বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার শেষ দিন ২৮ সেপ্টেম্বর। এ সময়ের দুই দিন আগেই দল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে সবচেয়ে বড় চমক তামিম ইকবালের জায়গা না পাওয়া। নির্বাচকদের ব্যাখ্যা— চোটের কারণে এ অভিজ্ঞ ওপেনারকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেওয়া হয়নি।
গুঞ্জন আছে, তামিম বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না— এমন শর্ত দেওয়ায় তাকে দলে রাখা হয়নি। তবে, তামিম ভিডিও বার্তায় এমন কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'কেউ কেউ বলছে, আমি নাকি বলেছি ৫ ম্যাচের বেশি খেলব না। এটা মিথ্যা।'
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক ভিডিওবার্তা দেন তামিম। তাকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই দেয়া এ ভিডিও বার্তায় তামিম বলেছেন আরও অনেক কথা।
তিনি বলেন, আমি কখনো, কোথাও বলি নাই যে, আমি পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এ কথা কোনো সময় হয়নাই। এটা মিথ্যা ও ভুল কথা। কে করছে এটা আমি জানি না। এটা মিথ্যা।
এই ক্রিকেটার বলেন, 'কদিন ধরে যা ঘটছে। তা সবার জানা উচিত। সবাই জানেন আমি রিটায়ার করি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফিরে আসি। এরপর আমি প্রচন্ড কষ্ট করি। আমি সব এক্সারসাইজই করেছি। আপনারা বুঝতে পারবেন এটা আসলে সহজ জিনিস না।'
তামিম বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয় সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানায়। তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।’
ফিজিওর রিপোর্টে কী ছিল তা পরিষ্কার করে তামিম বলেছেন, ‘ফিজিও’র রিপোর্টে ছিল প্রথম ম্যাচের পরে আমার ব্যথার অবস্থা কী, দ্বিতীয় ম্যাচের পর কী হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৬ তারিখের (নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ) ম্যাচের দিন অবস্থা কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, খেলার জন্য আমি প্রস্তুত। তবে আমাকে বলা হয়েছিল আমি রেস্ট নিতেও পারি।’
রেস্ট নিলে ফিটনেসের অবস্থা ভালো থাকতো বলেও উল্লেখ করেছেন তামিম, ‘শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারবো এমনটা ছিল রিপোর্টে।'