এইমাত্র
  • অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
  • বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
  • একে একে মারা গেলেন পরিবারের ৬ সদস্যই
  • ১১ মের মধ্যে এসএসসির ফলাফল প্রকাশ
  • নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে বহিষ্কৃতদের ‌ক্ষমার ঘোষণা বিএনপির
  • মির্জাপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা
  • এবার গাজায় তীব্র গরমে শিশুর মৃত্যু
  • শাহজাদপুরে গলায় ফাঁস নিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
  • আবারও কমলো সোনার দাম
  • আবাসিক হোটেলে অভিযান, নারীসহ আটক ৭
  • আজ রবিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    টেকনাফে আরও ৮ জনকে অপহরণ, মুক্তিপণ না দিলে প্রাণে মারার হুমকি

    গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
    গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

    টেকনাফে আরও ৮ জনকে অপহরণ, মুক্তিপণ না দিলে প্রাণে মারার হুমকি

    গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

    কক্সবাজার-টেকনাফে গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা অস্ত্রধারী অপহরণকারীরা তিন শিশু-কিশোরসহ আরও ৮ জনকে অপহৃত করেছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় গরু চরাতে এবং কৃষি কাজ করতে গেলে অপহরণকারীরা অস্ত্রের মুখে তাদের সবাইকে জিম্মি করে পাহাড়ে নিয়ে যায়।

    অপহৃত ৮ জনের মধ্যে ৬ জনের নাম পাওয়া গেছে। বাকি দু'জনে নাম পাওয়া যায়নি। নাম ঠিকানা না পাওয়া দুজন রইক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দা বলে জানান স্থানীয়রা।

    অপহৃত ৬ জন হচ্ছেন- টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউপির অন্তর্গত ৫নং ওয়ার্ড কানজর পাড়া এলাকার লেদু মিয়ার পুত্র মো.শাকিল (১৫), নাজির হোসেনের পুত্র সোনা মিয়া (২৪), শহর আলীর পুত্র ফরিদ প্রকাশ গুরা পুইত্যা (৩৫), বেলালের পুত্র জুনাইদ (১২) ও নুরুল আমিনের পুত্র মো. সাইফুল (১৪)।

    স্থানীয়রা সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, বুধবার দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত কানজর পাড়া এলাকার ১২/১৫ বছর বয়সী তিন শিশু-কিশোরসহ ৬ জন স্থানীয় যুবক রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় গরু চরানোর পাশাপাশি কৃষি জমিতে কাজ করতে গেলে গহীন পাহাড় নেমে আসা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হয়।

    পরবর্তীতে একই দিন বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে অপহৃত মো.শাকিলের ভুক্তভোগী পিতা লেদু মিয়ার মোবাইলে কল দিয়ে অপহরণকারিরা তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সময় মত মুক্তিপণ দিলে অপহৃতদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেছে বলেও জানান তারা।

    ঘটে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, হোয়াইক্যং ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহা জালাল সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, আমি সারাদিন উখিয়াতে ট্রেনিং এ ছিলাম। সন্ধ্যায় এলাকায় এসে জানতে পারি, গরু চরাতে গিয়ে ৭/৮ জনকে ধরে নিয়ে গেছে অপহরণকারিরা। তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি অপহরণকারিরা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করছে। বিষয়টি পুলিশকেও অবিহিত করেছে বলেও জানান তিনি।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, অপহরণের ঘটনা শুনেছি। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার পাশাপাশি অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে।

    এ নিয়ে চলতি মাসের শুরু থেকে বুধবার (২৭ মার্চ) বিকাল পর্যন্ত অত্র উপজেলার অন্তর্গত হ্নীলা, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বমোট শিশু, কিশোরসহ সর্বমোট ১৭ জনকে অপহৃত করেছে অপহরণকারিরা। এরমধ্যে গতকালের হোয়াইক্যং ইউপির দু রাখাল, হ্নীলা ইউপির ৫ কৃষক মুক্তিপণ দিয়ে পরিবারের কাছে ফেরত আসে। এরমধ্যে হ্নীলা পানখালি ৫ কৃষককে নগদ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে ফেরত নিয়ে আসে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

    এদিকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিনিয়ত স্থানীয় মানুষ অপহরণ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অত্র উপজেলার স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক।

    রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের লাগাতার অপহরণ বানিজ্য এখন টেকনাফ উপজেলার হাট বাজারগুলোতে টক অফ দা টাউনে পরিণত হয়েছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…