক প্রয়োগ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের একটাই চাওয়া যেকোন ভাবেই হোক কষ্টের ফলানো ফসল রক্ষা করতে হবে। এরই মধ্যে আশ্বিনের শুরুতে টানা বৃষ্টি পাত যেন প্রকৃতির আশীর্বাদ। বেশ কয়েকদিন যাবত থেমে বৃষ্টি পাত হওয়ায় রোপা আমনের জমিগুলো লকলকিয় বেড়ে উঠছে। দিগন্তজোড়া মাঠ যেন সবুজের সমারোহ। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি পাত হওয়ায় জমিতে সেচের প্রয়োজন মিটিয়ে যায়।
এ সময়ে চাহিদামতো বৃষ্টি পাত হওয়ায় রোপা আমনের জমিগুলোতে পোকামাকড় এর আক্রমণ কমে গেছে। এতে কৃষকদের মাঝে নেমে এসেছে স্বস্তি। উল্লেখ্য চলতি মৌসুমে লাখাইয়ে রোপা আমনের চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৫২০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় চাষাবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫ শত হেক্টর।
সরজমিনে উপজেলার মোড়াকরি সন্তোষপুর কৃষ্ণপুর ও গুনিপুর ও সিংহগ্রাম মাঠ পরিদর্শনে দেখা যায় কৃষকেরা জমিতে পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ করছে। এ বিষয়ে কৃষক ফারুক মিয়া ও জেরুন্ডা গ্রামের আরিফ আহমেদ জানান, ভাদ্র মাসের শেষ দিকে রোপনের পর পরই আমাদের জমি শুকিয়ে যাওয়ার আমরা কিভাবে সেচ দিব তা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তদুপরি কোন কোন জমিতে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এরই এক পর্যায়ে কাঙ্খিত বৃষ্টি পাত হওয়ায় আমরা বেশ খুশি। বৃষ্টিতে পাকার আক্রমণও কমে গেছে। এ সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাত হওয়ায় আমরা আশা করি বাড়তি সার এর প্রয়োজন হবে না। ধানের জমি বেশ ভালো ভাবে বেড়ে উঠছে।
এ বিষয়ে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্য বলেন, এ সময়ে কাঙ্খিত বৃষ্টি পাত হওয়ায় রোপা আমনের চাষাবাদ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে সকল ইউনিয়ন এ রোপা আমনের চাষাবাদ করা যেতনা সে সব ইউনিয়ন যেমন লাখাই ও বুল্লা ইউনিয়ন এর বিস্তীন র্মাঠে আগাম বর্ষার জল নেমে যাওয়ায় রোপা আমনের চাষাবাদ চলছে। এতে লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও অনেক বেশী জমি চাষের আওতায় এসেছে।