মাদারীপুরে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ও সহিংসতা মোকাবেলায় প্রশাসনিক ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ডিসির ব্রীজ এলাকার নিজ নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিক খান অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে আসিবুর রহমান খান।
শাজাহান খান তার পুত্রকে বিজয়ী করার লক্ষে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
তিনি দাবি করেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন কতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ইলেকট্রোরাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। ইতিমধ্যে সংগঠিত সন্ত্রাসী ঘটনা সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
শফিক খান বলেন, নির্বাচন কমিশনে ১৫টি অভিযোগ দিলেও সে বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাধ্য, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনাসহ ইলেকট্ররাল ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে, সংবাদ সম্মেলনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান।
সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ প্রমূখ।
এমআর