এইমাত্র
  • চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়াতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠি
  • পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
  • রাত ৮টার পর শপিং মল বন্ধের নির্দেশনা
  • মালিতে রুটি-দুধের চেয়ে দাম বেশি বরফের
  • কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৬
  • নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি হাবীব
  • গরু-ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ
  • মিয়ানমারে ৪৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
  • অঙ্গীকারনামা দিয়ে জামিনে মুক্তি পেলেন সেই সঞ্জয় রক্ষিত
  • কেমন করে দলের নির্দেশ অমান্য করছেন তা আমার বোধগম্য নয়: ইসি হাবিব
  • আজ মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

    দায়িত্বের দায়বদ্ধতায় রংচটা নাড়ির টান!

    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

    দায়িত্বের দায়বদ্ধতায় রংচটা নাড়ির টান!

    যায়িদ বিন ফিরোজ, ইবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

    একই পোশাকে ৩৬৫ দিন। ‘মেশিনের যেমন ক্লান্তি নেই, তাদেরও কি অনুভূতি নেই’ সারাবছর ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে সযত্নে ঢেকে রাখা আনসার সদস্যরা যতখানি সক্রিয় তাদের পেশাগত দায়িত্ববোধ এর কাছে ঠিক-তেমনি বেশ নিষ্ক্রিয় তাদের প্রিয়জনের নিকট। প্রিয় সন্তান কিংবা গর্ভধারিণী মা এর ‘বাজান ঈদ তো চলে আইলো, বাড়ি কবে আসবা’ এমন প্রশ্নে অশ্রুসজল চোখে করুন কন্ঠে উত্তর ‘দেহি মা’।

    এদের দায়িত্বের শেকলে বাঁধা কর্মব্যস্ত জীবনে যেন কর্মবিরতির সুযোগ নেই। পেশা ধীরে ধীরে তাদের কাছে কি তবে নেশায় পরিণত হয়েছে? উত্তর অজানা।

    সকলের স্বপ্ন বাড়ি ফিরলেও, এরা যেন দায়িত্বের কারণে, নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তার খাতিরে এমন স্বপ্ন দেখা ভুলেই গিয়েছেন। এদের প্রিয়জন ঘিরে সযত্নে গড়ে উঠা আবেগ, অনূভুতিগুলো দায়বদ্ধতার ঘূর্ণিপাকে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। সকলেই যেখানে ছুটি উপভোগের নানা উপায় খুঁজে সেখানে তারা খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বিশেষ দিনগুলোতেও ডিউটি করেই কাটিয়ে দিচ্ছে হাসিমুখে।

    বলছিলাম পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত প্রায় শতাধিক আনসার সদস্যদের কথা। কারো কাছে মামা, কারো কাছে ভাই আবার কারো কাছে আঙ্কেল। সর্বক্ষণ দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ক্যাম্পাসকে আগলে রাখছেন তারা। দায়িত্ব পালনে নেই বিন্দুমাত্র অবহেলা। ঈদে ক্যাম্পাস শূন্য হয়ে যেনো তাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়ে যায়।

    দিনের আলো পেরিয়ে রাতের আঁধারে তৎপরতা কিছুটা বাড়াতে হয় তাদের। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে নির্ঘুম প্রয়াস তাদের। নিজ পরিবারের বাহিরে থাকা এসব সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গড়ে তুলেন আরেকটি পরিবার। যেটা রক্তের নয় আত্মার বাঁধন। তবে তাদের এই অসামান্য নিবেদনের বিপরীতে চাহিদা শুধু একটু সম্মান ও হাসিমাখা মুখের কথোপকথন।

    ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সেল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি কালীন সময়ে মোট ৮৮ জন আনসার সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এরমধ্যে ইদের ছুটি পায়নি কেউ-ই। যারা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন তারা হয়তো পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবে না ফলে সহকর্মীদের সাথেই কাটবে তাদের ঈদ।

    টাকা রোজগারের জন্য সকল কষ্ট মাটিচাপা দিয়েছেন আনসার সদস্য রফিক (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘সব দুঃখ-কষ্ট মাটি চাপা দিয়ে পরিবারের জন্য টাকা ইনকাম করতে আর শত কিলোমিটার দূরে। কিন্তু দেখেন, এই পরিবার ছেড়েই ঈদ করতে হচ্ছে আমাদের। আমি গত কয়েক বছর যাবত পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারি না।

    তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাগো কি পরিবারের সাথে ঈদ করতে ইচ্ছা করে না? কিন্তু ডিউটি দিবে কে তখন।’

    নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের এখন এই ছুটিতে ৮৮ জন আনসার সদস্য কর্মরত আছেন। ক্যাম্পাস যতদিন ছুটিতে থাকবে আমাদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখবো না ইনশাআল্লাহ।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…